বজ্জাত বউ,পর্ব ২০,২১
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২০
অথৈ: আমাদের পা টিপে টিপে যেতে বলে বাড়ির দরজায় সামনে দাড়াতে পেছন থেকে কেউ একজন অথৈ এর কাধে হাত রাখতে অথৈ ভয় পেয়ে পেছন দিকে তাকাতে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।
আম্মু: কোথায় ছিলেন এতো সময় আপনারা বলে অথৈ এর কান ধরলো
অথৈ: আঃ আম্মু লাগছে আমার।
আম্মু: লাগছে না। লাগায় জন্য ধরেছি। বদমাইশ মেয়ে
অথৈ: আব্বু আব্বু দেখো আম্মু আমাকে মারছে ( চিৎকার করে)
আম্মু: আব্বু কে ডাকা না।
আব্বু: কি করছো তুমি মেয়েটা কান ধরেছো কেনো ( সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বললো)
আম্মু: ধরবো না। তুমি জানো ও কি করেছে।
অথৈ: কি করেছি আমি
আম্মু: কি করেছো তোর জন্য আজ পাশের বাড়ির ভাবি কাছ থেকে এতো কথা শুনতে হয়েছে। ও দিন দিন শয়তান হয়ে যাচ্ছে।
আব্বু: আগে ওর কান ছাড়ো।
অথৈ: আব্বু তুমি বলো আমি কি বেশি দুষ্টুমী করি একটু খালি দুষ্টুমী করি।
আম্মু: এই মেয়ে আমি পেটে ধরেছিলাম।
অথৈ: না তুমি ধরো নি আমার আব্বু বউ সালমা ইসলাম আমাকে পেটে ধরেছে। বলে হাসতে লাগলো।
আম্মু: তুমি দেখেছো
আব্বু: আরে সালমা তুমি ও না
আম্মু:তোমরা বাবা মেয়ে দুজনে একরকম। আর শুনো আমি ঠিক করেছি আমি এবার অথৈর এর বিয়ে দেবো।
অথৈ: বিয়ে আমার।তাও আবার তুমি দেবে। পরবে তো।
আব্বু: তুমি পাগল হয়ে গেলে নাকি। অথৈ এখনো ছোটো।
আম্মু: আমি কোনো কথা শুনবো না। আমি কাল সকালে ভাইজান কে ফোন দিয়ে বলবো ওর জন্য ভালো পএ দেখতে বলে অথৈ এর আম্মু চলে গেলো।
আব্বু: অথৈ তুই ঘরে যা আমি দেখছি
অথৈ: ঠিক আছে বলে নিজের রুমে এসে বিছানাতে শুয়ে চোখ বন্ধ করলো।
আসলাম সাহেব: কতো দিন পর স্যারকে এই চেয়ারে বসতে দেখলাম। কিন্তু একি হাল করেছে স্যার নিজের। মুখ ভারা দাড়ি, চুল গুলো কেমন যেনো এলোমেলো, চোখে মায়া নেই। মনে হচ্ছে স্যারে জীবন থেকে সব রং হারিয়ে গেছে। যাবে না বা কেনো স্যার যে মিষ্টি মাকে খুব ভালোবাসতো। ( পরশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো)
পরশ: আসলাম সাহেব কি দেখছেন এভাবে।
আসলাম সাহেব: আপনাকে স্যার। অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে।
পরশ: আসলাম সাহেব স্যার কোথায়।
আসলাম সাহেব: স্যার তো সিলেট গিয়েছে আজকে ফিরবে।
পরশ: ও। আপনি এক কাজ করুন আফিসে ফাইল গুলো নিয়ে আসুন।
আসলাম সাহেব: ok স্যার বলে ফাইল আনতে চলে গেলো।
