বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-১৮
লেখা:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
.
“নীল আর অর্পার রুমে”
নীল খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে এসে বোসে বোসে ভাবছে..”-যাক বাবা ভেবে ছিলাম কি আর হলো কি?
আমি কোথায় ভাবলাম প্রিয়াকে টাকা চুরির দায়ে বাসা থেকে প্রিয়াকে বেড় করে দিবে।আর আমি ঠিক ঐ সময় ওর পাশে গিয়ে দাড়াবো।
কিন্তু কিছুই হলো না।শুধু শুধু মিথ্যে চুরির দায়ে প্রিয়াকে থাপ্পড় খেতে হলো।
না এবার অন্যকিছু প্লান করতে হবে।যাতে সাপও না মরে আর লাঠিও না ভাঙ্গে।
কিন্তু করবোটা কি এটা তো প্লান কাজ হলো না।
এবার এমন কিছু একটা করতে হবে।যাতে সবাই প্রিয়াকে এই বাসা থেকে বেড় করে দিতে বাধ্য হয়।(নীল মনে মনে এইসব ভাবছিল)এমন সময় অর্পা রুমে এসে দেখলো নীল বসে বসে কি যেন একটা ভাবছে।নীলকে দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে।
.
অর্পা:-কি ব্যাপার নীল কি ভাবছো তুমি(নীলের কাছে আসতে আসতে)
.
নীল অর্পার কথা শুনে চমকে উঠলো।সে বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে..
নীল:-ককই কিছু না,না তো(মুখে ভয়ের ছাপ)
.
অর্পা:-না তোমাকে দেখে মনে হলো যে তুমি কিছু একটা ভাবছো তাই বললাম।
.
নীল:-আরে না তেমনি কিছু না।ভাবছিলাম যে প্রিয়ার মতো একটা মেয়ে এমন একটা কাজ করবে। এটা আমি ভাবতেই পারছি না।
.
অর্পা:-কেমন কাজ?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
.
নীল:-আরে সকালের ঐ ঘটনার কথা বলছি আমি।
.
অর্পা:-ওহ্,,এতে ভাবার কি আছে?জীবনে হয়তো কখনো ওত গুলো টাকা একসাথে দেখেনি।তাই দেখে হয়তো লোভ সামলাতে পারেনি।ওর মতো মেয়ে এইসব কাজ করতেই পারে।
.
নীল:-প্রিয়াকে দেখে কিন্তু তেমন মেয়ে মনে হয় না।
.
অর্পা:-শুধু মুখ দেখে কিন্তু মানুষ চেঁনা যায় না।
.
নীল:-(চমকে উঠে অর্পার দিকে তাকিয়ে)মানে)
.
অর্পা:-মানে যেমন প্রিয়াকে দেখে তোমার মনে হয়নি যে প্রিয়া কখনো এইসব কাজ করবে।কিন্তু আজকে দেখো তোমার ধারনা একদমি ভূল প্রমাণিত হলো।আর একটা কথা আমি বুঝতে পারছি না।
তুমি প্রিয়ার হয়ে এতকিছু ভাবছো কেন?(নীলের দিকে তাকিয়ে)
.
নীল:-না মানে আজকে যেটা ঘটলো প্রিয়ার মতো মেয়ে যে এটা করবে সেটা আমি কখনো ভাবিনি তাই আর কি।
.
অর্পা:-সত্যি তো?(নীলের দিকে তাকিয়েই)
.
নীল:-তাছাড়া কি?
.
অর্পা:-আমার মনে হচ্ছে না।
.
নীল:-মানে?
.
অর্পা:-না কিছু না।অনেক রাত হয়েছে ঘুমাও।
.
.
এরপর দুজনি সুয়ে পরলো
.
.
.
”মাহিম আর প্রিয়ার রুমে”
.
মাহিম কিছু বলছে না প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-আপনি কি ভাবছেন আমি সারা জীবন এখানে থেকে যাব।থাকবো না আমি চলে যাব অনেক দূরে(কাঁদো কাঁদো ভাবে)
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে প্রিয়ার দিকে থাকার পর)আচ্ছা আপনি এত যাই যাই করেন কেন বলুন তো?কোথায় যাবেন আপনি আপনার তো যাওয়ার মতো আর কোন জায়গা নেই।(বিরক্তিকর ভাবে)
.
