বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . পর্ব-১৪

0
2800

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-১৪
লেখা:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
প্রিয়া কিছু বলছে না শুধু মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।মাহিমও আর কিছু বলছে না প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো।চারদিকটা একদম নির্জন,কোন কিছুরি শব্দ নেই।মাহিম আর প্রিয়াও কিছু বলছেনা শুধু দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর আকাশ থেকে বৃষ্টি নামতে লাগলো।
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা প্রিয়ার ঠোঁটে পরতেই প্রিয়ার সারা শরিল কেঁপে উঠতেই প্রিয়া মাহিমের শার্ট এর কলাল চেঁপে ধরলো।
আকাশ থেকে আশা বৃষ্টি দুজনার শরিলকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।মাহিম দেখতে পেলো বৃষ্টির পানিতে প্রিয়ার ঠোঁট গুলো কেমন কাঁপছে।মাহিম চোখ বন্ধ করে একটু একটু করে প্রিয়ার মুখের কাছে নিজের মুখ এগিয়ে আনতে লাগলো।প্রিয়া কিছুক্ষণ মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকার পর চোখ বন্ধ করে ফেললো।
মাহিম প্রিয়ার মুখের কাছে নিজের মুখ এগিয়ে আনতেই হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতেই প্রিয়া ভয় পেয়ে মাহিমের শার্ট এর কলার আরো শক্ত করে চেপে ধরে মাহিমের বুকে মুখ লুকালো।
.
এরপর মাহিম চোখ খোলে দেখলো প্রিয়া অনেটাই ভয় পেয়ে বাচ্চাদের মতো তার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে চুপ করে আছে।
.
মাহিম:-কি ভয় পাচ্ছেন?
.
প্রিয়া:-হুমম খুব(চোখ বুঝেই বাচ্চাদের মতো করে)
.
.
তারপর মাহিম কোলে করেই প্রিয়া নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিল।এরপর বাড়িতে নিয়ে আসলো।
.
.
.
“পরের দিন সকাল বেলা।”
অর্পার চিৎকারে মাহিমের ঘুম ভাঙ্গলো।মাহিম ঘুম থেকে উঠে দেখলো অর্পা রাগি কন্ঠে খুব জোরে জোরে চিৎকার দিয়ে প্রিয়াকে ডাকছে।
মাহিম ব্যাপারটা ঠিক বুঝলো না।প্রিয়া তো খুব সকাল বেলাই উঠে।তাহলে অর্পা কেন এত চিৎকার দিয়ে বাড়ি মাথায় তুলছে।মাহিম খাঁটের উপর থেকে নামতে ঠিক তখনি দেখতে পেলো যে প্রিয়া এখনো ঘুম থেকেই উঠেনি।
মাহিম ব্যাপারটা ঠুক বুঝলো না।
সে খাঁট থেকে মেনে প্রিয়াকে ডাকতে লাগলো।কিন্তু প্রিয়া কোন সারা দিচ্ছে না।
এরপর মাহিম প্রিয়ার গাঁয়ে হাত দিতেই দেখলো কালকে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজাতেই প্রিয়ার অনেক জ্বর এসেছে।
মাহিমের স্পর্শ পেতেই প্রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।প্রিয়া চোখ খুলেই দেখলো মাহিম তার পাশে।প্রিয়া মাহিম কে দেখে উঠতে যাবে কিন্তু না উঠতে পারছেনা।মাহিম সহ প্রিয়াকে ধরিয়ো উঠিয়ে দিল।প্রিয়া দেখলো অনেটাই বেলা হয়েগেছে তাই মনে হয় মাহিম তাকে ডেকে দিচ্ছে তাই সে বলল
প্রিয়া:-আসলে মাথাটা অনেক ধরেছে তাই বুঝতে পারিনি।আপনি যান ফ্রেশ হন আমি এক্ষনি আপনার জন্য নাস্তা করে আনছি।
.
এইবলে প্রিয়া উঠতে যাবে কিন্তু মাহিম তাকে উঠতে দিল না।
.
মাহিম:-না না একদম উঠবেন না।
.
