প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো?
পর্ব_২১(রহস্য সমাধান -০২)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
,
–প্রেয়ন……………..(চিৎকার দিয়ে)
পৃথুলা তার এক হাতে প্রেয়ন কে ধাক্কা মেরে প্রেয়নের দিকে আসা গুলিটি নিজের বুকে নিয়ে নেয়।
–পৃথু।
প্রেয়ন পৃথুলা কে নিয়ে বসে পরে।
–আপু………( চিৎকার দিয়ে রাইমা)
।
।
।
।
(কিন্তু এখানে হোলটা কি তা জানতে হলে আমাদের অতিতে যেতে হবে)
অতিত,
–প্রেয়ন বাবা আমি তোর মা হয়ে আজ প্রথম তোর কাছে কিছু চাইবো দিবি?
–কি বলে তো দেখো।
— আমি চাই নীল রাইমা আমাদের সাথে থাকুক।
–আমিও চাই মা কিন্তু নীল কখনোই আমার কথা শুনবে না।
–শুনবে বাবা তুই পৃথুলাকে নিয়ে যা তোরা দু’জন ওকে বুঝাবি ঘরের ছেলে কে আর কতো বাইরে থাকতে দি বল তো।
–ঠিক আছে কিন্তু এটাই শেষ বার।
–হুম।
।
–পৃথু তুই রেডি।
–হুম।
–চল।
আমি আর প্রেয়ন রওনা দিলাম৷
ওদের বাসার সামনে এসে গাড়ি ভেতরে পার্ক করে আমরা বাসার ভেতরে গেলাম।
আমরা ভেতরে যেতেই রাইমাকে দেখলাম টেবিলে বসে পানি খাচ্ছে।
–পিচ্চি।
আমার কন্ঠ শুনে রাইমা পেছনে ফিরে আমাকে দেখে যখন দৌড় দিলো আমার কাছে আসার জন্য।
কিন্তু তখন আমার থেকে কিছু হাত দুরে নীল ওকে আটকে ধরলো।
–কি করছেন ছাড়ুন আমাকে আপুর কাছে যেতে দিন।
–না যাবে না চুপচাপ এখানে থাকো।
–মানে কি ছাড়ুন (হাত মুচড়ে)
–কেন এসেছেন ভাই আমার থেকে আমার রাইমাকে আলাদা করতে।
–না নীল কখনো না আমি এখানে তোমাদের নিতে এসেছি আমরা এক সাথে থাকবো নীল। (প্রেয়ন)
–মিথ্যা আপনারা এখানে এসেছেন আমার রাইমাকে নিতে আমার ছোট থেকে সব অধিকার সব আনন্দ সব শৈশব কেঁড়ে নিয়েও তোমার হয় নি ভাই এখন আমার রাইমাকেও নিতে আসছো।
আমি নীলর মুখে ভাই ডাক শুনে অবাক হয়ে প্রেয়ন কে প্রশ্ন করলাম
–প্রেয়ন ও তোমায় ভাই বলছে কেন?
–কারন নীল আমার ছোট ভাই।
–মানে!
–ছাড়ুন আমাকে যেতে দিন আপু (রাইমা)
আমি রাইমার কথা শুনে ওর দিকে এগোতে গেলে নীল পকেট থেকে বন্দুক বের করে।
–কি করছেন কি আপনি ছাড়ুন এটা ফেলুন বলছি (রাইমা)
–তুমি আমার সব কেঁড়ে নিয়েছো ভাই আজ তোমার বাঁচার অধিকার নেই।
–ভাই আমি তোর থেকে কিছু কাঁড়ি নি আমার কথা শুন একটা বার৷
–একটা বারও না।
আমাকে ক্ষমা করে দেও আমি আর তোমাকে দেখতে চাই না।
কথাটা বলতে হটাৎ নীল গুলি চালিয়ে দিলো।
,
এর পরে কি হলো তা সবাই জানেন।
বর্তমান,
–পৃথু তুই পৃথু চোখ খোল পৃথু।
–ছাড়ুন আমাকে ছাড়ুন
রাইমা নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় নীলের থেকে,
–আপু আপু ওঠ না আপু কি হইছে তোর।
ভাইয়া আপুকে হসপিটাল নিতে হবে।
ভাইয়া।
–হ্যাঁ হ্যাঁ নিতে হবে পৃথু কিছু হতে দিবো না তোকে আমি। (পাগলের মতো)
প্রেয়ন পৃথুকে পাজকোলে করে নিয়ে যাচ্ছে।
রাইমা যায় নি কারন তার জন্য আজ তার বোনের এই অবস্থা।
আস্তে আস্তে প্রেয়ন পৃথুলা যখন রাইমার দৃষ্টি থেকে দুরে সরে গেল,
–আপনি যা চাইছিলেন তাই হলো নীল।
–আমি গুলি করি নি।
–আর কতো মিথ্যা আমার জন্য এতো কিছু তাই না এই যে আমি আপনার কাছে আমি কথা দিচ্ছি আমি এই বাড়িতেই মরবো আমার জন্য আজ আমার আপুকে এতে বড়ো শাস্তি পেতে হলো ঠিক আছে রাইমা আজ থেকে নীলের কেনা সম্পত্তি হয়ে গেল।
সত্যি বলতে আমি নিচ মানুষ দেখেছি আপনার মতো নিচ দেখি নি।
কথাটা বলে রাইমা উপরে চলে এলো।
–এটা কি ভাবে সম্ভব আমি গুলি করি নি তাহলে করলো কে?
