বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . পর্ব-১৭

0
2651

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-১৭
লেখা:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
প্রিয়া:-আমার সোয়েও গেছে।আর আমি জানি যে যতদিন আমি আপনাদের বাসায় থাকবো,ততদিন আপনার বাড়ির লোকজন এবং আপনার লাঠি-জাটা খেয়েই আমাকে বাচঁতে হবে।
.
মাহিম কিছু বলছে না শুধু দাড়িয়ে প্রিয়া দিকে তাকিয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-(শান্ত ভাবে)তবে আর বেশি দিন আমাদের লাঠি-জাটা খেতে হবে না।আর আপনারও বোজা হয়ে থাকবো না।মুক্তি করে দিব আপনাকে(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-হুম জানি তো আমি।
.
প্রিয়া:-(চমকে উঠে)কি জানেন আপনি?
.
মাহিম:-এই যে আপনাদের মতো মেয়েদের যাওয়ার জায়গার অভাব আছে নাকি(প্রিয়ার কাছ থেকে সরে গিয়ে)
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-আজ এর বাসায় কাল ওর বাসায়। এর কাছে ভালো না লাগলে ওর কাছে ওর কাছে ভালো না লাগলে এর কাছে।
.
প্রিয়া কিছু বলছে না শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে চোখে জল ফেলছে।
.
মাহিম:-(প্রিয়ার কাছে এগিয়ে এসে)আপনি একটা কাজ করতে পারেন।আপনি পরে যাবেন কেন?আপনি বরং কালিই বাজারে গিয়ে উঠুন।
এতে আপনার পক্ষে ভালোই হবে।
.
মাহিমের কথাটা শুনে প্রিয়া মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
.
কিছুক্ষণ পর.
মাহিম:-কি হলো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন কেন?আমি যা বললাম আপনার ভালোর জন্যই তো বললাম।
.
প্রিয়া:-আপনার বলা শেষ(চোঁখে জল নিয়ে)
.
মাহিম:-হুমম শেষ।
.
প্রিয়া:-তাহলে সরুন এবার আমাকে বিছানা করতে দিন(চোখের জল মুছতে মুছতে)
.
মাহিমের প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়ার মুখটা কেমন অসহায় দুখী দুখী লাগছে।
.
প্রিয়া:-কি হলো সরুন।
.
মাহিম আর কিছু না বলে খাঁটের উপর গিয়ে বোসে পরলো।এরপর প্রিয়া মেঝেতে বিছানা করে অন্যদিকে মুখ করে সুয়ে পরলো।
.
মাহিম খাঁটের উপর বোসে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে…
মাহিম:-“তুমি আমাকে এতটা নিচে নামাতে বাধ্য করো।যেই কাজ যেই কথা গুলো শুনলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়।তুমি ঠিক সেই কাজ সেই কথা গুলো আমাকে বলেই আমার মাথায় তুমি আগুন জ্বালিয়ে দিবে,ততই আমি তোমাকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে শেষ করে দিব।(বোসে বোসে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে)
.
এভাবে কিছুক্ষন প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর মাহিম সুয়ে পরলো।
.
.
প্রিয়া ঘুমাতে পরছেনা মাহিমের সাথে বেশি কথা বলার কারণে মাথায় যন্ত্রণা ব্যাথা অনুভাব করছে।
প্রিয়া:-“বলবো না কাউকে কিছুই বলবো না।যার কাছেই যাই তার মাথায় বোজা হয়ে থাকি।
শুধু দু-বেলা দু-মুঠু খাবার আর থাকার একটু জাগার জন্য প্রতিদিন এভাবে সবার এত অপমান অবহেলা পেয়ে বেচেঁ থাকার চেয়ে।একি বারে চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে যাওয়া অনেক ভালো।(সুয়ে সুয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে মনে মনে)
.
.
.
“সকাল বেলা”
মাহিম ফ্রেশ হয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল এমন সময় মেঝেতে রাখা প্রিয়ার ব্যাগের দিকে মাহিমের চোখ পরলো।
মাহিম দেখতে পারছে ব্যাগ থেকে কিসের যেন একটা চিঠির মতো দেখতে কাগজের মাথা বের হয়ে আছে(প্রিয়ার ডাক্তারের লিখে দেওয়া প্রেসক্রিপশন)
মাহিম ব্যাগটার কাছে গিয়ে প্রেসক্রিপশনটায় হাত দিয়ে টেনে বের করলো।
প্রেসক্রিপশনটা টেনে বের করার পর মাহিম খুলে দেখতে যাবে ঠিক তখনি নিচ থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ ভেসে আসলো মাহিমের কানে।মাহিম তারাহুরো করে প্রেসক্রিপশনটা ব্যাগের উপরে রেখে রুম থেকে বেড় হয়েগেল।
.
