প্রেম_নিবেদন Part- 25+26

0
1708

25 + 26, 2টা পার্ট একসাথে দিলাম 🙂
.
.
story- প্রেম_নিবেদন Part- 25+26
Writer- #Nur_Nafisa

.
.
আরাফ- এ কি! দরজার সামনে দাড়িয়ে আছো কেন?
.
নাফিসা- (আমার ধ্যান ভাংলো) আরাফের কাছে গিয়ে গ্লাসটা তার হাতে দিলাম।
.
আরাফ- কেমন আছো জানপাখি??
.
নাফিসা- আলহামদুলিল্লাহ।
.
আরাফ- আমাকে জিজ্ঞেস করবে না কেমন আছি?
.
নাফিসা- দেখতেই পাচ্ছি, কেমন আছেন!?
.
আরাফ একটু হেসে আমার মুখের সামনে জুসের গ্লাসটা ধরলো,
.
আরাফ- একটু খাও।
.
নাফিসা- আমি কিছু না বলে, একটু জুস খেয়ে নিলাম।
.
তারপর সম্পূর্ণটা ও খেয়ে নিলো।
.
আমি নামাজ পড়ে নিলাম। আরাফও বাসায় নামাজ পড়লো।
খাওয়ার জন্য ডাকতে এলে, দেখলাম আরাফ বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে,
.
– কোথায় যাচ্ছেন?
.
আরাফ- বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরতে যাবো।
.
নাফিসা- ?এখন কোথাও যাবেন না। খেয়ে ঘুমান। কাল শুক্রবার আছে। বন্ধুদের সাথে কাল যাবেন ঘুরতে।
.
আরাফ- (? আমি কিছুটা অবাক হলাম নাফিসার কথায়। যদিও আমি এটাই চাই, ও আমার উপর সম্পূর্ণ অধিকার ফলাক।)
.
নাফিসা- আরাফ আমার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে ওয়াসরুমে চলে গেলো চেঞ্জ করতে।
বুঝতে পারলাম না, রাগ করলো নাকি খুশি হলো! রাগ করলে করুক! এখন ওর ঘুমটাই বেশি প্রয়োজন শরীর সুস্থ থাকার জন্য।
তারপর সবাই একসাথে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
নাফিসা- ভোর ৪টায় আব্বু বাসায় ফিরেছে। ঘুম থেকে উঠে নামাজ ও কুরআন পড়লাম। তারপর আম্মুকে রান্নার কাজে সাহায্য করলাম। আম্মু পাঠালেন আরাফকে নাস্তা করার জন্য ডাকতে, রুমে এসে দেখি আরাফ নেই! একি! কিছুক্ষণ আগেই তো দেখলাম ও রুমে, এরমধ্যে আবার কোথায় গেলো! ড্রয়ার থেকে ফোন নিয়ে আরাফকে কল করলাম। ওর ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে hua he aj peheli bar গান টা সেট করা। গানটা খুব ভালো লাগে আমার।একটু বাজতেই আরাফ ফোন রিসিভ করে ফেললো।
.
আরাফ- হ্যালো জানপাখি! আজ হঠাৎ ফোন হাতে নিলে!
.
নাফিসা- আপনি কোথায়? একটু আগেই না ঘরে দেখলাম!
.
আরাফ- আমি পাখির বাসায়?
.
নাফিসা- পাখির বাসায় মানে!
.
আরাফ- আরে গাছের পাখি না, মানুষের কথা বলছি।?
.
নাফিসা- অহ! আচ্ছা। আম্মু নাস্তা করার জন্য ডেকেছিলো।
.
আরাফ- ওকে আসছি।
.
নাফিসা- ফোন রেখে আমি নিসাকে ডেকে ডাইনিং টেবিলের কাছে যাচ্ছিলাম এমনি আরাফ ঘরে প্রবেশ করলো।
.
– ? এতো তারাতাড়ি চলে এলেন কিভাবে!
.
আরাফ- তুমি ফোন করেছো, পারলে তো উড়াল দিয়ে আসতাম। কিন্তু ডানা নেই ?
.
নিসা- ?
.
নাফিসা- ?।
.
আম্মু- হয়েছে, এবার খেতে আয়। ?
.
সবাই একসাথে খেয়ে নিলাম। তারপর আমি আর নিসা ছাদে গেলাম। ২জন মিলে ফুল গাছে পানি দিলাম। তারপর দোলনায় বসলাম।
.
