বউ_যখন_কাজের_মেয়ে
,
পর্ব-৭
Writer:MD Mahim Ahmed
,
,
>—৬ তম পর্বের–<
মাহিম:-বললাম তো লাগুক,আপনাকে বলতেই হবে আমি কি?(রাগি কন্ঠেই)
,
এইবলেই মাহিম আরো শক্ত করে প্রিয়ার হাতটা চেপে ধরতেই প্রিয়ার হাতের চুড়ি ভেঙে চুড়ির টুকড়ো প্রিয়ার হাতে ঢুকতেই প্রিয়া চিৎকার দিয়ে উঠলো।
,
,
,
>—৭ তম পর্ব—< + এরপর
,
"অর্পা আর নীলের রুমে"
,
অর্পা রুমে ঢুকতেই নীল রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল এমন সময়
অর্পা:-দাড়াও নীল(নীলের পিছন থেকে)
,
অর্পার কথা শুনে দাড়িয়ে গেল।অর্পা নীলের কাছে যেতেই
,
নীল:-কিছু বলবে?
,
অর্পা:-হুমম
,
নীল:-কি বলো শুনি?
,
অর্পা:-আচ্ছা সকাল বেলা ঐ রুমে আমি যেতেই প্রিয়া কেন ঐ রুম থেকে কাঁন্না করতে করতে বেরিয়ে গেল?
,
অর্পার কথা শুনে নীলের ভিতর যেন সুকিয়ে গেল,তার শরিল ভয়ে ঘামতে লাগলো সে কি বলবে বুঝতে পারছেনা।
,
নীল:-(নিশ্চুপ)
,
অর্পা:-কি হলো বলো?
,
নীল:-(কাপা কাপা কন্ঠে) না মানে(অর্পা কাজ থেকে দূরে সরিয়ে গিয়ে)
,
অর্পা:-হুমম বলো কি?
,
নীল:- না মানে(ঠিক একি ভাবেই)
,
অর্পা:-কি না মানে না মানে করছো?(এগিয়ে গিয়ে একটু রেগে)
,
নীল:-না মানে সেটা আমি কি করে বলবো(ভয় ভয় করে)
,
অর্পা:-না মানে আমি যখন ওকে থাপ্পড় দিলাম তখন ও কাঁন্না করলো না,কিন্তু আমি ঐ রুমে যেতেই প্রিয়া তোমার কাজ থেকে ঐভাবে কাঁন্না করতে করতে দৌরে বেড় হয়েগেল কেন?
,
নীল:-বললাম তো আমি জানিনা কেন(অর্পার কাজ থেকে সড়ে গিয়ে)
,
অর্পা:-কি করছিলে ওর সাথে?
,
নীল:-মামামানে তুমি কি বলতে চাইছো অর্পা
,
অর্পা:-আমি কি বলতে চাইছি সেটা তুমি ঠিকি বুঝতে পারছো
,
নীল:-অর্পা তুমি কি আমাকে সন্ধেয় করছ নাকি?(ভয় করে অর্পার দিকে ঘুরে)
,
অর্পা:-যদি তোমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে সন্ধেয় করছি,তাহলে সেটাই।
,
নীল:-অর্পা তুমি আমাকে সন্ধেয় করছো?তাও আবার একটা কাজের মেয়ে কে নিয়ে?
,
অর্পা:-(নিশ্চুপ)
,
নীল:-এই তোমার ভালোবাসা? আমার প্রতি তোমার একটুও বিশ্বাস নেই?(অর্পার কাছে এগিয়ে এসে)
,
অর্পা এখনো চুপ করে আছে কিছু বলছেনা।
,
নীল:-বুঝতে পেরেছি,আমি ঘর জামাই বলে তোমার কাছে আমার কোন মূল্য নেই।
,
অর্পা:-আমি সেটা বলিনি।
,
নীল:-তুমি সেটাই বুঝাতে চাইছো,যদি তোমার কাছে আমার মূল্য থাকতো তাহলে তুমি কখনই একটা কাজের মেয়ে কে নিয়ে আমাকে সন্ধয় করতে না।আমি চলে যাব থাকবো না।
,
কাঁদো কাঁদো ভাবে বলেই নীল রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল এমন সময়
,
অর্পা:-নীল দাড়াও কোথায় যাচ্ছ?
