বজ্জাত বউ,পর্ব ৪২,৪৩

0
1387

বজ্জাত বউ,পর্ব ৪২,৪৩
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৪২

রাত ৮ দিকে অথৈর মনে হলো কেউ একজন তার কাধে হাত রাখলো অথৈ পেছন ফিরে তাকাতেই জরিয়ে ধরে বললো
অথৈ: আম্মু তুমি
অথৈর আম্মু: হ্যা আমি মা। দেখি কি হয়েছে মুখটা এতো মলিন লাগছে কেনো আমার মেয়েকে তো এমন একটু মানাই না।
অথৈ: কিছু হয়নি আমার। আম্মু তুমি কখন এসেছো আর আবির আসেনি।
আবির: আপি আমি এসেছি। ( বলে অথৈকে জরিয়ে ধরলো) আপি তুই কেমন আছিস।
অথৈ: আমি ভালো আছি ভাই। তুই কেমন আছিস।
আবির: ভালো আপি। আপি আমি তোকে খুব মিস করিরে
অথৈ: আমিও ভাই তোকে খুব মিস করি
অথৈর আম্মু: আবির তুমি নিচে যাও তোমার আপি সাথে আমার কথা আছে।
আবির: ঠিক আছে আম্মু ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: আম্মু তোমার মনে আছে আজ আমার bir
অথৈর আম্মু: আজ তো সোমবার।
অথৈ: আম্মু তুমিও ভুলে গেছো আজ আমার birth day সবাই ভুলে গেছে। কেউ আমাকে ভালোবাসে না।
অথৈর আম্মু: কি হলো কথা বলছিস না কেনো
অথৈ: আম্মু তোমরা কেনো এসেছো বলোতো।
অথৈর আম্মু : জামাইকে দেখতি। কেনো
অথৈ: তাহলে তোমার জামাইকে দেখো এখানে বসে আছো কেনো।
অথৈর আম্মু: দেখবো আগে তুই ওঠ। কি করে রেখেছিস মুখটা ওঠ ফ্রেস হয়েনে ওঠ ওঠ বলছি
অথৈ: ওঠছি ( বলে ওঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো)
অথৈর আম্মু: এখানে বস। এই নে এই ড্রেসটা পড়েনে।
অথৈ: পড়বো না
অথৈর আম্মু: এতো কষ্ট করে ড্রেস আনলো আর তুই পড়বি না। আমার মেয়েটা কি যে হলো য়ে নাকি নতুন ড্রেস পেলে না করেনি সেই আজ ড্রেস পড়বে না ঠিক আছে ড্রেসটা দোকানে ফেরত দিয়ে আসবো।
অথৈ: ফেরত দেওয়া লাগবে না আমি পড়ছি। তাছাড়া যেটা একবার কেনা হয় সেটা ফেরত দিতে নেই( বলে ড্রেসটা পড়লো)
অথৈর আম্মু: এবার এখানে বস ( বলে অথৈকে খাটের উপর বসিয়ে দিলো তারপর হালকা ভাবে সাজিয়ে দিলো) বাহ্ কি সুন্দর লাগছে ( বলে কানে নিচে কাজল দিয়ে টিপ পরিয়ে দিলো) নজর যেনো না লাগে। এবার চল আমার সাথে নিচে
অথৈ: না আম্মু আমি নিচে যাবো না
অথৈর আম্মু: চল চল বলছি ( বলে নিচে নিয়ে গেলো)
অথৈ: আম্মু নিচে এতো অন্ধকার কেনো। কিছুই দেখা যাচ্ছে না আমি লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে আসছি ( বলতে পুরা বাড়ি লাইট জ্বলে উঠলো আর সবাই একসাথে বলে ওঠলো happy birth day to you. happy birthday অথৈ।
অথৈ: তারমানে তোমরা কেউ আমার birth day ভুলোনি।
মামনি: না মা কেউ ভুলে নি তোমার সারপ্রাইজ দেওয়া জন্য।
অথৈ: thank you মামনি।
