ফিলোফোবিয়া ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির ) ১৪.

0
440

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির )

১৪.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

ফোনের অপর পাশ থেকে ফ্যাচফ্যাচ কান্নার আওয়াজ। গাড়ি্র সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে শতাব্দ। কানে ফোন। শক্ত, গম্ভীর মুখ। প্রিয় কেঁদে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। থামার নাম নেই কোন। শতাব্দ বিরক্ত হলো। কন্ঠে বিরক্ত ঠেলে বলল,
‘ গত দশ মিনিট ধরে কেঁদে যাচ্ছ। কি হয়েছে বলবে?’
নাক টেনে, এলোমেলো ভাবে চোখমুখ মুছে কান্না থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করল প্রিয়। একটু সময় নিয়ে। ধরে আসা কন্ঠে বলল,
‘ আপনি উপরে আসবেন না প্লিজ।’
শতাব্দ উত্তর দিলো না কোন। গম্ভীর চোখমুখ নিয়ে কপাল কুঁচকে বসে আছে এখনো। চোখ উঁচিয়ে সামনের বাড়ির বারান্দায় চাইল একবার। অন্ধকার বারান্দায় জড়সড়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়।
প্রিয় কাঁপাকাঁপি কন্ঠে করুন সুরে বলল আবার,
‘ আব্বা জেগে, টের পেলে ভ*য়*ঙ্কর তুল*কালাম লেগে যাবে। আপনি চলে যান প্লিজ।’
রাগ বাড়ল শতাব্দের। সারাদিন না নেয়ে, না খেয়ে নির্বাচনের কাজ সামলে চারঘন্টা জার্নি করে ঝা*মেলা মেটানোর জন্য ইমান্দিপুর এখানে এলো। আর মেয়েটা তাকে বাবার ভ*য় দেখিয়ে চলে যেতে বলছে? শতাব্দের প্রচন্ড রাগ হলো। ইচ্ছে করল উপর থেকে টেনে নামিয়ে প্রিয়’র দু’গালে দুইটা চড় বসিয়ে দিতে।
‘ তুমি আসবে? নাকি আমি উপরে আসবো!’
শতাব্দের ঠান্ডা আওয়াজ। প্রিয় হতভম্ব হতাশ! কন্ঠে এক রাশ ভী*তি,
‘ আব্বা আম্মা জেগে। বিল্ডিংয়ের নিচে ক্যামেরা লাগানো। দারোয়ান আঙ্কেল পরিচীত। দেখলে আব্বার কাছে নালিশ করবে।’
প্রিয়’র কথা কানে তুলল না শতাব্দ। গাড়ির দরজা খুলে বিল্ডিংয়ের দিক পা বাড়ালো।
শতাব্দকে বাড়ির দিকে আসতে দেখে। ঘাবড়ে গেল প্রিয়। চেঁচিয়ে বলল,
‘ আসবেননা প্লিজ। প্লিজ!’
বলতে বলতেই কেঁদে দিলো প্রিয়। শতাব্দ থেমে গেল। অপর পাশ থেকে প্রিয়’র কান্নাভেজা ভী*ত আওয়াজ। চোখ বুজে রাগ চাপানোর চেষ্টা করল শতাব্দ। ভারী শ্বাস ফেলে একটু সময় নিয়ে নিজেকে শান্ত করল। বলল,
‘ এসব আমাকে ইগনোর করার আগে ভাবা উচিত ছিল।’
প্রিয় উত্তর দিলো না কোন। ডুকরে কাঁদছে। এতোক্ষণ টানা কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে। শতাব্দ শক্ত কন্ঠে বলল,
‘ কান্না থামাও। ভালো লাগছেনা আমার।’
চেষ্টা করল প্রিয়। কান্না থামছে না তার। ভ*য় ভী*তি ঝেঁকে ধরেছে তাকে। ঠাহর করে শতাব্দ। নরম স্বরে বলল,
‘ আসবো না। এবার কান্না থামাও।’
অনেক কষ্ঠে কান্না থামালো প্রিয়র। একটু চুপ থেকে জিজ্ঞেস করল শতাব্দ,
‘ কি হয়েছ? সমস্যা কোথায়! এভাবে ইগনোর করছ কেন?’
প্রিয় চুপ। আওয়াজ করলো না কোন। এবার গম্ভীর গর্জন করে বলল শতাব্দ,
‘ আমাকে ইগনোর করবে আমি চুপচাপ তামাশা দেখবো! এমন ছেলে আমি নই। আমাকে জ্বা*লাতে চাইলে তুমিও সেই আ*গুনে জ্ব*লবে, পু*ড়বে। আমার যা চাই আপো*ষে হোক বা জোর করে আমি ঠিক আদায় করে নেই। শেষ বারের মত জিজ্ঞেস করছি কি হয়েছে প্রিয়?’
উত্তর দিলো না প্রিয়। নিশ্চুপ কাঁদছে শুধু। শতাব্দ উত্তরের আশায় রইল। অপর পাশ থেকে কোন জবাব না পেয়ে রেগে গেল। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘ এর মাশুল তোমাকে দিতে হবে। ফল বড্ড ভ*য়ঙ্কর হবে।’
কট করে ফোন কেটে। ক্রু*দ্ধ পায়ে গাড়ির দিক এগিয়ে গেল। প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হচ্ছে। আর কিছুক্ষণ এখানে থাকলে বড়সড় কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে। তড়িঘড়ি করে গাড়ি চড়ে রওনা হলো সে। প্রিয় বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইল। ভেজা চোখ জোড়া রাস্তায় চেয়ে আছে ঠাই। বুক য*ন্ত্রণা করছে খুব। সেই সাথে চেপে ধরেছে আসন্ন ভয়। সেই রাতে ঘুম হলো না আর। নির্ঘুম কা*টলো সারারাত।