নিসা- ভাবি, আজ তোমার সাথে আমিও কাজ করবো।
.
নাফিসা- কি কাজ?
.
নিসা- তুমি যা যা পারো সব শিখাবা। আজ আমিও ঘর মুছবো।

.
নাফিসা- ?তাই নাকি!
.
নিসা- হুম☺️
.
নাফিসা- আচ্ছা ?। নিসা, পাখি কে?
.
নিসা- কিসের পাখি?
.
নাফিসা- মানে, পাখি নামে তোমাদের কোনো রিলেটিভ/ আশেপাশে কেউ আছে?
.
নিসা- না তো। কেন?
.
নাফিসা- নাস্তা করার আগে তোমার ভাইয়াকে কল করলাম, তখন বললো ও পাখির বাসায়। তাই জিজ্ঞেস করলাম।
.
নিসা- ? ভাইয়া হয়তো এমনি দুষ্টুমি করেছে। পাখি নামে আশেপাশে কেউ নেই।
.
নাফিসা- অহ আচ্ছা।
.
নিসা- আজ কিন্তু ভাইয়ার জন্মদিন, জানো তুমি?
.
নাফিসা- তাই নাকি! এখন জানলাম তোমার কাছে।
.
নিসা- হুম। কিন্তু আমরা জন্মদিন পালন করিনা। এমনিতে সকালে ভাইয়াকে উইস করেছিলাম।
.
নাফিসা- জন্মদিন পালন না করাই ভালো। জন্মদিন উপলক্ষে কোনো কিছু করা হারাম।
.
নিসা- হুম এজন্যই আব্বু করতে দেয় না।
.
নাফিসা- আচ্ছা, চলো বাসায় ফিরে কাজে লেগে যাই ?
.
নিসা- আচ্ছা ?
.
নাফিসা- আমি আর নিসা মিলে পুরো ঘর পরিষ্কার করে মুছে দিলাম। কাজের আন্টিও সাহায্য করলেন। আর আম্মু রান্নায় ব্যস্ত। আব্বু আর আরাফ কোনো কাজে বাসার বাইরে গেছে। কিছুক্ষণ পর আরাফ ও আব্বু আসলো,

.
নিসা- আব্বুউউ…. খবরদার এখন ঘরে আসবে না, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকো। ৫মি পর আসবে।
.
আব্বু- এসব আমি কি দেখছি! নিসা ঘর মুছে! ?
.
আরাফ- ওইদিন নাফিসাকে দেখলাম, আজ নিসাও! ?
.
আব্বু- নিসা, নাফিসা তোরা ঘর মুচছিস কেন? সীমা আছে তো।
.
নিসা- আমরা থাকতে আমাদের ঘর অন্য কাউকে মুছতে হবে কেন!
.
আরাফ- বাবাহ! নাফিসার উক্তিও মুখুস্ত করে ফেলেছিস!? আব্বু, আম্মুতো কৌশলে রান্নার লোককে তাড়িয়ে নিজে রান্নার দায়িত্ব নিয়েছে। এখন ওরা সীমা আন্টিকেও তাড়ানোর প্লান করছে।
.
আব্বু- হুম তাইতো দেখছি! কোন দিন যানি, ড্রাইভার ও দাড়োয়ানকে তাড়িয়ে আমাকে দারোয়ান, আর তোকে ড্রাইভার বানিয়ে দেয় ?
.
আরাফ- ?
.
আম্মু- আজ থেকেই লেগে যাও। ?
.
নাফিসা- নিজের কাজ নিজে করলে, কাজের লোকের প্রয়োজন পড়ে নাকি!?
.
(এতোক্ষণে আমাদের কাজ শেষ)
.
আব্বু- হুহ! এখন কি ভেতরে আসতে পারবো?
.
নিসা- হুম আসো।
.
নাফিসা- আমি রুমে এসে জামাকাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম গোসল করতে। গোসল শেষে রুমে এসে দেখি আরাফ সোফায় বসে আছে। আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে এলাম।
.
আরাফ- সোফায় বসে ফেসবুক চালাচ্ছিলাম। বাথরুমের দরজার শব্দে তাকিয়ে দেখি নাফিসা বের হয়েছে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে চুল মুছছে। ওর চুল থেকে পানি পড়ছে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে আমার জানপাখিকে ? আমি তার কাছে গেলাম, আর ড্রেসিং টেবিলের পাশের টুলে বসলাম।
.