,
পিছন থেকে বলেই নীলের সামনে গিয়ে দাড়ালো।
,
অর্পা:-কোথায় যাচ্ছ?
,
নীল:-আমি থাকবো না আর তোমার বাসায়।
,
অর্পা:-নীল I am sorry আমার ভূল হেয়েগেছে।তুমি প্লিজ এমন করোনা।
,
নীলা:-না এখানে থাকলে তুমি আরো প্রিয়াকে নিয়ে আমাকে সন্ধেয় করবে। তার চেয়ে বেটার আমি চলে যাই এই বাসা থেকে।সরো সামন থেকে(কেদে কেদে অর্পাকে সরানো চেষ্টা করে)
,
অর্পা:-আর কখনই আমি প্রিয়াকে নিয়ে তোমাকে সন্ধেয় করবো না,প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
,
নীল:-অর্পা সরো সামন থেকে,আমাকে যেতে দাও
,
অর্পা:-নীল আমি তোমাকে ভালোবাসি বলেই সন্ধেয় করি,আমি কথা দিচ্ছি আর কখনই তোমাকে ামি সন্ধেয় করবো না, i Love you Nil
,
এইবল কেঁদে অর্পা নীল জরিয়ে ধরলো।
নীলও অর্পাকে জরিয়ে ধরে একহাত দিয়ে চোখে পানি মুছতে মুছতে
নীল:-"উফফফ একটুর জন্য আমার এতদিনের স্বপ্ন সবকিছুই শেষ হয়ে যেতো।যে স্বপ্ন নিয়ে এতদিন ধরে আমি এই বাড়িতে ঘর জামাই হয়ে আছি আজ একটুর জন্য সব শেষ হতো।অর্পা আমি তোমাকে বিয়ে করেছি শুধু তোমার বাবার টাকা,পয়সা,বাড়ি,গাড়ির জন্য।এতদিন ধরে স্বপ্ন ছিল তোমার বাবার এইসব কিছুই আমার করে নেওয়ার,কিন্তু এখন তো আরও একটা জিনিস আমার চাই।যা এইসব কিছুর চেয়ে আমার কাছে অনেক দামি আর সেটা হলো প্রিয়া।যতদিন এই দুটো জিনিস আমি আমার করে পাচ্ছি,ততদিন তোমার সামনে এই ভালো মানুষ হওয়ার অভিনয়টা আমাকে চালিয়ে যেতে হবে।(অর্পাকে জরিয়ে ধরে মনে মনে)
,
এরপর
,
"মাহিম আর প্রিয়ার রুমে"
,
মাহিম আরো শক্ত করে প্রিয়ার হাতটা চেপে ধরতেই প্রিয়ার হাতের চুড়ি ভেঙে চুড়ির টুকড়ো প্রিয়ার হাতে ঢুকতেই প্রিয়া চিৎকার দিয়ে উঠলো।(এরপর)মাহিম প্রিয়ার মুখের দিকে তাকালো দেখলো প্রিয়া আর চিৎকার করছে না,হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে না,শুধু চোখ বন্ধ করে চোখের জল ফেলছে।মাহিম বুঝতে পারলো মেয়েটা সত্যি অনেক ব্যাথা পেয়েছে।মাহিম প্রিয়ার মুখে দিকে তাকানো পর প্রিয়ার হাতটা ছেড়ে দিয়ে পিছন দিকে পিছিয়ে গেলপ্রিয়ার হাতটা মাহিম ছেড়ে দেওয়ার পর ভেঙ্গে যাওয়া চুড়ির টুকরো গুলো নিছে পরে গেল।আর প্রিয়া নিজের হাতটা নিজের বুকে টেনে নিয়ে
,
প্রিয়া:-(কেঁদে কেঁদে)এভাবে আমার উপর এত অত্যাচার করেন আপনার একটুও বাধেনা না।কেন আমি দূর্বল অসহায় মুখ বুঝে সবকিছু সহ্যই বলে।হাত জোর করে আপনাদের বাসায় থাকতে এসেছি বলে।(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম:-(নিশ্চুপ)
,