দিশা: thank you টা আমাদের নয় যে এটার আয়োজন করেছে তাকে thank you দাও।
অথৈ: কে করেছে।
দিশা: কে আবার আমার একমাএ ভাই আর তোমার বর।
অথৈ: তাই বুঝি। তা ওনি কোথায়। ওনাকে তো দেখছি না।
মামনি: ঠিক তো পরশ কে কোথাও দেখছি না কেনো। একটু আগে আমাদের সাথে ছিলো।
দিশা: অথৈ তুমি বরং কেকটা কাটো ভাইয়া হয়তো কাজ পড়ে গেছে। তুমি কেক কাটো।
অথৈ: কিন্তু
মামনি: দিশা ঠিক বলেছে তুমি কেক কাটো।
অথৈ: ঠিক আছে ( বলে কেকটা কাটলো তারপর সবাইকে খাইয়ে দিলো হঠ্যৎ করে অথৈর ফোনে একটা sms আসতে অথৈ বললো) মামনি আম্মু আমি আসছি ( বলে বাড়ি বাইরে চলে আসলো) এখানে তো আসতে বললো কিন্তু এখানে তো কেউ নেই ( বলতে আবার একটা sms আসলো) সামনে দিকে হাটতে থাকো। ইশ অনেকটা হাটলাম কিন্তু ওনি কউ ( বলতে কেউ একজন পেছন থেকে অথৈ চোখটা বেধে দিলো) কে চোখ বাধলো। দেখুন ভালো হবেনা বলছি আমি কিন্তু আপনার মাথা ফাটিয়ে দিবো চোখ খোল বলছি। আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। চোখ খোল ( বলতে পেছন থেকে চোখ খুলে দিলো) ইশ চোখটা ব্যাথ ওয়াও কি সুন্দর। চারদিকে কতো আলো লাল নীল বেগুনি অনেক ধরনে আলো জ্বলছে নিভছে ( বলে অথৈ চারদিকে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছিলো)
পরশ: পছন্দ হয়েছে।
অথৈ: হ্যা thank you. ( বলতে পেছন থেকে অনেকগুলো পথোশিশু বলে ওঠলো শুভ জম্মদিন আপু) তোমরা
পরশ: ওরা তোমার জম্মদিন পালন করতে এসেছে।
অথৈ: এসো এসো আমার কাছে এসো ( বলে অথৈ ওদেরকে জরিয়ে ধরলো তারপর কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দিলো। এক টুকরো কেক হাতে নিয়ে পরশের কাছে এসে বললো) আগে gift দেন তারপর কেক দিবো।
পরশ: gift এতোকিছু করলাম তারপর gift. gift এই নাও( বলে একটা বক্স দিলো)
অথৈ: gift. thank you ( বলে বক্স টা খুলতে লাগলো। ) বক্স তো খালি।
পরশ: দেখি তাই তো দেখছি । আমার মনে হয় দোকানদার gift টা ভরতে ভুলে গেছে। ( বলে মুছকি হাসলো)
অথৈ: দুর ( বলে মন খারাপ করলো) আচ্ছা আপনি আমার সাথে মজা করছেন না তো।
পরশ: মজা মোটেই না তোমার সাথে মজা করবো না না। অনেক রাত হয়েছে এবার চলো বাড়ি যাই ( বলে দুজন বাড়ি চলে আসলো)
সকালে
অথৈ: ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে নিচে নামতেই বাড়ির কলিং বেল বাজলো) এতো সকালে কে আসলো ( বলে দরজায় খুলে দেখলো) কেউ নেই তাহলে বেল বাজালো কে (বলতে সামনে দিকে চোখ পড়তে অথৈ মুখে হাসি ফুটলো) সাইকেল আমার ( বলে সাইকেলে কাছে যেতেই দেখলো সাইকেলে সাথে একটা চিরকুট। চিরকুটে লেখা গতোরাতে gift টা আজকে দিলাম) ওনি দিয়েছে ( বলে দৌড় দিয়ে রুমে এসে পরশকে বললো) ওঠুন ওঠুন
