বজ্জাত বউ,পর্ব ১১,১২

0
1217

বজ্জাত বউ,পর্ব ১১,১২
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১১

আমি দরজায় দিকে তাকাতেই ভয় পেয়ে গেলা। ওনি এখানে আর এভাবে বা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওনি কি সবটা শুনে ফেললো। কি করবো আমি। (মনে মনে) আমি ডেক গিলে ওনাকে বললাম আপনি এখানে
পরশ: হ্যা আসলে আমার ফোনটা ফেলে গিয়েছি। তোমারা কি বলছে মারা যাবো কে মারা যাবে।
মিষ্টি: দিশা আমি জনতাম তোমার ভাইয়ে মাথায় তার ছিড়া আছে তবে এটা জনতাম না যে ওনি কানে কম শুনেন।
পরশ: কি আমার মাথায় তার ছিড়া আর আমি কানে কম শুনে।
মিষ্টি: শুনেন তো আমি কখন বললাম মারা যাবে আমি তো বলেছি মায়ের কাছে যাবো। দিশা তুমি বলো আমি তাই তো বলছি না বলে আমি দিশার দিকে তাকালাম।
দিশা: হ্যা ভাইয়া তুই ভুল শুনেছিস ভাবি মায়ের কাছের যাওয়ার কথা বলেছে।
পরশ: আমি ঠিক শুনেছি তোমরা মারা যাওয়ার কথা
মিষ্টি: এই নিন ফোন ( ফোনটা টেবিলের পর থেকে নিয়ে পরশের সামনে ধরলো) আর ওখানে গিয়ে কানের একটা ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।
পরশ: আমি ফিরে আসি তারপর তোমাকে ডেকে নেবো আমি কানে কম শুনি না ( ফোনটা নিয়ে বললো)
মিষ্টি: দিশা ওনাকে বলো এখানে সময় নষ্ট করলে আজ আর যাওয়া হবে না। আরে যানতে
পরশ: দিশা তুই ওদিকে ঘোর একটু। ঘুরেছিস
দিশা: হ্যা
পরশ: এখানে কিস করো ( মুখটা এগিয়ে দিয়ে বললো)
মিষ্টি: আপনি পারেন নো বলে আমি ওনার গালে একটা চুমো খেলাম। এবার যান।
পরশ: তোমাকে খুব মিস করবো।
মিষ্টি: আমিও করবো
পরশ: আসি
মিষ্টি: আচ্ছা।
পরশ: মিষ্টি
মিষ্টি: আবার কি হলো
পরশ: আমি বলতে ভুলে গিয়েছিলাম তোমার আম্মু তোমার ফোন করেছিলো তুমি না থাকায় কারনে ফোনটা আমি রিসিভ করেছিলাম। তোমার আম্মু আজকে তোমাকে বাড়িতে যেতে বলেছি।
মিষ্টি: আমি যাবো। এবার সত্যি সত্যি দেরি হয়ে যাবে। আপনি যানতো
পরশ: আসছি বলে আমি চলে গেলাম।
মিষ্টি: ওনি চলে যাওয়া আমি দরজায় দিকে গিয়ে ভালে করে দেখলাম ওনি গিয়েছেন নাকি। না চলে গিয়েছেন। যাক বাবা ওনি পুরাটা শুনে নি। যদি শুনতো তাহলে কি যে হতো। thank got ওনাকে না শুনানো জন্য। দিশা এবার ইনজেকশনটা দাও।
দিশা: হাতটা দাও
মিষ্টি : এই নাও বলে আমি হাত বাড়াতে দিশা আমাকে ইনজেকশনটা দিয়ে দিলো। দিশা আমি ঘরে যাচ্ছি বলে নিজের রুমে এসলাম। রুমে এসে রিপোটটা খুজতে লাগলাম। তখন কোথায় যে ফেললাম পারছিনা কেনো।
মামনি: কি খুজছি মা
মিষ্টি: মামনি আমার একটা দুল কোথায় যে পড়লো খুজে পারছিনা। ও মামনি আমি আজকে আমি বাড়ি যাবো আম্মু কাছে।
মামনি: ঠিক আছে যা। আর দুলটা খুজায় দরকার নেই।
মিষ্টি: ঠিক আছে আমি তাহলে রেডি হয়ে নেই বলে একটা লাল রঙের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
