বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . . পর্ব-১৫

0
2521

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
.
পর্ব-১৫
ধারনা:-মাহিম পিচ্চি…
.
লেখা:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
মাহিম পিছনে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়া।এখন সেই ভয় ভয়টা প্রিয়ার চোখে দেখতে পারছে।
মাহিম প্রিয়াকে দেখে আবার মুখটা অন্যদিকে ঘুড়ে বলল..
.
মাহিম:-নাহ আপনি যান।
.
প্রিয়া:-কেন??(পিছন থেকে)
.
মাহিম:-আমার ক্ষিদে নেই আপনি যান গিয়ে ঘুমিযে পড়ুন।(বিরক্তিকর ভাবে)
.
প্রিয়া:-না আপনাকে যেতেই হবে।
.
মাহিম:-বললাম না আমার ক্ষিদে নেই আপনি যান(রেগে)
.
প্রিয়া:-দেখুন আমি ইচ্ছে করে আপনাকে তখন চর দেয়নি(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-আমি জানি আপনি যান(রেগে বিরক্তর হয়ে)
.
প্রিয়া:-তাহলে চলুন খাবেন।
.
মাহিম:-বলছি তো আমার ক্ষিদে নেই।আপনি এখন যাবেন নাকি আমি যাব(রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া:-দেখুন আপনার জন্য আমিও…….(আর কিছু বলার আগেই)
.
মাহিম বসা থেকে উঠে
মাহিম:-বুঝেছি আপনি যাবেন না আমাকেই যেতে হবে।
.
এইবলে মাহিম চলে যাচ্ছিল এমন সময় প্রিয়া মাহিমের হাতটা টেনে ধরলো পিছন থেকে।
প্রিয়া মাহিমের হাতটা টেনে ধরতেই মাহিম প্রিয়া দিকে তাকিয়ে দেখলো।প্রিয়ার চোখের কোনায় যেন পানি জমে আছে।চোখ গুলো কেমন লাল হয়েগেছে,
মনে হয় আর একটু হলেই প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি বেড় হয়ে আসবে।প্রিয়া কাঁদার মতো করে অন্যরকম একটা মায়া নিয়ে একটু রাগি চোখ করে তাকিয়ে রইলো মাহিমের দিকে।
.
“কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর”
.
প্রিয়া:-আমি বলছি তো আমি ইচ্ছা করে আপনাকে চরটা দেয়নি(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-আপনি চাঁন যে এই রাতের বেলা আমি বাসা থেকে বেড় হয়ে যাই(রেগে)
.
প্রিয়া:-(চমকে উঠে)না না আমি সেটা চাইবো কেন??(হতাস হয়ে)
.
মাহিম:-তাহলে আমার হাতটা ছেড়ে দিন।
.
প্রিয়া:-বিশ্বাস করুন আমি সত্যি বলছি…(আর কিছু বলার আগেই)
.
মাহিম:-আমি জানি আপনি হাতটা ছাড়ুন(রেগে)
.
প্রিয়া:-তাহলে কেন এমন করছেন??
.
মাহিম:-কিই করছি আমি?(রেগেই)
.
প্রিয়া:-এই যে আমার সাথে এমন করে কথা বলছেন কেন??
.
মাহিম:-এমনি কথা বলতে ভালো লাগছে না ছাড়ুন।(বিরক্তিকর ভাবে)
.
এইবলে মাহিম হাতটা ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে রুমে চলে আসলো।
.
.
.
কিছুক্ষণ পর প্রিয়া রুমে এলো।রুমে এসে দেখলো মাহিম না খেয়েই ঘুমিয়ে পরেছে।প্রিয়া দরজাটা লক করে খাঁটের কাছে এসে মাহিমের গায়ে কম্বলটা টেনে দিল।
তারপর প্রিয়াও না খেয়ে মেঝেতে সুয়ে পরলো।
.
.
.
“সকাল বেলা”
মাহিম বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি।কিছুক্ষন পর প্রিয়া রুমে এলো।
প্রিয়া:-এইনিন আপনার চাঁ(মাহিমের পিছন থেকে)
.
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে প্রিয়ার দিকে একবার তাকিয়ে বলল
মাহিম:-চাঁ খাবো না নিয়ে যান।
.
প্রিয়া:-ওহ আচ্ছা তাহলে আপনি বসুন আমি আপনার নাস্তা নিয়ে আসছি।(এইবলে চলে যাচ্ছিল)
.
মাহিম:-আনতে হবে না।
.
প্রিয়া থমকে গিয়ে দাড়িয়ে গেল।
.
প্রিয়া:-(মাহিমের দিকে ঘুড়ে)কেন?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আমি বাহিরে খেয়ে নিব।
.