পরশ: আরে অথৈ please ডিস্টাপ করোনা।
অথৈ: ওঠুন না
পরশ: কি হয়েছে
অথৈ: thank. you. gift. এর জন্য।
পরশ: পছন্দ হয়েছে
অথৈ: অনেক পছন্দ হয়েছে। আমি কতোবার আব্বুকে বলেছি সাইকেল কিনেদিতে কিন্তু আব্বু খালি বলেছে সাইকেল চলাতে গিলে নাকি হাটু কেটে যাবে এটা ওটা কতো কি। কিন্তু আজ আমি সাইকেল চালাবো ( বলে রুমে ভেতরে আনন্দে নাচতে লাগলো)
পরশ: পাগলি মেয়ে একটা।
এভাবে অথৈ আর পরশ কথা বলা ঘুরতে যাওয়া হাসি মজা করতে করতে দেড় মাস কেটে গেলো। এই দেড় মাসে অথৈ মনে পরশের জন্য ভালোবাসা বাসা বেধেছে। অথৈ পরশ কে ভালোবাসে। পরশের কথা বলা হাসা য়েনো অথৈকে পাগল করে দেই। অপর দিকে পরশ অথৈ সাথে অনেকটা ফ্রি হয়ে গেছে অথৈর প্রতি জ্বালানো সহ্য করতে করতে পরশের আর কিছু মনে হয় না এভাবে দেড় মাস পাড় হয়ে গেলো)
অথৈ: দিশা দিশা আপু আমি প্রেমে পড়েছি আমার পঁচা কুমড়ো প্রেমে পড়েছি।
দিশা: এতোদিন তাহলে বুঝতে পেরেছো যে তুই ভাইয়াকে ভালোবাসিস।
অথৈ: হ্যা দিশা আপু খুব ভালো বাসি। কিন্তু ওনিকি আমাকে ভালোবাসেন না কখনো বাসবেন। ওনি তো ওনার মিষ্টিকে ভালোবাসে খুব ভালোবাসে। ( বলতে চোখের কোনার পানি জমে ওঠলো)
দিশা: আমি জানি ভাইয়া মিস্টি ভাবিকে ভালোবাসে। ভাইয়া একমুহুড়তের জন্য মিষ্টি ভাবিকে ভুলতে পারে না। কিন্তু দেখবি এক সময় ভাইয়া তোকেও ভালোবাসবে হয়তো মিষ্টি ভাবির মতো এতোটা ভালেবাসতে পারবে না কিন্তু তোকে ভালোবাসবে দেখিস।
অথৈ: বাসবে তো
দিশা: বাসবে আমি আসি রে স্যার আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর তুই রেডি হয়ে কলেজে যাই ভাইয়া অনেক আগে আফিসে চলে গেছে। আমি আসি ( বলে দিশা চলে গেলো)
অথৈ: জানো মিষ্টি আপু তোমার প্রতি আমার খুব হিংসা হয় খুব হিংসা হয়। তোমার প্রতি ওনার ভালোবাসা দেখে হিংসা হয়। তোমার চলে যাওয়ার দুই বছর পার হয়ে গেছেঅনেক কিছু বদলেগেছে শুধু বদলেনি ক
তোমার প্রতি ওনার ভালোবাসা একটু বাদলাই নি। ওনি আগে যেমন তোমাকে ভালোবেসেছে এখনো তেমনটাই ভালোবাসে। বিশ্বাস করো আমি তেমার ভালোবাসার ভাগ বাসাতে চাই না শুধু চাই ওনি একটু আমাকেই ভালোবাসুক। ( মিষ্টির ছবির সামনে দাড়িয়ে বললো) এই দেখো তোমার সাথে কথা বলতে বলতে আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে আমি আসি ( বলে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেলো। ভার্সিটি ক্লাস শেষ করে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে নিচে নামতে অথৈ বললো)আপনি…….

