বজ্জাত বউ,পর্ব ৩০,৩১

0
1091

বজ্জাত বউ,পর্ব ৩০,৩১
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৩০

অথৈ: thank you. আইডিয়াতে দেওয়ার জন্য। আমি আসি আর হ্যা অচিরে আপনার টাকা টা ভেরত দেবো। ( বলে পিছন ফিরে হাটা শুরু করলো) বাহ্ পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা একটা দারুন আইডিয়া দিয়েছে। আমার মাথায় কেনো যে আগে এই আইডিয়া টা আসে নি। এখন বিয়ে করবো। তারপর দেরমহরে টাকা নিয়ে ডির্ভাস দিয়ে দেবো। আর টাকাটা নিয়ে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা মুখে ছুয়ে দিবে হুহ্।আহ্ কি ক্ষুধা লেগেছে। আর পারছিনা সহ্য করতে। বরং বাড়ি ফিরে যাই। বাড়িতে গিয়ে আম্মু হাতে পেট ভরে খাবার খাবো হ্যা আর আগে আম্মু মুখে কিছু ঝারি খেতে হবে। ও কেনো সমস্য নয় ও আমি রোজ এমনি খায় আজ নয় একটু বেশি খাবো। ( একা একা বলতে লাগলো) এই আটো যাবে। ( বলে আটোতে উঠে বসলো)
পরশের বাবা: পরশ মেয়েটা কিন্তু খুব ভালো।
পরশ: ভালো না বলো অসভ্য। অসভ্যর রানী। বাবা চলো তো এখন চলো তো আম্মু কাছে যাই।
পরশের বাবা: না পরশ আমি মানছি মেয়েটা একটু দুষ্টু কিন্তু ওর মনটা খুব ভালো। আমার তো মেয়েটাকে বেশ ভালো লেগেছে।
পরশ: তুমি থাকো বাবা এই অসভ্য মেয়েটাকে নিয়ে আমি যাচ্ছি হাসপাতালে। ( বলে হাসপাতালে উদ্দেশ্য হাটা শুরু করলো)
পরশের বাবা: মেয়েটা একদম মিষ্টির মায়ের মতো। কথা বলা হাসা রাগ করা মুহুর্ত মধ্য মনে হচ্ছিলো মিষ্টি মা কথা বলছে। যানি না আসমা ( আসমা পরশের আম্মু) কোন মেয়েকে পরশের জন্য পছন্দ করেছে। ( মনে মনে বললো) পরশ দাড়া আমি আসছি ( বলে জোরে হাটা শুরু করলো)
অথৈর আম্মু: সব আত্নীয় স্বজন কাছে ফোন করলান। কোথাও যাইনি অথৈ। মেয়েটা গেলো কোথায়। ওনারা তো সোমবারে কথা বলেছেন। ওনারা যদি জানে মেয়ে বাড়িতে থেকে পালিয়ে ছিলো তাহলে মেয়েটাকে আর তার ছেলের সাথে বিয়ে দেবো। এতো ভালো পাএ কি আর পাবো। এই মেয়েটা আমাকে না মেরে ছাড়বে না। ( একা একা বলতে লাগলো। আর কাঁদতে লাগলো)
অথৈর আম্মু: এখন আবার কে কলিং বেল বাজাছে। নিশ্চায় ভাইজান আর ভাবি এসেছে ( কলিং বলে বাজায় শব্দ পেয়ে বললো) আবির দরজায় টা খুলে দে তো বাবা।
আবির: খুলছি আম্মু ( বলে দরজায় খুললে বললো) আপি তুই। কোথায় ছিলি।
অথৈর আম্মু: আবির কার সাথে কথা বলছিস কে এসেছে। তোর মামু আর মামি এসেছে বুঝি।
আবির: না আম্মু আপি এসেছে।
অথৈর আম্মু: কি কোথায় অথৈ( বলে দরজায় কাছে গেলো) অথৈ মা আমার কোথায় গিয়েছিলি আমাদের ছেড়ে। একটু মনে পড়লো না আমাদের কথা। সকালে তোকে না দেখে আমি আর তোর আব্বু জান চলে যাচ্ছিলো( বলে অথৈর এর গালে কপালে চুমো খেলো)
অথৈ: sorry আম্মু আর কখনো এরকম করবো না। এই যে কান ধরছি।
অথৈর আম্মু: হয়েছে আর নাটক করতে হবে না। ভেতরে এসো। আর আবির তোর আব্বু আর মামুকে ফোন করে বলে দে আপি ফিরে এসেছে।
আবির: ঠিক আছে আম্মু ( বলে ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করতে লাগলো)
