বউ_যখন_কাজের_মেয়ে , পর্ব-৩

0
3468

বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
,
পর্ব-৩
WriterMD Mahim Ahmed
,
,
,
সকাল বেলা মাহিমেরর আগে ঘুম ভেঙে য়ায়,ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৭টা বেজেগেছে।মাহিম উঠে দেখলো সে ছাড়া আর কেউই রুমে নেই,প্রিয়াকে রুমে কোথাও দেখতে পেলো না।প্রিয়া সত্যি সত্যি ভর হতেই চলেগেছে নাকি?সেটা ভেবে তারাতারি উঠে ওয়াশরুমে গেল,গিয়ে দেখলো কেউ নেই।তারপর যখন রুমের বাহিরে আসতে যাবে ঠিক তখনি দেখলো প্রিয়া তার রুমের দরজার সামনে ঠান্ডায় ছোট্ট বাচ্চাদের মতো গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে।
মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,কি মায়া ভরা নিষ্পাপ মুখ,প্রিয়াকে ঘুমন্ত আবস্তায় ঠিক যেমন একটা ঘুমন্ত পরীর মতো লাগছে।
মাহিম প্রিয়াকে এভাবে দেখে একহাটু ফেলে বসলো,বসে খেয়াল করলো কালকে রাতের চরটার আঙ্গুলের ছাপ প্রিয়ার গালে এখনো দ্যাগ হয়ে আছে।প্রিয়ার গালে আঙ্গুলের ছাপ দেখে মাহিমের মনে কেমন জানি একটু মায়া লাগছিল,মাহিম হাত দিয়ে প্রিয়ার গালে দেখলো জ্বরে প্রিয়ার গাঁ পুরে যাচ্ছে।মাহিমের স্পর্শ পেয়ে অমনি প্রিয়ার ঘুম ভেঙে যায়।প্রিয়া মাহিমকে দেখে চমকে উঠে শাড়িটা ঠিক করতে লাগলো।
প্রিয়া:-আআপনি?
,
মাহিম খেয়াল করলো প্রিয়ার মুখ কেমন সুকিয়ে গেছে দেখে মনে হচ্ছে গতকাল থেকে কিছুই খায়নি, ঠিক মতো দাড়াতে পাচ্ছেনা।
,
মাহিম:-হুম,আমি
প্রিয়া:-আসলে খুব ঘুম ধরেছিল তাই আগে উঠতে পারিনি,আমি এখনি আমার ব্যাক নিয়ে চলে যাচ্ছি
,
মাহিম””এখনো দেখি তেস কমেনি(#মনে_মনে)
,
প্রিয়া রুমে থেকে তার ব্যাকটা নিয়ে চলে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম বলে উঠলো।
মাহিম:-দাড়ান
,
প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে দাড়ালো
মাহিম:-কই যাচ্ছেন?
প্রিয়া:-তা জানিনা,কিন্তু আপনার বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছি,আপনাকে তো কথা দিয়েছি সকাল বেলা আপনার বাসা ছেড়ে চলে যাব।তাই সবাই উঠার আগেই চলে যাচ্ছি(শান্ত ভাবে)
,
“”মাহিম”-এখনো দেখি তেস কমেনি,ঠিক মতো দাড়াতে পাচ্ছেনা আর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে,,তোমাকে এত সহজে ছেড়ে দিচ্ছিনা,আমার এক একটা অপমানের প্রতিশোধ নিব তারপর(#মনে_মনে)”!
,
মাহিম:-চলুন আমিও যাব আপনার সাথে
,
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া কিছু অবাক হয়ে বলল
প্রিয়া:-আপনিও যাবেন মানে?
