বিনি_সুতার_মালা?
পর্ব_০৪
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
দিনের আলো চারিদিকে বিরাজ মান।
সূর্য তার আলো দিয়েছে।
আদ্রি ঘুম থেকে উঠছে মাত্র।
চোখ মেলে তাকাতে নিজেকে বিছনায় আবিষ্কার করে।
আমার সব কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে।
জদলি মাথার পেছনে হাত দিলাম।
কিন্তু কিছুই অনুভব হলো না।
না কোন ব্যাথা না হাত কাটা।
তার মানে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম।
সব কিছু ভেবে কেমন ঘেমে যাচ্ছি।
–জান তুমি ঘামছো কেন?
হাতে খাবার নিয়ে ঘরে ডুকে কথাটা বললো অর্ন।
ওকে দেখে আমার ভয় কিছুটা জেন কমলো
–কি হলো কোন স্বপ্ন দেখেছো।
পানি এগিয়ে দিয়ে,
পানি টুকু খেয়ে নিলাম।
–না আসলে গরম লাগছিল আচ্ছা কাল কি অনেক আগে ঘুমিয়ে গেছিলাম।
–হুম তুমি কাল সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়ে গেলে কাল সারা দিন ঘুমালে রাত ভরও আসলে ডক্টর ঔষধ দিছিলো সে দিন তাই।
–ওহ।
–ফ্রেশ হয়ে এসো খাবার খেতে হবে।
আমি বিছনা ছেড়ে উঠে বসলাম।
কি হচ্ছে আমার সাথে এতো খারাপ স্বপ্ন দেখলাম।
লোকটা এতোটা খারাপ নয়।
ফ্রেশ হয়ে খারাব খেয়ে নিলাম।
–আদ্রি।
–জি,
–চলো বাইরে ঘুরতে যাবো আজ।
–এখন।
–হুম এখন।
–এই নেও এই শাড়িটা পরে এসো
টকটকে লাল রঙা শাড়িটা হাতে নিলাম তার থেকে তার পর ওয়াশরুম গিয়ে পরে এলাম।
–বাহ বৌরে তোমায় তো খুব মানাচ্ছ এই রঙে
এসো এদিকে এসো।
কিছু চুড়ি আর ডিপ লিপস্টিক পড়লেই সুন্দর দেখাবে।
সত্যি তিনি নিজ হাতে আমাকে সাজিয়ে দিলেন।
কতোটা ভালোবাসে তাই না।
কিন্তু তার ভালোবাসা আমার মধ্যে কখনো কোন প্রভাব ফেলে না।
কেন এটা আমি নিজেও জানি না।
,
–চলো বের হই।
–হুম।
অর্নের সাথে বার হলাম।
অর্ন ড্রাইভ করছে।
বাইরের দৃশ্য গুলো সত্যি মন মুগ্ধকর।
অসাধারণ লাগছে।
কিছু সময় পথ চলার পর আমরা চলে এলাম একটা নদীর তীরে দাঁড় করালেন।
–নামো।
আমরা নেমে হেঁটে এলাম নদীর তীরে।
মিষ্টি বাতাস সাথে সুন্দর একটা পরিবেশ খুব সুন্দর একটা ফিল আসছে ভেতর থেকে,
–খেলা আকাশের তলে লাল শাড়ি খেলা চুল গুলো সাথে,
এ সে রমনি যাকে ভালোবাসি মনের গহিন কোন থেকে,
ওনার কথা শুনে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কথা বলছেন তিনি।
আমি মৃদু হাসলাম।
–মৃদু হাসিতেও কিন্তু বেশ লাগে তোমায়।
–আচ্ছা
তাহলে এই ভালোবাসাকে উরন্ত আকাশে ডানা ঝাপটানোর অধিকার কেন দেওয়া হয় না?
আমার প্রশ্নে অর্ন কিছুটা চুপ হয়ে গেল।
–সকালের দিক টায় এখানের সৌন্দর্য বেশ বৃদ্ধি পায় তাই না।
–হুম৷
উনি কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন,
–দুই মিনিট অপেক্ষা করো।
বলেই কোথায় হারিয়ে গেলেন।
আমি চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম ,
কিছু সময় পর অর্ন হাতে করে অনেক গুলা বেলুন নিয়ে এলেন।
–তোমার বেলুন খুব পছন্দ না।
–ধন্যবাদ।
আমি তার থেকে বেলুন গুলা নিলাম।
তার পর অনেকটা সময় কাটালাম এক সাথে এই প্রথম তার ব্যাবহার গুলো ভালো লাগছে আমার।
দুপুরে খেয়ে বিকালে আবার কিছু সময় ঘুরে রাতের খাবার খেয়ে বাসায় এলাম।
সারাটা দিন আজ খুবই ভালো ছিলো।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বসলাম।
তখনি হটাৎ,
চলবে,
(জানি এটা অনেক ছোট কিন্তু একটু ব্যাস্ত ছিলাম সারা দিন মাত্র এটুকু লিখলাম।
ইনশাআল্লাহ কাল বড়ো একটা পর্ব বা দুইটা পর্ব এক সাথে দিবো।
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন রিচেক দিতে পারি নি।)