বিনি_সুতার_মালা? পর্ব_০৩

0
3305

বিনি_সুতার_মালা?
পর্ব_০৩
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
বিছানার এক কোনে জ্ঞান হারা অবস্থায় পরে আছে আদ্রি।
এক পাশে অর্ন চোখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে।
আজ যেন প্রচুর রাগ তাকে গ্রাস করেছে।
আদ্রিকে এতো কঠিন শাস্তি দিতে হবে তা অর্ন কখনো ভাবে নি।
এটা ভাবার মতো নয়।
সত্যি আজ আদ্রিকে সে অনেক বড়ো শাস্তি দিয়ে ফেলেছে।
কিন্তু আদ্রি যা করেছে তার জন্য খুব বেশি রাগ উঠে গেছিল।
কিছুই করার নাই। রাগের উপর অর্নের কন্ট্রোল কখনোই ছিল না আর না ভবিষ্যৎ এ সে করতে পারবে।
–তুমি এমন কেন করলে আদ্রি আজ আমি তোমায় কি ভাবে এতো কঠিন শাস্তি দিতে পারলাম।
হে আল্লাহ আমি এটা কি করলাম।
,
কিন্তু এখানে হলো টা কি তা জানতে হবে,
চলুন জেনে আসি,
অতিত,
,
সময় টা যাক না থমকে এখনে প্রিয় মানুষ টাকে এভাবে জড়িয়ে কাটিয়ে দেই না সারাটা জীবন।
সব কিছু ভাবতে ভাবতে হটাৎ অর্ন খেয়াল করলো আদ্রির কপালে ভাজ পরেছে।
কারন তার মুখে আলো পড়েছে।
হাত দিয়ে আলোটাকে আটকে দিয়ে আদ্রি আবার ঠিক হয়ে গেল।
কিছু সময় এমন লুকোচুরি খেলার পর।
অর্ন বুঝলো সন্ধ্যা হয়েছে।
তাই সে আদ্রিকে ডাকতে লাগলো,
–আদ্রি জান উঠো।
অর্নের মায়া ভরা কন্ঠ শুনে চোখ পিট পিট করে তাকালাম আমি।
নিজেকে ওর বুকের মাঝে আবিষ্কার করে বেশ কিছুটা লজ্জায় পরলাম আমি।
–তোমার লজ্জা মাখা মুখটা খুব বেশি কিউট তুমি জানো।
আমি চুপ করে অর্নের কথা শুনতে লাগলাম।
–খুব বেশি খারাপ কিন্তু লাগবে না একটা মেয়ের মা হলে।
অর্নের এ কথায় আমি ৪২০ ভোল্ট এর সক্ট খেয়ে বসলাম।
জলদি নিজেকে ছাড়িয়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালাম।
এদিকে আদ্রির এ অবস্থা দেখে অর্ন হাসতে হাসতে শেষ।
–মেয়েটাকে সত্যি খুব বেশি ভালোবাসি।
কিছু সময় পর আমি বার হয়ে আসলাম।
রাত হয়েছে।
অর্ন আমাকে দেখে এগিয়ে এলেন,
–আমি বাইরে যাবো ত তুমি থাকো আমার একটা কাজ পরেছে।
কথাটা বলেই উনি বেরিয়ে গেলেন।
–উনি চলে গেছে এটাই সময় আমাকে আমার কাজ করতে হবে।
কিন্তু এতো উচু বিল্ডিং ভয় করছে প্রচুর।
নাহ আদ্রি কিছু হবে না তোকে পালাতে হবে।
বাথরুমের উপরে অনেকটা উপরে একটা লম্বা কাচ দেওয়া ওটা ভাঙতে পারলে হয় ত ওখান দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবো।
তার পর ওর পাশে থাকা পাইব বেয়ে নিচে নামতে হবে।
খুব কষ্টে চেয়ার বেয়ে উঠে আর শ্যাম্পুর বোতল দিয়ে কাঁচ ভাঙতে সক্ষম হলাম।
হাত ত কাটলো অনেকটা৷
প্রচুর রক্ত যাচ্ছে।
তাও সম্পূর্ণ ভেঙে উঠতে চেষ্টা করলাম।
কিন্তু কোন মতো হচ্ছে না।
খুব কষ্টে উঠলাম এবং পরে যাবার আগেই পাইপ ধরে নিলাম।
এতো কষ্ট জীবনে করি নি
খুব প্লান করে এটা করছি আমি।