মামনি: আলমারি নিচে ওটা কি দেখা যাচ্ছে। বের করে দেখি
মিষ্টি: আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে মামনি আলমারি নিচে কি যেনো দেখছি ওখানে রিপোট পড়েনি তো।( মনে মনে) মামনি দেখো তো আমাকে শাড়িটা পড়ে কেমন লাগছে।
মামনি: আমার বউমাকে এমনি অনেক সুন্দর লাগে। আর একটু সাজলে আরো বেশি সুন্দর লাগে আয় আজ আমি সাজিয়ে দিয়েছি বলে মামনি আলমারি থেকে একসেট গহনা বের করে আমাকো পড়িয়ে দিলো আর হালকা মেকাপ করে দিলো।
মামনি: বাহ খুব সুন্দর লাগছে। বলতে নিচ থেকে গাড়ির হন বাজলো।
মিষ্টি: মামনি গাড়ি এসে গেছে। চলো নিচে যাই। মামনি তুমি কিন্তু ঠিক মতো খাবার খাবে ওষুধ খাবে ( নিচে নামতে নামতে বললো)
মামনি: আরে দেখো আমার মা আমাকে সাশন করছে।
মিষ্টি: এই মা যখন থাকবে না তখন মনে পড়বো দেখে নিও।
মামনি: থাকবো না মানে কোথায় যাবি।
মিষ্টি: এখন আপাততো আম্মু কাছে যাবো বলে আমি হাসলাম। মামনি আসি বলে আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। ডাইবার মামা চলো
ডাইবার: ঠিক আছে মিষ্টি মা বলে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
দিশা: আম্মু আমি আসছি।
মামনি: কলেজ থেকে ফিরে আমার কাছে আসবি তোর সাথে কথা আছে।
দিশা: কি বিষয়ে আম্মু
মামনি: কলেজ থেকে আয় তারপর বললো
দিশা : আচ্ছা বলে কলেজ উদ্দেশ্য রোওনা দিলো।
মিষ্টি: ডাইভার মামা রাস্তা গুলো কি পরিবর্তন লাগছে।
ডাইভার : আসলে মা তুমি অনেক দিন আসো নাইতো তাই রাস্তা গুলো অন্য রকম লাগছে। বলে গাড়ি থামালো
মিষ্টি: ডাইভার মামা গাড়ি থামালে কেনো
ডাইভার: এসে গেছি বাড়ি
মিষ্টি: আমার বাড়ি ( গাড়ির থেকে নেমে) আমি দরজায় কাছে গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই রহিমা দরজা খুলে বললো
রহিমা: খালা মিষ্টি আপা আইছে
আম্মু: কোথায় আমার মিষ্টি
মিষ্টি: আম্মু বলে আমি আম্মুকে জরিয়ে ধরলাম।
আম্মু: দেখি আমার মেয়েকে। কতোদিন দেখি নাই।বলে আম্মু আমার মুখে হাতদিয়ে বললো
আম্মু: মুখ টা এতো শুকিয়ে গেছে কেনো চোখটা খালে মধ্যে তুই ভালো আসিস তো। তোর কিছু হয়নি তো মা।
মিষ্টি: আম্মু আমি অনেক ভালো আসি। আর আমার কিছু হয়নি তুমি অনেক পর দেখছো তাই। আম্মু তুমি ভালো আছে। আর বাড়ির সবাই কোথায়
আম্মু: বাবা,আর বড় বাবা আফিসে আর বড় মা তুই আসবি বলে বাজারে গিয়েছে তোর পছন্দ খাবার রান্না করবে বলে।
মিষ্টি: আজ জমিয়ে খাবো।
আম্মু: তুই আয় তো আমার কাছে এসে বস। হ্যা মা সত্যি তোর কিছু হয়নি তো।
মিষ্টি: আম্মু এতো বার জানতে চাইছে কেনো আমি ভালো আছি কিনা।(মনে মনে) আম্মু আমি সত্যি খুব ভালো আসি। দেখো আমার কিছু হয়নি। আম্মমু আমার ফুল গাছগুলো দেখে আসি
আম্মু: আমার মেয়ে মিথ্যা বলতো কিন্তু ওর মিথ্যা বলায় সময় ওর ঠোট চোখ কাপতো না আজ কথা বলায় সময় ওর চোখ ঠোট কাপলো কেনো। আমার মন বলছে ওর কিছু হয়েছি। মায়ের মন কখনো মিথ্যা বলেনা।
