“বউ যখন কাজের মেয়ে”
>পর্ব-৩০
লিখা:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
প্রিয়া মাহিমকে জরিয়ে রইতেই মাহিমের ও চোখের কোনায় পানি চলে আসলো।এরপর মাহিম হালকা করে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরলো।
দু-জন দু-জনকে জরিয়ে ধরে কান্না করার পর হঠাৎ প্রিয়া একদম নিঃশব্দহীন হয়েগেলো।
একটু নোড়চোড় ও করছে না।মাহিম কিছুই বুঝতে পারছে না।একটু পর প্রিয়া নিজ থেকেই মাহিমকে ছেড়ে দিয়ে মাঠিতে পড়ে যাচ্ছিল এমনি মাহিম প্রিয়াকে ধরে ফেললো আর প্রিয়ার মুখের দিকে তাকাতেই প্রিয়া নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেড় হচ্ছে,প্রিয়া অজ্ঞান হয়েগেছে।প্রিয়ার এমন অবস্থা থেকে মাহিমের চোখ উপরে উঠে গেলো।হতাশ দৃষ্টি নিয়ে প্রিয়াকে ডাকতে লাগলো।কিন্তু কোন কিছুই হচ্ছে না।মাহিমের আত্ত চিৎকার শুনে প্রিয়ার মামী রুমে ছুটে এলো।এসে প্রিয়াকে এভাবে দেখে চিৎকার দিয়ে কেদে উঠলো।তারপর কেদে কেদে প্রিয়াকে ডাকতে লাগলো কিন্তু প্রিয়া কোন সারা দিচ্ছে না।
এরপর মাহিম প্রিয়াকে কোলে উঠিয়ে গাড়িতে করে প্রিয়ার মামী সহ দ্রত Hospital এ নিয়ে গেলো।
হসপিতাল এর নীচে গাড়ি ব্রেগ করে মাহিম প্রিয়াকে গাড়ির ভিতর থেকে কোলে উঠিয়ে হসপিতাল এর ভিতরে নিয়ে ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার করতে লাগলো।মাহিমের আত্ত চিৎকার শুনে হসপিতাল এর নার্স ডাক্তার বেড় হয়ে আসলো।এরপর প্রিয়া বেড এ করে দ্রুত ইমারজিন্সি তে নিয়ে গেলো।
হঠাৎ প্রিয়ার এমন কেন হলো মাহিম কিছুই বুঝতে পরলো না!”১ঘণ্টা পর”
মাহিম ইমার্জিন্সি রুমের সামনে দাড়িয়ে।ভাবছে হঠাৎ করে প্রিয়ার এমন হলো কেন?এর আগে তো কখনো এমনটা দেখিনি।হঠাৎ প্রিয়ার কি হলো?
কিছুক্ষণ পর ইমারজিন্সি থেকে ডাক্তার বেড় হতেই মাহিম খুব অস্থিরতা কন্ঠে বলতে লাগলো..
মাহিম:-কি অবস্থা ডাক্তর?
ডাক্তার:-জ্বী ভালো।উনি এখন অজ্ঞান ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছেন!
ডাক্তারের কথা শুনে মাহিম একটু শান্ত হলো।
এরপর বলতে লাগলো….
মাহিম:-কি হয়েছে ওর??
ডাক্তার:-স্যরি,রিপোর্ট না দেখা পর্যন্ত আমি এখন কিছুই বলতে পারছি না।
মাহিম:-রিপোর্ট আসতে কতক্ষণ সময় লাগবে?
ডাক্তার:-ইমার্জিন্সি!ঠিক বলতে পারছি না,কাল সকাল বেলাও আসতে পারে।আপনি ওয়েটিং রুমে ওয়েট করুন।আমি আপনাকে ডেকে নিব।
মাহিম:-ওকে ডাক্তর…!
এরপর ডাক্তার চলেগেলো।কিছুক্ষণ পর নার্স এসে প্রিয়াকে বেড এ করে অন্য কেবিনে নিয়ে গেল।প্রিয়া এখন নর্মাল বাট সেলাইন এর সাথে ঘুমের মেডিসিন দাওয়াতে জ্ঞান ফিরে প্রিয়া এখন ঘুমচ্ছে!
