বজ্জাত বউ,পর্ব ২২,২৩

0
921

বজ্জাত বউ,পর্ব ২২,২৩
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২২

অথৈ: সরে দাড়াবো কেনো আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি বলে বল্টু কে নিয়ে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টার আফিস রুম থেকে বের হয়ে মামু আফিস রুমে দিকে যেতেই হঠ্যৎ করে আফিসে কোণার একটা রুমে চোখ যেতেই দেখি রুম থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। নিশ্চায় মামু আফিসে আগুন লেগেছে। কাউকে ডাকি না আমি বরং আগে দেখে আসি। কিনতু আগুন নেভানো জন্য তো পানি দরকার । পানি পানি ওই তো টেবিলের উপর এক জগ পানি। ওটা আগে নিয়ে বেশি আগুন হলে পরে ডেকে নেবো বলে আমি পানি ভরতি জগটা নিয়ে রুমে সামনে দাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে পানি ডেলে দিলো। তারপর চোখ খুলে দেখি আগুন নেভানো দুরে কথা আরো বেশি জ্বলে উঠলো। উঠবে না বা কেনো আমি যে সত্যাকারে আগুনে পানি ডালি নি ডেলেছি মানুষের গায়ে আর সেই মানুষ আগুন হয়ে আমার সামনে দাউ দাউ করে জ্বলছে।
পরশ: এটা কি করলে তুমি ( চিৎকার করে)
অথৈ: এমন ভাবে চিৎকার করে য়ে ওনার চিৎকারে দোওয়ালে হটগুলো ভয়ে কাঁপে ( মনে মনে) আসলে আমি ভেবে ছিলাম রুমে আগুন লেগেছে।
পরশ: কি আগুন লেগেছে মানে
অথৈ: রুম থেকে ধোয়া বের হচ্ছিলো তাই ভেবেছিলাম। তাই আগুন নেভানো জন্য পানি ডেলে ছিলাম। এখন তো দেখছি আপনার থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। আচ্ছা আপনি smoking করেন। যানেন না smoking করা স্বাস্থ্য জন্য হানি কারক। আপনার জন্য কতো মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আপনার কোনো অধিকার নেই অন্যর ক্ষতি করার।
পরশ: চুপ একদম চুপ। জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে না। আমি তোমার জ্ঞান শুনবো। হচ্ছে করছে
অথৈ: আপনি জানেন না জ্ঞান দিলে শুনতে হয়। আর আমার জ্ঞান দিতে খুব ভালো লাগে।
পরশ’ : কি মেয়ে এটা বলে আমি ওখান থেকে চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি আসলাম সাহেব রুমটা পরিষ্কার করে ফেলেছে।
আসলাম সাহেব: স্যার আমার রুম পরিষ্কার হয়ে গেছে। একি আপনি ভেজা কেনো। বৃষ্টিতো হচ্ছে না তাহলে
পরশ: আপনার কাজ শেষ আপনি এখন আসুন
আসলাম সাহেব: ঠিক আছে।
অথৈ: এই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা চলে গেলে যাক গে। মামু রুমে চাই। মামুর রুমে যেয়ে মামুকে জরিয়ে ধরলাম।
