বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . পর্ব-২১

0
2525

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-২১
লেখক:-মান্না ইসলাম মাহিম(অযোগ্য ছেলে)
.
.
.
প্রিয়া তার মা-বাবার ছবি বুকে জরিয়ে ধরে কাঁন্না করছিল।
এমন সময় বাড়ির কলিংবেল বেজে উঠলো।
কলিংবেল এর শব্দ প্রিয়ার কানে পরতেই প্রিয়া তার কাঁন্না থামালো।তারপর তার মা-বাবার ছবিটা আবার ব্যাগে রেখে দিল।
তারপর চোখের জল মুছতে মুছতে রুম থেকে বেড় হয়েগেল।
.
প্রিয়া নিচে আসতেই হঠাৎ বাড়ির সমস্ত লাইট অফ হয়েগেলো।লাইট অফ হতেই প্রিয়া চমকে উঠলো।হালকা অন্ধকারে ভালো করে দেখা যাচ্ছে না।সে ভয় পেয়ে নিচেই দাড়িয়ে রইলো।
কিছুক্ষন পর আবার কলিংবেল বেজে উঠতেই প্রিয়া চমকে উঠলো।সে ভয় ভয় করে ধিরেধিরে দরজার কাছে গেলো।
প্রিয়া:-কেককে(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
.
দরজার ওপাশ থেকে কোন উত্রর নেই।শুধু কলিংবেল বেজেই চলেছে।
.
প্রিয়া:-কে ককথা বলছে না কেকেন?(ভয় ভয় করে)
.
ওপাশ থেকে শুধু কলিংবেল বেজেই চলেছে।
.
প্রিয়া কি করবে বুঝতে পারছেনা।বাসাতে কেউই নেই তার উপর বিদ্যুৎ ও নেই বাড়ির সমস্ত লাইট অফ।
এমনিতেই প্রিয়ার ভয় লাগছে দরজার ওপাশে কে কোন কথাও বলছে না।শুধু কলিংবেল বাজিয়েই চলেছে।
প্রিয়া ভয় ভয় করে দরজার একদম কাছে গেলো।
তারপর ভয় ভয় করে দরজাটা খুললো কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলো না।
প্রিয়া আরো অনেক ভয় পেয়ে দরজাটা বন্ধ করতে ঠিক তখনি হঠাৎ করে নীল চলে আসলো দরজার সামনে।
.
নীল:-সারপ্রাইজ
নীলকে দেখে প্রিয়া চমকে উঠে ভয়ে পিছন দেখে পিছিয়ে গেলো।
.
নীল:-কি ব্যাপার প্রিয়া ভয় পেয়েছো নাকি?(দরজায় দাড়িয়ে)
.
প্রিয়া:-নীল বাবু আআপনি(ভয় ভয় করে)
.
নীল:-হুমম আমি।
.
প্রিয়া:-বাবাড়ির আর সবাই কোথায়?
.
নীল:-আর সবাই তো এখনো শপিং করছে।
.
প্রিয়া:-আআপনি তাহলে আগে আসলেন কেকেন?
.
নীল:-তোমার জন্য
.
প্রিয়া:-(চমকে উঠে)মামানে?
.
নীল:-সবাইকে ফাকি দিয়ে তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এলাম।আর এখন যদি তুমি এত প্রশ্ন করো তাহলে এটা কেমন দেখায় না প্রিয়া।
.
এইবলে নীল প্রিয়ার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
.
প্রিয়া:-দেখুন নীল বাবাবু বাসায় কেউ নেই।এমনিতেই আমার অনেব ভয় লাগছে।আআপনি প্লিজ চলে যান।
.
নীল:-আরে প্রিয়া আমি তার জন্যই তো এলাম।তোমার একা একা ভয় লাগবে বলেই তো আমি সবার আগেই চলে আসলাম।(প্রিয়ার তিকে এগোতে এগোতে)
.
