বৃষ্টি মাখা রোদ্দুর?,part:03
Writer:TanjiL Mim?
.
?
“আচমকা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ ভাইয়া’!!আর তার এমন কাজে আমি অবাক হয়ে বলে উঠলামঃ
———-“কোথায় যাচ্ছি ভাইয়া……
“রিয়াদ চুপ……
———-“কি হলো ভাইয়া কথা বলছো না কেন???
||
“এদিকে রিয়াদ রাগে গজগজ করেই সামনে দিকে হাঁটছে…….’!!এতোক্ষণ নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলেও এখন মটেও পারছে না সে’!!কতক্ষণ তানজুকে না বকলে তার শান্তি হবে না……
||
“কতোক্ষন আগেই আমরা আফরিন আপুর শশুর বাড়ি এসে পৌছালাম’!!সবাই মিলে একসাথে আফরিন শশুর বাড়ির ভিতরে ঢুকছিলাম’!!এমন সময় পিছন থেকে হুট করে রিয়াদ ভাইয়া হাত ধরে টেনে নিয়ে উল্টো দিকে হাঁটা ধরলো…….
———–“আরে ভাইয়া ওদিকে কোথায় যাচ্ছো সবাই চলে যাচ্ছে তো,,হুট করেই কথা বলে উঠলাম আমি’!!
“এদিকে রিয়াদ আমার কথা শুনে বলে উঠলঃ
———–“আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন…..
“ভাইয়ার মুখে এমন কথা শুনে ভয়ে ঘাবড়ে গিয়ে বললাম আমিঃ
———–“এসব কি বলছো,আমি কি করছি…..
———–“তুই কি করেছিস…..
“বলেই সবার আড়ালে একটা গাছের সাথে চেপে ধরল ভাইয়া’!!আর আমি তার কাজে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম’!!কাঁপাকাঁপা গলায় বলে উঠলামঃ
———–“বিশ্বাস কর ভাইয়া আমি কিছু করে নি,কিছু করার সুযোগই পেলাম কই এতোক্ষণ তো আমরা গাড়িতেই ছিলাম তাহলে কি করেছি আমি…..
————“তুই সত্যি বুঝতে পারছিস না তুই কি করেছিস……
———–“সত্যি বলছি আমি তো কিছু করে নি…..
———–“তোকে আমি প্রতিদিন ভার্সিটির ঢোকার আগে কি কি বলি…..
———–“এই রে খাইছে এখানেও সেইসব মানতে হবে আমার’!!(মনে মনে)
———–“কি হলো কথা বলছিস না কেন?(দমক দিয়ে)
“ভাইয়ার দমকে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলামঃ
———-“ওই তো কোনো ছেলের সাথে কথা বলবো না,কোনো ছেলেরা কিছু দিলে তা নিবো না,ছেলেরা পাশে বসতে চাইলেও বসতে দিবো না,কোনো ছেলে কিছু বললে সবার আগে তোমায় বলবো,তারপর এই রে ভুলে গেছি……
———-“কি হলো আর একটা কি বলে ছিলাম…..
———-“ইয়ে না মানে হ্যা মনে পরছে ছেলেদের সাথে বেশি হাসাহাসি করা যাবে না…..
———-“হুম তাহলে তুই শুনেছিস আমার কথা…..
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!যাক বাবা বিয়ে বাড়ি ঢুকলামই তো এইমাএ তাহলে কথা কখন বললাম’!!আমার ভাবনার মাঝে আবারো ভাইয়া চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
———–“কি হলো কথা বলছিস না কেন??
“ভাইয়া কথা শুনে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলাম আমিঃ
————“বিশ্বাস করো ভাইয়া আমি এখন পর্যন্ত কোনো ছেলের সাথে কথা বলি নি…..
———–“আবারও মিথ্যা কথা বলছিস তুই…..
———–“আহ সত্যি বলছি আমরা তো এই মাএই ঢুকলাম বিয়ে বাড়িতে মাঝখানে কার সাথে কথা বললাম…….
