বজ্জাত বউ,পর্ব। ৩২,৩৩

0
922

বজ্জাত বউ,পর্ব। ৩২,৩৩
লেখিকা বিলকিস
পর্ব। ৩২

অথৈ: এভাবে যে আর কতো ক্ষন বসে থাকতে কে জানে। নিজের বাড়ি থেকে শুধু করে এই বাড়ির আসার পর থেকে শুধু বসে বসে আছে। বিয়ে করতে যে এতো কষ্ট হয় আগে যানতাম না তারপরে খুব ক্ষিদে পেয়েছে। কেউ একটু খেতে দিচ্ছে না। নিজের বাড়ি হলে কখন খেয়ে নিতাম। ( মনে মনে বললো)
দিশা: কি অথৈ খুব ক্ষিদে পেয়েছে না। না না অথৈ না ভাবী। আজ থেকে তোমাকে ভাবী বলে ডাকবো
অথৈ: না আসলে আমি তোমার অনেক ছোটো তাই নাম ধরে ডাকলে হবে
দিশা: তুমি ছোটো কিন্তু আমার ভাই তো আমার থেকে বড়। তাই তোমাকে ভাবী বলে ডাকবো।
পরশের আম্মু: দিশা তুই খাবার নিয়ে আয়। আর মা এটা তুমি তোমার নিজের বাড়ি ভাববে। বুঝেছো। আর যা দরকার আমাকে বলবে।
অথৈ: ঠিক আছে আন্টি।
পরশের আম্মু: আন্টি না আজ থেকে তুমি আমাকে মামনি বলে ডাকবে।
অথৈ: ঠিক আছে আন না মামনি।
দিশা: এই যে খাবার
পরশের আম্মু: আমাকে দে আমি খাইয়ে দিচ্ছি ( বলে খাইয়ে দিলো) দিশা তুই ভাইয়া কউরে।
দিশা: ভাইয়া আসি নি। ভাইয়া তো গাড়ির থেকে নেমে গিয়েছিলো আর বলেছিলো আমি একটু পর বাড়ি ফিরবো।
অথৈ: আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম। আম্মুর জামাইয়ে কথা। তাকে আমি এখনে দেখতে পেলাম। গাড়িতে এতো বড় গোমটা টেনে দিয়েছিলো আমার। যে আমি দেখতে পারি না। কে যানে কেমন সে তবে না তার কন্ঠটা খুব চেনা একদম ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটার মতো। আরে কি ভাবছি আমি এসব একি রকমের কন্ঠ অনেকেরও হতে পারে ( মনে মনে বললো)
পরশের আম্মু: কি ভাবছিস মা।
অথৈ: কিছু না।
দিশা: তোর ভাইয়া ফোন দে আর বাড়ি আসতে বল
পরশের বাবা: লাভ নেই। তোমার ছেলে ফোন ধরবে না। আমি জানি ও কোথায় গিয়েছে। ঠিক সময় ফিরে আসবে।
দিশা: ভাইয়া কি আজ ও ম
পরশের বাবা: না ও কথা দিয়েছে ও আজ খাবে না।
অথৈ: কি সব বলছে ওনারা কিছু তো বুখতে পারছিনা। আহ্ অসহ্য লাগছে আমার। এতো ভারি শাড়ি পরে তারপর এতো গহনা আর নিতে পারছিনা আমি। আর কতো ক্ষন বসে থাকতে হবে আমার। ইচ্ছে তো করছে এখানে দাড়িয়ে কিছুটা লাফালাফি করি।
পরশের আম্মু: দিশা তুই অথৈকে তোর ভাইয়া রুমে নিয়ে যা।
দিশা: চলো ভাবী ( বলে পরশের রুমে দিকে নিয়ে গেলো)
