বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . পর্ব-২৩

0
3016

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
পর্ব-২৩
.
লেখক:-মান্না ইসলাম মাহিম
.
.
পরের দিন সকাল বেলা মাহিম ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে অফিসে চলেগেলো।মাহিম অফিসে গিয়ে কিছুতেই কাজে মন লাগাতে পরছে না।শুধু প্রিয়ার কথা মনে পরছে।প্রিয়ার সাথে কাঠানো রাতটার কথা মনে পরছে প্রিয়া সাথে কাঠানো সেই মুহূর্ত গুলো তার চোখে ভেসে উঠছে।প্রিয়া কেন এমন করলো আর কেনই বা চলেগেলো এইসব ভাতেই মাহিমের মাথায় ঘুরতে লাগলো কিছুই অফিসের কাজ করতে পারছেনা।
.
লান্স এরপর মাহিম গাড়ি নিয়ে প্রিয়ার গ্রাম এ যাওয়া উদ্দিশ্যে রওনা হলো।
.
রাস্তায় জ্যাম থাকায় প্রিয়ার মামার বাড়িতে আসতে সন্ধে হয়ে আসলো।
.
মাহিম প্রিয়ার মামা বাড়ির সামনে গাড়িটা সাইট করে গাড়ি থেকে নেমে পরলো।
.
এরপর মাহিম বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখলো প্রিয়ার মামা বারান্দায় চেঁয়ারে বোসে।হাতে কিসের যেন একটা পেপার আর অনি সেই পেপারটা দিকে তাকিয়েই আছেন।
.
এরপর মাহিম অনার কাছে গিয়ে
.
মাহিম:-আসসালামু-আলাইকুম।
.
প্রিয়ার মামা:-(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)ওআলাইকুমসালাম।আরে বাবা তুমি(খুশি হয়ে বসা থেকে উঠতে উঠতে)
.
মাহিম:-জ্বী
.
প্রিয়ার মামা:-কখন এলে?
.
মাহিম:-এইতো একটু আগেই।আপনার শরিল কেমন আছে এখন?
.
প্রিয়ার মামা:-এইতো বাবা আল্লাহ্ একটু সুস্থ করেছে। এই রহিমা দেখো কে এসেছে(এরপর মাহিমের দিকে তাকিয়ে)তোমার মা-বাবা সবাই কেমন আছে?(রহিমা প্রিয়ার মামী)
.
মাহিম:-জ্বী ভালো।প্রিয়া কোথায়?
.
প্রিয়ার মামা:-ও একটু বাহিরে গেছে।
.
মাহিম:-যাক তাহলে প্রিয়া এখানেই আছে(মনে মনে)
.
কথা বলতে প্রিয়ার মামী রুম থেকে বেড় হয়ে আসলো
.
প্রিয়ার মামী:-আরে জামাই বাবা যে কহুন আসলে গো বাবা(খুশি হয়ে কাছে আসতে আসতে)
.
মাহিম:-এইতো একটু আগেই আসলাম।
.
প্রিয়ার মামী:-তয় তোমারা আব্বা আম্মায় কেমন আছে গো বাবা?
.
প্রিয়ার মামা:-আহা এখন বেশি কথা না বলে যাও জামাই বাবাকে ভিতরে নিয়ে খাইয়ে দাইয়ে ভালো করে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করে দাও।অনেক দূর থেকে এসেছে।
.
প্রিয়ার মামী:-হুমম ঠিকি কইছো।আসো বাবা ভিতরে আসতো
.
মাহিম:-না মানে বলছিলাম কি প্রিয়া কোথায় গেছে কখন আসবে?
.
প্রিয়ার মামা:-ও একটু বাজারে গেছে আমার ঔষধ আনতে।আমি কত বার বললাম যে আমি যাচ্ছি ও বলল যে এখনো নাকি আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়নি তাই আমাকে যেতে দিল না।যাও তুমি ভিতরে গিয়ে বিশ্রাম নেও প্রিয়া এসে যাবে।
.
.
এরপর মাহিমকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে খাইয়ে দাইয়ে ভালো একটা রুমে বিশ্রাম নেওয়া ব্যবস্থা করে দিল প্রিয়ার মামী।
.