মিষ্টি: আম্মু তুমি কি ভাবছো
আম্মু: কিছু না তুই তোর ঘরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে
মিষ্টি: ঠিক আছে আম্মু বলে নিজের রুমে গিয়ে দেখি আমার রুমটা ঠিক আগে মতো আছে একটু বদলাই নাই। আমার ডলগুলো এখানে আছে। আগে একটু ফ্রেস হয়ে নেই বলে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত মুখে পানি দিয়ে বের হয়ে দেখি আম্মু খাবার নিয়ে রুমে বসে আছে। আম্মু আমার রুমে আগে মতো আছে সেই গাছ ডল সবকিছু আছে।
আম্মু: এই নে হা কর
মিষ্টি : আমি হা করছি আম্মু আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।
আম্মু: জামাই কে জ্বালাতন করছিস নাতো।সারাদিন আফিস করে ক্লান্ত হয়ে ফেরে।
মিষ্টি: তোমার জামাইকে বেশি না একটু জ্বালাই।আর আফিসের কাজ সারাদিন তো বসে থাকে। আম্মু কলিং বেল বাজছে আমি দেখেছি বলে দৌরে গিয়ে দরজা খুলে বড় মা বলে বড় মাকে জরিয়ে ধরলাম।
বড়মা:ওরে বাবারে দেখি আমার মেয়েকে বাহ খুব সুন্দর লাগছে। জামাই কেমন আছে।
মিষ্টি: জামাইয়ে কথা বাদ দাও আগে বলে তুমি কেমন আছো। আর আজ কিনতু রুচি খাবো।
বড়মা : ঠিক আছে আমি ফ্রেস হয়ে আসি তারপরে রুচি বানিয়ে দেবো।
অপর দিকে
দিশা :কখন থেকে দাড়িয়ে আছি একটা গাড়ি নেই।
আহাদ:ওটা দিশা না ওখানে দাড়িয়ে আছে কেনো একবার কাছে গিয়ে দেখি। দিশা তুমি এখানে
দিশা: আসলে স্যার গাড়ি পারছিনা।
আহাদ: আমার সাথে চলো
দিশা: না মনে
আহাদ: চলো বলে দিশাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠে গাড়ি চালানো শুরু করলাম। দিশা মিষ্টিকে ইনজেকশনটা দিয়েছিলে
দিশা : হ্যা দিয়েছিলাম।
আহাদ:তুমি আমাকে পছন্দ করো।
দিশা: হ্যা না মনে
আহাদ: এসেগেছি।
দিশা: thank you স্যার বলে দিশা গাড়ি থেকে নামলো
আহাদ:দিশা উওরটা আমি আজকে রাতে চাই আসি বলে আহাদ চলো আসলো
এদিকে
মিষ্টি:বড়মা এসো
বড়মা: চল
মিষ্টি:চলো
আম্মু: আমিও যাচ্ছি চল বলে মিষ্টি আম্মু বড়ো মা রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করতে বসলো
মিষ্টি:বড় মা তোমার ছেলেকে বিয়ে দেবেনা
বড়মা: তোমার ভাই বিয়ে করতে রাজি হবে
মিষ্টি:হবে এবার রাজি হবে।বড় মা আমার ননদকে কেমন লাগে
বড়মা:দিশা।ভালো সুন্দর আচার ব্যবহার ভালো
দিশা: তোমার ছেলের সাথে বেশ মানাবে
বড়মা: হুম তুই রাজি করাতে পারবি ভাইয়া কো
মিষ্টি: পারবো
মিষ্টির বাবা: কে এসেছে আমার মা
মিষ্টি: বাবা জরিয়ে ধরে।বড় বাবা তোমার মন খারাপ কোনো
বড় বাবা: আমাকে তো জরিয়ে ধরলো না
মিষ্টি: ওরো বাবা এসো তোমারকে জরিয়ে ধরি।
বড়বাবা: কেমন আছিস মা
মিষ্টি: ভালো বাবা বড়বাবা তোমার ফ্রেস হয়ে এসো আমি খাবার দিচ্ছি য়াও। একি হলো আমার মাথা ব্যাথাটা শুরু হলো কেনো।
বাবা : কি হলো মা এমন করছিস কেনো।