মামু: ভাগ্নীনে কি খাবি বল
অথৈ: ঝালমুড়ি
মামু: ঝালমুড়ি। এতো খাবার রেখে ঝালমুড়ি।
অথৈ: হ্যা ঝালমুড়ি। আমার এখন ঝালমুড়ি খেতে ইচ্ছে করছে তাই
মামু: ok ভাগ্নী। বলেতে ফোন বেজে ওঠলো। এই দেখো ফোন বাজছে আমি ফোনটা রিসিভ করে নেই বলে ফোন রিসিভ করে কথা বলতে লাগলো।
পরশ: এই ফাইলটা স্যার কে দেখানো উচিত বলে আমি স্যার রুমে সামনে এসে বললাম may I come in sir
মামু: ও পরশ এসো। এ কি তুমি ভেজলে কি করে
পরশ: আসলে স্যার আমি বলতে অথৈ বলে উঠলো
অথৈ: মামু
মামু: sorry ভাগ্নী। আজ আর হচ্ছে না। আর একদিন খাওয়া বো। আমাকে এখনি য়েতে হবে। পরশ তুমি বরং বাড়ি চলে যাও না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে। আর যাওয়ার সময় অথৈকে ড্রপ করে দিও আমি আসছি বলে চলে গেলো
পরশ: স্যার আমার কথা শনুন ও শিট
অথৈ: লাভ নেই মামু শুনবে না। এখন চলুন
পরশ: চলো
অথৈ: এই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা ভালো কথা বলতে পারে শুধু রেগে রেগে কথা বলে। রাগ যেনো ওনার পরম আত্মীয় । বলে আমি ওনার পিছু পিছু গিয়ে গাড়িতে ওঠে বসলাম।
পরশ: রুমলটা কোথায় রাখলাম।
অথৈ: কানা নাকি সামনে তো রয়েছে।
পরশ: এই তো রুমাল। বলে আমি রুমলটা নিজের নাকে বেধে নিলাম। যাতে এই কুকুর থেকে এলাজি না হয়।
অথৈ: দেখো ঢং করছে ( মনে মনে)
পরশ: গাড়ির বেলটা বেধে নাও বলে আমি গাড়ি চালানো শুধু করলাম।
অথৈ: দেখো এমন ভাব নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে যেনো দুনিয়াতে শুধু ওনি গাড়ি চালাতে পারেন। একি গাড়ি থামলো কেনো ( মনে মনে) আপনি গাড়ি থামালেন কেনো।
পরশ: নামো
অথৈ: নামবো মানে আমার বাড়ি এখনে অনেক টা পথ বাকি।
পরশ: নামতে বলছি
অথৈ: না
পরশ: এই মেয়ে এই ভাবে বললে হবে না বলে আমি গাড়ির দরজায় খুলে নেমে ওকে গাড়ির থেকে হাত ধরে।
নামালেম।
অথৈ: আরে আপনি আমাকে নামাচ্ছেন কেনো।
পরশ: এই নাও ৫০ টাকা এখান থেকে আটো ধরে বাড়ি চলে যাও বলে আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম।
অথৈ: মাএ৫০ টাকা কেনোরে পকেটে আর টাকা ছিলো না। আর একটু বেশি দিলে কি হতো। কিপটে কোথাকর। আমি বলছি আমাকে ৫০ টাকা দিয়েছিস তো তোর পকেট যদি একদিন ফাকা না করতে পারি তাহলে আমার নাম অথৈ না হুহ্
১ মাস পর
আবির: আপি কোথায় যাচ্ছি আমরা।
অথৈ: শপিং মলে
আবির: আপি শপিং মলে। কিন্তু টাকা
অথৈ: টাকা আছে
আবির: টাকা কোথায় পেলি।
অথৈ: আরে ভাই আমি না আম্মুর ব্যাগ থেকে চুরি করেছি।
