বজ্জাত বউ,পর্ব ০৯,১০
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ০৯
আমি ওনার দিকে ফিরে ওনাকে জরিয়ে ধরতে হঠ্যৎ আমার মাথা ব্যাথা বেড়ে গেলো। অসহ্য যন্তনা হচ্ছে। আমি সহ্য করতে পারছিনা কেনো। এমন যন্তনা হচ্ছে কেনো আমার। এদিকে ওনি আমার ঘাড়ে চুৃমো খেয়েচলেছিলেন। আমি ওনাকে বাধা দিতে পারছিনা এদিকে যন্তনা টা সহ্য করতে পরছিনা। আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে কিন্তু আমি চোখের পানি ফেললে ওনি যদি বুঝে যাই না না আমি চোখের পানি ফেলবো না। আমি ওনাকে আরো শক্তো করে জরিয়ে ধরলাম। ওনি আমাকে ছাড়িয়ে কোলে তুলে নিলেন। তারপর আমাকে বিছানা শুয়ে দিয়ে নিজে আমার পাশে শুয়ে পরলেন। আমি ওনার আবার জরিয়ে ধরলাম। ওনি আমার ঠোটের ওনার ঠোট মিশিয়ে হারিয়ে আজানা ভালোবাসার দেশে। সেই ভালোবাসার দেশটা আমার জন্য কিছুদিন মাএ। আমি সকালে ঘুম ভাঙতে দেখি আমি ওনার বুকে উপর ঘুমিয়ে আছে। ওনার দিকে তাকিয়ে দেখে ওনাকে আজ অসম্ভাব সুন্দর লাগছে। ওই মানুষ টাকে ছেড়ে কি করে যাবো আমি। আমি পারবো খোদা আমি পারবো না। আমি বাচতে চাই বলতে আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। এর কয়েক ফোরা পানি গিয়ে ওনার মুখে পরলো। আমি তারাতারি চোখের পানি মুছে বিছানাতে থেকে উঠতে যাবো তখন ওনি আমার হাতটা ধরলেন।
পরশ: হঠ্যৎ করে মুখে উপর কিছু একটা পড়ার আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি চোখ খুলে দেখি মিষ্টি বিছানা থেকে উঠে যাচ্ছে আমি মিষ্টি হাতটা চেপে ধরলাম। আর বললাম কাঁদছো কেনো
মিষ্টি: কেউ না তো।
পরশ: তাহলে আমার মুখে কয়েক ফোটা পানি কেনো।
মিষ্টি: আসলে আমার চোখে কি যেনো পড়েছিলো তাই।
পরশ: দেখি বলে আমি ওকে এক টান দিতে ও আমার উপর পড়ে গেলো। আমি ওর চোখে হাত দিতেই
মিষ্টি: এখন ঠিক হয়ে গেছে। এ যা ৭:৩০ বেজে গেছে আমি রেডি হয়ে নিচে যাই।
পরশ: না তুমি আমার কাছে থাকো।
মিষ্টি: মামনি একা একা রান্না ঘরে আছে।
পরশ: তো কি হয়েছে। আমি তেমাকে ছাড়বো না বলে ওর কপালে চুমো খেলাম।
মিষ্টি: ওনি কিছুতে আমাকে ছাড়বে না কি করি পেয়েছি (মনে মনে) মামনি তুমি বলতে ওনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন
পরশ: কোথায় মামনি?
