ফিলোফোবিয়া ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির) ৩৪.

0
460

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির)

৩৪.

( কার্টেসী ছাড়া কপি নিষেধ )

রাতের খানা সেড়ে ঘরে আসতেই হতভম্ব প্রিয়। আগের থেকেই বিছানায় বসে আছে প্রভা। দরজার সামনে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে সমুদ্র। ভিতরে আসতে সাহস পাচ্ছেনা বুঝি। দুজনের দিক কপাল কুঁচকে তাকিয়ে রইল প্রিয়। সকালে খাবার টেবিলে দুজনকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখল। হ্ঠাৎ এমন মনমালিন্য কেন? প্রিয়কে আসতে দেখে, প্রভা বিছানা গোছাতে গোছাতে ব্যস্ত স্বরে বলল,
‘ আজকের রাত আমি এখানে থাকব।’
বিমূঢ় চেয়ে রইল প্রিয়। কিছু বলতে যাবে অমনি ঘরে শতাব্দ এলো। প্রভাকে এসময় এখানে দেখে বরাবরই হতভম্ব শতাব্দ। তার বিস্মিত চোখমুখ দেখে প্রভা বলল,
‘ আগামীকাল আপনারা ঢাকায় চলে যাবেন। আজ রাতটা আমি আপার সাথে থাকব, আপনার গেস্ট রুমে থাকতে সমস্যা হবে শতাব্দ ভাই?’
শতাব্দ চুপ।সমুদ্রের চোখমুখ ঠাহর করে আগেই বুঝতে পেরেছে দুজনের ঝামেলা চলছে।বিস্ময় কাটিয়ে স্বাভাবিক কন্ঠে উত্তর দিলো,
‘ কোন সমস্যা নাই।’
প্রভা বলল,
‘ আচ্ছা। যাওয়ার সময় দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকেও নিয়ে যাবেন। ঘরের আশেপাশে ঘুরঘুর করেনা যেন!’
উত্তরে শতাব্দ বলল কিছু। ফ্রেশ হয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেল।
শতাব্দ চলে যেতেই প্রভা বিছানা থেকে নেমে সমুদ্রের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো। হাতপা গুটিয়ে বিছানায় বসতেই প্রিয় জিজ্ঞেস করল,
‘ সমুদ্র ভাই কিছু বলেছে! কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে?’
চোখমুখ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করল প্রভা। বালিশে মাথা রেখে চোখ বুজে বলল,
‘ কি হবে। কিছু হয়নি।’
‘ তাহলে ঘর ছেড়ে এখানে এসেছিস কেন?’
‘ চলে যেতে বলছ! চলে যাবো?’
প্রিয় বিরক্ত হলো। রেগে থাকলে উল্টো জবাব দিয়ে ঘাড়ত্যাড়ামো করার অভ্যাস প্রভার। পরে রাগ পড়ে গেলে, নিজে থেকে গড়গড় করে সব বলবে।
ঘরের লাইট নিভিয়ে, ড্রিম লাইট জ্বা*লিয়ে শুয়ে পড়ল প্রিয়। খানিক বাদেই পাশ থেকে ফোঁপানোর আওয়াজ ভেসে এলো। চমকে উঠল প্রিয়। উঠে প্রভাকে ডাকতেই। জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কেঁদে উঠল প্রভা। আদো আদো করে বলল,
‘ ও আমাকে ঠকিয়েছে আপা। অন্য কাউকে ভালোবাসে সে।’
হতভম্ব প্রিয়। বোনের এমন হাউমাউ কান্নায় পাথর হয়ে আছে সে। বরাবর-ই প্রভা হাস্যোজ্জ্বল সরল। এর আগে কখনো এমন করে কান্না করতে দেখেনি সে। বোনের পিঠে আলতো হাত বুলিয়ে দিয়ে প্রিয় বলল,
‘ শান্ত হ। কি হয়েছে আমাকে বল।’
শান্ত হলোনা প্রভা। কান্না জড়ানো ভাঙ্গা আওয়াজে বলল,
‘ সে আমাকে ঠকিয়েছে আপা। ঠকিয়েছে সে!’
বোনকে শান্ত করার চেষ্টা করল প্রিয়। খানিক সময় নিয়ে প্রভার কান্না থামল। কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি তখনো। ডুকরে কেঁদে উঠছে একটু পরপর। বোনের অশ্রুভারাক্রান্ত চোখের জল মুছে দিলো প্রিয়। পাশ থেকে এক গ্লাস পানি দিয়ে বলল,
‘ পানিটা খেয়ে নে।’
বাধ্য মেয়ের মত পানির গ্লাস হাতে নিয়ে সবটা পানি শেষ করল প্রভা। কান্নার বেগ অনেকটাই কমেছে এখন। প্রভাকে শান্ত হতে দেখে, প্রিয় বলল,
‘ কি হয়েছে এবার বল।’
একটু চুপ থেকে প্রভা বলল,
‘ আজ সকালে মেধারা বলছিল, সমুদ্র কাউকে ভালোবাসতো। তার জন্য নাকি ত্যাজ্যপুত্র হতেও রাজি ছিল। প্রথমে সেসব কথা আমলে নেইনি। পরবর্তীতে আলমারী গোছাতে গিয়ে একটা বাক্স পেলাম। বাক্সতে…’
প্রভার গলা ধরে এলো। চোখজোড়া জলে ভিজে। একটু সময় নিয়ে আবার বলল,
‘ সেখানে একটা মেয়ের সাথে সমুদ্রের ঘনিষ্ট ছবি। অনেক গুলো চিঠি। অথচ বিয়ের আগে বা সম্পর্ক চলাকালীন সময় ওই মেয়েটার কথা একবারও শুনিনি।’
কথা শেষ করে শক্ত হয়ে বসে রইল প্রভা। চোখ থেকে পানি ঝরছে টপটপ।
প্রিয় বলল,
‘ সমুদ্র ভাই এক্সসের কথা বলেনি বলে রেগে আছিস? নাকি তার স্মৃতি আগলে রেখেছে বলে রেগে!’
কোন উত্তর দিলো না প্রভা। প্রিয় আবারও বলল,
‘ মেয়েটার নাম তানহা। আমরা এক ক্লাসে পড়তাম। এই এলাকায়’ই বাড়ি তানহার। দুজন দুজনকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসতো। সমুদ্র ভাইয়ের ভালোবাসা সত্যি হলেও তানহার ভালোবাসায় খাঁদ ছিল। তাইতো…’
