#বৃষ্টিময়_প্রেম
#পর্বঃ৫৫
#লেখনীতে-তাসফিয়া হাসান তুরফা
আজকের দিনটা শুরু হলো ফুরফুরে মেজাজে! ফজরের নামাজ আদায় করে আত্মিক প্রশান্তিতে তৃপ্ত হলো অন্তর! মন ভালো তো সব ভালো – কথাটার মর্ম যেন হারে হারে উপলব্ধি করলাম আজ! এই যেমন আজকের আবহাওয়াটা গুমোট, প্রকৃতি কেমন যেন শান্ত নিশ্চুপ হয়ে আছে, ঝড় শুরু হওয়ার পূর্বে যেমন হয় ঠিক তেমন। অথচ এই গুরুগম্ভীর পরিবেশকেও আজ আমার বেশ ভালো লাগছে, ঠিক যেমন ভালো লাগে আমার পূর্ণকে! লাজুক হেসে ভাবলাম!
উনার কথা মনে হতেই খুশিতে ছেয়ে গেলো হৃদয়। ফোন হাতে নিয়ে দেখি আজ শুক্রবার। সকাল সোয়া ৮টা বাজে। শুক্রবার দেখে মনে মনে খুশি হলাম! বাহ তাহলে আজ জুম্মার দিন। ছুটির দিন! পূর্ণ তার মানে পুরোটা দিন বাসায়ই থাকবেন! আর আমি কিনা এখানে একা থাকবো। রাইসার আসতেও দেরি আছে, সামনের শুক্রবার ওদের অনুষ্ঠান, তার তিন/চার দিন আগে আসবে হয়তো। ততদিন আমি একা একা কি করবো ভাবতে ভাবতেই নিচে চলে গেলাম।
দাদি যথারীতি পেপার পড়ছেন সোফায় বসে, পাশেই আন্টি কাপড় ভাজ করছেন। আমি এগিয়ে গিয়ে কাপড় হাতে নিয়ে ভাজ করতে করতে বললাম,
—আচ্ছা আন্টি, আকাশের এই অবস্থা কেন বলো তো? এই অসময়ে আবার বৃষ্টি হবেনা তো?
—কি যে? বলতে পাচ্ছিনা তো। আমিও সকাল থেকে তাই ভাবছিলাম। কাল পর্যন্ত তো ঠিক ছিলো।
—সারাদিন এই কাজ সেই কাজ নিয়ে পড়ে থাকলে দিন-দুনিয়ার খোজখবর কেমনে পাবা তোমরা? জীবনে পেপার পড়ছো?
হঠাৎই দাম্ভিকতার সাথে আমাদের দুজনের উদ্দেশ্যে বললেন দাদি। তার কথায় ভ্রুজোড়া কিঞ্চিত কুচকে আন্টি জিজ্ঞেস করলেন,
—কি হয়েছে, মা? পেপারে কি বলেছে?
—আরে নিম্নচাপ হচ্ছে কয়দিন ধরে, কালকেই পেপারে পড়ছি। তাই তোমাদের মতো অত চিন্তা করতেছিনা আমি। এক-দুই দিন এইরকমই থাকবো। যখন-তখন বৃষ্টি হইতে পারে। তারপর ঠিক হয়ে যাইবো। তোমরা তো আবার খবরও দেখোনা, পেপারও পড়োনা। এগুলা জানবা কেমনে? আমার থেকে কিছু শেখো।
বেশ ভাবের সাথে বললেন দাদি। তার কথায় আমি ও আন্টি শুধু হতাশ দৃষ্টিতে দুজনের দিকে তাকালাম মাত্র। কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের স্বভাবের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হবার নয় কখনো, দাদি তাদের মধ্যে অন্যতম!
সকালের নাস্তা করে সবাই বসে ছিলাম, তখনি আন্টি বাসার সবার কথা জিজ্ঞেস করলেন। তাকে বড়াম্মুর কথা বলতেই মনে হলো এই সুবাদে তো যাওয়া যাবে বাসায়। যদিও বড়াম্মু এখন ঠিক আছেন তবুও তার ভাতিজি হিসেবে এবং পুত্রবধু হিসেবে তাকে দেখতে যাওয়া আমার কর্তব্য! যে ভাবা সেই কাজ! দ্রুত আন্টিকে বললাম,
—আচ্ছা আন্টি, ভাবছিলাম আমি বাসায় যাই আজকে। বড়াম্মুকে দেখে আসি। কি বলো?
— হ্যাঁ মা অবশ্যই যা। তোর যাওয়াটাই উচিত হবে। আর বাসায় পৌঁছে বেয়াইনের সাথে কথা বলিয়ে দিস আমার। আমারও খোজ নেওয়া উচিত!
