বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-১৯+২০
লেখক:-মান্না ইসলাম মাহিম(অযোগ্য ছেলে)
.
.
প্রিয়া:-হ্যাঁ আমি হয়তো আপনার মতো এত শিক্ষিত এত বড়লোক সুন্দর বর কখনো পাবনা।
তাইবলে এই না যে আমি সারাজীবন আপনার বাসায় লাঠিজাটা খেয়ে পরে থাকবো তেমন মেয়েও আমি নই।বুঝেছেন?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে রাগি কন্ঠে)
.
মাহিম:-হুমম সেটাই আপনাদের মতো মেয়েদের যেখানে থাকার কথা সেখানেই তো আপনার যাওয়া উচিৎ তাই না।
.
প্রিয়া:-মানে???
.
“”””””””>(-এর আগে-)<""""""""""
প্রিয়া হচ্ছে তার মা-বাবা একমাত্র আদরী মেয়ে।
অনেক আদর যত্ন করতো প্রিয়াকে প্রিয়ার মা-বাবা।
প্রিয়ার বয়স যখন ৪/৫ তখন একদিন হঠাৎ তার মা-বাবা একটা Accident এ মারা যায়।
আর তখন থেকেই শুরু হয় প্রিয়ার নতুন এক কষ্টের জীবন।
প্রিয়ার মা-বাবা মারা যাওয়ার পর প্রিয়ার আপন বলতে তার মামা ছাড়া আর কেউই ছিল না এই পৃথিবীতে।
তারপর প্রিয়ার মামা তার বাড়িতে নিয়ে যায় প্রিয়াকে।
সেখানে গিয়ে দু-বেলা দু-মুঠু ভাত আর একটু থাকার জায়গা তো পেতো কিন্তু সেটা তার চোখের জলের বিনিময়ে।
.
এরপর প্রিয়া যখন বড় হয় তখন গ্রামের ছেলেদের নানান ধরনের কথার জ্বালায় তার মামা ঠিক করলো প্রিয়ার বিয়ে দিয়ে দিবে।
এক এক করে প্রিয়ার ৩টি বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়াতে অলক্ষি কুলাঙ্গানি গ্রামের লোকজনের নানান ধরনের কথা আরো বলতে থাকে প্রিয়াকে।
এরপর প্রিয়া ঠিক করে যে সে আর কখনই বিয়ে করবে না।
এভাবে ২/৩ বছর চলে যাওয়া পর প্রিয়ার মামাতো বোন শীলা বড় হয়ে উঠে।
২/৩টা ছেলে দেখার পর শিলার বিয়ে ঠিক হয় বিশাল বড়লোক রায়হান চৌধুরীর ছোট্ট ছেলে মাহিম চৌধুরীর সাথে।
মেয়ে দেখতে এসে মাহিমের প্রিয়াকে পছন্দ হয়ে যায়।
প্রথম দেখাতেই মাহিম প্রিয়াকে ভালোবেসে ফেলে।
কিছুদিন পর মাহিম প্রিয়াকে তার মনে কথা বলে আর প্রিয়া মাহিমকে চরম অপমান করে তাকে ফিরিয়ে দেয়।
.
বিয়ের দিন রাতে যখন বর পক্ষ আসে তখন সবাই জানতে পারে যে বিয়ের কন্যে অন্য একটা সাথে পালিয়েছে আর কন্যের জায়গায় অন্য মেয়ে মানে প্রিয়াকে বিয়ে করতে হবে।
.
মাহিমের মা-মনি আর প্রিয়ার উপর তার অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মাহিম প্রিয়াকে বিয়ে করতে রাজি হয়।
.
বিয়ের পর মাহিম তার অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রিয়ার উপর নানান ধরনের অত্যাচার কষ্ট যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করে।
.
এভাবে কয়েক মাস যাওয়ার পর মাহিম প্রিয়ার প্রতি ধুরবল হয়ে পরে আরো বেশি প্রিয়াকে ভালোবেসে ফেলে।
.
একটা সময় মাহিম প্রিয়ার অনেক কেয়ার নেওয়া শুরু করে আর প্রিয়াকে তার স্ত্রী হিসাবে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু হঠাৎ শিহাব তার মাঝখানে চলে আসাতে মাহিম আবার প্রিয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে দেয়।
.
