গল্পের নামঃ #বস আমার এক্স
লেখকঃ মোঃ শামীম মিয়া
পর্বঃ ১০
দর্জায় নক পরাতে অতিত থেকে বর্তমানে ফিরে আসলো মামুন। মামুন চোখের পানি মুছে নিজেকে ঠিক তারপর দর্জা খুলল। দর্জা খুলে দেখে মিতু এসেছে। মামুন মিতু কে ভিতরে আসতে বলল। মিতু ভিতরে ঢুকে মামুনের বিছানায় বসলো। মামুন ওয়াশরুমে ঢুকে চোখে মুখে পানি দিয়ে বের হয়ে আসলো।
মিতুঃ সেই যে কালকে রুমে এসে ঢুকেছো আর আজকে ১২ বাজে আমি এসে নক না করলে তো দর্জা খুলতে না।
মামুনঃ কি বলো তুমি( অবাক হয়ে)
মিতুঃ তোমারকি হয়েছে বলো তো তুমি। কালকে আসলে রুমে দুপুর গড়িয়ে বিকাল সন্ধ্যা রাত হলো আজকে সকাল হলো এখন দুপুর হলো তোমার কোন খবর নাই।
মামুনঃ আসলে প্রচুর ঘুম ধরেছিলো তো( মিথ্যা বলল) আচ্ছা আপনি বসেন আমি ফ্রেশ হয়ে আসি( মামুন ভাবতেই পারে না কিভাবে এত সময় ভাবনার মধ্যে ছিলো)
মামুন ওয়াশরুমে ঢুকে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে বের হলো। মামুনের চোখ গুলো খুব লাল হয়ে আছে মিতু সেটা খেয়াল করে দেখলো। মামুন রেডি হলে বের হবে এমন সময় মিতু বলতেছে।
মিতুঃ কি ব্যপার মামুন তোমার চোখ গুলো ফুলে গেছে আর লাল হয়ে আছে?
মামুনঃ কালকে থেকে ঘুম দিলাম চোখ তো লাল হবে( মিথ্যা বলল)
মিতুঃ ঘুমালে চোখ লাল হয় এই প্রথম শুনলাম। দেখে তো মনে হচ্ছে সারারাত কাঁন্না করেছো।
মামুনঃ আরে না গোসল করলাম চোখে সাবান লেগেছিলো তো তাই আপনার কাছে এমন মনে হচ্ছে।
মিতুঃ আচ্ছা চল আজকে পাহাড় আর ঝাউবন সবাই একসাথে যাবো। তোমার জন্য সবাই অপেক্ষা করতেছে।
মামুনঃ আচ্ছা চলুন এবার তাহলে যাওয়া যাক।
মিতু আর মামুন দুজনে একসাথে বের হলো। সবাই যে যার মত আবারো গাড়িতে উঠে বসে আছে। হোটেল থেকে একটু দূরে যেতে হবে তাই গাড়িতে করে যাচ্ছে। সবাই আগে পাহাড়ে গেলো, সেখানে সবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই যে যার মত পিক তুলতেছে ভিডিও করতেছে, ঘুরতেছে আনন্দ করতেছে। আজকে তানহা কে একটু বেশি খুশি লাগতেছে। মামুন সবার থেকে দূরে পাহাড়ের উপর বসে আছে। মামুন কে একা বসে থাকা দেখে মিতু মামুনের কাছে গেলো।
মিতুঃ হোটেল থেকে এখানে আসা পর্যন্ত দেখতেছি তুমি মন খারাপ করে আছো।
মামুনঃ তেমন কিছু না বাড়ির কথা মনে পড়তেছো তাই( মিথ্যা বলল) আপনি এখানে এলেন যে যান আনন্দ করুন সবার সাথে।
মিতুঃ যার সাথে আনন্দ করবো সে তো এখানে একা একা বসে আছে।
মামুনঃ মানে
মিতুঃ মানেটা তো তোমার অজানা নয় মামুন। আমি যে তোমাকে পছন্দ করি ভালোবাসি সেটা কি আবার বলতে হবে!