পরশ: কেমন আছো মিষ্টি( মিষ্টির কবরে পাশে বসে বললো) তুমি খুশিহয়েছো তো। আমি আজ বিয়ে করেছি মিষ্টি। সেই ঘর, সেই খাট, সেই বিছানা, যেখানে তুমি থাকতে সেখানে আজ অন্য একটা মেয়ে বসে আছে। যাকে আমি এখন পযন্ত দেখি নাই। ( মিষ্টির কবরে উপর হাত দিয়ে বললো) বিশ্বাস করো মিষ্টি আমার ওই একটু যেতে ইচ্ছে করছে না। যেখানে তুমি থাকতে সেখানে অন্য কাউকে কি করে পারবো আমি বলো। তুমি এখানে শুয়ে আছে খুব নিরবে আর আমি জ্বলছি তোমার জন্য। ওই মেয়েটা আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর আমি অপেক্ষা করছি কবে তোমার কাছে আসবো। কি হলে কথা বলবে আমার সাথে। অভিমান হয়েছে না। তুমি তো চেয়েছিলে আমি নতুন ভাবে শুরু করি কি হলো বলে ( বলতে পরশের কাধের কেউ হাত রাখতে সে বললো)
ইমাম সাহেব: বাবা অনেক রাত হয়েছে। বাড়ি ফিরে যাও। কবর স্থান যে এখন বন্ধ করা হবে।
পরশ: হ্যা ভালো থেকে মিষ্টি আমি আসছি ( বলে পরশ কবরে উপর একটা গোলাপ ফুল রেখে কবর জিয়ারত করে করসস্থান থেকে বের হয়ে আসলো।
দিশা: এসো এটা আজ থেকে তোমার ঘর। তুমি এখানে বসে থাকো আমি দেখি ভাইয়া আসলো কি না ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: বাহ্ রুমটা বেশ বড়তো। পুরা রুম আসবারপএ দিয়ে সুন্দর করে সাজানে। আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, আরো কতো আসবারপএ। আবির ঠিক বলেছিলো এরা খুব বড়লোক। পুরা রুম দেখছি মোমবাতি আর গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো। একি পুরা রুমে একটাও আম্মুর জামাইয়ে ছবি নেই। আহ এই ভারি গহনা গুলো আগে খুলে ফেলি অসহ্য লাগছে। (বলে গায়ের গহনা গুলো খুলে ফেললো) আচ্ছা ওনি যখন রুমে আসবে তখন ওনাকে সরাসরি বলে দেবো আমার দেরমহুরে টাকাগুলো দিয়ে দিতে। আরে ওখানে পরদার ওপারে মনে একটা ছবি (পরদার দিকে চোখ পড়তে বললো)। কার ছবি ওটা। দেখি তো ( বলে পরদা সরাতে লাগলো তখনি পেছন থেকে পরশ বলে উঠলো)
পরশ:খবদার ভুলোও ওই ছবিতে হাত লাগাবে না।
অথৈ: কে বলে পেছন ফিরে তাকাতেই( যেনো অথৈর মাথায় বাজ পড়লো।) কি দেখছি আমি নিশ্চায় আমার চোখের জ্যাতি কমে গেছে। আসলে কয়দিন ধরে ছোটো মাছ খাইনি তো এর জন্য। তাছাড়া ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল এখানে কি করে আসবে।
পরশ: তুমি এখানে( রাগী গলায়)
অথৈ: ওমা এতো কথা বলছে। একটু ভালো করে দেখি ( বলে পরশের কাছে গেলো) আমি সত্যি দেখছি না ভুত দেখছি।লা ইলাহা ইল্লাহু মোহাম্মদুর রাসুলল্লাহ (বলে বুকে ফু নিলো) অথৈ তুই নিচেকে একটা চিমটে কেটে দেখ ( বলে চিমটে কাটলো) না আমি তো ঠিক আছে।কিন্তু ওনি কি করে এখানে আসবে। আমার মাথা ঘুরছে কেনো। আমি ঝাপসা দেখছি। তাহলে কি আমি স্বর্গে যাচ্ছি না নরকে যাচ্ছি ( বলতে অথৈ নিচে পড়ে গেলো আর জ্ঞান হারিয়ে ফেরলো)
পরশ: এই মেয়েটা এখানে কি করে আসলে। তারমানে আমি যাকে বিয়ে। হায় খোদা শেষমেষ আমার কপালে জুটলো। ( বলে ওয়াশ রুম থেকে একবালতি পানি এনে অথৈর মুখে ঢেলে দিলো)……..