মাহিম প্রিয়ার প্রেসক্রিপশনটা ব্যাগের উপরে রেখে দেওয়াতে জানালা দিয়ে আসা হাওয়াতে উড়ে খাঁটের নিচে চলেগেল।
.
.
মাহিম নিচে এসে দেখলো বাড়ির সবাই নিচে দাড়িয়ে।
.
অর্পা:-বল কোথায় রেখেছিস?(রেগে)
.
প্রিয়া:-আমি বলছি তো আমি কিছু জানিনা।(অসহায় হয়ে)
.
অর্পা:-তুই সবকিছুই জানিস বল কোথায় রেখেচিস?(রাখ দেখিয়ে)
.
অর্পা:-আপু আমি সত্যি বলছি আমি কিছু জানিনা।(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-কি হয়েছে এখানে?
.
মাহিমের কথা শুনে অর্পা মাহিমের কাছে গেলো
.
অর্পা:-কি আর হবে কালকে বাবা আমাকে নীলের কাজের জন্য ২লাখ টাকার একটা বান্ডিল দিয়ে ছিল।রুমেই রেখে দিয়ে ছিলাম কিন্তু সেটা আজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
.
মাহিম:-তো সেটা ও কে বলছিস কেন?(প্রিয়াকে দেখিয়ে দিয়ে)
.
অর্পা:-ও কে বলবো না মানে? যখন বাবা আমাকে দেয় টাকা টা দেয় তখন প্রিয়াও রুমেই ছিল আর প্রিয়া জানে যে আমি টাকা কোথায় রেখে ছিলাম।
.
প্রিয়া:-(মাহিমের কাছে এসে)বিশ্বাস করুন আমি টাকা টা নেই-নি।(অসহায়ের মতো করে)
.
অর্পা:-চুপ একদম চুপ তুই ছাড়া আর কেউই টাকা টা নিতে চুরি করবে না।এখনো সময় আছে সত্যি করে বল টাকা তুই কোথায় রেখেছিস?(রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই মাহিম বলে উঠলো.
মাহিম:-আপু তোমার কোথাও ভূল হচ্ছে ও বলছে তো ও টাকা নেয়নি।
.
অর্পা:-তুই আমার কথা বিশ্বাস না করে একটা কাজের মেয়ে কথা বিশ্বাস করছিস।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-যতক্ষণ পর্যন্ত প্রুফ হচ্ছে না যে ও টাকা টা নিয়েছে।ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি ও কে কিছুই বলতে পারোনা।
.
মাহিমকে প্রিয়ার হয়ে কথা বলতে দেখে প্রিয়া অন্যরকম একটা মায়াবী দৃষ্টিতে মাহিমের দিকে তাকিয়ে আছে।
.
নীল:-এতকথা বলার চেয়ে প্রিয়ার ব্যাগপত্র চ্যাগ করে দেখলেই তো হয়।
.
মাহিমের বাবা:-হুম তাহলে সেটাই করা হোক।এই বাবুল যা উপর থেকে প্রিয়ার ব্যাগটা নিয়ে আয় যা।(বাবুল বাড়ির কাজের ছেলে তার দিকে লক্ষ করে)
.
প্রিয়া:-(চমকে উঠে)না কেউ আমার ব্যাগে হাত দিবেন না।
.
প্রিয়ার কথা শুনে সবাই অবাক দৃষ্টিতে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
.
মাহিম:-না মানে? আপনি তো টাকা নেননি তাহলে আপনার ব্যাগ চ্যাগ করে দেখতে প্রবলেমটা কি?
.
প্রিয়া:-(কাপা কাপা কন্ঠে)আমি বলছি তো আমি টাকা টা নেই-নি।
.
মাহিমের বাবা:-এই মেয়ে তুমি যখন টাকা নেওনি তখন তোমার ব্যাগ চ্যাগ করে দেখতে প্রবলেমটা কি?