সকাল দশটায় ঘুম ভাঙ্গল প্রিয়’র। মায়ের বকুনঢুলতে ঢুলতে টেবিলে নাস্তা করতে এসেছে। ছোলার ডালে রুটি ছিঁ*ড়ে খাচ্ছে। মা পাশেই বসে। চপিং বোর্ডে সবজি কা*টছে। হ্ঠাৎ মা গম্ভীর হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
‘ কয়টা পর্যন্ত রাত জেগেছিস কাল? চোখমুখ এমন ফোলা দেখাচ্ছে কেন? কি হয়েছে প্রিয়।
ঘাবড়ে গেল প্রিয়। মা কি কোন কিছু টের পেল? সন্দেহ করছে!চোখমুখ স্বাভাবিক ফুটিয়ে উত্তর দিলো,
‘ কই না তো। অনেক দিন পর বাড়ি এসেছি তাই ভালো ঘুম হয়নি।’
‘ তোর আব্বা সকাল থেকে চিন্তা করছে। বারবার জিজ্ঞেস করছে, মেয়েটার কি হয়েছে। চোখমুখ এমন দেখাচ্ছে কেন?’
‘ ও কিছু না। তুমি আব্বাকে বলে দিও। জায়গা পরিবর্তনে ঘুম কম হওয়ায় এমন দেখাচ্ছে।’
মা কিছু বলল না আর। প্রিয় চায়ের কাপ গোলগোল ঘুরাতে ঘুরাতে বলল,
‘ দু’একের ভেতর ইমান্দিপুরে ফিরতে চাইছি আম্মা।’
ভড়কে উঠল আমেনা বেগম। বলল,
‘ দুইদিন হলো আসলি। এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি!’
‘ কিছু নোট’স কালেক্টড করতে হবে। কোচিং শুরু হলে পরে সময় পাবোনা আর।’
খানিক চুপ থেকে ধীর আওয়াজে বলল,
‘ বেশ। যা ভালো মনে করিস। কাল মজনু চাচার বাড়িতে যাবে। সাথে করে নিয়ে যেতে বলবো তোকে।’
কথা বাড়ালো না প্রিয়। বাধ্য মেয়ের মত মাথা নাড়ালো। গাঁ ডাকা দিয়ে এখানে বসে থাকলে চলবে না তার। সমস্যা কমার বদলে আরো বাড়বে। শতাব্দের ভরসা নেই! আবার কখন চলে আসে। যদি বড়সড় কোন ঝা*মেলা করে? তারচেয়ে বরং চলে যাবে। যা হবার সেখানেই হবে। শতাব্দ নিশ্চয়ই চি*বিয়ে খা*বেনা তাকে!