মামুনঃ ওহ( অন্য মনস্ক)
মিতুঃ আজকে কিন্তু উত্তর দিতে চাইছো এখন বলো তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
মামুনঃ দেখেন মিস মিতু যদি আমার জীবনে একজন না থাকতো তাহলে আপনাকে হ্যাঁ বলে দিতাম। আসলে আমি একজন কে খুব ভালোবাসি সেও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
মিতুঃ আমাকে মিথ্যা বলতেছো তুমি। তোমার জীবনে যদি কেউ থাকতো তাহলে তাকে এতদিনে আমি দেখতে পারতাম। কয়েক বছর থেকে একসাথে চাকরি করি কৈ একদিনও তো তোমার মুখে শুনলাম না আর তাকে তো দেখলাম না।
মামুনঃ কে বলেছে আপনি দেখেন, আপনি তাকে প্রতিদিন দেখেছেন। আপনার সাথে তার প্রতিদিন কথা হয়েছে।
মিতুঃ আজব তো আমার সাথে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে আর আমি জানি না। যতসব ঢফ মারো আমার সাথে। আমাকে ভালোবাসি কথা টা বলতে এত কেনো কথা ঘুরাচ্ছো তুমি।
মামুনঃ সত্যি আপনাকে আমি ভালোবাসি পছন্দ করি আমার কলিগ হিসাবে। আর আমার জীবনের ভালোবাসা আর একজন এটাই সত্যি। আপনাকে কষ্ট দিতে চাইনি বলে কালকে বলি নাই। এখানে আনন্দ করতে এসেছি তাই আপনাকে কষ্ট দিতে চাইনি। আপনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আপনি কষ্ট পাবেন এই ভেবে বলি নাই।
মিতুঃ কে সে যাকে আপনি এত ভালোবাসেন যার কারনে আমাকে ফিরিয়ে দিলেন( আবারো আপনি করে বলতেছে)
মামুনঃ সে আর কেউ নয় আমাদের কোম্পানির বস তানহা?
মিতুঃ কি বলেন আপনি তানহা ম্যাম আপনার প্রেমিকা! আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি মিথ্যা বলতেছেন আমাকে।
মামুনঃ যা বলেছি সব সত্যি তাহলে শুনুন সবটা( মিতুকে ঘটনা গুলো বলল কক্সবাজার এসে যা হয়েছে সেটাও) একি আপনি কাঁন্না করতেছেন কেনো?
মিতু কোন না বলে মামুন কে জরিয়ে ধরে কাঁন্না করা শুরু করে দিলো। তানহা মামুন আর মিতু কে খুঁজতে খুঁজতে এসে দেখে মিতু মামুন কে জরিয়ে ধরে আছে। তা দেখে তানহার তো বিশ্বাস হয়েই গেলো মামুন আর মিতুর মাঝে তাহলে সত্যি সত্যি সম্পর্ক আছে। তানহা আর তাদের কাছে না গিয়ে চলে গেলো। অনেকক্ষণ দুজন জরিয়ে ধরা অবস্থায় ছিলো। মামুন মিতু কে ছাড়িয়ে নিলো, মামুন একটু সরে বসলো।
মিতুঃ এত কিছু হয়ে গেছে আর এখনও তার অপেক্ষায় আছেন আপনি।
মামুনঃ ভালোবাসা টা তার কাছ থেকে শিখেছি আমি।
মিতুঃ আর আমার কারনে এখানে এসে আপনাকে আবারো অপমানিত হতে হলো। আমার কারনে আপনি সব সত্যি টা বলে ম্যাম কে নিজের করে নিতে পারলেন না।
মামুনঃ আস আমার নসীব আপনার কোন দোষ নেই। আসলে সে নিজেই বুঝতে চায়নি এমন কি সে আমাকে কোন বলার সুযোগ কখনও দেয়নি। সত্যি বলতে কি এই কাজ গুলো যদি তানহাও আমার সাথে করতো তাহলে হয়তো আমি এরকম করতাম।
মিতুঃ এত ভালোবাসেন ম্যাম কে তার পরও তার প্রতি কোন অভিযোগ নেই আপনার।
মামুনঃ যাকে ভালোবাসা যায় তার প্রতি কি রাগ অভিমান করে থাকা যায়।
মিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি সময় করে নিয়ে ম্যাম কে সব সত্যি টা বলে দিবো।
মামুনঃ না না এমন টা করবেন না তাহলে সে খারাপ ভাবতেও পারে।
মিতুঃ শেষ সময় যখন আমার কারনে এত কিছু হয়েছে তখন আমি তো বলবোই আপনার কোন কথা শুনবো না আমি।
মামুনঃ তার কোন দরকার নেই সময় বুঝে আমি সব বলে দিবো।
মিতুঃ আপনাকে চেনা আছে জীবনেও বলবেন না। আমি বলবো ম্যাম কে সব বুঝিয়ে তখন ঠিক বুঝবে। এবার চলেন অনেক সময় হয় এসেছি আমরা এখানে।