প্রিয়া:-মানে?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আপনার গাঁয়ে তো অনেক জ্বর।এই জ্বর নিয়ে উঠার কোন দরকার নেই।
.
প্রিয়া:-আজকে সুর্য কোন দিকে উঠেছে বলুন তো?
.
মাহিম:-কেন সুর্য যেই দিকে উঠার কথা সেই দিকেই তো উঠেছে।আপনার কি মনে হয় আজকে সুর্য অন্যদিকে উঠেছে।
.
প্রিয়া:-আমার কাছে তো তাই মনে হচ্ছে।
.
মাহিম:-মানে?
.
প্রিয়া:-মানে এর আগেও তো আমি জ্বর নিয়ে আপনাদের বাসায় কাজ করেছি।কই তখন তো কিছু বলেননি।
.
মাহিম:-এর আগে বলিনি এখন বলছি।(একটু রেগে)
.
প্রিয়া:-কেন এখন বলবেন কেন?
.
মাহিম:-সেটা আপনার জানতে হবে না।আপনি বসুন আমি ফ্রেশ হয়ে আপনার জন্য ঔষধ নিয়ে আসছি।একদম উঠবেন না কিন্তু।
.
এইবলে মাহিম ওয়াশরুমে গেলো।
.
.
কিছুক্ষণ পর মাহিম ওয়াশরুমে থেকে বের হয়ে আসলো।এসে দেখলো যে প্রিয়া নেই উঠে গেছে,মাহিম অনেকটি রাগ নিয়ে নিছে আসলো।
.
মাহিম নিছে এসে দেখলো সবাই টেবিলে বসে আর প্রিয়া সবাইকে নাস্তা দিচ্ছে।
মাহিম খাবার টেবিলের কাছে এসে সবার দিকে লক্ষ করে বলল
.
মাহিম:-এটা কি ঠিক হচ্ছে?(একটু রেগে)
.
মাহিমের কথা শুনে সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
.
অর্পা:-কোনটা কি হচ্ছে না,কিসের কথা বলছিস তুই?
.
মাহিম:-ও কে দিয়ে যে তোমরা এভাবে কাজ করাচ্ছ এটা কি ঠিক হচ্ছ?
.
অর্পা:-মানে কি বাড়ির কাজের মেয়ে বাড়ির কাজ করবে না তো কি বোসে থাকবে?
.
মাহিম:-হুম কাজ করবে তাই বলে একটা অসুস্থ মানুষকে দিয়ে এভাবে কাজ করে নেওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?
.
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া বলে উঠলো
প্রিয়া:-না না আমার তো কোন অসুবিধা হচ্ছে না,আপনি শুধু শুধু কেন এত কিছু বলছেন।আর কেউ আমাকে কিছু করতে বলেনি আমি নিজে থেকেই সব করছি।
.
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে রেগে প্রিয়া কাছে এগিয়ে গিয়ে
মাহিম:-আপনাকে আমাদের মধ্যে কেউ কথা বলতে বলেনি।(রেগে)
.
প্রিয়া:-বারে আমার ব্যাপারে কথা হচ্ছে আর আমি কথা বলবো না।(মাথা নিচু করে ভয় ভয় করে)
.
মাহিমের মা:-তুমি তো খুব ভালো নাটক করে পারো হে মেয়ে।
.
সবাই নিশ্চুপ।
.
মাহিমের মা:-রাতের বেলা আমার ছেলে কান ভরাও অন্য কথা বলে।আর দিনের বেলা আমাদের সামনে উল্ট সুরে গান গাও।
.
প্রিয়া:-মাআআ…(আর কিছু বলার আগেই)
.
মাহিমের মা:-চুপ একদম চুপ।একটা কথাও বলবে না।
.
প্রিয়া:(…..)
.
মাহিমের মা:-এই তোমাদের মতো মেয়ে কে আমি চিনিতো আমার খুব ভালো করে চেঁনা আছে।
.
প্রিয়া:-রাতের বেলা আমি আপনার ছেলে কে কিছু বলিনা মা।আপনি চাইলে আপনার ছেলে কে জিগ্যেস করতে দেখতে পারেন।(মাথা নিচু করেই)
.