অথৈ: ওই আঙ্কেল টাকে । কেনো বা ওনাকে দেখে আমার মনে মধ্য অন্য রকম লাগলো। চোখ বুজলে আঙ্কেল টা কে কেনো দেখছি। না কেনো এমন হচ্ছে আগে তো এমন হয়নি। দুর কি ভাবছি আমি। বলে অথৈ বিছানা থেকে উঠে ছবি আঁকতে বসলো।
আসলাম সাহেব: স্যার এই যে ফাইল।
পরশ: দিন বলে হাত বারিয়ে ফাইল গুলো নিলো। তারপর একটা ফাইল নিয়ে দেখতে লাগলো।
আসলাম সাহেব: আর কিছু লাগবে স্যার।
পরশ: না আপনি আসুন।
আসলাম সাহেব: ok.স্যার বলে দরজায় দিকে যেতে আবার ফিরে আসলো।
পরশ: কিছু বলবেন।
আসলাম সাহেব: হ্যা স্যার। স্যার আমরা কি আগে স্যার কে ফিরে পেতে পারি না।
পরশ: না পারেন না। আগে পরশ আর এখন নেই। এখন নতুন পরশের জম্মু হয়েছে। কেউ একজন চলে গিয়ে এই নতুন পরশকে জম্ম দিয়েছে। আপনি এখন আসতে পারেন বলে আবার ফাইলের দিকে মনোযোগ দিলো।
আসলাম সাহেব: কেউ কি পারবে না আগের স্যার কে ফিরে আনতে বলে আফিস রুমে থেকে বের হয়ে আসলেন।
পরশ: সবগুলো ফাইল গড়মিল। আসলাম সাহেব আসলাম সাহেব।( চিৎকার করে)
আসলাম সাহেব: জি স্যার বলুন
পরশ: আমি এই ফাইল গুলো নিয়ে যাচ্ছি। আর আফিসে বাকি দের বলে দেবেন কাল থেকে আফিসের আমি যা বলবো সেটাই হবে আমি স্যারে সাথে কথা বলে নেমে বলে পরশ আফিস থেকে বের হয়ে গেলো।
রাতে
অথৈ: আম্মু আম্মু আমার খিদে পেয়েছে। খেতে দাও।
আম্মু:…. চুপ
আব্বু: সালমা তোমাকে ডাকছে
আম্মু: আবির তোর খাওয়া হয়ে গেলে পড়তে বসবে। আর একজনের তো পড়ার নাম নেই।
অথৈ: আব্বু পরীক্ষা পর কেউ পড়ে তুমি বলো
আব্বু: ঠিক তো পরীক্ষার পর কেউ পড়াশুনা করে না।
অথৈ: আরে আম্মু আমার সোনা আম্মু বলে জরিয়ে ধরলো।
আম্মু: ছাড় আমাকে
অথৈ: না ছাড়বো আগেবলো আমার পর আর তোমার রাগ নেই।
আম্মু: হয়েছে আর রাগ নেই এবার বসো আমি খাইয়ে দিচ্ছি বলে খাইয়ে দিলো।
অথৈ: আমার চিতাবাঘ আম্মু।
আম্মু: কি আমি চিতা বাঘ।
অথৈ: মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে আর বলবো না। তবে আম্মু তোমার কে দেখতে প্রায় চিতা বাঘের মতো
আম্মু: কি ( রাগী গলায়)
অথৈ: আমার খাওয়া শেষ আমি ঘরে যাচ্ছি বলে চলে গেলো।
দিশা: আম্মু আম্মু যানো আসলাম সাহেব আজ ফোন করে বললো ভাইয়া নাকি আফিসে গিয়েছিলো।
পরশের আম্মু: কি বলছেন। আল্লাহ তুমি আছো।
দিশা: হ্যা আম্মু উপর আল্লাহ আছে।
পরশের আম্মু: তা তোর ভাই কোথায়।
দিশা : কোথায় আবার গতে দু বছর ধরে যেখানে যাই মদ খেতে।
পরশ: ওয়েটার আর এক বোতল।
ওয়েটার: ভাই আর মদ খাবেন না। গতো দু বছর ধরে আপনি দু বোতল করে মদ খান। এভাবে খেলে আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন।
পরশ: অসুস্থ হলে হবে বলে আর এক বোতল মদ নিয়ে বের হয়ে আসলো।