মিষ্টি: ওনি আমাকে ছাড়তে আমি ওঠে পড়লাম আর হাসতে লাগলাম।
পরশ: কাজটা ভালো করলে না।
মিষ্টি: বেশ করেছি বলে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। তারপর রেডি হয়ে নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি ডাইনিং টেবিল দিশা আর মামনি বসে আছে। আমিও গিয়ে বসলাম।
মামনি : মা পরশ কোথায়।
মিষ্টি: ফ্রেস হচ্ছে হয়তো বলতে ওনি নিচে নেমে এলেন আর আমার পাশে চেয়ারে বসলেন।
পরশ: good morning .আম্মু ব্রেক- ফাস্ট দাও।
মামনি: নিলুফা ব্রেক- ফাস্ট নিয়ে আয়। নিলুফা সবাইকে বেক- ফাস্ট দিলো। সবাই ব্রেক- ফাস্ট করছিলো হঠ্যৎ করে আমার ফোনটা বেজে ওঠলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি আহাদ ভাইয়া ফোন।
পরশ: কে ফোন করেছে
মিষ্টি: আহাদ ভাইয়া
পরশ: রিসিভ করো কথা বলো
মিষ্টি: হ্যা বলে আমি ফোনটা নিয়ে চেয়ার থেকে একটু দুরে গিয়ে ফোন রিসিভ করলাম।
আহাদ: হ্যালো মিষ্টি। তুই ১ ঘন্টার মধ্যে দিশাকে রাস্তার মোরে আয়। আমি ওখান থেকে তোদের নিয়ে যাবো। আজকে তোর একটা ইনজেকশন দিতে হবে আর ডাক্তার সাথে কথা বলতে হবে।
মিষ্টি: ঠিক আছে ভাইয়া বলে আমি ফোন কেটে চেয়ারে গিয়ে বসলাম।
পরশ: কি বললো আহাদ ভাইয়া
মিষ্টি: আহাদ ভাইয়া একটু দেখা করতে বললো
পরশ: কেনো
মিষ্টি: জানি না। দিশা তোমার ব্রেক – ফাস্ট করার হলে তুমি রেডি হয়ে নাও।
পরশ: কোথায় যেতে বললো আমি তোমাদের পোছে দিয়েছি।
মিষ্টি: না না আমরা যেতে পারবো দিশা চলো রেডি হবে।
পরশ: আম্মু আমি আসছি বলে পরশ আফিসের জন্য চলে গেলো।
একটু পরে দিশা আর মিষ্টি রেডি হয়ে মামনি কে বলে রাস্তায় মোড়ে যেতেই দেখে আহাদ গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। মিষ্টিআর দিশা গাড়িতে উঠতে আহাদ গাড়ি চালাতে শুরু করলো। কিছুক্ষন পর আহাদ ওদের কে হাসপাতালে আসলো। হাসপাতালে আসতে একটা নার্স মিষ্টিকে নিয়ে একটা রুমে গেলো।
মিষ্টি: আমি রুমে যেতেই দেখি দুজন নার্স আর তিন জন ডাক্তার বসে আছে। আমি ভেতরে ঢুকতে একটা নার্স এসে আমাকে একটা কেবিনের উপরে শুয়ে দিলো। আমি নার্স কে বললাম ডাক্তার আহাদ কোথায়।
নার্স: আপনি শুয়ে থাকুন ডাক্তার আহাদ চলে আসবে বলতে আহাদ ভাইয়া কেবিনে এসে বাকি ডাক্তার দের সাথে কি যেনো বলাবলি করতে লাগলো।
আহাদ: মিষ্টি তুই চিন্তা করিস সব ঠিক হয়ে যাবে।