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৩৩
পরশ : এই মেয়েটা এখানে কি করে আসলো। তারমানে আমি যাকে বিয়ে। হায় খোদা শেষমেশ আমার কপালে জুটলো( বলে ওয়াশ রুমে গিয়ে এক বালতি পানি এনে অথৈর মুখে ডেলে দিলো)
অথৈ: আহ্ এটা কি করলেন। ( জ্ঞান ফিরে পরশের দিকে তাকিয়ে বললো)
পরশ: পানি ডাললাম।
অথৈ: এভাবে কেউ পানি ঢালে। পুরা ভেজে দিয়েছে। আমার বুঝে শীত করে না। আপনি মানুষ না কি। ইশ পুরা ভেজে গিয়েছি।
পরশ: আমি একটা রক্ত মাংস গড়া মানুষ। ওঠো
অথৈ: উঠেছি ( মেজে থেকে উঠে বললো)
পরশ: কেনো করলে আমাকে বিয়ে।
অথৈ: আপনাকে বিয়ে আমি করিনি। আমাকে দিয়ে বিয়ে করিয়েছে। তাছাড়া আমি যদি আগে জানতাম আপনার সাথে বিয়ে জীবনের বিয়ে করতাম না। জেনে শুনে কেউকি সাপের লেজের পিছনে পা দেই।
পরশ: সাপ কে ( ধমক সুরে)
অথৈ: আ আ আপ আপনি। তাও বিষক্ত সাপ।
পরশ: এই মেয়ে ইচ্ছে করছে তো তোমাকে(চোখ রাঙিয়ে বললো)
অথৈ: একদম রাগ রাঙাবেন না
। কি করবেন আপনি আমি ভালো করে জানি আপনি কচু করতে পারবেন। এই শুনুন আমি ইচ্ছেবিয়ে টা করেনি আমি তো আপনার টাকা টা ফেরত দেওয়ার জন্য বিয়ে করেছি এখন তো দেখছি যার জন্য বিয়ে করলাম তার কাছে এসে ফেসেছি।
পরশ: আম্মু কি আর মেয়ে খুজে পেলো এই মেয়েকে কেনো আমার জন্য ( রাগী গলায় বললো) এই মেয়ে বের হও আমার রুম থেকে।
অথৈ: না না আমি বের হবো না। আর কেনো বের হবে এটা আমারো ঘর।
পরশ : বের হবে না ( বলে অথৈর কাছে এগিয়ে গেলো)
অথৈ: না। এমন ভাবে আসছে মনে হচ্ছে আমাকে পানি দিয়ে গিলে খাবে।
পরশ: চলো ( বলে হাতটা চেপে ধরলো)
অথৈ: হাত ধরছেন কেনো। ছারুন বলছি। আমি যাবো না। মামনি দিশা আপি আমাকে বাঁচাও। আহ্ হাতটা ছারুন আমার হাতে হার ভেঙে গেলো। মামনি দিশা এ্যা এ্যা (বলে পরশের হাতে একটা কামুর দিলো)
পরশ: আহ্ ( হাত ছেড়ে দিয়ে বললো) তোমার সাহস হহয় কি করে আমার হাতে ককামুড় দেওয়ার। চলো ( বলে আবার হাতটা ধরেটানতে টানতে ঘরে বাইরে রেখে ভেতর থেকে দরজায় বন্ধ করে দিলো)
অথৈ: আরে আরে দরজায় বন্ধ করছেন কেনো( বলে দরজায় উপর হাত দিয়ে ধাক্কালো) কি ভেবেছেন আপনি এ্যা। আমি আপনাকে ভয় পাবো মোটোই না এই অথৈ কাউকে ভয় পাই না।
পরশ: অসভ্য মেয়ে। কামুড় দিয়ে সবগুলো দাঁত বিধে দিয়েছে। মালম কোথায় রেখেছি ও শিট মালম টা শেষ হয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে সবগুলো দাঁত ভেঙে দেই(বলে বিছানাতে শুয়ে পড়লো।)