প্রিয়া:-(ভয় ভয় করে)দেদেখুন আমি কিন্তু চিৎকার করে লোকজন জোরো করবো(পিছন দিকে পিছতে পিছতে)
.
নীল:-মানা করেছে কে।করো চিৎকার কোরো।(শয়তানি হাসি দিয়ে)
.
প্রিয়া পিছন দিকে পিছতে পিছতে দৌড়ে উপরে যেতে যাবে ঠিক তখন নীল প্রিয়ার হাতটা ধরে প্রিয়াকে নিজের কাছে টেনে নিল।
.
নীল:-কোথায় যাচ্ছ প্রিয়া?এমন একটা দিনের জন্য কতদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম।আজ সেটার সুযোগ পেয়ে তো হাত ছাড়া করবো না।(প্রিয়ার মুখে দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-প্লিজ নীল বাবু আমাকে ছেড়ে দিন(কেঁদে কেঁতে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে)
.
নীল:-আরে প্রিয়া তুমি ভয় পাচ্ছ কেন?মাহিম আর তুন্নির বিয়ের পর তোমার আর আমার বিয়ে হবে।(প্রিয়ার হাতটা আরো শক্ত করে চেপে ধরে)
.
প্রিয়া:-প্লিজ নীল বাবু আমার হাতটা ছেড়ে দিন আমার লাগছে(কেঁদে কেঁদে)
.
এরপর নীল প্রিয়ার হাতটা ছেড়ে দিয়ে প্রিয়া কোলে উঠিয়ে নিল।তারপর প্রিয়াকে কোলে নিয়ে উপরে উঠতে লাগলো।
প্রিয়া কেঁদে কেঁদে নিজেকে অনেক ভাবে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু নীলের শক্তির সাথে কিছুতেই পেরে উঠতে পারছেনা।
.
এরপর নীল প্রিয়াকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলো।এসে প্রিয়াকে বিছানার উপর সুয়ে দিয়ে প্রিয়ার দুহাত দু দিকে চেপে ধরলো।প্রিয়া অনেক ভাবে কেঁদে কেঁদে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।
.
এরপর নীল ধিরেধিরে প্রিয়ার মুখের কাছে নিজের মিখ এগিয়ে আনতে লাগলো।
.
নীল প্রিয়ার ঠোঁঠের সাথে নিজের ঠোঁঠ এক করতে যাবে ঠিক তখনি দরজা খোলার আওয়াজ ভেসে আসলো নীলের কানে।
নীলের কানে দরজা খোঁলার আওয়াজ আসতেই নীল চমকে উঠে ভয় পেয়ে পিছন দিকে তাকাতেই দেখলো মাহিম দাড়িয়ে দরজায়।তার দিকে রাগি চোখে তাবিয়ে আছে।
.
নীল মাহিমকে দেখে প্রিয়া পেচে ধরা হাত দুটো ছেড়ে দিতেই প্রিয়া দৌড়ে কেঁদে কেঁদে মাহিমের পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে চোখের জল ফেলতে লাগলো।
তারপরেই অর্পা এসে সবকিছুই দেখলো।
নীল দেখতে পেলো অর্পার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো।
.
নীল:-মাহিম অঅর্পা তোমরা কখন এলে।(ভয় ভয় করে কাপা কাপা কন্ঠে)
.
এরপর অর্পা চোখে জল নিয়ে নীলের কাছে গিয়ে খুব জোরে ঠাসস করে একটা চর বসিয়ে দিল নীলের গাঁলে।
.
মাহিম নীলের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।
.
নীল:-মাহিম দেদেখো আআমি তোমাকে সবকিছু ববলছি
.
মাহিম নীলের কোথার কোন কান না দিয়ে ঠাসস করে কয়েকটা চর বসিয়ে দিয়ে নীলে শর্ট এর কলার ধরে নিচে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো
!!!!!!
ভূমিকা করলে বড় হবে তাই শর্ট করে লিখছি।
!!!!!!!
