প্রেম_নিবেদন Part- 34 (last part)

0
3848

story- প্রেম_নিবেদন Part- 34 (last part)
Writer- #Nur_Nafisa

.
.
নাফিসা- তারপর বাসায় চলে এলাম।
আরাফ রুমে চলে গেলো, আর আমি আম্মুর কাছে গেলাম।
– আম্মু আজ সম্পূর্ণ রান্না আমি করবো ?
আম্মু- আচ্ছা?
নাফিসা- আমি রান্না করলাম।
নিসা- ভাবি কি রান্না করছো?
নাফিসা- কাচা আমের টক ?
নিসা- ওফ! আব্বুর খুব পছন্দ। আব্বু মিস করলো।
নাফিসা- সমস্যা কি! আব্বু আসলে আবার রান্না করবো ?
রান্না শেষ করে টেবিলে খাবার রাখলাম। আম্মু এসেছে।
-নিসা… তোমার ভাইয়াকে ডেকে খেতে আসো।
আম্মু- খাবার তো মনে হচ্ছে অনেক টেস্টি হবে ?
নাফিসা- নিশ্চয়ই তোমার চেয়ে বেশি হবে না ?
আম্মু- ?
নাফিসা- আম্মু আর নিসা বসেছে। আরাফ ও আসছে।
আরাফ- টেবিলের কাছে যেতেই পায়ে কিছু লাগলো। হাতে নিয়ে দেখি ছোট মার্বেল।
– মার্বেল এখানে কি করে এলো?
নিসা- আজ মাহি তার বোনের ছেলেকে নিয়ে এসেছিলো। মনে হয় ও রেখেছে।
আরাফ- অহ!
নিসা- কি দুষ্টু বাবুটা। আমাদের ঘরে বাবু কবে আসবে?
নাফিসা- আমি নিসার কথা শুনে সাথে সাথে বিষম খেলাম। আরাফ আর আম্মু মুখ চেপে হাসছে! আমি মাথা নিচু করে খাচ্ছি আর কথা বলছি,
– আম্মু নিসাকে বিয়ে দিয়ে দাও। ওর বাবু লাগবে ?
নিসা- ভাবি আমি ফুপি ডাক শুনতে চাচ্ছি ?
নাফিসা- সমস্যা কি! তোমার বাবুকে শিখিয়ে দিবে মা না ডেকে ফুপি ডাকতে!
নিসা- ?
আম্মু- আমি কিন্তু নানু ডাকের আগে দাদু ডাক শুনতে চাই ☺️
নাফিসা- নিসার বাবুকে শিখিয়ে দিবে নানু না ডেকে দাদু ডাকতে, তাহলেই তো হয়?
আম্মু- ?
নিসা- ভাইয়া, তুমি কিছু বলোনা কেন? ?
আরাফ- চুপচাপ খাওয়া শেষ কর।
( মনে মনে, আমি কি বলবো! এখন কিছু বললে আমাকেও বলবে নিসার বাবুকে শিখিয়ে দিবে বাবা ডাকতে?)
.
নাফিসা- তারপর খাওয়া শেষ করে সব কিছু গুছিয়ে রুমে এলাম। দেখি আরাফ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। আমিও তার পাশে দাড়ালাম।
– কি ভাবছো?
আরাফ- ভাবছি, সবাই চায় এ বাড়িতে বাবু আসুক।
নাফিসা- কই সবাই চায়!
আরাফ- নিসা ফুপি ডাক শুনতে চায়, আম্মু দাদু ডাক শুনতে চায়। তুমি কি বলো?
নাফিসা- আমার হাসব্যান্ড চায় না তো!
আরাফ- ?আমি না করলাম কখন!
নাফিসা- হ্যাঁ বলেছো কখন? ?
এবার আমাকে এক টানে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলো,
আরাফ- পাজি মেয়ে!?
নাফিসা- ফাজিল ছেলে ?
আরাফ- তোমার হাসব্যান্ড ও চাই আমাদের ঘরে আরোহি, আরোশি, আশা, নাফিস, রাফি আসুক ?
নাফিসা- এরা কারা??
আরাফ- কেন! আমাদের বাবুরা।
নাফিসা- এত্তগুলা? ?
আরাফ- ? ভয় পাচ্ছো কেন জানপাখি! ওদের সামলানোর জন্য আমি আছি তো তোমার সাথে ?
নাফিসা- Stupid কোথাকার ?
আরাফ- ?