পরেরদিন সকাল সকাল ব্যাগপত্র গুছিয়ে তৈরি প্রিয়। বাবা পরিচীত গাড়ি ঠিক করে দিয়েছে। ইমান্দিপুরের সামনের গ্রামে মজনু ভাইয়ের চাচার বাড়ি। মজনু ভাইকে নামিয়ে প্রিয়’কে ইমান্দিপুরে নিয়ে যাবে গাড়ি। বাবা মাকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে চড়ল। সারা রাস্তা গাড়ি ঠিকঠাক চললেও, মজনু ভাইকে নামাতে যেয়ে সমস্যা আটলো। গ্রামের কাছাকাছি যেতেই গাড়ির ইঞ্জিনে ঝা*মেলা দেখা দিলো। সারতে সময় লাগবে অনেক! মজনু ভাই ফোন করলে। তার চাচাতো ভাই শিহাব গাড়ি করে নিতে আসলো তাকে। প্রথমে তাদের সাথে বাড়িতে যেতে না চাইলেও, কোন দিকাদিক না পেয়ে। শিহাব ভাইয়ের জোরাজোরিতে যেতে হলো প্রিয়কে।
শিহাব ভাইয়ের মা ফরিদা বানু গ্রামের সহজ সরল মানুষ। অতিথি আপ্যায়নে অধীর। অল্পতেই আপন করে নেয় সবাইকে। মধ্যাহ্নভোজের সময় হয়েছে। শুকনো মুখে যেতে দিবে না প্রিয়’কে। পাশে বসে পাতে উঠিয়ে যত্ন করে খাওয়ালেন দুপুরে।
বিকালে প্রিয়কে গাড়িতে তুলে দিতে যেতে কেঁদে ফেললেন তিনি। শাড়ির আঁচলে চোখ মুখছে মুছতে বললেন,
‘ আজকের দিনটা থেকে যাও মা।’
‘আরেকদিন এসে থাকবো আন্টি। খালা অপেক্ষা করছে যেতে হবে আজ।’
মৃদু হেসে বিদায় জানিয়ে শিহাবের পাশের সিটে বসল।

গলি’র কাছাকাছি যেতেই ভ*য়ে আঁ*তকে উঠল প্রিয়। চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিশাল সমাবেশের আয়োজন। চেয়ারম্যান সাহেব তদারকি করতে ব্যস্ত । পাশেই দাঁড়িয়ে শতাব্দ। আশেপাশে আরো লোকজন অনেক। মাথায় ওড়না টেনে মুখ লুকাতে চাইল প্রিয়। লাভ হলো না কোন। গাড়ি থেকে নামতেই শতাব্দের তো*পের মুখে পড়ল। তার আ*গুন ঝরা র*ক্তিম চোখমুখ। শিহাবের দিক ঠাহর করে। শিহাবও একই দৃষ্টিতে তাকিয়ে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ছেলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। দুজনের মধ্যে চোখেচোখে নীরব যু*দ্ধ চলছে। শতাব্দ রাগ চেপে কোনরকম হাত মুঠিবদ্ধ করে রেখেছে। শিহাবে ঠোঁটের কোণে উষ্কানি সূচক হাসি। শতাব্দ তে*ড়ে আসতে চাইলে, কাঁধ চাপিয়ে থামিয়ে দিলো চেয়ারম্যান সাহেব। চোখের ইশারায় শান্ত হতে ইঙ্গিত করল। এসবে ঘাবড়ে গেল প্রিয়। শিহাবকে বিদায় জানিয়ে শতাব্দের দিক তাকাতেই ভ*য়ে কেঁপে উঠল। অ*গ্নি দৃষ্টির ভস্ম করা নজর! ঢোক গিলে মাথা নুয়ে নিলো প্রিয়। ব্যাগ হাতে বড় বড় পা ফেলে ভিতরে গেল দ্রুত।
সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় প্রিয়দের বাড়ি এলো শতাব্দ। গলার ভাঁজ পেয়ে ভয়ে দরজা আটকে বসে রইল প্রিয়। খালা ডেকে গেল কয়েকবার। মাথা ব্যাথার মিথ্যা বাহানা করে সারা সন্ধ্যা বেরিয়ে এলো না আর। ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করে চলে গেল শতাব্দ।
রাতে বারান্দায় কাপড় আনতে গিয়ে ভড়কে গেল প্রিয়। সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে শতব্দ। অবছা আলোতে ভেসে আছে মুখ। তার আক্*রোশপূর্ণ দৃষ্টি এদিকটাতেই চেয়ে। চোখে ক্রো*ধ। হাতে সিগারেটের জ্ব*লন্ত আ*গুন। নিষ্*ঠুর নি*র্দয় সেই চাহনি। যেন দৃষ্টিতেই জ্বা*লসে দিবে সে। প্রিয় ঘাবড়ে গেল। তড়িঘড়ি পা চালিয়ে ঘরে চলে এলো। বারান্দার দরজা লাগিয়ে পিঠ ঠেকিয়ে ভারী ভারী নিশ্বাস ফেলল। মানুষটার সামনে যাবে না আর। একদমই যাবেনা! দেখা যাবে তার ভ*য়*ঙ্কর ভস্ম করা চাহনিতে জ্ব*লসে দিচ্ছে প্রিয়’কে।