প্রিয়াকে বেড এ করে অন্য কেবিনে নিয়ে যাওয়ার সময় মাহিম শুধু একটা মায়ার দৃষ্টিতে প্রিয়ার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল।ঘুমন্ত অবস্থায় প্রিয়াকে দেখতে একদম নিঃপাপ লাগছিল মাহিমের কাছে!মেয়েটার মায়া ভরা মুখের দিকে তাকালেই মাহিমের ভিতরটা কেমন মছর দিয়ে উঠে।চোখের নিচে ভেজা কান্নাকাটি করায় গাল মুখ গুলো লাল হয়েগেছে।মায়াবী ঘুমন্ত পারীর মতো লাগছে প্রিয়াকে!
রাত ১২টা মাহিম ওয়েটিং রুমে বসে ওয়েট করছিল ডাক্তার কখন ডাকবে আর রিপোর্ট এ বা কি আসবে।টেনশন নিয়ে বসে আছে মাহিম!
কিছুক্ষণ পর মাহিম প্রিয়ার পাশে বসে প্রিয়ার ঘুমন্ত মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।মাহিম প্রিয়ার মায়াবী মুখের দিকে তাকাতেই আগের সমস্ত কিছু তার চোখে সামনে ভেসে উঠতে লাগলো।কারণে অকারণে প্রতিটা মুহূর্তে প্রিয়াকে কষ্ট দেওয়া।ভূল বুঝে প্রিয়াকে আঘাত করা।প্রিয়াকে কোলে নেওয়া,খাইয়ে দেওয়া।সমস্ত কিছু মাহিমের চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো।মাহিম অন্যরকম একটা মায়ার দৃষ্টিতে প্রিয়ার দিকে তাকিযে রইলো।মাহিম কিছুক্ষণ চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর হঠাৎ প্রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
প্রিয়ার ঘুম ভাঙ্গতেই মাহিম চোখ সরিয়ে নিল।প্রিয়া চোখ খুলতেই দেখলো মাহিম তার পাশে বসে,আর সে হসপিতাল এর বেডে।প্রিয়ার আর বুঝতে বাকি রইলো না।মাহিম কে এভাবে তার পাশে বসে থাকা দেখে প্রিয়া”মানুষটা কে ঠিক বুঝতে পারিনা।ডিভোর্স পেপারে সাইন করিয়ে নিয়ে আবার আমায় হসপিতালে নিয়ে এসেছে।তাহলে কি ও আমায় ভালোবাসে?না না কি সব ভাবছি ও শুধু আমায় একটা রাস্তার মেয়ে ভেবে দয়া করে আর কিচ্ছু না।যদি আমায় সত্যিই ভালোবাসতো তাহলে অত অপমান করে ডিভোর্স পেপারে সাইন করিয়ে নিত না!মনে মনে মাহিমের দিকে তাকিয়ে প্রিয়া!
প্রিয়া দেখতে পারছে মাহিম কিছু বলছে না শুধু তার তাকিয়ে আছে।দুজনি কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে থাকার পর….
প্রিয়া:-এভাবে বসে আছেন কেন?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে একদম শান্ত ভাবে)
মাহিম নিশ্চুপ কিছুই বলছে না।.
প্রিয়া:-অনেক রাত হয়েছে।তুন্নি হয়তো আপনার টেনশন করছে।আপনি বাসাতে ফিরে যান আমি কালকে সকাল বেলা হসপিতাল থেকে বাড়িতে ফিরে যাব!
মাহিম কিছু বলছে না,শুধু প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।মাহিমকে চুপ করে থাকা দেখে প্রিয়া আবার বলতে লাগলো..
প্রিয়া:-কি হলো কথা বলছেন না কেন.?(মাহিমের দিকে তাকিয়েই)
মাহিম কিছু বলার আগেই হঠাৎ মাহিমের ফোন বেজে উঠলো।মাহিম ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো তুন্নির নাম্বার থেকে ফোন।ফোনটা প্রিয়ার পাশেই রাখা, প্রিয়াও ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো তুন্নি ফোন করেছে।তুন্নির ফোন দেখে মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকাতেই দেখলো প্রিয়া মুখটা অন্যদিকে ফিরে নিল।মাহিম ফোন রিসিভ করে রুম থেকে বেড় হয়েগেলো।মাহিম রুম থেকে বেড় হতেই পিছন থেকে প্রিয়া মাহিমের বেড় হয়ে যাওয়া দেখেই প্রিয়ার চোখ কেন জানি ছলছল করতে লাগলো!