নাফিসা- কিছু বলবেন?
.
আরাফ- হুম, আজকের পর থেকে আর কখনো ঘর মুছবে না।
.
নাফিসা- কেন? নিজের কাজ নিজে করলে সমস্যা কোথায়?
.
আরাফ- জানপাখি, সবার ক্ষেত্রে সব কাজ নিজে করতে হয় না। ভেবে দেখোতো, সীমা আন্টির কাজ তোমরা করলে তো আর উনাকে দরকার পড়ছে না। কিন্তু উনিও তো এখানে কাজ করে নিজে উপার্জন করতে এসেছেন। আর আমাদের তো যথেষ্ট সামর্থ্য আছে, তাহলে তাদের উপার্জনের সুযোগটা আমরা কেন নষ্ট করবো! ধনীরা সব কাজ অহংকার নিয়ে করে না। তাদের ধনে গরীবদেরও অধিকার আছে। আর গরীবরা সেই অধিকারটাকে উপার্জনের মাধ্যমে অর্জন করে নিচ্ছে। আমরা যদি তাদের কাজ না দেই, তাহলে তারা উপার্জন করবে কিভাবে! তাদের সংসার চলবে কিভাবে!
তাই বলছি, উনার কাজ উনাকে করতে দাও। শুধু প্রয়োজন ভেদে উনাকে সাহায্য করবে।
.
নাফিসা- আচ্ছা। আর করবো না।
.
আরাফ- ধন্যবাদ ?
.
নাফিসা- শুভ জন্মদিন। ?
.
আরাফ- ? তুমি জানো কিভাবে?
.
নাফিসা- নিসা বলেছিলো।
.
আরাফ- অহ! তা আমার গিফট দিবে না? ?

.
.
চলবে…..
.
.
story- #প্রেম_নিবেদন
Writer- #Nur_Nafisa
Part- 26
.
.
নাফিসা- ?আমি কি গিফট দিতে পারি আপনাকে! আপনাকে দেয়ার মতো কিছু আমার কাছে নেই। তাছাড়া আমি তো আজ বাইরে ও যাবো না, তাহলে কিছু কিনবোই বা কি করে!
.
আরাফ- সব গিফট তো টাকা দিয়ে কিনতে হয় না। কিছু গিফট এমনি দেয়া যায়। আমি চেয়ে নিবো গিফট তোমার কাছে, দিবে?
.
নাফিসা- কি গিফট? সাধ্যে থাকলে চেষ্টা করবো।
.
আরাফ- আমাকে আপনি করে বলবা না। তুমি করে বলবা।?
.
নাফিসা- ? (আমি কিছুটা অবাক হলাম! এটা কোনো গিফট হলো!)
.
আরাফ- জানপাখি তুমি সবাইকে তুমি করে সম্মোধন কর, আর আমাকে কেন আপনি করে বলো! কি হলো, দিবেনা আমার এই গিফট?
.
নাফিসা- চেষ্টা করবো।
.(তারপর হাতে চিরুনি নিয়ে রুমের বাইরের দিকে পা বাড়ালাম।)

.
আরাফ- একি! চিরুনি নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?
.
নাফিসা- পাশের রুমে।
.
আরাফ- কেন, এখানে কি সমস্যা?
.
নাফিসা- এই রুমে ফ্যান নেই।
.
আরাফ- তাতে কি হয়েছে! এসি আছে তো।
.
নাফিসা- এসিতে চুল শুকানো যায়!?
.
আরাফ- ওহ! কিন্তু হেয়ার ড্রায়ার আছে তো!
.
নাফিসা- ?এসব ইউজ করলে চুল নষ্ট হয়ে যায়। ( তারপর আমি পাশের রুমে চলে এলাম)
.
.
আবার রুমে ফেরার সময় দেখলাম, আম্মু শাড়ি পড়েছে আজ। নিসা আর আম্মু আমার দিকে আসছে।
.
– ওয়াও! আম্মু শাড়িতে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে ?
.
আম্মু- তাই নাকি! ?
.
নাফিসা- হুম, কোথাও যাচ্ছো নাকি আজ? শাড়ি পড়েছো যে!
.
আম্মু- না কোথাও যাচ্ছি না। এমনি পড়েছি।
.
নিসা- ভাবি, আম্মু প্রতি শুক্রবারই শাড়ি পড়ে ?