অথৈ: কি শীতরে বাবা। তারপরও ভেজা কাপুর। মনে হচ্ছে বরফ মতো জমে যাচ্ছে। আমাকে বাইরে বের করে দেওয়া দেখে নেবো তোকে। আমি কালকে তোকে ডির্ভোজ দিয়ে চলো যাবে। ( বলে একটা চেয়ারে বসলো) একটা বাচ্চা মেয়ে সাথে কেউ এমন করে। করে করে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটার মতো মানুষ না না মানুষ না ডাইনোসোর করে। আচ্ছা উপর আল্লাহ তুমি কেনো এটা করলে বলো। ও বুঝতে পেয়েছি আমি বলেছিলাম যে আমার মুখ দেখে ওনাকে প্রতিদিন উঠতে হবে এর জন্য আচ্ছা আমি তো কতো অভিসাপ দেই কউ কাজে লাগে না ওনাকে দেওয়া অভিসাপ টা কেনো কাজে লাগলো ( বলতে বলতে চেয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লো)
সকালে
দিশা: অথৈ এই অথৈ
অথৈ: please আর একটু ঘুমাবো।
দিশা: অথৈ আমি দিশা বলছি।
অথৈ: ও আপু তুমি ( চোখ খুলে বললো) তুমি এখানে এভাবে আর তোমার শাড়িটাও তো ভেজা
অথৈ: আমাকে রাতে বের দিয়েছে। দেখে আমার ঠান্ডা লেগেগিছে। হাঁচি
দিশা: ইস উঠো আমি দেখছি ( বলে পরশের রুমে সামনে গেলো) ভাইয়া এই ভাইয়া দরজায় খুল বলছি ভাইয়া।
পরশ: ওহ্ ডাকায় সময় পেলো না। খুলছি ( বলে বিছানা থেকে ওঠে দরজায় খুলে দিলো) কি হয়ে ডাকছিস কেনো
দিশা: ওকে রুম থেকে বের করে দিয়েছিলি কেনো।
পরশ: আমার ইচ্ছা তাই ( বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলো)
দিশা: অথৈ তুমি এসো চেন্জ করে নেবে। এসো যাও ওয়াশ রুম থেকে সাওয়ার করে এসো। আর এই নাও শাড়ি ( বলে একটা শাড়ি বের করে দিলো)
অথৈ: আপু আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না।
দিশা: ও ঠিক আছে তুমি ফ্রেস হয়ে এসো আমি তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছি।
অথৈ: ঠিক আছে( বলে ওয়াশ রুমে চলে গেলো। একটু পর ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসলো)
দিশা: এসেছো ( বলে অথৈ কে নিজের কাছে এনে শাড়ি পরিয়ে দিলো আর হালকা সাজ করিয়ে দিলো) দেখো কেমন লাগছে নিজেকে ( ড্রেসিং টেবিলে সামনে নিয়ে গিয়ে বললো)
অথৈ: বাহ্ আমাকে তো বেশ সুন্দর লাগছে( মনে মনে বললো)
দিশা: চলো এবার নিচে যাই। ( বলে অথৈকে নিচে নিয়ে গেলো)
পরশের আম্মু: এসো মা আমার কাছে এসো। বাহ্ খুব সুন্দর লাগছে তো ( বলে কপালে একটা চুমো খেলো) এখানে বসো মা ( বলে সোফার বসিয়ে দিলো)
পাড়াপরশিরা: আসবো
দিশা: আরে চাচী মা আপনারা আসুন।
পারাপশড়িরা: আসলাম তোমাদের নতুন বউ কে দেখতে। এই বুঝি নতুন বউ। দেখি তো মুখটা ( বলে অথৈর মুখটা দেখলো) বাহ্ বেশ সুন্দর তো। আসমা ভাবী আপনার কপালটা বেশ ভালো এক ছেলে দিয়ে দু দুটো বউমা দেখছেন। তাই দুটো বেশ সুন্দর বটে। আগে টা মতো দেখতে পায়।
