বউ_যখন_কাজের_মেয়ে . >পর্ব-২৬

0
2557

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
.
>পর্ব-২৬
লেখক:-মান্ন ইসলাম মাহিম
.
.
.
.
.
প্রিয়া ঠোঁঠের স্পর্শ মাহিমের লাগে পড়তেই মাহিম চোখ খুললো।আর দেখতে পেলো প্রিয়াকে।মাহিম চোখ খুলতেই প্রিয়া তারাহুরো করে চোখের জল মুছতে লাগলো।প্রিয়া চোখের জল মুছে উঠতে যাবে ঠিক তখন মাহিম প্রিয়ার হাতটা ধরে ফেললো।
.
মাহিম প্রিয়ার হাত ধরতেই প্রিয়া চমকে উঠলো,আর মাহিমের চোখের দিকে তাকালো।মাহিমও প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
মাহিম দেখতে প্রিয়ার কপালে সেই কেটে যাওয়া দ্যাগ এ এখনো কিছু রক্ত জোমে আছে।
সারাদিন না খাওয়াতে মুখটা কেমন সুখনা সুখনা লাগছে।
দুজন দুজনার চোখের দিকে অন্যরকম একটা মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
দুজনি কিছুক্ষণ দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
এমন সময় নার্স রুমে ঢুকে দরঝার সামনে দাড়িয়ে।
নার্স:-আসতে পারি।
.
প্রিয়া নার্স এর কন্ঠ শুনে চমকে উঠলো।
প্রিয়া চমকে উঠে পিছন দিকে তাকিয়ে দেখলো।
নার্স দাড়িয়ে আছে দরঝার সামনে।প্রিয়া নার্স কে দেখে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে তারাহুরো করে উঠে দাড়িয়ে বলতে লাগলো।
প্রিয়া:-হ্যাঁ আসুন।
.
নার্স প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে একটু মিসকি হেসে মাহিমের কাছে আসলো।
.
তারপর মাহিম কে ভালো করে দেখে।
প্রিয়াকে কিছু ঔষধ দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
.
নার্স রুম থেকে চলে যাওয়ার পর মাহিম নিজে থেকে একাই উঠে বসার চেষ্টা করছিল।
প্রিয়া সেটা দেখে মাহিমকে ধরে উঠে বসিয়ে দিল।
.
তারপর মাহিমের মুখোমুখি হয়ে বসে মাহিমকে জিজ্ঞেস করতে যাবে সে কি খাবে।
এমন সময় মাহিম বলে উঠলো
মাহিম:-আপনি এখানে কেন.?(একটু রাগি কন্ঠে,প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে অবাক দৃষ্টিতে মাহিমের দিকে তাকিয়ে রইলো।
.
মাহিম:-আপনার বাসা থেকে তো তারিয়ে দিচ্ছিলেন,তাহলে আপনি এখানে?
.
প্রিয়া:-আপনি এখনো আমার উপর রেগে আছেন?(মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আমি যেটা বলছি সেটার উত্রর দিন।(রেগে)
.
প্রিয়া:-আমি বলেছি তো আমি ভূল বলেছি।
আপনার Accident হয়েছে আর আসবো না
(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-আপনিই তো বলেছিলেন যে আমার সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই।তাহলে আমার কি হলো না হলো তাতে আপনার কি??
.
প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর,
মাহিমের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো।
প্রিয়া:-আমার কি সেটা কোনদিন বুঝতে পারেন্নি আর কোনদিন বুঝারর চেষ্টাও করেননি আপনি।
.
মাহিম:-কি বোঝার কথা বলছেন?
.
প্রিয়া:-না কিছু না।(এই বলেই প্রিয়া মাথা নিচু করে নিল।)
.
মাহিম:-কি ভালোবাসেন আমাকে..?
.
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়ার বুকে কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠলো।প্রিয়া চমকে উঠে মাহিমের দিকে হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
.