পরেরদিন সকাল বেলা নার্স ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো প্রিয়ার।প্রিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখলো মাহিম নেই।গতকাল রাত মাহিমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে বুঝতে পারেনি।
সকাল ৮টা বেজে গেলো কিন্তু মাহিমের কোন খোঁজ নেই।প্রিয়া নার্স কে মাহিমের কথা জিঙ্গেস করতেই নার্স বলল”উনি চলে গেছেন আর আমাকে বলে গেছেন আপনার খেয়াল রাখতে”
নার্স এর কথা শুনে প্রিয়া”ওহ তাহলে তুন্নির জন্য ও আমাকে হসপিতালে রেখেই বাসাতে ফিরে গেছে।ও শুধু আমায় দয়া করে হসপিতালে ভর্তি করিয়েছে।আর কিচ্চু না।আমার কি হলো না হলো তাতে ওর কি?আমি তো কেউই না!চোখের কোনায় জল নিয়ে মনে মনে প্রিয়া!
৯টার এইদিকে রিপোর্ট দেখার জন্য প্রিয়া ডাক্তারের কেবিনে গেলো।রিপোর্ট এ কি আসবে প্রিয়া তো সেটা খুব ভালো করেই জানে।বাট তারপরেও…!
প্রিয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না।সব সত্যি কথা বললে ডাক্তার বাবু যদি মামাকে সব বলে দেয় তো মামা একদম ভেঙ্গে পরবে।মাহিম আর আমার সম্পর্কে সমস্ত সত্যিটা বলা যাবে না।এটা ভেবে প্রিয়া আগের টিউমরটির ব্যাপারে সবকিছু খুলে বলল ডাক্তার কে।ডাক্তার প্রিয়ার সমস্ত কথা শুনে বলতে লাগলো..
ডাক্তার:-অপারেশন টা খুব তারাতারিই আপনাকে করাতে হবে।আপনার মাথায় ব্রেনে যে টিউমরটি ছিল তার ঠিক পাশেই আরো ছোট্ট একটি টিউমর এর জন্ম নিয়েছে।
ডাক্তারের কথা শুনে প্রিয়া চমকে উঠলো প্রিয়া একদম ভেঙ্গে পড়লো।চোখের কোনায় পানি আসলো প্রিয়ার।ডাক্তার প্রিয়ার চোখের কোনায় পানি দেখে বলতে লাগল….
ডাক্তার:-না না ভয় এর কিছু নেই।এটা জন্ম নেওয়ায় আপনার পক্ষ ভালোই হয়েছে।আপনার মাথায় যে টিউমরটি ছিল তার পাশে এটা জন্ম নেওয়াতে আগের টিউমরটি বড় হয়ে উঠতে পারেনি।এখন ধিরেধিরে দুটো টিউমরি বড় হয়ে উঠছে বলেই তো আপনার এই প্রবলেম গুলো বেশি হচ্ছে।আগামী এক-ডেড় মাসের মধ্যেই আপনাকে অপারেশন করাতেই হবে নাহলে…..
প্রিয়া:-বুঝতে পেরেছি ডাক্তার বাবু……(চোখে জল নিয়ে)
এরপর প্রিয়া হাতে রিপোর্ট প্রেসক্রিপশনে লিখে দাওয়া সেই মেডিসিন গুলি নিয়ে হসপিতাল বেড় কিছুদূর যেতেই প্রিয়ার সামনে এক car এসে দাড়ালো।দাড়িয়ে দেখলো গাড়ির ভিতর থেকে মাহিম বেড় হয়ে আসলো।মাহিম প্রিয়ার সামনে দাড়াতেই প্রিয়া রাগি চোখে মাহিমের দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে মাহিম পাস কাঠিয়ে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম আবার প্রিয়ার সামনে গিয়ে দাড়ালো।
এরপর প্রিয়া রাগি ভাবে মাহিমের দিকে তাবিয়ে বলতে লাগলো..