.
নীল:-ওয়েট আমি গিয়ে নিয়ে আসছি।
.
এইবলে নীল উপরে গেলো।
.
.
.
কিছুক্ষন পর নীল প্রিয়ার ব্যাগটা নিয়ে আসলো।
প্রিয়া নীলের কাছে গিয়ে
প্রিয়া:-দেখুন এই ব্যাগে আমার কাপড় গুলো ছাড়া কিছুই নেই।প্লিজ এটা আমাকে দিয়ে দিন(কাঁদার মতো করে)
.
নীল:-দেখো প্রিয়া তুমি যখন নেওনি তখন সবাই তোমার ব্যাগটা দেখেনিক।সড়ো আমাকে ব্যাগটা ঢেলে দিতে দাও সড়ো।
.
এইবলে নীল প্রিয়াকে সরিয়ে দিয়ে ব্যাগে যা ছিল সবকিছু ঢেলে দিতেই সেই টাকার বান্ডিলটা সহো নিচে পরলো।
.
টাকার বান্ডিলটা নিচে পরতেই প্রিয়ার চোখ উপরে উঠে গেলো প্রিয়ার মাথায় যে আকাশ ভেঙ্গে পরলো।প্রিয়ার পুরো পৃথিবীটা যেন উল্টে গেলো।
প্রিয়ার অজান্তেই প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি বেড় হয়ে আসলো।
.
অর্পা:-আমি বলে ছিলাম না যে এই প্রিয়া ছাড়া আর কেউই টাকা টা চুরি করবে না।
.
“সবাই নিশ্চুপ”
.
অর্পা:-(মাহিমের কাছে এগিয়ে এসে)কিরে এতক্ষন তো প্রিয়ার হয়ে খুব বড় বড় কথা বললি এখন নিজের চোখে দেখলি তো সবকিছু।
.
মাহিম কিছু না বলে প্রিয়ার কাছে এগিয়ে গেলো।
কিছুক্ষন চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর..
মাহিম:-এইসব কি?(রাগি চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-বিশ্বাস করুন আমি এইসবের কিছুই জানিনা কি ভাবে আমার ব্যাগে এই টাকা টা আসলো(কেঁদে কেঁদে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিমের বাবা:-তোমার ব্যাগে টাকা আর তুমি বলছো তুমি কিছুই জানোনা।
.
প্রিয়া মাহিমের বাবার কাছে এসে
প্রিয়া:-বিশ্বাস করুন বাবা আমি টাকা টা চুরি করিনি আমি সত্যি বলছি আমি জানিনা কি ভাবে টাকা টা আমার ব্যাগে আসলো(কেঁদে কেঁদে)
.
মাহিমের বাবা কিছু না বলে সহ জোরে ঠাসস করে একটা চর বসিয়ে দিল প্রিয়ার গালে।
.
মাহিমের বাবা:-শুধু আয়েশা বলেছে বলেই তুমি এখনো পর্যন্ত তুমি এই বাড়িতে আছো।তা নাহলে এতক্ষনে তোমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে এই বাড়ি থেকে বেড় করে দিতাম।(রাগি চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)((আয়েশা মাহিমের মা-মনি))
.
এইবলে মাহিমের বাবা চলেগেলো।
মাহিম কিছুক্ষন চুপ করে দাড়িয়ে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর উপরে চলেগেলো।
.
প্রিয়া গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে চোখের জল ফেলছিল।
.
অর্পা:-এই একদম ন্যাকামি করবি না বলে দিচ্ছি(রেগে)
.
প্রিয়া:-(….)
.
অর্পা:-কিচ্ছু হয়নি।আর যদি কিছু হয়েও থাকে তাহলে এটা হলো তোর চুরি করার শাস্তি।(রেগেই)
.
প্রিয়া কিছু বলছে না শুধু কান্না করছে।
.
অর্পা:-এমন ভাব করছিস যেন খুব লেগেছে।এখন বেশি ন্যাকামি না করে যা গিয়ে কাজ বলছি যা।(রাগি কন্ঠে ধমক দিয়ে)
.
প্রিয়া:-যাচ্ছি(কেঁদে কেঁদেই)
.
.
.
.
