বাসি_ফুলের_সুবাস #পর্ব_১

0
906

#বাসি_ফুলের_সুবাস
#পর্ব_১
#মাসুরা_খাতুন

ছয় বছর বয়স থেকেই পরের বাড়িতে আশ্রয় আমার।কে বাবা,কে মা কিছুই জানতাম না আমি।নিজের পরিচয় বলতে এতোটুকুই মনে আছে কোন এক নদীর চরে বাড়ি ছিল আমাদের, আর আবছা মনে পড়ে এক ভয়ং* করী রাতের কথা! যেদিন নদী ভাঙন আমার সব প্রিয় জনদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে আমার থেকে। এখন আমার বয়স চৌদ্দ। যখন সব কিছু হারিয়ে এ বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলাম,তখন হয়তো বাবা মার নাম মনে ছিল,কিন্তু এখন আর উনাদের কোন স্মৃতিই আমার মনে পড়ে না।দীর্ঘ আটটা বছর থেকে পরিচয় হীন হয়ে পরের বাড়ির আশ্রিতা আমি।এ বাড়ির মালিক আতাউর রহমান কে আমি খালু বলে ডাকি,আর উনার সহধর্মিণী মানে রেহেনা বেগমকে খালাম্মা বলে ডাকি।আগে নিজের পরিচয়হীনতার জন্য প্রচন্ড কষ্ট হতো।কে আমি? কি আমার পরিচয়, আমার কি বাবা মা কেউ নেই? রক্তের সম্পর্ক গুলো কেমন হয়?রক্তের সম্পর্ক গুলোতেও কি এমন আশ্রিত বাড়ির লোকেদের মতো কঠোরতা থাকে?আমি জানি না আপন মানুষ কেমন হয়।আপন বলতে এখানে ও আছে আমার কয়েকজন, আবির ভাইয়া,রেমি আপু এরাও কি কম আপন আমার! উঁহু, এদের পর বলাই যায় না।এই লাল রঙের ডায়েরি টাও তো সেদিন আবির ভাইয়া আমায় এনে দিলেন।লেখতে পড়তে জানতাম না,আবির ভাইয়া আমায় অবসরে লেখা শিখিয়েছেন,আমার ওপর কোন অন্যায় হলে উনি প্রতিবাদ করেছেন।

ওহ্ হ্যাঁ,নিজের পরিচয় টায় তো দেওয়া হয়নি। আমি রাবু,রাবেয়া থেকে রাবু হয়েছি।পরিচয় বলতে আজ আট বছর থেকে বাবা মা আত্মীয় স্বজন হারিয়ে পরের বাড়ির আশ্রিতা এককথায় কাজের মেয়ে ও বলতে পারেন।হয়তো আমারও কোন একটা সুন্দর পরিবার ছিল,কিন্তু এখন আমি শুধুই কাজের মেয়ে। আর এতোক্ষণ যার কথা বললাম উনি আবির ভাইয়া, এ বাড়ির ছোট ছেলে।আবির ভাইয়া একটু প্রতিবাদি টাইপের। প্রথম থেকেই দেখে আসছি ভাইয়া আমায় অন্য সবার থেকে আলাদা দেখেন।

এতোটুকু ডায়েরিতে লেখতেই খালাম্মা বাইরে থেকে ডাকেন,

“এই রাবু,রাবু থাকিস কোথায় তুই সারাদিন? একটা কাজের সময় পাওয়া যায় না।খুব ফাঁকিবাজি হচ্ছিস দিন দিন। ”

তড়িঘড়ি করে আমি সেখানে পৌঁছালাম।

“হ্যাঁ খালাম্মা বলো,কি করতে হবে? আমি তাড়াতাড়ি করে দিচ্ছি। ”

“তোকে যে বললাম আজ আবির বাসায় আসবে,ওর ঘরটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে,কই রেখেছিস? ”

“আমি এক্ষুনি গুছিয়ে দিচ্ছি খালাম্মা। আসলে আজ অনেক রান্না বান্না করা হয়েছে তো,তাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। ”

“কেমন শরীর তোর বাপু,বুঝিনা।এতোটুকুতেই এতো ক্লান্তি। ”