(চলবে)

বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৪৩
অথৈ: আপনি
রাফান : হ্যা আমি লাল পরি
অথৈ: আপনি এখানে কেনো আর আমার পথ আটকালেন কেনো।
রাফান : তোমার কথা আছে লাল পরি।
অথৈ: আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই। ( রাগী লুকে)
রাফান: তোমার না কথা না থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে।
অথৈ: পথ ছাড়ুন আমি বাড়ি যাবে।
রাফান: বাড়ি যাবে তবে আমার কথা শুনার পর।
রিয়া: অথৈ তুই
অথৈ: আমি কোনো কথা শুনবো না চল রিয়া ( বলে সামনে দিকে পা বাড়াতে অথৈ হাতটা চেপে ধরলো রাফান)
রাফান: আমার কথা না শুনে তুমি এখান থেকে এক পা যেতে পারবেনা লাল পরি
অথৈ: হাত ছাড়ুন বলছি
রাফান: ছাড়ার জন্য হাতটা ধরিনি।
অথৈ: হাত ছাড়ুন না হলে কিন্তু
রাফান: ছাড়বো না কি করবে তুমি ( বলতে অথৈ রাফানের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পার দিলো)
অথৈ: চল রিয়া ( বলে সামনে দিকে হাটতে লাগলো হঠ্যৎ পেছন থেকে আবার হাতটা চেপে ধরলো রাফান)
রাফান: বলেছি না আমি না চাইলে তুমি এখান থেকে এক পা যেতে পারবেনা।
অথৈ: আপনার দেখছি একটা থাপ্পারে কিছু হয়নি( বলে অথৈ আর একটা থাপ্পার দেওয়ার জন্য হাত তুলতে রাফান হাতটা চেপে ধরলো বললো)
রাফান: এই লাল পরি কি ভাবো নিজেকে। তোমার ধারনা নেই এই রাফান চোধুরী সাথে ঘুড়া জন্য কতো মেয়ে পেছনে লেগেছে কিন্তু রাফান চোধুরী কাউকে পাত্তা দেই নি। প্রথম যেদিন তোমাকে দেখিছিলাম সেদিন তোমাকে আমার ভালো লেগেছিলো। আড়াল থেকে তোমাকে রোজ দেখি তুমি ভার্সিটিতে না আসলে তোমার এক পলক দেখার নেওয়ার জন্য তোমার বাড়ি সামনে দাড়িয়ে থাকি। তোমার জন্য gift পাঠাই।
অথৈ: ছাড়ুন বলছি আমি কিন্তু চিৎকার করবো।
রাফান : চিৎকার করবে করো তোমার চিৎকারে কেউ আসবে না। আর এই ভার্সিটি তে কারো সাহস নেই আমার উপরে কথা বলা। তুমি আমাকে থাপ্পার মেরেছো না। আমাকে সবার সামনে আপমান করেছো না এই রাফান চোধুরীকে আপমান করেছো এই শাস্তি তো তোমাকে পেতে হবে লাল পরি। তুমি এতোদিন আমার ভালোমানুষি দেখছো আজ দেখবো রাফান চোধুরী কতোটা খারাপ। আজ তোমাকে এমন আপমান করবো না তুমি কারো কাছে মুখ দেকাতে পারবেনা। চলো
অথৈ: আমি যাবো না বাঁচান আমাকে এই শয়তান টা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে please বাঁচান। রিয়া আমাকে বাঁচা ছাড় বলছি ছাড়।
রিয়া: অথৈ কে ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন
রাফান: এই মেয়ে নিজের ভালো চাওতো এখান থেকে চলে যাও।
অথৈ: না রিয়া তুই যাবি ছাড় আমাকে ( বলে রাফানে হাত কামুড় বসিয়ে দিলো অথৈ)
রাফান আঃ ( হাত ছেড়ে দিয়ে আবার অথৈর হাতটা চেপে ধরলো) চলো বলছি চলো