আজকে সারাটি দিন প্রিয়া চোখের জল ফেলছিল আর কাজ করছিল।
আসলে প্রিয়া নিজেও জানেনা যে ওর ব্যাগে ঐ টাকার বান্ডিলটা কি ভাবে আসলো,কে রাখলো।
চুরি না করেও তাকে সবাই এখন চোর ভাবছে।
.
.
সারাদিন কাজ করার পর সব কাজ শেষ করে ঔষধটা খেয়ে নিল।
.
.
মাহিম অফিস থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে খাটের উপর বোসে আছে।
.
“কিছুক্ষন পর”
প্রিয়ার রুমে আসলো।প্রিয়া রুমে এসে দেখলো মাহিম খাটের উপর বোসে আছে।
.
প্রিয়া:-আপনার খাবার?
.
মাহিম প্রিয়ার কন্ঠ শুনে প্রিয়ার দিকে তাকালো।
মাহিম দেখতে পারছে প্রিয়ার চোখ গুলো ফুলো ফুলো মুখটা কেমন সুখিয়ে গেছে,সকালের চরটার আঙ্গুলের ছাপ প্রিয়ার গালে এখনো দ্যাগ হয়ে আছে।
প্রিয়া কে কেমন জানি অসহায় আর দুখী দুখী দেখাচ্ছে।প্রিয়াকে এভাবে দেখে তার কেন জানি এখন রাগ করতে ইচ্ছে করছে না।কেমন জানি একটা মায়া হচ্ছে প্রিয়ার জন্য।
মাহিম কিছু না বলে বসা থেকে উঠে..
মাহিম:-রেখে দিন।
.
প্রিয়া আর কিছু না বলে খাবারটা টেবিলের উপর রেখে দিল।
.
তারপর মাহিমের কাছে আসলো।
.
প্রিয়া:-আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।(মাহিমের পিছন থেকে)
.
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে ঘুরে ড়াদালো।
.
মাহিম:-আমাকে?
.
প্রিয়া:-হুমম আপনাকে
.
মাহিম:-আমাকে আপনার আবার কি এমন কথা বলার আছে।
.
প্রিয়া:-একটা কথা জানার ছিল।
.
মাহিম:-কি কথা?
.
প্রিয়া:-সকালের ঘটনা টা নিয়ে।
.
মাহিম:-দেখুন ঐসব নিয়ে আমি আপনার সাথে কোন কথা বলতে চাই না।
.
প্রিয়া:-আপনি জানেন আমার বাবা কখনো আমার গায়ে হাত তুলেনি।আর আজকে মিথ্যে চুরি দায়ে আপনার বাবা আমায় গায়ে হাত তুলেছে।(কাঁদো কাঁদো ভাবে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আজকে যদি আমার মা-বাবা বেচে থাকতো তাহলে হয়তো এভাবে আপনাদের বাসায় আমাকে থাকতে হতো না।
.
মাহিম:-(….)
.
প্রিয়া:-আপনাদের বাড়ির সবাই তো আমাকে চোর ভাবছে…(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর..
মাহিম:-দেখুন কারো ভাবনার উপর কিন্তু আমার কোন কন্ট্রোল নেই।(শান্ত ভাবে)
.
প্রিয়া:-আপনারও কি মনে হয় আমিই টাকা টা চুরি করেছি
.
মাহিম:-দেখুন সহজ ব্যাপারে হচ্ছে যে আমার বাড়ি থেকে একটা টাকার বান্ডিল চুরি হয়েছে বা পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা আপনার ব্যাগ থেকে পাওয়া গেছে।
.
প্রিয়া:-(….)
.
মাহিম:-এতে সবাই যদি আপনাকে চোর ভাবে তাতে আমার কি করার আছে বলুন।কারো ভাবনার উপর তো আমার কোন কন্ট্রোল নেই তাই না।
.
প্রিয়া:-কিন্তু আপনি….
.
মাহিম:-কি আমি..?
.
প্রিয়া:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)মানে সবাই যা ভাবছে আপনিও কি তাই ভাবছেন?(অসহায় দৃষ্টিতে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আমার ভাবনাকে আপনি এতটা গুরুর্ত দিচ্ছেন কবে থেকে(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-আগে আমার প্রশ্নর উত্ররটা দিন না(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-না আগে আপনি আমার প্রশ্নর উত্ররটা দিন,আমার ভাবনাকে আপনি এতটা গুরুর্ত দিচ্ছেন কবে থেকে।
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-উত্রর নেই নিশ্চই?
.