———–“এতোক্ষণ গাড়িতে বসে আদিলের সাথে কথা বলিস নি তুই তাও হেঁসে হেঁসে…..
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি আমি’!!অবাক হয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
———–“আদিল ভাইয়ার সাথে কথা বলা যাবে না…..
———–“তোকে কথা বলতে বারন করেছে কে কিন্তু এতো হেঁসে হেঁসে কথা বলার কি আছে….(রেগে)
“ভাইয়ার রাগ দেখে আমি নিজেও ঘেমে একাকার হয়ে গেছি’!!তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলামঃ
———–“আর বলবো না সরি ভাইয়া…..
————“আর যদি দেখছি তাহলে তোকে আমি কি করি শুধু দেখবি…..
————“এইবারের মতো সরি ভাইয়া……
“বিনিময়ে রিয়াদ কিছু বললো না জোরে জোরে শ্বাস ফেললে শুরু করল’!!কিছুতেই নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারছে না সে’!!এই মেয়েটা সবসময় তাকে রাগায়……
“কিছুক্ষন পর……
———–“ভাইয়া আর কতোক্ষন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবো কেউ দেখে ফেললে কি বলবে আমি যাই তাহলে……
“আমার কথা শুনে রিয়াদ চোখ লাল করে তাকালো আমার দিকে’!!এদিকে আমি ভাইয়ার এমন চোখ দেখে চুপসে গেলাম’!তারপর বলে উঠলামঃ
————“না থাক ঠিক আছে কেউ কিছু বলবে না দেখলে….তারপর মুখে হাত দিয়ে চুপ আমি……
_________________________________________
____________________
||
——–“কোথায় ছিলিস রে তুই…… বাড়ির ভিতর ঢুকতেই কথাটা বলে উঠল তিশা’!!
———-”না কোথাও ছিলাম না তো এই পুরো জায়গাটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম’!!
“এমন সময় পিছন থেকে রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ
————-“আপু কোথায় রে……
“তিশা হকচকিয়ে বলে উঠলঃ
————-“ওহ আপু ওই তো হাতের ইশারায় দেখিয়ে…….
“তিশার কথা শুনে আমি আর রিয়াদ ভাইয়া দুজনেই সেদিকে তাকালাম’!!আপুকে অসম্ভব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে’!!এমন সময় রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ
———-“আপুর সাথে দেখা করেছিস তুই…..
———–“না এই তো যাবো……
———–“তাহলে চল…..
———–“চলো….
“তারপর আমি আর রিয়াদ ভাইয়া একসাথে গেলাম আপুর কাছে……
-~ “আর এদিকে তিশা কিছু একটা ভেবেও আর ভাবলো না’!
“দুপুর_৩ঃ০০টা……..
“সারাদিন প্রচুর মজা করে এখন বাড়ি ফেলার পালা’!!একে একে সবাই চলে আসতে লাগলো’!!এমন সময় পিছন থেকে একটা ছেলে বলে উঠলঃ
———-“আবার আসবেন কিন্তু……
“একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বলে উঠলামঃ
———-“নিশ্চয়ই ভাইয়া……
“এই ছেলেটা সেই কখন থেকে ডিস্টার্ব করছে’!!ছেলেটা হচ্ছে সোহান’!!আপুর ননদের ছেলে’!!একদম গায়ে পড়ে কথা বলতে আসে’!!কেনো জানি ছেলেটার দৃষ্টি ভালো নয়’!!আত্মীয়তার খাতিরে কিছু বলতেও পারছিলাম না’!!যাক এখন বাসায় যাবো আর কোনো চিন্তা নেই…..
“এসব ভাবতে ভাবতে সবাই মিলে বসে পরলাম গাড়িতে……
_______________
………”মাঝখানে কাটলো দুদিন’!সবাই যে যার বাসায় ব্যস্ত’!!দুদিনে কারো সাথে কোনো কথা হয় নি’!!ভার্সিটিও যাওয়া হয় নি’!!কাল থেকে আবার রেগুলার হয়ে যাবে’!!এই দু দিনে রিয়াদ ভাইয়ার সাথে দেখা হয় নি’!!সবাই ব্যস্ত…….
||
“বিকেলে_৫ঃ০০টা…….
