বিবর্ণ_জলধর,পর্ব: ৪১

0
633

#বিবর্ণ_জলধর,পর্ব: ৪১
#লেখা: ইফরাত মিলি

লিভিং রুম থেকে তর্ক-বিতর্কের কিঞ্চিৎ আভাস নোয়ানা, তিন্নি বেডরুমে বসে শুনতে পাচ্ছে। নোয়ানা কর্ণ খাড়া করে রেখেছে। বিষয়ের সার্বস্তু ইতোমধ্যে ধরতে সক্ষম হয়েছে সে। মনের ভিতর শুধু একই প্রশ্নের ঘুরপাক হচ্ছে, ‘কী করে হলো এটা? কী করে?’

কবির সাহেব গতরাতে ইদ্রিস খানের সাথে বিষয়টা শেয়ার করেছেন। তারা চাইছেন আষাঢ়ের বিয়ে নোয়ানার সাথে দিতে। কবির সাহেব সবটা বুঝিয়ে বলেছেন, তাদের কোনো আপত্তি নেই। ইদ্রিস খানও সবটা ভেবে দেখেছেন। যদি কবির সাহেবেরা সবটা মেনে নিতে পারে, তাহলে তারা কেন নয়? শুধু একটা মাত্র সমস্যা, সেটা হলো নাঈমের সাথে নোয়ানার এনগেজড হয়ে গেছে। বিয়ের কথা পাকাপাকি। এখন সেখানে ‘না’ করে দিলে ব্যাপারটা মোটেই ভালো দেখায় না। কিন্তু কবির সাহেব এমন করে বলেছেন যে তার কথার উপরও না করে দিতে পারছেন না। এছাড়া তিনি নিজেও ভেবে দেখেছেন, নাঈমের সাথে বিয়েতে না করে দেওয়া যদি ভালো না হয়, তবে কি নাঈমের সাথে নোয়ানার বিয়ে দেওয়াটা খুব ভালো হবে? কবির সাহেব এমন করে বলার পরও যদি তাকে না করে দেওয়া হয় তাহলে সম্পর্কটা ক্রোধপূর্ণও হয়ে উঠতে পারে। আর কবির সাহেবের পরিবারে বিয়ে দিলে ভালোই হয়। ইদ্রিস খান কবির সাহেবের সাথে একমত পোষণ করেছে প্রায়, কিন্তু মধ্য দিয়ে বাধ সেধেছেন হাফিজা। তিনি তার বোনের পরিবারের অসম্মান কিছুতেই সহ্য করবেন না। তাকে কোনো কিছু বলেই বোঝানো যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ তর্ক-বিতর্ক চলার পর তিনি শান্ত হলেন। কিন্তু মনে মনে আষাঢ়ের সাথে নোয়ানার বিয়ের ব্যাপারটা কিছুতেই মানলেন না। তর্ক-বিতর্ক থামলে মিহিক বোনদের রুমে এলো। নোয়ানার বুক দ্রিমদ্রিম করছিল ভয়ে। বোনকে দেখে তার মাত্রা আরও বাড়লো। মিহিক নোয়ানার পাশে বসলো। কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল নোয়ানার দিকে। নোয়ানার মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ। মিহিক শুধালো,
“আষাঢ়কে বিয়ে করতে আপত্তি আছে তোর?”

নোয়ানা চমকে গিয়ে বললো,
“কী বলছো?”

“সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাঈমের সাথে তোর বিয়ে ক্যানসেল করে আষাঢ়ের সাথে সেটআপ করবে।”

নোয়ানা বিহ্বল চোখে তাকিয়ে রইল। একদফা বিস্মিত সে তখনই হয়েছিল যখন বুঝতে পেরেছিল আষাঢ়ের ফ্যামিলি মেনে নিয়েছে। এখন আরেক দফা বিস্মিত হলো যখন ‘সবাই’ শব্দটা শুনলো। নোয়ানাকে এমন করে তাকিয়ে থাকতে দেখে মিহিক বললো,
“বিশ্বাস হচ্ছে না?”

নোয়ানার মাথা আপনা থেকেই না-সূচক নড়ে উঠলো। মিহিক হেসে বললো,
“বিশ্বাস করানোর জন্য কি আষাঢ়কে পাঠিয়ে দেবো?”

নোয়ানা বিশ্বাস করতে পারছে না, একদমই পারছে না। এটা স্বপ্ন তো নয়, তাই না? সবাই কী করে এটা চাইতে পারে? নোয়ানা কিছু না বলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে রইল।
কিছুক্ষণ বাদে মিহিক হঠাৎ প্রশ্ন করলো,
“আষাঢ়কে পছন্দ করিস কবে থেকে?”