আবির: কি আম্মুর ব্যাগ থেকে। আম্মু তোকে বকা দেবে।
অথৈ: ও রোজ দেই। এবার চলতো।
আবির: চলো
অথৈ: আ কতো বড় শপিং মল। কি সুন্দর সুন্দর ড্রেস। আমি ড্রেস দেখলে পাগল হয়ে যাই। এই ড্রেসটা কি সুন্দর। না ওটা বেশি না লাল রং টা আরো সুন্দর। আসলে আমি কি করবো বলুন আমি না শপিং মলে আসলে আমার সব ড্রেস গুলো সুন্দর লাগে। সবগুলো নিতে ইচ্ছে করে এটা কি আমার দোষ। আমার দোষ না দোষ তো আমার চোখ। কেনো যে সবগুলো ড্রেস পছন্দ করে। ওয়াও এই ড্রেস টা আর বলতে পারছিনা এতো সুন্দর। ওটা আমার জন্য তৈরি হয়েছে। আবির দেখ এই ড্রেসটা পড়ে আমাকে রানী এলিজাবেথ লাগবে না।
আবির: হ্যা কিন্তু আপি প্রাইজ টা দেখ একবার।
অথৈ: কতো আর হবে ৫-৬ হাজার টাকা।
আবির: না আপিবপুরা ১৫০০০ টাকা।
অথৈ: এ্যা
আবির: এ্যা না হ্যা
অথৈ: আমি তো ১০০০০ টাকা এনেছি। সব দোষ আম্মু ব্যাগে আর কিছু টাকা রাখলে কি হতো কোনো ক্ষতি তো হতো না বরং লাভ হতো আমার ড্রেসটা হয়ে যেতে আর আম্মু বিনা খরচে রানী এলিজাবেথ কে দেখতে পেতো।
পরশ: আসলাম সাহেব ওই দিক চলুনন ওখানে নতুন কালেকশন আছে।
অথৈ: এই কন্ঠ চেনা চেনা লাগছে হ্যা এ রকম কন্ঠ তো পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টার দেখি তো একবার বলে পেছন ফিরে তাকাতে আমার মনে ৪৪০ ভোল্টের এ্যানাজি বল্ব জ্বলে ওঠলো। ও কি মজা লাগছে এবার বুঝবে অথৈ কি করতে পারে আমাকে ৫০ টাকা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া।
আবির: কি একা বকবক করছিস আপি
অথৈ: কিছু না। এই ভাই শুনুন এখানে এই ড্রেসগুলো প্যাক করে দিন।
আবির: আপি টাকা
অথৈ: টাকা দেবে তো
আবির:কে
অথৈ:তোর নকল দুলাভাই
আবির: নকল দুলাভাই মানে
দোকাদার: এই নিন আপনার ড্রেস আর টাকাটা ওখানে দিয়ে দেবেন।
অথৈ: আসলে আমি তো আমার স্বামী সাথে এসেছি তাই টাকা টা ওনার থেকে নিয়ে নেবেন। ওই যে কালো শার্ট পরে ওনি নিয়ে নেবেন আসি।
দোকানদার: ঠিক আছে ম্যাম
অথৈ:তাহলে আসি বলে আমি চলে আসলাম। শপিং মলে বাইরে এসে আমার খুব হাসি পাচ্ছে তাই হাসতে লাগলাম।চারপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই তাকিয়ে আছে তাই আমি দেখেতারাতারি আটে তে উঠো চলে গেলাম।
পরশ: আসলাম এই ড্রেসটা আপনাকে খুব মানাবে
দোকানদার: স্যার আপনার বিল
পরশ: বিল আমি তো এখনো কোনো ড্রেস নিই নি তাহলে বিল কিসের
দোকানদার: আপনি নেননি আপনার wife কিছু ড্রেস নিয়ে গেছে আর বিলটা আপনাকে দিতে বলেছে
পরশ:what?….