ভোরে ঘুম ভেঙ্গেছে আজ। আলসি ভেঙ্গে বিছানা ছাড়ল প্রিয়। প্রতিদিনকার অভ্যাসের ন্যায় আজও আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বারান্ধায় গেল। চোখ কচলে সামনে তাকাতেই শিউরে উঠল। গত রাতের সেই একই জায়গায় শতাব্দ এখনো বসে। দৃষ্টি প্রিয়দের বারান্দায়। ফর্সা মুখশ্রী মুড়ছে আ্ছে। র*ক্তিম ফোলা চোখ। হাতে এখনো সিগারেট জ্বলছে। সারারাত ঘুমায়নি সে?
তার চোখে এখনো রাগ। ভয়*ঙ্কর রাগ! সময়ের সাথে সাথে যেন আরও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। হাতের কাছে পেলে নিশ্চয়ই তছন*ছ করে ফেলবে! ভেবেই চমকে গেল প্রিয়। ঝটপট পা চালিয়ে ভিতরে চলে এলো।
দুপুরের আগে জুবাইদা শতাব্দের বার্তা নিয়ে এলো। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,
‘ ভাই ভীষণ রেগে। বোধহয় কাল সারারাত ঘুমায়নি। তোকে দেখা করতে বলেছে। সাথে এটাও বলেছে তুই গেলে কিছু বলবে না। ভাইয়া আসলে বড়সড় ঝা*মেলা হবে।’
‘ কিছু বলবেনা!’ শুনে প্রিয় আরো বেশি চুপসে গেল। সে জানে একবার হাতের কাছে পেলে শতাব্দ তাকে থা*পড়িয়ে অজ্ঞান করে ফেলবে। খু*নও করতে পারে! যা ভ*য়*ঙ্কর রেগে! ভরসা নাই। ভ*য় ছাপিয়ে চোখমুখ স্বাভাবিক করল। গলা টানটান করে বলল,
‘ অনেক কাজ আছে আমার। যাবোনা।’
জুবাইদা চমকে গেল। মলিন মুখ করে বলল,
‘ তোর না হয় জা*নের ভ*য় নেই! আমাদের কেন ফাঁ*সাচ্ছিস?
কেন এমন করছিস সব জেনে গেছে ভাই।’
প্রিয় চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,’ কে বলল?’
জুবাইদা মিনমিনিয়ে বলল, ‘ সকালে জিজ্ঞেস করছিল ভাই তাই…’
এতটুকু বলে থামলো।হতাশ শ্বাস ফেলল। বিমূঢ় চেয়ে রইল প্রিয়। এখানে এসে কি নিজের পায়ে নিজে কু*ড়াল মা*রল? কি করবে এখন? শতাব্দের তো*পের থেকে কিভাবে বাঁচবে। পালাবে? যদি ধরে ফেলে। না বের হবেনা আর। বাড়ির বাহিরে এক পাও রাখবেনা সে।

কলেজ থেকে ফিরে। খালা শুয়ে আছে ঘরে। অসুস্থ শরীর। প্রেসার বেড়েছে। বিকাল থেকে লোডশেডিং হচ্ছে। চারদিক অন্ধকারে তলিয়ে সন্ধ্যা নামছে। টিমটিমে মোমবাতি জ্বলছে। আলোঅন্ধকারে ছেয়ে আছে ঘর। ‘ঠকঠক’ হ্ঠাৎ দরজায় করাঘাত। বিছানা ছেড়ে দরজার দিক পা বাড়ালো প্রিয়। দরজা খুলে কাউকে দেখলো না বাহিরে। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে পিছন ফিরতে ঘাবড়ে গেল সে। সামনে অন্ধকার ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে। ফোঁসফোঁস শ্বাস ফেলছে। যেন ভীষণ রেগে। প্রিয় আওয়াজ করবে। তার আগেই মুখ চেপে ধরলো। গায়ের ওড়না টেনে মুখ বেঁ*ধে ছায়ামূর্তিটা কোলে তুলে নিলো।

( পেজের রিচ ডাউন গল্প পৌঁছালে পরবর্তী পর্বের জন্য অবশ্যই রেসপন্স করবেন)

চলবে……

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

টাইপোগ্রাফি : মুগ্ধ তা আপু❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here