ইনি খালাম্মা, এ বাড়ির মালকিন। আবির ভাইয়া আসবে শুনে আমার ও খুব আনন্দ হচ্ছে, কেন জানি মানুষ টার জন্য মন টা কেমন করে।কি একটা আছে আবির ভাইয়ার মধ্যে। ভাইয়া সবার থেকে আলাদা।আমায় যখন স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার সময় হয়,উনি একায় অনেক চেষ্টা করেছিলেন আমায় পড়াতে।কিন্তু বাড়ি থেকে কারো সাপোর্ট না পাওয়ায় আর পেরে ওঠেন নি।তার ওপর ভাইয়া তখন ছোট ছিলেন তাই তো বেশি কিছু বলার সাহস পান নি।তবে লুকিয়ে লুকিয়ে আমায় পড়াতেন উনি।ভাইয়া আজ দুবছর থেকে শহরে গেছেন পড়াটা শেষ করতে।এ বাড়ির লোকজন মোটামুটি সবাই শিক্ষিত। খালু জান একজন সরকারি চাকরিজীবী,খালাম্মা ও লেখাপড়া জানেন।বড়ভাইয়া মানুষ টা অনেক মেধাবী। কি যেন ডিগ্রী নিতে বিদেশে গেছেন।কিন্তু উনি আবির ভাইয়ার মতো সাহসী প্রতিবাদী না।কোন ভালো মন্দে কিছু তে উনার নজর নেই। উনি সবসময় বই নিয়েই থাকেন।কথা খুব কম বলেন, গম্ভীর। আমার সাথে বড় ভাইয়ার কথা হয়তো কাজের প্রসঙ্গে দু একবার হয়,কিছু লাগলে বলেন শুধু এর বেশি নয়।মানুষ টা কেমন যেন অদ্ভুত! এ বাড়িতে শুধু ইনারা চারজনই থাকেন।আর একটা উচ্ছিষ্ট ঝামেলা, তা হলাম আমি।বাড়িতে সবাই শিক্ষিত মানুষ, অথচ উনারা কেন যে আমায় পড়তে দিলেন না,এটায় আমার মাথায় আসে না। হয়তো পড়তে দিলে যে টুকু সময় বাইরে থাকব উনাদের বিনা পয়সায় পাওয়া কাজের লোকের অভাব হবে তায়।আমি যখন এ বাড়িতে প্রথম এসেছিলাম তখন হয়তো নিজের সম্পর্কে অনেক কিছুই বলতে পারতাম,বাবার নাম,গ্রামের নাম টাও বলতে পারতাম,কিন্তু এ বাড়ির লোকজন হয়তো শুধু ভাত কাপড় দিয়ে পাওয়া কাজের লোকটাকে হাত ছাড়া করতে চান নি।কিন্তু তারপর ও এ বাড়ির মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।কারণ সেদিন যদি এ বাড়িতে ঠাঁই না পেয়ে কোন খারাপ লোকের হাতে পড়তাম,তাহলে না জানি কি হতো আমার সাথে! এখানে তাও নিজের সম্মান বাঁচিয়ে দু বেলা ভাত পেয়ে বেঁচে আছি।আবার আবির ভাইয়ার মতো ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি। রেমি আপুর মতো বোন পেয়েছি।রেমি আপু হলেন আবির ভাইয়ার চাচাতো বোন।উনাদের বাসাও এখানেই,পাশাপাশি দুটো বিল্ডিংয়ের একটা আবির ভাইয়াদের, আর একটা রেমি আপুদের। আমার জীবনের এমন ছন্নছাড়া গতি দেখে যদি কারও চোখে মমতা দেখে থাকি,তা হলো রেমি আপু।রেমি আপু দেখতে টুকটুকে সুন্দরী। ভিষন মিষ্টি দেখতে।আপু সবসময় পরিপাটি পোশাক পরে থাকেন।আর কথাও বলেন স্পষ্ট, একেবারে আবির ভাইয়ার কপি।এই দুটো মানুষই আমার ভরসা।আর আজ সেই আবির ভাইয়া এতোদিন পর বাসায় আসছে।

আবির ভাইয়ার রুমে ঢুকতেই খুশিতে ভরে উঠল মন! এখানে যা কিছু আছে সব, সব আবির ভাইয়ার অংশ। ভাইয়ার গিটার,ক্যামেরা, এমন কি কাচের ফ্রেমে বাঁধানো ভাইয়ার হাস্যজ্জৌল ছবি খানাও আমার বেশ পরিচিত।প্রতিদিন নিয়ম করে এসে আমি এগুলো মুছে পরিষ্কার করে যাই,আর আজই যে কি করে ভুলে গেলাম জানিনা।ভাইয়ার পুরো রুম পরিষ্কার করা হলে আলমারি থেকে একটা বই হাতে নিলাম।বইটার বা ” তেইশ নম্বর তৈলচিত্র ”। নাম টা দেখেই পড়ার ইচ্ছে হলো। আবির ভাইয়ার জিনিস গুলো তে হাত দিতে আমার ভয় করে না, খুব আপন আপন মনে হয়। রাতে পড়ব বলে বইটা সাথে নিয়ে আসতেই খালাম্মা সামনে এসে দাঁড়ালেন।

“তোর হাতে এটা কি রে রাবু?”