মাহিম:-আমাকে কেউ কিছু বলেনা মা,আমি যা বলছি নিজে থেকেই বলছি।একটা অসুস্থ মানুষকে দিয়ে তোমরা এত কাজ করাতে পারো না।সেটা মানুষ হিসাবে দেখতে আমার খারাপ লাগে।(বিরক্তিকর ভাবে)
.
কেউ কিছু বলছে না।
.
মাহিম:-আপনাকে আমি কি বলে ছিলাম।বলে ছিলাম না বিছানা থেকে না উঠতে।তারপরেও আপনি উঠেছেন কেন?(রেগেই)
.
প্রিয়া কিছু বলছে না মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
.
মাহিম:-এক্ষনি আমার রুমে আমার জন্য কপি নিয়ে আসুন।
.
এইবলে মাহিম উপরে গেলো।
.
.
প্রিয়া সবাইকে নাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ পর মাহিমের জন্য কপি নিয়ে মাহিমের রুমে আসলো।
.
প্রিয়া রুমে এসে দেখলো মাহিম খাঁটের উপর রাগি মুখ করে বোসে আছে।প্রিয়া কপির কাপটা মাহিমের দিকে বারিয়ে দিয়ে…
প্রিয়া:-আপনার কপি(ভয় ভয় করে)
.
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়ার মুখে ভয়ের ছাপ।মাহিম কিছু না বলে কপির কাপটা হাত নিয়ে খুব শান্ত ভাবে বলতে লাগলো।
মাহিম:-আচ্ছা আমি যে আপনাকে কথা গুলো বলি এগুলো কি বোঝেন না নাকি বুঝেও আমার কথা গুলুর আপনি কোন গুরুর্ত দেন না।
.
প্রিয়া:-মানে?
.
মাহিম:-মানে আমি যে তখন আপনাকে বললাম যে বিছানা থেকে না উঠতে। তারপরেও কেন আপনি আমার কথা শুনলেন না।
.
প্রিয়া:-অসুস্থ হয়ে বাড়ির লোকজন বিছানা থেকে না উঠলেও চলবে।কিন্তু বাড়ির কাজে মেয়ে না উঠলে চলবে না।আর আমি তো এই বাড়ির বউ না।এই বাড়ির কাজের মেয়ে।আমি না চাইলেও আপনাদের বাসা আমাকে কাজ করেই খেতে হবে।(অভিমানী সুরে)
.
মাহিম কিছু বলছে না শুধু প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-আপনার আর কিছু লাগবে?
.
মাহিম:-না লাগবে না।
.
প্রিয়া:-আচ্ছা
.
এইবলে প্রিয়া রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
.
প্রিয়া রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মাহিম বোসে বোসে ভাবতে লাগলো”-প্রিয়া তো ঠিকি বলেছে ও তো এই বাড়িতে আমার বউ হিসাবে না এই বাড়ির কাজের মেয়ে হিসাবে রয়েছে।আর যতদিন প্রিয়া এই বাড়িতে কাজের মেয়ে হয়ে থাকবে ঠিক ততদিনি প্রিয়াকে এই বাড়িতে কাজ করেই খেতে হবে।
কিন্তু আমি তো চাই না যে প্রিয়া এই বাড়িতে কাজের মেয়ে হয়ে থাকুক,সবাই প্রিয়া কে অবহেলা,অপমান করুক,ও কে এই বাড়িতে কাজ করে খেতে হোক।
আমি চাই যে প্রিয়া এই বাড়িতে আমার স্ত্রীর পরিচয়ে থাকুক,কেউ যেন প্রিয়াকে কিছু না বলে।প্রিয়াকে যেন এই বাড়িতে কাজ করে খেতে না হয়।
হ্যাঁ একটা সময় আমি চাইতাম যে প্রিয়া অনেক কষ্ট পাক,প্রিয়াকে এই বাড়িতে কাজ করে খেতে হোক।
কিন্তু তার মানে এই না যে প্রিয়াকে সারা জীবন এই বাড়িতে এভাবেই থাকতে হবে।
তখন চাইতাম তার কারণ আমি যখন আমার ভালোবাসা নিয়ে আমি প্রিয়ার কাছে গিয়ে ছিলাম,তখন সে আমায় অবহেলা,অপমান করে ফিরে দিয়েছিল।তাই প্রিয়ার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চাইতাম।কিন্তু এখন তো আমি তা চাইনা,যতই দিন যাচ্ছে আমি ততই প্রিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পরছি,আরো বেশি প্রিয়াকে ভালোবেসে ফেলছি।কিন্তু প্রিয়া এটা বুঝতে পারেনা কেন?