অথৈ: আম্মু আমার না খুব ক্ষুদে পেয়েছে। পেট জ্বলে যাচ্ছে। কিছু খেতে দাও না।
অথৈর আম্মু: আহরে কতো বেলা হয়েছে ক্ষিদে পাবে না। মুখটা শুকিয়ে গেছে। আয় মা আমি তোকে খাইয়ে দিচ্ছি ( বলে অথৈকে টেবিলে নিয়ে গেলো) এই নে মা হা কর আমি খাইয়ে দেই।
অথৈ: আমি ভেবেছিলাম আম্মু আমাকে খুব বকা দেবো মাররো দেবো। কিন্তু না আম্মু তো উলটো আমাকে আরো বেশি আদর করছে। সমান্য তে আম্মু যে বকা দেই। না এই আদরের পিছনে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে।
আবির : আম্মু আব্বু আর মামু এখনি বাড়ি চলে আসবে।
পরশ: বাবা হাসপাতালে এসে গেছি। তুমি নামো। মামা এই নিন ভাড়া টা ( বলে আটোওয়ালাকে ভাড়া দিলো) বাবা তুমি হাসপাতালে ভেতরে যাও আমি আসলাম সাহেবকে একটা ফোন করে আসছি।
পরশের বাবা: ঠিক আছে ( বলে হাসপাতালে ভেতরে গেলো) কি ব্যাপার এতো হাসি হচ্ছে যে ( কেবিনে ডুকে বললো)
দিশা: বাবা তুমি এসেছো।
পরশের বাবা: হ্যা কিন্তু মা মেয়ে আর জামাই মিলে এতো হাসা করনটা বুঝলাম না তো। আর আসমা তোমার শরীল এখন কেমন লাগছে।
দিশা: বাবা তোমার বউ মানে আমার আম্মুর পুরা আমাদের গোল খাইয়েছে।
পরশের বাবা: গোল খাইয়েছে মানে আমি কিছু বুজতে পারছিনা।
দিশা: বাবা আম্মু কিছুই হয়নি। আম্মু অসুস্থ্য হওয়া নাটক করছিলো।
পরশের বাবা: তাই।
দিশা: হ্যা বাবা। যানো বাবা আমি আর ভাইয়া কিছু বুঝতে পারিনি।
পরশের বাবা: কিন্তু নাটক কেনো করা হলো সেটা বুঝতে পারছিনা। কি জামাই তুমি কি কিছু জানো।
পরশের আম্মু: তোমার জামাইয়ে জন্য এতো কিছু সম্ভাব হয়েছে।
আহাদ: আমি just একটু মিথ্য বলছি বাকি টা তো আম্মুর করেছে।
দিশা: যানো বাবা ভাইয়া কোনো মতে বিয়েতে রাজি হচ্ছিলো না। তাই ভাইয়াকে রাজি করানো জন্য এই নাটক।
পরশ: এটা আমি কি শুনছি ( কেবিনে সামনে যেতোই সবটা শুনে পর বললো)আম্মু শেষ পযন্ত আমার সাথে এটা করতে পারলো। শুধু আমাকে এই বিয়েতে রাজি করানো জন্য। কেনো করলে আম্মু তুমি এটা। ঠিক আছে তুমি চাই তো আমি বিয়ে করি। আমি বিয়ে করবো কিন্তু বিয়ের পর যা হবে সেটার জন্য তুমি দায়ী থাকবে আম্মু তুমি দায়ী থাকবে । ( বলে কেবিনের সামনে থেকে চলে গেলো)
পরশের আম্মু: হুম তা আমার বউকে নতুন বউটা কেমন।
পরশের আম্মু: দিশা ফোনটা বের করে অথৈর এর ছবিটা দেখাও।
দিশা: বাবা এই দেখো। তোমার ছেলে হবু বউ( ফোনে ছবি বের করে দেখালো)
পরশের বাবা: এই তো সেই মেয়ে। এই মেয়ে সাথে আমার সকালে দেখা হয়েছিলো। একে তো পরশে চেনে।
পরশের আম্মু: কি বলছো তুমি
পরশের বাবা: হ্যা শুধু চেনে না। ঝগড়া করে। আরে এই মেয়েতো তোমার ছেলে কে গোল খাইয়েছে।
দিশা: কি বলছো বাবা।
পরশের বাবা: হ্যা রে মা।
দিশা: আম্মু তুমি ঠিক বলেছো অথৈ পারবে ভাইয়াকে আগে মতো ফিরে আনতে।
অথৈর আব্বু: অথৈ মা কোথায় গিয়েছিলি।
অথৈ: আর না বলে যাবে না বাবা। এখন থেকে তোমরা যা বলবে আমি তাই শুনবো।
অথৈর মামু: অথৈর তুমি তোমার রুমে যাও।
