“বউ যখন কাজের মেয়ে” >পর্ব-৩১

0
2783

“বউ যখন কাজের মেয়ে”
>পর্ব-৩১
লিখা-মান্না ইসলাম মাহিম
.
প্রিয়ার এমন সিরিয়াস অবস্থা দেখে প্রিয়ার মামী প্রিয়ার মামাকে ফোন করে সবকিছুই খুলে বলল।
প্রিয়ার মামা প্রিয়ার কথা শুনা মাত্রই উনার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরলো।উনি আর কোন কথা না বলেই ফোন কেটে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রওনা হয়।আর উনি বাড়ি ফিরে আসে।গতকাল প্রিয়ার টেনশনে প্রিয়ার কথা জানাতে পরেনি।প্রিয়ার সুস্থর হওয়ার পরের দিন সকাল বেলা প্রিয়ার মামাকে জানায়।আর উনি সকাল বেলা বাড়িতে ফিরেই খাবার নিয়ে Hospital এ রওনা দেয়!
প্রিয়া আর কিছু বলার আগেই মাহিম প্রছন্ড রাগ নিয়ে।খুব জোর দিয়ে ঠাসস করে একটা চড় বসিয়ে দিল প্রিয়ার গালে।মাহিম প্রিয়ার গালে চড় বসাতেই চারদিকে লোকজন অবাক দুষ্টিতে তাকিয়েই রইলো তাদের দিকে।প্রিয়ার গালে চোখ পরতেই মাহিম দেখতে পেলে মুহূর্তেই প্রিয়ার গালে আঙ্গুলের দ্যাগ বসে গেল।কিছুক্ষণ পর প্রিয়া মাহিমের দিকে তাকাতেই মাহিম দেখতে পেলে প্রিয়ার ঠোঠের কোনায় রক্ত আর চোখ দিয়ে জল গড়ি পরছে। ভেজা চোখ নিয়ে একটু রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে মাহিমের দিকে।
কিছুক্ষণ মধ্যেই চারদিকে অনেক লোকজন জোরো করে হয়েগেল।সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাদের তাকিয়ে আছে।সবাই নানান ধনের প্রশ্ন করছে মাহিমকে”কি হয়েছে?কেন মারলেন উনাকে?কি অপরাধ করেছে উনি?উনি কি হয় আপনার?মাহিম কি বলবে বুঝতে পারছে না।সবাই নানানধনের প্রশ্ন শুনে রেগে একটা থমক দিয়ে বলল”আমাদের মাঝে কেউই কোন কথা বলতে আসবেন না”একেই তো একটা মেয়ের উপর হাত তুলে রক্ততাক্ত করেছে আবার তার বড় কড় কথা”পাশে থাকা এক ভদ্রলোক মাহিমের কথা শুনে বলে উঠলো।প্রিয়ার চোখে জল একদম চুপ করে আছে কিছু বলছে না।
প্রিয়ার ঠোঠে রক্ত আর চোখে জল দেখে এক ভদ্রলোক মাহিমের কাছে এসে..
ভদ্রলোক:-কিছু বলছেন না কেন?আপনি রাস্তার মাঝে এভাবে একটা মেয়ে কে মেরে রক্ততাক্ত করলেন কেন?”রাগি কণ্ঠে মাহিমের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে”ভদ্রলোকটি মাহিমের কাছে এগিয়ে আসতেই মাহিম রেগে ভদ্রলোকের শার্ট কলার ধরে রাগি কন্ঠে”বলছি না আমাদের কেউই কথা বলতে আসবেন না”মাহিম ভদ্রলোকের শার্ট এর কলার চেপে ধরতেই সবাই রেগে চিৎকার দিয়ে উঠে মাহিমের দিকে আসতে লাগলো।মাহিমের দিকে সবাই কে রেগে এগিয়ে যেতে দেখে প্রিয়া দ্রুত এসে ভদ্রলোকটির শার্ট কলার ছাড়িয়ে দিয়ে মাহিমের সামনে দাড়িয়ে মাহিমকে পিছনে রেখে সবার পথ আঠকে ধরে হাত জোর করে মিনতি করে বলতে লাগলো…
প্রিয়া:-আপনার প্লিজ সবাই চুপ করুন।আমরা দু’জনি স্বামী স্ত্রী।এটা আমাদের স্বামী স্ত্রীরর ব্যাপার।উনার হয়ে আমি আপনাদের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাই।আপনারা প্লিজ সবাই এখন থেকে চলে যান।(চোখে জল নিয়ে সবার সামনে হাত জোর করে মিনতি করতে করতে)
প্রিয়া মাহিমের সামনে এসে এভাবে কথা বলতে দেখে সবাই থেমে গেলো।তারপর তাদের মাঝ থেকে সবাই রেগে নানানধরনের কথা বলতে লাগলো প্রিয়াকে.
