প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো? পর্ব_১৮(কিছু হাসিখুশি মুহূর্ত-০১)

0
2747

প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো?
পর্ব_১৮(কিছু হাসিখুশি মুহূর্ত-০১)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–আজব মানুষ কথা নেই বার্তা নেই এমন ব্যাবহার কেন করছেন?কি হইছে টা কি?
প্রেয়ন আমার কথা শুনেও না শোনার ভান করে আমাকে টানতে টানতে নিয়ে ঘরের মধ্যে ফেললো,
তাল সামলাতে না পেরে সোজা গিয়ে বিছানায় পরলাম।
নিজেকে সামলে উঠতে গেলে উনি এসে আমাকে চেপে ধরে।
–কি সমস্যা (রেগে)
–তুই না আমার বৌ
–জি না আমি আপনার কেউ না আমাকে ছাড়ুন।
–না ছাড়বো না।
–রাগ হচ্ছে এবার৷
–রাগ কেন হবে অন্য কেউ না তোর বর তোর কাছে আসছে।
–আপনি আমার কেউ হন না ছাড়ুন।
–সমস্যা কি তোর?
–আপনি কি ছাড়বেন?
–না।
–সমস্যা আপনার কি আমি চাই না আপনার সাথে কোন মায়ায় জড়াতে ১ মাস পর তো সেই একটা খড়কুটোর মতো ফেলে দিবেন।
–পৃথু আমি আজ তোকে সত্যি বলবো।
–কি সত্যি,
–আমার না খুব মাথা ব্যাথা হচ্ছে তোর মিষ্টি ঘ্রাণে আমি মাথা ব্যাথা ভুলে যাবো আর আমার ঘুম আসবে।
–পাগল নাকি।
–হ্যাঁ ঘুমো।
প্রেয়ন আমাকে শক্ত করে ধরে ঘুমিয়ে গেল।
কি মুসকিল এই মানুষ টা আসলে চাই টা কি।



–পড়তে বসো নি রাইমা।
ছোফায় কম্বল গায়ে জড়িয়ে বসে ছিলো রাইমা নীলের কথা শুনে সে তার দিকে এক পলক তাকিয়ে উঠে চলে আসে পড়ার টেবিলে।
–আমি কি এতেটাই খারাপ যে হু তেও কোন কথার উত্তর দেওয়া যায় না।
–…….(নিশ্চুপ)
–থাক কথা বলতে ইচ্ছে না হলে বলো না কোন ফোর্স নেই কিন্তু সত্যি তোমায় অনেক ভালোবাসি।
–পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে ভালোবাসার অত্যাচার তার মধ্যে সব থেকে ভয়াবহ।
এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না।
——–হুমায়ুন আহম্মেদ
রাইমার কথা শুনে নীল একটা মুচকি হাসি দিয়ে কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে যায়।
–হাসলো কেন হাসির কথা বললাম নাকি।। আমি কি ভুল পড়লাম।
রাইমা ভালো করে দেখলো।
–না তো ভুল তো না সমস্যা কি এই এলিয়েনের আমি পাগল হয়ে যাবো।
–না পাগল হলে মানুষ বলবে নীলের বৌ পাগল।
–(ওরে রাইমা বুঝে শুনে কথা বলবি তো এই ছেলে সব শুনেছে মনে মনে)
–একটা স্পেশাল গিফট আছে আমার বৌ এর জন্য।
সে যদি নিতে চাই তবে আমার কাছে আসতে পারে।
–কোন কিছুর দরকার নেই আমার। (হুহ)
–জাহ বাবা আমার বৌ যে চকলেট কে না করে দেয় এ তো জানতাম না।
–( ও আল্লাহ চকলেট না তো কি হইছে আমি কি চকলেট খোর নাকি হুহ)
–ইস রে এতো বড়ো বড়ো ৪ টা চকলেট এগুলা কে খাবে যাই দেখি বাইরে কেউকে পাই নাকি।
বৌ তো রেগে আছে।
–না কোন দরকার নেই দিন আমাকে।
রাইমা উঠে নীলের কাছে যায়।
–দিবো বলছো।
–হ্যাঁ।
–কিন্তু এভবে তো হবে না।
–মানে।
–মানে হলো।
নীল রাইমার হাত ধরে নিজের কোলে বসায়।
–কিছু নিতে গেলে কিছু দিতে হয়।
–আমার কাছে টাকা নেই থাকলে কিনে নিতাম।
–তেমার কি মনে হয় আমি টাকা চাইছি।
–তো কি চাইছেন?
–উফ তুমি সত্যি পাগল।
–ওহ আমি পাগল!
–হুম আমি চাইছি একটু কিস।
বলেই রাইমার গালে একটা ভালোবাসা একে দেয় নীল।
রাইমার ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে।
নীল চকলেট গুলো হাতে দিতে রাইমা উঠে দৌড়ে।
— হা হা সত্যি পাগলি একটা।