মিষ্টি: এরা আমার সাথে কি করবে ভাইয়া। আমার খুব ভয় করছে। একটু পর নার্স একটা ইনজেকশন দিলো। ইনজেকশন দেওয়া পর আমার মাথাটা কেমন যেনো লাগলো। তারপর কি হলো আমি জানি না। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি তাকিয়ে দেখি দিশা পাশে বসে আছে। আমি দিশা দিকে ফিরে দিশার হাতটা ধরতে যাবো তখন দেখি আমার হাতটা আমি উঠাতে পারছিনা। খুব ব্যাথা করছে। মাথাটাও ব্যাথা করছে। আমি দিশাকে বললাম দিশা আমি হাত আর মাথা নরাচড়া করতে পারছিনা।
দিশা আমার কথা কেনো উওর না দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।
একটু পর নার্স কেবিনের ঢুকতে আমি নার্সকে বললাম। নার্স আমি আমর হাত আর মাথা নাড়াতে পারছিনা কেনো।
নার্স: আপানার হাতে অনেকগুলো ইনজেকশন ফুস করা হয়েছে আর মাথা মেশিনের সাহা্য্য ভেতরটা দেখা হয়েছে তাই।
মিষ্টি: নার্স আমি একবার ডাক্তারে দেখা করতে চাই
নার্স: ঠিক আছে আমি ডাক্তার কে ডেকে দিয়েছি।
ডাক্তার আসতে আমি ডাক্তারকে বললাম।
ডাক্তার আমার হাতে আর কয়দিন সময় আছে।
ডাক্তার: তুমি ভালো যাবে মা।
মিষ্টি: ডাক্তার অসুখটা আমার আর আমি আমার অসুখ বিষয়ে জানতে চাই। please ডাক্তার বলুন।
ডাক্তার: ৩০-৩৫ দিন তোমার
মিষ্টি: ডাক্তার কথা শেষ করার আগে আমি ডাক্তারকে বললাম। ১ মাস না। এতে হবে। হঠ্যৎ করে আমার ফোনটা বেজে ওঠলো। ফোনের দিকে তাকাতেই………..
(চলবে)
বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১০
হঠ্যৎ আমার ফোনটা বাজতেই আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে ওনার ফোন। আমি ফোন রিসিভ করা জন্য হাত বারাতে পারছিনা। খুব ব্যাথা লাগছে হাতটা নাড়াতে। কেবিনে কাউকে দেখতে পারছিনা যে তাকে দিয়ে ফোনটা রিসিভ করিয়ে নেবে। ফোনটা বেজে চলেছে। একটু পর ফোনটা বেজে কেটে গেলো।
পরশ: কি ব্যাপার মিষ্টিকে কল দিলাম কল রিসিভ করলো না। ভাইয়ে সাথে কি এতো রাজ কাজ করছে যে বরের ফোনটা ধরা সময় হচ্ছে না। আর একবার কল করে দেখি বলে আমি আবার কল দিলাম। কিন্তু এবারো ফোনটা ধরলো না কেনো। মিষ্টির সাথে তো দিশা আছে। একবার দিশা কে কল করে দেখি বলে আমি দিশাকে কল দিলাম।
দিশা: হ্যালো ভাইয়া
পরশ: তোর ভাবি কোথায়। কল করছি কল রিসিভ করছে না কেনো।
দিশা:কি বলবো ভাইয়া কে আমি ( মনে মনে) ভাইয়া ভাবিতো ওয়াশরুমে গেছে। ফোনটা হয়তো ব্যাগের মধ্যে তাই ধরতে পারছেনা।
পরশ: ও তোরা কোথায় আছিস বল আমি তোদের ওখান থেকে রিসিভ করে নিচ্ছি।
আহাদ: কার সাথে কথা বলছো দিশা।
দিশা: ভাইয়া
আহাদ: পরশ কি বলছে পরশ।
দিশা: ভাইয়া বলছে আমাদের রিসিভ করে নেবে।
আহাদ: তুমি কি বলছো।
দিশা: এখনো কিছু বলিনি ভাইয়া কলে আছে।
আহাদ: তুমি বলে দাও আমরা একটু পর রওনা দেবো তোর আসার লাগবে না।