অথৈ: ছাড়ুন বলছি ( বলে অজোড়ে কাঁদতে লাগলো। আশে পাশে সবাই তাকিয়ে দেখছিলো কিন্তু কেউ সাহ্স্য জন্য এগিয়ে আসলো না। রাফান অথৈ ভার্সিটি ৩য় তালায় নিয়ে গেলো)
রিয়া: অথৈ ( বলে নিচে বসে পড়লো) কে বাঁচাবে অথৈ কে। ( বলতে রিয়া চোখ পড়লো অথৈর ব্যাগের উপর) ওটাতো অথৈর ব্যাগ। ও ব্যাগে ফোন আছে ওর বরকে ফোন করলে হবে ( বলে ব্যাগটা তুলে ব্যাগে থেকে ফোনটা বের করলো) কিযেনো নাম দিয়ে সেভ করা হ্যা মনে পরেছে পঁচা কুমড়ো ( বলে ফোন থেকে নাম্বার বের করে কল দিলো)
পরশ: আসলাম সাহেব আমি ল্যাপটপ টা চালু করুন।
আসলাম সাহেব: জি স্যার ( বলে ল্যাপটপ চালু করলো)
রিয়া: কি ব্যাপার ওনি ফোন ধরছে না কেনো। ( বলে আবার কল দিলো)
পরশ: দুর ( বলে ফোনটা কেটে দিলো)
রিয়া: ফোনটা কেটে দিচ্ছে কেনো ভাইয়া please ফোনটা ধরুন না হলে যে অনেক বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে। ( বলে আবার কল দিলো)
আসলাম সাহেব: স্যার এতো বার ফোন বাজছে একবার ধরে কথা বলুন দরকারি কিছু হতে পারে।
পরশ: ok. ( ফোন টা রিসিভ করে বললো) অথৈ আমি একটা দরকারি ফাইল নিয়ে ব্যাস্তে আছি কেনো ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করছো ( রাগী গলায়)
রিয়া: ভাইয়া আমি অথৈ না রিয়া। ভাইয়া please আপনি এখনি একবার ভার্সিটিতে আসুন।
পরশ: ভার্সিটিতে আসবো মানে কি হয়েছে আর অথৈ বা কোথায়।
রিয়া: ভাইয়া অনেক বড় সর্বনাশ হতে চলেছে আপনি যতে তাড়াতাড়ি সম্ভাব আসুন। ( বলে ফোনটা কেটে দিলো)
পরশ: আসলাম সাহেব আপনি আফিস দেখুন আমি আসছি ( বলে পরশ আফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে বসে চালাতে শুরু করলো)
আসলাম সাহেব: স্যার এভাবে চলে গেলো কেনো অথৈর মায়ে কিছু হয়নিতো
রাফান: চিৎকার করো আরো জোড়ে জোড়ে চিৎকার করো তোমার চিৎকার শুধু দায়ালগুলো শুনবে আর কেউ শুনবে না। ( বলে অথৈর দিকে আগাতে লাগলো)
অথৈ: আমার দিকে আসবেন না কিন্তু আর এক পা এগাবেন না বলছি ( বলে কাঁদতে লাগলো)
রাফান: আরে লাল পরি তুমি এতো কেদোনা তোমার চোখের কাজলজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেদো না তুমি কাঁদলে আমার কষ্ট হয়। ( বলে অথৈর খুব কাছে চলে আসলো)
অথৈ: হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহা্য্য করো আল্লাহ সাহায্য করো ( বলে চোখ বন্ধ করে ফেললো)
রাফান: ইশ কেদে কি করেছে দেখ ( বলে হাসতে লাগলো)
অথৈ: পঁচা কুমড়ো আপনি কোথায়। ওরা আমাকে ( বলে চোখ বেয়ে অজোড়ে পানি পড়তে লাগলো) পঁচা কুমড়ো বাঁচান আমাকে এই শয়তানটার হাত থেকে হে আল্লাহ তুমি আমাকে বাঁচাও। ( বলতে রাফান অথৈর ওড়নাটা হাত দিয়ে টেনে ফেলে দিলো) বাঁচান আমাকে বাঁচান( চোখ বন্ধ করে বললো)
রাফান: দেখ দেখ তোরা লালপরি এই লালপরি ( বলে অথৈর দিকে হাত বাড়াতে কেউ একজন এসে রাফানকে ঠাস করে একটা থাপ্পার মারলো।