অথৈ: ঠিক আছে( বলে নিজের রুমে চলে গেলো)
অথৈর মামু: সালমা তোরা বিয়ে আয়োজন কর। আর কেনো অঘনট চাই না।
অথৈর আব্বু: আপনি ঠিক বলেছেন ভাইজান। আজ বুধবার আর ৪ দিন বাকি আছে। এর মধ্য সব করে ফেলতে হবে।
অথৈর মামু: তাহলে আজ আমি আসি ( বলে চলে গেলা)
পরশের বাবা: তা জামাই তোমার শাশুড়িকে কখন বাড়ি নিয়ে যেতে পারবো।
আহাদ: বিকালে পারবেন।
রাতে
পরশের আম্মু: হ্যা গো বিয়ে বেশি সময় নেই। আয়োজন তো করতে হবে।
পরশের বাবা: সেটা নিয়ে তুমি চিন্তা করো না। সব হয়ে যাবে।
আবির: কি মজা কি মজা আপির বিয়ে।
অথৈ: এতো লাফাচ্ছিস কেনো।
আবির: কারন তোর বিয়ে। আর সোমবারে বিয়ে।
অথৈ: সোমবার মনে আর ৪ দিন বাকি। দুর এই অল্প সময়ে কি হবে। মানছি আমি ওনাকে ডির্ভাস দিয়ে দেবো। তাই বলে আর হয়না। যতো হক আমার প্রথম বিয়ে বলে কথা। কতো স্বপ্ন দেখেছিলাম শপিং করবো, পালারে যাবো দুর কিছু হবে না। না হলে দ্বিতীয় বিয়ে মানে সালমান খান কে যখন বিয়ে করবো তখন শপিং পার্লার সব হবে। আচ্ছা সালমান যদি বলে যে আমি বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করবো না তখন। আরে আমি ইচ্ছে করে বিয়ে করছি শুধু ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা টাকা পরিশোধ করার জন্য বিয়ে করছি। আ আমার ঘুম পাচ্ছে একটু ঘুমিয়ে নেই।…………..

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৩১
৩ দিন পর
সকালে
অথৈ: আম্মু আম্মু আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে খেতে দাও।
অথৈর আম্মু: এতো চিৎকার করে বলায় কি আছে। বাড়িতে যা চিৎকার করার করো ওই বাড়িতে যেয়ে এমন চিৎকার করে কথা বলবে না।
অথৈ: কেনো বলবে না।
অথৈর আম্মু: করন ওটা তোমার শশুড় বাড়ি তাই। এই নাও হা করো।
অথৈ: আম্মু শুশুড় বাড়ি বলে আমি চিৎকার করে কথা বলা যাবে না। এটা অন্যায়।
অথৈর আম্মু: ন্যায় অন্যায় আমারকে শিখতে হবে না। চুপ চুপ খেয়ে নিজের রুমে যাও। দুপুরে তোমাকে মেহেদি পড়তে আসবে।
অথৈ: আম্মু তুমি এমন করছো যে আমাকে শুশুড় বাড়ি পাঠালে যেনো তোমার শান্তি।
অথৈর আম্মু: ঠিক ধরেছো। এখন যাও নিজের রুমে।
দিশা: ভাইয়া দাড়া কোথায় যাচ্ছিস তুই।
পরশ: চিন্তা করিস না আমি পালাবো না। কথা যখন দিয়েছি বিয়েটা আমি করবো তখন বিয়েটা ঠিক করবো।
পরশের আম্মু: তুই আজ কোথাও যাবি না পরশ।
পরশ: sorry আমাকে যেতেই হবে। ( বলে চলে গেলো)
পরশের বাবা: ওকে যেতে দাও। বাধা দিও না।
দিশা: কিন্তু বাবা।
পরশের বাবা: কোনো কিন্তু নাও।
দুপুরে
অথৈর আম্মু: আপনারা এসেছেন আসুন ভেতরে আসুন। ( পার্লারে মেয়েদের বললো) অথৈ নিচে এসো তোমাকে মেহেদি পড়াতে এসেছে।
অথৈ: কি হয়েছে আম্মু ( সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে বললো)
অথৈর আম্মু: অথৈ তুমি এখানে বসো। আর আপনার ওকে সুন্দর করে মেহেদি পড়াবেন।
পার্লারে মেয়েরা: আপনি একদম চিন্তা করবেন না আন্টি আমরা সুন্দর করে মেহেদি পড়াবো। ( বলে মেহেদি পড়ানো শুরু করলো)
