বৃষ্টি তোমাকে দিলাম❤️,পর্ব-৭
ফাবিহা নওশীন
হটাৎ বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত আর পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। ইশারা গাড়ি থেকে নেমে পা টিপে টিপে কাঁদার মধ্যে দিয়ে হাঁটছে। ফারান অনেকবার সাহায্য করতে চেয়েছে কিন্তু ইশারা বলেছে নিজেই পারবে।
এখন আর বৃষ্টি নেই আর না আছে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। চারদিকে ঝলমলে রোদ। যেন কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও হয়নি। হটাৎ বৃষ্টি আবার হটাৎ করেই চলে গেছে। মাঝে কিছুটা সময় ভিজিয়ে দিয়ে গেছে। ইশারা গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পেছনের দিকে তাকাল। ফারান দু’হাত ভাজ করে মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ইশারা একটু ইতস্তত করে বলল,
“আসলে অহনা বাসায় নেই। নয়তো আপনাকে চা খেতে ডাকতাম।”
“কোনো ব্যাপার না৷ আরেকদিন আসব। একদম লজ্জিত হবে না। বাসায় গিয়ে রেস্ট নেও।”
ইশারা মৃদু হেসে বলল,
“জি ধন্যবাদ।”
ইশারা সিড়ির কাছে গিয়ে দাঁড়াল। তারপর আবার পেছনে ঘুরে ফারানকে দেখল। ফারান তখনও দাঁড়িয়ে আছে। ইশারা সিড়ি বেয়ে গটগট করে হেঁটে ফ্ল্যাটের লক খুলে ভেতরে চলে গেল। ভাগ্যিস অফিস থেকে বের হবার সময় ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছিল। নয়তো বিপদে পড়তে হতো।
ইশারা বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে পড়ল। জোরে জোরে শ্বাস নিল। কপালে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিল।
“কেন? স্যার আমার এত কেয়ার কেন করছেন? উনি আমার বস আর আমি সাধারণ এমপ্লয়ি। আমার জন্য এত কেন করছেন? নিজের কাজের ক্ষতি করে আমার জন্য এত সময় কেন ব্যয় করল? আমার এত কেয়ার কেউ কখনো করেনি। উনার আচরণে মনে হচ্ছিল আমি সদ্য মাটি দিয়ে গড়া কোনো দ্রব্য। একটু এদিক সেদিক হলে ভেঙে যাব কিংবা দামী কোনো বস্তু হারিয়ে গেলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। হয়তো আমার কেউ নেই তাই এত কেয়ার করছেন। তাছাড়া আর কি।”
ইশারা বিছানায় গা এলিয়ে দিল। এখনও মাথার ব্যথাটা কমেনি। শরীরও ব্যথা। জ্বরটা একটু কমেছে। ক্লান্তিতে দুচোখ বুজে এলো।
দুপুর তিনটা। বারবার মোবাইলের রিং বাজছে। বাজতে বাজতে কেটে যাচ্ছে। ইশারা মোবাইলের স্কিনে অহনার নাম দেখে রিসিভ করল।
“ইশু কেমন আছিস এখন? জ্বরটা কি একটু কমেছে?”
“হ্যাঁ এখন একটু কম।”
“খেয়েছিস?”
“না শুয়ে ছিলাম। এখন ফ্রেশ হয়ে খাবো।”
“আচ্ছা তাড়াতাড়ি খেয়ে নে। আমি আসার সময় তোর জন্য মোড়ের দোকান থেকে সিঙ্গারা নিয়ে আসব।”
ইশারা মৃদু হেসে বলল,
“আচ্ছা। এখন কাজ কর।”
ইশারা কল কেটে মুচকি হাসল। এই একজন মানুষ আছে যে ওর জন্য চিন্তা করে, ওর কেয়ার করে। কিন্তু ফারানের বিষয়টা ভাবলে অস্বস্তি লাগে। ওর হাসিমুখটা মনে পড়লে অদ্ভুত অনুভূতি হয়। ইশারা ফারানকে চিনতে পারে না এই হাসিখুশি একজন মানুষ আবার মুহুর্তেই মনে হয় তিনি খুব সিরিয়াস একজন মানুষ। বাড়তি হাসি-আহ্লাদ করার জন্য সময় উনার নেই। ইশারা আর ভাবতে চায়না। অহনা সকালে রান্না করে রেখে গিয়েছে তার ছিটেফোঁটাও মুখে তুলেনি। এসে দেখলে রাগ করবে। তাই খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
.
