#ফাগুন_এলো_বুঝি
(বোনাস পর্ব?)
শূন্য বাড়ি।প্রতিটি সদস্য নিজ নিজ কাজে।বেনি আর রাহেলাকেও বাইরে পাঠিয়েছেন সেলিনা।হাতে টাকা দিয়ে বলেছেন ‘যা ঘুরে আয়।
আপাতত বাড়ি ফাঁকা।সময় কাটাতে অনেকদিন পর একটা উপন্যাসের বই নিয়ে বসলেন সেলিনা।রবীন্দ্রনাথের ‘নৌকাডুবি’।
পড়তে পড়তে যখন মুদে গেলেন চিত্রনাট্যে?ঠিক তখন দরজায় এসে দাঁড়াল ধীর।
“আসবো মা?
সেলিনা মুখ তুললেন,
‘ধীর?আয় আয়।
ধীর ভেতরে ঢুকল।সেলিনা বইয়ের একটা পাতা ভাঁজ করে রাখলেন,যাতে পরবর্তীতে খুঁজে পেতে সুবিধে হয়।বই বন্ধ করে রেখে দিলেন পাশে।ধীরকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘তুই এখন বাড়িতে যে?ধ্রুবদের ভার্সিটি যাবি বললিনা!
ধীর মায়ের সামনের সোফাটায় বসল।ছোট করে বলল,
” গিয়েছিলাম।
“এত তাড়াতাড়ি এলি?বলছিলি তো ওদের সঙ্গে নিয়ে ফিরবি।
ধীর জবাব দিলোনা।সেলিনা ভ্রু কোঁচকালেন।
‘কীরে?
ধীর জ্বিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলল,
‘আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে মা।
‘হ্যা।তো বল…
ধীর ইতস্তত করছে।কপালে জমেছে সূক্ষ্ণ ঘাম।সেলিনা চিন্তিত কন্ঠে বললেন,
‘এত ভাবছিস কেন বাবা?তোর কি কিছু হয়েছে?
ধীর পরপর শ্বাস ফেলে সাহস জোগাল।থেমে থেমে বলল,
-মা, আসলে, আমি আসলে পূর্ণতাকে, আমি___
যা বোঝার বুঝে ফেললেন সেলিনা।মুচকি হাসলেন।মাকে হাসতে দেখে ধীর সব গুলিয়ে ফেলল।অস্বস্তি দ্বিগুন হলো তার।কাতর কন্ঠে বলল,
‘মা প্লিজ শোনোনা…
‘কী শুনব?তুই পূর্ণতাকে ভালোবাসিস।এটাইতো?
ধীর বিস্মিত হয়ে তাকাল।
‘তুমি জানলে কী করে?
‘কেন?তুই না বললে বুঝি জানতে পারবনা?মা তো আর এমনি এমনি হইনি।
‘আমি জানাতাম তোমাকে।
ধীরের মিনমিনে স্বর।
সেলিনা বললেন,
‘কী জানাতি তার নমুনা তো দেখলাম।তুঁতলেই শেষ করতে পারছসি না।আমি অনেক আগে থেকেই জানি যে তুই পূর্ণতাকে পছন্দ করিস।আমার আর তোর বাবার দুজনেরই তোদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও আপত্তি নেই।আমিতো কাল পূর্ণতার সঙ্গেও কথা বললাম এ নিয়ে,ও নিজেও রাজি।
ধীর অবিশ্বাস্য চোখে চাইলো।
উত্তেজনায় দাঁড়িয়ে গেল।খুশিতে হাঁসফাঁস করে বলল,
‘মা তুমি সত্যি বলছো?পূর্না রাজি?ওর সাথে কথা বলেছ তুমি?
ছেলের কান্ডে সেলিনা হেসে ফেললেন,
‘হ্যারে বাবা হ্যা।রাজি ও।
ধীর আনন্দে মাকে জড়িয়ে ধরল।
‘ও মা আই লাভ ইউ।আই লাভ সো মাচ।
______
রুপকে বিদেয় দিয়ে পূর্ণতা মেনগেটে দাঁড়িয়ে রইল।ধ্রুব এলে একসঙ্গে ফিরবে আজ।কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ধ্রুব এলোনা।
পূর্ণতা অল্প জায়গায় পায়চারি করল।তার ও কিছুক্ষন পর ছুটতে ছুটতে হাজির হলো ধ্রুব।পূর্ণতাকে দেখেই চকচক করে উঠল চোখমুখ।ভীষণ খুশি হয়ে বলল
‘তুমি এখনও যাওনি মায়াপরি?আমি আরো ভেবেছি তোমাকে এসে পাবনা।
পূর্ণতা গাল ফুলিয়ে বলল
‘এতক্ষন কী করছিলেন?কতক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছি জানেন?