বিয়ের ৯মাস প্রিয়া জানতে পারে যে তার মাথায় ব্রেনে ছোট্ট একটা টিউমর জন্ম নিয়েছে আর সেটা তাকে ধিরেধিরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মাহিমের জীবনে তুন্নি আছে বলে প্রিয়া সবকিছুর আশা ছেড়ে দিয়ে সেও নিজেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিতে থাকে।
.
এভাবে ১মাস চলে যাওয়ার পর মাহিমের ফ্রেন্ড তুন্নি বিদেশ থেকে মাহিমের বাসায় চলে আসে।
তুন্নি মাহিমদের বাসায় আশার কিছুদিন পর,
মাহিম আর তুন্নি ঘুরতে যায় পাহাড়ে।
.
মাহিম আর তুন্নি পাহাড়ে বেশ কিছুদিন ঘুরাঘুরি করার পর মাহিম বাসায় এসে তার বাবাকে বলে যে সে তুন্নিকে বিয়ে করবে।
.
মাহিমের কথা অনুযায়ী মাহিমের বাবা তুন্নি আর মাহিমের বিয়ের ব্যাবস্তা করে ফেলে।
.
এবার দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
""""">(-এরপর-)<"""""
প্রিয়া রুম গোছাগোছি করছিল।
এমন সময় কে জানি প্রিয়ার নাম ধরে ডাকলো।
প্রিয়া পিছন দিকে তাকাই দেখলো নীল।
প্রিয়া নীলকে দেখতেই চমকে উঠলো।
প্রিয়া:-আআপনি?(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
.
নীল:-হুম আমি(প্রিয়ার কাছে যেতে যেতে)
.
প্রিয়া:-এএখানে কেকন?
.
নীল:-কিছু না।এককাপ কপি নিয়ে আসো আমার রুমে।
.
প্রিয়া:-আআপনি যান আমি নিয়ে যাচ্ছি(ভয় ভয় করে)
.
নীল:-তারাতারি আসবে কিন্তু
.
এইবলে নীল চলে গেলো।
.
.
"কিছুক্ষন পর"
প্রিয়া নীলের জন্য কপি বানিয়ে নিয়ে নীলের রুমে গেলো।
প্রিয়া রুমে ঢুকতেই দেখলো নীল বিছানার উপর বোসে ফোনে কি জানি একটা করছে।
প্রিয়া নীলের কাছে গিয়ে কপির কাপটা নীলের দিকে বারিয়ে দিয়ে বলল
.
প্রিয়া:-আআপনার কপি(ভয় ভয় করে)
.
নীল প্রিয়ার কন্ঠ শুনে প্রিয়ার দিকে তাকালো।
প্রিয়া দেখতে পেলো নীল কেমন জানি একটা খারাপ দৃষ্টি দিয়ে তার দিকে তাকাচ্ছে।
প্রিয়ার নীলের তাকিয়ে থাকা দেখে সে নিজের একহাত দিয়ে নিজের কাপড়টা ঠিক করতে লাগলো।
নীল কিছু বলছে না শুধু প্রিয়ার দিকে তাকিয়েই আছে।
.
প্রিয়া:-আআপনার কপি(ভয় ভয় করেই).
.
নীল:-(চমকে উঠে)ও হ্যাঁ।
.
এইবলে নীল প্রিয়ার হাত থেকে কপির কাপটা হাতে নিল।
নীল কপির কাপটা হাতে নিতেই প্রিয়া চলে যাচ্ছিল এমন সময়
নীল:-আরে প্রিয়া শুনো(প্রিয়ার পিছন থেকে)
.
প্রিয়া নীলের ডাক শুনে দাড়িয়ে গেলো।আর পিছন দিকে ঘুরে দাড়ালো।
.
নীল:-একটা কথা বলার ছিল তোমাকে(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-জ্বী বলুন।
.
নীল কিছু না বলে কপির কাপটা টেবিলের উপরে রাখলো।
.
নীল:-আসলে সেদিন যখন অর্পা বাবা তোমাকে চর মারলো তখন জানো আমার খুব খারাপ লেগেছিল।(প্রিয়ার কাছে এগিয়ে আসতে আসতে)
.
প্রিয়া:-দেদেখুন আমার অনেক কাজ আছে আমাকে কাজ করতে হবে। আমি গেলাম।
.
এইবলে প্রিয়া চলে যাচ্ছিল এমন সময় নীল প্রিয়ার একহাত ধরে ফেলল।
.
নীল:-এত তারা কিসের?
.