নিচে সবার সামনে সবকিছু প্রিয়া কেঁদে কেঁদে বলার পর মাহিমের বাবাও অনেক কয়েকটা চর বসিয়ে দিল নীলের গালে।
অর্পা কিছু বলছিল না শুধু চোখের জল ফেলছিল আর দাড়িয়ে সবকিছু দেখছিল।
.
ঘটনাঅনুযায়ী নীলকে অপমান মারামারি করার পর
#সব_শেষে
মাহিম নীলের শর্ট এর কলার ধরে টেনে দরজার কাছে নিয়ে এক ধক্কা দিয়া বাড়ির বাহিরে ফেলে দিয়ে
মাহিম:-আর কোনদিনো যেন তোমাকে এই বাড়িতে না দেখি(রাগি কন্ঠে)
.
নীল:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-Next Time যদি আমার চোখের সামনে তোমাকে দেখি।তো সেদিনি তোমার লাইফের শেষ দিন হবে।(রাগি চোখের নীলের দিকে তাকিয়ে)
.
নীল কিছু বলছে না শুধু মাঠিতে পরে মাহিমের দিকে তাকিয়ে ছিল।
.
এরপর মাহিম বাড়ির দরজাটা বন্ধ করে দিল।
.
তারপর প্রিয়ার কাছে এসে প্রিয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার উপরে চলে গেলো।
.
.
.
সকাল ১০:৩০
প্রিয়া অর্পার রুমে গেলো।
প্রিয়া অর্পা রুমে এসে দেখলো অর্পা রুমে সুয়ে কাঁন্না করছে।
প্রিয়া অর্পার কাছে গেলো
প্রিয়া:-আপু চলুন খাবেন।
.
অর্পা প্রিয়ার কন্ঠ শুনে কাঁন্না থামিয়ে বোসে
.
অর্পা:-তুই যা আমার ক্ষিদে নেই।(চোখের জল মুছতে মুছতে)
.
প্রিয়া:-কালকে থেকে কিছু খাননি।
.
অর্পা:-ছোট্ট বেলা থেকেই কষ্ট কি জিনিস বুঝতে পারিনি।যখন যেটাই চেয়েছি তখন সেটাই পেয়েছি। কোন কিছুরী অভাব কি বুঝতে দেয়নি বাবা।চাওয়ার আগে সেটা পেয়ে যেতাম।
.
প্রিয়া:-……
.
অর্পা:-এখনো পর্যন্ত বাবা কোন কিছুরী অভাব হতে দেয়না।যেটাই চাই সেটাই বাবা দিয়ে দেয়।
.
প্রিয়া:-…….
.
অর্পা:-শুধু নীলের জন্য কালকে থেকে অনেক কাঁন্না করেছি অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার।
কাল থেকে আমি বুঝতে পেরেছি আমি এতদিন তোর সাথে যা করেছি অন্যায় করেছি ভূল করেছি।আমি আমার ভূলটা বুঝতে পেরেছি,
প্লিজ প্রিয়া তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস প্লিজ(হাত জোর করে কেঁদে কেঁদে)
.
প্রিয়া:-ছিঃ ছিঃ আপু আপনি আমার কাছে ক্ষমা চাইছেন কেন।আমি জানতাম আপনি একদিন ঠিক আপনার ভুলটা বুঝতে পারবেন।
.
অর্পা:-আমি শুধু শুধু তোকে এতদিন ভুল বুঝে কষ্ট দিয়েছি।আমি একটি বারের জন্য ভেবে দেখেনি যে তোর জায়গায় আমি থাকলে আমার কেমনটা লাগতো।সেটা আমি কাল থেকেই বুঝতে পেরেছি।প্লিজ আমাকে মাফ করে দিস(কেঁদেই কেঁদেই)
.
প্রিয়া:-আপনি আমার গুরুজন। আমি কিছুই মনে করেনি।আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন আমি আপনার জন্য খাবার রেডি করে আনছি।
.
এইবলে প্রিয়া রুম থেকে বেড় হয়েগেলো।
.
