বৃষ্টি মাখা রোদ্দুর?,part:18

0
4412

বৃষ্টি মাখা রোদ্দুর?,part:18
Writer:TanjiL Mim?
.
.
?
“দেয়ালের সাথে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ ভাইয়া’!!আর আমি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি তার দিকে’!!হাসি পাচ্ছে খুব রিয়াদের অবস্থা দেখে কিন্তু এই মুহুর্তে হাসা মানে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনা’!!তাই বর্তমানে চুপটি করে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছি রিয়াদ ভাইয়ার দিকে….

“কিছুক্ষণ আগে…….

“ডিম মারার অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে সোজা রুমে আসতে নিলাম আমি’!!দরজা বন্ধ করে দিতে যাবো এর আগেই রিয়াদ জোরজবরদস্তি করে ঢুকে পরলো ভিতরে’!!সে ঢুকতেই ভেবেছিলাম আমি দৌড়ে রুম থেকে পালাবো কিন্তু সেটা হওয়ার আগেই রিয়াদ এসে দরজা বন্ধ করে দিলো’!!তারপর বাকিটা ইতিহাস……

||

———–“বিশ্বাস কর ভাইয়া যা হয়েছে তাতে আমার কোনো দোষ নেই,,সব দোষ ওই বলটার……

“রিয়াদ আমার কথা শুনে রেগেমেগে বলে উঠলঃ

———–“তোর কোনো দোষ নেই, এখন সব বলের হয়ে গেলো…..,,দেখতো কি অবস্থা করেছিস তুই আমার……

“রিয়াদের কথা শুনে আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম’!!৩২ পাটি দাঁত বের করে উচ্চ স্বরে হেঁসে দিলাম আমি……!!আমার হাসি দেখে রিয়াদ বলে উঠলঃ

————-“খুব হাসি পাচ্ছে না তোর দাঁড়া আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন…..

“রিয়াদের কথা শুনে ভয় পেলাম আমি’!!আমতা আমতা করে বলে উঠলামঃ

————-“সরি ভাইয়া আর হবে না এই আমি কান ধরছি আর কোনোদিন তোমার গায়ে ডিম ফাঁটাবো না……

————-“তোর ওই সরিতে কাজ হবে না “তানজু”….

“এই রে আজকে ভাইয়া মনে হয় খুব ক্ষেপেছে….(মনে মনে)

“হুট করেই রিয়াদ ঝুঁকে পরলো আমার দিকে সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে দেয়াল ঘেঁসে নিচে বসে পরলাম আমি’!!তারপর চটজলদি রিয়াদের বন্দী করা ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!

||

“এদিকে রিয়াদ তানজুর কাজে হালকা চমকে উঠল’!!

“রিয়াদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়েই উল্টো দিকে দৌড় দিলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

————“আজকের মতো মাফ করে দেও পিনিজ?

“রিয়াদ আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললোঃ

————-আজকে তুই যা করেছিস তার জন্য কোনো ক্ষমা হবে না,,

————“কি এমন করেছি আমি একটু ডিম ফেটেই তো মুখে লাগছে,,এতটুকু বিষয় মুখটা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলেই তো হয়…..

————“তাই বুঝি…..

————“হুহ…..

“এই বলে যেই না বাহিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দৌড় দিবো সাথে সাথে রিয়াদ আমার হাত ধরে দিলো টান’!!সাথে সাথে আমি এসে পরলাম রিয়াদের বুকে…….

||

“এদিকে রিয়াদ একটা শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে তানজুকে ঠেলে বিছানায় ফেলে দিলো’!!তারপর বিছানার সাথে চেপে ধরে বলে উঠল সেঃ

———-“এখন কোথায় পালাবে প্রিয়সী’!!

———–“দেখো এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না,,আমি কিন্তু চেঁচাবো ভাইয়া……

————“আজকে তোর ভাইয়া বলা গোছাচ্ছি,,সারাদিন শুধু কথায় কথায় রিয়াদ ভাইয়া রিয়াদ ভাইয়া করিস কেন তুই…..

“রিয়াদের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বলে উঠলামঃ

————–“তুমি তো আমার ভাইয়াও হও তাই তো….

————–“একদম কানে নিচে ঠাসস করে দুটো দিবো যদি আজকের পর ভাইয়া ডাকিস….

————–“একটা কথা বলবো(নিচু স্বরে)

————-“কি…..?