প্রিয়া:-আমার হাতটা ছাড়ুন নীল বাবু আমার অনেক কাজ আছে(হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে কাঁদো কাঁদো ভাবে)
.
নীল:-(আরো শক্ত করে ধরে প্রিয়াকে কাছে টেনে নিয়ে)আরে প্রিয়া কাজ তো করবেই আগে আমার কথাটা তো শুনে নেও।
.
নীল প্রিয়াকে আরো কাছে টেনে নিতেই প্রিয়া নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে নীলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে রুম থেকে বেড় হয়েগেল।
.
প্রিয়াকে কাঁন্না করতে নিচে আসতে দেখে অর্পা বলে উঠলো..
অর্পা:-কিরে কি হয়েছে কাঁন্না করছিস কেন??
.
কিছু বলছে না শুধু কাঁন্না করছে।
.
অর্পা:-এত ন্যাকামি না করে বলবি তো কি হয়েছে(রেগে)
.
প্রিয়া:-আমি নীল বাবুকে কপি দিতে রুমে গিয়ে ছিলাম আর নীল বাবু আমার হাত ধরে টানাটানি করছিল(কেঁদে কেঁদে)
.
নীল:-ছিঃ ছিঃ প্রিয়া তুমি এইসব কি বলছো??(নিচে আসতে আসতে)
.
নীলের কথা শুনে প্রিয়া আর অর্পা দুজনি নীলের দিকে তাকালো।
নীল উপর থেকে নামতেই.
অর্পা:-নীল প্রিয়া এইসব কি বলছে??
.
নীল:-অর্পা তুমি একটা কাজের মেয়ের কথা বিশ্বাস করছো?আমার প্রতি তোমার একটুও বিশ্বাস নেই।(অর্পার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-না না বিশ্বাস করুন আপু আমি সত্যি বলছি(কেঁদে কেঁদেই)
.
অর্পা:-(...)
.
নীল:-আমি কিছু বুঝতে পারছি না প্রিয়া তুমি মিথ্যে কেন বলছো?
.
প্রিয়া:-আ.....(আর কিছু বলার আগেই(
.
নীল:-অর্পা আমি শুধু প্রিয়ার হাত থেকে কপির কাপটা নিচ্ছিলাম আর অমনি প্রিয়া কাঁন্না করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।
.
প্রিয়া:-আপু আমি শুধু শুধু কেন মিথ্যে বলতে যাব বলুন??
.
অর্পা:-মিথ্যে বলছি কারন সেদিন নীল তোর ব্যাগ থেকে টাকা গুলো বেড় করে দিয়েছিল বলে আজ তুই মিথ্যে বলে নীল ফাসাতে চাইছিস কি তাই তো?(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-না না আপু আমি...
.
প্রিয়া আর কিছু বলার আগেই অর্পা ঠাসস করে একটা চর বসিয়ে দিল প্রিয়ার গাঁলে।
প্রিয়া গাঁলে হাত হাত দিয়ে চোখে জল নিয়ে অর্পার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে..
প্রিয়া:-বিশ্বাস করুন আপু আমি...
.
অর্পা:-চুপ একদম চুপ।আর একটা কথাও বলবি না।আমার যা বোঝার আমি বুঝে গেছি।এখন চুপচাপ নিজের কাজ কর গিয়ে যা(রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া কিছু বলছেনা শুধু দাড়িয়ে চোখের চল ফেলতে লাগলো।
.
অর্পা:-কি হলো এখনো দাড়িয়ে আছিস কেন বলছি না নিজের কাজ কর গিয়ে(রাগি কন্ঠেই)
.
প্রিয়া আর কিছু না বলে চোখের জল মুছতে মুছতে কাজ করতে চলে গেলো।
.
.
.
প্রিয়া সকাল বেলা ব্রেকফাস্ট রেডি করছিল কিন্ত কিছুতেই প্রিয়া দাড়িয়ে থাকতে পারছেনা।প্রিয়া মাথা চেপে ধরে বোসে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
ডাক্তারের লিখে দেওয়া মেডিসিন গুলো শেষ হয়েছে ৪দিন হলো।এই ৪দিনে মেডিসিন গুলো না খাওয়াতে প্রিয়ার মাথায় প্রচুর ব্যাথা যন্ত্রণা করছে।প্রেসক্রিপশনটাও খুজে পাচ্ছে না।
এই ৪দিন অনেক কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করে বাড়ির সমস্ত কাজ করেছে।যতদিন যাচ্ছে ডাক্তারের লিখে দেওয়া সেই মেডিসিন গুলো না খাওয়াতে প্রবলেম গুলো শুধু বেরেই চলেছে।যে করেই হোক আবার ঐ ডাক্তারের সাথে দেখা করে মেডিসিন গুলো আনতে হবে।
এটা ভেবে প্রিয়া বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ করে বিকাল ঐদিকে আবার ডাক্তারের কাছে গেলো।
.