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২৩
দোকানদার: স্যার আপনার বিল
পরশ: বিল আমি তো এখনো কোনো ড্রেস নেইনি তাহালে বিল কিসের
দোকানদার: স্যার আপনি নেননি আপনার wife কিছু ড্রেস নিয়ে গেছে আর বিলটা আপনাকে দিতে বলেছে
পরশ: what? আমার wife মানে। আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে।
দোকানদার: না স্যার আমার কোনো ভুল হচ্ছে না আপনার wife আপনাকে দেখিয়ে বলেছেন।
আসলাম সাহেব: এখানে মিষ্টির মা কি করে আসবে স্যার। তাহলে কি ভুত হয়ে এসে ড্রেস গুলো নিয়ে গেছে।
পরশ: shut up. আসলাম সাহেব। বোকার মতো কথা বলবেন না ( রাগী গলায়)। দেখুন দু বছর আগে আমার wife মারা গেছে। যে ড্রেস নিয়ে গেছে সে আমার wife না। আপনার ভুল হচ্ছে।
দোকানদার: দেখুন স্যার আমরা কোনো কথা শুনবো না আপনাকে বিল পরিশোধ করতে হবে না হলে আমার পুলিশ ডাকতে বাধ্য হবে।
পরশ: পুলিশ আপনারা ডাকাবেন কেনো আমি নিজে ডেকেনিচ্ছি বলে পকেট থেকে ফোন টা বের করলো
দোকানদার: আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই আপনাকে বিল পরিশোধ করতে হবে আর পুরো ৪০০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
পরশ: ৪০০০০ টাকা।( রাগী গলায়) এ কোন বিপদে পরলাম আমি।
আসলাম সাহেব: স্যার এদের সাথে ঝামেলা করে লাভ নেই। তাছাড়া আশ পাশ থেকে সবাই ডেকছে আপনি টাকা দিয়ে দিন।
পরশ: আসলাম সাহেব বিলটা শুনেছেন পুরো ৪০০০০ টাকা। কে করেছে এই কাজ। ( রাগী গলায়)
আসলাম সাহেব: স্যার বিল টা দিয়ে দিন।
পরশ: ok আমি বিল দিয়ে দিচ্ছি। এই নিন বিল বলে পকেট থেকে ক্রেডিট কার্ড বের করে দিলো।
দোকানদার: পাসওয়ার্ড
পরশ: ২০৫৯। কে করতে এই কাজ। কে আছে যে আমার সাথে এমন টা করতে পারে কে কে। আচ্ছা এই মেয়েটা তো নয় স্যারের ভাগ্নী। না না কি ভাবছি ওই মেয়েটা কখনো এটা করতে পারবে না। কিন্তু কেনো যানি মনে হচ্ছে ওই মেয়েটা কথা। করতে তো পারে। ও কে বিশ্বাস নেই। ওই মেয়ে টা পারে না এমন কোনা কাজ নেই। আচ্ছা আপনার শপিং মলে সি সি ক্যামেরা আছে।
দোকানদার: জি আছে
পরশ: আমাকে আজকে সি সি ফুটেজ টা দেখাবেন।
দোকানদার: কিন্তু স্যার।
পরশ: দেখাবেন কিনা।( রাগী গলায়)
দোকানদার: ok স্যার আসুন আমার সাথে।
পরশ: চলুন বলে পরশ আর আসলাম সাহেব দোকারদারে পিছু পিছু সি সি ক্যামেরা রুমে গেলো।
দোকানদার: সাগর আজকে এখন থেকে আগ মুহুর্তে ফুটেজটা ওনাদের দোখাও। স্যার আপনারা দেখুন আমি আসি।
পরশ: আপনি কোথায় যাচ্ছেন। আপনি চলে গেলে আমার wife কে দেখবো কি করে। আপনি এখানে থাকুন। আর সাগর সাহেব আপনি ফুটেজ টা চালু করুন।
সাগর : ok স্যার এই দেখুন আজ সকাল ৮ টা থেকে ফুটোজ।
পরশ: কোন মেয়ে টা আমাকে তার স্বামী বলে ড্রেসগুলো নিয়ে গেছে তাকে দেখাবেন।