.
নাফিসা- জানতাম না তো!
.
আম্মু- হুম, বাঙালী নারী যে শাড়িতে সুন্দর। তাই মাঝে মাঝে পড়ি ?
.
নাফিসা- আম্মু তুমি সত্যিই অনেক কিউট ?
.
আম্মু- ?
.
বিকেলে আরাফ বাইরে গেছে বন্ধুদের সাথে। আমি, নিসা, আম্মু বাসায় বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে সময় কাটালাম।
.
পরদিন, আরাফ ও আব্বুর সাথেই ভার্সিটি গেলাম। আবার আসার সময় রিকশায় চলে এলাম। বাসায় ফিরে দেখি রুমে ফ্যান লাগানো। আরাফ ও বাসায়,
.
আশ্চর্য! পাশের রুমে তো ফ্যান আছেই, এখানে ফ্যান লাগানোর কি আছে!
.
আরাফ- আমার বউ নিজের রুম রেখে অন্য রুমে কেন চুল শুকাতে যাবে, তাই লাগিয়ে দিলাম ?
.
নাফিসা- ওই রুমে তো কেউ থাকে না! আর চুল শুকানোর জন্য ফ্যান লাগাতে হবে ?
.
১ সপ্তাহ পর, (পরের শুক্রবার)
আব্বু, আরাফ বাসায় নেই। কোনো এক মিটিং এ গেছে। আমি, আম্মু আর নিসা বাসায়। আজ আম্মুর সাথে আমিও বাসায় শাড়ি পড়েছি।
.
নিসা- ওয়াও, ভাবি তোমাকে শাড়িতে ভীষণ ভালো লাগছে ?
.
নাফিসা- ধন্যবাদ, তুমিও পড়ো☺️
.
নিসা- না, আমি বিয়ের পর পড়বো?
.
নাফিসা- ?
.
আম্মু- আরাফ আর তোর আব্বু তো বাইরে গেছে। চল, আজ আমরাও কোথাও ঘুরতে যাই।
.
নাফিসা- কোথায় যাবা?
.
আম্মু- যদি তোদের বাসায় যেয়ে সবাইকে নিয়ে আমাদের নতুন বাড়িতে ঘুরে আসি। কেমন হয়!?
.
নিসা- ওয়াও আম্মু, গ্রেট আইডিয়া ?
.
নাফিসা- নতুন বাড়ি কোথায়?
.
নিসা- গেলেইতো দেখবা। ওটা এখনও কমপ্লিট হয়নি।
.
নাফিসা- ওকে।
.
তারপর সবাই মিলে প্রথমে আমাদের বাসায় গিয়ে বাবা,মা, শান্তা ও সাঈদকে নিয়ে নতুন বাড়িতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আব্বু আর আরাফও সেখানে কিছু লোকের সাথে কথা বলছে।
.
আম্মু- তোমরাও দেখছি এখানে! ? তোমাদের না মিটিং আছে?
.
আরাফ- নতুন বাড়িতে রঙ করাবো, তাই পেইন্টারদের সাথে কথা বলছিলাম।
হঠাৎ আম্মুর কন্ঠ শুনতে পেয়ে পিছনে তাকালাম।
OMG! ? ওরা সবাই এখানে! নাফিসা আজ শাড়ি পড়েছে!? আমি তো আজ পুরোই পাগল হয়ে যাচ্ছি! ?
.
নিসা- (আস্তে করে) ভাইয়া এভাবে হা করলে মাছি ঢুকবে তো! ?
.
আব্বু- সেকি! তোমরা এখানে!
.
আম্মু- হুম, ঘুরতে এলাম। ভাবছি তোমাদের ও ফোন করে আসতে বলবো। এসে তো দেখি এখানেই আছো।
.
আব্বু- ভালোই হয়েছে।
.
নাফিসা- তারপর সবাই বাড়িটা ঘুরে দেখছি আর একে অপরের সাথে গল্প করতে ব্যস্ত। আমিতো আব্বু আম্মুর সাথে বাবা মায়ের ভাব দেখে অবাক! মনে হয় ওরা অনেক পুরানো বন্ধু! আর এদিকে আরাফ আমার সাথেই হাটছে আর বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছে ।?
.
আরাফ- জানপাখি, তুমি আব্বু আম্মুকে দেখে অবাক হচ্ছো?
.
নাফিসা- হুম, অনেকটা।
.