প্রিয়া:-আপনাদের বাসায় তো আর কেউ আমাকে বসে বসে খাওয়াবে না,এই দুটো হাত দিয়ে আমাকে কাজ করে খেতে হবে।(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম কিছু বলছে না।
,
প্রিয়া:-আর তা নাহলে আপনাদের বাসায় কেউ আমাকে থাকতেই দিবে না।(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম শুধু দাড়িয়ে প্রিয়ার কথা গুলো শুনছে কিঠু বলছেনা।
,
প্রিয়া:-কি চেয়েছি আমি?শুধু দু-বেলা দু-মুঠো ভাত আর থাকার জন্য একটু জায়গা,ারর তো কিছু চায়নি আমি।তবুও কেন আপনি আমার সাথে এমন করেন?আমি তো একটা মানুষ আমারও মন বলে একটা জিনিস আছে(কেঁদে কেঁদে)
,
কথাগুলো প্রিয়া কেঁদে কেঁদে বলেই দাড়িয়ে রইলো।
,
মাহিম প্রিয়ার হাতের দিকে তাকালো দেখলো ভেঙ্গে যাওয়া চুড়ির টুকরো দিয়ে প্রিয়ার হাত কেটে রক্ত বেড় হচ্ছে।প্রিয়ার অনেকটাই ব্যাথা পেয়েছে।
,
মাহিম:-"তুমি নিজেকে যতটা আমার কাজ থেকে রাগবে,আমি তার চেয়ে বেশি কষ্ট দিয়ে তোমাকে আমার কাজ দূরে সরিয়ে দিব।(মনে মনে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
,
প্রিয়া কিছুক্ষন দাড়িয়ে কাঁন্না করার পর
,
প্রিয়া:-আপনি যানতে চাইছিলেন না আপনি কি?আপনি একটা খুব খুব খুব খারাপ মানুষ,বাজে মানুষ।(বাচ্চাদের মতো কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম:-তাহলে এই খারাপ মানুষটার সাথে হাত জোর করে নিয়ে আসতে বলে ছিলেন কেন?আর এই খারাপ মানুষটার বাড়িতে আছেন কেন? বেরিয়ে যান(রেগে প্রিয়ার কাছে এসে)
,
প্রিয়া:-হুমম,যাব আমি চলে যাব,থাকবো না আমি আপনাদের বাসায়,একটা থাকার জন্য জায়গা হলে আমি ঠিকি চলে যাব।আর এখন থাকার জন্য কোথাও জায়গা নেই তো তাই বাধ্য হয়ে আমাকে আপনাদের বাসায় থাকতে হচ্ছে।
,
মাহিম:-হুমম জানি তো,এই আপনাদের মতো মেয়েদের থাকার জন্য নিদদির্স ঘর থাকেনা।
,
কথাটা শুনেই প্রিয়ার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরলো,সে মাহিমের দিতে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।প্রিয়া কখন ভাবতে পারিনি যে মাহিম এই কথা প্রিয়া কে বলবে।
,
প্রিয়া:-কিহ? কি বললেন আপনি?(অবাক দৃষ্টিতে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
,
মাহিম:-হুম যেটা আপনি শুনলেন,এই আপনাদের মতো মেয়েদের শহরে,বন্দরে,হাটে,বাজারে সব জাগায় ঘর থাকে তো।(প্রিয়া থেকে দূরে যেতে যেতে)
,
প্রিয়া:-আপনি কি বলছেন এইসব?
মাহিম:-আমি একদম ঠিক কথা বলেছি,যা বলেছি একদম ঠিক বলেছি(প্রিয়ার কাছে এসে)
,
প্রিয়া:-আপনি আর কত অপমান করবেন আমাকে?আজকে যদি আমার মা-বাবা বেচে থাকতো তাহলে আপনি এই কথাটা আমাকে বলতে পারতেন?