————-“বলছিলাম ভাইয়া থুক্কু বলছিলাম গোসল করে আসো জলদি তোমার গায়ের থেকে প্রচুর ডিমের গন্ধ আসছে……

“হালকা রেগে রিয়াদ বলে উঠলঃ

————-“আসবে না গন্ধ তোর জন্যই সব হয়েছে ওয়েট আমার মুখে ডিম দেওয়া হচ্ছে না….

“বলেই রিয়াদ তার গালে লাগা ডিম তানজুর দু-গালে লাগিয়ে দিল’!!

————-“ইয়াক!এটা কি করলে তুমি……

————–”যা করেছি বেশ করেছি এটাই তোর শাস্তি,, আর মনে রাখিস আজকের পর যদি ভাইয়া ডাকিস আমায় তাহলে অন্যকিছু করে ফেলবো কিন্তু……

————-“অন্যকিছু করবে মান?কি করবে তুমি…..

“আমার কথা শুনে রিয়াদ একটা শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে বলে উঠলঃ

———–“সেটা সময় হলেই বলে দিবো……

“বলেই তানজুর উপর থেকে উঠে হন হন করে বেরিয়ে যায় রিয়াদ’!!তাকে গোসল করতে হবে জলদি ডিমের গন্ধে তারও ভালো লাগছে না…..

||

“থ হয়ে বসে আছি আমি বিছানায় যেন কি হলো সব মাথার উপর দিয়ে গেল'”!! তারপর চটজলদি ওয়াশরুমের দিকে পা বাঁড়ালাম আমি’!!আর মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলোঃ

———–“শয়তান একটা”……

__________________________

“পুকুর পাড়ের একটা গাছের নিচে বসে আছে সোহান”!!মনটা তার একটু খারাপ’!!বিয়ের সময় প্রথম তানজুকে দেখেই সোহানের ভালো লেগেছিল’!!তারপর ভালো লাগা গুলোই এখন ভালোবাসার রূপ নিয়েছে’!!কিন্তু তানজু আর রিয়াদের একসাথে থাকা,,রিয়াদের প্রতি তানজুর কেয়ারিং,, আর সেদিন রিয়াদকে তানজুকে খাইয়ো দেওয়া দেখে সোহানের আর বুঝতে বাকি নেই যে তানজু রিয়াদ একে অপরকে খুব ভালোবাসে…..!!তাই সোহান চাচ্ছে না তার জন্য ওদের মাঝখানে কোনো ফাটল ধরুক’!!কারন সোহান বিশ্বাস করে জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না’!!যেখানে দুটো মানুষ একে অপরকে খুব ভালোবাসে……

||

———–“আপনি এখানে একা একা বসে কি করছেন ভাইয়া…..আচমকা কোনো মেইলি কন্ঠ শুনে পিছন ফিরে তাকালো সোহান’!!পিছনে তানজুকে দেখে হালকা হেঁসে বললোঃ

———–“তেমন কিছু নয় এমনি বসে আছি……

———–“ওহ!তা মন খারাপ নাকি গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা হচ্ছে না বলে…..

“ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ নিচে আসছিলাম আমি’!!এদিকে সোহানকে একা বসতে দেখে চলে আসলাম তার কাছে’!!আমার ভাবনার মাঝে সোহান বলে উঠলঃ

————-“গার্লফ্রেন্ড থাকলে তো দেখা হবে…..

“সোহানের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

————-“আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই……

“হালকা হেঁসে বলে উঠল সোহানঃ

————-“না!এখনো বানাই নি কাউকে…..!!আচ্ছা তোমায় একটা প্রশ্ন করি মন থেকে উওর দিবে তো…..

————–“হুম বলুন না ভাইয়া……

————–“ধরো তুমি যাকে ভালোবাসো সে অন্যকাউকে ভালোবাসে’!!আবার সে যাকে ভালোবাসে সেও মানে তোমার ভালোবাসার মানুষ যাকে ভালোবাসে সেও তোমার ভালোবাসার মানুষকে খুব ভালোবাসে’!!অর্থাৎ তারা দুজনদুজনকে খুব ভালোবাসে’!!তাহলে তুমি কি করবে……

“সোহানে এমন কথা শুনে চরম বেগে অবাক হলাম আমি’!!তারপর ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বলে উঠলাম আমিঃ

————–“আপনি কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বললেন জানা নেই আমার’!!তবে হ্যা আপনার প্রশ্নের উত্তর জানা আছে আমার’!!সেটা হলোঃ