আমি ওর এত care নিচ্ছি, ওর সাথে ভালো ব্যাহার করছি,ভালো ভাবে কথা বলছি।এই গুলো আমি কেন করছি ও কি কিছুই বুঝতে পারেনা।
আমি তো প্রিয়াকে আমার জীবনের থেকেও অনেক ভালোবাসি।কিন্তু প্রিয়া কি আমাকে ভালোবাসে নাকি ও এখনো আমাকে ভাবে যে আমি একটা খারাপ মানুষ চরিত্রহীন।
এটা আমাকে জানতে হলে আমায় প্রিয়ার পরিক্ষা নিতে হবে।পরিক্ষা নিয়েই আমাকে জানতে হবে যে প্রিয়া আমাকে ভালোবাসে নাকি এখনো আমাকে একটা খারাপ মানুষ ভাবে আমাকে অপছন্দ করে আমাকে ভালোবাসে না বলেই আমার কথার কোন গুরুর্ত দেয় না।সবকিছু প্রিয়াকে পরিক্ষা করলেই বুঝতে পারবো।(একা একা মনে মনে)
.
.
.
.
“তারপরের দিন সকাল বেলা”
বাহিরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে মাহিম বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
.
“কিছুক্ষণ পর”
মাহিম ওয়াশরুম থেকে বেড় হতেই প্রিয়া বলে উঠলো
প্রিয়া:-আপনার নাস্তা কি রুমে নিয়ে আসবো?
.
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে প্রিয়ার দিকে ঘুরে তাকাকেই দেখলো প্রিয়া আজকে একটু অন্যরকম ভাবে সেজেছে।দেখে মনে হচ্ছে একটু আগেই গোসল করেছে।
লীল একটা শাড়ী কপড় পরেছে, চুল গুলো বেধেছে ঠিকি কিন্তু সামনে এক দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট কিছু চুল বেড় করে রেখেছে।ঠোঁঠে হালকা করে লাল লিবিস্টিক মেখেছে।আর শাড়ীর আচলটা কমড়ে গুজে রেখেছে।যদিও প্রিয়া এর আগে কখনো এই ভাবে সেজে-গুজে মাহিমের সামনে কখনো দাড়ায়-নি।আজকে হালকা সাজে প্রিয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে বাট মাহিমের চোখে প্রিয়াকে অন্যরকম লাগছে।ভেজা চুল আর কমড়ে শাড়ীর আচলটা গুজে রাখেতে প্রিয়াকে একটু হট-হট লাগছে।
বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে মাহিম প্রিয়াকে এভাবে দেখে তার ভিতরে অন্যরক একটা অনুভূতি কাজ করতে লাগলো।খুব ইচ্ছা করছে তার প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরতে প্রিয়ার কমল নমর ঠোঁঠের সাথে তার নিজের মিষ্টি একটা সম্পর্কে চলে যেতে।
প্রিয়া:-কি হলো বলুন?নাস্তা রুমে নিয়ে আসবো নাকি?
.
মাহিম কিছু বলছে না।অন্যরকম একটা দৃষ্টি নিয়ে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-কি হলো আমার দিকে তাকিয়ে কি দেখছেন?
.
মাহিম:-আপনাকে
.
প্রিয়া:-ওমা মনে হচ্ছে এর আগে কখনো আমায় দেখেন-নি??আজকে প্রথম দেখছেন।
.
মাহিম:-হুমম দেখেছি বাট আগের দেখার থেকে আজকে আপনাকে অন্যরকম লাগছে(প্রিয়ার কাছে এগিয়ে যেতে)

প্রিয়া:-মামানে কি বলছেন আপনি(ভয় ভয় করে পিছন দিকে পিছতে পিছতে)
.