,
মাহিম:-আপনাকে আপনার গ্রামে দিয়ে আসবো
,
প্রিয়া:-আমি গ্রামে ফিরে যাব না।
,
মাহিম:-তো কই যাবেন?আপনার তো ঐখানে যাওয়া ছাড়া আর কোন জায়গা নেই
,
প্রিয়া:-জানিনা,আর আপনার আমাকে নিয়ে ভাবতে হবেনা।আমি ঠিক একটা থাকার জায়গা ম্যানেজ করে নিব।(অভিমানী সুরে)
,
মাহিম:-আপনাকে যেখান থেকে এনেছি সেখানে দিয়ে আসবো আমি
,
প্রিয়া:-থাক আপনাকে আর আমার জন্য কষ্ট করতে হবেনা,এমনিতেই আপনি আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন।আর কিছুই করতে হবেনা আপনার
,
মাহিম:-“যা করছি সেটা শুধু আমার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য করছি,এত সহজে তোমাকে মুক্তি দিচ্ছিনা।(মনে মনে)
মাহিম:-দেখুন আশার সময় আপনার মামা আপনার হাত আমার হাতে তুলে দিয়েছিল,এখন আমি আপনার হাত আপনার মামার হাতে তুলে দিয়ে আসবো।তারপর আপনি যেখানে ইচ্ছে সেখানে যাবেন(বিরক্তিকর ভাবে)
,
প্রিয়া আর কিছু বললো না,কারণ সে কথাই বলতে পারছেনা।২দিন থেকে ঠিত মতো খাওয়া-দাওয়া ঘুম হয়নি প্রিয়ার সরিল তেমন দুর্বল হয়েগেছে,তাই সে আর কথা না বারিয়ে মাহিম আর প্রিয়া রহনা হলো প্রিয়ার গ্রামে।
,
,
সবাই ঘুম থেকে উঠার আগেই মাহিম গাড়ি বেড় করলো,মাহিম ড্রাভিং ছিটে বসলো আর প্রিয়াকে বলল
মাহিম:-ভিতরে এসে বসুন(তার পাশের ছিটে বসতে বলল)
,
প্রিয়া মাহিমের কথা মতো এসে বসে গাড়ির দরজাটা লাগিয়ে দিল।
,
মাহিম:-ছিটবেলটা আটকে নিন।
,
প্রিয়া ছিটবেল নিয়ে টানা-টানি করছে আটকাতে পারছেনা।মাহিম সেটা দেখে প্রিয়ার ছিটবেলটা লাগিয়ে দিল।
মাহিম ড্রাভিং করছে আর প্রিয়া মন খারাপ করে চুপ করে আছে।
,
,
,
“”কিছু দুরে যাওয়া পর””
একটা রেস্টুরেন্টে মাহিম গাড়ি থামিয়ে মাহিম আর প্রিয়া কিছু খেয়েনিল।তারপর মাহিম ড্রাভিং করছে আর প্রিয়া ছিটের মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছিল,ঝানালা দিয়ে আসা হাওআয় প্রিয়ার চুল গুলো উরে তার কাপালে পরে দল খাচ্ছিল,আর মাহিম সেটা বারবার প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখছিল,আর ড্রাভিং করছিল।
,
,
প্ররায় সারাদিন গেল,কিন্তু রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে এখনো তাদের গ্রামে যেতে পারলো না।
,
,
মাহিম ড্রাভিং করছে আর প্রিয়া ঘুমাচ্ছিল,এমন সময় মাহিম দেখতে পেল রাস্তায় অনেক লোকজন ভির করে চিতকার-চেচামিচি করছে।মাহিম সেটা দেখে গাড়িটা ব্রেক করলো।
গাড়িটা ব্রেক করাতে প্রিয়ার ঘুম যায়।প্রিয়া ঘুম থেকে উঠে তার ব্যাকটা নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে যাচ্ছিল এমন সময়
মাহিম:-এখনো আপনাদের গ্রাম আসেনি
,
প্রিয়া:-তাহলে গাড়ি থামালেন কেন?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
,
মাহিম:-সামনে দেখতে পাচ্ছেন না(রাগি কন্ঠে)
,
প্রিয়া সামনে তাকিয়ে
প্রিয়া:-কি হয়েছে?