সন্ধ্যা ছ’টা। এখন ইশারা অনেকটাই সুস্থ। মাথা ব্যথাটাও কমেছে। তাই রান্না করছে। পাশেই পিরিচের মধ্যে একটা অর্ধ খাওয়া সিঙ্গারা। তার পাশে ওর মোবাইল রাখা। রিং বেজে উঠল। আননোন নাম্বার৷ আননোন নাম্বারে কল এলে সচারাচর রিসিভ করে না। আর রিসিভ করলেও কথা বলে না৷ কান পেতে থাকে। যদি পরিচিতি কেউ হয় তবেই কথা বলে।
ইশারা কি ভেবে কল রিসিভ করে কান পেতে রইল। কয়েক সেকেন্ড পাড় হয়ে যাওয়ার পরেও কেউ কথা বলছে না। যেই কল কেটে দিবে তখনি ভরাট পুরুষ কন্ঠ বলল,
“মিস ইশারা বলছেন?”
ইশারা থমকে গেল। পরিচিতি কন্ঠস্বর কিন্তু কে ধরতে পারছে না।
ইশারা উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কে বলছেন?”
“আমি ফারান বলছি।”
ইশারার কপাল থেকে চিন্তার ভাজ সরে গিয়ে মুখে হাসি ফুটল।
“জি স্যার, আপনি? কেমন আছেন?”
“আমি তো ভালো আছি। তোমার খবর বলো? এখন কেমন আছো?”
ইশারা খুন্তি দিয়ে কুমড়ার পিচগুলো প্লেটে নামাতে নামাতে বলল,
“অনেকটাই সুস্থ। আপনি আমার নাম্বার জোগাড় করলেন কিভাবে?”
ফারান মুচকি হাসল। কাবার্ডের ভেতর থেকে একটা ছবি বের করে দেখতে দেখতে বলল,
“আমি বস আপনার। অফিসে আপনার সব ডিটেইলস আছে। তাই এটা কোনো সমস্যা নয়।”
ইশারাও ভাবল তাই তো। যে-সব ডকুমেন্ট আছে তাতে ওর সব ইনফরমেশন আর কন্ট্রাক্ট নাম্বার আছে৷ ইশারা আবারও রান্নায় মনোযোগ দিল।
কড়াইতে তেল দিতেই তেলের শব্দ ফারানের কানে পৌছাল।
ফারান কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কি করছেন?”
“এই তো শরীরটা ভালো লাগছে তাই রান্না করছি।”
“কি রান্না করছেন?”
“তেমন কিছু না। রাতের জন্য ভাত, কুমড়া ভাজা আর সর্ষে ইলিশ।”
“বাহ! আপনি মনে হয় বেশ ভালো রান্না পারেন।”
“হুম কিছুটা।”
ফারান আলতো করে হাসল। ইশারা স্পষ্ট হাসির মৃদুস্বর শুনতে পেল।
“আমার তো আইটেম শোনেই কেমন ক্ষিদে পেয়ে গেল।”
ইশারা ওর কথা শুনে বিমোহিত হলো।
“চলে আসুন।”
“আসব, তবে অন্যদিন সময় করে। আপনার হাতের রান্না খাওয়ার জন্য হলেও একদিন আসব।”
ইশারা একবার তুমি আর একবার আপনি শুনতে শুনতে বিরক্ত।
“আচ্ছা আপনাকে একটা প্রশ্ন করি?”
ফারান তাৎক্ষণিক বুঝতে পারল না ইশারা হটাৎ কি প্রশ্ন করবে? আর প্রশ্ন করার জন্য ঘটা করে অনুমতি কেন নিচ্ছে?
“হ্যাঁ অবশ্যই।”
ইশারা সময় না নিয়েই বলল,
“আপনি আমাকে একবার তুমি আরেকবার আপনি করে কেন বলেন? তুমি করেই তো বলতে পারেন?”
ফারান ওর প্রশ্ন শুনে থমকে গেল। থমকে গিয়েও নিজেকে সামলে বিরস মুখে ছোট্ট করে বলল,
“জানি না।”
ইশারা হতাশ হলো। এমন উত্তর আশা করেনি। প্রতিউত্তরে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। ফারান ওর দীর্ঘশ্বাস কান পেতে শুনল। ওর এই দীর্ঘ শ্বাসটা ভালো লাগল না।
“সত্যি কথা বলতে আমার তোমাকে তুমি করে বলতেই ইচ্ছে করে কিন্তু অফিসে একটা ফর্মালিটি মেনে চলতে হয় সে হিসেবে আপনি বলাটাই উচিত বলে আমি মনে করি।”
ইশারা ব্যাপারটা বুঝল। কিন্তু এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে তুমি বললেই পারেন। তবে কিসের এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব? কেন পারেন না? ইশারা আর মাথায় চাপ প্রয়োগ করল না।
.