সকাল ৮ দিকে অথৈ এর আম্মু অথৈর মামু কাছে ফোন দিলো।
অথৈর মামু: হ্যালো সালমা ( ফোন রিসিভ করে)
অথৈর আম্মু: ভাইজান তুমি কোথায়।
অথৈর মামু : বাড়িতে কেনো।
অথৈর আম্মু: আসলে ভাইজান তোমার ভাগ্নী তো দিন দিন বড় হচ্ছে আর দুষ্টমী গুলো বেড়ে চলেছে। আমি চাই ওর এবার বিয়ে দেবো। তোমার তো অনেক জানা শুনা মানুষ আছে তুমি একটা ভালো ছেলে দেখো তো।
অথৈর মামু: সব তো বুঝলাম। কিন্তু আমার ভাগ্নী তো ছোটো।
অথৈর আম্মু: আমি কিছু শুনতে চাই না তুমি পএ দেখো বলে ফোন কেটে দিলো।
অথৈ: কার সাথে কথা বলছিলে আম্মু ( পেছন থেকে বললো)
আম্মু: তোর মামু সাথে
অথৈ: মামু সাথে সাথে। আম্মু আমি আজকে মামু আফিসে যাবো।
আম্মু: না যাবে না। সারাদিন রোদে রোদে ঘুরে চেহারা কি হাল করেছো আজ তুমি আমার সাথে পার্লারে যাবে।
অথৈ: আম্মু আমি কাল যাবো পার্লারে আজ মামু আফিসে যাই। যাই না আম্মু
আম্মু : ঠিক আছে তবে ওখানে যেয়ে দুষ্টুমী করবে না।
অথৈ: ঠিক আছে আম্মু আমি রেডি হয়ে আছি।
এদিকে পরশ রেডি হয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে পেছন থেকে পরশের আম্মু বললো
পরশের আম্মু: পরশ গতো দু বছর ধরে আমাদের সাথে ব্রেকফাস্ট করিনিস নাই। আজ নয় একসাথে ব্রেকফাস্ট করি।
পরশ: ok বলেড্রাইনিং টেবিলে বসলো। হাতে একটা আপেল নিয়ে খেতে লাগলো।
পরশের আম্মু: পরশ বলছিলাম দিশা পক্ষে দু সংসার সামলানো সম্ভাব নয়। আর আমার শরীলটাও ভালো না আমি চাই তুই আবার বিয়ে কর।
বিয়ে কথা শুনে যেনো পরশের মাথায় রাগ চড়ে গেলে। পরশ টেবিল থেকে ওঠে দাড়ালো
দিশা:দাড়িয়ে পড়লি কেনো। আম্ম্মু তো ঠিক বলেছে তোর এবার বি
পরশ: Enough ( চিৎকার করে) আর যেনো বিয়ে শব্দ টা না শুনি বলে চলে গেলো
অথৈ: আম্মু আমি আসছি বলে অথৈ বেরিয়ে পড়লো। আড়াই ঘন্টা পর অথৈ আফিসে এসে দাড়াতে আসলাম সাহেব বললো
আসলাম সাহেব: আপনি কি অথৈ: জি আমি অথৈ মামু কোথায়
আসলাম সাহেব: স্যার ফোন করেছিলো আপনি আসবেন।স্যারের আসতে একটু দেরি হবে আপনি একটু বসুন।
অথৈ: আমি বরং আফিসটা ঘুরে দেখি বল্টু চল
আসলাম সাহেব: মা আপনি তো একা তো বল্টু কাকে বললেন।
অথৈ:কেনো এই যে ওর নাম বলটু বলে আফিস ভিতরে চলেগেলো। বাহ্ মামু আফিস টা অনেক সুন্দর। ওই রুমটা বলতে ( পরশের আফিস রুমে ঢুকলো) বাহ বেশ সুন্দর তো এই লোকটা দেখতেে প্রায় ওই আঙ্কেলটার মতো( পরশের ছবি দেখে বললো) তবে একে তো সালমান খানের মতো আর ওই আঙ্কেল টা তো অমিরেশ পুরি। ওহ বল্টু তুই এখানে বসবলে পরশের চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