,
মাহিম:-যানলে কি আর গাড়িটা এখানে ব্রেক করতাম? যত্রসব(রাগি কন্ঠে)
,
এইবলেই মাহিম গাড়ি থেকে মেনে দাড়ালো।মাহিম গাড়ি থেকে মেনে আর কাউকে দেখতে না পেয়ে এক বয়স্কি ভদ্র লোক দেখে ডাকলো।
ভদ্র লোক:-কি বাবা?
মাহিম:-আচ্ছা চাচা সামনে আর গাড়ি যেতে দিচ্ছেনা কেন?সবাই এতভির করে আছে কেন?
ভদ্র লোক:-একটু আগে অনেক বড় একটা Accident হয়েছে,১টা বাচ্চাের মারাগেছে আর অনেক লোকজনের ক্ষতি হয়েছে,সেটা নিয়েই গ্যাম-জ্যাম বর্তমান কোন গাড়ি যেতে দিচ্ছেনা
মাহিম:-এইরকম কতখন থাকবে বলতে পারেন?
,
ভদ্র লোক:-যেভাবে দেখলাম তাতে মনে হয় কাল ছাড়া হবেনা
,
মাহিম:-আচ্ছা এই রাস্তা ছাড়া যাওয়ার মতো আর কোন রাস্তা নেই?
ভদ্র লোক:-কোথায় যাবেন আপনারা বাবা?
মাহিম:-***গ্রামে
ভদ্র লোক:-না নেই,আর সেতো এখনো যেতে ৩/৪ঘন্টা লাগবে,হেটেও যাওয়া যাবেনা।
,
মাহিম ভদ্র লোকের কথা শুনে টেনশনে পরে গেল।
,
ভদ্র লোক:-আচ্ছা বাবা যদি কিছু মনে না কর একটা কথা বলি?
,
মাহিম:-জ্বি বলুন?
,
ভদ্র লোক:-***গ্রাম তো এখনো অনেক দূরে,আর সন্ধাও তো হল আর আশে-পালে থাকার মতো কোন ব্যাবস্তাও নেই।এই জায়টা বেশি ভালো না,আমি বলি কি রতটা এখানে না থেকে আমার সাথে আমার বাড়িতে থেকে যেতে পারো
,
মাহিম:-না না চাচা লাগবেনা।
,
ভদ্র লোক:-ভয় নেই বাবা আমার বাড়িতে শুধু আমি আর আমার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই।
,
মাহিম ভদ্র লোকের কথা শুনে ভাবতে লাগলো,এখন তো বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্ররায় রাতটাই শেষ হবে।আর এখানে থাকাও যাবেনা চার দিকে জাগাটা কেমন ভয়ানক ভয়ানক।মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়ার গাঁয়ে তো জ্বর আর প্রিয়াকে খুব ক্লান্ত ক্লান্ত লাগছে।আর লোকটা কে দেখে ভদ্রই মনে হচ্ছে,তাই সে আর কিছু না ভেবেই রাজি হলো,আর ভদ্র লোক সহ গাড়ি নিয়ে তার বাড়ির দিকে রহনা দিল।
,
,
,
গ্রামের রাস্তা গাড়ি করে আসতে আসতে প্ররায় রাত ৯টা বেজে গেল।
,
মাহিম গাড়িটা ভদ্র লোকের বাড়ির সামনে ব্রেক করে ভদ্র লোকের বাড়িতে ঢুকলো।
ভদ্র লোক তার স্ত্রীকে ডাকলো তারপর সবকিছুই খুলে বললো।
,
তারপর ভদ্র লোকের স্ত্রীর প্রিয়া আর মাহিমকে রুমের ভিতরে নিয়ে গেল,নিয়ে সবাই মিলে খেতে বসলো,প্রিয়া প্রথমে খেতে চাইলো না,কিন্তু ভদ্র লোকের স্ত্রীর জোরা-জুরিতে অল্প করে খেলো।
,
খাওয়া-দাওয়ার পর
ভদ্র লোকের স্ত্রী:-বাবা তোমরা কি স্বামী-স্ত্রী?