অর্পার এমন ব্যাবহার দেখে প্রিয়ার অনেক আনন্দ লাগছে।এতদিনে এই বাড়ির অন্তত একজন আজ প্রিয়ার সাথে ভালোবেসে কথা বলছে।
প্রিয়া একটু আনন্দ নিয়েই অর্পার জন্য সকালের ব্রেকফাস্ট রেডি করছিল এমন সময় হঠাৎ করে প্রিয়ার মাথায় ব্যাথা যন্ত্রণা শুরু হয়েগেলো।প্রিয়া দাড়িয়ে থাকতে না পেরে সাথে সাথেই মাথা চেপে ধরে বসে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
অনেক্ষন বসে থাকার পরেও কমছে না।তারপর উপায় না পেরে অনেক কষ্টে অর্পার ব্রেকফাস্ট রেডি করে দিয়ে আসলো।
.
.
আজকে সারাটা দিন প্রিয়ার ভালো লাগছে না।আজকে পছন্ড মাথায় যন্ত্রণা করছে।কিছুতেই কাজ করতে পারছে না।প্রিয়া রান্নাবান্না নিয়েই ব্যাস্ত।একটু বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাচ্ছে না।
.
.
আজকের দিনটা প্রিয়ার অনেক কষ্টে কাঠলো।সেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাথায় যন্ত্রণা রাত হয়েগেলো কিন্তু কিছুতেই কমছে না।শুধু বেড়েই যাচ্ছে।
.
বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে একটু শীত লাগছে।
আজকে সবাই একটু আগেই খেয়ে দেয়ে সুয়ে পরলো।মাহিম আর তুন্নি এখনো বাসায় ফেরেনি তারা দুজনি মাহিমের এক ফ্রেন্ড এর বাসা গিয়েছে invited করতে।
.
প্রিয়ার মাথায় অনেক যন্ত্রণা করছিল।
প্রিয়া বাড়ির কাজ গুলো শেষ করে একটু সুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল এমন সময় মাহিম রুমে আসলো।
প্রিয়া মাহিমকে দেখে তারাহুরো করে উঠে পরলো।
প্রিয়া বসা থেকে উঠে দাড়াতেই পারছেনা কেমন বমি বমি লাগছে।সে দাড়িয়ে না থেকে দ্রুত বেসিনের সামনে গিয়ে হরহর করে বমি করে দিল।
প্রিয়া দেখতে পেলো বমি সাথে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেড় হচ্ছে।প্রিয়া আয়নার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো”-কাল থেকে আমার এমন কেন লাগছে এমন কেন হচ্ছে।তাহলে কি আমার সময় একিবারে শেষ হয়ে এসেছে-”
এটা ভাবতেই প্রিয়ার চোখ দিয়ে জল গরিয়ে পরতে লাগলো।
“-ছোট্ট থেকে এখনো পর্যন্ত অবহেলা অপমান ছাড়া কারো একটু কাছে একটু ভালোবাসা পায়নি।
বিয়ের পর নিজের স্বামীকে ভালোবেসে তার কাছ থেকে অবহেলা অপমান ঘৃণা ছাড়া কখনো তার
ভালোবাসা পায়নি।স্বামীর ভালোবাসা আদর সোহাগ কী সেটা আমি একটা মেয়ে হয়ে বিয়ের পরেও তা বুঝতে পারিনি।বরং মৃত্যুর আগে নিজের স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে দেখে মরতে হবে।
সেই ছোট্ট থেকে যেখানেই যাই সেখানেই সবার মাথায় বোজা হয়ে থাকি।
মৃত্যুর পরেও আর কারো মাথায় বোজা হয়ে থাকতে চাইনা।আমার কিছু হয়ে যাওয়ার আগেই এই বাড়ি ছেড়ে আমাকে চলে যেতে হবে।
অনেক দূরে যেন মৃত্যুর পরেও আমার লাশটা কারো বোজা হয়ে না থাকে।(কেঁদে কেঁদে আয়নার দিকে নিজেকে দেখতে দেখতে মনে মনে)
.