দুজনে সেখান থেকে উঠে সবাই যেখানে আছে মানে পিকনিক হচ্ছে সেখানে গেলো মানে খাওয়ার আয়োজন করছে সেই জায়গায়। প্রেম নিয়ে ভাবনা আর কাউকে বলার মধ্যে পার্থক্য আছে সেটা বুঝেন তো। ভাবনায় ধীরে ধীরে সব মনে পড়ে আর কাউকে বলতে গেলে অল্প সময় লাগে। মিতু আর মামুন গিয়ে দেখে সবাই খেতে বসেছে। তারাও সবার সাথে খেতে বসলো। খাওয়া শেষ হওয়ার পর সবাই একসাথে হলো, তানহা সবাই কে বলতেছে
তানহাঃ সবাইকে একটা কথা তো বলা হয়নি। আজকে আপনাদের জন্য আমার কোম্পানি বড় একটা পার্টির আয়োজন করেছে। আজকে আমাদের কোম্পানির চেয়ারম্যান মানে আবার বাবা মা ভাই বোন এবং বিশেষ একজন আসবে।
ম্যানেজারঃ ম্যাম কি উপলক্ষে এই পার্টির আয়োজন?
তানহাঃ আমি তো মনে করেছি কেউ না জানলেও একজন জানে বা আপনারা অনেকে জানেন( মামুনের দিকে তাকিয়ে বলল)
ম্যানেজারঃ ম্যাডাম জানলেও ভুলে গেছি আর আপনার পরিবারের সবাই বা কেনো আসবে?
তানহাঃ কারন আজকে আমার জন্মদিন আমি চেয়েছিলাম জন্মদিন টা সবার সাথে পালন করবো আর আমার জীবন সঙ্গী যে হবে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। যাকে আমি অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি( আবারো মামুনের দিকে তাকলো)
মামুনঃ ইশ আমি তো ভুলেই গেছি আজকে তানহার জন্মদিন। আর তানহা কি সত্যি আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চায় আমি তার ভালোবাসা( মনে মনে)
মিতুঃ আমি কি বলে দিবো ম্যাম কে সব কিছু, ম্যাম তো দেখি আগে থেকেই সব আয়োজন করে রেখেছে।( কনুই দিয়ে ঘুতা দিলো মামুন কে)
মামুনঃ আমি তো নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছি, ভাবতেও পারতেছি না তানহা এত সব কিছু করবে। আমার ভিশন লজ্জা পাচ্ছে.
মিতুঃ আর লজ্জা পেতে হবে না, যাইহোক অবশেষে দুজন মানুষ এক হচ্ছেন তাহলে।
ম্যানেজারঃ ম্যাম পার্টির আয়োজন কখন রেখেছেন সেটা তো বললেন না।
তানহাঃ রাত আট টার সময় পার্টি শুরু হবে।
ম্যানেজারঃ কিন্তু ম্যাম এখনও ঝাউবন ঘুরলাম না হাতে সময় তেমন নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় আয়োজন কেমন করে করবো।
তানহাঃ আপনাকে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ম্যানেজার সাহেব। হোটেলের ম্যানেজার কে সব আগে থেকেই বলা আছে। ওনারা সব কিছু ইতিমধ্যে শেষ করেছে। আমরা এখন ঝাউবন ঘুরে এসে পার্টিতে উপস্থিত হওয়ার আগে তৈরি হওয়ার সময়ও পাবো।
ম্যানেজারঃ তাহলে আর দেরি কিসের ম্যাম চলেন তাহলে সবাই মিলে ঝাউবন যাই। আর হ্যাঁ ম্যাম শুভ জন্মদিন।
সবাই এক এক করে তানহা কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো। সবাই ঝাউবন ঘুরে হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তানহার জন্মদিন উপলক্ষে তৈরী হলো। তারপর এক এক করে সবাই হোটেলের ছাদে চলে গেলো। এরপর তানহা সহ তার পরিবারের সবাই সেখানে আসলো।
তানহার আব্বুঃ আপনাদের সবাই কে ধন্যবাদ আজ আমার ছোট মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে আপনারা এসেছেন।
তানহার ভাইঃ আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন সাহায্য করেছেন আমার বোন কে আমাদের কোম্পানি পরিচালনা করার জন্য সে জন্য আপনাদের কে আবারো ধন্যবাদ।
তানহার বোনঃ আজকে কি আপনাদের সবার জন্য একটা খুশির খবর দিবে আব্বু। আর হ্যাঁ আপনারা পার্টি শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবেন।