,
মাহিম কিছু বলছেনা।
,
প্রিয়া:-(কেঁদে কেঁদে)আপনার মুখে তো তার কিচ্ছু আটকায় না,আপনার নিজের বউ আপনি কখন এই কথাটা বলতে পারতেন,কোদিনও পারতেন এই কথাটা বলতে?
,
মাহিম:-এই আপনি কি আমার বউ নাকি?(প্রিয়ার কাছে এগিয়ে এসে)নাকি নিজেকে মনে মনে আমার বউ ভাবেন,একটা কথা মাথায় রাগবেন আপনি কিন্তু এই বাড়ির কাজের মেয়ে আমার বউ না।আর কখনই আমার বউ হওয়ার চেষ্টাও করবেন না।(রাগি কন্ঠে ধমকের মতো করে)
,
প্রিয়া:-আমি জানি আপনার বউ না,আর কখনো আপনার বউ হওয়া চেষ্টা করিনা,কিন্তু আমি যে আপনার কেউ না সেটা যানতাম না।!!একটা রাস্তায় মেয়েকেও আপনি যেটা সম্মান করেন আমাকে আপনি সেটাও করেন না।
,
মাহিম শুধু কথা গুলো শুনছে কিছু বলছে না।
,
প্রিয়া:-তার মানে আপনি একটা রাস্তার মেয়ের থেকেও আমাকে খারাপ ভাবেন,একটা মানুষ একটা মানুষকে কতটা ঘৃণা করলে এইরকম একটা কথা বলতে পারে(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম:-আমি যা বলেছি একদম ঠিক বলেছি(প্রিয়া দিকে তাকিয়ে)
,
মাহিমের কথা শুনেই প্রিয়া মাহিমের কাছে এসে মাহিমের শার্ট এর কলার ধরে
প্রিয়া:-(মাহিমের শার্ট টা টেনে ছিড়তে ছিড়তে)ঠিক বলেন-নি আপনি কিচ্ছু ঠিক বলেন-নি কিচ্ছু ঠিক বলেন-নি,ভূল বলেছেন আপনি(রেগে চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে)
,
প্রিয়া মাহিমের শার্ট টা টেনে ছিড়ে দিয়ে মাহিম হালকা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে।
প্রিয়া:-পেটে বিদ্যা থাকলে আর কয়েকটা ডিগ্রী থাকলে ভালো একটা চাকরি পাওয়া যায়,কিন্তু ভালো মানুষ হওয়া যায় না।
,
মাহিম প্রিয়ার দিকে আছে
,
প্রিয়া:-মানুষের বিচারের দিক দিয়ে না আপনার থেকে অনেক এগিয়ে(মাহিম দিকে আঙ্গুল উঠিয়ে)
,
মাহিম প্রিয়ার দিকে কিছুক্ষন রাগি চোখে থাকার পর নিজের বুকের দিকে একবার তাকালো আর প্রিয়া দিকে এগিয়ে এসে
মাহিম:-কি হলো এটা(প্রিয়া দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে)
,
প্রিয়া:-যা হয়েছে ঠিকি হয়েছে,বেশ করেছি আমি(রাগি কন্ঠে)
,
মাহিম:-বেশ করেছেন।
,
এইবলে মাহিম আবার ঠিক আগের মতো করে প্রিয়া হাতটা পিছন দিক দিয়ে চেপে ধরলো আর প্রিয়াও ঠিক আগের মতো করে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো।
মাহিম:-এবার যদি আমি আপনার এই হাতটা ভেঙ্গে গুরিয়ে দেই,তাহলে আমি কিন্তু বেশ করবো(প্রিয়ার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে)
,
প্রিয়া:-(কেঁদে কেঁদে)হ্যাঁ দিন না,শুধু ভেঙ্গে কেন মেরে ফেলুন আমাকে,পুরো মেরে ফেলুন আমাকে(কেঁদে কেঁদে)
-Tu be Continue
,
ভালো লাগলে যানাবেন।
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )
#ধন্যবাদ_সবাইকে