ধ্রুব দুই ভ্রু উঁচিয়ে বলল,
‘তুমি আমার জন্যে দাঁড়িয়ে ছিলে?
পূর্ণতা থতমত খেল।কথা ঘোরাতে বলল,
‘বাড়ি যাই চলুন।সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে।
“এক সেকেন্ড!
সকালের মতই পূর্ণতার হাত ধরে এক পাশে সরে এল ধ্রুব।পাচিলের এ পাশটায় সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকধরনের ফুল গাছ লাগানো।সাথে ছোট ছোট সাইজ করে কাটা ঝাউগাছ। ধ্রুব সেখানে এসে থামল।পূর্ণতা কৌতুহল নিয়ে বলল,
‘এখানে আনলেন কেন?
‘গেট দিয়ে তো গাড়ি আসছে আর যাচ্ছে।কথা বলা যায়?
পূর্ণতা কিছু বললনা।ধ্রুব নিচের ঠোঁট কামড়াল কিছুক্ষন।কথা খুঁজছে সে।কোত্থেকে শুরু করবে ভাবছে।এ ব্যাপারে পূর্ণতা সাহায্য করল খানিক।জিজ্ঞেস করল,
‘আপনি কী কিছু বলতে চাইছেন?
প্রশ্নটা ধ্রুবর উশখুশ দেখেই করেছে পূর্ণতা।ধ্রুব উদ্বেগ নিয়ে বলল,
‘হু।কী করে বুঝলে?
‘মনে হলো।বলুন কী বলবেন!
ধ্রুব চোয়ালে হাত বোলালো।ভালোবাসি বলা এত্ত কঠিন?অবশ্য না বললেও চলবে,কারন মায়াপরি তো প্রকাশ না করতেই বুঝে নিয়েছে।আর ভালোবাসলে যে প্রকাশ করতে হবে এমনতো কোনো কথা নেই।কিন্তু সব মেয়েই চায় অপর পাশের মানুষটির মুখে এই শব্দটা শুনতে।ধ্রুব কিছুতেই তার মায়াপরিকে বঞ্চিত করবেনা।একটু কঠিন লাগলেও ঠিক বলে দেবে আজ।
ধ্রুব সময় নিয়ে বলতে নিল,
‘মায়াপরি_আমি_ আমি…
পূর্ণতা আগ্রহভরে তাকিয়ে রইল।
‘আমি তোমাকে__
সেই বিকেলের মতই তোঁতলাচ্ছে ধ্রুব।প্রথম বার কাউকে ভালোবাসার কথা বলতে গেলে একটুতো সময় লাগবেই।পূর্ণতার এবার মেজাজ খারাপ হলো।এই লোক চুমু দিতে লজ্জ্বা পায়না,সময় নেয়না।অথচ ভালোবাসি বলতে এলেই তোঁতলায়?শান্ত পূর্ণতা মুহুর্তেই রেগেমেগে বলল,
” তাড়াতাড়ি বলতে হলে বলুন।নাহলে আমি যাচ্ছি।
পূর্ণতা যেতে ধরলেই ধ্রুব হাত টেনে ধরল।করুন কন্ঠে বলল,
‘আরেকটু প্লিজ!
পূর্ণতার মায়া হলো ভীষণ। ধ্রুবর দোষ দিয়ে কী লাভ!যদি তাকে বলা হয় ভালোবাসি বলতে,সে কী পারবে?কস্মিনকালেও না।ধ্রুব আজ ঠোঁটে চুমু খেয়েছে অথচ পূর্ণতা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে।এও কী কম সাধনার ব্যাপার?আজ এতগুলো দিন ধরে ধ্রুবর দুষ্টুমি সয়ে সয়ে অভ্যস্ত হয়েই তো পারছে।নাহলে ঠিক আগের মতন দৌড়ে পালাত।ধ্রুব মন-মস্তিষ্ক ঠিকঠাক করে আবার বলতে নিল
‘মায়াপরি আই লা___
পূর্ণতার হৃদয় কাঁপছে।এবার কী আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ? ধ্রুবর মুখে ‘ভালোবাসি’ শোনা হবে?কিন্তু ধ্রুবর কথা সসম্পূর্ণ হলোনা।এর আগেই পূর্ণতার পেছনে পরিচিত একটা মুখ দেখে থেমে গেল।পূর্ণতার উৎসুক চেহারা মিইয়ে গেল।অধৈর্য হয়ে বলল,
‘কী হলো?
