বৃষ্টি তোমাকে দিলাম❤️,পর্ব-৮
ফাবিহা নওশীন
ইশারা কম্পিউটারে কাজ করছে। পাশেই গরম চায়ে ধোঁয়া উড়ছে। কাজে যখন পূর্ণ মনোযোগ তখন ওয়াচম্যান ওর ডেক্সের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
“মেম!”
ইশারা কম্পিউটার থেকে চোখ তুলে তাকাল। ওয়াচ ম্যানের সাথে একটা ছেলে বড় একটা বক্স হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
ইশারা কিছুই বুঝতে পারছে না। ওয়াচ ম্যানের দিকে চেয়ে বলল,
“জি, কিছু বলবেন?”
ওয়াচ ম্যান পাশের ছেলেটাকে দেখিয়ে বলল,
“আপনার জন্য একটা পার্সেল এসেছে। উনি কুরিয়ার অফিস থেকে এসেছেন।”
ইশারা কিছুটা অবাক হলো। ওকে এখানে পার্সেল দেওয়ার মতো কেউ নেই। কে দিবে?
ইশারা বসা থেকে দাঁড়িয়ে কুরিয়ার বয়ের দিকে চেয়ে বলল,
“আমাকে পার্সেল কে দিল? কোথায় থেকে এসেছে বলুন তো?”
ছেলেটা স্মিত হেসে বলল,
“সরি মেম, সারপ্রাইজ গিফট। তাই নাম উল্লেখ করেননি। আপনি ওপেন করলেই বুঝতে পারবেন।”
ইশারার বিস্ময় যেন বেড়ে গেল। ওকে পার্সেল পাঠিয়েছে তাও সারপ্রাইজ?
“কোথায় থেকে এসেছে সেটা অন্তত জানতে পারি কি?”
ছেলেটি একটু সময় নিল ভাবার জন্য তারপর বলল,
“রাজশাহী থেকেই। তিনি আপনাকে সারপ্রাইজ দিতে চায় তাই কুরিয়ার করেছে।”
ইশারা পার্সেল নিয়ে সাইন করে ভাবতে লাগল কে ওকে সারপ্রাইজ দিবে? রাজশাহীতে তো ওর কেউ নেই। আর বাসার ঠিকানায় না দিয়ে অফিসের ঠিকানায় কেন পার্সেল দিবে?”
ইশারা এত না ভেবে পার্সেল রেখে কাজে মনোযোগ দিল। রাজশাহীর বাইরে থেকে আসেনি সেটাই স্বস্তির কারণ।
অহনা বাসায় ফিরে টেবিলের উপর এত বড় একটা বক্স দেখে চমকে গেল। ইশারা ওকে দেখে বলল,
“অফিসে পার্সেল এসেছে। কে দিয়েছে জানি না।”
অহনা কৌতূহল প্রকাশ করে বলল,
“অফিসে? কে দিয়েছে জানিস না?”
“কি করা যায় বল তো?”
অহনা ব্যাগ রেখে পার্সেল হাতে নিয়ে বলল,
“খুলে দেখা যাক।”
ইশারাও সায় দিল। অহনা খুলতে গিয়ে ইশারার দিকে তাকাল।
ইশারা ভ্রু কুঁচকে বলল,
“কি হলো খোল।”
অহনা ভয় পাওয়ার ভঙ্গি করে বলল,
“যদি বোম টোম হয়?”
ইশারা চোখ পাকিয়ে তাকাল। অহনা ফিক করে হেসে দিয়ে বলল,
“মজা করছিলাম।”
অহনা পার্সেল খুলছে কৌতূহল নিয়ে। কিন্তু পার্সেল খোলার পর ওর কৌতূহল মিলিয়ে গেল। নাক ছিটকে মুখ বাকিয়ে বলল,
“পুতুল! সিরিয়াসলি!”
অহনা ইশারার দিকে তাকিয়ে দূরে সরে গেল। ইশারা পুতুলটা হাত দিয়ে তুলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে৷ এই পুতুলে কোনো বিশেষত্ব নেই। এই পুতুল নিয়ে কি করবে? বাচ্চাদের মতো খেলবে? ইশারারও রাগ হচ্ছে। হটাৎ একটা বাটনে চাপ লাগলেই অদ্ভুত শব্দ হয়৷ একটা ভরাট কন্ঠস্বর ফিসফিসিয়ে বলে উঠে,
“ইশারা!”
ইশারা হটাৎ করে চমকে যায়৷ কিছুটা আঁতকে উঠে হাত থেকে পুতুলটা ফেলে দেয়। কেমন একটা ভয়ানক কন্ঠস্বর।
অহনা পুতুলটা তুলে বলল,
“বাহ! বেশ সুন্দর তো। পুতুল তোর নাম বলছে। হাও কিউট!”