এভাবে আরো কিছুক্ষন কান্না করার পর রক্ত গুলো মুছে ফ্রেশ হয়ে বেড় হয়ে আসলো প্রিয়া।
.
প্রিয়া রুমে এসে দেখলো মাহিম চেঁয়ারে বোসে জানালা দিয়ে বাহিরের বৃষ্টি দেখছে।
প্রিয়া মাহিমের কাছে গেলো
প্রিয়া:-আপনাকে একটা কথা বলার ছিল(মাহিমের পিছন থেকে)
.
মাহিম প্রিয়ার কন্ঠ শুনে প্রিয়ার দিকে একবার তাকালো।তারপর চেঁয়ার থেকে উঠে
মাহিম:-আমার সাথে
.
প্রিয়া:-হুমম
.
মাহিম:-বলুন কি কথা
.
প্রিয়া:-না মানে একটা জিনিস চাইবো আপনার কাছে
.
মাহিম:-কি এমন জিনিস বলুন
.
প্রিয়া:-আমি কোদিন আপনার কাছে কিছু চায়নি।আর হয়তো চাইবোও না।আজকে চাইবো দিতে হবে কিন্তু?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম দেখতে পেলো প্রিয়াকে আজকে একটু অন্যরকম লাগছে।প্রিয়ার কথা গুলোও অন্য লাগছে।এর আগে কথা বললে শুধু ঝগড়াই করতো
কিন্তু আজকে একদম শান্ত শিষ্ট ভাবে কথা বলছে একদম নিষ্পাপ দেখাচ্ছে প্রিয়াকে।
.
প্রিয়া:-কি হলো কথা কলছেন না কেন?
.
মাহিম:-(চমকে উঠে)না কিছু না বলুন কি জিনিস
.
প্রিয়া:-(নিশ্চুপ)
.
মাহিম:-কি হলো বলুন কি জিনিস?(প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া কিছু না বলে মাহিমের একদম কাছাকাছি চলেগেলো।মাহিম কিছুই বুঝতে পারছেনা।অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো প্রিয়ার দিকে।
.
প্রিয়া:-একটা রাত চাই আপনার কাছে(মাহিমের চোখে দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-মামানে?(অবাক হয়ে প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-মানে শুধু একটি রাতের জন্য আমি আমার স্বামীর অধিবার টুকু চাই।(মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়েই)
.
মাহিম:-কি ববলছেন কি আপনি?(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়েই)
.
প্রিয়া:-ধরে নীননা এটাই আমার শেষ চাওয়া।আর কোনদিনও আপনার কাছে কিচ্ছু চাইবো না।কোনদিনও না।
.
মাহিম কিছু বলতে ঠিক তখনি প্রিয়া মাহিমের শার্ট এর কলার ধরে টেনে বিছানায় প্রিয়ার উপরে সোয়ালো মাহিমকে।
প্রিয়া:-প্লিজ শুধু একটি রাত আপনার কাছে নিলজ্জের মতো ভিক্ষা চাইছি।প্লিজ মাহিম বাবু।
.
এরপর প্রিয়া মাহিমকে আরো কাছে টেনে নিয়ে চোখ বন্ধ করে মাহিমের ঠোঁঠের সাথে নিজের ঠোঁট এক করে দিল।মাহিমের ঠোঁঠের ছুয়া প্রিয়া ঠোঁঠে পেতেই প্রিয়ার সারা শরিল কেঁপে উঠতেই প্রিয়া আরো শক্ত করে মাহিম শার্ট এর কলার চেঁপে ধরলো।
—–Next Part——
.
জানি ভালো হয়নি
“”যদি ভালো লেগে থাকে তো জানাবেন””
আর ভালো না লাগে তো জানার দরকার নেই।
বাট প্লিজ কেউ বাজে কমেন্ট করবেন না।
.
মোবাইল দিয়ে লেখা।
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here