অথৈ: এক ছেলে দু বউ মানে। কি বলছে এরা সব কিছুতো বুঝছি না। আমি ছবি তে দেখছিলাম দুই বধু এক স্বামী। আরে কি ভাবছি আব্বু আম্মু কখনো আমাকে আগে বিয়ে করা ছেলের সাথে বিয়ে দেবে না। এরা আমার সাথে মজা করছে ( মনে মনে)
পারাপরশিরা: তা যে বিয়ে করলো সে কোথায়।
দিশা: এইতো ভাইয়া নিচে নামছে।
পারাপরশিরা: কি পরশ তোমার তো দেখছি কপালটা বেশ ভালো। আজকাল কে পাই এতো সুন্দর বউ। তবে আগে বউটাও বেশ সুন্দর ছিলো। তোমার তো কপালে সাথে আমাদের ছেলেদের কপালটা ঘষতে হবে ( বলে হাসতে লাগলো)
পরশ: আপনারা কি এখানে এই কথা বলতে এসেছিলেন। বলা হয়ে গেছে এখন আসতে পারেন। দরজায় খুলাই আছে আসুন।
পড়াপরশি: এই তো চল। এভাবে অপমান না করলে পারতে পরশ। আসি আসমা ভাবি ( বলে চলে গেলো)
পরশ: আম্মু আমি আসছি
পরশের আম্মু: কোথায় যাচ্ছি তুই। আর গতো রাতের বা কোথায় গিয়েছিলি।
পরশ: তোমাদের ইচ্ছা ছিলো আমি বিয়ে করি করেছি। এরপর আমি কি করবো কোথায় যাবো এটা আমার ব্যাপার। ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: দিশা আপু ওনারা কেনো বললো আগে বউ। ওনি কি আগে বিয়ে করেছিলো।না আমার সাথে সবাই মজা করলো।
পরশের আম্মু: কেনো মা তোমাকে জানাই নি। আমরা তো সবটা জানিয়ে ছিলাম যে আমার ছেলে এর আগে একটা বিয়ে করেছিলো।
অথৈ: এ্য( বলতে অথৈর চোখের কোনার পানি চলে আসলো) মামনি আমি আসছি ( বলে দৌড়ে দিয়ে ছাদে চলে আসলো) আব্বু আম্মু কেনো করলো এটা আমার সাথে। আগে বিয়ে করা ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিলো। আমি এতো বুঝা হয়েগিয়েছিলাম তোমাদের আম্মু ( বলে কাঁদতে লাগলো) আমি এখানে এক মুহুর্তের জন্য এখানে থাকবো। আমি চলে যাবে ( বলে পিছন ফিরে তাকালো)
পরশের আম্মু: অথৈ মা অথৈ
অথৈ: আমি যাবো না ( বলে ছাদের চিলেকোঠায় রুমে গিয়ে বসলো)
পরশের আম্মু: অথৈ মা অথৈ মা। না ছাদে নেই তো কোথায় গেলো মেয়েটা।( বলে ছাদ থেকে চলে গেলো)
অথৈ: কি ময়লা। কতোদিন পরিষ্কার করে না। মামনি চলে গেছে আমিও যাই ( বলে উঠতে যাবে তখনি হাতের সাথে একটা পুরাতন আলমাতে ধাক্কা লাগতে ডায়রিটা অথৈর সামনে পড়লো) কি এটা মনে হচ্ছে একটা ডায়রি। দেখতো ( বলে হতে তুলে নিলো) ইশ কতো ময়লা জমেছে ডায়রিতে। কতো দিন আগে কর ডায়রি কে জানে ( বলে ডায়রিটা খুলতেই প্রথম পেজটা চোখ বুলাতেই অথৈ শকড)………

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here