ইশারা নিজের ভয়টা প্রকাশ করল না। কিন্তু ভেতরে ঢিপঢিপ করছে। অনবরত কম্পন হচ্ছে।
“কে এই অদ্ভুত পুতুলটা দিতে পারে বল তো? এখানে আমার কে আছে? ক’জন আমাকে চিনে?”
অহনা কিছুক্ষণ ভাবে। কে হতে পারে? কে দিবে। ভাবনার মাঝেই ওর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
“এই মনে হচ্ছে ফারান স্যার দিয়েছে।”
ইশারা ভ্রু কুঁচকে বলল,
“উনি কেন দিবে?”
“কারণ উনি তোর শুভাকাঙ্ক্ষী। তাই দিতেই পারে। তাছাড়া আর কে দিবে?”
“অদ্ভুত! উনি আমাকে এই পুতুল কেন দিবে? দেওয়ার ইচ্ছে হলে নিজেই দিতে পারত কুরিয়ার কেন করবে? উনি নয়।”
“ফারান স্যারই হবে। সামনাসামনি দিতে পারেনি
তাই ফর্মালিটি। নাম প্রকাশ করেননি যাতে তুই ওড ফিল না করিস।”
ইশারা অহনার কথাই মেনে নিল কিন্তু মনে একটা কিন্তু রয়ে যাচ্ছে।
“কিন্তু উনি আমাকে কিছু কেন দিবে অহন?”
“বললে চাকরি থাকবে না। তাই বলব না।”
বলেই মুখে আঙুল দিল।
ইশারা সেটা দেখে বলল,
“তোর না বলাই ভালো। কারণ এই মুখ দিয়ে উলটা পালটা কথা ছাড়া আর কিছু বের হয় না।”
।
কাজের মধ্যে বারবার কল আসছিল তাই ইশারা কিছুটা বিরক্ত বোধ করে। আননোন একটা নাম্বার। ইশারা সাধারণত আননোন নাম্বার দেখলে কল রিসিভ করে না। কিন্তু আজ বিরক্ত থেকে কল রিসিভ করে হ্যালো বলল।
অপরপাশ থেকে একটা কন্ঠস্বর হিসহিসিয়ে বলল,
“কেমন আছো? চিনতে পারছো?”
ইশারার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা শীতল প্রবাহ বয়ে গেল। যার কারণে জমে গেল। থরথর করে কাঁপছে। ওর নাম্বার জোগাড় করে ফেলেছে কিন্তু এটা তো সম্ভব না।
ইশারা উঠে দাঁড়াল। কপালে চিকন ঘামের রেখা। ঢোক গিলে ওড়না দিয়ে কপাল মুছছে। তারপর তাড়াতাড়ি ডেক্স ছেড়ে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। ওপাশ থেকে হাসির শব্দ ভেসে আসছে।
হাসি থামিয়ে বলল,
“ভুলোনি তাই না? এত সহজে ভুলা যায় বলো?”
ইশারা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
“তু.. তুওও….মি? তুমি আমার নাম্বার কই পেলে?”
অপরপাশ থেকে আবারও হাসির শব্দ পেল।
“এ তো আমার বা’হাতের খেল। আগে আগে দেখো হতা হে কেয়া! বলেছিলাম না, তোকে আমি খুঁজে বের করব? আমার কাছ থেকে তুই পালিয়ে একদম বাঁচতে পারবি না। তোর জীবন যদি নরক না বানিয়েছি, তোকে আমি বাকি জীবন নরকে জ্বালাব। খুব শীঘ্রই তোর সামনে গিয়ে দাঁড়াব৷ দেখা গেল বন্ধ চোখ খোলার পর আমাকে চোখের সামনে দেখলি। কেমন হবে তাহলে?”