>(-এর আগে-)< . শিহাব:-আচ্ছা প্রিয়ার সাথে আপনার ঝগড়া ঝাটি হয়নি তো . মাহিম:-(নিশ্চুপ) . শিহাব:-ঝগড়া করে কোথাও চলে যায়নি তো?মান অভিমান হয়েছে . মাহিম:-আপনি হয়তো সবকিছু জানেনা তাই এইসব কথা বলছেন।আমি রাখলাম যদি প্রিয়ার কোন খোঁজ পেয়ে যান তো আমাকে জানাবেন। . এইবলে মাহিম লাইনটা কেটে দিল।তারপর ফোনটা রেখে দিয়ে চেঁয়ারে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে প্রিয়ার কথা ভাবতে লাগলো।কোথায় যেতে পারে কোথায় গেলো প্রিয়া।প্রিয়ার কিছু হয়ে যায়নি তো?...! . . প্রিয়া সারাটা দিন একটা কাজের জন্য অনেক খোঁজা খুজি করলো কিন্তু কোথায় একটা থাকা খাওয়ার কাজের ব্যবস্থা করতে পারলো না। সেই ভোর বেলা না খেয়ে বাসা থেকে বেড় হয়েছে আর তখন থেকেই এখনো পর্যন্ত না খেয়েই আছে।সারাটা দিন খাওয়া দাওয়া না করায় প্রিয়ার মুখ টুখ কেমন সুখিয়ে গেছে।ভালো করে হাঁতেও পারছে না মাথাটা কেমন জানি একটু যন্ত্রণা করছে। প্রিয়া কোথাও কোন ব্যবস্থা করতে না পেরে রাস্তারমর এক সাইট দিয়ে হাঁটছিল আর ভাবছিল"-রাত হয়ে আসলো কোথাও একটু থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলাম না।এই রাতে একা একটা মেয়ে কোথায় যাই কার যাই।(এইসব ভাবতেই প্রিয়ার চোখের কোনায় পানি চলে আসলো) . প্রিয়া রাস্তার এই সাইট থেকে ঐসাইট যাচ্ছিল এমন সময় হঠাৎ একটা গাড়ি এসে প্রিয়াকে ধাক্কা দিতেই প্রিয়া চিৎকার দিয়ে নিচেতে পরে গেলো। . প্রিয়া নিচে পরতেই গাড়ি চালক গাড়ির ভিতর থেকে তারাহুরো করে মেনে গাড়ি চালক:-স্যরি স্যরি আমি আসলে দেখতে পারিনি।আপনার কোথায় লাগেনি তো?(প্রিয়ার কাছে যেতে যেতে) . প্রিয়া মাথা উঠিয়ে গাড়ি চালক দিকে তাকাতেই গাড়ি চালক:-(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)প্রিয়া তুমি?. . প্রিয়া দেখতে পেলো গাড়ি চালক আর কেউ নয়"শিহাব" প্রিয়া শিহাব কে দেখি উঠে পরলো। . শিহাব:-প্রিয়া তুমি এতরাতে কোথায় যাচ্ছিলে?বাড়িতে ফিরে নাকি তোমার মামার বাড়িতে? . প্রিয়া:-বাড়িতে ফিরে মানে আপনি কোন বাড়ির কথা বলছেন শিহাব ভাই(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে) . শিহাব:-তোমার Husband একটু আগে আমাকে ফোন করে তোমার কথা জিগ্যেস করছিল।তুমি নাকি রাগ করে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে এসেছো।তাই বললাম যে তোমার শ্বাশুড় বাড়িতে নাকি তোমার মামার বাড়িতে যাবে? . প্রিয়া:-সত্যিটা বললে সবাই সবকিছু যেনে যাবে।যতদিন বেঁচে আছি ততদিন সবাই যেটা জানে সেটা থাকুক।আমার কিছু হয়ে যাওয়ার পর কি হবে হবে।তাছাড়া আমার সময় একিবারে শেষ হয়ে এসেছে।এইসব বলে আর কাউকে টেনশন ফেলতে চাই না।