#বাঁধন হারা তীরে
#রাহনুমা রাহা
#পর্বঃ৩৪
বিনা সাজসজ্জায় বিয়েটা হয়ে গেল তপার। পলকের আনা কাজী ওদের বিবাহ সম্পন্ন করেছেন এইমাত্র। বরের জায়গায় পলক এবং কনের জায়গায় তপা কেবল-ই সাক্ষর করেছে। সাক্ষীদের জায়গায়ও জ্বলজ্বল করছে আজমল হোসেন, শেলী জামান এবং প্রান্ত শাহরিয়ারের নাম। বিবাহ পর্ব শেষে পলক শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে ডেবিল হেসে বলল,
“নাতি নাতনীর অপেক্ষা করুন শ্বশুরমশাই; নির্বাচনের নয়।”
আজমল হোসেন তেড়ে-মেরে আসতে চেয়েও পারল না। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“সি ইউ সুন।”
পলক দাঁত কেলিয়ে হাসল। তপার হাতে হাত রেখে বলল,
“অবশ্যই শ্বশুরমশাই। জামাতার জয়ের মাল্য শ্বশুরের হাতেই না-হয় হবে। কি বলেন?”
তপা বিরক্ত ভঙ্গিতে পলকের দিকে তাকাল। বিমর্ষ গলায় বলল,
“বাড়ি যাব।”
পলক মাথা নিচু করে স্বল্প আওয়াজে বলল,
“রাত হতে তো আরও অনেক দেরি। এত তাড়া কিসের?”
কথার মর্মার্থ বুঝতে পেরে পলকের হাতে একটা রাম চিমটি লাগিয়ে দিল তপা। বিরবির করে বলল,
“অসভ্য লোক কোথাকার।”
পর-মূহুর্তে আবারও বলল,
“আমার ভালো লাগছে না পলক।”
এবার সিরিয়াসলি নিলো ব্যাপারটা। গালে কপালে আলতো করে ছুঁয়ে বলল,
“শরীর খারাপ লাগছে? জ্বর তো নেই। মাথা ব্যথা করে?”
তপা পলকের বেশি কথা বলা দেখে আরও মেজাজ খারাপ হলো। সদ্য বিয়ে করা বরের উপর চেঁচাতেও মন চাইছে না। অগত্যা প্রান্তর কাছে গিয়ে বলল,
“ভাইয়া আমাকে বাড়ি নিয়ে চলো। আমার ভালো লাগছে না এখানে। এখানকার আবহাওয়া বিষাক্ত হয়ে গেছে। শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ার আগে চলো।”
তপার কথা শুনে ওর মা শেলী জামান মাথা নিচু করে ফেললেন। সন্তর্পণে একটা শ্বাস ফেলে তপার দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে ওর একটা হাত আমি ধরতে চাইলে তপা লাফিয়ে সরে গেল। চিৎকার করে বলল,
“খবরদার না। আপনার সাহস হয় কি করে আমার গায়ে স্পর্শ করার? আমি অনুমতি দিয়েছি আপনাকে?”
শেলী জামান অবাক হলেন। তিনি জানতেন তপা তাকে এখন আর পছন্দ করে না। কিন্তু এতটা রিয়াক্ট করবে বুঝতে পারে নি। হাত গুটিয়ে পেটের বরাবর রেখে বললেন,
“আমি তোমাকে পেটে ধরেছি তপা। তোমাকে ছুঁতে আমার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।””
সহসাই তপা শরীর কাঁপিয়ে হাসল। পরক্ষণেই প্রখর ঘৃণা ভরা কণ্ঠে বলল,
“সেজন্যই বোধহয় আপনার সো কল্ড বন্ধুরও আমাকে ছুঁতে অনুমতি লাগে নি? যে কি-না আপনার সাথে রাতের পর রাত কাটিয়েছে!”
শেলী জামান চমকে উঠল। বলল,
“বন্ধু?”