ইশারা ঘামছে। শ্বাস নিতে পারছে না। ওর নাম্বার জোগাড় করে ফেলেছে এখন তো ঠিকানা জোগাড় করা কোনো ব্যাপার না। যদি সত্যি সত্যি ওর সামনে এসে দাঁড়ায়? ওকে পেলে কিছুতেই ছাড়বে না। জীবন আসলেই নরক বানিয়ে দিবে।
অপর পাশ থেকে আবারও হাসছে।
“আহ! কতদিন তোমাকে দেখি না। দেখা হলে প্রথমে মন ভরে দেখব। পুরনো হিসেবনিকেশ নাহয় পরেই পূরণ করব।”
ইশারার শরীর কাঁপছে। ফোন কেটে দিল। স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। এলোমেলো ভাবে হাঁটছে। অফিসের খোলা বারান্দায় এসে দাঁড়াল। অজান্তেই চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। ইশারা চোখ বন্ধ করে নিল। কিছু ভাবতে পারছে।
“যে অতীত পেছনে ফেলে চলে এলাম, সে অতীত আবারও জীবনে হানা দিচ্ছে? ও কি আমাকে বাঁচতে দেবে না? আমার পিছু কি ছাড়বে না? কি করব আমি? আমি যা করে এসেছি তাতে ও আমাকে এত সহজে ছাড়বে না।”
সামনে পেলে কি করবে সেটা ভাবতেই ইশারা শিউরে ওঠে।
হটাৎ কারো পায়ের শব্দ পেয়ে চোখ খুলে। চোখ খুলেই চমকে যায়। কিছুটা ঘাবড়েও যায়। থমথমে মুখে চেয়ে থাকে ওর দিকে। ফারান ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখে মুখে হাজারো প্রশ্ন আর বিস্ময় যেন এই প্রথম কাউকে কাঁদতে দেখছে।
ইশারা ওকে অবাক হতে দেখে অবাক হয়ে চেয়ে আছে। চোখের পানি মুছতে গিয়ে থমকে যায়। কারণ ফারান ওর খুব কাছে। যতটা কাছে থাকলে নিশ্বাসের শব্দ পাওয়া যায়, হৃদপিণ্ডের শব্দ শোনা যায়।
ফারান ইশারার চোখের পানি মুছে দেয়। ওর আঙুলের ছোঁয়ায় যেন শরীরে তীব্র কারেন্ট বয়ে যায়। ইশারা হারিয়ে যায় দূর থেকে দূরান্তে। ওর শরীর এক জায়গায় স্থির থাকলেও অনুভূতিরা শূন্যে ছুটে বেড়াচ্ছে। ওর স্থির দৃষ্টি ফারানের দিকে।
ফারান ওর গাল থেকে আঙুল সরাতেই ইশারা সম্বিত ফিরে পায়। ছিটকে দূরে সরে যায়। ফারান নিজের কাজে নিজেই হতবাক। ও কি করল এটা নিজের অজান্তেই। ইশারা ওকে কি ভাববে? ওর দিকে কি করে তাকাবে? ও দৃষ্টি নামিয়ে নেয়। থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। না পারছে কেউ কিছু বলতে না চলে যাচ্ছে। ফারান সিদ্ধান্ত নিল এখানে থেকে চলে যাবে। চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই অহনার কন্ঠ শুনল।
অহনা মুচকি মুচকি হেসে বলল,
“আরে বাহ!”
ইশারা চমকে অহনার দিকে তাকায়। অহনাকে দৌড়ে গিয়ে সব বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু অহনা সে সুযোগ না দিয়ে বলল,
“আপনারা দু’জন এখানে কি করছেন?”
ফারান ইশারার দিকে তাকাল। ইশারা উত্তর দিল,
“আমার একটা কল এসেছিল তাই কথা বলতে বলতে এদিকে চলে এসেছি।”
অহনা ফারানের দিকে তাকাল। বুঝাচ্ছে যে উত্তর চাইছে। ফারান অন্য ডিপার্টমেন্টের হলেও অহনার বস। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়ায় বস সম্পর্ককে পাত্তা দেয় না।
ফারান কি বলবে বুঝতে পারছে না।
“আমি এমনিতেই এদিকে এসেছি। কোনো রিজন নেই।”
ইশারার মেজাজ খারাপ লাগছে। ও এমন একটা সিচুয়েশনে আছে আর অহনা নিজের ফাজলামো নিয়ে ব্যস্ত। ইশারা ধমক দিয়ে বলল,
“অহনা, উনি বস। উনার অফিস। উনি যা খুশি করতে পারে, যেখানে খুশি যেতে পারে, তোকে কেন জবাবদিহি করবে? স্ট্রেঞ্জ!”
অহনা ধমক খেয়ে চুপসে গেল। ফারান ইশারার দিকে তাকাল। ইশারা যে ওর রাগ অহনার উপর ঢালছে এইটুকুই বুঝতে পারছে।
অহনা কাচুমাচু হয়ে বলল,”সরি!”
ফারান অহনার দিকে চেয়ে বলল,
“ইট’স ওকে। আমি জানি তুমি মজা করছিলে।”
“মজাও করা যাবে না। সেদিন মজা করায় আপনি যাওয়ার পর ইশারা আমার চুল টেনেছে।”
ইশারা হা করে ওর দিকে চেয়ে আছে। ওর এই মজা ফারানেরও ভালো লাগছে না। পরিস্থিতি ভালো লাগার পর্যায়ে নেই। ওর অস্বস্তি লাগছে।
ফারান স্মিথ হেসে বলল,
“আচ্ছা, আমার একটু কাজ আছে আমি আসছি।”
ফারান কারো উত্তরের অপেক্ষা না করেই চলে গেল। ফারান যেতেই ইশারা অহনার হাত ধরে বারান্দা থেকে চলে এলো।
.