৫বছর পর,
নাফিসা- আজ আমার মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হলো। আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা বাড়লেও পরীক্ষা আসলে রাত জেগে পড়ার অত্যাচারটা আরাফ একটুও কমায়নি ? আজ মুক্তি পেলাম। পরীক্ষা দিয়ে এক্সাম হল থেকে বের হতেই আরোহি দৌড়ে আসলো, আমিও সাথে সাথে কোলে নিয়ে ওর গালে ১টা চুমু দিলাম।
আরোহি- মাম্মাম, এতো দেড়ি করো কেন তুমি? আমি আর বাবাই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি তোমার জন্য!
নাফিসা- মাম্মামের কাজ যে শেষ হয় না।
আরোহি- ওকে চলো বাবাইয়ের কাছে।
নাফিসা- ওকে।
(আরোহি আমাদের মেয়ে। ওর বয়স ৪বছর। সবসময় আরাফ আমাকে এক্সাম হলে নিয়ে আসে আবার নিয়ে যায়। আজ আরাফের সাথে আরোহিও এসেছে তার মাম্মামকে নিতে)
আরাফ- এক্সাম কেমন হলো জানপাখি? ?
নাফিসা- আলহামদুলিল্লাহ ?। আম্মু আব্বু কি নিসার বাসায় গেছে? (নিসার বিয়ে হয়েছে ১বছর আগে। আম্মু আব্বু বেড়াতে গিয়েছে তার বাসায় ৩/৪ দিনের জন।)
আরাফ- হুম। চলো।
নাফিসা- ওকে।
আরাফ গাড়ি ড্রাইভ করছে আর আমি তার পাশে আরোহিকে কোলে নিয়ে সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুজে বসে আছি।
আরোহি- মাম্মাম, তুমি ঘুমাও কেন? এখন ঘুমানোর সময়?
নাফিসা- আরোহি, চুপ থাকো। মাম্মাম ক্লান্ত।
আরোহি- বাবাই, মাম্মাম ঘুমায় কেন?
আরাফ- তোমার মাম্মাম খাতা কলম নিয়ে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাই ঘুমায় ?
নাফিসা- ?
আরোহি- ?ওটা কেমন যুদ্ধ?
আরাফ- তুমি বড়ো হও আগে, তারপর বুঝবে।
আরোহি- ওকে।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে খাটে হেলান দিয়ে বসে আছি। মাথাটা প্রচুর ব্যাথা করছে!? আরাফ বাইরে গেছে। আরোহি আমার কাছেই আছে।
আরোহি- মাম্মাম চলো ছাদে যাই।
নাফিসা- না, মাম্মাম অসুস্থ। এখানে এসে ঘুমাও।
আরোহি- না আমি ঘুমাবো না, ছাদে যাবো। ?
নাফিসা- বাবাই আসলে বাবাইয়ের সাথে যেও।
আরোহি- না আমি এখন যাবো। একাই যাই।
নাফিসা- আরোহি, না বলেছি। এখানে এসো?
আরোহি- না আমি এখন যাবো!
নাফিসা- তারপর জেদ করে পাশের টেবিল থেকে ভেসটা নিয়ে মেঝেতে ঢিল মেরে ভেঙে ফেললো। আমি রেগে ওকে একটা থাপ্পড় দিলাম,
– এক কথা কতোবার বলতে হয়! এতো বিরক্ত করো কেন? ?
আরোহি- ???
আরাফ- যেই রুমে পা রাখবো, দেখলাম নাফিসা আরোহিকে থাপ্পড় মেরেছে। আমি দৌড়ে আরোহিকে কোলে নিলাম।
– একটা ভেস ই তো ভেঙেছে, তার জন্য গায়ে হাত তুলবে তুমি? ?
নাফিসা- আরাফ…
আরাফ- চুপ থাকো, আমার মেয়ে খুব বিরক্ত করে তোমাকে তাই না! ওকে, আজ থেকে আর বিরক্ত করবে না তোমাকে।
তারপর আমি আরোহিকে নিয়ে ছাদে চলে এলাম।
আরোহি- ???
আরাফ- কাদেনা বাবাই পাখি, কাদলে তো পচা দেখায়। বাবাই তোমাকে চকোলেট কিনে দিবে, বেড়াতে নিয়ে যাবে। ওকে? এখন চুপ করো।
অনেক কৌশলে আরোহিকে শান্ত করলাম। তারপর বাসা থেকে বেরিয়ে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেলাম।
নাফিসা- ওফ! এটা কি করলাম আমি!? এই প্রথম আমি আরোহির গায়ে হাত তুললাম। তাও আবার নিজের অজান্তে থাপ্পড়টা জোরে লেগে গেছে ?
রাত হয়ে গেছে, আমি এদিকে রান্না করে বসে আছি। বাবা, মেয়ের খবর নেই। ফোনটাও বাসায় রেখে গেছে। আমি ইশার নামাজ পড়ে ড্রয়িং রুমে যেতেই দেখি ওরা দুজন বসে কথা বলছে,
আরোহি- বাবাই আমি মাম্মামের কাছে যাবো না। মাম্মাম পচা। আমাকে মেরেছে। ?