“বই নিয়ে বসে আছি বিছানায়’!!অবশ্য বই পড়ছি বললে ভুল হবে বইয়ের মধ্যে মোবাইল নিয়ে গুতাচ্ছি’!!যাতে কেউ না দেখে…আম্মু দেখলে তো মেরে তক্তা বানিয়ে দিবে’!অবশ্য এখন কেউ আসবে না রুমে কম জোর হলে দিহান ভাইয়া’!!ভাইয়া দেখলে কোনো প্যারা নাই চিল……..’!!
______
“এদিকে কলিংবেল বাজতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিল’!!দরজার সামনে রিয়াদকে দেখে মুখ ঘোমরা করে বলে উঠল সেঃ
———-“এই তোর আসার সময় হলো,দুটো দিন হলো তোর মুখটাও দেখলাম না…..
“রিয়াদ আম্মুর কথা শুনে হেঁসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ
———–“মামুনি কি করবো বলো একটু বিজি ছিলাম তাই আসতে পারি নি,তবে এখন এসেছি না তাড়াতাড়ি খাবার নিয়ে আসো, খুব খিদে পেয়েছে কিন্তু মামুনি…….
“আম্মু হেঁসে বলে উঠলঃ
———–“বস তুই আমি নিয়ে এখনি আসছি,তোর ফেবারিট ভুনা খিচুড়ি তৈরি করছি……
———–“উম মামুনি তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো,নাম শুনেই তো জিহ্বায় পানি চলে এসেছে…..
————“এখনি আনছি বস তুই….
“এই বলে আম্মু রান্না ঘরে চলে গেল……
“আর রিয়াদ সোফায় বসে আবার বলে উঠলঃ
———–“আচ্ছা মামুনি দিহান আর তানজু কোথায়,একটাকেও দেখছি না তো………
”আম্মু রান্না ঘর থেকে বলে উঠলঃ
———–”ওদের রুমে আছে হয়তো যা তুই ততক্ষণে খিচুড়িও হয়ে যাবে……
———–“ঠিক আছে মামুনি…..
|||
• আজকে আমার অনুভূতি শূন্য ভিষন….
কারন প্রিয় মানুষগুলো ব্যস্ত খুব….??
• আমি যেদিন পোস্ট করা বন্ধ করে দিবো
ভেবে নিও আমার ফোনের এমবি শেষ’?
“একটা স্যাড পোস্ট আর একটা ফানি পোস্ট লিখে ফেসবুকে স্ট্যার্টাস দিচ্ছি’!!এমন সময় রুমে ঢুকে বলে উঠল কেউঃ
———-“কি করছিস রে তুই……
“আচমকা কারো মুখে এমন কথা শুনে হকচকিয়ে উঠলাম আমি’!!সামনে তাকিয়ে রিয়াদ ভাইয়াকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!এই রে দেখে নিলো নাকি তাহলে আমার কি হবে……
———–“পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল টিপতাছোস তুই দাঁড়া এখনি মামুনিকে বলছি ….
“বলেই হাত থেকে টান মেরে মোবাইল নিয়ে গেল ভাইয়া………
———-“হায়রে এখন কি হবে,,প্লিজ ভাইয়া আম্মুকে বলো না,কথা দিচ্ছি আর মোবাইল গুতাবো না,,,(ঘাবড়ে গিয়ে)
————“তা তো হবে না……বলেই ভাইয়া যেই না চেঁচাতে নিবে তার আগেই ভাইয়ার হাত ধরে বলে উঠলামঃ
———–“সরি ভাইয়া,প্লিজ প্লিজ এমন করো তুমি যা বলবে আমি তাই করবো…..তারপরও আম্মুকে বলো না…..
————-“যা বলবো তাই করবি…….
————“হুম….! না জানি এখন কি করাবে আমায় দিয়ে,আল্লা হেলেপ মি….
চলবে………