রাফান: তুমি
পরশ: হ্যা আমি মিস্টার রাফান চোধুরী।
অথৈ: পঁচা কুমড়ো আপনি ( চোখ খুলে বললো) পঁচা কুমড়ো আপনি এসেছেন ( বলে পরশকে জড়িয়ে ধরলো আর কাঁদতে লাগলো)
পরশ: অথৈ অথৈ আমি এসেগেছি তোমার কিছু হবে না। তোর সাহস হয় কি করে ওর গায়ে হাত দেওয়া ( বলে আবার রাফানকে থাপ্পার মাড়লো)
অথৈ: মারো ওকে ও আমার সাথে বাজে ব্যাবহার করেছে।
রাফান: পরশ ভাই
পরশ: চুপ একদম চুপ তোর মুখে আমি ভাই শব্দ শুনতে চাইনা। ( বলে আবার থাপ্পার মড়লো)
রাফান: ভাই এই মেয়ে কে হয় তোমার।
পরশ: এই মেয়েটা নয় ভাবি বল। ও আমার wife .( বলে আবার মড়লো)
রাফান:ভাই আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখনো অথৈ না ভাবির দিকে চোখ তুলে তাকাবো না।
পরশ: আফিসার এসেছন এই নিন আপরাধী ও আমার wife সাথে বাজে ব্যবহার করেছে।
পুলিশ আফিসার: এই ওকে নিয়ে যাও।
পরশ: তুই আমার খালাতো ভাই বলে তোকে পুলিশে দিলাম না হলে তো আমাকে চিনিস। নিয়ে যান।
পুলিশ আফিসার: চলো( বলে চলে গেলো)
পরশ: অথৈ চলো আমরা বাড়ি ফিরে যাই আর আজ থেকে কেউ তোমার সাথে বাজে ব্যবহার করবে না ( বলে অথৈকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলো। বাড়িতে এসে পরশ আম্মু আর দিশাকে সবটা খুলে বললো। তারপর আম্মু আর দিশা মিলে অথৈকে সান্তনা দিয়ে অথৈকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো।
রাত ১২ টা
অথৈ: আমাকে ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন আমাকে( ঘুমের মধ্য বলতে লাগলো)
পরশ: অথৈ এই অথৈ কি বলছো তুমি
অথৈ: ছাড়ুন বলছি ( বলে চিৎকার দিয়ে ওঠলো)
পরশ: অথৈ চোখ খুলে দেখো এখানে কোউ নেই
অথৈ: ওরা আমাকে
পরশ: ওরা তোমাকে কিছু করবে না তুমি এখন বাড়িতে ( বলে অথৈকেজরিয়ে ধরলো) অথৈ চোখ খোলো অথৈ।
অথৈ: ওরা( চোখ খুলে বললো)
পরশ: ওরা নেই তুমি স্বপ্ন দেখছিলো। আমি তোমার মাথার হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তুমি ঘুমাও।( বলে অথৈকে শুয়ে দিলো। অথৈ শুয়ে যাবে এমন সময় বুমি করতে লাগলো) অথৈ তুমি বমি করছো কেনো কি হয়েছে শরীর খারাপ করছে অথৈ।
অথৈ: আমি আসছি ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো কিছু সময় ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসতে পরশ বললো)
পরশ: অথৈ ঠিক আছো তো তোমার বমি হচ্ছে কেনো নিশ্চয় সারাদিন তেমন কিছু খাওনি না তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
অথৈ: না পঁচা কুমড়ো আমি ঠিক আসি আর কেনো খাবার এখন খাবো আমি একটু ঘুমাবো ( বলে শুয়ে পড়লো পরশ অথৈ মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে নিজেও অথৈ পাশে ঘুমিয়ে পড়লো)
সকালে………

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here