,
কথাটা শুনে প্রিয়া আর মাহিম দুজনি চুপ হয়েগেল।কেউই কিছু বলছেনা দুজনি-দুজনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়া মাহিমের চুপ করা দেখে বলতে যাবে যে না,তখনি মাহিম বলে উঠলো
মাহিম:-জ্বী আমরা স্বামী-স্ত্রী,নতুন বিয়ে হয়েছে গ্রামে ব্যারাতে যাচ্ছিলাম।
,
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া হতাস হয়ে অন্যরকম একটা মায়া নিয়ে তাকিয়ে রইলো,হতে পারে এইটা মিথ্যে কিন্তু মাহিমের নিজের মুখে এই কথাটাই প্রিয়ার কাছে অনেক কিছু।
,
,
ভদ্র লোকের ছোট্ট দুইটা ঘর,যেটা সব থেকে একটু ভালো সেটাই মাহিম আর প্রিয়াকে থাকতে দিল।
মাহিম রুমে এসে দেখলো ছোট্ট একটা বিছানা, একটা বালিশ,একটা কাতা আর একটা চ্যায়ার ছাড়া আর কিছুই নেই।
মাহিম রুমে এসে বিছানাটায় বসে পরলো।
একটু পর প্রিয়া রুমে আসলো,এসে দরঝাটা লাগিয়ে দিল,দিয়ে মাহিমেরর কাছে আসলো
মাহিম:-এখানে তো একটাই বিছানা?
,
প্রিয়া:-আপনি অনাদের কে মিথ্যে বলতে গেলেন কেন?সত্যিটা বলতেন যে ব্যারাতে না আমাকে রেখে আসতে যাচ্ছেন।তাহলে তো অনারাই একটা ব্যাবস্তা করে দিতেন
,
মাহিম:-(বসা থেকে উঠে)এই দেখুন একদম আমাকে কিছু শিখাতে আসবেন না,আমি আপনার থেকে অনেক কিছুই জানি।অনাদের কে সত্যিটা বললে না এইশিতের রাতে গাঁছ তলায় কাঁটাতে হতো(রাগি কন্ঠে)
,
প্রিয়া:-ঠিক আছে,আপনি বিছানায় সুরে পড়ুন আমি এই চ্যায়ার টায় বসে রাতটা কাঠিয়ে দিব।
,
মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়াকে খুব ক্লান্ত ক্লান্ত লাগছে।
,
মাহিম:-এই বিছানায় আমার কিছুতেই ঘুম আসবেনা
,
প্রিয়া:-বলেছিলাম না আসতে, আর এসেই যখন পরেছেন তখন আজকে রাতটা একটু কষ্ট করে কাঠিয়ে দিন
,
মাহিম:-এই আপনার কি মনে হয়? আমি আপনার সাথে এসেছি বলে কি আমি আপনাকে ভালোবাসি,আপনাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিব(চেঁচিয়ে)
,
প্রিয়া:-বালাইশাঁট(গ্রাম্য ভাষা)আমি কেন সেটা ভাবতে যাব?আপনার স্ত্রী হওয়া এইটা তো আমি কল্পনাও ভাবিনি
,
মাহিম””-এতটা ঘূনা করো আমাকে,এতটা খারাপ ভাব আমাকে যে আমার স্ত্রী হওয়া তুমি সেটা কল্পনাও ভাবো না(মনে মনে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
,
প্রিয়া:-“”তুমি তো আমাকে ভালোইবাসো না,আমাকে সয্যই করতে পারো না।তোমার স্ত্রী হওয়ার কোন যোগ্যই তো আমার নেই।তাই তোমার স্ত্রী হওয়ার কথা আমি কল্পনাও ভাবিনা।(মনে মনে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
,
,
“কিছুক্ষন পর”