–সেটা আগে বললেই হত?
–ঘরের ঝামেলা ঘরেই মিঠালে ভালো হয় না?
–শুধু আপনি আপনার স্বামীর হয়ে হাত জোর করে ক্ষমা চাইলেন বলেই কিন্তু আপনার স্বামীকে আজকে ছেড়ে দিলাম।নাহলে একজন পুলিশ অফিসারের গায়ে দাওয়ার জন্য আপনার স্বামীকে থানায় নিয়ে জেতাম!
ভদ্রলোকের কথা শুনে মাহিম রেগে আবার ভদ্রলোকের কাছে এগিয়ে আসতে লাগলো এমন সময় প্রিয়া মাহিমকে আঠকে বললতে লাগলো..
প্রিয়া:-আমি কথা বলছি তো আপনি প্লিজ একটু চুপ করুন..
মাহিমকে আঠকে মাহিমের দিকে তাকিয়ে বলেই প্রিয়া সবাইকে উদ্দিশ্য করে হাত জোর করে বলতে লাগলো..
প্রিয়া:-আমি আবারও হাত করে বলছি প্লিজ আপনারা সবাই চলে যান এখান থেকে প্লিজ..
সেই ভদ্রলোক প্রিয়াকে হাত জোর করে চোখে জল নিয়ে অনুরধ করা দেখে সবাই কে উদ্দিশ্য করে বলল”হয়েছে হয়েছে এবার যে যার কাজে চলে যাও,চলো সবাই চলো”
এরপর সেই ভদ্রলোকের কথা শুনে কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই চলেগেলে।সবাই চলে যাওয়ার পর প্রিয়া মাহিমের দিকে তাকালো।মাহিম দেখতে প্রিয়া অসহায় দৃষ্টিতে ভেজা চোখে একটু রাগ তার দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে চোখের চল মুছতে মুছতে চলেগেলো।মাহিম ও কিছু বলছে না।একদম চুপ হয়ে প্রিয়ার চলে যাওয়া দেখছে।
হঠাৎ প্রিয়া বলে চিৎকার ভেসে আসতেই প্রিয়া তাকিয়ে দেখলো তার মামা তাকে ডাকছে।মাহিম ও দেখতে পেলো প্রিয়ার মামা হাতে খাবার নিয়ে রাস্তার ওপাশে দাড়িয়ে প্রিয়াকে ডাকছে।
প্রিয়া তার মামার চিৎকার শুনে রাস্তার ওপাশে যাওয়া চেষ্টা করলো কিন্তু পারছে না।একটার পর একটা গাড়ি আসতেই আছে।প্রিয়ার মামা সেটা লক্ষ করে প্রিয়া হাত দিয়ে ইশারা করে বলল দাড়িয়ে থাকতে।এরপর দাড়িয়ে রইলো আর প্রিয়া মামা রাস্তা পর হতে লাগলো।মাহিম একবার প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে গাড়ির কাছে এসে গাড়ির দরজা খুললো।প্রিয়া দাড়িয়ে একটু আরচোখে মাহিমের দিকে তাকাতেই প্রিয়ার চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো।প্রিয়ার চোখে কেন জানি পানি চলে আসলো।প্রিয়া চোখের পানি মুছে প্রিয়া তার মামার দিকে তাকাতেই দেখলো মাঝ রাস্তায় হঠাৎ একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে রক্ততাক্ত হয়ে পরতেই প্রিয়া চিৎকার দিয়ে কেদে উঠে হাতের সমস্ত কিছু ফেলে দিয়ে প্রিয়ার মামার কাছে দৌড়ে গেলো।প্রিয়ার আত্ত চিৎকার শুনে মাহিম চমকে উঠে পিছনে দিকে তাকাতেই সবকিছুই দেখতে পেলো আর দৌড়ে ছুটে আসলো প্রিয়ার কাছে।তারপর প্রিয়ার মামাকে দ্রুত হসপিতালে নিয়ে গেলো।ডাক্তার পেসেন্ট এর অবস্থা দেখে দ্রুত ইমার্জিন্সিতে নিয়ে।আর প্রিয়া রক্তাক্ত নিয়ে কান্না করতে লাগলো ইমার্জিন্সি রুমে সামনে।
একটু পর ডাক্তার বেড় হতেই প্রিয়া দৌড়ে ডাক্তারের কাছে ছুটে আসলো এসে…
প্রিয়া:-ডাক্তার বাবু আমার মামা ঠিক আছে তো? আমার মামার কিছু হয়ে যায়নি তো?(কেদে কেদে অস্থিরতা কন্ঠে)
ডাক্তার:-দেখুন ওনার মাথায় অনেক জোরেই আঘাত লেগেছে।যত তারাতারি সম্ভবনা খুব দ্রুত অপারেশন করাতে হবে।আপনি তারাতারি হসপিতালে ৩লাক্ষ টাকা পেমেন্ট করে দিন।
ডাক্তারের কথা শুনে প্রিয়া মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো আবস্থা।একদম থমকে গেলো কি বলবে বুঝতে পারছে না।এরপর মাহিম বলতে লাগলো..