“মনে পড়ছে না? নাকি মনে করতে চাইছেন না? তাকে তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়! এত পেয়ারের বন্ধু! যার জন্য নিজের পেটের সন্তানের দিকে একটিবার তাকানোর মতো সময় হতো না।”
শেলী জামান কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,
“তুমি কি সাদিকের কথা বলছো তপা? ও তো গত মাসে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে।”
“আচ্ছা! সেজন্যই বোধহয় আপনি এখানে এসেছেন? আসার সময় পেয়েছেন। সেজন্যই তো বলি প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ শেলী জামানের এত সময় কি করে হলো! কিন্তু আপনি এসেছেন কেন বলুন তো?”
শেলী জামান খানিকটা স্নেহ ভরা গলায় বলল,
“আমার একমাত্র মেয়ের বিয়ে। আর আমি আসব না?”
“কিন্তু সে তো মরে গেছে। আরও পনেরো বছর আগেই। যেদিন তাকে ওই শৈশবে এক পিশাচ তার স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছুঁয়েছিল এবং সেটা আপনাকে জানানোর পরও আপনি কোনো স্টেপ নেন নি। বরং আমাকে গালমন্দ থেকে গায়ে হাত; সবই করেছেন। তারপর আপনার কোনো অধিকার নেই আমার বিয়েতে আসার বা আমার জীবনের কোনো কিছুতে ইন্টারফেয়ার করার।”
পলক হঠাৎ বলল,
“আমি বলেছি উনাকে এখানে আসার জন্য। তুমি এরকম ব্যবহার করছো কেন?”
তপা তৎক্ষণাৎ পলকের দিকে তাকাল অগ্নিঝড়া গলায় বলল,
“আমি তোমাকেও অধিকার দেই নি। আমার অতীত ঘাটার। আমার অতীত কে টেনে সামনে আনার। এই আমিটা যদি যথেষ্ট মনে না-হয় তাহলে ছেড়ে দাও।”
পলক অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। এটা তার চেনা তিয়াসার কোন রূপ! তবুও নরম গলায় বলল,
“উনি তোমার মা তিয়াসা। তোমাকে দশমাস পেটে ধরেছেন।”
“হ্যা, উনি আমাকে পেটে ধরেছেন। কিন্তু উনি আমার মা নয়। মা হতে পারেন না। আপনি শুনেছেন নিশ্চয়ই – কু’পিতা যদিও হয়, কু’মাতা কখনো নয়! কিন্তু উনি কি করেছেন? তারপরও কি মা হওয়ার কোনো যোগ্যতা আছে উনার? যদি থাকে তাহলে বলুন, আমি মেনে নিচ্ছি।”
পলক আর বলার মতো কিছু পেল না। শেলী জামানের দিকে তাকিয়ে স্বল্প আওয়াজে বলল,
“আমার মনে হয় আপনার এখন চলে যাওয়া উচিৎ। একদিনে সব ঠিক হবে না। সময় লাগবে। তপার মন ভালো হলে আমি নিজে আপনাকে নিয়ে আসব।”
শেলী জামান নিভে গেলেন। যতোই হোক তার-ই তো মেয়ে। রক্তে তেজ থাকবেই। তার সঙ্গে আছে আজমল হোসেনের ধাত। এই ব্যবহার অনাবশ্যক। না থাকলেই বরং আশ্চর্য হতেন তিনি।
শেলী জামানের সঙ্গে বাকবিতন্ডার শেষে তপা বাড়ি ফেরার জন্য তাড়া দিতে থাকল। পলক তপা ভঙ্গুর মুখটা দেখে আর দেরি করতে চাইল না। ফেরার আগে তপা আজমল হোসেনের মুখোমুখি হলো একবার। গলায় প্রচন্ড দম নিয়ে বলল,