চেঁচিয়ে উঠল প্রভা। বোনের মুখের ওই মেয়ের নাম, পরিচয় শুনতে বিরক্ত লাগছে। মনে হচ্ছে কেউ কানে বিষ ঢালছে তার। রাগে ফেটে পড়ল প্রভা। ক্রুদ্ধ কন্ঠে বলল,
‘ চুপ কর আপা। ওই মেয়েটাকে নিয়ে কিছু শুনতে চাইনা।’
‘কেন? ‘
‘ বিয়ের মাত্র কয়েকদিন, হঠাৎ জানতে পারলাম আমার স্বামীর প্রেমিকা ছিল। সেই প্রেমিকাকে নিয়ে জানতে কি ভালো লাগার কথা?’
‘ তানহা সমুদ্র ভাইয়ের অতীত ছিল!’
‘ আমার স্বামীর অতীতে অন্যকোন মেয়ে থাকবে কেন? আমার অতীতে তো কোন ছেলে নেই। নিজের মন, প্রাণ সর্বস্র দিয়ে ভালোবেসেছি তাকে।’
‘ এটা কেমন ছেলেমানুষী প্রভা! সমুদ্র ভাই কি জানতো, তানহা তাকে ঠকাবে। ভবিষ্যতে তোর সাথে তার পরিচয় হবে।’
প্রভা চুপ। প্রিয় শান্ত স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
‘ ভাগ্য কখন কাকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় তা কেউ জানেনা। তানহা সমুদ্র ভাইয়ের অতীত ছিল, তুই বর্তমান। তাকে অন্ধকার জগত থেকে তুলে আনা আলোকধারা। অতীত গোপন রাখারও কোন কারণ আছে। হয়তো সে চায়নি তানহার কথা জানিয়ে তোকে কষ্ট দিতে। বা কালো অতীতকে মনে করতে। সমুদ্র ভাই তোকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসে প্রভা। সবকিছু ভুলে সামনে এগিয়ে যা।’
‘ ভুলতে পারছিনা আপা। প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে আমার। আমি কিছুতেই মানতে পারছিনা আমি তার জীবনে দ্বিতীয়জন। সে তো আমার একমাত্র, আমি কেন হলাম না!’
প্রভার করুণ আওয়াজ। প্রিয় বোঝানোর কন্ঠে বলল,
‘ অবশ্যই, তুই একমাত্র। তুই তার স্ত্রী। তোর জায়গা কখনো কেউ নিতে পারবেনা। অতীত টেনে কখনো কেউ সুখী হয়না।’
‘ মেয়েটার ছবি, চিঠি এখনো স্বযত্নে রাখা। এসব আমাকে সহ্য করতে বলছিস আপা?’
‘ উহু, সহ্য করতে বলছিনা। তা নিয়ে প্রশ্ন করা, রাগ করার অধিকার অবশ্যই আছে তোর। কিন্তু তার আগে, তাকে তার দিকটা ব্যাখ্যা করার একটা সুযোগ দিতে হবে। মুখোমুখি বসে দুজনের কথা বলতে হবে।’
বোনের দিক ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকল প্রভা। এত রাগী মানুষটার এমন বুঝদার রূপ আছে জানতো না। সব বুঝেও নিজের এলোমেলো জীবনটা কেন গুছিয়ে নিচ্ছে না। কিন্তু কিন্তু করে জিজ্ঞেস করল প্রভা,
‘ তুই কেন শতাব্দ ভাইকে একটা সুযোগ দিচ্ছিস না? মানুষটা তোকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসে। এত রাগী, গম্ভীর, বদমেজাজী হয়েও তোর করা প্রত্যেকটা অপমান চুপচাপ সহে নেয়। ত্যাড়ামো গুলো মেনে নেয়। তোর জন্য পুরো বাড়ির মানুষের সাথে লড়ে! সবার সামনে বাঘ তোর সামনে ভিজাবিড়াল।তাকে কেন একটু ভালোবাসিস না?’
চুপ করে রইল প্রিয়। উদাসীন কন্ঠে বলল,
‘ আমাদের ব্যাপারটা কমপ্লিকেটেড। এতবছরে ঘেঁটে গেছে সব। আমরা একে অপরের জন্য সুইটেবল না। যতবার কাছাকাছি এসেছি ততবারই চুম্বকের বিকর্ষণ শক্তির মত ছিটকে পড়েছি। বিচ্ছেদ আমাদের নিয়তি। পরিস্থীতি বদলে গেছে, যতই ভালোবাসা থাকুক না কেন। সম্পর্কের বাঁধন আর বাঁধা যাবেনা। আমরা চাইলেও এখন একে অপরকে ভালোবেসে কাছাকাছি থাকতে পারবোনা। কোন না কোনদিন ঘৃ*ণা আমাদের মাঝে আসবেই।’
প্রিয়’র কথার আগাগোড়া বুঝল না প্রভা। ভালোবাসা থাকলে ঘৃণা আসবে কেন? কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,
‘ মানে?’
প্রিয় বেখেয়ালি হয়ে কথা গুলো বলেছিল। হুঁশ ফিরতে কথা ঘুরাল। বলল,
‘ এখানে ভালো লাগছেনা! আগামীকাল আমাদের সাথে ঢাকায় ফিরবি? বাবা মায়ের কাছে কিছুদিন থাকবি।’
নাকচ করল প্রভা। কন্ঠ স্বাভাবিক রেখে উত্তর দিলো,
‘ না আপা। তোর ক্লাস, কাজ আছে তুই যা। আমি কিছুদিন পরে আসব। বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে সবে দুইদিন। দুজন এক সাথে চলে গেলে লোকে কানাঘুষা করবে। বাড়ির সবাই মন খারাপ করবে।’
মলিন হাসল প্রিয়। সে জানতো রাজি হবেনা। স্বামীর সাথে যতই রাগারাগি থাকুক না কেন, মনের দিক থেকে সরল প্রভা। নিজের দায়িত্ব থেকে কখনো পিছুপা হবেনা।
দুবোন আরো কিছুক্ষণ গল্পগুজব করল। রাত গাঢ় হতে শুয়ে পড়ল। প্রভা ঘুমিয়ে গেছে। চোখে ঘুম নেই প্রিয়’র। নিকষ কালো অন্ধকার ঘরের জানালায় চেয়ে রইল। চাঁদের এক চিলতে আলো ছুঁইছে ঘর। চোখ চিকচিক করছে প্রিয়’র। মনেমনে ফিসফিস করে বলল,
‘ সে আমাকে ভালো না বাসুক! প্রচন্ডরকম ঘৃণা করুক। কারণ আমি জানি ভালোবেসে ঠকলে কতটা কষ্ট হয়।’