২ঘণ্টা ধরে প্রিয়া ডাক্তারের চেম্বারে বোসে কিন্তু ডাক্তার বাবু এখনো আসছে না।
.
"কিছুক্ষন পর"
প্রিয়া জানতে পেলো যে ডাক্তার অন্য একটা Hospital এ গেছে অনার আসতে এখনো ১ঘণ্টা মতো সময় লাগবে।
প্রিয়া দেখলো সন্ধে হয়েগেছে আরো লেট করে বাসায় ফিরলে আরো অনেক কথা শুনতে হবে। তাই প্রিয়া আর লেট না করে বাসায় ফিরলো।
.
বাসায় ফিরে আগের মতোই অনেক বকাচকা শুনতে হলো প্রিয়াকে।এইসব শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়েগেছে প্রিয়ার সে কারো কথায় কান না দিয়ে চুপচাপ সবকাজ শেষ করে রুমে আসলো।
.
প্রিয়া রুমে ঢুকতেই..
মাহিম:-দাড়ান..!
.
প্রিয়া মাহিমের কথা একদম থমকে গেলো।সে চুপচাপ দাড়িয়ে গেলো।
মাহিম বসা থেকে উঠে প্রিয়ার কাছে।
মাহিম:-এটা কোন হোসটেল রুম নয় যে আপনি বাহিরে নষ্টামি করে এসে এই রুমে থাকবেন।(রেগে)
.
প্রিয়া:-এত পেচিয়ে কথা বলার কি আছে।সোজা ভাবে বললেই তো হয় যে আমাকে আর এই রুমে থাকতে দিবেন না।
.
এইবলে প্রিয়া মাহিমের পাশ দিয়ে মাহিমের খাবারের প্লেটটা রেখে দিতে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম প্রিয়ার একহাত ধরে টেনে তার কাছে নিয়ে আসলো
মাহিম:-আজ আপনাকে বলতেই হবে আপনি কথায় গিয়ে ছিলেন।(রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া:-মাহিম বাবু এভাবে আমার হাত ধরে টানার কোন অধিকার কিন্তু আপনার নেই।(মাহিমের চোখে দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম প্রিয়ার কথা শুনে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে প্রিয়ার হাতটা ছেড়ে দিল।
.
প্রিয়া:-কি জানতে চাইছেন আপনি আমার কাছে?আর কোন অধিকারে জানতে চাইছেন?
.
মাহিম:-----
.
প্রিয়া:-আর তো মাত্র কয়েকটা দিন তারপর তো আপনি অন্য একটা মেয়ে কে বিয়ে করবেন।
.
মাহিম:-----
.
প্রিয়া:-অবস্স আপনি বিয়ে করলেই বা কি?আপনি তো কোন দিনও একটা মুহূর্তের জন্যেও আমাকে আপনার স্ত্রী হিসাবে মেনে নেননি।আমি তো আপনাদের বাসার কাজের মেয়ে।আমি কোথায় গেলাম না গেলাম তাতে আপনার কি?আপনার তো এইসব জানার কোন দরকার নেই।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)দরকার আছে।
.
প্রিয়া:-কিসের জন্য?
.
মাহিম:-দেখুন আপনার কথা অনুযায়ী আমি আপনার আসছয় দাঁতা।সো আপনি কোথায় যাচ্ছেন না যাচ্ছেন এটা আমার জানা অধিকার আমার আছে।(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-....
.
মাহিম:-আর সব থেকে important কথা হলো যে কেউ আপনাকে এই বাড়ির বউ হিসাবে মানুক আর না মানুক।আপনি তো আমার স্ত্রী।মানে সবাই তো এটাই জানে তাই না?(প্রিয়ার কাছ থেকে সরে গিয়ে)
.
প্রিয়া:-আপনি তো আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেননি।আপনি খুব দয়ালু মানুষ।তাই দয়া করেছেন আমাকে।
.