আরাফ- বাবাই পাখি, মাম্মামকে পচা বলতে হয় না। মাম্মাম খুব ভালো। তখন মাম্মাম অসুস্থ থাকায় রেগে গেছে।
আরোহি- ওকে।
নাফিসা- আরোহির ফর্সা গালটা লাল হয়ে গেছে। আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। ? আমি চোখের পানি মুছে তাদের কাছে গিয়ে আরাফকে খাওয়ার জন্য আসতে বললাম, আর আরোহিকে কোলে নিতে গেলাম। কিন্তু তার আগেই আরাফ আরোহিকে কোলে নিয়ে,
আরাফ- আমরা খেয়ে এসেছি, তুমি খেয়ে নাও।
নাফিসা- আমার দিকে না তাকিয়ে কথাটা বলে আরোহিকে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেলো। আমি বেশ বুঝতে পারছি আজ ওরা অই রুমে ঘুমাবে। আমি না খেয়ে আমার রুমে চলে এলাম। কিন্তু ওদের ছাড়া তো আমার কিছুতেই ঘুম আসছে না!? পরপর ২বার ওই রুমের সামনে গেলাম, ডাকলাম কিন্তু দরজা খুলেনি। অনেক চেষ্টার পর একটু ঘুমিয়েছি। আযান শুনে ঘুম ভেঙে গেলো। নামাজ, কুরআন পড়ে রাতের খাবার গরম করলাম। এদিকে আরাফ অফিসের জন্য তৈরি হয়ে সাথে আরোহিকেও তৈরি করে দিলো। ও কি আরোহিকে নিয়ে অফিস যাবে নাকি! ?না খেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলো। আমি তার সামনে গেলাম,
– sorry আরাফ, প্লিজ না খেয়ে যেও না।?
আমার কথা না শুনে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। আরোহি ও একটা কথাও বলেনি। বাবার গলা ঝাপটে পড়ে আছে। আমিও না খেয়ে সারাদিন ঘরে বসে মন খারাপ করে কাটিয়ে দিলাম। অন্যান্য দিন আরাফ অফিসে থেকে ৬/৭ বার ফোন করে, আজ একবার ও না। ওদের ছাড়া আমার একদম ভালো লাগেনা।?
আজও রাতে ওরা বাসায় ফিরেছে। আমি সোফায় বসেছিলাম। দেখলাম আরোহি ঘুমিয়ে পড়েছে আরাফের কাধে। আরাফ আমার দিকে না তাকিয়ে রুমে চলে গেলো। তারপর আরোহিকে বিছানায় শুয়িয়ে দিলো। আমিও ওই রুমের দিকে পা বাড়ালাম। আরাফ আমাকে দেখে দ্রুত দরজা বন্ধ করতে এসেছিলো। যেই দরজা বন্ধ করতে যাবে তখনই আমি আমার এক হাত দরজার ফাকে রেখে চোখ বন্ধ করে ফেললাম ?
আরাফ- মাঝে মাঝে নাফিসা এমন কাজ করে, মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ? আর একটুর জন্য হাত চাপা পড়েনি। আমি দরজা বন্ধ না করে বাথরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে।
নাফিসা- আরাফ বাথরুমে চলে গেলে আমি আরোহির কাছে এসে সারা মুখে চুমুতে ভড়ে দিলাম। খুব কষ্ট পেয়েছে আমার মাম্মামটা। প্রায় ২দিন আমার থেকে দূরে থেকেছে।
নাড়া পেয়ে আরোহির ঘুম ভেঙে গেছে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তার কপালে আর ১টা চুমু দিলাম।
আরোহি- বাবাই কোথায়?
নাফিসা- বাবাই ফ্রেশ হতে গেছে। মাম্মামের সাথে কথা বলবা না?
আরোহি- না, তোমার সাথে কথা নেই। তুমি আমাকে মেরেছ।?
নাফিসা- (আমার চোখে পানি এসে পড়েছে) sorry পাখিটা। আর কখনো মারবো না। এই যে কান ধরছি..
আরোহি- প্রমিজ?
নাফিসা- হুম, প্রমিজ।
তারপর শোয়া থেকে উঠে বসে আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে আমার গালে একটা চুমু খেয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো।
আরোহি- কাদো কেন? শুনো নি, বাবাই বলেছে কাদলে পচা দেখায়।
নাফিসা- ওকে আর কাদবো না। খেয়েছো কিছু?