ভোরের আলো ফুটতেই হৈচৈ পড়েছে চেয়ারম্যান বাড়িতে। বড় ছেলে নতুন বউ নিয়ে ঢাকায় ফিরবে। হরেক রকম রান্না বান্না পিঠাপুলি বানাতে ব্যস্ত সবাই। প্যাকেট করে সাথে করে দিয়ে দিবে ঢাকায়। নতুন বউয়ের বিদায় দেখতে আশেপাশের লোকেরা জড় হয়েছে। অতিথি আপ্যায়নে বাড়ি মেতে। সমুদ্র সকাল থেকে প্রভার পিছুপিছু কথা বলার ফাঁক পেতে ঘুরছে। প্রভা বরাবরের মত এড়িয়ে চলছে। মাথায় এখনো জমে আছে রাগ। সমুদ্রের মুখ দেখে তা বেড়ে যাচ্ছে বারবার। দুপুরের খাবারের জন্য প্রিয়’কে ডাকতে প্রভা উপরে যাচ্ছিল অমনি পেছন থেকে ছুটে এসে সমুদ্র হাত টেনে ধরল। প্রভা হাত ছাড়াতে চাইল। সমুদ্র করুণ স্বরে বলল,
‘ কিছু কথা ছিল। সাথে চলো এক্ষুনি, প্লিজ!’
বিরক্ত হলো প্রভা। দোতলা সিড়ির ধাপে দাঁড়ানো তারা। রাগী চাপা গলায় বলল,
‘ হাত ছাড়ো। দেখে ফেলবে কেউ।’
সমুদ্রের অকপটে উত্তর,
‘ ছাড়বোনা সাথে চলো।’
ফোস করে শ্বাস ফেলল প্রভা। গম্ভীর হয়ে বলল,
‘ সবার সামনে ঝামেলা চাইছিনা। আমার রাগ পড়লে সে বিষয়ে কথা বলবো। আমাকে একা থাকতে দেও আপাতত।’
হাত ছাড়িয়ে চলে গেল প্রভা। হতাশ চোখে চেয়ে রইল সমুদ্র।