দোকানদার: সাগর এখানে থামো। স্যার নীল রঙের ড্রেস পড়া মেয়েটা আপনাকে দেখিয়ে ড্রেস নিয়ে গেছে। সাথে এই বাচ্চা টাও ছিলো।
পরশ: অথৈ ( দাঁতে দাঁত চেপে) আামর ধারোনা ঠিক ছিলো। এই মেয়েটাকে একবার কাছে পাই আস্তো গিলে খাবো। ওর সাহস কতো এই কাজ করায়। ( রাগী গলায়)
আসলাম সাহেব: এটা তো অথৈ মা। শেষমেশ স্যারকে ঠাকালো। তাও আবার ৪০০০০ টাকা। অথৈ মা তুমি আর কাউকে খুজে পেলে না। তোমার যে কি হবে কে জানে ( মনে মনে)
পরশ: এই মেয়েকে তো আমি ছাড়বো না। আসলাম সাহেব চলুন।
আসলাম সাহেব: স্যার শপিং
পরশ: রাখুন আপনার শপিং চলুন ( রাগী গলায়)
অথৈ: আজ আমার কি আনন্দ হচ্ছে এক সাথে এতোগুলো কখনো পাইনি। আহ কি আনন্দ কি আনন্দ ।
আবির: আপি তুই কাকে বললি আমার নকল দুলাভাই।
অথৈ: তোর জেনে লাভ নেই। বাড়ি এসে গিছি নাম। মামা এই নিন ভাড়া। ( ভাড়া দিয়ে বললো)
আবির: আপি বল না।
অথৈ: বাড়ি চল বলে বাড়ির দরজায় সামনে দাড়ায়ে কলিং বেল বাজাতে আম্মু দরজায় খুলো বলে উঠলো
আম্মু: অথৈ কোথায় গিয়েছিলি মা
অথৈ: আম্মু শপিং করতে।
আম্মু: টাকা কোথায় পেলি।
অথৈ: তোমার ব্যাগ থেকে নিয়েছি। কিন্তু আম্মু তোমার এক টাকাও খরচ হয়নি।
আম্মু: আবার মিথ্যা কথা। টাকা না খরচ করলে ড্রেস গুলো কি উড়ে আসলো।
আবির: আম্মু ড্রেস গুলো নকল দুলাভাই দিয়েছে।
অথৈ: চুপ কর ভাই ( আবিরে মুখ চেপে ধরে বললো)
আম্মু: কি বললি নকল দুলাভাই মানে
অথৈ: এই রে এখন কি হবে আম্মু এতো গুলো প্রশ্ন করবে কি করি পেয়েছি( মনে মনে) আম্মু পুড়া পুড়া গন্ধ আসছে তুমি রান্না ঘরে যাও।
আম্মু: আমি তো কোনো পুরা পুড়া গন্ধ পাচ্ছি না।
অথৈ: আম্মু তোমার ঠান্ডা লেগেছে তো তাই পাচ্ছো না। কিন্তু আমি কি গন্ধ আম্মু তারাতারি য়াও।
আম্মু : আমি রান্না ঘরে যাচ্ছি। তুই এখানে থাকবি। বলে আম্মু রান্না ঘরে দিকে যেতে লাগলো
অথৈ: আগে যাও তো। অথৈ তুই এখান থেকে ভাগ না হলে আম্মু আজকে প্রশ্ন করে শেষ করে দেবে। বলে আমি নিজের ঘরে গিয়ে দরজায় টা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলাম। আহ এখন শান্তি আগে ড্রেসগুলো দেখি। আচ্ছা যখন পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা বিল টা দেখবে তখন আহ ভেবে আমার আনন্দ লাগছে। আমাকে ৫০ টাকা দেওয়া না। এবার বুঝ ঠেলা। ৫০ টাকা পরিবতে পুড়া ৪০০০০ টাকা দেওয়া। আমার তো আনন্দে গান গাইতে ইচ্ছে করছে লা লা লা কি আনন্দ আজ আমার যে পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল বুঝবে ঠালা কাকে বলে বাহ অথৈ তুই খুব গান বানাতে পারিস।ড্রেস গুলো একবার পড়ে দেখি