আরোহি- হুম বাবাইয়ের সাথে রেস্টুরেন্ট গিয়েছি, আবার বেড়াতে গিয়েছে শিশু পার্কে।
নাফিসা- (আরোহির মাথায় চুমু দিয়ে) আচ্ছা, এখন ঘুমাও।
আরাফ- বাথরুমে ঢুকে দরজা একটু ফাক করে মা-মেয়ের কান্ড দেখছি। মারার সময় হুস ছিলো না, এখন এসে আদর করছে ?। আমি ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় চলে এলাম। কারণ, আরোহির কাছে এখনো নাফিসা বসে আছে।
নাফিসা- আরাফ বাথরুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। আরোহি এতোক্ষণে আমার কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি তাকে আস্তে করে বালিশে শুয়িয়ে দিয়ে বারান্দার দিকে গেলাম। আরাফের পিছনে যেতেই দেখলাম সে তার ফোনের ওয়ালপেপারের আমাদের ৩জনের একসাথে তোলা ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম,
– sorry আরাফ।?
আরাফ- (নাফিসা জড়িয়ে ধরলে আমি ফোনটা পকেটে রেখে দাড়িয়ে আছি)
নাফিসা- sorry তো। আর কখনো এমন হবে না। প্লিজ ক্ষমা করে দাও। আমাকে যা শাস্তি দিবে, দাও। কিন্তু তোমরা আমার থেকে দূরে থেকো না। বড্ড একা লাগে নিজেকে ?। please forgive me.
আরাফ- সামনে আসো।
নাফিসা- উহু।
আরাফ- নাফিসা সামনে এসো…
নাফিসা-…..
আরাফ- জানপাখি…
নাফিসা- হুম?
আরাফ- সামনে আসো।
নাফিসা- এবার আমি সামনে গেলাম। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছেই।
আরাফ- জানপাখি, তোমরা ২জন আমার জীবন। তোমরা কোনো আঘাত পেলে আমার খুব কষ্ট হয়, বুঝোনা তুমি? তাহলে কেন এভাবে আমাকে কষ্ট দাও।
নাফিসা- Sorry জান. আর হবে না এমন।?
আরাফ আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।
আরাফ- জানপাখি,
নাফিসা- হুম?
আরাফ- আমি তোমার কে?
নাফিসা- জান❤️
আরাফ- কোথায় যাবো?
নাফিসা- ? (ওর পেটে চিমটি দিলাম) ঘর থেকে বেরিয়ে যান?
আরাফ- ওফ! এভাবে কেউ চিমটি কাটে! আমিতো আগেই বলেছি আমিই তোমার জান। ?
নাফিসা- হুম?
আরাফ- আর কতোক্ষন এভাবে জড়িয়ে থাকবা? ক্ষুধা লেগেছে তো।
নাফিসা- ? খেয়ে আসোনি?
আরাফ- না। আরোহিকে খায়িয়েছি। আমি খাইনি।
নাফিসা- কেন?
আরাফ- কিভাবে খাবো! আমার জানপাখিটা যে কাল থেকে না খেয়ে আছে, তাই আমিও কাল থেকে না খেয়ে আছি।
নাফিসা- আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ?!
-এমন কেন তুমি! ?
আরাফ- ? কেমন!
নাফিসা- আমি কিছু রান্না করিনি। বলো কি খাবে? রান্না করে দিচ্ছি।
আরাফ- ?নুডলস হলেই হবে।
নাফিসা- আচ্ছা, ছাড়ো আমি নিয়ে আসছি।
আরাফ- আচ্ছা।
নাফিসা- কি হলো! ছাড়ো…
আরাফ- না। আগে এটা খাবো…
নাফিসা- ?ছি! ছাড়ো, আরোহি উঠে পড়বে।
আরাফ- উহুম! উঠবে না।
নাফিসা- বেশি ভালো হবে না কিন্তু।
আরাফ- না হোক।
আরাফ+নাফিসা- ?‍?‍?
.
.
শুভ সমাপ্তি ?
.
.
আশা করি, Nur Nafisa এর #প্রেম_নিবেদন গল্পটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে?। অসংখ্য ধন্যবাদ ও অফুরন্ত ভালোবাসা❤ সবাইকে, ধৈর্যসহ পুরুটা পরার জন্য ও সুন্দর সুন্দর কমেন্ট ?এর জন্য। যদিও সবসময় আমি রিপ্লাই দিতে পারিনি তার জন্য দুঃখীত?।
ইনশাআল্লাহ সম্ভব হলে পরবর্তীতে আপনাদের জন্য নতুন কোনো গল্প নিয়ে হাজির হবো। সেই পর্যন্ত Nur Nafisa এর সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🙂 (Nur Nafisa)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here