(মনে মনে) . শিহাব:-কি ভাবছো বলো কোথায় যাবে? . প্রিয়া:-না মানে গ্রামে যাব। . শিহাব:-প্রিয়া দেখ স্বামী স্ত্রীর মাঝে এইসব ঝগড়া ঝাটি মান অভিমান হয়েই থাকে তাই বলে এমনটা করা ঠিক না। . প্রিয়া:-শিহাব ভাই আপনি সবটা জানেন না তাই এইসব বলছেন। . শিহাব:-মাহিমও এটাই বলছিল যে আমি নাকি সবটা জানিনা সবটা কি আমাকে বলা যাবে? . প্রিয়া:-(নিশ্চুপ) . শিহাব:-ওকে আমি তোমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঢুকতে চাইনা।আমি মাহিমকে ফোন করে জানিয়ে দেই। . এইবলে শিহাব মাহিমকে ফোন করতে যাবে ঠিক তখনি প্রিয়া:-(চমকে উঠে)না না তার কোন দরকার নেই। . শিহাব:-আচ্ছা চলো তোমাকে বাড়িতে পৌছে দেই। . প্রিয়া:-আমি বললাম তো গ্রামে যাব।আপনি কোথায় যাচ্ছিলেন যান শিহাব ভাই। . শিহাব:-রাত হয়েছে তো বাসে করে গেলে অনেক রাত হয়ে যাবে।চলো গাড়িতে উঠো আমি তোমাকে পৌছে দিয়ে আসি। . প্রিয়া:-না শিহাব আমার জন্য আপনাকে এত কষ্ট করতে হবে না।আমি বাসে করেই চলে যেতে পারবো। . শিহাব:-আরে উঠো তো অনেক পর দেখা হলো।অন্তত এটা টুকু তো করতে দাও।গাড়িতে উঠো গল্প করতে করতে যাই। . প্রিয়া যেতে চাইছে না কিন্তু শিহাব প্রথমে মিথ্যে বলে এখন নাও করতে পারছে না। শেষমেশ কোন উপায় না পেয়ে গাড়িতে উঠে শিহাব সহ রহনা হলো গ্রামের উদ্দিশ্যে। . . . গ্রাম এ আসতে আসতে অনেক রাত হয়েগেলো। শিহাব প্রিয়ার মামার বাড়ির সামনে গাড়িটা ব্রেক করে প্রিয়া সহ বাড়ির ভিতরে আসলো। . এরপর বাড়ির সবাইকে ডেকে উঠালো।সবাই বেরিয়ে আশা পর।শিহাব যে টুকু জানে সে টুকু সবাইকে বললো। তারপর প্রিয়াকে রেখে চলেগেলো।যাওয়া সময় প্রিয়ার মামা মামাী অনেক বার বললো থেকে যেতে কিন্তু শিহাব শুধু বলল:-আমার ইমার্জিন্সি Hospital এ যেতে হবে।"এটা বলে চলেগেলো। . শিহাব চলে যাওয়া পর প্রিয়া তার মামীর কাছে এসে প্রিয়া:-বিশ্বাস করো মামী আমি আসতে চায়নি শিহাব ভাই আমাকে জোর করে নিয়ে আসলো।আমি কথা দিচ্ছি আমি কাল ভোর হতেই চলে তুমি শুধু প্লিজ আজকে রাত টুকু আমাকে থাকতে দাও।প্লিজ আমাকে বাড়ি থেকে বেড় করে দিওনা(কেঁদে কেঁদে তার মামীর পাঁয়ের কাছে বসে হাত জোর করে মিনতি করতে করতে) . প্রিয়ার মামী কিছুক্ষন প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর প্রিয়াকে দুহাত দিয়ে ধোরে উঠিয়ে প্রিয়ার মামী:-পাগলী মাইয়্যা একটু থাকার জায়গার গাইগা এইভাবে মামীর কাছে হাত জোর কইরা কাঁনতে হয়। . প্রিয়া তার মামীর কথা শুনে একদম থমকে গেলো।সে কান্না থামিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তার মামী মুখে দিকে তাকিয়ে রইলো। . প্রিয়ার মামী:-এটা তো তোরি বাড়ি শুধু আজকার রাতটা কেন তুই চাইলে সারাজীবন এই বাড়িতে থাকবি। . প্রিয়া:-মামী তুমি এইসব কি বলছো . প্রিয়ার মামী:-হ্ আমি ঠিকি কইতাছি রে মা।