তানহাঃ আব্বু আম্মু তোমাদের কে খুব ভালোবাসি। তোমরা সবাই আমাকে খুব সাপোর্ট করেছো আমার সব রকম পরিস্থিতিতে তোমরা পাশে ছিলে। ভাইয়া সরি তোমাকে হয়তো অনেক কষ্ট দিছি।
তানহার ভাইঃ কিসের কষ্ট তুই আমার আদরের বোন নিজের কোলে পিঠে তোমাকে নিয়ে বেড়িয়েছি। তোকে নিজ হাতে লালন পালন করেছি। তোর সব ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার। তোর সব ইচ্ছে পূরণ করা এটাও আমার দায়িত্ব। তোকে সব সময় ভালোবাসি আমি।
তানহাঃ এই জন্য তোমাকে আমার এত বেশি ভালো লাগে। আর আপু পড়াশোনার সময় আর আমার ডিপ্রেশনের সময় অনেক সাহায্য করেছিস পাশে থেকেছিস সে জন্য তোকে অনেক ধন্যবাদ।
তানহার বোনঃ দিবো এক চড় বোন কে কিসের ধন্যবাদ। তোর জায়গায় আমি থাকলে আমাকে কি তুই সাহায্য করতি না। আর হলি সবার আদরের সবার ভালোবাসার তোকে কি করে কষ্টে থাকতে দেই আমরা। আব্বু এবার অনুষ্ঠান শুরু করো তাহলে।
তানহার আব্বুঃ উপস্থিত সবাই কে স্বাগতম জানাচ্ছি। আর হ্যাঁ আজকে শুধু আমার মেয়ের জন্মদিন না সেই সাথে আরো একটা খুশির খবর আছে। এই হচ্ছে আমার বন্ধু জমসেদ মজুমদার আর এই হচ্ছে তার ছেলে মাসুম মজুমদার এনি আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার। আর এনার একমাত্র ছেলের সাথে আমার ছোট মেয়ের বিয়ের কথা পাকা করেছি। আর আজকে কেক কাটার আগে দুজনের আংটি বদল হবে।
সবাই জোড়ে করা হাত তালি দিতে লাগলো। মামুন আর মিতু তো বোকার মত চেয়ে দেখতেছে। তখন তাহলে তানহা যে বলল বিশেষ একজন আসবে আর সেই বিশেষ একজন হলো মাসুম মজুমদার মানে তার হবু স্বামী। দুজন দুজনকে আংটি পরিয়ে দিলো, তারপর কেক কেটে এক এক করে সবাই সবাই কে খাইয়ে দিলো। মিতু তো এক চাহনিতে মামুনের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনে কিছুই বুঝতে পারলো না তাদের মাথার উপর দিয়ে সব কিছু যেনো চলে গেলো।
মিতুঃ এটা কি হলো আপনি না বলেছিলেন তানহা ম্যাম আপনাকে ভালোবাসে তাহলে সে কেনো হাসি মুখে আর একজন কে বিয়ে করতে যাচ্ছে।
মামুনঃ হয়তো আমার উপর রাগ অভিমান থেকে হয়তো তাকে ব্যথা দিয়েছি তাকে ছেড়ে গেছি সেই কারনে। আবার এটাও তো হতে পারে আমি গরীব আর ওই ছেলেটা ধনি। ( চোখ মুখ শক্ত করে)
মিতুঃ না আমি ওই মঞ্চে উঠে সবাই কে সব সত্যি জানাবো। ম্যাম কেও সত্যি টা বলবো এটা হতে পারে না( মিতু যেতে ধরলে মামুন টেনে ধরলো)
মামুনঃ না আর কিছু বলবেন না আর কিছু করবেনও না। যেখানে আমি তাকে সুখ দিতে পারি নাই তার স্বপ্ন নষ্ট করেছি সেখানে তার নতুন সুখ নষ্ট করতে চাই না।
মিতুঃ তাই বলে সব নিরবে সয়ে যাবেন। আপনি তো ঠকবাজ বেঈমান নন সেটা তো ম্যামের জানা দরকার। আপনি তো তখন পরিস্থিতির স্বীকার ছিলেন।
মামুনঃ হোক না অন্য কারো দূর থেকে দেখতেই তো ভালো লাগতেছে। আমি তো সব সময় চাইতাম সুখে থাকুক। এখন না হয় সে সুখেই থাকুক আর তার সুখ কেনো কেড়ে নিতে যাবো আমরা।
মিতুঃ আপনার কষ্ট হচ্ছে না আপনি এমন স্বাভাবিক ভাবে আছেন কি করে। আপনি না তানহা ম্যাম কে ভালোবাসেন তাহলে কি করে ঠিক আছেন আপনি।
মামুনঃ বাদ দেন তো পার্টি এনজয় করুন আপনি। তাছাড়া খুদাও লেগেছে খেতে হবে তো।
মিতুঃ আপনি খান আপনি পার্টি এনজয় করুন আমি গেলাম।
মামুনঃ প্লিজ একা রেখে যাবেন না। একা থাকতে আমার একটুও ভালো লাগে না।
মিতুঃ আমি আপনার কাছ থেকে সব শোনার পর যেখানে নিজে ঠিক থাকতে পারতেছি না। সেখানে আপনি নিজেই তার সাথে সম্পর্ক করেছেন আর আপনার চোখের সামনে সব হচ্ছে আপনি কেমন করে সহ্য করতেছেন?