অপর দিকে পরশ আফিসে ঢুকে নিজের রুমে ঢুকতে. ………
(চলবে)
বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২১
পরশ আফিসে ঢুকে নিজের আফিস রুমে দরজায় খুলতে মাথায় ৫৭০ ভোল্টের রাগ ওঠে গেলো।
পরশ: আসলাম সাহেব ( চিৎকার করে)
আসলাম সাহেব গ্লাসে পানি ভরে পানি খেতে যাবে হঠ্যৎ পরশের চিৎকার শুনে হাত থেকে পানির গ্লাসটা পরে ভেঙে গেলো।
আসলাম সাহেব: স্যার চিৎকার করে আমাকে ডাকছে কেনো। এখনি তারাতারি যেতে হবে বলে আসলাম সাহেব পরশের আফিস রুমে দিকে চলে গেলেন।
পরশ: আসলাম সাহেব
আসলাম সাহেব: জি জি স্যার আমি এখানে ( পরশের পেছন থেকে বললো)
পরশ: এটা কি হ্যাচি( চেয়ার দেখিয়ে বললো)
আসলাম সাহেব: ( এটা তো অথৈর মা হাতে দেখেছিলাম মনে মনে বললো)
পরশ: আমি আপনাকে কিছু বলছি হ্যাচি
আসলাম সাহেব: কুকুর ছানা স্যার।
পরশ: আমার রুমে আমার চেয়ারে এই কুকুর টা কোথায় থেকে আসলো। আর আপনি জানেন না আমার কুকুরে এলাজি হয় হ্যাচি ( চিৎকার করে)
আসলাম সাহেব: sorry স্যার। আসলে বড় স্যারের ভাগ্নী বলতে পেছন থেকে অথৈ বলে উঠলো
অথৈ: কে রে এতো জোড়ে চিৎকার করে। মামুকি এদের চিৎকার করার জন্য টাকা দিয়ে রেখেছে ( রাগী লুকে)
আসলাম সাহেব: চুপ করো মা।
অথৈ: চুপ করবো কেনো হ্যা কে উনি আমি কাউকে ভয় পাই না। বলতে পরশ অথৈ দিকে ঘুরে তাকাতেই অথৈ পরশের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকালো
পরশ: you।
অথৈ: হ্যা আমি তো
পরশ: তুমি আমার আফিসে আমার রুমে
অথৈ: হা হা হা এটা আপনার আফিস। মোটে না এটা আমার মামু আফিস বুঝেছেন।
( পরশ আর অথৈর চিৎকার করে কথা বলাতে আফিসে কার্মচারী, দারোয়ান, সহ সবাই পরশের রুমে সামনে ভির করলো)
পরশ: এই মেয়ে কি ভাবে নিজেকে
অথৈ:রানী এলিজাবেথ।
পরশ: চুপ একদম চুপ। আমার রুমে দাড়িয়ে আমার সাথে এভাবে কথা বলতে তোমার ভয় করছেনা।
অথৈ: আপনি বাঘ না ভাল্লুক যে আপনাকে ভয় করবো। আপনি একটা পচা কুমড়ো।
পরশ: কি আমি পচা কুমড়ো। এক থাপ্পার দিয়ে ৩২ টা দাঁত ফেলে দিবো।
অথৈ: আমার দাঁত ফেলে দিলে আমি আপনাকে ছেড়ে দেবো আমি আপনার চুল গুলে টেনে ছিড়ে দেবো।
আসলাম সাহেব: এখানে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। কখন থামবে এই যুদ্ধ কে জানে।
পরশ: এই যে আপনারা। আপনেদের কেনো কাজ নেই। এখানে তামাসা দেখছেন। যান এখান থেকে ( আফিসের কমচারীদের বললো)
আসলাম সাহেব: যান আপনারা স্যার খুব রেগে গেছে যান যার যার কাজে যান।
পরশ: আসলাম সাহেব
আসলাম সাহেব: জি স্যার