মাহিম:-(রেগে প্রিয়ার কাছে এসে)ঠিক আছে আমি না হয় আপনাকে ভালোবেসে বিয়ে করিনি দয়া করেছি আপনাকে কিন্তু আপনি?
.
প্রিয়া:-কি আমি(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আপনি তো জানতেন যে আমি একজন খারাপ চরিত্রহীন মানুষ।
বিয়ের আগে আপনার সাথে ফুর্তি করার জন্য আপনাকে বিয়ে করতে চেয়ে ছিলাম।
তাহলে পরে কেন আবার আমার সাথে বিয়েতে বসতে রাজি হলেন?
.
প্রিয়া:-...
.
মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)চুপ করে আছেন কেন বলুন?
.
প্রিয়া:-....
.
মাহিম:-নাকি বড়লোক বর দেখে চুপ করে ছিলেন?নাকি ভেবে ছিলেন যে বিয়ের পর এইসব কাঁন্নাকাটি ন্যাকামি করবেন আর আমি আপনাকে আমার স্ত্রী হিসাবে মেনে নিব।
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-শুধু মা-মনি আর আপনার মামা যদি হাত জোর করে আপনাকে বিয়ে করতে না বলতো।তাহলে আমি কোনদিনও আপনার মতো একটা নষ্ট মেয়ে কে আমি বিয়ে করতাম না।
.
মাহিমের কথা গুলো শুনে প্রিয়ার অজান্তেই তার চোখে দিয়ে পানি বের হয়ে আসলো।
মাহিমও দেখতে পেলো প্রিয়ার চোখ দিয়ে পানি পরছে।
মাহিম কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর।
মাহিম:-সবকিছুর না একটা সময় থাকে।আর সেই সময়টা চলে গেলে জীবন থেকে অনেক কিছুই হাড়িয়ে যায়।
.
প্রিয়া:-আমার জীবনে কখনো সেই সময়টা আসেইনি আর হাড়াবে কি(চোখের জল মুছতে মুছতে)
.
মাহিম:-এসেছিল আপনি হয়তো বুঝেও না ঝোঝার ভান করেছেন নয়তো কখনো বুঝেনেনি।
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-তবে একটা কথা কি জানেন আপনার ভাগ্য ভালো যে আপনার বিয়েটা আমার মতো একটা ছেলের সাথে হয়েছে।অন্যকোনো ছেলের সাথে হলে হয়তো এতদিন আপনাকে রাস্তায় রাত কাটাতে হতো(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-হ্যাঁ আমি হয়তো আপনার মতো এত শিক্ষিত এত বড়লোক সুন্দর কাউকে পেতাম না।
তাইবলে এই না যে আমি সারাজীবন আপনার বাসায় লাঠিজাটা খেয়ে পরে থাকবো তেমন মেয়েও আমি নই।বুঝেছেন?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে রাগি কন্ঠে)
.
মাহিম:--
.
প্রিয়া:-আপনি কি মনে করেছেন আমি আপনার তুন্নির মাঝে আপনাদের বিয়ের পরেও থেকে যাব কখনই না।
.
মাহিম:-হুমম সেটাই আপনাদের মতো মেয়েদের যেখানে থাকার কথা সেখানেই তো আপনার যাওয়া উচিৎ তাই না।
.
প্রিয়া:-মানে???
.
মাহিম:-মানে এই যে আপনি প্ররাই যেখানে যান।সেখানে একিবারেই চলে যাওয়াই ভালো।
.
প্রিয়া:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)হুমম চলে যাব।যেদিন একিবারেই চলে যাব সেদিন পর আর আপনার মাথায় বোজা হয়ে ফিরে আসবো না।কোনদিনও না।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে কাদার মতো করে)
.
মাহিম কিছু বলল না শুধু প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
.
প্রিয়া:-আপনার খাবার রেখে দিব না নিয়ে যাব
.
মাহিম কিছু না বলে রেগে প্রিয়ার কাছে গিয়ে প্রিয়ার হাত থেকে খাবারের প্লেটটা কেরে নিয়ে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে।
মাহিম:-আপনার মতো নষ্টা মেয়ের হাতের খাবার আমি খাবোনা।আজকের পর থেকে আর কখনই আপনি আমার খাবারে হাত দিবেন না।
আপনার মতো মেয়ের হাতে খাবার খেতে আমার ঘৃণা লাগে ঘৃণা।(রাগ দেখিয়ে বলেই গিয়ে বিছানায় সুয়ে পরলো)
.