মিষ্টি: কিছুনা বাবা আমি আসছি বলে আমি নিজের রুমে আসলাম।
আম্মু: মিষ্টি ও এভাবে নিজের রুমে গেলো কেনো ভাবি আমি আসছি বলে মিষ্টির আম্মু মিষ্টির ঘরে দিকে গেলো
মিষ্টি: আঃ আঃ এতো ব্যাথা করছে কেনো। আমার ব্যাগটা কোথায় ব্যাগ নিতে গিয়ে হাতের ধাক্কা লেগে গ্লাসটা ভেঙগেলো
আম্মু: একি দেখছি আমার মেয়েটা এ রকম করছে কেনো কি হয়েছে আমার মেয়ে। আমার মেয়েটা কেনো অসুখ হয়নি তো
মিষ্টি: আঃ আল্লাহ তুমি আমার ব্যাথাটা কমিয়ে দাও।ব্যাগ এইতো ব্যাগ ওষুধ টা কোথায় রাখলাম পারছিনা কেনো। এইতো ওষুধ আঃ আঃ পানি পানি কোথায়।এইতো পানি আমি পানি র গ্লাস টা নিয়ে ওষুধটা খেয়ে তাকাতে দেখি আম্মু।আম্মু তুমি
আম্মু: গ্লাসটা দে। মারে কি হয়েছে তোর। বলবি না তোর আম্মু কে
মিষ্টি: আম্মু কিছু হয়নি একটু মাথা ব্যাথা করছিলো
আম্মু: মিষ্টি আমি তোকে পেটে ধরেছি আমি তোর আম্মু আমাকে কিছু লুকাসনা মা
মিষ্টি: আম্মু তুমি ভুল ভাবছো
আম্মু: আমার মাথায় হাত রেখে বল তোর কিছু হয়নি
মিষ্টি :আম্মু
আম্মু: বল না মা…..

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১২
মিষ্টি: আম্মু
আম্মু: বল না মা
মিষ্টি: আম্মু তোমার মেয়ে আর তোমাদের মাঝে বেশিদিন নেই( আম্মুকে শক্তকরে জরিয়ে ধরে বললো)
আম্মু: কি বলছিস এসব চুপ একদম এসব কথা বলতে নেই মা। নেই মানে তোর আম্মু তোকে কোথায় যেতে দেবো না।(মিষ্টিকে জরিয়ে ধরে বললো)
মিষ্টি: জানো আম্মু তোমার মেয়ে ব্রেন ক্যান্সার হয়েছে। তোমার মিষ্টি তোমার মাঝে অল্প কিছু দিন আছে।
আম্মু: আমি বিশ্বাস করি না। উপর আল্লাহ আমার থেকে আমার মেয়েকে কেড়ে নিতে পারে না বলে মিষ্টির আম্মু অঝোড়ে কাঁদতে লাগলো।
মিষ্টি: এটা তোমার উপর আল্লাহ বিধান আম্মু( বলে মিষ্টি কাঁদতে লাগলো)
আম্মু: আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না মা বলে মিষ্টি মুখে গালে কপালে চুমো দিতে লাগলো
মিষ্টি: আমিও তোমাদের ছেড়ে যেতে চাই না তবুও আমাকে যেতে হবে।
আম্মু: আমি তোর বাবাকে বলে তোর ভালো চিকিৎসা করাবো।
মিষ্টি: কোনো লাভ হবে না আম্মু
আম্মু: হ্যা মা পরশ জানে
মিষ্টি: না আমি চাই না ওনি জানুক।
আম্মু: কেনো
মিষ্টি:আমার অসুখে কথা জানলে ওনি খুব কষ্ট পাবে। আমি ওনাকে খুব ভালোবাসি। ওনি আমাকে পাগলে মতো ভালোবাসে। আমি যেকয়দিন আছি ওনার হাসি মুখটা দেখতে চাই। এর জন্য ওনাকে বলি নি।
আম্মু: আমার মেয়েটা
মিষ্টি: আরে আম্মু দেখি দেখি একদম কাঁদবেনা ( চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো) তুমি আম্মু না আমার আম্মুকে চোখের পানি মানাই আম্মু।
আম্মু: আমার সেই ছোটো মেয়েটা আজ বড় হয়ে গেছে। এতো বড় হয়েছে যে আমাকে একা ফেলে চলে যাবো। বলে আবার কাঁদতে লাগলো
মিষ্টি: কে বলে চলে যাবো আমি তো শুরু চোখের আড়াল হবো মাএ। কিন্তু তোমার মনে মধ্যে সবসময় থাকবো।