পরশ: আমি আপনাকে পাঁচ মিনিট সময় দিচ্ছি এই কুকুর ছানা আর চেয়ার টা তারাতারি এখন থেকে নিয়ে যান।
আসলাম সাহেব: জি স্যার বলে চেয়ার থেকে কুকুর ছানাকে ধরতে যাবে তখনি
অথৈ: খবরদার আমার বল্টু গায়ে যাদি হাত লাগান তাহলে আমি আপনার হাত কেটে বল্টু কে খাইয়ে দেবো।
পরশ: আসলাম সাহেব ওগুলো সাথে এই কুকুর রানীকে নিয়ে যাবেন।
অথৈ: কি আমি কুকুর রানী। আমাকে কুকুর রানী বলা দেখাচ্ছি মজা বলে টেবিলের পর থেকে সব ফেলে দিলো।
পরশ: এই মেয়ে তুমি আমার টেবিলে জিনিস পএ ফেলছো কেনো।
অথৈ: কেবল তো জিনিস পএ ফেলেছি। এবার আপনাকে ফেলবো বলে পরশকে ধাক্কা দিতে যেতেই মেজের কারর্পেট সাথে পায়ে ধাক্কা লাগতেই অথৈ নিজেকে ব্যালেন্স করতে না পেরে সামনে পরশের গায়ে
এসে পড়লো। পরশের গায়ে পড়তেই অথৈ যেনো একটা শর্ট খেলো।
পরশ: এই মেয়েটা আমাকে টার্চ করতে আমার এমন লাগছে কেনো।( মনে মনে বললো)
অথৈ: এই আঙ্কোল টার সাথে ধাক্কা লাগতে কেনো আমার সারা শরীল কেপে উঠলো। সেদিনে মতো আজও সেই এক রকম লাগছে। কেনো হচ্ছে এরকম।ওনাকে জরিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে আমার। ওনাকে ছাড়াতে ইচ্ছে করছে না কেনো আমার।
পরশ: কি ব্যাপার মেয়েটা আমাকে জরিয়ে ধরে রেখেছে কেনো। আমাকে জরিয়ে ধরে রাখায় অধিকার একজনের ছিলি সেটার আমার মিষ্টির। ( মনে মনে) এই মেয়ে বলে পরশ অথৈকে হাতদিয়ে নিজের থেকে ছারিয়ে নিলো।
অথৈ: ইশ এমন ভাবে ধরে কেই।
পরশ: এই মেয়ে
অথৈ: কি বলে পরশের দিকে বাকা চেখে করে তাকিয়ে রাইলো।
পরশ: এই মেয়েটা চোখের তাকানো ঠিক মিষ্টির মতো। আর মেয়ে টা আমাকে জরিয়ে ধরতে কেনো যেনো মনে হলো মিষ্টির আমাকেজরিয়ে আছে। কে এই মেয়ে সেইদিনো মনে হয়ে ছিলো। কিন্তু কেনো মিষ্টিতো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আজ কেনো মনে হলো। বলে অথৈর দিকে তাকিয়ে আছে।
আসলাম সাহেব: বাহ এই দুজনকে একসাথে দেখে মনে হচ্ছে সালাম খান আর করিনা কাপুর দাড়িয়ে আছে।
অথৈর মামু: আসলাম সাহেব ( পেছন থেকে বললো)
আসলাম সাহেব: আস্তে কথা বলুন। দেখছেন না দুজনে কে একসাথে কি সুন্দর লাগছে।
অথৈর মামু: সত্যি পরশ আর আমার ভাগ্নী কে একসাথে সুন্দর লাগছে। সালমা সকালে বলছিলো অথৈ জন্য ছেলে দেখতে ( মনে মনে)বলে মুচকি হাসলো
আসলাম সাহেব: স্যার আপনি কখন এলেন।
অথৈর মামু: এখনি অথৈ
( বলে ডাক দিলো)
অথৈ: মামু তুমি এসেছো। (বলে মামুকে জরিয়ে ধরলো)
অথৈর মামু: এই মাএ। পরশ
অথৈ: এই আঙ্কেলটার নাম পরশ। নাম টা বেশ ভালো। কিনতু মানুষটার একটা পঁচা কুমড়ো।
পরশ: জি স্যার
অথৈর মামু: well come my office.