বাড়িতে এসে অহনাকে সব বলল ইশারা। ইশারা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আমি এখানে এসেও শান্তি পাচ্ছি না। কোথায় যাব আমি? কি করব? ও যদি এখানে চলে আসে আর আমাকে জোর করে ঢাকা নিয়ে যায়?”
অহনা শান্তনা দিয়ে বলল,
“তেমন কিছুই হবে না। তুই এখানেই থাকবি। ও তোকে জোর করতে পারবে না। আইন আছে, পুলিশ আছে।”
ইশারা তবুও আশ্বস্ত হতে পারছে না।
“ও আমার জীবন নরক বানিয়ে দিবে অহন। ও ওর মা’কে চোখে হারায়। আমার জন্য এতদিন হসপিটালে থেকেছে তোর কি মনে হয় এত সহজে ছেড়ে দিবে? সেদিন ভয়ানক একটা কাজ করেছি। যদি এই কাজটা না করতাম তবে আমার জীবন সেদিন নরক হয়ে যেত।”
ইশারা কেঁদেই চলেছে। অহনা ওকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“তুই একদম ঠিক করেছিস। তোর আরো আগে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে এত সাহস পেত না। ওরা কম অত্যাচার করেছে তোকে? তুই সব নীরবে মুখ বুজে সহ্য করেছিস।”
“হ্যাঁ করেছি। উপায় ছিল না। কারণ আমার যাওয়ার কোনো জায়গায় ছিল না। একটা মেয়ে আমি, চাইলেই রাস্তায় বের হয়ে যেতে পারতাম না। তাই একটু আশ্রয়ের জন্য সব সহ্য করেছি।”
ইশারা আবারও কাঁদতে লাগল।
অহনা বলার মতো কিছু পাচ্ছে না। আসলেই নিরুপায় ছিল ও। ছোট থেকে কত কষ্ট করেছে সব জানে ও।
কেউ না জানলেও ও তো জানে।
ইশারা ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারল না। একা দু’টো মেয়ে একটা বাড়িতে থাকে। যদি রাতের বেলায় বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওকে দিয়ে বিশ্বাস নেই। ও একটা বেয়াদব, লম্পট ছেলে। ওর মতো নিচ আজ পর্যন্ত ইশারা দেখেনি।
.
পরের দিন অফিসে আবারও একটা পার্সেল এলো। ইশারা ওটা টেবিলের উপর রেখে দিয়েছে। ফারান ওকে ডেক্সের সামনে এসে ডেকে গেছে। ইশারা অস্বস্তি নিয়েই ফারানের রুমে গেল।
ইশারা রুমে যেতেই ফারান হাত জোড় করে বলল,
“আ’ম সরি। তোমাকে এভাবে টাচ করা উচিত হয়নি। তবে ট্রাস্ট মি, আমার কোনো বাজে ইনটেনশন ছিল না। আমি তোমাকে কখনো খারাপ চোখে দেখিনি। আর না আমার ছোয়ার মধ্যে কামনা ছিল। তবুও তোমাকে ছোয়া উচিত হয়নি। আ’ম এক্সট্রিমলি সরি।”
ফারান এতবার করে সরি বলছে ইশারা আর কি বলতে পারে? তাছাড়া মনও ভালো নেই। শুকনো মুখে বলল,
“ইট’স ওকে স্যার।”
“আমি তোমাকে কাঁদতে দেখেছিলাম তাই গিয়েছি। আর তার আগে কিছুটা চিন্তিত লুকে দেখেছি।”
ইশারা চুপ করে আছে। বলতে চাইছে না সেটা ফারান বুঝতে পারছে তাই সিচুয়েশন পাল্টানোর জন্য বলল,
“টেবিলের উপর বক্স দেখলাম সেটা কি ছিল?”
ইশারা ফারানের দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকাল। তার মানে ফারান গতবার পার্সেল দেয়নি। ও অনুমানও করেছে ফারান দেয়নি। অহনা বারবার বললেও ইশারা বিশ্বাস করেনি। আর এখন নিশ্চিত হলো।
ফারান ওর চোখের সামনে চুটকি বাজাল। ইশারা চমকে গেল। তারপর আমতা আমতা করে বলল,
“এক ফ্রেন্ড গিফট পাঠিয়েছে।”
ফারান আর তলিয়ে দেখল না। ইশারার কাছে সব এখন সব ক্লিয়ার। ও কিছু না বলেই বের হয়ে গেল।
চলবে….!
(আগামী পর্বে সব জট খুলবে।)