অথৈর: দুর এভাবে statue মতো হাত ছারিয়ে বসে থাকা যাই। দেখো কি গান বাজাছে মনে এটা বিয়ে বাড়ি না। আরে এমন গান বাজাবে যাতে মনে হয় হ্যা এটা বিয়ে বাড়ি।মানছি বিয়েটাতে আমার মত নেই মানে বিয়েটা শুধু ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টাকে টাকা ফেরত দেওয়া জন্য করছি। তাই বলে মজা করবো না এটা হতে পারে না। আমার প্রথম বিয়ে আমি তো মজা করবো ( মনে মনে বললো) আরে কেউ ভালো গান বাজাই না। আমার বিয়ে বলে কথা। ( চিৎকার করে বললো)
অথৈর আম্মু: অথৈ কি হচ্ছে এটা তোমাকে না বলেছি আস্তে কথা বলবো।
অথৈ: ওকে কোনো কথা বলবো না। fine . ( বলে নিজের রুমে চলে গেলো)
রাত ১০ টা
অথৈর আম্মু : অথৈ মা আমার রাগ হয়েছে বুঝি। দেখি আমার অথৈ মাকে। অথৈ দেখ তোর শুশুড় বাড়ি থেকে তোর জন্য জিনিস পাঠিয়ে ছে অথৈ।
অথৈ: আমাকে একা থাকতে দাও।
অথৈর আম্মু : দেখি মেহেদি রং কেমন হয়েছে। বাহ্ অনেক গাঢ রং হয়েছে। যানিস অথৈ আমার দাদি বলতো যার হাতে মেহেদি রং যতো গাঢ় হয় তার বর নাকি তাকে ততো বেশি ভালোবাসে। দেখবি আমার জামাই তোকে খুব ভালোবাসবে।
অথৈ: তোমাকে যেতে বলছি
অথৈর আম্মু : ঠিক আছে ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: জামাই না আসার আগে জামাই প্রাংসা না আর আমি এতো বছর ধরে নিজেদের কাছে আসি কউ আমার তো প্রাংসা করেনি। এই জামাই কে ইচ্ছে করছে গলা টিপে ধরতে। ( বলে জিনিস পাএ ছুরে ফেলতে লাগলো) চাই না আমি এগুলো। আচ্ছা আমি যাকে বিয়ে করছি সে কেমন হবে কে জানে। জিনিস পএ দেখে মনে হচ্ছে অব্যস্থা বেশ ভালো। হ্যা আবির তো বলেছিলো আপি তোর শুশুড় বাড়ি অনেক বড়লোক। বড় বড় ঘর। চারতালা বাড়ি। আসলে আবিরকে মামু সাথে করে ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আবির আম্মুর জামাইকে দেখতে পাইনি সে নাকি কাজে বের হয়েছিলো। তাতে আমার কি আমি তো দেরমহুরে টাকা নিয়ে ভেগে যাবো তারপর ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলকে টাকা ছুয়ে মেরে বেশ কয়টা কথা শুনিয়ে দেবো হুহ্।
পরশের আম্মু: পরশের বাবা এতো রাত হয়ে গেলো পরশ তো ঘরে ফিরছে না। আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।
পরশের বাবা: আমি জানি আমার ছেলে ভেতর দিয়ে কি বেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে একা একা কেউ বাঁচতে পারে না। বাঁচায় জন্য কাউ না কাউকে দরকার হয়। আমার বিশ্বাস অথৈ সেই বাঁচার পেরনা হবে। ( মনে মনে বললো) আর এটাও জানি পরশ এখন কোথায়।
আহাদ: আপনি চিন্তা করবেন না। আমি দেখছি পরশ ভাইয়া কোথায় ( বলে দরজায় কাছে গিয়ে দরজায় খুলতেই বললো) পরশ ভাইয়া।
পরশের আম্মু : পরশ কোথায় গিয়েছিলি তুই।
পরশ: আমি হা হা হা ( মাতাল হয়ে বললো)
দিশা: ভাইয়া আজ মাতলামো করছে কেনো। ভাইয়া তো মদ খাই। কিন্তু আজকে মতো এতো খায়নি কখনো।