“একটা বই খালাম্মা। আমার তো গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে, তাই ভাইয়ার আলমারি থেকে নিয়েছি।রাতে পড়ে রেখে দেব।”

“তোর বই পড়তে ভালো লাগে? ”

“হ্যাঁ খালাম্মা, খুউব।আমি তো আবির ভাইয়া আর রেমি আপুর ওখান থেকে অনেক বই পড়েছি।”

খালাম্মা মুচকি হাসলেন।অনেক দিন পর মানুষ টা আমার কথায় হাসলেন।উনার হাসিটা দেখে আমার কিযে ভালো লাগছিল তা প্রকাশ করার মতো নয়।আমায় কথায় খালাম্মা হাসলেন ভেবে খুশিতে আমি আত্মহারা।

“এতো বই পড়ার যখন ইচ্ছে, তাহলে তোর খালুর আলমারি থেকে ও বই নিয়ে পড়িস।উনার আলমারি তে অনেক বই।”

“সত্যি বলছো খালাম্মা? কিন্তু যদি খালু রেগে যান? আমার যে ভয় করে”

“আরে রাগবে না।তুই কি বই পড়বি আমায় বলে নিস,আবার পড়া শেষ হলে রেখে দিস।”

“আচ্ছা ঠিক আছে খালাম্মা। বলছি যে সব কাজ তো শেষ, আমি একটু রেমি আপুর কাছে যাই? একটুখানি দেরি করেই চলে আসব।”

খালাম্মার মুখ টা মূহুর্তেই কালো হয়ে উঠলো। এ বাড়ির লোকজন আমায় বাইরে যেতে দিতে চায় না কেন এটা আমার বোঝার বাইরে। বই পড়ায় সমস্যা নেই অথচ স্কুলে যাওয়া মানা! আর রেমি আপু কেও খালাম্মা খুব একটা পছন্দ করেন না তা আমি জানি। কারণ রেমি আপু সবসময় মুখে মুখে কথা,বলেন।কোন কিছু ভুল হলে বা অন্যায় হলে রেমি আপু চুপ থাকতে পারেন না,সেটা যার সাথেই হোক।আর তাই হয়তো খালাম্মার মনে মনে আপুকে একটু অপছন্দ।

“কেন? তোর বুঝি আর কোন কাজ নাই? মেয়ে মানুষ এতো বাইরে যাওয়ার লাফালাফি কেন? ”

“আসলে খালাম্মা, রেমি আপুর একটা বই আমার কাছে ছিল,আমি খালি যাব আর আসব,একটু যাই? ”

বিরস মুখেই উনি বললেন,

“আচ্ছা ঠিক আছে যা,গিয়ে ওর মতোই বড়দের সাথে মুখে মুখে চোটপাট করা শিখে আয়।”

“সত্যিই কি যাব খালাম্মা? ”

“এতো ঢং না করে তাড়াতাড়ি গিয়ে আয়,একটু পরেই আবির চলে আসবে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে খালাম্মা। ”

মনে মনে অনেক টা খুশি হয়ে আমি বেরোলাম আপুর কাছে। আসলে আবির ভাইয়া আসার খবর টা আপুকে দেওয়ার ছিল।উনাদের দুজনের মন মানসিকতা এক হলেও একদম সাপে নেউলে সম্পর্ক।দুজনের মধ্যে সারাক্ষণ খুনসুটি চলতেই থাকে।মা*রামা*রি, হা*তাহাতি এটা দুধভাত এদের কাছে।আর এদের এমন দুষ্টমি গুলো আমার খুব ভালো লাগে। গিয়ে দেখি আপু একটা লাটাই বানাচ্ছে।

আমি পেছন থেকে আপুর চোখ ধরলাম।

“এই রাবু এই বিকেল বিকেল মাথাটা খাস না তো,চোখ দুটো ছেড়ে সামনে আয়।”

“বারে আপু, তোমায় যে বোকা বানানোই যায় না।কি করে বুঝলে এটা আমি?”শুকনো মুখে বললাম আমি।

“জানিস না আমার সাথে তেনাদের যোগাযোগ আছে,তেনারাই খবর দিয়ে গেছেন।”

“আপু,কি সব আজগুবি কথা বলো,তোমার তেনাদের কথা সেদিন খালাম্মা কে বলে মারা*ত্মক বকা খেয়েছি। এসব তেনারা ফেনারা কেউ নেই, সব তোমার আজাইরা কথা”

“কি সর্ব*নাশ! তুই আবার বড়আম্মা কে এসব বলতে গেছিস কেন? তুই জানিস না তেনাদের কথা যাকে তাকে বলতে নেই। এবার তুই গেছিস”

লাটাইয়ে সুতো জরাতে জরাতে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আপু।

“ককি হবে আমার আপু? সত্যিই কি তেনারা আছেন?”