প্রিয়া:-কি হলো আপনি দাড়িয়ে আছে কেন?বিছানায় সুয়ে পড়ুন
,
মাহিম প্রিয়াকে ক্লান্ত দেখে বলল
মাহিম:-সমস্যা নেই,এখানে দুজনের জয়গা হবে।আপনি কাতা নিয়ে সুয়ে পড়ুন
,
প্রিয়া:-বললাম তো আমি চ্যায়ারটায় বসে রাতটা কাঠিয়ে দিব,আপনি সুয়ে পড়ুন
,
মাহিম””এত অহংকার তোমার?এতটা খারাপ ভাবো আমাকে? একটুও বিশ্বাস করো না আমাকে।যদি আমাকে খারাপ না ভাবতে তাহলে আজকে চ্যায়ারে বসে রাতটা কাঠা চাইতে না।প্রিয়া তুমি প্রতিটা মুহূর্তেই আমাকে অবহেলা অপমান করছো,কষ্ট দিচ্ছ আমাকে।তুমিও মনে রেখ আমি যতটা কষ্ট পাব,তার বেশি কষ্ট আমি তোমাকে দিব,এর এক একটা মূল্য তোমাকে তোমার চোঁখের জল দিয়ে দিতে হবে,মনে রেখ।(দাড়িয়ে এইসব মনে মন বলেই মাহিম কাতা গায় দিয়ে সুয়ে পরলো।)
,
প্রিয়া””তোমার পাশে সোওয়া কোন যোগ্যতা আমার নেই,যদি থাকতো তাহলে বাসর রাতে তোমার রুম থেকে আমাকে কেহিয়ে যেতে বলতে না।(মাহিমের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলেই চ্যায়রটা টেনে বসে পরলো প্রিয়া)
,
,
,
মাঝরাতে কারো ভয়ানক সব্দে ঘুম ভেঙে যায় মাহিমের।
মাহিম ঘুম থেকে উঠে বসে পরলো,ঘনো-ঘনো নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর কাপা কাপা কন্ঠে কি যেন বলছে ভালো করে বুঝতে পারছেনা।মাহিম এইদিক-ঐইদিক তাকাকেই চ্যায়ারের দিকে চোখ পরতেই দেখলো প্রিয়া নেই,মেঝেতে পোরে আছে।মাহিম প্রিয়াকে দেখে বিছানা থেকে নেমে প্রিয়াকে তুলতে প্রিয়ার গাঁয়ে হাত দিতেই দেখলো প্রিয়া সারা সরিল জ্বরে পোড়া যাচ্ছে।প্রিয়া ঘনো-ঘনো নিশ্বাস নিচ্ছে আর কাপা কাপা কন্ঠে পানি বলছে।
মাহিম:-এইযে শুসছেন?
,
এইভাবে কয়েকবার ডাকলো কিন্তু প্রিয়ার কোন সাড়া পেল না,শুধু ঘনো নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর পানি চাইছে।এরপর মাহিম প্রিয়াকে কোলে করে তুলি বিছানায় সুয়ে দিয়ে গ্লাসে করে পানি নিয়ে প্রিয়ার কাছে যেতেই প্রিয়া মাহিমের শার্ট এর কলার ধরে তার কাছে টানছে।মাহিম খেয়াল করলো প্রিয়ার চোখ বন্ধ, ঠোঁঠ আর সারা সরিল কাপছে আর শুধু মাহিমকে তার কাছে টানছে।
–To Be continue
.
জানি আজকের পর্বটা ভালো হয়নি কারন,আজকে পর্বটা বড় করে লেখার পর পোস্ট দেওয়া সময় Delete হয় যায়।
পরে ভেবে ছিলাম আজকে দিব না,কিন্ত আপনাদের জন্য তারাহুরো করে যা মনে আসছিল তাই লিখলাম।
,
ভালো লাগলে জানাবেন।
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )
#ধন্যবাদ_সবাইকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here