শরৎের দুপুর। ঝকঝকে আকাশ। আলোয় ছড়াছড়ি। মাঝে মধ্যে শুভ্র সাদা মেঘেরা নির্দ্বিধায় দলবেঁধে ছুটোছুটি করছে। কাশ ফুলের বনে হাওয়া দিচ্ছে। এক গুচ্ছ কাশফুল হাতে নিয়ে কারো অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে থাকার অপেক্ষায়।
ছুটির দিন। ইশারা ওড়নায় কপালের ঘাম মুছছে। এক পদে পদে হাতে রান্না করছে৷ তবে অহনা পায়ে পা তুলে বসে নেই। শাকসবজি কাটা থেকে শুরু করে মাছ, মাংস ধুয়া সব নিজে করেছে। আজকে ফারান আসবে লাঞ্চ করতে। তারই তোরজোর চলছে। দু বান্ধবী আয়োজনে ব্যস্ত। রান্না-বান্না শেষে করে ঘর গোছানোতে দুজন হাত লাগাল।
ইশারা আর অহনা গোসল করে পরিপাটি হয়ে অপেক্ষা করছে ফারানের আসার৷ কলিং বেল বাজতেই অহনা ছুটে গেল। দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবারও ফিরে এলো অহনা। অহনাকে এভাবে ফিরে আসতে দেখে ডাইনিং সাজাতে সাজাতে ইশারা চোখ বড়বড় করে বিস্ময় নিয়ে তাকাল।
অহনা দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল,
“তোর গেস্ট আমি কেন যাব? এমনিতেই আজকে অনেক খাটিয়েছিস।”
ইশারা ভালো করেই জানে অহনা চাইছে ইশারাই দরজা খুলুক। তাই হাতের কাজ ফেলে মাথায় ওড়না টেনে ধীর পায়ে এগিয়ে গেল। দরজা খুলে ইশারার চোখ কপালে। ফারান যেন পুরো বাজার তুলে নিয়ে এসেছে। বিয়ের পরের দিন শ্বশুর বাড়িতে জামাই-ও এত বাজার নিয়ে আসে না। ফারানের ডান পাশে ওর ড্রাইভারের হাতে অনেকগুলো ব্যাগ৷ কিছু ব্যাগ ফারানের হাতে আর কিছু মেঝেতে পড়ে আছে। ইশারা তখনও বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অহনা ইশারার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
ফারান ইশারাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করল ,
“ভেতরে ঢুকতে দেবেন না?”
ইশারা সম্বিত ফিরে পেল।
“হ্যাঁ অবশ্যই আসুন। কিন্তু এ-সব কি?”
“দাওয়াত খেতে কেউ খালি হাতে যায়? এটা বাঙ্গালীর সংস্কৃতি নয়। তাই এই সামান্য?”
ইশারা ভ্রু কুঁচকে বলল,
“সামান্য বলছেন? এগুলো সামান্য? পুরো বাজার তুলে নিয়ে এসেছেন। এগুলো সামান্য হলে আপনার কাছে তাহলে অসামান্য শব্দটার মানে কি?”
অহনা ইশারাকে দরজার সামনে থেকে সরিয়ে বলল,
“সর তো,, ক্লাস নিতে শুরু করে দিলি? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তুই?”