পরশ :thank you sir
অথৈর মামু: তোমাকে দু বছর পর আবার আফিসে দেখতে পাবো ভাবতে পারি নি।তুমি আফিস ছাড়ার পর থেকে আফিস প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিলো।আজ মনে হচ্ছে আফিসের প্রাণ ফিরে এসেছে।
অথৈ: মামু তুমি্যানো এই আঙ্কেল টা আমাকে বকা দিয়েছে। আমাকে নাকি থাপ্পর মেরে ৩২ টা দাঁত ফেলে দেবো। আরো কি বলেছে যানো কুকুর রানী। নিজে খুব সাধু পঁচা কুমড়ো কোথাকর।
পরশ: আর একবার যদি পঁচা কুমড়ো বলেছো তবে স্যারের সামনে থাপ্পার মারবো।
অথৈ: মামু (ন্যাকা কান্না করে বললো।)
অথৈর মামু : পরশ ও আমার একমাএ ভাগ্নী অবন্তী ইসলাম অথৈ। আর অথৈ ও হচ্ছে আমার আফিসের সিনিয়ার আফিসার আরফিন পরশ।আর তুমি আমার ভাগ্নীর কথা কিছু মনে করো ও একটু দুষ্টু টাইপে মেয়ে তবে খুব ভালো।
পরশ: ভালোর এই নুমনা।
অথৈ: মামু চলো বল্টু
অথৈর মামু: ভাগ্নী এখানেও কুকুর ছানা।
অথৈ: মামু ওর নাম বল্টু।
অথৈর মামু: sorry বল্টু চল আমার রুমে যাই।
অথৈ: তুমি যাই আমি বল্টুকে নিয়ে আসছি
অথৈর মামু: ঠিক আছে আয় বলে চলে গেলেন।
পরশ: আসলাম সাহেব পাঁচমিনিটের মধ্য আমার রুম ঠিক চাই আর চেয়ার টা পাল্টাবেন কিন্তু বলে পরশ রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
অথৈ:বল্টু আয় বলে বল্টুকে কোলে তুলে নিলো।
আসলাম সাহেব: আমাকে তারাতারি রুম ঠিক করতে হবে। না হলে স্যার রাগ করবেন। কবে আগে মতো স্যারকে হাসিখুশি দেখবো।
অথৈ: আসলাম সাহেব কেনো বললেন আগে মতো হাসি খুশি দেখতে পাবো ওনি আগে এ রকম ছিলেন না(মনে মনে বললো)
আসলাম সাহেব: মা একটু সরে দাড়াবেন।
অথৈ: হ্যা কিছু বললেন
আসলাম সাহেব: বললাম একটু সরে দাড়াতে
অথৈ: সরে দাড়াবো কেনো আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি বলে বল্টুকে নিয়ে পরশেরআফিস রুম থেকে বেরে হয়ে মামু রুমে যেতেই হঠ্যৎ করে আফিসে কোনার একটা রুমে চোখ পরতেই দেখলো……
(চলবে)