আম্মু: অথৈ অথৈ রান্না ঘরে দেখেছো এই মেয়েটাকে নিয়ে কি করি। ভাইজানকে এক মাস আগপ বলেছে একটা ছেলে দেখতে। ভাইজানতো কিছু বলছে না বলতে (কলিং বেল বাজতে লাগলো।) কে আসলো আবার। ভাইজান তুমি (দরজায় খুলে)
অথৈর মামু: হ্যা আমি তোদের সাথে একটু কথা আছে মামুন কোথায়( মামুন অথৈর এর বাবা)
আম্মু: অথৈর আব্বু তো একটু বের হয়েছে কেনো ভাইজান।
অথৈর মামু: আসলে তোদের দুজনকে বলতে চাইছি বলতে আবার কলিং বেল বাজতে লাগলো।
আম্মু: এই তো অথৈর আব্বু চলে এসেছে বলে দরজায় খুলে দিলো।
অথৈর আব্বু: ভাইজান ভালো আছেন।
অথৈর মামু: আমি ভালো আছি। আমি তোমাদের দুজনে সাথে কথা বলতে চাই।
অথৈর আব্বু: কি কথা ভাইজান
অথৈর মামু: আসলে এর আগে সালমা বলেছিলো অথৈর জন্য ছেলে দেখতে। আমার কাছে একটা ভালো ছেলে আছে। আমার আফিসে কাজ করে। খুব ট্যালেন্ট ছেলে।
অথৈর আব্বু: তাহলে তো ভালো হয়।
অথৈর আম্মু: ভাইজান তুমি বরং ছেলে বাড়ির লোকের সাথে কথা বলো। আমি এই জ্বালাই আর পারছিনা।
অথৈর আম্মু: কিনতু
অথৈর আব্বু: কি
অথৈর আম্মু: ছেলেটার এর আগে একটা বিয়ে হয়েছিলো। গতো দুবছর আগে মেয়েটা মারগেছে।
অথৈর আব্বু: আগে বিয়ে হয়েছিলো।
অথৈর আম্মু: তো কি হয়েছে। ছেলেটা তো ভালো। তাছারা আজকাল ভালোছেলে পাওয়া যাই না। ভাইজান তুমি বরং ছেলে বাড়ির লোকের সাথে কথা বলো।
অথৈর আব্বু: ঠিক আছে বলুন
অথৈর মামু: ঠিক আছে। তা আমার ভাগ্নী কোথায়।
অথৈর আম্মু: কোথায় আবার নিজের ঘরে।
এদিকে
পরশ: ওই মেয়েকে একবার কাছে পাই
আসলাম সাহেব: পেলে কি করবেন স্যার
পরশ: গিলে খাবো( দাঁতের উপর দাঁত রেখে)
আসলাম সাহেব: কাঁচা খাবেন না রান্না করে। কিন্তু স্যার মানুষের মাংস খাওয়া হারাম।
পরশ: নামুন
আসলাম সাহেব: জি স্যার বলে নেমে গেলো।
পরশ: এদের সাথে থাকলে আমি অচিরে পাবনা যেতে হবে। বলে বাড়ি চলে আসলো।
বাড়ি এসে সরাসরি নিজের রুমে গিয়ে দরজায় বন্ধ করে দিলো।
দিশা: ভাইয়া কে সকালে ফোনের বলতে শুনলাম শপিং করতে যাবে কাকে যেনো বললো। শপিং মলে গেলেতো মুড ভালো হয় কিন্তু ভাইয়া মুখ দেখে মনে হচ্ছে অনেক রেগে আছে। কি হয়েছে
পরশ: অথৈ আমি তোকে ছাড়বো না ( শার্ট খুলতে খুলতে বললো) তুই জন্য আমি ৪০০০০ টাকা দিয়েছি। তোকে তো আমি ছাড়বো না। তোর থেকে আমি ৪০০০০ টাকা আদায় করে নেবো। ও আমার রাগে সারা শরীল জ্বালছে অসভ্য শয়তান মেয়ে একটা। বলে ওয়াশ রুমে চলে ফ্রেস হওয়া জন্য
পরেদিন সকালে পরশের বাড়ির কলিং বেল বাজতেই দিশা দরজায় খুলে দিলো।
দিশা: স্যার আপনি। ভাইয়া তো বাড়ি নেই একটু বের হয়েছে।
অথৈর মামু: আমি পরশের সাথে দেখা করতে আসিনি তোমার আম্মু সাথে দেখা করতে এসেছি।
দিশা: ভেতরে আসুন স্যার। এখানে বসুন আমি আম্মুকে ডেকে দিচ্ছি। আম্মু আম্মু ভাইয়া আফিসের বস এসেছে।
পরশের আম্মু: আপনি ভালো আছেন।