প্রিয়া:-আছে
.
মাহিম:-কোথায় আপনার ঐ শিহাব ভাইয়ের কাছে?
.
প্রিয়া:-না।
.
মাহিম:-তাহলে কোথায় আর তো আপনার যাওয়ার মতো কোন জায়গা নেই।
.
প্রিয়া:-(…)
.
মাহিম:-আর আপনার তো কেউই নেই এই পৃথিবীতে।
.
প্রিয়া:-যার কেউ নেই তার উপর আল্লাহ্ আছে।আর তিনিই সব ব্যবস্থা করে দেন।
(চোখের জল মুছতে মুছতে)
.
মাহিম:-হুম রাইট,বাট যবেনটা কোথায়?
.
প্রিয়া:-সেটা সময় হলেই বুঝতে পারবেন।
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর)কি নতুন কাউকে পেয়েছেন নাকি?
.
প্রিয়া:-মানে?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-মানে ঐ আপনাদের মতো মেয়েরা যা করে আর কি তাই।একে ছেড়ে ও কে ধরে।আপনি কি তাই করছেন নাকি?
.
প্রিয়া:-আপনি যা মনে করেন(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম কিছুক্ষন চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর।
মাহিম:-আপনার টাকার দরকার সেটা আমাকে বললেই তো হতো?
.
প্রিয়া:-মানে?
.
মাহিম:-মানে আপনার টাকার দরকার সেটা আমাকে বললে আমি কি আপনাকে টাকা দিতাম না।
.
প্রিয়া:-তার মানে সবাই যা ভাবছে আপনিও তাই ভাবছেন(কাঁদার মতো করেই)
.
মাহিম:-এখানে ভাবার কি আছে।সবকিছু তো আমি নিজের চোখেই দেখলাম।
.
প্রিয়া:-তার মানে আপনিও বলতে চাইছেন যে টাকা আমিই চুরি করেছি তাই তো?(কেঁদে কেঁদে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-দেখুন টাকা কে চুরি করেছে সেটা বড় কথা নয়।বড় কথা হলো যে টাকা আপনার ব্যাগ থেকে পাওয়া গেছে।আর…(আর কিছু বলার আগেই)
.
প্রিয়া:-থাক মাহিম বাবু।আমি বুঝতে পেরেছি।
.
মাহিম:-(…)
.
প্রিয়া:-আমি শুধু এটা জানতে চাই ছিলাম যে আপনি কি মনে করেন।অন্যরা আর যাই ভাবুক।আপনি যে আমাকে অবিশ্বাস করেন না সেটা জানতে চাই ছিলাম।আর সেটাও জানা হয়েগেল।(চোখে জল নিয়ে)
.
মাহিম:-(…)
.
প্রিয়া:-আমি আসলে যেটা ভেবে ছিলাম সেটা ভূল ভেবে ছিলাম।
.
মাহিম কিছু বলছে না শুধু প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
প্রিয়া:-আপনার খাবার টেবিলে রাখা আছে খেয়ে নিন।(চোখের জল মুছতে মুছতে)
.
এইবলে প্রিয়া মেঝেতে বিছানা করতে লাগলো।
মাহিম আর কিছু না বলে চেঁয়ার টেনে বসে পরলো।
আর প্রিয়া মেঝেতে বিছানা করে অন্যদিকে মুখ করে সুয়ে পরলো।
.
.
.
.
“পরের দিন”
প্রিয়া সবার জন্য নাস্তা করার পর সবাই একসাথে টেবিলে নাস্তা করতে বসলো।প্রিয়া সবাইকে নাস্তা তুলে দিচ্ছিল।
আর নীল কেমন একটা খারাপ দৃষ্টি দিয়ে প্রিয়ার দিকে বার বার তাকাচ্ছিল।
.
মাহিমের বাবা:-এই মেয়ে মাহিম কোথায়? ও কে দেখছি না কেন?
.
প্রিয়া:-অনি তো এখন বাহিরে খেয়ে অফিসে যায়।
.
