প্রেম_নিবেদন Part- 4

0
2506

story- #প্রেম_নিবেদন Part- 4
Writer- #Nur_Nafisa

.
.
আরাফ- আমি শুধু ভাবছি কি করে অই মোটা চাশমিশ এর প্রতিশোধ নেয়া যায়! আমি তো ওকে অই পুকুরে চুবান খাইয়েই ছাড়বো ?। আরাফের সাথে মজা করার সাধ ওকে বুঝিয়ে দিবো।
.
.
নাফিসা- আজ শুক্রবার, ভার্সিটি অফ। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ ও কুরআন শরীফ পড়ে মাকে কাজে সাহায্য করলাম। তারপর চাচাতো ভাই বোন দের সাথে ঘরের সামনে ছোট উঠানে বসে দুষ্টুমি করছিলাম।
.
শান্তা- আপু চলো আজ বিকেলে সবাই মিলে পাশের বালুর মাঠে ঘুরতে যাবো। অনেক মজা হবে ?।
.
শিফা- হুম আপু চলো, অনেক দিন হলো ঘুরতে যাই না।
.
রিয়াদ- আপু আমরা ও যাবো ?
.
নাফিসা- তোদের মতো ফাজিলের দলকে নিয়ে ঘুরতে যাবো!!
.
শিফা- আপু প্লিজ, চলো যাই।
.
শান্তা- হুম আপু চলো, দিনা আপুকে ও ফোন করে বলো আসতে। অনেক মজা হবে ?।
.
নাফিসা- ওকে।
.
তারপর ঘরে গিয়ে মায়ের ফোনটা নিয়ে দিনাকে কল করলাম।
.
দিনা- হ্যালো?
.
নাফিসা- আসসালামু আলাইকুম, দিনা।
.
দিনা- ওয়ালাইকুম আসসালাম। হ্যাঁ নাফিসা বল।
.
নাফিসা- আজ বিকেলে বালুর মাঠে ঘুরতে যাবো। তুই ও চলে আয়।
.
দিনা- ? তাই নাকি! ওকে আমিও চলে আসবো। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফোন দিস।
.
নাফিসা- ওকে ?
.
.
বিকেলে,,,,,,,
আরাফ- ছুটির দিন তাই বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম, হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে।
.
-হ্যালো?
.
শিহাব – হ্যালো আরাফ তুই কোথায়?
.
আরাফ- বাসায়, কেন?
.
শিহাব – আমরা আজ বড় বালুর মাঠে ঘুরতে যাবো। তুই চলে আয়।
.
আরাফ- কখন আসবি?
.
শিহাব – ১০মি পরই রওনা দিবো।
.
আরাফ- ওকে।
.
-তারপর রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম। আজ বাইক না নিয়ে সাথে গাড়ি নিয়ে গেলাম।
.
.
নাফিসা- দিনাকে ফোন দিয়ে আমরা বেরিয়ে গেলাম বালুর মাঠে ঘুরতে।
.
দিনা- পিছন থেকে নাফিসাকে ভয় দেখালাম। ভাউউউউ!
.
নাফিসা- আউউউ! দিনায়ায়ায়ায়ায়া?
.
দিনা- আরে কুল বেবি! এতো ভয় পাস কেন???
.
নাফিসা- আমার তো এদিকে কলিজা কেপে উঠেছে, আর তুই মজা নিচ্ছিস! ?
.
দিনা- ওকে, সরি।☺️
.
নাফিসা- ওকে, চল হাটি। ?
.
দিনা- হুম।?
.
আমরা কথা বলছি, আর হাটছি, আর বাচ্চারা দুষ্টুমি করছে, দৌড়াচ্ছে, লাফালাফি করছে। মাঠে হালকা বাতাস বইছে। খুবই ভালো লাগছে পরিবেশ টা। হঠাৎ দেখি, কিছু কুকুর ঝগড়া লাগছে, আমি তো ভয়ে শেষ!
.
সাঈদ- আরে আপু ভয় পাচ্ছো কেন? দাড়াও এখনই তাড়াচ্ছি।
.
সাঈদ ও রিয়াদ কুকুরের দিকে ইটের কণা ছুড়তে লাগলো। হঠাৎ ইটের কণা গিয়ে পাশে থাকা ১টা গাড়ির সামনের গ্লাসে লেগে গেল! গ্লাসটা ও ফেটে গেলো। omg….. ??? এখন কি হবে!
.
.
আরাফ- আমি, শিহাব, ফাহিম আর নিলয় নদীর ধারে বসে ছিলাম। হঠাৎ গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ কানে এলো। দৌড়ে গাড়ির কাছে গেলাম। যা ভাবছি, তা-ই হইছে। গাড়ির গ্লাস ফাটিয়ে দিছে। তাও আবার দেখি সামনে ওই চাশমিশ দাড়িয়ে আছে। ???
.
নাফিসা- ওমা! এ তো দেখছি অই ফাজিল ছেলের গাড়ি!
.
আরাফ- এটা কি করছো! প্রতিশোধ নিতে আমার গাড়ির গ্লাস ফাটিয়ে দিছো? ?
.
নাফিসা- সরি, আসলে কুকুর তাড়াতে গিয়ে বাচ্চারা লাগিয়ে দিয়েছে। বুঝতে পারে নি।
.
আরাফ- কুকুর তাড়াতে নাকি ইচ্ছে করে লাগিয়ে দিয়েছো আমার গাড়ি ভাঙার জন্য! ?
.
নাফিসা- না, সত্যি বলছি, ইচ্ছে করে লাগায় নি।
.
আরাফ- তুমি জানো এখন এই ফাটার জন্য পুরো গ্লাস পাল্টাতে হবে। আর এটার দাম কতো জানো? ১২০০০ টাকা। উফফ! জানবা ই বা কি করে! তোমাদের মতো ছোট লোকদের এসব সম্পর্কে কোনো আইডিয়া আছে! শুধু অন্যের জিনিস দেখে লোভ করতে জানো। যেমনটা আজ আমার গাড়ির পিছনে লেগেছো।
.
নাফিসা- ওফফ! চুপ থাকুন, কতো টাকা আপনার গ্লাসের, ১২০০০টাকা তো। ৩ দিনের মধ্যে আমি আপনার টাকা দিয়ে দিবো।
.
আরাফ- ওওও বাবাহ! অপরাধ করে এখন আমাকে টাকার গরম দেখাও!
.
নাফিসা- সেটা আপনাদের কাজ, আমাদের মতো গরিবদের না। অপরাধ করেছি, ক্ষমা ও তো চেয়েছি। আর আপনি কি করছেন, উল্টাপালটা কথা শুনাচ্ছেন! দিয়ে দিবো আপনার ১২০০০টাকা ৩ দিনের মধ্যে।
.
আরাফ- তা সময় ৩ দিন কেন?
.
নাফিসা- কারণ আমাদের টাকা উপার্জন করতে সময় লাগে, হারাম টাকায় আমরা হাত দেই না৷ সে জন্য টাকা চাইলেই সামনে এসে হাজির হয় না।
.
আরাফ- তারমানে কি ধনীরা হারাম টাকা উপার্জন করে?
.
নাফিসা- কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। ৩দিন পর টাকা পেয়ে যাবেন, আল্লাহ হাফেজ।
.
তারপর সেখান থেকে সবাইকে নিয়ে চলে আসলাম।
.
শিহাব- কি করবি এখন?
.
আরাফ- কি আর করবো!
.
মার্কেটে যাবো গ্লাস পাল্টাতে। আসি আমি, বাই….
.
শিহাব- ওকে যা, বাই….
.
.
গল্প ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ 🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here