ধ্রুব পূর্ণতার মাথার ওপর দিয়ে সামনে তাকিয়ে আছে।মুখটা চুপসে আছে তার।এই লোক আসার আর সময় পেলনা?দিল, সব মাটি করে দিল।পূর্ণতা ধ্রুবর চোখ অনুসরন করে পেছনে তাকাল।আশরাফ এগিয়ে আসছেন তাদের দিকে।বাবাকে দেখে পূর্ণতার বোধগম্য হলো ধ্রুবর থেমে যাওয়ার কারন।অসহায় চোখে ধ্রুবর দিক ফিরল সে।আশরাফ এসে হৈহৈ করে বললেন,
‘আরে ধ্রুব,পূর্ণতা সবাই একিসাথে আছো দেখছি।আমি ভেবেছিলাম দেরি করেছি আসতে।সবাই বের হচ্ছে তো।ভাগ্যিস তোমাদের পেয়ে গেলাম।
ধ্রুব জোরপূর্বক হেসে সালাম দিল।আশরাফ জবাব দিয়ে হেসে বললেন,
‘তা কী খবর তোমাদের?প্রোগ্রাম কেমন করলে?
‘ভালো আঙ্কেল?
আশরাফের নজর পূর্ণতার দিক পরতেই অবাক কন্ঠে বললেন,
‘পূর্নতা? তুমি শাড়ি পরেছ?মাশআল্লাহ! আমার মেয়েকে তো পরীর মত লাগছে একদম!
পূর্ণতা মৃদূ হাসল।
‘তুমি আসবে জানাওনিতো বাবা।
‘সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম মা।রাস্তায় যা জ্যাম।বেরিয়েছে কিন্তু অনেক আগে।অথচ পৌঁছোলাম এখন।ভাগ্যিশ একজন কে জিজ্ঞেস করলাম ধ্রুবর কথা সে দেখিয়ে দিল তোমাদের।নাহলে আমিতো খুঁজেই পেতাম না।
আচ্ছা,মিশরা কোথায়?ওকি চলে গেছে?
মিশরা কোত্থেকে আগন্তুকের মত এসে হাজির হল।
‘না যাইনি।
সবাই এক যোগে ওর দিক তাকাল।আশরাফ সুন্দর করে বললেন,
‘মিশু মা, তুমি শাড়ি পরলেনা যে!
মিশরা এগিয়ে আসতে আসতে বলল,
“ওসব মিডল ক্লাস ড্রেস আপ আমার সহ্য হয়না বাবা।
তার কন্ঠে প্রচন্ড অনিহা।আশরাফ মাথা নাড়লেন।এই মেয়ের মুখে একটা যদি ভালো কথা আসে!মিশরার কথার জবাবে ধ্রুব বলল,
‘তুই পরিস নি ভালো হয়েছে মিশু।কাকের গায়ে পেখম লাগালেই তাকে ময়ূরের মত দেখতে লাগে নাকি!
মিশরা মুখ থমথমে হয়ে এল।আশরাফ বুঝলেন অবস্থা বেগতিক।পরিস্থিতি সামলাতে বললেন,
‘আচ্ছা বেশ বেশ, এসব ছাড়ো সবাই।ধ্রুব,বাবা চলো যাওয়ার পথে তোমাকে নামিয়ে দিয়ে যাই।
ধ্রুব ভদ্রতার সহিত বলল,
‘লাগবেনা আঙ্কেল।আমরা একসাথে চলে যাব।
‘একসাথে তো যাওয়া হবেনা বাবা।
আমিতো আমার মেয়েদের আজ বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।
ধ্রুব পূর্ণতা বিদ্যুৎ বেগে একে অন্যের দিক তাকাল।মুখে নেমে এল ঘোর আমাবস্যা।
ধ্রুব বলল,
‘আজই নিয়ে যাবেন আঙ্কেল?মাকে তো বলে আসেনি ওরা!