রাইমা এটা বুঝবে না ওকে বুঝাবো বা কি করে। এগুলা হচ্ছে টা কি।
।
।
।
।
–টিক টক, টিক টক,
হা হাহা ঘড়ির কাটা টিক টক করে চলছে নয়লা। তোর দুই ছেলের মধ্যে আজ আমি এমন ফাটল ধরিয়েছি যা আগামি জীবনেরও শেষ হবে না।
আজ আমার আনন্দের দিন পৃথুলা মরবে।প্রেয়ন ভেঙে যাবে। আর নীল বুঝতেই পারবে না এতো দিন ওর মা সেজে যে ওকে উসকানি দিচ্ছিলো ভালোবাসছিলো সে ওর মাই না।
হা হা কি মজা না আমার তো খুব মজা হচ্ছে।
বলেছিলাম না নয়লা তোর সংসার আমি ভেঙে রেখে দিবো আমি ভেঙেই রেখে দিয়েছি। আর জোড়া লাগবে না।
লাগবে বা কি করে।
কেউতো এটা জানবেই না গুলিটা আমার লোক করেছে নীল না।
হা হা আমার খুব মজা হচ্ছে।
।
হাত পা বাঁধা পরনে সাদা শাড়ি চুল গুলো উসকো খুসকো হয়ে পরে থাকা নয়লার সামনে কথা গুলো বলছে আয়লা।
।
হ্যাঁ নয়লা, আয়লা দুই বোন জমজ বোন।
এই বোনদের মধ্যে নয়লা হলো নীল আর প্রেয়নের আসল মা।
কিন্তু আয়লা কেন এমন করছে তার উত্তর পরে পাবো।
–আমার ছেলে দুটোকে ছেড়ে দেও আমি মৃত্যুর আগে একটা বার ওদের দেখতে চাই।
–সে আশা কখনো পুরোন হবে না নয়লা তুই বরং এখানে বসে বসে মুড়ি খা।
হা হা হা।
।
।
।
হসপিটালে,
–মি.খান পেসেন্ট এর অবস্থা ভালো না আমরা নিজেদের চেষ্টা করছি কিন্তু আমরা সত্যি জনি না এটা কি হবে বা কেমন হবে আপনি আল্লাহকে ডাকুন।
।
এদিকে,
আয়লা বেরিয়ে সোজা নীলের কাছে আসে ওরা দেখা করে একটা আলাদা যায়গায় সেখানে,
–মা আমি আপুকে গুলি করি নি মা আমার সাথে এগুলা কি হচ্ছে (নীল)
–তুই ভাবিস না বাবা ছোট থেকে তোর বাবা আর প্রেয়নের জন্য তোকে আমার বুকে টেনে কখনো আদর দিতে পারি নি তোকে ছেলে হিসাবে কখনো মানতে পারি নি।
ওরা অনেক খারাপ।
হয়তো এটাও ওদের একটা চাল ছিলো পৃথুলাকে হয়তো প্রেয়নের কোন লোকে গুলি করেছে আর দোষ তোর দিয়েছে বাবা।
–কিন্তু মা ভাই ভাবিকে ভালোবাসে,
–হুহ ভালেবাসা তুই চুপ করতো তুই নিজের দিকে খেয়াল দে এসব ভাবিস না।
–তুমি বেস্ট মা তুমি না বললে জানতাম ই না যে ওরা আমার থেকে রাইমাকে আলাদা করতে চাইছে।
–আয় এদিকে আয়।
আয়লা নীলকে জড়িয়ে ধরে,
–(কি বোকারে নয়লা তোর ছেলে দুটো আমি যা বলি তাই শুনে বাদ্ধ ছেলে যাকে বলে মনে মনে)
চলবে,
(আপনারা যখন মনে করবেন সব বুঝে গেছেন তখনি মনে হবে কিছুই বুঝেন নি ?।
গল্পটা আর বেশি দুর যাবে না তাই নাইস নেক্সট বাদে একটু গঠন মূলক মন্তব্য করবেন।
ধন্যবাদ)