আম্মু: আমি কি বাঁচবো মা
মিষ্টি: আবার কাঁদে। কাঁদলে আমি কথা বলবো বলে মিষ্টি আম্মুকে জরিয়ে কাঁদতে লাগলো।আর মনে মনে বলতে লাগলো আম্মু আমি তোমাকে, বাবাকে, ওনাকে ছেড়ে যেতে চাই না আমি বাঁচতে আমি বাঁচতে চাই বলে চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো
আম্মু: মিষ্টি আমার মেয়ে
মিষ্টি: আম্মু দেখি মুখ তলো। আম্মু বাবাকে কিন্তু কিছু জানাবে না। আমার মাথায় হাত রেখে বলো।
আম্মু: জানাবো বা ( মাথায় হাত রেখে বললো)
বাবা: কউ আমার মা কউ( দরজায় সামনে দাড়িয়ে বললো)
মিষ্টি: আম্মু স্বাভাবিক
আম্মু: হ্যা বলে চোখে পানি মুছলো
মিষ্টি: বাবা তোমার পর আমার একটু রাগ হয়েছে
বাবা: এই ভালো কথা নয় আমার মায়ে রাগ হয়েছে ( মিষ্টি পাশে বসে বললো)
মিষ্টি: হুহ্
বাবা: প্যাকেটে কি যেনো আছে বলে প্যাকেট হাত দিলো
মিষ্টি: চকলেট
বাবা: চকলেট এই নে। বলে চকলেট হাতে দিলো।
মিষ্টি: I love you.বাবা
বাবা: I love you 2 বলে মিষ্টি কপালে চুমো দিলো।
আহাদ: মেয়েকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেছে কতো সময় ধরে দরজায় সামনে দাড়িয়ে আছি খেয়ালি নেই।
মিষ্টি: আম্মু ভাইয়া না
আহাদ: কি ভাইয়া কি
মিষ্টি: আম্মু ভাইয়া না এবার বউ দরকার। ভাইয়া লজ্জায় কাউকে বলে না ( খাটের উপর দাড়িয়ে বললো)
আহাদ: একদম মিথ্যা বলবি না
মিষ্টি: আম্মু দেখো ভাইয়া মুখ লাল হয়ে গেছে
আহাদ: কি আমার মুখ লাল হয়ে গেছে তবে রে বলে মিষ্টিকে ধরতে গেলো
মিষ্টি: আম্মু বলে খাট থেকে নেমে পড়লো
আহাদ: তকে একবার ধরি তারপর দেখছি
মিষ্টি: তাই আগে আমাকে ধরে দেখা
আহাদ: কি আমি তোকে ধরতে পারবো না বলে মিষ্টির পেছনে ধরতে গেলো
মিষ্টি: পারে না ভাইয়া ধরতে পারে না বলে মিষ্টি দৌড়ে বড় মা কাছে গেলো পেছন পেছন আহাদ গেলো
বাবা: পাগলী মেয়ে আমার চলো আমরা নিচে যাই
আম্মু: চলো
মিষ্টি: বড় না তোমার ছেলে খেপেছে
আহাদ: আম্মু তুমি সরে যাও আজ আমি ওকে ধরবো
বড় মা : কি করছিস বলে হাসতে লাগলো
মিষ্টি: তোমার কে তারাতারি বিয়ে দাও। এমনি মাথা গেছে এবার বউ না আনলে পুরোটা যাবে।
আহাদ: আম্মু ওকে চুপ করতে বলো
বড় মা: চুপ করবে কেনো ওতো ঠিক বলেছে এবার তোর আমি বিয়ে পএ ঠিক করা হয়ে গেছে
আহাদ: পএ ঠিক করা হয়েছে মানে কে
বড় মা : দিশা। দিশাকে আমাদের দু জ্যার পছন্দ আর আমি চাই দিশা বাড়ির বউ হক
আহাদ: এসব তুই করেছিস না ( মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বললো) এখানে দাড়া
মিষ্টি: না দাড়বো না বলে দৌড় দিতেই আহাদ মিষ্টিকে ধরে ফেললো।
আহাদ: তুই আমাকে হাকি লাগিয়ে দিয়ে ছিস।
মিষ্টি: আর জালাবো না বলে আহাদ দিকে তাকালো
আহাদ: কি দেখছিস
মিষ্টি: দেখছি আমার হিরো টাইপের ভাইয়া কে বর সেজে কেমন দেখাবে।জানিস তোদের বিয়েটা দেখায় বড় শখ রে