নোয়ানা হকচকিয়ে গেল। উত্তরটা দিতে না চেয়েও আবার দিলো,
“ওনাকে পছন্দ করি না আমি।”

“আষাঢ় খুব একটা ভুল বলেনি, তুই আসলেই বোকা।”

নোয়ানা দৃষ্টি নত করে ফেললো। এই মুহূর্তে সে দিগভ্রান্ত। কী করবে? খুশি হবে? না কি…
না কি’র পরে আর কিছু ভাবতে পারলো না। হৃদয়ে প্রলয়ঙ্করী ঝড় হচ্ছে। নোয়ানার কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা দেখে মিহিক তিন্নিকে নিয়ে চলে গেল। একা থেকে কিছুটা সময় নিরিবিলি ভাবুক। ওরা চলে যাওয়ার পাঁচ ছয় মিনিটের মাথায় আষাঢ়ের কল এলো। নোয়ানা নাম দেখার আগেই ভেবেছিল এটা আষাঢ় হবে। সেদিন রাতে যে আষাঢ় কল দিয়েছিল, এরপর আর দেয়নি। এই প্রথম। নোয়ানার হৃদয় তখনও থরথর করে কাঁপছে। কল রিসিভ করে কানে লাগালো।

“তোমাদের বাড়ির বাকবিতন্ডা থামলো তাহলে!”

নোয়ানার কণ্ঠ দিয়ে আওয়াজ বের হতে চাইছে না, কষ্টসাধ্য হলেও বললো,
“আপনি কী করে জানলেন?”

“ছিলাম তোমাদের বাড়ির আশেপাশেই।”

নোয়ানার আর কিছু বলার রইল না। বলার মতো কিছু নেই তার মস্তিষ্ক ভাণ্ডারে। খানিকক্ষণ পর আষাঢ় বললো,
“ব্যালকনিতে এসো।”

“কেন?”

“দেখবো তোমায়।”

“কীভাবে দেখবেন?”

“তুমি ব্যালকনিতে থাকলে তোমাকে কীভাবে দেখি তা এখনও ধরতে পারোনি? আমি তো জানতাম তুমি খুব বুদ্ধিমতী।”

নোয়ানা কিছু বললো না। তবে একটু রাগ অনুভব হলো তার।

আষাঢ় বললো,
“তুমি সব কিছুকে যতটা জটিল ভাবো, আসলে কিন্তু সবকিছু এত জটিল নয়। তোমার অভিনয় কি বন্ধ করা উচিত নয় এখন?”

“আমি তো অভিনয় করছি না আপনার সাথে।”

“করোও না আর কখনও।”

“এটা কীভাবে হলো?”

“কোনটা?”

“সবাই মেনে নিলো কীভাবে?”

“সেটা তো আমার জানার কথা নয়। যা বলার ওই একদিনই বলেছিলাম, তারপর সব এমনি এমনিই ঘটেছে। কী বললাম? তুমি সবকিছুকে যতটা জটিল ভাবো, সবকিছু অতটা জটিল নয় আসলে। তুমিও জটিল আচরণ করো না আর। সরল থাকো আমার সাথে। দুজন একসাথে সহজ-সরল জীবন গড়ি।”

“আপনার তো সিনথিয়ার সাথে বিয়ের আলাপ হয়েছিল, সে ব্যাপারটার কী হলো? আপনার মা-বাবা সিনথিয়ার মতো মেয়েকে রেখে আমাকে মেনে নিলো? সত্যিই মেনে নিলো?”

“নিজেকে এত তুচ্ছ মনে করো কেন তুমি? তুমি আমার আম্মু-আব্বুকে চেনো না। তারা ওরকম মানসিকতার মানুষ নয়। আর সিনথিয়ার ব্যাপারটা যেরকম হওয়ার কথা ছিল সেরকমই হচ্ছে। সে সবার আগে আগেই মেনে নিয়েছে সবটা। কদিন পরেই ইন্ডিয়া চলে যাবে। তবে মিথ্যা বলবো না, সিনথিয়ার জন্য খারাপ লাগছে আমার। তুমি আবার এটা শুনে হিংসা করো না ওকে।”

“আমার ভিতর হিংসা নেই। আমি আপনার মতো হিংসুটে নই।”

ওপাশে অট্টহাসির শব্দ শোনা গেল। হাসি থামিয়ে বললো,
“হুম, আমি হিংসুটে, তোমার মতো উদার মনের হতেও চাই না কখনও। তোমার মতো উদার মনের হলে সব কিছু হারাতে হবে। তোমার তো কৃতজ্ঞ থাকা উচিত আমার প্রতি, আমি তোমার হারাতে নেওয়া সব কিছু আবার সহি সালামতে ফিরিয়ে এনেছি।”

অন্য সময় হলে আষাঢ়ের কথায় বিরক্ত-রাগ লাগতো নোয়ানার, কিন্তু আজ লাগলো না। বরং তার মুখে নীরবে মুচকি হাসির রেখাপাত ঘটলো। সত্যি তার মনে হচ্ছে এটা একটা স্বপ্ন। এটা কি আসলে বাস্তব? কীভাবে? বার বার সমস্তটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। মন এখনও বলছে এটা হতে পারে না।

“তুমি কি এখনও নাঈমের দেওয়া আংটি পরে আছো?”