মাহিম:-নো প্রবলেম! আপনি অপারেশন এর ব্যবস্থা করুন আমি টাকা পেমেন্ট করে দিচ্ছি।
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া চমকে উঠে বলল.
প্রিয়া:-না!
প্রিয়া কথা শুনে দু-জনি অবাক দৃষ্টিকে তাকালো প্রিয়ার দিকে।এরপর মাহিম বলতে লাগলো..
মাহিম:-না মানে?(প্রিয়ার দিকে তাকিয়েই)
এরপর প্রিয়া চোখে জল নিয়ে রাগি ভাবে মাহিমের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো..
প্রিয়া:-আপনি কেন টাকা দিবেন?আপনার জন্যই আজকে এই অবস্থা।এই সবকিছুই জন্য একমাত্র আপনিই দায়।আর আপনি ভাবলেন কি করে যে আমি আপনার টাকা নিব!
চোখের জল মুছে মাহিমের দিকে তাকিয়ে রাগি কন্ঠে প্রিয়া বলল।প্রিয়ার কথা শুনে ডাক্তার বলল.
ডাক্তার:-দেখুন এখন কথা বলার সময় নয়! পেসেন্ট এর অবস্থা বেশি ভালো নয়।৫ঘণ্টার মধ্যেই অপারেশন করাতে হবে।আপনারা টাকার ব্যবস্থা করুন!
প্রিয়া:-আপনি অপারেশন এর ব্যবস্থা করুন আমি যত দ্রুত সম্ভব টাকা জমা করে দিচ্ছি!
প্রায় সারাদিনিই চলেগেল কিন্তু প্রিয়া শত চেষ্টা করেও কোথাও টাকা ম্যানেজ করতে পারলো না।ক্লান্ত হয়ে হসপিতালে এসে..
প্রিয়া:-ডাক্তার বাবু আপনি অপারেশন এর কাজ শুরু করুন আমি যত দ্রুত সম্ভব আপনাদের টাকা দিয়ে দিব(ডাক্তারের কাছে হাত জোর করে কেদে কেদে)
ডাক্তার:-আপনার পেসেন্ট এর অপারেশন হয়েগেছে তো।জ্ঞান ফিরলেই অনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ডাক্তারের কথা শুনে প্রিয়ার কান্না থেমে গেলো।
চোখে জল নিয়ে একটু হাসি মুখে বলল..
প্রিয়া:-অপারেশন হয়েগেছে?
ডাক্তার:-হুমম হয়েগেছে।
প্রিয়া:-ধন্যবাদ ডাক্তার বাবু আমি যত দ্রুত সম্ভব আপনাদের টাকা দিয়ে দিব।
ডাক্তার:-পেমেন্ট জমা হয়েগেছে..
ডাক্তারেরর কথা শুনে প্রিয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল..
প্রিয়া:-কে দিল টাকা?
ডাক্তার:-আপনার সাথে যে ভদ্রলোকটি ছিল, উনিই সময় মতো টাকা পেমেন্ট করেছে বলেই তো সময় মতোই অপারেশন Success হয়েছে।
ডাক্তারের কথা প্রিয়া একদম থমকে গেলো।মুখ দিয়ে কোন কথা বেড় হচ্ছে না।ডাক্তারের কেবিন থেকে বেড় হতেই দেখলো মাহিম ওর মামার কেবিনের সামনে দাড়িয়ে আছে।প্রিয়া মাহিমের কাছে যেতেই মাহিম প্রিয়াকে দেখে বলে উঠলো..
মাহিম:-কই টাকা এনেছেন?(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
মাহিমের কথা প্রিয়া কোন উত্রর করলো না চুপ করে রইলো।এরপর মাহিম আবার বলল..
মাহিম:-কি হলো কথা বলছেন না কেন?
এরপর প্রিয়া একটু রাগি ভাবে বলে উঠলো..
প্রিয়া:-না!কিন্তু আমি আপনার টাকা শোধ করে দিব।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
প্রিয়ার কথা শুনে মাহিম চুপ করে রইলো।আর কিছুক্ষণ চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বলল..
মাহিম:-কি ভাবে আমার রিন শোধ করবেন শুনি?
“প্রায় রাত হয়ে আসলো মাহিম ড্রাইভিং করছে আর প্রিয়া তার সিটে মন খারাপ করে একদম চুপ করে বসে আছে কিছু বলছে না।মাহিম একবার প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে সেটা দেখার পর বলে উঠলো..