ইশারা কিছুটা হকচকিয়ে গেল। সেই তো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কি শুরু করেছে ও। তাই বিব্রত বোধ করছে।
অস্বস্তি কাটিয়ে বলল,
“সরি! ভেতরে আসুন।”
ফারান ভেতরে ঢুকল। বাইরের মেঝেতে থাকা ব্যাগগুলো অহনা তুলে নিল। ফারান সোফায় বসতে বসতে চারপাশে চোখ বুলাল। দামি আসবাবপত্র না হলেও চারপাশ গুছানো পরিপাটি। মেয়ে দুটো যে খুব গোছাল সেটা ফারান টের পাচ্ছে। ইশারা মুখোমুখি সোফায় বসল৷ অহনা আগে থেকে গুছিয়ে রাখা নাস্তার ট্রে আনতে রান্নাঘরে গেল। প্রথমেই ভাত-মাছ খেতে বসিয়ে দেওয়া অনুচিত মনে করেই হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করেছে ওরা।
ইশারা আবারও ওই প্রসঙ্গ তুলে বলল,
“এত ঝামেলা কেন করেছেন? দেখছেন তো আমরা দুটো মানুষ। কত খাব? এসবের প্রয়োজন ছিল না।”
অহনা রান্নাঘর থেকে ট্রে নিয়ে আসতেই ইশারার কথা শুনল। অহনা টি টেবিলের উপর ট্রে রেখে বলল,
“ইশু তোর বেশি বেশিই খাওয়া উচিত। দিনরাত খাবি। নয়তো দেখা যাবে কদিন পর ফু দিলেই উড়ে যাবি। আগে কত সুন্দর ফিটনেস ছিল তোর। ছেলেরা হুমড়ি খেয়ে পড়ত।”
ইশারা অহনার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল। কোথায় কোন কথা বলতে হয় সেটা অহনা একদমই বুঝে না তারপর তৈরি করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। ফারান ইশারার দিকে একবার চেয়ে গ্লাস নিয়ে শরবত খেতে খেতে পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য বলল,
“আপনাদের এই ছিমছাম বাড়ি দেখে মনে হচ্ছে আপনারা দু’জনই অনেক গুছানো ধাঁচের।”
অহনা আবারও চট করে বলল,
“হ্যাঁ ইশুটা খুব গুছানো। জানেন না আমাকে দিয়ে সারাদিন কাজ করায়। ঘর নোংরা করতেই দেয় না। নোংরা যদি করি চিৎকার চেঁচামেচি করে সব মাথায় তুলে নেয়। উফফফ, ভয়ানক মেয়ে।”
ইশারা কপালে হাত দিল। অহনা আজ ওর ইজ্জতের ফালুদা বানাবে।
ফারান আবারও ইশারার দিকে তাকাল। তারপর একটু হেসে বলল,
“তুমি চিৎকার করতে জানো? তোমাকে দেখে কিন্তু বুঝা যায় না।”
ইশারা লজ্জিত ভঙ্গিতে মাথা নামিয়ে নিল। অহনা ওদের দু’জনকে পর্যবেক্ষণ করে বুঝল ও ইশারাকে অস্বস্তিতে ফেলছে।
অহনা মনে মনে নিজেকে গালাগাল দিচ্ছে।
ফারান তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে। কোনটা রেখে কোনটা খাবে বুঝতে পারছে না। সবটাই বেশ হয়েছে। এ মেয়ে যে রান্নাবান্না, ঘরের কাজে ভেশ পারদর্শী ফারান এক দিনেই বুঝে গেছে। এ যুগের মেয়েরা রান্নায় এতটা পটু হতে পারে সেটা ইশারাকে না দেখলে বুঝতে পারত না। পরক্ষনেই মনে পড়ল ওর বাবা-মা নেই। তাই নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়েছে। বয়সের আগেই বড় হয়ে যেতে হয়েছে। তাই হয়তো অন্যরকম।
.
ফারান খাওয়াদাওয়া শেষে বলল,
“তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি আজ। আপনার রান্না আসলেই প্রশংসার যোগ্য। খুব ভালো রান্না করেন আপনি। বেশ ভালো।”
ফারান প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইশারা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। সব সময় চাইতো ওর প্রিয়জনকে এভাবে বসিয়ে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে তারপর সে এভাবে ওর রান্নার প্রশংসা করবে। কিন্তু তা আর হলো কই?
ফারান বারবার ইশারার রান্নার প্রশংসা করছে।”আপনার হাতে যাদু আছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ট্রিটের জন্য।”
অহনার চাপা হাসি পাচ্ছে। এভাবে কেউ বারবার প্রশংসা করে? অহনা একটু হেসে দুষ্টুমি ভঙ্গি করে বলল,
“আপনি এক কাজ করুন হাতটা কেটে নিয়ে যান। আপনি চাইলেই ও দিয়ে দিবে। তাহলে এই যাদুর হাত থেকে প্রতিদিন মজার মজার খাবার পাবেন।”
এবার ইশারার সাথে সাথে ফারানও লজ্জা পেল। খুক খুক খুক কাশতে শুরু করল।
চলবে…