প্রিয়া:-কি ব্যাপার আপনি পথ আঠকে দাড়ালেন কেন?
প্রিয়াকে এভাবে কথা বলতে দেখে মাহিম বুঝতে পারলো যে প্রিয়া কেন এমন রাগ দেখিয়ে কথা বলছে।তারপর মাহিম বলতে লাগলো..
মাহিম:-দেখুন কাল রাতে….
প্রিয়া:-আমি আপনার কাছে কিচ্চু শুনতে চাইছি না।আপনি পথ ছাড়ুন।(একটু রাগ দেখিয়ে)
মাহিম:-শুনু কাল রাতে যা……
প্রিয়া:-বলছি না আমি আপনার কাছে কিচ্চু শুনতে চাইছি না।আপনি প্লিজ পথ ছাড়ুন মাহিম বাবু(বিরক্তিকর ভাবে মাহিমের দিকে তাকিয়েই)
প্রিয়ার কথা শুনে মাহিম বুঝতে পারলো যে কাল রাতে ও না থাকায় প্রিয়া ওর উপর রেগে আছে।
মাহিম কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার একদম শান্ত ভাবে বলতে লাগলো.
মাহিম:-দেখুন রাস্তায় মাঝে একদম সিক্রেট করবেন না বলে দিচ্ছি।
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া রাগি ভাবে মাহিমের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো..
প্রিয়া:-আমি সিক্রেট করছি না।আপনি আমাকে সিক্রেট করতে বাধ্য করছেন মাহিম বাবু..!
প্রিয়ার কথা শুনে মাহিম কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো।
তারপর আবার শান্ত ভাবে বলতে লাগলো…
মাহিম:-আচ্ছা আপনার রিপোর্টটা দিন, রিপোর্ট এ কি আসছে দেখি?
প্রিয়া:-সেটা জেনে আপনি কি করবেন?
মাহিম:-খেয়ালী করবেন না যেটা বলছি সেটা শুনুন।আপনার রিপোর্টটা দিন আমাকে(একটু রাগ দেখিয়ে)
প্রিয়া:-সব আপনার কথা মতো হবে নাকি?আপনি যখন যেটা বলবেন সেটাই হবে?(মাহিমের দিকে তাকিয়
মাহিম:-হুমম মনে করুন তাই।এখন বেশি কথা না বরিয়ে রিপোর্টটা আমার হাতে দিন।(একটু রেগে)
প্রিয়া:-আপনার সাথে তো আমার কোন সম্পর্ক নেই।আমার রিপোর্ট এ কি আসলো না আসলো তাতে আপনার কি?
মাহিম:-আমার কিছুই না বাট সেটা জানার অধিকার আমার নেই?
প্রিয়া:-না নেই।আপনার সাথে আমার সবকিছুই তো শেষ হয়েগেছে।আপনিই তো সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন।(মাহিমের দিকে চোখের দিকে তাকিয়ে)
প্রিয়ার কিছু মাহিম প্রিয়ার দিকে চুপ করে তাকিয়ে রইলো।প্রিয়াও আর কিছু বলছে না।চুপ করে আছে এরপর মাহিম বলতে শুরু করলো..
মাহিম:-তার মানে আপনি বলতে চাইছেন যে আগে আপনার সাথে আমার কিছু ছিল নাকি?
প্রিয়া:-হুম ছিল তো..
মাহিম:-কি সেটা শুনি?..
প্রিয়া:-এই যে আমি আপনাদের বাসার কাজের মেয়ে আর আপনি ছিলেন আমার মালিক।(মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়েই)
মাহিম নিশ্চুপ কিছু বলল না।প্রিয়া মাহিমকে চুপ করে থাকা দেখে বলতে লাগলো.
প্রিয়া:-এখন তো আর আমি আপনাদের বাসার কাজের মেয়েও নই।তাই আমার উপর আপনার কোন অধিকারী নেই!এবার পথ ছাড়ুন।
মাহিম:-খুব তেজ না আপনার?(রেগে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
প্রিয়া কিছু বলল না।চুপ করে রইলো।এরপর মাহিম আবার রাগি ভাবে বলতে লাগলো..