“মিস্টার আজমল হোসেন, আমাকে নিয়ে আপনার কখনোই কোনো মাথা ব্যথা ছিল না, সেটা আমি জানি। এটা নিয়ে আমারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু আমার স্বামীকে নিয়ে আমার যথেষ্ট মাথা ব্যথা আছে। যে কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত কেবল-ই আমার ভালবাসা ছিল। কিন্তু এখন এই মূহুর্ত থেকে শেষ নিঃশ্বাস অবধি সে-ই আমার সব। আমার শৈশব, আমার কৈশোর আপনাদের হেলা ফেলার জন্য শেষ হয়েছে। আমার আগামীর জীবনটা আমি নষ্ট হতে দেব না। যদি আপনারা একজনও সেই চেষ্টা করেন, তাহলে আমি কিন্তু সেটা সহ্য করব না। আর আপনি মিস্টার আজমল হোসেন, পলকের উপর যদি চর একটা হামলাও আপনি করেছেন বা করিয়েছেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দেব আমি। আমার শিরায় শিরায় আপনার রক্তই বইছে। মাথায় রাখবেন।”
“চলো।” পলকের উদ্দেশ্যে বলল তপা।
“তুমি উনাকে যতটা খারাপ ভাবছো ততটাও কিন্তু উনি নন তিয়াসা।”
পলকের কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকাল তপা। পলক পুনরায় বলল,
“মানে? উনার কোন দিকটা ভালো, বলবে?”
“উনি তোমার দায়িত্ব না নিলেও তোমার ভরণপোষণের দায়িত্ব, তোমার বাঁচার দায়িত্ব সবটাই নিয়েছেন। ইনফ্যাক্ট তুমি আদি টাঙ্গাইলের যে বাড়িতে আরামসে দিনাতিপাত করছো সেই বাড়িটাও উনারই দেয়া।”
অবাক হলো না তপা। তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
“সেটা নিজের দায় এড়ানোর জন্য।”
“দায় তোমাকে ভালো রাখা।”
“আমি এভাবে ভালো থাকতে চাই নি পলক। আমি মা বাবার আদরে আহ্লাদে বাঁচতে চেয়েছিলাম। যা সব শিশুই চায়। ওরা আমায় শিশু অবস্থাতেই মেরে ফেলেছে। ওদের বাড়ি ওদের টাকা আমি চাই নি পলক। শুধু শান্তি চেয়েছিলাম। যা আমি মা আর ভাইয়ার কাছে পেয়েছি। ওরাই আমার পরিবার; ওরাই আমার আপনজন।”
“যদি শুধরে যান ওনারা, তাহলে?”
“যারা মানুষ খুন করতে চায়, তারা শুধরাতে পারে না।”
“খুন তো করে নি, না?”
তপা এবার বিরক্ত হলো পলকের সাফাই গাওয়া দেখে। বিরক্ত ভঙ্গিতেই বলল,
“আমি যেদিন আপনাকে রাস্তা থেকে রেসকিউ করি ওইদিন বাগে পেলে কি ওরা আপনাকে ধুনো দিতো?”
পলক হেসে ফেলল তপার বিরক্তির সহিত কথা শুনে। আজমল হোসেনের দিকে তাকিয়ে আফসোস ঝরা গলায় বলল,
“অনেক চেষ্টা করলাম শ্বশুরমশাই। বাট লাভ হলো না। আপনারই তো মেয়ে। ঘাড়ের রগ কি এত সোজা হতে পারে! যাই হোক নিজেকে শুধরান। আমার বউটাকে আর কষ্ট দেবেন না। আর দোয়া করবেন, তাড়াতাড়ি যেন নানা হতে পারেন, কেমন! আসছি টাটা! টাটা শ্বাশুড়ি আম্মা!”