“নেই বলছিস? এই শোন,এই মুহূর্তেই আশেপাশেই কিন্তু উনারা ঘুরছেন,সব কিন্তু শুনছেন তোর ঘাড়ে উঠে মটকাতে এক মিনিট ও দেরি লাগবে না তেনাদের। ”

বড় বড় চোখ বের করে বললেন আপু।

আপুর এমন ভাবে বলায় এবার আমার সত্যিই ভয় হতে লাগল।

“আআপু,তুমি একটু বলো না তেনাদের, আমায় যেন কিছু না বলে।”

“তুই অবিশ্বাস করেছিস,এখন না বললেই কি উনারা শুনবেন? তুই শুনিস নি,পশ্চিম পাড়ায় হিন্দু গোপালের ছেলে উপেন তেনাদের অবিশ্বাস করে ঢিল ছুঁড়েছিল,পরদিন সকালে উপেনের গলা কা*টা লা*শ পাওয়া যায়। ”

“হ্যাঁ, হ্যাঁ শুনেছি আপু।তুমি একটু বলো না আপু আমায় যেন কিছু না বলেন। ”

“আচ্ছা তুই ভয় পাস না,যেহেতু তুই আমার বোন তাই হয়তো কিছু নাও বলতে পারে। আচ্ছা এখন বল,কেন এসেছিস?”

“তোমায় একটা খবর দিতে।তার আগে বলো তুমি এই লাটাই দিয়ে কি করবে?”

“শোন,এটা যেই সেই লাটাই না।প্রেমবৃক্ষের গাছ থেকে নেওয়া এই ডাল। আর এই লাটাই টা দিয়ে তোর ফাজিল আবির ভাইয়া কে উড়াবো।”

“প্রেম বৃক্ষ! সেটা আবার কেমন গাছ গো?”

“সে তুই চিনবি না।তেনারাই সূদুর তিব্বত থেকে এ গাছের ডাল আমায় এনে দিয়েছেন। এখন খবর টা কি দিবি বল?

“তুমিই ধারণা করো তো আপু।আমি কি বলতে এসেছি? ”

“আমার সিক্সথ সেন্স বলছে তোর ফাজিল ভাইয়ার কোন খবর। ”

“কি করে বুঝলে? ”

“এই মেয়ে, বললাম না আমার সাথে তেনাদের যোগাযোগ। ”

“ওহ্ আচ্ছা আপু। এবার ঝটপট টাকা ছাড়ো”

“টাকা কেন? ”

“ওমা,ভাইয়া তো আজ আসছে।আর আসলেই তো তোমার জন্য আনা বইটা ডাকপিয়ন হয়ে আমায় দিয়ে যেতে হবে, আর তার ভাড়া চাই। ”

“হুহ্,কি সব আজাইরা বই দেয় তোর ভাইয়া,তার আবার ভাড়া দিতে হবে। যা আগামীকাল তোর ভাইয়ার কাছ থেকে নিয়ে দেবনে।”

“আচ্ছা আপু আজ যাই।ভাইয়া চলে আসবে।আর কাল আমাদের বাসায় যেও।”

“এই শোন,তোর বাঁদর ভাইয়া আসলে বলে দিস ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা করব,এবার কিন্তু আমি জিতেই ছাড়ব।”

“আচ্ছা সে হবে ক্ষন,এখন আমি গেলাম।”

“এক মিনিট দাঁড়া,”বলে আপু বানানো আমড়ার আচার একটা বাটিতে করে দিয়ে বললেন

“নে খেয়ে দেখ।সূদুর বরিশাল থেকে আনা আমড়ার আচার। খেয়ে দেখ কি মিষ্টি। ”

“বরিশাল থেকে আনা আমড়া? এটাও কি তেনারাই এনে দিয়েছেন আপু?”

“তো কি আর আমি গিয়ে এনেছি? ”

ভয়ে ভয়ে বাটিটা হাতে নিয়ে একটুখানি আচার মুখে দিলাম।আপুর হাতের বানানো আচার ভিষণ মজা,কিন্তু আমড়া তেনাদের আনা বলে ভয়ে ভয়ে একটুখানি খেয়ে রেখে দিচ্ছিলাম।

আমার ভয় পাওয়া দেখে আপু মিষ্টি হাসলেন,

“পুরোটায় খা,কোন ভয় নেই আমি উনাদের বলে দেব,তুই উনাদের প্রসংশা করেছিস।”

আচার খেয়ে আপুর কাছে থেকে বাসায় এলাম আমি।এসে দেখি খালাম্মা মুখ কালো করে বসে আছেন,ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো,আমার কি দেরি হয়ে গেলো?,,,,,,

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here