মাহিম:-এতদিন তো আমাদের বাসায় কাজের মেয়ে হয়ে থাকতেন।এখন কি করবেন? আবার আপনার ঐ মামা-মামীর মাথায় বোজা হয়ে থাকবেন নাকি?
প্রিয়া:-আমি আর কারোই মাথায় বোজা থাকবো না।(মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে)
মাহিম:-ওহ অন্যকারো সাথে থাকার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন তাহলে?
প্রিয়া:-শুনুন এটা না রাস্তা!এখানে আজে-বাজে কথা বললে না আমি কিন্তু চিৎকার করে লোকজন জোরো করবো।(রেগে বিরক্তিকর ভাবে মাহিমের দিকে তাকিয়েই)
মাহিম:-আপনার মতো মেয়েরা এটা ছাড়া আর কিবা করতে পারে?
প্রিয়া:-বুঝে গেছেন তো?বুঝে যখন গেছেন তখন আমার পথটা ছাড়ুন বলছি।(বিরক্তিকর ভাবে)
প্রিয়াকে বিরক্তিকর ভাবে তার সাথে কথা বলতে দেখে মাহিম কিছুক্ষণ চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।তারপর বলতে লাগলো..
মাহিম:-এখন আমার ছায়া দেখতেই বিরক্তিকর লাগছে নিশ্চই?(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
প্রিয়া:-আপনি যেটা মনে করেন সেটাই(বিরক্তিকর ভাবেই)
মাহিম কিছু বলছে না।মাহিমও কিছুক্ষণ রাগ নিয়ে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর….
মাহিম:-তো এখন কি লোকজন বাসাতে নিয়ে আসবেন নাকি অন্য কোথাও গিয়ে উঠবেন?
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে মাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকার পর…..
প্রিয়া:-কেন আপনিও আবার আসবেন নাকি?….এক রাতের জন্য?(মাহিমের দিকে তাকিয়েই)
মাহিম:-(রেগে)এই আপনি আবারও কিন্তু আপনার Limit Cross করে যাচ্ছেন।এরপর কিন্তু আমি…..
প্রিয়া:-কি মারবেন আমাকে?
রাগি ভাবে মাহিমের দিকে তাকিয়ে প্রিয়া বলল।
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে চুপ করে থেকে তারপর বলল..
মাহিম:-প্রয়জন হলে তাই করবো(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
প্রিয়া:-মারুন না দেখি।এটা আপনার বাসা নয়।আর আমিও আপনার বাসার কাজের মেয়ে নই যে আপনার সমস্ত কিছু সহ্য করবো?
মাহিম নিশ্চুপ কিছু বলল না।শুধু রাগি চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।এরপর প্রিয়া আবার বলতে লাগলো.
প্রিয়া:-ভূলে যাবেন যে এটা একটা পাবলিক রোড।চারদিকে লোকজন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।লোকজন ডেকে আমিও কিন্তু আপনাকে…..
প্রিয়া আর কিছু বলার আগেই মাহিম প্রছন্ড রাগ নিয়ে।খুব জোর দিয়ে ঠাসস করে একটা চড় বসিয়ে দিল প্রিয়ার গালে।মাহিম প্রিয়ার গালে চড় বসাতেই চারদিকে লোকজন অবাক দুষ্টিতে তাকিয়েই রইলো তাদের দিকে।প্রিয়ার গালে চোখ পরতেই মাহিম দেখতে পেলে মুহূর্তেই প্রিয়ার গালে আঙ্গুলের দ্যাগ বসে গেল।কিছুক্ষণ পর প্রিয়া মাহিমের দিকে তাকাতেই মাহিম দেখতে পেলে প্রিয়ার ঠোঠের কোনায় রক্ত আর চোখ দিয়ে জল গড়ি পরছে। ভেজা চোখ নিয়ে একটু রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে মাহিমের দিকে!
…Waiting for next part….
ভালো লাগলে পড়বেন আর,
ভালো না লাগলেও কেউ
বাজে কমেন্ট করবেন না!
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)