অথৈর মামু: আমি ভালো আসি আপনি
পরশের আম্মু: আমি আল্লাহ রহমতে ভালো আছি।
অথৈর মামু: আমি আসলে পরশের জন্য একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
পরশের আম্মু: প্রস্তাব পরশের জন্য এতো ভালো কথা। দিশা দাড়িয়ে আছিস কেনো চা মিষ্টি নিয়ে আয়।
দিশা: যাচ্ছি আম্মু
অথৈর মামু: আমার ভাগ্নী অথৈ। খুব ভালো মেয়ে। শুধু একটু দুষ্টুমী করে।
পরশের আম্মু: আমার ওই রকম মেয়ে চাই।
দিশা: স্যার চা মিষ্টি।
পরশের আম্মু: আপনি কথা বলুন আমার রাজি।
দিশা: আম্মু ভাইয়া রাজি করাবে কি করে ভাইয়া তো বিয়ে কথা শুনতে পারে না।
পরশের আম্মু: সেটা আমার পর ছেড়েদে। আপনি বরং আপনার বোনকে বলুন আমরা কালকে অথৈকে দেখতে যাবো।
অথৈর মামু: ঠিক আছে আমি আমার বোনকে আজকে বলছি। এখন আসি বলে চলে গেলে।
দিশা: কি করে রাজি করবে
পরশের আম্মু: দেখ কি করে করি।
অথৈ: আম্মু আমি একটু আসছি। আজকে একটু মোড়ের রাস্তায় যাবো। ওখানে ঝালমুড়ি বেশ ভালো বানাই। এই আটো মোড়ের রাস্তায় চলো বলে আটোতে উঠে বসলো।
পরশ: শিট গাড়িটা রাস্তায় মোড়ে খারাপ হতে হলো। আমি এখন কি করে পৌছাবো।দুর বলে গাড়িতে লাথি মারলো।
অথৈ: এখানে রাখুন। এই নেন ভাড়া
আটোওয়ালা: আফা ভাড়া ১০ টাকা না ২০ টাকা।
অথৈ: কি এই টুকু রাস্তা ভাড়া ২০ টাকা হয় নাকি। আপনি ১০ টাকা নিন।
পরশ: এখন মাজারে কি করে যাবো। আমাকে আজ মাজারে যেতেই হবে। আটো করে যাবো। আসলাম সাহেব কে ফোন করে বলে দেই গাড়িটা সারিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে ফোনটা বের করে আসলাম সাহেবকে ফোন দিলো
আসলাম সাহেব: হ্যালো স্যার
পরশ: আসলাম সাহেব রাস্তায় মোড়ে আমার গাড়ি আছে সারিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবেন।
আসলাম সাহেব: স্যার আপনি মোড়ে রাস্তায় কি করছেন
পরশ: আপনাকে যেটা বলেছি সেটা করুন(বলে ফোন কেটে দিলো।) আটো পাই কোথায়। ( আশ পাশে তাকিয়ে বললো) ওই একটা আটো। কিন্তু আটোওয়ালা ওই মেয়েটা কি করছে। মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগছে।
অথৈ: ১০ ভাড়া নেবেন কিনা।
আটোওয়ালা: না
অথৈ: শেষ বারে মতো বলছি নেবেন কি না
পরশ : মেয়েটা মনে হচ্ছে অথৈ। হ্যা ওটা অথৈ। তোকে আজ আমি ছাড়বো না বলে আটো দিকে যেতে লাগলো
অথৈ: দেখুন (বলতে রাস্তায় ওপারে চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলে) ওটা পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা না। এদিকে আসছে কেনো। তাহলে কি জেনে গেছে কালকে শপিং মলের আমি ওনার wife পরিচয় দিয়ে ড্রেসগুলো নিয়েছিলাম। কিন্তু জানবে কি করে। যদি জানে তাহলে। ৪০০০০ টাকা যদি ভেরত চাই তখন।……

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here