নোয়ানা আঙুলের দিকে তাকালো। হ্যাঁ, সে পরে আছে।

“কী বলেছিলাম? ওর দেওয়া আংটি হাতে পরলে আঙুল কেটে দেবো তোমার। এতদিন কাটিনি, কিন্তু আজ সত্যি সত্যি কেটে দেবো। আজকের ভিতরই ওই আংটি খুলে ফেলো, কারণ এরপর থেকে আমার দেওয়া আংটি পরে থাকতে হবে তোমার। যে আংটি খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলে, সেই আংটি।”

“ফোন রাখছি আমি।”

“ওয়াও! নাঈমের জন্য এত দরদ?”

“এখানে তার প্রতি দরদের কী হলো?”

“কল কাটছি।”

“নিষেধ করেছে কে?”

“তোমার মন। মিথ্যা বলবে না, তোমার মন কি চাইছে না আরও কিছুক্ষণ আমার সাথে কথা বলতে?”

নোয়ানা উত্তর না দিয়ে কল কেটে দিলো। একহাত দিয়ে কপাল চেপে ধরলো। জ্বর জ্বর ঠেকছে তার। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না এসব। এতদিন পর আবার তার অন্তঃকরণ স্বাভাবিক। এতদিন কীসের ভিতর দিয়ে দিন যাপন করছিল সেটা শুধু নিজে জানে। নোয়ানার মানসপটে পনেরো বছরের সেই হাস্যজ্জ্বল কিশোরের মুখ ভেসে উঠলো। অস্ফুটে উচ্চারণ করলো,
“হিমেল!”

_________________

নাঈমের পরিবারে ঘটনাটা জানানো হলে তারা প্রথমে বেশ ক্ষেপে গিয়েছিল, অনেক রাগারাগি গেল ইদ্রিস খানের সাথে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। যখন এটা ঘটবে তখন এটা থামানোর সাধ্য কি তাদের আছে? হাফিজা এখনও রাগে ফুলে আছে। যেখানে নাঈমের বউ হওয়ার কথা ছিল নোয়ানার, সেখানে হবে কি না আষাঢ়ের বউ! তার বোন পছন্দ করে নোয়ানাকে ঘরের বউ করে নিতে চাইলো, আর নোয়ানা এখন যাবে আষাঢ়দের ঘরে! তার বোনদের এরকম অপমান সহ্যতুল্য নয় তার কাছে। তবুও মুখ বুজে সব সহ্য করছে। আসলে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে। স্বামী অথবা মেয়ে কেউই তো তার পক্ষে নেই। একা একা কতক্ষণ প্রতিবাদ করা যায়? আর একার প্রতিবাদ কতটাই বা কার্যকর?

গতকাল নাঈম নোয়ানার কাছে কল দিয়েছিল। কলটা রিসিভ করতে নোয়ানার নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। নাঈম কী বলবে এই ভয়ে অন্তর আঁধারে তলিয়েছিল। নাঈম প্রথমেই বলেছিল,
“অন্য কাউকে পছন্দ করো এটা আগে কেন বলোনি নোয়ানা? এমনটা করে কতটা আঘাত করেছো আমায় জানো? যাকে আংটি পর্যন্ত পরিয়েছিলাম সে এখন আমার স্ত্রী না হয়ে অন্য কারো স্ত্রী হবে, এটা কতটা অপমান এবং লজ্জাজনক ব্যাপার সেটা কি জানো তুমি? তোমাকে পছন্দ করতাম বলেই তো বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন তুমি সেই পছন্দটাকে উবে দিয়ে ঘৃণার জন্ম দিচ্ছ মনে।”

নাঈমের কথা শুনে কেঁদে ফেলেছিল নোয়ানা। নাঈম একাই বলেছিল যত কথা, সে কিছু বলেনি। নীরবে শুধু নয়ন জলে ভেসেছিল। সব কিছু ঠিক রাখতে যা করেছিল, তা সব কিছু এখন বেঠিক মনে হচ্ছে। তবে এখন শান্ত নীরব সব। ঝামেলা শেষে পরিবেশ যেন তার স্বস্তিভাব ফিরে পেয়েছে খানিকটা।