দিশা : ভাইয়া তোর আসা লাগবে না আমরা চলে যাবো।( ফোনটা কনে নিয়ে বললো)
পরশ: এটুকু কথা বলতে এতো সময় লাগে। ঠিক আছে সাবধানে আছিস।বলে পরশ ফোনটা রেখে দিলো।
আহাদ: মিষ্টিকে এবার বাড়ি নিয়ে যেতে হবে চলো। বলে দিশা আর আহাদ মিষ্টির কেবিনে গিয়ে দেখে মিষ্টি বেডে শুয়ে আছে আর চোখ দুটো দিয়ে পানি ভেসে যাচ্ছে।
আহাদ: মিষ্টি চল এবার আমরা বাড়ি যাবো। বলে মিষ্টিকে শুয়া থেকে উঠিয়ে বললো।
মিষ্টি: ভাইয়া আমার হাতটা খুব ব্যাথা করছে রে।
আহাদ: একটু পরে ব্যাথা কমে যাবে।
দিশা: ভাবি তুমি ভালো যাবে দেখো।
মিষ্টি: পাগলি মেয়ে আমি কখনো ভালো হবে না। দিশা তুমি একটু বাইরে যাবে আমি আহাদ ভাইয়া সাথে কথা বলবো।
দিশা: ঠিক আছে ভাবি আমি বাইরে যাচ্ছি তোমরা কথা বলো বলে দিশা কেবিনের বাইরে চলে গেলো।
মিষ্টি: ভাইয়া আমি ডাক্তারে কাছ থেকে জেনেছি আমার কাছে আর ১ মাসে মতো সময় আছে । ভাইয়া তুই আমার শেষ ইচ্ছা পূরন করবি ( আহাদের হাত ধরে বললো)
আহাদ: তুই কেনো এ কথা বলছিস বোন । আমি তোর জন্য সব করতে পারি। তোর কি ইচ্ছা বল আমাকে
মিষ্টি: ভাইয়া ভাইয়া দিশা তোকে খুব পছন্দ করে ভালো বাসে। ও খুব ভালো মেয়েরে ভাইয়া।
আহাদ: আমি জানি দিশা খুব ভালো মেয়ে কিন্তু
মিষ্টি: কোনো কিন্তু নয়। তুই আমাকে কথা ভাইয়া তুই দিশাকে বিয়ে করবি ভাইয়া। তোর এই বোনের শেষ ইচ্ছা টা রাখবি ভাইয়া তুই দিশাকে বিয়ে ওকে খুব সুখে রাখবি।
আহাদ: মিষ্টি
মিষ্টি: বল না করবি দিশাকে বিয়ে
আহাদ: করবো। আমি আমার বোনের জন্য সব করতে পারি। আমি বিয়ে করবো দিশাকে
মিষ্টি: thank you ভাইয়া thank you so mach.
আহাদ: এবার চল বাড়ি যাই। বলে আহাদ মিষ্টি কে কেবিনের বাইরে আসলো।
দিশা : ভাবি
মিষ্টি: দিশা আমাদের বাড়ির ফেরার আগে একবার শপিং মলে যেতে হবে।
দিশা: এই অব্যস্থায় শপিং মল না ভাবি আমরা বাড়ি যাই।
মিষ্টি: আরে দিশা তুমি বুঝতে পারছো না আমরা বাড়ির আসার সময় বলে এসেছি। এখন যদি খালি হাতে যাই তাহলে মামনি প্রশ্ন করবো এতো সময় আমরা কি করলাম। বরং কিছু শপিং করে নিয়ে গেলো মামনি ভাববে শপিং মলে শপিং করতে গিয়েছিলাম।
দিশা : কিন্তু তুমি
মিষ্টি: আমি পারবো তুমি চলো। বলে মিষ্টি দিশা আর আহাদ মিলে শপিং মলে গিয়ে শপিং করলো তারপর আহাদ গাড়ি করে দিশা আর মিষ্টি কে নামিয়ে দিয়ে গেলো। বাড়ির সামনে এসে মিষ্টি বললো
মিষ্টি: দিশা মামনি কিন্তু
দিশা: তুমি চিন্তা করো না বলে দিশা কলিং বেল বাজালো। কলিং বেল বাজতে মামনি দরজা খুলে বললো