আন্টির কথায় মৃদু হেসে মাথা নাড়লাম। তখনি আংকেল বলে উঠলেন,
—তুরফা, আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো ঠেকছেনা। তুই যদি যেতে চাস এখনি যা। সকাল সকাল পৌঁছে যাবি। নয়তো দেখা যাচ্ছে কখন যে বৃষ্টি শুরু হবে!
আংকেলের কথায় যুক্তি আছে। মাথা নেড়ে দ্রুত রেডি হতে চলে গেলাম উপরে। কিছুক্ষণ পর নিচে নামতেই রায়হান ভাই বললেন,
—এই সকালে এমন আবহাওয়ায় হয়তো রিকশা/সিএনজি পাবেনা। আমি উবার ডেকে দিচ্ছি।
আমি মাথা নাড়তেই উনি উবার ঠিক করলেন। কিছুক্ষণ পর গাড়িতে চেপে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে!
দশ মিনিট হলো গাড়ি ছুটছে। শুক্রবার হওয়ায় সকালবেলা রাস্তাঘাট ফাকা। এতক্ষণে প্রায় ১০টা বেজে গেছে! এই সকালে ছুটির দিনে পূর্ণ মনে হয়না উঠেছেন! ঘুম থেকে উঠেই আমাকে দেখে সারপ্রাইজড হয়ে যাবেন নিশ্চয়ই! মনে মনে ভাবছি আর উনার এক্সপ্রেশন কেমন হবে চিন্তা করে হাসছি! হঠাৎই গাড়িতে জোরে ব্রেক পড়ায় সামনের দিকে ঝুকে পড়লাম। ফাকা রাস্তায় কে এভাবে গাড়ি চালাচ্ছে মাথায় এলোনা! কোনমতে টাল সামলিয়ে সোজা হয়ে বসতেই ড্রাইভার ততক্ষণে রেগে গাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন। সামনের গাড়িতে থাকা লোকটার সাথে ঝগড়া করতে যাবেন দেখে নিজেও গাড়ি থেকে বের হলাম আমি। এ মুহুর্তে ঝগড়া করে সময় নস্ট করার ইচ্ছে নেই, লোকটাকে আটকাতে হবে, তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছাতে হবে!
গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ। সামনের গাড়িতে বসে আছেন পূর্ণ! ড্রাইভার যে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে একমনে উনাকে কথাবার্তা বলছেন উনি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে একঘোরে স্টিয়ারিং এর দিক তাকিয়ে আছেন। উনাকে দেখে দৌড়ে গাড়ির কাছে চলে গেলাম। গাড়ির সামনে গিয়ে গ্লাসে টোকা দিয়ে তাকে ডাকতেই উনি আমার আওয়াজে চোখ তুললেন এবং আমাকে দেখামাত্রই কেমন যেন অস্থির হয়ে গেলেন। দ্রুতকদমে বের হয়ে এলেন গাড়ি থেকে!
—আপনি এখানে কি করছেন? এত জোরেই বা ড্রাইভ করছিলেন কেন?
আমাকে প্রশ্ন করতে দেখে ড্রাইভারটা জিজ্ঞেস করলো আমি উনাকে চিনি কি না? আমি মাথা নেড়ে বিষয়টা এখানেই শেষ করতে বললাম তাকে! অতঃপর এটুক রাস্তা আসার ভাড়া দিয়ে গাড়ি ছেড়েও দিলাম। এতকিছু হয়ে গেলো অথচ পূর্ণ এখনো নির্বিকারভাবে চেয়ে আছেন আমার দিকে!
ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে যেতেই আমি পূর্ণর কাছে এগিয়ে গেলাম। উনাকে ভালোভাবে লক্ষ্য করতেই নজরে এলো উসকোখুসকো চুলের এলোমেলো পরিধান। চোখেও হালকা লালচে ভাব স্পষ্ট! উজ্জ্বল সুন্দর মুখশ্রী নিকষ কালো আধারে ছায়া, ঠিক এখনকার আকাশটার মতো! কি হয়েছে উনার? কথা বলছেন না কেন? মনের মধ্যে জাগলো ভয়। জবাব না পেয়ে উনার বাহু ধরে ঝাকাতেই যেন স্তম্ভিত ফিরে পেলেন পূর্ণ! বিদ্যুৎ বেগে এগিয়ে এসে ঘুচে দিলেন আমাদের মধ্যকার দূরত্ব, আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলেন আমায়। তার শরীরের কম্পনটা স্পষ্ট টের পাচ্ছি আমি! হৃদপিন্ড যেন বেরিয়ে আসবে এতদ্রুত স্পন্দন হচ্ছে! জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন আর নিজেকে থামাচ্ছেন যেন! বুঝে এলো তিনি প্রচন্ড ভয় পেয়েছেন, তাকে সামলাতে হবে। আলতো হাতে তার পিঠে হাত বুলিয়ে নরম গলায় জিজ্ঞেস করলাম,
—কি হয়েছে বলুন না? আপনাকে দেখে কিন্তু আমারও ভয় লাগছে। প্লিজ শান্ত হোন। সব খুলে বলুন।
তবুও উনি ছাড়লেন না আমায়। প্রবলভাবে জড়িয়েই রেখেছেন। আমিও স্থির হওয়ার জন্য সময় দিলাম তাকে! মিনিটখানেক পর যেন কিছুটা শান্ত হলেন পূর্ণ, অস্থিরভাব হালকা কমেছে। আমাকে ছেড়ে ধীর গতিতে মুখোমুখি দাড়ালেন। দু’হাতে আমার গাল ধরে দূর্বল কণ্ঠে বললেন,
—খারাপ স্বপ্ন দেখেছি, তুরফা। প্রচন্ড বাজে স্বপ্ন দেখেছি। তুমি ঠিক আছো না? তোমার কিছু হয়নি তো?
বলেই পুনরায় আমাকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আপাদমস্তক পরখ করতে লাগলেন উনি। এতক্ষণে সবকিছু বুঝে এলো আমার! উনি দুঃস্বপ্ন দেখেছেন তাও আমাকে নিয়ে! তার মনে হয়েছে আমার কিছু হয়েছে এজন্যই এভাবে চলে আসছিলেন?
—ওটা তো নিছক একটা স্বপ্ন মাত্র! আপনি কেন এতো ঘাবড়ে গেলেন বলুন তো? নিজেই তো আমাকে সবসময় বলেন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে আবার এখন নিজেই একটা স্বপ্ন দেখে এত ভয় পেয়ে গেলেন?
—তুমি তো জানোনা স্বপ্নটা দেখে আমার ভেতরে কি হচ্ছিলো এজন্য এসব বলছো! যে স্বপ্নে তোমার ক্ষতি হয় এমন স্বপ্ন আমি চাইনা! তুমি যদি বুঝতে তোমাকে ছাড়া থাকতে আমার কি অবস্থা হয় তবে আমাকে ছেড়ে এখানে থাকার কথা তোমার চিন্তাতেও আসতো নাহ!
খানিকটা তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন পূর্ণ। উনার কথায় উদাসীন মুখে বললাম,
—আপনিই তো একা থাকতে চেয়েছিলেন কয়দিন এজন্যই তো আমি আপনাকে স্পেস দিচ্ছিলাম। আপনার রাগ কমার অপেক্ষা করছিলাম!
—যে রাগ তোমাকে আমার থেকে দূরে রাখে সে রাগকে আমি বেশিক্ষণ নিজের মাঝে পুষে রাখবোনা। এটা কি বুঝোনা তুমি? সব কি বলে বলে বুঝাতে হবে এখন তোমায়?
—আ’ম সরি। আমি আর এমন কিছু করবোনা যেটাতে আপনার রাগ হয়। তবে একটা কথা হচ্ছে আপনি কিন্তু এখনো আমার উপর রাগ দেখাচ্ছেন। ধমক দিয়ে কথা বলছেন! এটা কি ঠিক?
মুখ ফুলিয়ে বললাম। আমার কথায় পূর্ণ ইষৎ হেসে গাল টেনে দিয়ে বললেন,
—আ’ম সরি টু, তুর পাখি। নিজের অভিমানে কি খুব বেশি কস্ট দিয়ে ফেলেছি তোমাকে?
—আমি কস্ট পেলেও বা কি? আমি আপনার কে?
অভিমানি কণ্ঠে বললাম। আমার কণ্ঠে পূর্ণ গভীর দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে। এক পলক আমায় পুরোটা দেখে প্রগাঢ় কণ্ঠে বললেন,
—তুমি আমার কে এটা যদি তুমি বুঝতে তবে এ কথাটা বলার সাহসও পেতে না কোনোদিন! খুব রাগ করেছো আমার উপর?