বিকালে সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে চড়ল প্রিয় শতাব্দ। ঢাকা ফিরতে ফিরতে রাত নামল। এপার্টমেন্টে ঢুকে প্রিয় ড্রাইং রুমে দাঁড়িয়ে পড়ল। গম্ভীর শক্ত কন্ঠে বলল,
‘ কোনদিকে আমার রুম?’
খানিক বিস্মিত দৃষ্টিতে চেয়ে রইল শতাব্দ। বিস্ময় কাটিয়ে বলল,
‘ আলাদা থাকবে তুমি?’
প্রিয়’র ঋজু অকপটে আওয়াজ,
‘ এটা নিয়ে আমাদের আগেই কথা হয়েছিল।’
শুনেও শুনল না শতাব্দ। সোজাসাপটা কন্ঠে বলল,
‘ আমার ঘরে থাকবে তুমি। ভয় নেই স্পর্শ করব না।’
গলা নরম হয়ে এলো প্রিয়। চোখ জোড়া ভারী। কন্ঠ শক্ত করে বলল,
‘ আমি আলাদা থাকব। আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছিনা।’
হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকল শতাব্দ। বলল,
‘ সিরিয়াসলি! তোমার আমাকে বিশ্বাস হচ্ছে না প্রিয়?’
‘ না! আপনি আমাকে আলাদা ঘর দিবেন নাকি আমি বেরিয়ে যাবো?’
খানিক রাগী দৃষ্টিতে চেয়ে চাবিটা টি টেবিলের উপর আছড়ে রেখে চলে গেল শতাব্দ।
চাবি নিয়ে পাশের রুমের দরজা খুলল প্রিয়। অনেকদিনের বন্ধ ঘর এলোমেলো অগোছালো। গোছাতে গোছাতে রাত গভীর হলো। তখনকার ঘটনার পর শতাব্দকে দেখেনি আর। নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে আছে সে।
গভীর রাতে দরজা খুলল শতাব্দ। প্রিয়’র জন্য খাবার সাজিয়ে ঘরে আসতে দেখল ঘুমিয়ে গেছে। পাশে যেয়ে বসল। শরীরে চাদর টেনে দিয়ে। ঘুমন্ত প্রেয়সীর মুখপানে নিমিষ চেয়ে রইল। আদুরে হাতে চুল গুছিয়ে দিতে দিতে ফিসফিস করে বলল,
‘ যত ইচ্ছা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করো, আমি একটুও রাগ করবোনা প্রাণপ্রিয়। তুমি আমার। তোমার রাগ, জেদ, ভালোবাসা সবটাই আমার। শুধুই আমার।’
প্রিয়’র আদুরে মুখখানা টানছে তাকে। নিমগ্ন হয়ে তার দিক এগিয়ে গেল। কপালে গাঢ় চুমু এঁকে দিলো।

চলবে……….

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

টাইপোগ্রাফি: tasrifa meher আপু🌺❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here