মামনি : এতো সময় ননদ আর ভাবি মিলে কি করলে
মিষ্টি: মামনি দেখে তোমার জন্য কি এনেছে দেখো এসে এখানে বসো
মামনি: বসছি বসছি পাগলি মেয়ে একটা
মিষ্টি: মামনি তোমার জন্য শাড়ি এনেছি বলে আমি মামনি হাতে শাড়িটা দিতেই
মামনি: মিষ্টি তোর হাতে এগুলো কিসের জন্য মনে কিছু ইনজেকশন
মিষ্টি: এই দেখো এতো কষ্ট শাড়িটা নিয়ে আসলাম আর ওনি আমার হাত নিয়ে পড়লেন। কথায় বলবো না তোমার সাথে।
মামনি: এই দেখে মেয়ে রাগ হয়েছে । আরে মা শাড়িটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
মিষ্টি: সত্যি
মামনি: সত্যি
মিষ্টি: নিলুফা এটা তোর জন্য এই নে আর এটা আমার বরের জন্য। মামনি আমি না নিজের ঘরে যাচ্ছি বলে মিষ্টি নিজের ঘরে আসলো। খাটে বসে কিছু সময় কাঁদলো তারপর ফ্রেস হাওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলো। ওয়াশ রুম থেকে বের হতেে শরীলটা ভালো লাগছিলো না তাই বিছানায় গিয়ে শুয়ে একটুপর ঘুমিয়ে পড়লো।
পরশ: আমি আফিস থেকে ফিরে এসে দেখি মিষ্টি শুয়ে আছে। এই অসময় ওকে শুয়ে থাকতে দেখে মনের মধ্যে একটা অন্য রকম চিন্তা আসলো ওর তো কিছু হয়নি। ও এসময় শুয়ে থাকে না ডাকবো একবার না থাক বরং যখন ওঠবে তখন দেখা যাবে বলে আমি ফ্রেস হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ওর কাছে গিয়ে বসলাম। ওর মায়াবী মুখটা যেনো আমাকে বারবার ওর কাছে টেনে নেয়। আমি ওর কপালে একটা চুমো খেলাম তারপর ওর পাশে বসে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে ওর দিকে তাকাতেই দেখি ওর আমার দিকে আছে। কি ব্যাপার কখন ঘুম ভাঙলো
মিষ্টি: আগে বলো আপনি এসেছো আর আমাকে ডাকলেন না কেনো।
পরশ: এসেছি কিছুক্ষন হলো। আর তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই ডাকি নি।
মিষ্টি: ঘুমিয়ে ছিলাম বলে ডাকা যাবে না।
পরশ: দেখি আমার বউয়ে মুখটা দেখি( ল্যাপটপ টা রেখে)
মিষ্টি: আপনার সাথে কথা বলবোন।বলে আমি বিছানা থেকে উঠে দাড়াতে ওনি আমার হাতটা ধরে টানতে দিতে আমার হাতে পছন্ড ব্যাথা লাগছিলো আমি ব্যাথা সহ্য করতে পারছিনা আবার ওনাকে বলতে পারছিনা হাতটা ছাড়তে বললে ওনি যদি জানতে চাই না না আমি চাই না ওনার জন্য এটুকু কষ্টি করতে পারবো কিন্তু ব্যাথাটা আঃ আমার চোখ পানি আসছে কেনো আমি কাঁদবো না বলে পানি ধরে রাখতে চেষ্টা করলাম।(মনে মনে) আমার হাতটা ছাড়ুন
পরশ: ঠিক আছে হাত ছেড়ে দিলাম বলে আমি ওর কোমড়টা জরিয়ে ধরলাম ওর কাধে উপর চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: ওনার চুমো খাওয়াতে আমি কেপে উঠলাম। আমাকে ছারুন তো এই সময় কেেই এসে পরবে।