মাহিম:-কি ব্যাপার চুপ করে আছেন কেন?
প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে শুধু মাহিমের দিকে একবার তাকালো।কিছু বলল না।এরপর মাহিম আবার বলল..
মাহিম:-তখন আপনার ব্যবহারে খুব অবাক হয়েছি।
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার বলল..
প্রিয়া:-এ আর নতুন কথা কি?
মাহিম:-না আমার কাছে বিষয়টা নতুন!…তখন লোকগুলো যখন আমাকে চারদিকে ঘিরে ধরেছিল।…তখন আপনি সবার সামনে আমাকে নিজের স্বামী বললেন?
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়ার দিকে তাকালো।কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে থাকার পর…
প্রিয়া:-ভূল হয়েগেছে ক্ষমা করবেন!
মাহিম:-কি?
প্রিয়া:-বলছি ভূল হয়েগেছে!অতগুলো লোকের সামনে আপনাকে আমার স্বামী বলে অপমান করেছি তার জন্য ক্ষমা চাইছি আপনার কাছে।(একটু রাগি ভাবে)
মাহিম:-তার মানে আপনি দয়া করেছেন আমার উপর তাই তো?
প্রিয়া:-আমি দয়া করবো তাও আবার আপনাকে?…আমাকেই সবাই দয়া করে!
এইবলেই প্রিয়া অন্যদিকে তাকালো।এরপর মাহিম ড্রাইভিং করতে করতে বলল..
মাহিম:-তাই তো করেছেন!অতগুলো লোকের হাত থেকে আমাকে বাঁচালান।নাহলে অতগুলো লোকের সামনে আপনি মিথ্যে কথা বলতে যাকেন কেন?
প্রিয়া নিশ্চুপ কিছু বলল না।প্রিয়াকে চুপ করে থাকা দেখে মাহিম আবার বলে উঠলো…
মাহিম:-যাইহোক আজকে পর থেকে তো আপনার সাথে আমার….
প্রিয়া:-মালিক আর ভিত্তের সম্পর্ক,এটা আমি কোনদিনও ভুলবো না।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
মাহিম নিশ্চুপ কিছু বলল না।শুধু প্রিয়ার দিকে একবার তাকালো!এরপর প্রিয়া আবার বলতে লাগল..
প্রিয়া:-আগে মিথ্যে মূল্যহীন একটা সম্পর্কের বিনিময় আপনাদের বাসায় থাকতাম।
আর এখন সেটাও নেই জানি আমি।
প্রিয়ার কথা শুনে একটু রেগে মাহিম বলে উঠলো..
মাহিম:-দেখুন আমি কিন্তু আপনাকে আমার নিজের প্রয়জনে নিয়ে যাচ্ছি না!
প্রিয়া:-হ্যা দয়া করে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা আমি জানি!
প্রিয়ার শুনে মাহিম কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার বলে উঠলো..
মাহিম:-প্রথমে তো দয়া নিতে চাইছিলেন না..
প্রিয়া:-তারপর নিয়েছি তো..(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
মাহিম:-হঠাৎ মত বদলালেন যে?
প্রিয়া নিশ্চুপ কিছু না বলে অন্যদিকে মুখ ঘুড়ে তাকালো।প্রিয়াকে চুপ করে থাকা দেখে মাহিম বলে উঠলো..
মাহিম:-কি হয়েছে? টাকা খচর হয়েছে তাতে আপনার কি?
প্রিয়া:-আমি খারাপ মেয়ে ঠিকি।কিন্তু এতটা খারাপ হতে পারিনি যে সুযোগ নিয়ে একজনকে সর্বস্বান্ত করে দিব।
মাহিমের দিকে বলেই আবার অন্যদিকে তাকালো
এরপর মাহিম বলে উঠলো..
মাহিম:-ওর তার মানে আপনি আমাকে দয়া দেখাচ্ছেন?
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া মাহিমের একবার তাকালো তারপর অন্যদিকে ঘুড়ে চুপ করে রইলো।
মাহিম ও আর কিছু বলল না।চুপ করে রইলো।
দু-জনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর মাহিম দেখলো প্রিয়া মন খারাপ করে মুখটা কালো বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।প্রিয়াকে এভাবে দেখে মাহিম বলে উঠলো..
মাহিম:-আমাদের বাসায় ঔভাবে থাকতে আপনার ভালো লাগবে?
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া মাহিম দিকে অন্যরকম একটা মায়ার দৃষ্টিতে তাকালো।মাহিম ও প্রিয়ার দিকে তাকাতেই প্রিয়া তার চোখ সরিয়ে বলল..
প্রিয়া:-আপনার কি মনে হয় আমার জীবনে ভালো মন্দ আর কিছু বাকি আছে?
….waiting for next part…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here