‘আমি ভাবির সাথে কথা বলেছি ফোনে।সমস্যা হবেনা বাবা।চলো।
ধ্রুবর হাসি এবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন। পূর্ণতার ও তাই।সে মন খারাপ করলেও ঠোঁটে হাসি টেনে বলল
‘ আংকেল আমার কিছু কাজ আছে, আপনারা যান।
‘বেশ।আসছি তাহলে।
‘চলুন গাড়ি অব্দি এগিয়ে দেই।
ড্রাইভারের পাশে বসেছেন আশরাফ।পেছনে মিশরা আর পূর্ণতা।পূর্ণতা উঠে দরজা আটকাতে গেল।ধ্রুব বাধ সাধল।পূর্ণতা সহ বাকিরা প্রশ্ন নিয়ে তাকাল।ধ্রুব নিশ্চুপভাবে পূর্ণতার ছড়ানো শাড়ির আঁচল টা মাটি থেকে তুলে ওর কোলের ওপর রাখল।নিচু কন্ঠে বলল,
‘একটু সাবধানে চলবে।
পূর্ণতার আকাশ ভেঙে কান্না পেল।কেন পেল নিজেও জানেনা।কাল ভার্সিটি এলেইতো ধ্রুবকে দেখবে।এমন তো নয় যে দেখা হবেনা আর।তাহলে এরকম ক্ষুন্ন অনূভুতির কারন কী?ধ্রুবর মুখেও একইরকম অন্ধকার।দুজন দুজনের দিক মায়া মায়া চোখে চেয়ে থাকল।মিশরা চুইঙ্গাম চিবোতে চিবোতে ড্রাইভার কে বলল,
‘দাঁড়িয়ে আছেন কেন? চলুন।
এরপর পূর্ণতাকে বলল,
‘এসি চলবে, কাঁচ তোল।
মিশরার কথায় ধ্রুব -পূর্নতা দুজনেই নড়ে উঠল।ধ্রুব অন্যদিক তাকাল।
পূর্ণতা আরো একবার দেখে নিল ধ্রুবকে।গাড়ি চলতে শুরু করল।সেই সাথে একটু একটু করে পূর্ণতার মুখ আড়াল হলো জানলার স্বচ্ছ কাঁচের আবডালে।
ধ্রুব বাড়ি ফিরল ক্লান্ত পায়ে।সদর দরজা দিয়েই ঢুকতেই মনে হলো বাড়িতে প্রান খুঁজে পাচ্ছেনা।এইত প্রতিদিন পূর্ণতা,সেলিনা সোফায় বসে বসে গল্প জুড়তেন।ধ্রুব তখন টিভি দেখার ছুঁতোয় এসে বসে থাকত।সাথে থাকত ধীর।মিশরা পাশে বসে কখনও বকবক করত,কখনও ফোন টিপতো।কখনও হাতে পায়ে নেলপলিশ পরতো।সাথে চলতো ধ্রুব -পূর্নতার নিরব চোখাচোখি।এই দশটা দিনে মেয়েটা এমন জাদু করল যে নিজের বাড়িতে নিজের ভালো লাগছেনা।বিয়ের পর মেয়েটাকে বাপের বাড়ি যেতে দিতে পারবেত?ধ্রুবর ইচ্ছে হলো এক্ষুনি গিয়ে পূর্নতাকে টেনে এ বাড়িতে নিয়ে আসতে।নেহাৎ হাত পা বাঁধা।টেনে আনতে গেলেও সবাই তাকে পূর্ণতার ভাই হিসেবে গন্য করবে।যেটা কশ্মিন কালেও হতে দেবেনা সে।ধ্রুব খুব আফসোস করল,
কবে এম-বি-এ শেষ করবে?কবে জয়েন করবে ব্যাবসায়!আর কবে প্রস্তাব পাঠাবে ও বাড়িতে?কবে পাবে পূর্ণতাকে?তার মায়াপরি কবে আসবে কাছে?
ধ্রুব রুমে এসে সোজা ফ্রেশ হতে গেল।বের হলো খানিকক্ষন পর।রুম থেকেই চেঁচিয়ে বলল,
‘মা খিদে পেয়েছে।
ওপাশ থেকে সেলিনাও চেঁচিয়ে জবাব দিলেন,
‘নিচে আয়, খেতে দিচ্ছি।
ধ্রুব কাবার্ড থেকে টি-শার্ট বের করে পরছিল এর মধ্যে বেনি এসে দরজায় দাঁড়াল।
‘ভাইজান,আপনারে বড় ভাইজানে ডাকে।
‘আচ্ছা যাচ্ছি।
বেনী মাথা দুলিয়ে চলে গেল।ধ্রুব এগোলো ধীরের ঘরে দিকে।
ধীরকে রুমে পেলনা ধ্রুব।ওয়াশরুম থেকে আসছে পানির শব্দ।ধ্রুব ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দিল,
‘ভাইয়া ডেকেছিলি?
ভেতর থেকেই ধীর উত্তর পাঠাল,
‘ধ্রুব!বোস ভাই,কথা আছে।আমি আসছি।যাস্ট ইন ফাইভ মিনিটস।
‘আচ্ছা আয়।
ধ্রুব বিছানার দিক যেতে ধরল।সেখানে বসবে।বিছানার পাশেই টেবিল -চেয়ার।আচমকা কিছু একটা দেখে পা থেমে গেল ধ্রুবর।ঘাঁড় কাঁত করে তাকাল সেদিকে।টেবিলের ওপর ধীরের ডায়েরি মেলে রাখা।কিছু একটা বেরিয়ে আছে।ধ্রুব কাছে গিয়ে দাঁড়াল।ডায়েরির ওপর কারো ছবি লাগানো।ধ্রুব হাতে নিল ডায়েরিটা।ছবিটা পূর্ণতার।ছোট্ট পূর্ণতাকে অতটা মনে নেই ধ্রুবর।তাই প্রথম দেখেই চিনে উঠতে পারলনা। হঠাৎ চোখ পরল ছবির নিচের গোটা গোটা লেখাটায়।
“আমার পূর্না।
ভালোবাসি তোকে…..
চলবে।