আহাদ: বোন বলতে আহাদে ফোনটা বাজতে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে দিশার ফোন
মিষ্টি: কার ফোন ভাইয়া দিশার। কথা বল আমি আসি বলে মিষ্টি চলে গেলো।
আহাদ: হ্যালো দিশা( ফোন রিসিভ করে)
দিশা: আসলে স্যার ভাবির ফোনের অনেক বার কল করেছি কিন্তু না ধরাতে টেনশন হচ্ছিলো তাই আপনাকে ফোন
আহাদ: বুঝতে পেরেছি। মিষ্টি ভালো আছে।
দিশা: তাহলে রাখি স্যার
আহাদ: একদম ফোন কাটবে না আমি তোমাকে আজকে প্রশ্ন করেছিলাম। তার উওর জানতে চাই।
দিশা: আসলে
আহাদ: কি পছন্দ করো আমাকে
দিশা: হ্যা করি
আহাদ: হুম। অনেক দিন আগে থেকে করো
দিশা: আপনাকে প্রথম দেখেছিলাম সেই দিন থেকে।
মিষ্টি: ভাইয়া হলো কথা বলা ( পেছন থেকে এসে বললো)
আহাদ: তুই
মিষ্টি: হুম। ভাইয়া বড় মাকে তারাতারি শশুড় বাড়িতে পাঠাবো এবার ফোনটা রাখ আর খেতে চল আমার খুব ক্ষিধে পেয়েছে। দিশা তোমার সাথে কথা বলবে। চল
আহাদ: যাচ্ছিতো চল বলে আহাদ আর মিষ্টি খাবার টেবিলে গিয়ে বসলো।
বড় মা : ভাই বোন কোথায় গিয়েছিলে
মিষ্টি: বড় মা ছেলে এই মাএ তোমার বউ ম বলতে আহাদ মিষ্টির মুখ চেপে ধরলো
আহাদ: কিছু না আম্মু। তুই খাবি মুখ থেকে হাতটা ছেড়ে দিয়ে বললো
মিষ্টি: খাচ্ছি
তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে গল্প করতে বসলো। গল্প করতে করতে একে একে সবাই উঠে গেলো শুরু আহাদ আর মিষ্টির আম্মু বসে আছে।
আহাদ: মিষ্টি তুই আমার রুমে চল
মিষ্টি: ইনজেকশন দেবো তো আম্মু সামনে দাও
আহাদ: কিন্তু
মিষ্টি: আম্মু সব টা জানে
আম্মু: আহাদ কোনো ভাবে কি আমার মেয়ে বলতে কেঁদে ফেললো।
আহাদ: ছোটো মা আমি চেষ্টা করছি কিন্তু
মিষ্টি: কিন্তু আমি বাঁচবো না। ভাইয়া দাও তো ইনজেকশন টা। এই রে আমি তো ভুলে গেছি
আম্মু: কি
মিষ্টি: তেমার জামাই খেপে গেছে। ভাইয়া তুই দে তারাতারি ইনজেকশন টা
আহাদ ইনজেকশন দিতেই মিষ্টি দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো। রুমে গিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে বললো
মিষ্টি: সর্বোনাশ ৫০ বার কল। মিষ্টি তুই কপালে আজ কি যে আছে বলে ফোনটা নিয়ে পরশের কাছে কল দিলো
পরশ: কোথায় ছিলে এতোক্ষন। আমি কতো বার তোমাকে কল করেছি। ( ফোন রিসিভ করে বললো)
মিষ্টি: sorry. আসলে বাড়িতে এসে ফোনের কথা ভুলে গিয়েছিলাম।
পরশ: ফোনের কথা নয় বলো বরের কথা ভুলে গিয়েছি।
মিষ্টি: আমার উপর রাগ দেখাছে। যখন আমি থাকবো না তখন দেখবো কার উপর রাগ দেখাও।
পরশ: থাকবো মানে তোমাকে আমি কোথায় যেতে দেবো না। তুমি জানে তুমি যখন ফোন ধরছিলে না আমার টেনশন হচ্ছিলো
মিষ্টি: sorry
পরশ’ : কি করছো
মিষ্টি: বরের রাগ ভাঙাচ্ছি।
পরশ: ভাঙলো বরের রাগ
মিষ্টি: সেরা বর ভালো বলতে পারবে
পরশ: বরের রাগ ভাঙবে যদি একটা কাজ করো।
মিষ্টি: কি