? || “একতরফা ভালোবাসা কখনো পূর্ণতা পায় না!হয়তো জোরজবরদস্তি করে বিয়ে করা যেতে পারে’!!জোর করে তাকে নিজের কাছে রেখে দেওয়া যেতে পারে’!!কিন্তু জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না’!!জোর করা ভালোবাসায় ঘৃনা ছাড়া আর কিছুই জন্মায় না’!!আমার মতে আমি যদি কারো গল্পের থার্ডপারসোন হই তাহলে নিজ ইচ্ছে সরে আসবো’!!না কারো প্রতি কোনো অভিযোগ থাকবে, না কোনো অভিযোগ করবো’!!চুপচাপ সরে আসবো আমি’!!হয়তো একটু কষ্ট হবে ভালোবাসার মানুষটার জন্য কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে’!!কারন এই দুনিয়াতে সবার জন্য খোদা কাউকে না কাউকে বানিয়েছে’!!আমার জন্য আছে কেউ যে আমায় খুব করে ভালোবাসবে’!!তার জন্য অপেক্ষা করবো আমি’!!আর অপেক্ষার ফল সবসময় মিষ্টি হয়” ||?

———“তাই আমি আপনাকে বলবো ভাইয়া আপনি যদি কারো গল্পের থার্ডপারসোন হয়ে থাকেন তাহলে সরে আসুন’!!কারন এতে আপনিও ভালো থাকবেন আর আপনার ভালোবাসার মানুষও ভালো থাকবে’!!আর সবচেয়ে বড় একটা কথা হলোঃ

———”সবসময় ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেলেই সুখ হয় না দূরে গেলেও হয় কারন ভালোবাসার মানুষের সুখটাই যে বড় নিজের সুখের চেয়ে তাই না!!?

||

“এদিকে তানজুর কথাগুলো খুব মন দিয়ে শুনলো সোহান’!!তারপর হালকা হেঁসে বলে উঠল সোহানঃ

———–“একদম ঠিক বলেছো তুমি..!!আমিও এমন কিছু একটা ভেবেছিলাম জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না’!!তাই নিজ ইচ্ছেই সরে আসতে হয় কোনো জামেলা ছাড়া!!থ্যাংক ইউ তানজু…….

“সোহানের কথ শুনে হালকা হেঁসে বলে উঠলাম আমিঃ

————-“মোস্ট ওয়েলকাম ভাইয়া…..

“এমন সময় রুহি ডাক দিল আমায়’!!সাথে সাথে রুহিকে আসছি বলে সোহানকে বলে উঠলাম আমিঃ

————-“ঠিক আছে ভাইয়া এখন আমি যাই পরে কথা হবে…..

————-“ঠিক আছে…..

“বিনিময়ে আমিও আর কিছু না বলে হাল্কা হেঁসে চলে আসলাম’!!

_________________________________________

____________________

|| “দুপুর_দু’টো….. ||

“ভাইয়াদের রান্নাবান্না করা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে’!!এখন খাওয়াদাওয়ার পালা…

“আর সবাইকে খাবার দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের’!!মানে মেয়েদের’!!আমরা চারজন মিলে খাবার দিবো আমি,রুহি,আরু আর তিশা’!!আমাদের সামনেই টেবিলে বসে আছে সবাই’!!আম্মু আব্বু দিহান,সোহান,রিয়াদ,আদিল,নানা,নানু,রিয়াদ ভাইয়ার আম্মু আব্বু আর তিশার আম্মু আব্বু, আফরিন আপু দুলাভাইসহ সাথে আরো কিছু লোক……

-একে একে সবাইকে খাবার দিতে শুরু করলাম আমরা’!!সবাই খাবার খেয়ে বললোঃ

———-“সত্যি খাবার খুব মজাদার হয়েছে…..

“আর সবার কথা শুনে ছেলেরাও একটা ভাব নিয়ে বললোঃ

————“দেখতে হবে না কারা বানিয়েছে…?