প্রিয়া:-আছে
.
মাহিম:-কি বলুন?
.
প্রিয়া:-উত্রর জানা থাকলেও সব প্রশ্নর সব উত্রর কি দেওয়া যায়।
.
মাহিম:-(…)
.
প্রিয়া:-তাতে নিজেকে তো আরো ছোটো হতে হয়।
.
মাহিম:-হেয়ালিটা বন্ধ করুন।যা জিগ্যেস করছি তার উত্রর থাকলে দিন আর নাহলে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান।(বিরক্তিকর ভাবে)
.
প্রিয়া কিছুক্ষন চুপ করে মাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকার পর।
প্রিয়া:-আপনার চোখে সামনে আমি এসে দাড়াই কখনো।সড়েই তো থাকি(কাঁদো কাঁদো ভাবে)
.
মাহিম:-(…)
.
প্রিয়া:-আর সড়েও যাব।(কেঁদে কেঁদে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-শুধু এই একটা কথা আমার জানা দরকার ছিল তাই বললাম।
.
মাহিম:-কোন কথাটা?
.
প্রিয়া:-এই যে সবাই যা ভাবছে আপনিও কি তাই ভাবছেন সেটা।
.
মাহিম:-কেন আমি তো আপনার কেউ না।আমি কি ভাবলাম না ভাবলাম তাতে আপনার কি?
.
প্রিয়া:-আমার অনেক কিছু আপনি বলুন না।
.
মাহিম:-আপনার অনেক কিছু মানে?
.
প্রিয়া কিছু বলল না।
.
মাহিম:-ওহ যেহেতু আমি আপনাকে এই বাড়িতে এনেছি,এই রুমে থাকতে দিয়েছি।কাল যাতে আপনাকে এই বাড়ি থেকে বেড় না করে দেই,তাই আপনি আমার ভাবনাকে এতটা গুরুর্ত দিচ্ছেন। কি তাই তো?
.
প্রিয়া:-(…)
.
মাহিম:-আসলে আপনি একজন চালাক মানুষ,শুধু চালাক নন স্বার্থপরেও বটে(প্রিয়ার কাছ থেকে সরে গিয়ে)
.
প্রিয়া:-হ্যা বলুন।আরো যত খারাপ খারাপ কথা আছে আমাকে বলুন।কারণ পৃথিবীর সবকিছু খারাপ মিলেই তো আমি।(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-ব্যাছ অনেক হয়েছে।এবার যেটা বলছি সেটা মন দিয়ে শুনুন।আমার বাবা যখন আপনাকে বাসা থেকে বেড় করে দেয়নি তখন আমিও আপনাকে তারিয়ে দিব না।এবার নিজের জায়গায় গিয়ে সুয়ে পড়ুন যান।
.
এইবলে মাহিম রুম থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছিল এমন সময় প্রিয়া বলে উঠলো
প্রিয়া:-আমি কিন্তু শুধু বাড়ি থেকে বেড় করে দেওয়ার ভয়ের জন্য আপনার কাছে জানতে চাইনি(মাহিমের পিছন থেকে)
.
প্রিয়ার কথা শুনে মাহিম থমকে গেলো।মাহিম দাড়িয়ে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে..
মাহিম:-তাহলে?
.
প্রিয়া:-আপনার ভাবনারও দাম আছে আমার কাছে…অনেক(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-সেটা আমি তারিয়ে দেওয়ার ভয়ে নয় তো?(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-না সেটা আপনি তারিয়ে দিলেও নয়।(মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আর আপনাকে কখনো আমায় তারিয়ে দিতে হবে না।আমি নিজেই চলে যাব।
.
মাহিম:-(….)
.
মাহিম কিছু বলছে না প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-আপনি কি ভাবছেন আমি সারা জীবন এখানে থেকে যাব।থাকবো না আমি চলে যাব অনেক দূরে(কাঁদো কাঁদো ভাবে)
”’Next Part””
.
গল্পটা ভূমিকা করলে আরো অনেক বড় হবে,
আর জানি এখন গল্পটা আর ভালোও হচ্ছে না।
তাই সর্ট করে শেষের দিকে নিয়ে যাচ্ছি।
আর হয়তো বেশি পর্ব হবে না।
.
“”যদি ভালো লাগে তো জানাবে””
.
“”””মোবাইল দিয়ে লেখা।
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here