আমি সেই ছোট্ট কালথাইকা তোর লাগে অনেক অন্যনায় করছি।একটা মা-বাপ মরা মাইয়্যা রে বিনাকারনে কষ্ট দিছিলাম রে মা।আমি এহন বুঝবার পারছি আমি অনেক বড় ভূল হরছি আমারে ক্ষমা কইরা দিস রে মা(কেঁদে কেঁদে হাত জোর করে) . প্রিয়া:-মামী তুমি আমার গুরুজন আমার মায়ের মতো আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া এটা মানায় না।(চোখে জল নিয়ে) . প্রিয়ার মামী:-তুই আমারে ক্ষমা না করলে আল্লায় আমারে কোনদিও ক্ষমা করবো না রে মা।(কেঁদে কেঁদে হাত জোর করেই) . প্রিয়া:-আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না।আমার মা নেই বলে তাই ছোট্ট বেলায় তোমার কাছে বার বার যেতাম মা এর অভাবটা না বোঝার জন্য। তুমি যে তোমার ভূলটা বুঝতে পারছো এটাই আমার কাছে অনেক(কেঁদে কেঁদে) . প্রিয়ার মামী:-আজ থাইকা তুই আমারে মা কইয়া ডাকি।আয় আমার বুকে আয়।(কেঁদে কেঁদে দুহাত প্রিয়ার দিকে বারিয়ে দিয়ে) . এরপর প্রিয়া দৌড়ে গিয়ে তার মামীকে জরিয়ে ধরলো আর দুজনিই দুজনকে জরিয়ে ধরে হাওমাও করে কাঁদতে লাগলো। . >(-এরপর-)< . "কিছুক্ষন পর" মাহিম রুমে বোসে বিশ্রাম নিচ্ছিল এমন সময় প্রিয়া রুমে আসলো।প্রিয়া রুমে আসতেই মাহিম বসা থেকে উঠে প্রিয়ার চোখে দিকে অন্যরকম একটা মায়া নিয়ে তাকিয়ে রইলো।প্রিয়াও কিছুক্ষন মাহিমের চোখে দিকে তাকিয়ে থাকার পর চোখ সরিয়ে নিয়ে। . প্রিয়া:-আপনি এখানে কেন এসেছেন? . মাহিম কিছু বলছে না এখনো সেই ভাবেই তাকিয়েই আছে প্রিয়ার দিকে . প্রিয়া:-কি হলো কথা বলছেন না কেন? বলুন কেন এসেছেন? . এরপর মাহিম চোখ সরিয়ে নিয়ে। মাহিম:-আপনি এভাবে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন কেন? . প্রিয়া:-ওহ শুধু এটা জানার জন্য?(মাহিমের দিকে তাবিয়ে) . মাহিম:-আমি যেটা Question করেছি সেটার Answer দিন আগে(রেগে প্রিয়ার কাছে এগিয়ে এসে) . প্রিয়া:-তার আগে বলুন আপনি কি শুধু এটা জানার জন্য এসেছেন?(মাহিমের মুখের দিকে তাকিয়ে) . মাহিম:-(নিশ্চুপ) . প্রিয়া:-কি হলো বলুন? . মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর)হুমম শুধু এটা জানার জন্যই। . প্রিয়া:-ওহ তাহলে শুনুন আমি আপনাদের বাসার কাজের মেয়ে।আমার আপনাদের বাসায় আর কাজ করতে ভালো লাগছিল না তাই চলে এসেছি।এবার আপনি আসতে পারেন।(অন্যদিকে মুখ করে) . মাহিম কিছুক্ষন প্রিয়ার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার পর মাহিম:-আমি চলে যাব কিন্তু আপনাকেও আমার সাথে যেতে হবে।(প্রিয়ার পিছন থেকে) . প্রিয়া:-কেন আমাকে যেতে হবে কেন?(মাহিমের দিকে মুখ করে) . মাহিম:-একটা কাজের মেয়ে হঠাৎ এভাবে চলে আসতে পারে না। . প্রিয়া:-কেন পারে না।