আরাফ- তুমি বাবা-মায়ের সাথে কতোদিন ফোনে কথা বলো? বলতো! সপ্তাহে ২/১ বার। আর আব্বু-আম্মু কিন্তু বাবা মায়ের সাথে প্রতিদিন ফোনে কথা বলে,গল্প করে। আব্বু আর বাবা প্রায়ই বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দেয়। ওদের ভাব আব্বু যখন প্রথম বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়, তখন থেকে?।
.
নাফিসা- ?আমিতো এসব কিছুই জানিনা!
.
আরাফ- হুম?।
.
নাফিসা- বাড়িটা ২তলা। এরিয়াটা খুব বড়। মাঝখানে বাড়ি, একপাশে বাগান করার জন্য জায়গা রাখা হয়েছে, একপাশে সুইমিংপুল, আরও অনেক ফাকা জায়গা আছে। সবকিছু অসম্পূর্ণ থাকলেও চারিপাশট অনেক সুন্দর লাগছে। তারপর আমি বাড়িটা দেখতে দেখতে সুইমিং পুলের পাশে চলে এলাম। সাথে আরাফও আছে। এতোক্ষণ নিসা, সাঈদ ও শান্তাও সাথে ছিলো। এখন ওরা অন্যপাশে চলে গেছে। আর বড়রা বাড়ির ভেতরে। হটাৎ আরাফ আমার একদম কাছে মুখোমুখি এসে দাড়ালো। আমি পাশ কাটিয়ে চলে আসতে চাইলে ও পিছন থেকে আমার হাত টেনে ধরে বললো,
.
আরাফ- যতই এড়িয়ে যেতে চাওনা কেন, আমকে ছেড়ে যেতে দেবনা কোনোদিন, জানপাখি।
.
নাফিসা- আমি ঠিক সেভাবেই দাড়িয়ে আছি। আরাফ আমার কাছে এসে কানের কাছে মুখ এনে,
.
আরাফ- তোমাকে আজ ভিষণ সুন্দর লাগছে, জানপাখি?। ভালোবাসি তোমায় ❤️
.
নাফিসা- আমি কোনমতে হাত ছাড়িয়ে সেখান থেকে চলে এলাম।
.
বাসার দিকে রওনা দেয়ার সময় আরাফ, আমি, নিসা, শান্তা ও সাঈদ এক গাড়িতে উঠলাম। আব্বু, আম্মু, বাবা-মা এক গাড়িতে। উনারা বাসায় চলে গেলো, কিন্তু আমাদের গাড়ি আরাফ রেস্টুরেন্টে নিয়ে এলো। সেখানে, আরাফ ও সাঈদ বার্গার, লাচ্চি খেয়েছে। আর আমি, শান্তা ও নিসা ইচ্ছেমতো আইস্ক্রিম খেয়েছি। তারপর বাসায় ফিরে এলাম।
.
আম্মু- কিরে, তোরা এতো দেড়ি করলি কেন? আমরা খেয়ে নিয়েছি। তোরা খেতে আয়।
.
নাফিসা- আম্মু, আমি খাবো না। হাচ্ছি..!
.
মা- কিরে ঠান্ডা লাগলো কিভাবে!
.
নাফিসা- কই!
.
শান্তা- মা, আপু আইস্ক্রিম খেয়েছে।
.
মা- ? লাগিয়ে নিলি তো ঠান্ডা!
.
নাফিসা- ওফ! মা কিছু হয়নি তো।
.
কিছুক্ষন পর বাবা-মা চলে গেলো। এদিকে আমি রুমে বসে হাচ্ছি দিতে দিতে শেষ! ? আম্মু এসে আদা চা দিয়ে গেছে।
.
আরাফ- তোমার আইস্ক্রিম খেলে ঠান্ডা লেগে যায়, তাহলে খেলে কেন??
.
নাফিসা- ভালো লাগে তাই?। আমি চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। জেগে থাকলেই কথা শুনতে হবে।
.
.
চলবে…


( sorry, অসুস্থ থাকায় গল্প দিতে পারিনি। এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হই নি। ২সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে। কথা দিতে পারছি না, এর মধ্যে সম্ভব হলে গল্প দিব। 🙂
তবে ১টা বিষয় খারাপ লেগেছে, আপনাদের অনেকের কাছে মানুষের সুস্থতার চেয়ে গল্পটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ঊঠেছে। ?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here