পরশ: কি হলে শুনবে আমি কোথায় ছিলাম। আমি বলছি আমি আজ না অনেক মদ না আমি মোট ৮ টা বোতলের মদ খেয়েছি। কিন্তু মদ খেয়ে না কেনো শান্তি পারছিনা। আরে কি করে পাবো শান্তি তো ২ বছর আগে কেড়ে নিয়ে চলে গেছে। কেড়ে নিয়ে গেছে। আমার শান্তি ধ্যান সবটা ঘিরে ছিলো মিষ্টি। হ্যা হ্যা মিষ্টি। আচ্ছা আহাদ তুমি বলোতে ও কেনো আমাকে ফেলে চলে গেলো। আমি তো ওকে কম ভালোবাসিনি। নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছি। আঃ ( টেবিলের ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলো)
দিশা: ভাইয়া ( বলে ধরতে গেলো)
পরশ: না ধরবি না। আজ আমি বলবো। আচ্ছা আঙ্কেল আপনি আপনার মেয়েকে আমার থেকেও ভালো করে জানতেন। ওকে জিঙ্গাসা করুন তো কেনো আমাকে ফেলে চলে গেলো। কি দোষ ছিলো আমার। আরে আপনি কাঁছেন কেনো জিঙ্গাসা করুন না ওকে।
মিষ্টির বাবা: পরশ
পরশ: হা হা হা। কোনো উওর নেই কারো কাছে। মিষ্টি তুমি খুশি তো। আমি কাল বিয়ে করছি। কি হলো কথা বলছো না কেনো। তুমি তো চেয়েছিলে আমি আবার বিয়ে করি। আমি আবার বিয়ে করছি। আরে তোমরা সবাই কাঁদছো কেনো। হাসে বিয়ে বাড়ি বলে কথা হাসো। আরে কেউ গান বাজাও না বিয়ে বাড়িতে গান না বাজলে হয়।
পরশের আম্মু: পরশ( বলে পরশের গালে একটা থাপ্পার মারলো) কি করছিস তুই পাগলামো করছিস কেনো।
পরশ: হ্যা আমি পাগলামো করছি। কারছি পাগলামো। তোমরা বাধ্য করেছো পাগলামো করতে। তোমরা সবাই আমাকে ঠকিয়েছো।
পরশের বাবা: পরশ
পরশ: না বাবা। আজ আমাকে বলতে দাও। তোমরা চাও আমি বিয়ে করি না। হ্যা আমি বিয়ে করছি তো। কিন্তু আম্মু তুমি বলো তো এটাকি বিয়ে বলে। কথা বলছো না কেনো আম্মু। এটাকে কি বিয়ে বলে।
পরশের আম্মু: আহাদ তুমি পরশকে ওর রুমে নিয়ে যাও।
আহাদ: চলো পরশ ভাইয়া
পরশ : আহ্ ছাড়ো আমাকে। কি হলো আম্মু বলো। তুমি কি ভেবেছিলো আমি কিছু জানি না। তুমি অসুস্থ্য হওয়ার নাটক করে আমাকে বিয়েতে রাজি করিয়ে ছো। কি হলো আম্মু তাইতো। তুমি কি ভেবেছিলে আমি বিয়ে করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিছু ঠিক হবে না না আম্মু প্রত্যক সম্পূ কো জন্য দরকার ভালোবাসা।
পরশের আম্মু: আহাদ আমি বলেছি তুমি ওকে রুমে নিয়ে যাও।
আহাদ: চলো পরশ ভাইয়া( বলে জোড় করে রুমে নিয়ে গেলো)
পরশের আম্মু: আমি জানি তোর এই বিয়েটা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কষ্টতো আমারো হয় তোকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে। তোর আম্মু তোর খারাপ চাই রে বাবা খারাপ চাই না। ( বলে কাঁদতে লাগলো)
পরশের বাবা: কেদোনা আসমা।
পরশের আম্মু: আমার ছেলে আমাকে ভুল বুঝছে। আমি ওর খারাপ চাই না।
পরশের বাবা: অনেক রাত হয়েছে আপনারা শুতে যান। আর দিশা তোর আম্মুকে রুমে নিয়ে যা।
দিশা: আম্মু চলো( বলে রুমে নিয়ে গেলো)
পরেদিন সকালে
সবাই যার যার কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেলো। সারাদিন সবাই বিয়ের এ কাজ ওকাজ করে চলেছে।…..

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here