মাহিমের বাবা:-বাহিরে খেয়ে অফিসে যায় মানে?যাও ও কে গিয়ে আমার কথা বলে ডেকে নিয়ে আসো যাও।
.
প্রিয়া:-জ্বী।
.
এইবলে প্রিয়া মাহিমকে ডাকতে উপরে যাচ্ছিল,এমন সময় কলিংবেলটা বেজে উঠলো।
.
অর্পা:-এই সময় আবার কে আসলো, এই প্রিয়া আগে দেখতো কে আসলো।
.
প্রিয়া:-জ্বী দেখছি।
.
এরপর প্রিয়া গিয়ে বাড়ির দরজাটা খুলতেই।
.
:-তুমি প্রিয়া রাইট?
.
প্রিয়া:-হ্যাঁ আপনি কে?
.
:-আমাকে তুমি চিনবে আমি তোমাকে চিনি।
.
প্রিয়া:-মানে কি ভাবে?
.
:-মানে সব পরে বলবো আগে ভিতরে তো যেতে দাো।
.
এইবলে মেয়েটা ভিতরে আসলো।
প্রিয়ারও দরজাটা বন্ধ করে মেয়েটার পিচু পিচু আসলো।
মেয়েটা ভিতরে আসতেই অর্পা মেয়েটা দেখে..
অর্পা:-আরে তুন্নি তুমি(খুশি হয়ে মেয়েটার কাছে আসতে আসতে)
.
মেয়েটা/তুন্নি:-হুম এইতো চলে আসলাম।
.
অর্পা:-তো কেমন আছো?(তুন্নির কাছে এসে)
.
তুন্নি:-এইতো আছি ভালো,তুমি কেমন আছ আপু?
.
অর্পা:-আমিও ভালো,তো এতদিন পর বুঝি আমাদের কথা তোমার মনে পরলো তোমার?
.
তুন্নি:-আর বলো না,মাহিম তো ওর কাজ শেষ করে আমাকে ছেড়ে এসেছে।বিদেশ থেকে আশার পর গ্রামে গিয়ে ছিলাম।এরপর তোমাদের বাসায় আসলাম।
.
অর্পা:-এসেছো খুব ভালো করেছো,তোমার মা-বাবা কেমন আছে?
.
তুন্নি:-জ্বী ভালো।দুলাভাই কে তো দেখতে পারছি না?
.
অর্পা:-ঐ তো ওখানে(নীলকে দেখিয়ে দিয়ে)
.
তুন্নি:-আরে কি খবর দুলাভাই?(টেবিলের কাছে যেত
.
নীল:-এইতো..তোমার?
.
তুন্নি:-হুম ভালো।আপনি কেমন আছেন uncle? (মাহিমের বাবা দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিমের বাবা:-জ্বী ভালো মা..তুমি কেমন আছো?
.
তুন্নি:-জ্বী আমিও ভালো।মাহিম কোথায় মাহিমকে তো দেখতে পারছি না।
.
মাহিমের বাবা:-ও উপরে আছে যাও উপারে যাও
.
তুন্নি:-ওকে আগে ওর সাথে দেখা করে নেই।
.
এইবলে তুন্নি উপরে চলে গেলো,আর অর্পা এসে আবার টেবিলে বসলো।
.
কিছুক্ষন পর প্রিয়া মাহিম আর তুন্নিকে নাস্তা করতে ডাকতে উপরে গেলো।
প্রিয়া তাদের কে ডাকতে মাহিমের রুমে ঢুকতেই প্রিয়া দেখলো তুন্নি আর মাহিম দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরে আছে।প্রিয়া সেটা দেখতেই চমকে উঠে দরজার বাহিরে লুকালো। তুন্নি আর মাহিমকে জরানো দেখে অজান্তেই প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি বেড় হয়ে আসলো।
“”Next””
.
গল্পটা ২ঘণ্টা ধরে ভাবলাম যে,
শেষের দিকটা কি রকম করবো।
ভাবার শেষ তাই শর্ট করে শেষে দিকে নিয়ে যাচ্ছি।
.
জানি এখন গল্পটা আর ভালো হচ্ছে না।
.
“”যদি ভালো লাগে তো জানাবে””
.
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)