পরশ: আসলে আসবে আমি এখন রোমান্স করবো।
মিষ্টি: রোম্যন্স না বলে আমি ওনার দিকে ঘুরে ওনার কাধে হাত রাখতে ওনি আমার হাতটা নিয়ে বললো
পরশ: মিষ্টি তোমার হাতে এগুলো কিসের দাগ।মনে হচ্ছে সুচ ফোটানো দাগ
মিষ্টি: আরে এই দাগ তো অনেক আগে।আর আপনি এখন আমার হাত নিয়ে পড়লেন বলে আমি ওনাকে ছারিয়ে দোড়ে নিচে চলে আসলাম। আমি কি করে আপনাকে বলবো আমি চাই না আপনাকে কষ্ট দিতে বলে আমি কাঁদতে মামনি ডাকতে আমি চোখের পানি মুছে আমি মামনি কাছে গেলাম।
পরশ:মিষ্টি হাতের দাগটা আমি কাল দেখি নাই।দাগটা দেখে মনে হলো আজকে ওর কিছু হয়নি তো না ও আমার কাছ থেকে কিছু লুকাছে আমাকে জানতে হবে বলেআমি নিচে নামতে আমার ফোনটা বাজলো ফোনটা রিসিভ করে আমি ছাদে চলে গেলাম।
মিষ্টি : মামনি তুমি কি করছো।
মামনি:পিঠা বানাছি
মিষ্টি:পিঠা দেখি বলে একটা পিঠা হাতে নিতেই হঠ্যৎ আবার মাথা ব্যাথা শুরু হতে লাগলো আর হাত থেকে পিঠা পড়ে যেতে আমি ওখান থেকে চলে এসে সোফায় বসে পড়ি মাথা ব্যাথা যে দিন দিন বেড়ে চলেছে।
মামনি: মেয়েটার কি হয়েছে মাঝে মাঝে কেমন যেনো করে আমাকে একবার দিশার সাথে কথা বলতে হবে ও কিছু জানেমানে হয়।
পরশ:আম্মু খেতে দাও(সিড়ি দিয়ে নামতে বললো)
আম্মু:দিশা ভাইয়াকে খাবার দে
মিষ্টি:আমি দিচ্ছি বলে আমি খাবার ওনাকে দেই। তারপর সবাই মিলে রাতে খাবার খেতে বসি। খাওয়া শেষ ওনি নিজের রুমে চলে যাই। মামনি নিজে রুম যাই।
দিশা: ভাবি তুমি ওষুধ খাবে চলো।
মিষ্টি: হ্যা চলো বলে আমি দিশা রুমে গিয়ে ওষুধ খেয়ে নিজোর রুমে আসি। রুমে ভেতরে ঢুকতে দেখি ওনি আলমারিতে কি যানো। সবোনাশ আমি আলমারিতে রিপোট রেখেছি ওনি যদি দেখে ফেলে না না কিছুতেই ওনাকে রিপোট দেখতে দেওয়া যাবে না।
পরশ: আলমারিতে এটা কি (হাতে নিয়ে বললো)এটা দেখে মনে হচ্ছে মেডিকেল রিপোট। মেডিকোল রিপোট আমার আলমারিতে খুলে দেখি একবার বলে রিপোট টা খুলতে লাগলো
মিষ্টি: যেটা ভয় পাছিলাম সেটাই হচ্ছে ওনার। হাতে রিপোট না না কিছুতে ওনাকে দেখতে দেওয়া যাবে না বলে আমি দৌড়ে গিয়ে ওনার হাত থেকে রিপোট টা নিয়ে নেয়।
পরশ: কি করছো ওটা কেড়ে নিলে কেনো ওটা দাও আমাকে
মিষ্টি: না দেবো না আগে বলো আলমারিতে কি করছিলে( পরশের গলা ধরে বললো)
পরশ: আফিস থেকে ফোন এসেছিলো আমাকে কিছুদিনে জন্য আফিসের কাজে বাইরে যেতে হবে তাই জামা কাপুড় গোছাছিলাম কিন্তু রিপোট টা