(রেগে) . মাহিম প্রিয়াকে আজকে যতই দেখছে ততই অবাক হচ্ছে।সেদিনের রাতের প্রিয়া আর আজকের প্রিয়া একদম সম্পূর্ণ আলাদা লাগছে।কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মাহিম কিছুক্ষন চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাবিয়ে থাকার পর মাহিম:-(একদম শান্ত ভাবে)আপনার কি হয়েছে বলুন তো কেন এমন করছেন(প্রিয়ার কাছে এসে) . প্রিয়া:-আমি আপনার সাথে আবার কি করলাম(মাহিমের মুখের দিকে তাকিয়ে) . মাহিম:-আমার সাথে এমন করে কথা বলছেন কেন?কি হয়েছে আপনার প্লিজ আমাকে সব খুলে বলুন . প্রিয়া:-(মাহিমের কাছ থেকে সরে গিয়ে)দেখুন মাহিম বাবু আমার কিচ্ছু হয়নি।আপনি যেটা জানতে চেয়েছেন সেটা জেনেগেছেন এবার আপনি আসতে পারেন।(বিরক্তিকর ভাবে) . মাহিম:-প্লিজ বলুন না। . প্রিয়া:-বললাম তো আমার কিছু হয়নি আপনি চলে যান(রাগি কন্ঠে) . মাহিম:-না যাবো না। . প্রিয়া:-আপনাকে আমি বার বার চলে যেতে বলছি তবুও চলে যাচ্ছেন না কেন?আপনার একটু লজ্জ করে না(মাহিমের দিকে তাকিয়ে) . মাহিম:-(কিছুক্ষন চুপ করে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর)না করে না। . প্রিয়া:-নিলজ্ঝেে ব্যাহায়া কোথাকার . এইবলে প্রিয়া রুম থেকে বেড় হয়ে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম:-বাহ্ আমি নিলজ্ঝেে হয়ে গেলাম।(প্রিয়ার পিছন থেকে) . প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে দাড়িয়ে গেলো। . মাহিম:-নিলজ্ঝেের মতো আমি কোন কাজটা করলাম বলুন আমায়(প্রিয়ার কাছে যেতে যেতে) . প্রিয়া:-(নিশ্চুপ) . মাহিম:-আরে অপিশিয়ালী হলেও আপনি এখনো পর্যন্ত আপনি আমার স্ত্রী। . প্রিয়া:-.... . মাহিম:-আমি যদি চাইতাম না আপনাকে আমি আমার ঘরে বেধে রেখে দিতাম।আমার বিছানায় বেধে রাখতাম। . প্রিয়ার মাহিমে কথা শুনে মাহিমের মুখে দিকে তাকালো। . মাহিম:-হ্যাঁ তার অধিকার ছিল আমার।কিন্তু আমি সেই অধিকারে অপক্ষ ব্যবহার করেনি। . প্রিয়া:-..... . মাহিম:-যা গন্ডগুল ঘটে ছিল সেটা সেদিন সেই রাতে।তাও আবার আপনার ইচ্ছায় . প্রিয়া:-মাহিম বাবু আপনার যা জানার তা জানা হয়েগেছে এখন আপনার যাওয়া উচিৎ(মাহিমের কাছে এগিয়ে এসে রাগ দেখিয়ে) . মাহিম:-রাগ দেখাবেন না আমায় আমি কিছু ভূল বলিনি।(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে) . প্রিয়া:-(নিশ্চুপ) . মাহিম:-আমি যদি চাইতাম না আপনি আমার বিছানা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারতেন না।এডলিস আমার বিয়ে পর্যন্ত। . প্রিয়া:-আপনি সত্যি একটা বাজে অসভ্যলোক(রেগে) . মাহিম:-এই হচ্ছে আপনার সমস্যা আপনি সত্যি কথাটা সয্য করতে পারছেন না। . প্রিয়া:-(নিশ্চুপ) . মাহিম:-আমি যেই রাতের কথা বলেছি আমি কি ভুল বলেছি কিছু??