মাহিম:-কি হলো বলুন ভালোবাসেন আমাকে.??(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়ার মুখ দিয়ে কোন কথাই বেড় হচ্ছে না।
শুধু মাহিমের দিকে হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
মাহিম:-জানি বাসেন না।আর বাসবেনি বা কেন? আপনি তো আমাকে পছন্দই করেন না।আমি তো আপনার চোখে একজন খারাপ দুশ্চরিত্রহীন মানুষ।আপনি তো আপনার শিহাব ভাইকে ভালোবাসেন।(রেগে)
.
প্রিয়া:-একদম বাজে কথা বলবেন বলে দিচ্ছি।(একটু রাগি চোখে তাকিয়ে)
.
মাহিম:-আমি কোন বাজে কথা বলছি না।আপনার মনে শুধু আপনার শিহাব ভাই রয়েছে।আপনি কোনদিনও আমায় ভালোবাসেননি।আপনি আমার জন্য আগে যা করেছেন।সব আপনার আশ্রয় ঠিকি রাখার জন্য।আর এখন যা করছেন সেটা মানবতার খাতিরে।আপনার মতো মেয়েদের আমি খুব ভালো ভাবেই চিনি।
.
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়ার চোখের কোনায় জল চলে আসলো।যার জন্য সেই সকাল থেকেই না খেয়ে না দেয়ে পাগলের কান্নাকাটি করলো।নিজের অসুস্থ শরিল থেকে ব্লড দিয়ে বাঁচালো।
যার জন্য এখনো পর্যস্ত না খেয়েই তার খাওয়ার অপেক্ষা করে আছে।আর এখন সেই বলছে যা করছে সব মানবতা আর নিজের স্বার্থ এর জন্য এইসব করছে।
.
প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে মাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকার পর।
প্রিয়া:-ঠিক আছে আপনার জন্য আমি যা করেছি সব আমার নিজের স্বার্থ এর জন্য।আমি না হয় আপনাকে কোনদিনও ভালোবাসিনি।কিন্তু আপনি? আপনি আমায় কোনদিন ভালোবেসেন?(কাঁদার মতো করে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-বাসেন্নি তো।বিয়ের পর প্রতিটা দিনি প্রতিটা মুহূর্তে আপনার পরিবার এবং আপনার শুধু অবহেলা অপমান আর কষ্ট ছাড়া কিছুই পাইনি আমি।এমন কি আপনি আমার গাঁয়ে হাত পর্যন্ত তুলেছেন।কত বাজে বাজে ভাষায় প্রতিটা মুহূর্তে আপনি আমায় আঘাত করেছেন।(চোখে জল নিয়ে)
.
মাহিম কিছু বলছে না।
.
প্রিয়া:-এতকিছু সহ্য করে তারপরেও আপনাদের বাসায় পোড়ে থাকতাম জানেন?(চোখে জল নিয়েই)
.
মাহিম:-কি কারণ(প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
.
প্রিয়া:-কারণ………
.
মাহিম:-থামলে কেন বলো না প্রিয়া শুধু একবার বলো যে তুমি আমায় ভালোবাসো।শুধু তুমি একবার বলো তুমি তোমার শিহাব ভাইকে না,তুমি আমায় ভালোবাসো।(প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে)
.
প্রিয়া:-সবকিছুই একটা সময় থাকে।যখন তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এত অবহেলা অপমান কষ্ট সহ্য করতাম।তখন কোনদিও জানতে চাওনি।
আর আজকে যখন আমি আমার জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে পরেছি।তখন তুমি জানতে চাইলেও তোমাকে আর বলব না।(মাহিমের চোখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে)
.
মাহিম:-কি হলো বলুন কেন?
.
প্রিয়া:-(চমকে উঠে)কেন আবার আআমার কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না তাতাই জন্য।(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
.
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
.
প্রিয়া:-এইসব কথা বাদদিন।আমি খাবার এনে দিচ্ছি আপনি খাবারটা খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিন(চোখের জল মুছতে মুছতে)
……নেক্সট পার্ট……..
.আগামাী পর্বটা বড় করে দিব.
জানি ভালো হয়নি বাট যদি
ভালো লাগেতো জানাবেন।
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here