প্রিয়া কিছু বলল না।শুধু মাহিমের দিকে তাকিয়ে মাহিমের কথা গুলো শুনলো।
প্রিয়া কিছুক্ষন দাড়িয়ে চোখের জল ফেলার পর চোখের মুছতে মুছতে মেঝেতে থাকা খাবার গুলো পরিষ্কার করতে লাগলো।
#_পর্ব-২০_#
.
.
"কিছুদিন পর"
সকাল বেলা অর্পা তুন্নির হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিচ্ছিল।আর মাহিমের মা বসে হাতে কপির কাপ।
প্রিয়ার বাড়ির ভিতরে মেঝেটা মুছছিল।
অর্পা:-তুন্নি মাহিম কোথায়? ও কি হাতে মেহেদি লাগাবে না নাকি?(তুন্নির হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিতে দিতে)
.
তুন্নি:-ও তো সকাল বেলা বেরিয়ে গেলো।কতবার বললাম যে হাতে মেহেদী লাগিয়ে যা ও তো আমার কোন কথাই শুনলো না।
বলল যে তুই যা আমি পরে লাগিয়ে নিব।
.
মাহিমের মা:-তুন্নি তোমরা কি এখনো তুই তুই করে কথা বলো নাকি?
.
তুন্নি:-হ্যাঁ কেন আন্টি
.
মাহিমের মা:-কেন মানে সামনে তোমাদের বিয়ে আর তুমি বলছো কেন?
.
অর্পা:-হুমম সেটাই তো।আর তুমি মা কেও এখনো আন্টি বলছো কেন?
.
তুন্নি:-না মানে আপু প্রথম প্রথম তাই আসতে আসতে অভ্যেস হয়ে যাবে(লজ্জিত ভাবে)
.
একটু পর মাহিমের বাবা নিচে আসলো।এসে দেখলো প্রিয়া মেঝে মুছছিল মাহিমের বাবা প্রিয়ার কাছে আসতে আসতে
মাহিমের বাবা:-এই মেয়ে ভালো করে মুছো সামনে কিন্তু আমার ছেলের বিয়ে।অনেক দূর থেকে অনেক বড় বড় গেস্ট আসবে।কাজে যেন কোন ফাকি দেওয়া না হয়।
.
প্রিয়া:-হ্যাঁ বাবা আমি তো সব ঠিকঠাক মতোই করছি।মা যেমনটা বলে দিয়েছে তেমন ভাবেই বাড়ির সব কাজ করছি।
.
অর্পা:-এই প্রিয়া এই মা-বাবা বলাটা তোর কবে বন্ধ হবে?(রেগে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিমের বাবা:-আর মা-বাবা এইসব বলে না কোন লাভ নেই।এইসব বলে কাজে কোন সুবিধা হবে না।
.
প্রিয়া:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)বাড়ির কাজের মানুষরাও তো তাদের মালিকদের মা-বাবা বলে ডাকে।
আর আমার তো মা-বাবা বলে ডাকার মতো কেউ নেই।ধোরে নিননা আমিও সেইরকম ভাবেই ডাকছি।
.
.
"কিছুক্ষন পর"
মাহিম বাড়িতে ফিরলো।
মাহিম বাড়িতে ফেরার প্ররায় ১ঘণ্টার মতো হলো কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাহিম সকালের ব্রেকফাস্ট তার রুমে আসলো না।
প্রিয়া বাড়ির কাজ করছিল এমন সময় উপর থেকে মাহিমের মা চিৎকার করে প্রিয়ার নাম ধরে ডাকছিল।মাহিমের মা এর চিৎকার শুনে প্রিয়া তারাতারি উপর গেলো।
প্রিয়া রুমে ঢুকতেই মাহিমের মা ঠাসস করে একটা চর বসিয়ে দিল প্রিয়ার গালে।প্রিয়া কিছুই বুঝতে পারলো না।
.
মাহিমের মা:-এখন কয়টা বাজে।সকাল ১০টা বেজে গেছে আর তুমি এখনো পর্যন্ত মাহিমের সকালের ব্রেকফাস্ট রুমে এনে দাওনি কেন(রাগি কন্ঠে)
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিমের মা:-কি হলো কখা বলছো না কেন?(রেগেই)
.