মামুনঃ বাদ দে না এই টপিক টা আচ্ছা চলুন আমিও যাবো এখান থেকে চলে। তাহলে আর আপনার খারাপ লাগবে না।
মিতু কে রেখে মামুন নিজেই চলে গেলো আগে তার নিজের রুমে। মিতু যেই না চলে যেতে ধরবে অমনি মিতুর আর একটা মেয়ে কলিগ মিতু কে আটকালো।
তানহাঃ আপনারা সবাই দয়া করে আমাদের দুজনের জন্য দোয়া করবেন। আর হ্যাঁ সবাই পার্টি এনজয় করুন আর কেউ রাতে না খেয়ে রুমে যাবেন না।
মিতুঃ ম্যাম( খুব জোড়ে) আপনাকে দেখে আমার জীবনে আরো অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। আপনি সত্যি বড্ড জেদি আর নিজের জেদের জন্য সব করতে জানেন। আপনাদের দুজন কে বেশ মানিয়েছে। আপনাদের জন্য দোয়া ভালোবাসা রইল, সামনের জীবন সুন্দর আর সার্থক হোক। (জোড়ে জোড়ে বলল)
তানহাঃ ধন্যবাদ মিস মিতু। আপনারা দুজনও সুখে থাকুন। আপনাদের দুজনের জন্য আমিও দোয়া করি।
মিতুঃ ম্যাম আপনি ভুলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাই এমন টা বললেন। তবুও আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের সবার পক্ষ থেকে।
তানহা মিতুর কথা গুলোর কিছুই বুঝলো। কিন্তু তানহা মামুন কে খুঁজতেছে কিন্তু মামুন কে কোথাও দেখতেছে না। মামুনের হিসাব বাদ দিয়ে হেসে হেসে মাসুম মজুমদারের সাথে কথা বলতে লাগলো তানহা।
পার্টি থেকে বের হয়ে রুমে ঢুকে নিরবে কাঁন্না করতেছে মামুন।
মামুনঃ মিস মিতু আপনাকে কি করে বুঝাই আমার কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে। কাকে দেখাবো মনের কষ্ট গুলো কাকে বোঝাবো কতটা ভালোবাসি তানহা কে। কাকে বলবো পরিবারের পাশাপাশি তানহার খোঁজ সব সময় করতাম। ওখানে স্বাভাবিক না থেকে কি সবার সামনে কাঁন্না করে নিজেকে ছোট করবো! পারতেছি না যে কষ্ট গুলো চেপে রাখতে কি করবো এখন আমি আর কি বা করার আছে আমার!( কেঁদে কেঁদে)
পার্টি শেষ হলে সবাই যে যার মত রুমে চলে গেলো। রাতেই তানহার পরিবারের সবাই ঢাকায় চলে গেলো। তানহার কাছে থাকলো শুধু মাসুম, কারন তানহা মাসুম কে তাদের সাথে করে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে। আর তো একটা দিন থাকবে তারা তাই তানহা চায় তার অফিসের সবার সাথে মাসুম পরিচিত হোক।
চলবে কি?
সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করি এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকি। আপনার সন্তান কে কোরআন এবং দ্বীনের শিক্ষা দিন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দয়া করে কেউ গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিবেন না?