মাহিম প্রিয়ার কথার কোন উত্রর না দিয়ে শুধু প্রিয়ার দিকে এগিয়েই যাচ্ছে।
প্রিয়া ভয় ভয় করে পিছতে পিছতে প্রিয়া দেওয়ালের সাথে প্রিয়ার পিঠ লেগে গেলো।
মাহিম প্রিয়ার একদম কাছাকাছি চলে আসলো।
মাহিম একহাত দিয়ে প্রিয়ার মুখের উপর পড়া ছোট্ট চুল গুলো সরিয়ে দিতে লাগলো।
প্রিয়া:-কি করছেনটা কি মাহিম বাবু।সড়ুন আমার অনেক কাজ আছে(হাত দিয়ে মাহিম সড়ানোর চেষ্টা করে)
.
মাহিম কিছু না বলে প্রিয়া হাতটা দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
প্রিয়া:-কিক কি করছেনটা কি মাহিম বাবু ছাড়ুন(হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
.
মাহিম কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে ধিরেধিরে প্রিয়ার মুখের কাছে নিজের মুখ এগিয়ে আনতে লাগলো প্রিয়ার কমল নমর ঠোঁঠের সাথে তার নিজের মিষ্টি একটা সম্পর্কের জন্য।
.
এমন সময় অর্পা প্রিয়াকে ডাকদিল তার নাম ধরে।
.
প্রিয়া:-আআপু ডাডাকছে(ভয় ভয় করে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-দেখুন এখনো না গেলে পড়ে আবার আপনার আপু বকা দিবে আমাকে,আমি যাই।
.
এইবলে প্রিয়া একহাত দিয়ে আর একটা হাত ছাড়াতে শহ জোরে ঝটকা দিতেই মাহিমের গাঁলে গিয়ে থাপ্পড় দেওয়ার মতো করে লেগে গেলো।
প্রিয়ার হাত মাহিমের গালে লাগতেই মাহিমের ঘোর কাঠলো,মাহিম চমকে উঠে প্রিয়ার দেওয়ালের সাথে চেপে ধরা হাতটা ছেড়ে দিয়ে প্রিয়ার কাছ থেকে সরে দাড়ালো।মাহিম নিজের ঠোঁঠে হাত দিয়ে দেখলো ঠোঁঠ দিয়ে রক্ত বেড় হচ্ছে।
প্রিয়াও দেখতে পেলো তার হাতের চুড়ি দিয়ে মাহিমের ঠোঁঠ ফেটে রক্ত পরছে।
.
প্রিয়া:-(মাহিমের কাছে এগিয়ে আসছল)বিবিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে করিনি,আমি তো হাতটা…..(আর কিছু বলার আগই)
.
মাহিম:-আপনাকে ডাকছে আপনি যান।
.
প্রিয়া:-(মাহিমের কাছে এসে)না আমি পড়ে যাচ্ছি দেখি আগে দেখি(মাহিমের ঠোঁঠে হাত দিয়ে)
.
মাহিম:-(প্রিয়ার হাতটা ঝটকা দিয়ে ধমকে)বললাম না আপনাকে ডাকছে(পছন্ড রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া মাহিমের ধমক দেখে পছন্ড ভয় পেয়ে কাঁদার মতো করে মাথা নিচু করে রুম থেকে বেড় হয়েগেল।
.
.
.
“কিছুক্ষণ পর”
মাহিম অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল এমন সময় প্রিয়া রুমে এসে মাহিমের অফিসের জিনিস গুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল এমন সময় মাহিম ঝটকা দিয়ে প্রিয়ার হাত থেকে ব্যগটা কেরে নিয়ে
.
মাহিম:-আপনাকে কিছু করতে হবে না আমার জন্য(রাগি কন্ঠে)
.
মাহিম প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়া চোখে কেমন জানি একটা ভয় ভয় দেখতে পারছে,মাহিমের চোখের দিকে তাকাতেই পারছে না।
.
“প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর”
প্রিয়া:-চলুন নাস্তা করে করবেন।(ভয় ভয় করে)
.