প্রিয়া কিছু না বলে অসহায় দৃষ্টিতে মাহিমের দিকে তাকিয়ে
প্রিয়া:-আপনি এটা কাউকে বলেননি?এটা তো সবার জানা উচিৎ।
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আপনি কাল রাতে নিজে আমাকে বলে দিয়েছেন যে আপনার আমার হাতের খাবার খেতে আপনার ঘৃণা লাগে।(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-আপনি তো হলেন আমার আসছয় দাঁতা,আপনার কথা তো আমি অমান্য করতে পারিনা।আপনি যখন আমার হাতে খাবার খেতে না করেছেন তখন তো আমি আর আপনার খাবারে হাত দিতে পারিনা।(চোখে জল নিয়ে)
.
মাহিম:-....
.
প্রিয়া:-আগে হলে হয়তো পারতাম জানেন এই আপনাদের বাসায় থেকে না আমি জেনে গেছি।যে জেচে কারো জন্য কিছু করলে তার দাম পাওয়া যায় না।(চোখে জল নিয়েই)
.
মাহিমের মা:-ঠিক আছে ঠিক আছে।যাও তুমি তোমার কাজে যাও আমি মাহিমের সকালের ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসছি।
.
এইবলে মাহিমের মা রুম থেকে বেড় হয়েগেলো।
মাহিম দেখতে পেলো প্রিয়ার চোখে দিয়ে পানি পরছে। চরটা অনেক জোরেই লেগেছে।
প্রিয়া কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর চোখে চোখে মুছতে মুছতে রুম থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছিল এমন সময়
মাহিম:-আপনি কাল কোথায় গিয়ে ছিলেন?(প্রিয়ার পিছন থেকে)
.
প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে দাগিয়ে গেলো।
প্রিয়া:-সময় হলে সব বুঝতে পারবেন।
.
এইবলে প্রিয়া রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল এমন সময়
তুন্নি:-প্রিয়া দাড়াও ১মিনিট(রুমে ঢুকতে ঢুকতে)
.
তুন্নি:-(প্রিয়া কাছে এসে)দেখ তুমি আমাকে উত্রর দিতে না চাও দিওনা।কিন্তু মাহিম তো তোমার কাছে এটা জানতেই পারে।কারণ তোমার কথা অনুযায়ী মাহিম তোমার আসছয় দাঁতা।তুমি এই বাড়িতে থাকছো খাচ্ছ আর তুমি কোথায় যাচ্ছ এটা এখনো পর্যন্ত কেউই জানেনা।
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
তুন্নি:-দেখো তুমি এখনো পর্যন্ত যখন এই রয়েছো তখনটা এটা সবার জানা উচিৎ।কারণ তোমার কিছু হয়েগেলে তখন তো এই বাড়ির সবাই তার দোষের ভাগিদারী হবে।বিশেষ করে মাহিম।
.
প্রিয়া:-....
.
তুন্নি:-তুমি আর কাউকে বলতে না চাও মাহিমকে বলো যে তুমি কোথায় যাও মাঝে মাঝে।
.
প্রিয়া:-ভয় নেই আমার কিছু হয়ে যাওয়ার আগেই আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-এরজন্য যদি আমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়।তাহলে আমি এক্ষনি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।
.
তুন্নি:-তারপরেও তুমি বলবে না।
.
প্রিয়া:-না
.
মাহিম:-(প্রিয়ার কাছে আসতে আসতে)কি এমন গোপন জায়গায় যান যে বলা যাবেনা শুনি?(রেগে)
.
প্রিয়া:-কেন আপনি তো খুব ভালো করেই জানেন যে আমি কোথায় যাই(মাহিমের দিকে লক্ষ করে)
.
মাহিম কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি তুন্নি বলে উঠলো।
.
তুন্নি:-মাহিম আমাদের কিন্তু লেড হয়ে যাচ্ছে।এখনো প্রচর কেনাকাটা করতে হবে।
আর ১তারিখ আসতে কিন্তু আর বেশিদিন বাকি নেই।
.
মাহিম:-হুমম ঠিকি বলেছিস ১তারিখ আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই।আসলে আগের বছরে ১তারিখে আমার জীবনে একটা বড় অবিশাপ এসে পরেছিল।
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-আর সেই অবিশাপ থেকে আমি মুক্তি চাই।তাই এই ব্যাপারটা বাবা কে ১তারিখেই ঠিক করতে বলেছি।
.