বাড়ি ফিরে আয়েশা’র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওরা চলে যায় পলকের বাড়ি। যেখানে অপেক্ষায় ছিলেন পলকের বাবা মা। বরণ পর্ব সেরে নতুন বউয়ের জায়গা হয় নতুন রূপে সজ্জিত পলকের ঘরে।
সাদা আর লাল গোলাপে সজ্জিত ঘরটি; কাঁচা ফুলের হালকা মিষ্টি সুগন্ধে ভরপুর বিছানায় লাল বেনারসি জড়িয়ে চুপটি করে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তপা। মাথায় দেয়া পাতলা ঘোমটাখানা নামিয়ে দেয়া মুখ থেকে আরও খানিকটা নিচে। মাঝেমাঝে সেখান দিয়েই উঁকি মেরে পরখ করছে চারপাশ।
কিছুক্ষণ পর পলক এলো সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে। পরনে কাল পাঞ্জাবি। চোখে মুখে আনন্দ আর উত্তেজনার মিশ্র অনুভূতি।
পলক কে আসতে দেখে তপা অস্তির হয়ে উঠল। অস্তিরতা কাটাতে হাতের আঙুল দিয়ে শাড়ির কোণা খামচে ধরল। পলক ধীর পায়ে তপার পাশে গিয়ে বসল। তপার অস্থিরতা দেখে নিজের হাতটা বাড়িয়ে ধরতে চাইল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষ্য করল ওর হাতটাও কাপছে। তপা পলকের অবস্থা দেখে ঘোমটার ভেতর থেকে কিঞ্চিৎ হেসে হাতটা বাড়িয়ে দিল। পলক কাঁপা কাঁপা হাত ধীরে ধীরে তপার হাতের উপর রাখল। সেই প্রথম স্পর্শে যেন তাদের ভেতরের সমস্ত অপেক্ষা, সমস্ত প্রেম এক মূহুর্তে প্রকাশ পেল।
ধীরে ধীরে পলক তপার মুখের উপর থেকে ঘোমটা সরিয়ে দিল।সেই উন্মুক্ত মুখখানা, সেই চাহনি সবটা পলক কে নতুন করে প্রেমের জালে আবদ্ধ করল। যে প্রেম এতদিন ছিল শুধুই প্রেম, তা আজ থেকে রূপ রূপ নিল দায়িত্বে।
পলক আরও কাছে এলো ওর। সবচেয়ে কাছে। যতটা কাছে একমাত্র স্বামী নামক মানুষটিই যেতে পারে। শব্দহীন এই রাতে তাদের দুজনের হৃদয়ের কথা আর চোখের ভাষাই সব বলে দিল। চারপাশের সময় যেন থমকে গেল। এই রাত ছিল তাদের ভালবাসার এক অনন্ত শুরু…
বেশ কয়েক বছর পর….
টাঙ্গাইলের ভিক্টোরিয়া রোড ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বিশাল গাড়ি বহর। ঠেকল গিয়ে ‘তাজমহল’। তাজওয়ারদের তাজমহল আজকাল আরও সুপরিচিত। গাড়ি বহরের মাঝখানের সাদা রঙা গাড়িটা থেকে বের হলো কালো শাড়ি পরিহিতা এক সুদর্শিনী রমনী। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা; চেহারায় ভারিক্কি ছাপ স্পষ্ট। গাড়ি থেকে নামতেই তেরো চৌদ্দ বছর বয়সী একটা মেয়ে ভেতর থেকে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল তাঁকে। বলল,
“মাম্মা! অবশেষে তুমি এলে! অবশেষে তিয়াসা তাজওয়ারের সময় হলো তার মেয়ের জন্য!”
তপা মুচকি হাসল,
“তোমার জন্য আমার সবসময় সময় আছে মা। কিন্তু জনগণের দিকটাও তো দেখতে হবে। ওরা তো ওদের ভালোর জন্য আমাকে নির্বাচিত করেছে মা।”
“হয়েছে হয়েছে। বাবা আর তুমি সেম সেম। শুধু জনগণ আর জনগণ। বাবা থেমেছে আজকাল। এখন আবার তুমি।” অভিমানী গলায় বলল পালকি।
তপা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে নরম গলায় বলল,
“অভিযোগ আছে আমার সোনা বাচ্চাটার? মা কি ভালো মা হতে পারে নি?”