মাহিম:-বাহিরে খেয়ে নিব।(রেগে)
,
এইবলে মাহিম ব্যাকটা নিয়ে রুম থেকে বেড় হয়েগেলো।প্রিয়া পিছন থেকে কত বার বলছিল নাস্তা করে যাওয়ার জন্য,কিন্তু মাহিম প্রিয়ার কথায় কোন কান না দিয়ে চলে চলেগেলো।
.
.
.
সারাদিন না খেয়ে অফিস শেষ করে বাসায় ফিরলো মাহিম।
.
রুমে ঢুকতেই মাহিম দেখলো রুমে সুয়ে আছে।
মাহিমকে দেখতেই প্রিয়া উঠে ব্যাকটা হাতে নিয়ে
.
প্রিয়া:-আপনি ফ্রেশ হন আমি আপনার জন্য খাবার রেডি করছি
.
এইবলে প্রিয়া রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।
.
মাহিম ফ্রেশ হয়ে বাসার ছাদে আসলো।ছাদের এক কোনায় বোসে ভাবতে লাগলো”-আজকে ওর জন্যই এখনো না খেয়ে আছি।আর ও খেয়ে দেয়ে সুয়ে পরেছে”(মনে মনে)
.
ছাদে বোসে এইসব কথা ভাবছিল মাহিম এমন সময় পিছন থেকে কে যেন বলে উঠলো।
“চলুন খাবেন”(ম্যালি কন্ঠে)
.
মাহিম পিছনে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়া।এখন সেই ভয় ভয়টা প্রিয়ার চোখে দেখতে পারছে।
মাহিম প্রিয়াকে দেখে আবার মুখটা অন্যদিকে ঘুড়ে বলল..
.
মাহিম:-নাহ আপনি যান।
.
প্রিয়া:-কেন??(পিছন থেকে)
.
মাহিম:-আমার ক্ষিদে নেই আপনি যান গিয়ে ঘুমিযে পড়ুন।(বিরক্তিকর ভাবে)
.
প্রিয়া:-না আপনাকে যেতেই হবে।
.
মাহিম:-বললাম না আমার ক্ষিদে নেই আপনি যান(রেগে)
.
প্রিয়া:-দেখুন আমি ইচ্ছে করে আপনাকে তখন চর দেয়সি(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-আমি জানি আপনি যান(রেগে বিরক্তর হয়ে)
.
প্রিয়া:-তাহলে চলুন খাবেন।
.
মাহিম:-বলছি তো আমার ক্ষিদে নেই।আপনি এখন যাবেন নাকি আমি যাব(রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া:-দেখুন আপনার জন্য আমিও…….(আর কিছু বলার আগেই)
.
মাহিম বসা থেকে উঠে
মাহিম:-বুঝেছি আপনি যাবেন না আমাকেই যেতে হবে।
.
এইবলে মাহিম চলে যাচ্ছিল এমন সময় প্রিয়া মাহিমের হাতটা টেনে ধরলো পিছন থেকে।
প্রিয়া মাহিমের হাতটা টেনে ধরতেই মাহিম প্রিয়া দিকে তাকিয়ে দেখলো।প্রিয়ার চোখের কোনায় যেন পানি জমে আছে।চোখ গুলো কেমন লাল হয়েগেছে,
মনে হয় আর একটু হলেই প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি বেড় হয়ে আসবে।প্রিয়া কাঁদার মতো করে অন্যরকম একটা মায়া নিয়ে একটু রাগি চোখ করে তাকিয়ে রইলো মাহিমের দিকে
——চলবে——-
মোবাইল দিয়ে দেখা ভূল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিিতে দেখবেন।

গল্পটা জানি ভালো হচ্ছে না।
খুব তারাতারি শেষ করবো।
আশা করি শেষের পর্ব গুলো ভালো লাগবে।
.
ভালো লাগলে জানাবেন।
.
—এই পর্বটা অন্য একটা গল্পের সাথে মিল আছে,
সেটাও আমারি লেখা গল্প–
.
“”প্লিজ কেউ বাজে কমেন্ট করবেন না”
——–লেখা-মান্না ইসলাম মাহিম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here