–প্রেয়ন আপনি কি আমাকে ছাড়বেন।
–না ছাড়তে ধরছি নাকি।
–থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো সব গুলো।
–কি বললি।
–বললাম থাপ্পড় দিয়ে দাঁত সব গুলো ফেলে দিবো।
–পৃথু তোর মাথা ঠিক আছে।
–কেন ঠিক থাকবে না কেন?
–তুই আমাকে থাপ্পড় দিতে চাইলি পৃথু।
–হ্যাঁ চাইলাম তো।
–তুই কি ভাবে পারলি।
–ও মা যেভাবে বলে সে ভাবে পারলাম।
–পৃথু আজকে তোকে ছাড়তাম না।
–আজান দিছে আরো ১০ মিনিট আগে আমার নামাজ কাজা গেলে পাপ আপনার হবে দেখবেন।
–এভাবেও তো বলা যায় ওগো শোনো আজান দিছে এখন যাই ছাড়ো।
–বাবা রে বাবা আমি বলবো এভাবে?
–হুম তুই বলবি মিষ্টি করে।
–ছাড়বেন?
–নে ছাড়ছি খালি ছাড়বেন ছাড়বেন করে।
–গুড আজ আমি মায়ের কাছে ঘুমবো হুহ।
কথাটা বলেই চলে এলাম।
পাশের রুমে নামাজ পরে সোজা মায়ের কাছে চলে এলাম।
–মা কি করছো।
–পৃথুলা কিছু না রে মা এই একটু বই দেখছিলাম।
–ওহ।
–মা বাবা তো আজ আসবেন না তাই না।
–হুম।
–তো আমি তেমার সাথে থাকি।
— সে থাকতে পারিস সমস্যা নেই কিন্তু হটাৎ আমার সাথে?
–কেনো থাকতে ইচ্ছে হয় না বুঝি আগে তোমার কাছেই থাকতাম।
–হ্যাঁ তা হয় ঠিক আছে থাকিস আমার কাছে।
–আচ্ছা।
–রাতে রান্না ওরা করে দিয়েছে তোর কষ্ট করা লাগবে না একটু পর খেয়ে নিবো ঠিক আছে।
–আচ্ছা।
আমি বাইরে চলে এলাম। নিচের উদ্দেশ্যে হাঁটছি হটাৎ পেছন থেকে টান অনুভব করলাম।
–আরে সমস্যা কি।
–তুই মাকে কেন বললি তুই মায়ের সাথে থাকবি।
–আল্লাহ থাকবো তা বলবো না।
–আজ রাতে তুই মায়ের সাথে থাকলে তের ঘুম হারাম করে দিবো কিন্তু।
–দিয়েন যা ইচ্ছে করেন আজ আপনার সাথে আমি থাকবো না।
–তুই চ্যালেঞ্জ করছিস।
–হুম।
–ওকে দেখা যাক কি হয়।
–ওকে টু (হুহ)
চলবে,
(কাল কি হবে? এনি আইডা রিডার্স??)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here