মিষ্টি: খালি রিপোট রিপোট করছো কেনো এই দেখো হাতে কেনো রিপোট নেই( রিপোট পিছোন দিক ফেলে দিয়ে)এতো সুন্দর একটা হট বউ দাড়িয়ে আছে একটু রোমান্স করবে তা না কোথাকর কি নিয়ে পড়ে আছে দূর
পরশ: দেখি আমি রোমান্স করতে পারিনা তবে দেখাছি রোমান্স কাকে বলে। তারপর আমি মিষ্টিকে কোলে তুলে নিয়ে ওকেকে বিছানাতে শুয়ে দিয়ে ওর মধ্যে ডুবে গেলাম। মাঝ রাতে
মিষ্টি: এই যে শুনছেন
পরশ: বলো
মিষ্টি: আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেন না( পরশের বুকো উপর মাথা রেখে বললো)
পরশ: ঠিক আছে বলে মিষ্টির মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
মিষ্টি: একটা কথা বললো
পরশ: একটা কেনো হাজারটা বলো
মিষ্টি: আচ্ছা আমি যখন থাকবো না তখন আপনি আর একটা বিয়ে করবেন।
পরশ: বিয়ে থাকবো না এসব কি বলছো আমি তোমাকে আমার কাছ থেকে কোথায়ও যেতে দেবো না আর তোমার মুখ থেকে যেনো এসব কথা না শুনি বলে মিষ্টিকে শক্তকরে জারিয়ে ধরলাম। এভাবে তোমাকে জরিয়ে ধরে ধারবো
মিষ্টি: যতো ধরে রাখো আমাকে তো যেতেই হবে কেউ আটকাতে পারবে না বলেআমার চোখ থেকে পানি পরে ওনার বুকে উপর পড়লো।
পরশ: তুমি কাঁদছো কেনো
মিষ্টি:আমি থাকবো না বলে
পরশ: মানে
মিষ্টি: আরে আপনিতো আফিসের কাজে বাইরে যাচ্ছেন সেখানে আমি থাকবো না বলে
পরশ: আমি তো কিছুদিনের জন্য যাচ্ছি
মিষ্টি:আমিতো সারা জীবনের জন্য যাচ্ছি
পরশ: কিছু বললে
মিষ্টি:বললাম ঘুম পাচ্ছে ঘুমান।বলে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে ওনার লাগেজ ঘুছালাম। নিচে গিয়ে ওনার জন্য ব্রেক-ফাস্ট নিয়ে রুমে ডুকে দেখি ওনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়েে গেছেন।
পরশ:কখন থেকে অপেক্ষা করছি আর এখন এলে
মিষ্টি: তারাতারি ব্রেক-ফাস্ট করে নিন।
পরশ:করবো তো আগে বলে আমি ওর ঠোটের ঠোট মিশিয়ে দিলাম।১০মিনিট পর ওকে ছেড়ে দিলাম
মিষ্টি:এটা খেলে পেট ভরবেনা। হা করুন ওনি হা করতে আমি ওনাকে খাইয়ে দিলাম।তারপর ওনি সবাই থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি কাছে যেতেই দিশা আমাকে হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে বললো
দিশা: ভাবি তোমাকে ৭ টা মধ্যে একটা ইনজেকশন নিতে হবে আর এখন ৯টা বাজে
মিষ্টি: আরে একটু দেরি করে নিলে কিছু হবে না
দিশা:ভাবি তোমার ব্রেন ক্যান্সার এটা ঠিক সময় নিতে হবে
মিষ্টি: আমি জানি আমার ব্রেন ক্যান্সার আমি এটাও আমি বেশিদিন বাঁচবো না। তুমি আর আহাদ ভাইয়া বিথা চেষ্টা কররছো বলতেই মিষ্টি দরজায় দিকে চোখ যেতেই মিষ্টির ভয় পেয়ে গেলো…..
(চলবে)