(প্রিয়ার দিকে তাকিয়েই) . প্রিয়া:-... . মাহিম:-সেই রাতে কোন ভূমিকা ছিল আপনার?নিজেকে উজার করে দেননি আমাকে?এতই যদি খারাপ ভাবেন আমাকে ঘৃণা করেন তাহলে নিজেকে উজার করে দিয়ে ছিলেন কেন? . প্রিয়া:-মাহিম বাবু আপনি এবার থামুন প্লিজ আমি আর এইসব কথা শুনতে পারছি না।আপনি কত নিচে নামাবেন নিজেকে?(কাদার মতো করে) . মাহিম:-(নিশ্চুপ) . প্রিয়া:-এই যেই কথা গুলো আপনি বলছেন আমাকে। এই কথা গুলো যদি আমি আপনার তুন্নিকে বলে দেই তাহলে কি হবে?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে) . মাহিম:-কি আর হবে যেটা সত্যি সেটাই তো বলছি। . প্রিয়া:-তাহলে আপনি বরং তুন্নিকেই বলুন।আমার এইসব কথা শুনতে একদম ভালো লাগছেনা।(রাগ দেখিয়ে) . এইবলে প্রিয়া রুম থেকে বেড় যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম প্রিয়ার একহাত ধরে টেনে কাছে নিয়ে আসলো মাহিম:-একদম এত রাগারাগি ভালো নয়(প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে) . প্রিয়া:-আপনি না সত্যি একটা বিকৃত মনের মানুষ(কাদো কাদো ভাবে মাহিমের দিকে তাকিয়ে) . মাহিম:-আর কতকিছু বলবেন আমায়?? . প্রিয়া:-আপনাকে যতই ছোট্ট কথা বলা যায়।মনে হয় সেটাও কম।আরো অনেক ছোট্ট কথা আপনার পাওয়া না।(কাঁদার মতে করে) . মাহিম:-এখন এইসব কথা বলছেন ঠিকি কিন্তু সেই রাতে একটাও খারাপ কথা বলেননি আমাকে। যঠেষ্ট আদর করে ছিলেন আমাকে।মনে আছে আপনার? . প্রিয়া:-ভূল করে ছিলাম।পাপ করেছি আমি।সেই পাপটার কথা ভাবলে এখন আমার গাঁ ঘৃণ ঘৃণ করে হয়েছে(কাদার মতো করে বিরক্তিকর ভাবে) . মাহিম কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর মাহিম:-তাহলে এই পাপটা কি করে ধোওয়া হবে? . প্রিয়া:-জানি তো আমি।এই পাপ সারাজীবনও আমার শরিল থেকে যাবে না।কখনই না। . মাহিম:-না না আমি একটা উপায় বলে দিতে পারি।যাতে আপনার শরিল থেকে চিরদিনের মতো এই পাপটা ধোওয়া যায়। . প্রিয়া:-হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন তো বলুন।কি করলে এই পাপটা চিরদিনের জন্য আমার শরিল থেকে মুছে যাবে।এই পাপটা মুছে ফেলার জন্য আমি সব করতে রাজি বলুন আপনি(বিরক্তিকর হয়ে কাঁদো কাঁদো ভাবে) . মাহিম:-কেন আপনার শিহাব ভাইয়ের কাছে গেলেই তো আপনার.... . মাহিম আর কিছু বলার আগেই প্রিয়া রেগে মাহিমের শর্ট এর কলার টেনে ধরে প্রিয়া:-মাহিম বাবু আপনি যদি আর একটাও বাজে কথা বলেন না।তাহলে আমি কিন্তু একদম খুন করে ফেলবো আপনাকে(কাদার মতো করে মাহিমের শর্ট এর কলার টেনে ধরে) ::::-চলবে-:::: . জানি ভালো হয়নি বাট যদি ভালো লাগেতো জানাবেন। . তারাহুরো করে লেখা (ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here