পরশ: একটা কিস করো
মিষ্টি: আমি তো ভুত না যে উড়ে গিয়ে কিস করে আসবো
পরশ: ভুত আসলো কোথায় থেকে
মিষ্টি: আপনিতো বললেন কিস করতে ভুত না হলেতো এখন থেকে কিস করা যাবো না।
পরশ: করা যাবে
মিষ্টি: কি ভাবে
পরশ: ফোনের উপার থেকে কিস আমি এপার থেকে অনুভাব করে নিচ্ছি।
মিষ্টি: আমার না ঘুম পাচ্ছে। হাই তুলে মুচকি হাসি দিয়ে বললো
পরশ: আমার পারছেনা। কিস করো।
মিষ্টি: আর জেগে থাকতে পারছিনা।
পরশ: ন্যাকামি করো না। আগে কিস করো।
মিষ্টি:good night বলে মিষ্টি ফোন কেটে দিয়ে হাসতে লাগলো।
পরশ: ফোন কেটে দিলো। আমি দেশে ফিরে সুদে- আসলে তুলে নেবো।বলে পরশ শুয়ে পড়লো
আম্মু: কিরে হাসছিস কেনো
মিষ্টি: তোমার জামাই না
আম্মু:কি
মিষ্টি: বলে কি কিস করতে। তুমি বলে এখান থেকে কিস করা যায়।
আম্মু: তোর মুখে কিছু আটকাই না। নে শুয়ে পড়
মিষ্টি: আম্মু তুমি মাথায় হাত বুলিয়ে দাওতো
আম্মু:তুই ঘুমা আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি
মিষ্টি:ঠিক আছে আম্মু কোলে মাথা রেখে চোখ বুজতেই দেখি দাদি আমার সামনে সুন্দর শাড়ি পড়ে দাড়িয়ে আছে আছে আর হাসছে।আর আমাকে হাত ইশারা করে ডাকছে। আমি দাদির হাত ধরে চলে যাচ্ছি।হঠ্যৎ করে খুলে দাদি কে খুজতে লাগলাম। কিন্তু দাদিকে পেলাম। আম্মু দিকে তাকিয়ে দেখি আম্মু ঘুমিয়ে পড়ছে। আমি বিছানাতে ওঠে নিচে নেমে পানি গ্লাসটা নিতে যাবো হঠ্যৎ সেই ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো। একদিন করে আমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছি আর মৃত্য আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আঃ আঃ ও আম্মু আমি সহ্য করতে পারছিনা আজ ব্যথা টা অনেক বেশি মনে হচ্ছো। আমি খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি ব্যাথা সহ্য না পেরে মেঝেতে বসে পড়লাম। মেঝে দিকে মাথা টা নিচ করতে মেঝেতে রক্ত পড়তে লাগলো। আমি নাকে হাত দিতেই আমার হাতে রক্ততে ভিজে গেলো। মৃত্য এতো যন্তনা। আঃ আঃ আল্লাহ তুমি আমাকে কষ্ট দাও। করন এর বড় কষ্ট হলো আমার পরশকে ছেড়ে চলে যাওয়া। আঃ আঃ আরো ব্যাথা বাড়ছে কেনো। আঃ আঃ
আম্মু: কিসে শব্দ (ঘুম ভাঙতে) মিষ্টি। মিষ্টি কোথায়। আমার কোলেতো শুয়ে ছিলো। মিষ্টি বলে বিছানাতে থেমে নামতে মেঝেতে রক্ত। মিষ্টি মা আমার কি হয়েছে( মেঝেতে বসে মিষ্টিকে জরিয়ে ধরে) মা আমার। তোর নাক দিয়ে রক্ত
মিষ্টি: আম্মু আমাকে শক্ত করে ধরে আমি সহ্য করতে পারছিনা।
আম্মু: এই তো মা আমি ধরছি। বলে শক্ত করে ধরলো।(কাঁদতে লাগলো)
মিষ্টি:আম্মু
আম্মু: আমি একবার আহাদকে ডেকে আনি
মিষ্টি: না আম্মু আমাকে ধরোআঃ আঃ
আম্মু: আহাদ । আহাদ মিষ্টি আমি একখনি আসছি বলে মিষ্টির আম্মু দরজায় সামনে যেতেই দাড়িয়ে গেলো…..

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here