এইবলে মাহিম প্রিয়ার পাশ দিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছি,এমন সময় প্রিয়া এসে মাহিমের সামনে ড়াদালো।
.
প্রিয়া:-(কাঁদার মতো করে)আমি বলছি তো আমি ইচ্ছে করে অমন করিনি।শুধু একটি ভূলের জন্য আপনি আমার উপর এতরাগ করে আছেন,নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন।কেন এত শাস্তি দিচ্ছেন(মাহিমের মুখের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-শাস্তি দিচ্ছি মানে?
.
প্রিয়া:-মানে আপনার জন্য আমিও এখনো পর্যন্ত না খেয়ে আছি।
.
মাহিম:-কেন আমার জন্য কেন?আমি কি আপনাকে খেতে না করেছি নাকি?(একটু রেগে)
.
প্রিয়া:-আপনি আমার উপর রাগ করে না খেয়ে আছেন তাই।
.
মাহিম:-এই আপনি আমার কে হ্যাঁ যে আমি আপনার উপর রাগ করে না খেয়ে থাকবো?(বিরক্তিকর ভাবে)
.
প্রিয়া:-তাহলে কাল থেকে আপনি না খেয়ে আছেন কেন?
.
মাহিম:-আমার খেতে ইচ্ছে করছে না তাই।আমার অফিসে যাওয়ার সময় হয়েছে এখন কিন্তু আমার লেট হচ্ছে(রাগি কন্ঠে)
.
.
প্রিয়া:-দেখুন আমি বুঝতে পারছি যে আমি কালকে আপনাকে কিস করতে দেয়নি বলে আপনি আমার উপর রাগ করে এমন করছেন।(লজ্জিত ভাবে বলেই চোখ দুটো নিচু করে নিল)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আসলে তখন আপনার আপু….আআপনি চাইলে এখন আমায় কিস করতে পারেন।
.
ভয় ভয় আর লজ্জিত ভাবে কথা গুলো বলেই প্রিয়া মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো।
.
মাহিম:-এটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না।
.
প্রিয়া:-মানে?
.
মাহিম:-মানে হলো আপনার মনে হচ্ছে না যে আপনি আপনার limit cross করছেন?
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-একটা কথা খুব ভালো করে শুনে রাখুন।আপনি হলেন এই বাড়ির কাজের মেয়ে আমার বউ না।
.
প্রিয়া:-(….)
.
মাহিম:-আপনার কাজ হলো এই বাড়ির সমস্ত কাজ করা এবং এই বাড়ির প্রতি মানুষের কথা অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করা।আপনাকে ঠিক যতটুকু বলা হবে আপনি ঠিক ততটুকিই করবেন।
.
প্রিয়া কিছু বলছে না শুধু মাহিমের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
.
মাহিম:-সো আমি কি করলাম কি খেলাম না খেলাম সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।একটা কাজের মেয়ে হিসাবে আপনার যতটুকু ভাবার যতটুকু বলার ঠিক ততটুকুই ভাববেন বলবেন।
.
প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে মাহিমের দিকে থাকার পর।
প্রিয়া:-ভূল হয়েছে আমার,ক্ষমা করে দিবেন আমকে।আর কখনো আপসাকে জোরাজোরি করবো না।(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আর ধন্যবাদ আপনাকে ভূল গুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।(কাঁদার মতো করেই)
.
মাহিম:-হুম আপনি বাড়ির কাজের মেয়ে কাজের মেয়ে হয়েই থাকবেন।কখনো আমার বউ হওয়ার দুঃসাহস করবেন না।(রাগ দেখিয়ে)
.
এইবলেই মাহিম রুম থেকে বেড় হয়েগেল।
.
মাহিম চলে যাওয়ার পর প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি বেড় হতে লাগলো।
.
—-চলবে—-
.
আমার ভাগিনি এখনো hospital a, ডাক্তার
সবকিছু টেস্ট করেছে বাট এখনো রিপোর্ট দেয়নি।
জানিনা কি আসবে রিপোর্ট এ।
একটু টেনশন টেনশন অনুভাব করছি।
তার জন্য পর্বটা ছোট্ট হয়ে গেল।
.

গল্পে মনযোগী নেই,জানি ভালো হয়নি।
“”””যদি ভালো লাগে তো জানাবেন””””

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here