ওদিকে সিনথিয়ার ইন্ডিয়া যাওয়ার ফ্লাইট পড়েছে আগামীকাল। চলে যাবে ভাবতে তার মনটা দুঃখী। তার থেকেও মন বেশি দুঃখী হচ্ছে আষাঢ়ের বিয়ে নোয়ানার সাথে হবে ভেবে। যদি নোয়ানা না থাকতো তাহলে আষাঢ়ের বিয়ে কি তার সাথে হতো না? হুম, তার সাথেই তো হতো। এটা ভেবে বার বার দীর্ঘশ্বাস ফেলছে সে।

এদিকে শ্রাবণ একটা বিষয় খেয়াল করেছে। চারিদিকের ঝামেলার প্রকোপে মিহিক তাকে একেবারে অগ্রাহ্য করে ফেলে রাখছে। কথা বলে না তার সাথে। নিজে কিছু একটা বললে তার উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এরকম অবহেলা শ্রাবণের একদম ভালো লাগছে না। আজ সে এটা নিয়ে কথা বলবে মিহিকের সাথে। যত্রতত্রই সে নেমে এলো নিচ তলায়। মিহিক কিচেনে। আর কেউ নেই। এটাকে দারুণ সুযোগ বলেই মনে হলো। মিহিক মিল্কসহ আরও কীসব উপাদান যেন বেলেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিচ্ছে। শ্রাবণ মিহিকের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
“আপনি কি আমাকে ভুলে গিয়েছেন মিহিক?”

মিহিক একবার চোখ তুলে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো,
“আপনাকে কেন ভুলে যাব আমি?”

“আমার তো মনে হচ্ছে আমি আপনার মনে নেই কিছুদিন ধরে। একবারের জন্য আমাকে মনে পড়েনি আপনার।”

“যে মানুষটাকে চোখের সামনেই দেখতে পাই সে মানুষটাকে আলাদা করে মনে করার কী আছে?”

“নেই কিছু?”

“আমি কিছু খুঁজে পাচ্ছি না, আপনি যদি কিছু খুঁজে পান তবে বলুন।”

মিহিক ব্লেন্ডার বন্ধ করে দিলো। সব মনোনিবেশ শ্রাবণের উপর দিয়ে দাঁড়ালো।
শ্রাবণ কেমন ইতস্তত বোধ করছে। মিহিকের দিকে তাকাচ্ছে না পর্যন্ত। ক্ষণকাল নীরব রইল সে। মিহিকও কিছু বললো না। শ্রাবণ এক সময় লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বললো,
“চোখ বন্ধ করুন।”
কথাটা মিহিকের দিকে না তাকিয়েই বললো।

মিহিক চমকালো শ্রাবণের কথায়,
“কেন? চোখ বন্ধ করবো কেন আমি?”

“একটু সময়ের জন্য শুধু।”

“আপনাকে ভয় হচ্ছে আমার। কী করতে চাইছেন আপনি?”

শ্রাবণ এবার বিরক্ত হয়ে মিহিকের মুখে দৃষ্টিপাত করে কঠিন সুরে বললো,
“চোখ বন্ধ করবেন না?”

“আপনাকে বুঝতে পারছি না আমি।” বলে মিহিকও বিরক্তি দেখিয়ে চোখ বন্ধ করলো।

শ্রাবণ মুচকি হেসে মিহিকের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
“আপনার স্বামী আপনাকে ভালোবাসে মিহিক!”

মিহিক সঙ্গে সঙ্গে চোখ খুললো। তাকালো শ্রাবণের দিকে। শ্রাবণ বললো,
“এই কথাটার জন্য হলেও দিনে অন্তত একবার মনে করবেন আমায়।”
বলে একটু থামলো। তারপর কেমন একটা ভাব নিয়ে মিহিকের চোখে চেয়ে বললো,
“বাই দ্য ওয়ে, আপনি কী আশা করেছিলেন? কী করতাম আমি? ঠিক কী ভেবেছিলেন?”

শ্রাবণের কথায় লজ্জার পাশাপাশি থতমত খেয়ে গেল মিহিক।
“ক্ক…কী আশা করেছিলাম? কিছুই আশা করিনি আমি।” মিহিক কথাটা বলতে তোতলালো একটু। তার দৃষ্টি শ্রাবণের চোখ থেকে সরে এসে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

“কিছু আশা করছিলেন না?”

“না।”

“ঠিক আছে, যাচ্ছি তাহলে।”

শ্রাবণ দরজার দিকে পা বাড়িয়ে দিলো, গেলও কয়েক পা। সহসা আবার পিছন ফিরে এসে হুট করে চুমু খেলো মিহিকের গালে।
ঘটনার আকস্মিকতায় মিহিক বরফের ন্যায় জমে গেল। শ্রাবণ হেসে বললো,
“এটাই আশা করেছিলেন আপনি। ভুল বললাম কি?”

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here