—করেছিলাম কিন্তু এখন আর নেই। আপনার সাথে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারিনা আমি।
মুচকি হেসে তার বুকে মাথা লুকিয়ে বললাম। এমন কথা শুনে কি আর রাগ করে থাকা যায়? প্রত্যুত্তরে পূর্ণ নিজের সাথে আরও শক্ত করে চেপে ধরে কাতর কন্ঠে বললেন,
—যখন সেই বাজে স্বপ্নটা দেখলাম, তোমাকে আমার থেকে দূরে যেতে দেখলাম তখন আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। ঘুম থেকে উঠেই কেন যেন মনে হচ্ছিলো তোমাকে না দেখলে আমি পাগল হয়ে যাবো! বিশ্বাস করো আর না-ই করো কোনোমতে বাসা থেকে বের হয়ে এটুক রাস্তা যে আমি কিভাবে এসেছি তা আমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানেনা!
—আমি আপনাকে অবিশ্বাস করিনা! তাছাড়াও আপনাকে দেখেই তো বুঝা যাচ্ছিলো! আমার নিজেরও ভালো লাগছিলোনা তাই তো আপনাকে সারপ্রাইজ দিতে বাসায় যাচ্ছিলাম কিন্তু মাঝরাস্তায় নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেলাম। এখন চলুন তাড়াতাড়ি, বৃষ্টি নামবে যেকোন মুহুর্তে। অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজলে নির্ঘাত ঠান্ডা লাগবে দুজনের। সামনে বিয়ে, এ রিস্ক নেওয়া যাবেনা!
কথাগুলো বলেই উনার হাত ধরে হাটা আরম্ভ করলাম। এরই মাঝে টিপ টিপ করে পানির ফোটা পড়তে শুরু করলো। বৃষ্টি আরম্ভ হতে দেখেই আরও দ্রুতকদমে গাড়ির কাছে যেতেই পূর্ণ হঠাৎই থেমে গেলেন, যার হাত ধরে থাকার দরুন থেমে যেতে হলো আমাকেও! উনি নড়ছেন না দেখে পেছনে ফিরতেই নজরে এলো পূর্ণ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন আমার দিকে। বৃষ্টির পানিগুলো নির্দ্বিধায় ছুয়ে দিচ্ছে তাকে।
—কি হলো থামলেন কেন? আসুন!
বলেই পুনরায় হাটা ধরলাম আমি। কিছুক্ষণ পর উনার কথায় নিজ হতেই পা-জোড়া জমে গেলো আমার!
—ভালোবাসি।
সহজ-সরল স্বীকারক্তি! বিস্ময়ের সহিত পেছন ফিরতেই চোখে পড়লো উনার মুখের মনোমুগ্ধকর হাসি! অসময়ের বৃষ্টির মাঝে সেই হাসি হৃদয়ে বিধলো আমার! একটু উনি আবারও বললেন,
—ভালোবাসি, তুর পাখি। খুব ভালোবাসি! নিজের সর্বস্ব দিয়ে শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। তুমি কি আমায় ভালোবাসবে?
এতটা নির্মল ভাবে প্রস্তাব দিলে কি প্রত্যাখ্যান করা যায়? অবশেষে উনার মুখ থেকে প্রত্যাশিত সেই শব্দটা শুনে নিজেকে সামলানো দুষ্কর হয়ে গেলো আমার! নির্দ্বিধায় সাড়া দিলো অবাধ্য মন!
—আপনাকে ভালো না বেসে থাকা যায়? অন্তত আমার দ্বারা তো সম্ভব নাহ! আমিও যে আপনাকে খুব ভালোবাসি।
আমার বলতে দেরি হলেও উনার এগিয়ে আসতে দেরি হলোনা। বৃষ্টির মাঝেই ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে ধরে প্রকাশ করলেন নিজের তৃপ্ত মনের উচ্ছ্বাস! ঘোর লাগা কণ্ঠে বলতে থাকলেন,
—তোমাকে ছাড়া আর এক মুহুর্তও থাকা সম্ভব না আমার দ্বারা, তুর পাখি। তোমাকে ও বাসায় থাকতে দিবোনা আমি, আমার কাছেই রাখবো সবসময়! তুমি আমার সাথেই থাকবে, বলো?
আবেশে চোখ বুঝে শুধু মাথা নাড়িয়ে নিজ মনের স্বীকারোক্তি জানিয়ে দিলাম তাকে! প্রত্যুত্তরে তার ভালোবাসার পরশ অনুভব করলাম কপালে!
এ মুহুর্তে আর কিছুই বলতে ইচ্ছে করছেনা। অনুভুতিগুলো সুখের আবেশে দলা পেকে গেছে যেন মনের ভেতর! মুখটাকে নীরব রাখাই শ্রেয় মনে করলাম। অসময়ের বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে দুজনেই শুধু অনুভব করলাম ভালোবাসার পরিশুদ্ধতা, আমাদের বৃষ্টিময় প্রেমের পরিপূর্ণতা!
#চলবে
Assalamualsikum sister, onek shundor hoyese story. Next part kokon deben.