“হাসলো সবাই!দুপুরটা খুব সুন্দরভাবেই কাটলো আমাদের’!!

||

আর অন্যদিকে সোহান সবকিছু ঠিক ভাবে মেনে নিতে পারলেও আরু পারলো না’!!কারন ছোট বেলা থেকেই তানজুর প্রতি রাগ আছে তার’!!কখনো প্রকাশ না করলেও আড়ালে অনেক ক্ষতি করেছে’!!যেমন নিজে অপরাধ করে তানজুর নাম দেয়া….!!এখন রিয়াদ আরুর সাথে খুব কমই মেলামেশা করে’!!আগের মতো আরুর সব আবদার মেনে নেয় না’!!যেমন হুট করে তাকে জড়িয়ে ধরা’!!রিয়াদ রিয়েক্ট করে খুব আরু এমন হুটহাট গায়ে পরার স্বভাবে’!!আর রিয়াদের এমন ব্যবহার সহ্য করতে পারে না আরু’!!আর সবকিছুর জন্য সে তানজুকেই দাই করে’!!তাই সামনে সামনে তানজুর সাথে ভালোভাবে কথা বললেও ভিতরে ভিতরে খুবই হিংসা করে সাথে ক্ষতি করার ফন্দি আঁটে’!!আরু মনে করে তানজুই রিয়াদকে তার কাছ থেকে কেঁড়ে নিয়েছে…..!!যেটা আরুকে পুরো হিংস্র মনোভাব তৈরি করে দিয়েছে……..!!সারাদিন রিয়াদের সাথে তানজুর মিশামিশি কোনোটাই দেখতে পারে না আরু…….!!

||

|| ঘড়িতে ৬ঃ০০টা বেজে পাঁচ মিনিট…. ||

“সন্ধ্যা হওয়ার আগ মূহুর্ত!!আকাশে থাকা সূর্যটা পুরো লাল বর্ন ধারণ করেছে’!!এমন একটা সময়ে বাড়ির চারিদিকে হাঁটছি আমি’!!গ্রামের এই সন্ধ্যা হওয়ার মুহূর্তটা আমার খুব ভালো লাগে’!!খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত চারিদিকে গাছের ঠান্ডা শীতল বাতাস’!!বরাবরই সুন্দর…..

“হর্ঠাৎই চোখ গেল আমার সামনে’!!পুকুর পাড়ের এক কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে আরু’!!এমন সময় পুকুর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হলাম আমি’!!কোনোকিছু না ভেবেই ওর সামনে চলে গেলাম আমি’!!তারপর ওর কাঁধে হাত দিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ

————“এখানে একা একা দাঁড়িয়ে কি করছিস তুই…….

“আমার দিকে না ঘুরেই আরু বলে উঠলঃ

————–“তোরই অপেক্ষা করছিলাম…..

”আরুর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

—————“মানে…….

—————“আচ্ছা তুই তো সাঁতার জানিস না তাই না……

————–“সেটা নতুন নাকি…..

————–“আচ্ছা তোকে যদি এই পানিতে ঠেলে ফেলে দেই তাহলে তুই তো মরে যাবি…..

”আমি হেঁসেই বলে উঠলামঃ

————-“আমি মরে গেলে তুই খুব খুশি হবি বুঝি…

“আরু উচ্চ স্বরে হেঁসে বলে উঠলঃ

————-“খুব খুশি হবো তুই মরে গেলে আমার আর রিয়াদের মাঝখানে কেউ আসতে পারবে না,,তুই মরে যা না…..

“আমি আরুর কথার আগামাথা বুঝতে না পেরে বলে উঠলামঃ

————–“তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি…..

“আরু আমার কথা শুনে আমার কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলে উঠলঃ

————–“হুম আমি পাগল হয়ে গেছি,,প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে আমার মাথায়…..

————–“কিসের প্রতিশোধ…..

————-“আমার কাছ থেকে রিয়াদকে কেঁড়ে নেওয়ার প্রতিশোধ…..

“আরুর কথা শুনে আমি পুরো শকট কি বলছে এসব…..!!

————–“তুই এসব কি বলছিস…..

————-“ঠিক বলছি…..

“আর কিছু বলার আগেই আরু ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয় তানজুকে’!!আর বলতে থাকেঃ

————-“তুই মরে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে…..,,আমিও রিয়াদকে নিয়ে খুব ভালো থাকবো দেখিস তুইও ভালো থাকিস ওই উপরে…..

“বলেই হাসতে হাসতে চলে যায় আরু!

||

“সন্ধ্যার এই সময়ে কেউ এদিকে আসবে না’!!তাই আমাকেও কেউ বাঁচাতে পারবে না’!!পানির ভিতর লাফালাফি করছি আমি’!!হয়তো আর কোনোদিনই দেখা হবে না কারো সাথে……!!রিয়াদ আমায় ছাড়া ভালো থাকবে তো….

“আর ভাবতে পারলাম না আমি,,নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার’!!হয়তো জ্ঞান হারাচ্ছি আমি……,,আরু এমনটা কি করে করতে পারলো……

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here