পালকি মা কে জোরসে জড়িয়ে ধরে বলল,
“আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা।”
তপা স্নিগ্ধ হাসল। নিজে যা পায়নি, তা উজার করে দিতে চেয়েছে নিজের সন্তান কে। দায়িত্বের বেড়াজালে আটকা পড়লেও মাতৃত্বের সাথে কখনো কার্পণ্যতা করে নি তপা।
ভেতরে এসে পলক কে দেখতে না পেয়ে তপা চিন্তিত হলো। আজকাল পলক কে চোখের আড়াল করতে পারে না তপা। ভয় হয় বড্ড। আজ থেকে বারো বছর আগে পলক যখন সদ্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পায় তখনই ওদের জীবনে ঝড় বয়ে আনে একদল সন্ত্রাসী। কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ছয়মাস পর তপা বহু কাঠখড় পুড়িয়ে উদ্ধার করে ওঁকে। ততদিনে পুরনো পলক তাজওয়ার আর পলক তাজওয়ার ছিল না। পুরোদস্তুর জড়পদার্থে পরিণত হয়েছিল। তপার অপার চেষ্টায় স্বাভাবিক হলেও রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু তপা! সে তো এই স্বাভাবিক বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে নি। নিজের রক্তে থাকা তেজ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে। বেছে নিয়েছে এককালে ঘৃণা করা সেই রাজনীতি। খুঁজে খুঁজে শাস্তি দিয়েছে সেই কিডন্যাপারসহ তাদের মাথা কে। ক্ষমতা কে ভালো কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন করছে দেশের। পূরণ করছে পলকের স্বপ্ন। এইটুকুতেই ক্ষান্ত দেয় নি সে। ফিরিয়ে এনেছে সেই পুরনো পলক কে। যে মাঝে অনেকগুলো বছর পর এ বছরই পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছে। এইটুকুতেই যেন তপার শান্তি। আর কি চাই জীবনে?
পলকের আসার অপেক্ষা করতে করতে বিরবির করে বলল,
“বসন্ত হারিয়ে গেছে পঞ্চমীর-ই সুরে,
আমি কৃষ্ণময়ী ঘর বেঁধেছি #বাঁধন_হারা_তীরে।”
বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই পলকের গাড়ির শব্দ পেল তপা। মুখে হাসি ফুটে উঠল। মুচকি হেসে বলল,
“আমার বসন্ত!”
সমাপ্ত
নোট-০১ঃ এই গল্পটা অনেক বড় হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্বটাই অনেক বড় পরিসরে সাজাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে এই গল্পটা লেখার সময়ই। তাই খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু শেষ তো করতেই হতো। সেজন্যই যে-রকম পারলাম লিখলাম। মাফ করবেন।
নোট-০২ঃ পলক তপার এই গল্পটা নিয়ে তো অনেক ভুগিয়েছি তাই অনেকগুলো দিন ধরে একটু একটু করে লিখে একটা ই-বুক রেডি করেছি। সেটা এই সপ্তাহেই আসবে ইনশাআল্লাহ। ব্লোম বাস্ট করতে আসবে পলক-তপা!
নোট-০৩ঃ শ্রাবণের_ধারার_মত আর লিখছি না। ওটা যেভাবে ভেবেছিলাম তার কিছুই লিখতে পারছি না। কেমন একঘেয়ে হয়ে গেছে। সময় নিয়ে আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে। তার পরিবর্তে পরশু থেকে নতুন উপন্যাস আসবে। যদি কখনো বই করার সুযোগ পাই তবে এটা বই হিসেবেও আসবে।