প্রিয়া:-নিশ্চই আমাকে আপনাদের আর কিছু বলার নেই।না মানে আমার কাজ আছে আমাকে কাজে যেতে হবে(কাঁদার মতো করে)
.
তুন্নি:-না নেই যাও তুমি কাজে যাও।
.
এরপর প্রিয়া নিজের কাজে গেলো।
.
.
.
দুপুরের ঐদিকে সবাই মাহিম আর তুন্নির বিয়ে শপিং এর জন্য মার্কেটে গেলো।
.
"রাত ৯টা"
বাড়িতে কেউ নেই প্রিয়া ছাড়া।
প্রিয়া বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ করে সবার জন্য রাতের ডিনার রেডি করে গোসল করে নিল।
অনেক বড় বাড়ি আর একটা মানুষ ও নেই প্রিয়া ছাড়া আর রাত ৯টা বেজে গেছে।
প্রিয়া একা একা কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে।প্রিয়া বাড়ির দরজা লক করে রুমে বোসে আছে।
কিছুক্ষন বসে থাকার পর প্রিয়া আর বসে থাকে পারছেনা।তার মাথায় জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়েগেলো।
প্রিয়া দুহাত দিয়ে তার মাথা চেপে ধরে সুয়ে পরলো।
না সুয়েও থাকতে পারছেনা।কেমন জানি বমি বমি লাগছে।মনে হচ্ছে পেটের ভিতরে যা আছে এক্ষনি সব বেড় হয়ে আসবে।প্রিয়া তারাতারি বিছানা থেকে উঠে বেসিনের সামনে গিয়ে বমি করার চেষ্টা করলো কিন্তু বমি হলো না।
কিছুক্ষন পর প্রিয়া অনুভাব করলো যে তার নাক দিয়া কিছু একটি বেড় হচ্ছে।
প্রিয়া মাথা উঠে আয়নার দিকে তাকাতেই দেখলো তার নাক দিয়ে রক্ত বেড় হচ্ছে।
প্রিয়া আয়নার দিকে তাকাতেই প্রিয়ার অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি বেড় হতে লাগলো।
প্রিয়া মনে মনে ভাবতে লাগলো যে তার সময় শেষ হয়ে এসেছে।হয়তো আর কিছুদিন সে এই পৃথিবীতে থাকবে।তারপর চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পরবে।এটা ভাবতেই প্রিয়ার চোখ দিয়ে গোরগোর করে পানি পরতে লাগলো।
কিছুক্ষন কাঁন্নাকাটি করার পর রক্ত গুলো মুছে ফ্রেশ হয়ে বেড় হয়ে আসলো।
আজকে প্রিয়ার মনটা অনেক খারাপ বলতে অনেক।আজকে নিজেকে অনেক একা একা লাগছে প্রিয়ার।
আসলে পৃথিবীটার নিয়মনটাই এমন যার আছে তো সবকিছুই আছে।যার নেই তো কিছুই নেই।আজকে প্রিয়ার খুবি একা একা অনুভাব করছে।প্রিয়া তার ব্যাগ থেকে তার মা-বাবার সেই ছবিটা বেড় করে বসে তাকিয়ে রইলো ছবিটার দিকে।
কিছুক্ষন তার মা-বাবার ছবিটার তাকিয়ে থাকার পর প্রিয়া অজান্তেই প্রিয়া চোখ দিয়ে পানি বেড় আসলো।
আজকে প্রিয়ার খুব ইচ্ছে করছে আপন কাউকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে।তার মনের জোমে রাখা কষ্টের কথা গুলো বলতে।আপন কারো বুকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে। খুব ইচ্ছে করছে আপন কাউকে জরিয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলতে""আমার অনেক ভয় লাগছে আমি এক্ষনি মরতে চাইনা আমি বাঁচতে চাই প্লিজ আমাকে মরতে দিওনা""
"""Next Part"""
.
এখন আর আগের মতো লিখতে ভালো লাগেনা।
তাই শর্ট করে তারাতারি শেষ করে দিচ্ছি।
.
গল্পে মনযোগী নেই জানি ভালো হয়নি।
""যদি একটুও ভালো লাগে তো জানাবেন"
.
মোবাইল দিয়ে লেখা।লেখার সময় অনেক জায়গায় চাপ লেগে মিস্টেক হয়ে যায়।
আর আমি তো লেখক নই ভালো লাগে তাই লিখি।
শুধু বোঝা গেলেই চলবে।
তারপরেও ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।