আজকে সারাটা দিন ভেবেছি কি করে কি করা যায়।
আল্লাহ যেন সফল হই।
নিচে নামলাম কোন মনে।
কিন্তু নিচে নেমে শরীর আর সায় দিচ্ছে না। পা থমকে আসছে।
হাত থেকে রক্ত পরতে আছে থামাথমি নাই।
নিজের ওড়নাটা দিয়ে হাতটা বাঁধলাম যাতে একটু রক্ত কমে।
দু মিনিট ওখানে দাঁড়িয়ে ছুটে চললাম অজানা পথে।
বুঝতে পারছি না এটা কই।
এর আগে অর্নের বাসায় আমি এসেছি আমি জানি আমার বাসায় আমি কি ভাবে যাবো কিন্তু আমার খুব কষ্টে হচ্ছে একটা পা দৌড়াতে।
খুব কষ্টে দু এক পা চলতে পারলেও দৌড় আসছে না।
কিন্তু এভাবে হলে ত অর্ন বাসায় চলে আসবে আর বুঝে যাবে আমি নাই,
,
,
অর্ন বাসায় এসে হাতে কিছু চকলেট নিয়ে সোজা রুমে এসে রুম ফাকা দেখতে পেল।
কিছুটা অবাক হলেও পরে বাধরুমের দরজা লাগানো দেখে মনে হলো তার আদ্রি বাথরুমে কিন্তু এ দিকে ৪৫ মিনিট হবার পর আদ্রির কোন খোঁজ না পেয়ে অর্ন দরজা ভেঙে দিল।
দরজা ভেঙে রক্তের দাগ এবং সব চিহ্ন দেখে অর্নের মাথায় জেন রাগ চেপে বসেছে।
–আদ্রি আজ তোমায় আমি ছাড়বো না কথাটা মিলিয়ে নিও।
কে কোথায় আছিস বের হ।
–বস একটা খবর।
–কিসের।
–ভাবি হয় ত বাসায় যাবে আর বাসায় গেলে আপনি তাকে আনতে পারবেন না কারন তার এসিপি চাচা এসেছে আর আপনি ত জানেন আপাতত একটা ঝামেলা চলছে আমাদের।
এখন আপনি ভাবিকে আনতে গেলে এসিপি যে ৪ বছর ধরে আপনাকে ধরার চেষ্টা করছে তার জন্য সফল হবে।
–না তা হবে না আদ্রি বাসায় যাবার আগেই ওকে ধরবো আমি আর এবার এক বার ওকে ধরতে পারি ওকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো তা কেউ জানতেও পারবে না।
–ওকে বস গাড়ি বার করছি।
–হুম।
,
,
এদিকে,
বেশ অনেকটা পথ এসে গেছি।
হাটলে মাত্র ৩০ মিনিট লাগে আমার বাসায় পৌঁছাতে সেই আমি ১ ঘন্টা হেঁটে বাসার সামনে আসলাম।
একটা বার ভেতরে গেলে চাচু আসছে অর্ন চাইলেও আমাকে নিয়ে যেতে পারবে না।
আল্লাহ৷
মাথার মধ্যে অন্ধকার হচ্ছে। সব কিছু ধোয়াসা না আদ্রি কলিং বেল চাপ।
আমি যখন কলিং বেল চাপলাম সেই মাত্র দরজা খুলে গেল কিন্তু,
–কি ব্যাপার কলিং বেল কে বাজালো কেউ ত নেই। (আদ্রির মা)
–মেইন ডোর কি দেওয়া আদ্রির আম্মু। (আদ্রির বাবা)
–হ্যাঁ।
–তবে হয় ত ভুল শুনেছো। এসো আমার আদ্রিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
–হুম।
,
–উম উম।
–আদ্রি শোনা এভাবে শব্দ করো না কেউ তোমার এই শব্দ শুনতে পাবে না।
জাস্ট চুপ।
আমার মুখটা চেপে অর্ন আমাকে বাড়ির বাইরে নিয়ে এলো,
এনেই আমার মাথার পিছনে বিকট ভাবে আঘাত করলো,
তখন চোখের সামনে সব কিছু অন্ধকার।
এটা বুঝি শেষ সময়।
,
চলবে,
(গল্পের এক দুই পর্ব পড়ে কিছু ধারনা করাটা অন্যায় রিকোয়েস্ট করব পুরোটা পড়ার। জদি কিছু মানুষ এর ভুল ধারনা আমি ভুল প্রমান করতে পরি।
ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here