বৃষ্টি শেষে,পর্ব -১,২,৩
আমিরাহ্ রিমঝিম
পর্ব – ১
বৃষ্টিকালের ছুটির দিন। কোচিং সেন্টারের গেট দিয়ে এক দল ছেলে-মেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে। বেশিরভাগই মাত্র দিয়ে আসা পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আলোচনায় ব্যাস্ত। আশেপাশের রিকশার টুংটাং আওয়াজ আর মানুষের ব্যস্ততার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের হৈ চৈ এর আওয়াজ মিশে যাচ্ছে।
– এই রাইসা…
রাইসা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁধে ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগের ফিতা দুই হাতে ধরে এদিক সেদিক তাকিয়ে তিন্নিকেই খুজছিলো, ডাক শুনে তিন্নির কাছে চলে এলো।
– আরে কোথায় ছিলি তুই, কতক্ষণ ধরে খুজছি তোকে?
– আমি আরো তোর জন্য ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচ্ছা বাদ দে, চল এখন, দিশার বাসায় যাবি না ?
– হ্যাঁ চল।
– রিকশা নিবি?
-না থাক, কাছেই তো।
– হুম। জানিস সেদিন…..
দুইজন গল্প করতে করতে হাটতে থাকে দিশার বাসার দিকে।
রাইসার স্কুলের সবচেয়ে ভালো বান্ধুবি দিশা। বেস্ট ফ্রেন্ড। আর কোচিংয়ে একসাথে পড়ার সুবাদে অন্য স্কুলের তিন্নির সাথেও ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে রাইসা আর দিশার। আজ ওরা দুইজন দিশার বাসায় যাচ্ছে কারণ গত তিনদিন ধরে দিশার কোনো খোজ নেই। না স্কুলে আসছে আর না কোচিংয়ে। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। এমন না হলে রাইসা কখনোই আজকে কোচিংয়ের পর বাসায় যেতে দেরি করতো না। কিছুদিন আগেই রাইসার আরেকজন ছোটভাই এসেছে পৃথিবীতে। আগামীকাল ছোট্টবাবুর আকীকা। আর রাইসা আজকে বাসায় থাকবে না?
রাস্তা ছেড়ে একটা গলি ধরে বেশকিছুদূর যাওয়ার পর নীল রঙের একটা দালান চোখে পড়ে।
“ওইটা না দিশাদের বাসা?” তিন্নি প্রশ্ন করে। রাইসা একবার সেদিকে তাকিয়ে বলে “না, আরেকটু পর। ওরা যে বাসায় থাকে সেটা চারতলা।”
“ওহ আচ্ছা ”
দিশাদের বাসার দরজায় তালা দেয়া। রাইসা, তিন্নি দুইজনই হতাশ হলো, খানিকটা চিন্তিতও হলো। গেল কোথায় মেয়েটা? দুইজন যখন হতাশ হয়ে এসব ভাবছে, তখন সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলেন ফুলবানু বেগম, দিশাদের বাসায় কাজ করেন উনি।
– তুমি দিশার বান্ধুবি রাইসা না? দিশারে খুজতে আইসিলা?
ফুলবানু বেগমকে দেখে রাইসার মুখে হাসি ফুটে ওঠে
– আসসালামু আলাইকুম। জ্বী আন্টি। দিশা কোথায় গেছে? তিনদিন ধরে ক্লাসেও আসে না কোচিংয়েও আসে না আবার ফোনেও পাই না
– অরা তো গেরামে গেসে। অর আম্মার নাকি নানা মারা গেসে। পরে খবর পাইয়া হেইদিনই চইলা গেসে। অগো গেরামে মনে হয় ফুনের সিগনাল নাই।
– ওহ, আচ্ছা তাহলে দিশা আসলে আমাকে ফোন দিতে বলে দিয়েন।
– আইচ্চা কমুনে।
রাইসা আর তিন্নি সিড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছিলো তখন ফুলবানু বেগম আবার তাদের ডাকলেন
– তুমরা যাইবা কেমনে? রাস্তায় তো গাড়ি চলতাসে না।
রাইসা সাথে সাথেই জিজ্ঞাসা করলো
-কেন?
-সামনে কুনহানে জানি গন্ডগোল না কি জানি অইসে, রাস্তা আটকিয়া দিসে। যাওয়ার সময় ভিত্রের রাস্তা দিয়া রিকশা নিয়া যাইয়ো।
– ঠিক আছে আন্টি।
তিন্নি রিকশা নিয়ে বাসার দিকে চলে গেলে রাইসা পড়লো বিপাকে। মেইন রোডে গাড়ি চলছে না, যা টাকা সাথে আছে তাতে অনায়সে ভেতরের রাস্তা ধরে রিকশা নিয়ে যাওয়া যেত।কিন্তু সমস্যা হলো আকাশে হুট করেই বেশ মেঘ করেছে, বৃষ্টিও শুরু হয়েছে গুড়িগুড়ি। হয়তো কিছুক্ষণ পরেই ঝুম বৃষ্টি নামবে। সেই উপলক্ষে আর মেইন রোডে গাড়ি না থাকায় রিকশার ভাড়াও বেড়ে গেছে অনেকখানি। তারউপর কোনো রিকশা যদি যেতে রাজিও হয়, আর কিছুদুর যাওয়ার পর ঝুমঝুমিয়ে নামে তখন তো ঝামেলা হয়ে যাবে।
অনেক ভেবে রাইসা ঠিক করলো কোনো এক দোকান থেকে বাবাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে বাবার জন্য অপেক্ষা করবে, তারপর বাবা এসে রাইসাকে নিয়ে যাবে।
সামনের দোকানে যাওয়ার জন্য এগুনোর আগেই একটা চকচকে সাদা গাড়ির দিকে চোখ যায় রাইসার। ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা লোকটার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ভাবে,
“নাফিদ ভাইয়ার মতো লাগছে না দেখতে?”
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
বৃষ্টি শেষে
আমিরাহ্ রিমঝিম
পর্ব – ২
মেইন রোড বন্ধ থাকায় ভেতরের রাস্তা দিয়েই চাচার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো নাফিদ। কোচিং সেন্টার পার হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর খেয়াল করলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বারো তেরো বছরের একটা মেয়ে তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। সবুজ জামা, সবুজ হিজাব আর কাধে কালো ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে দেখতে নাফিদের কাছে রাইসার মতো মনে হলো, আবার ভাবলো রাইসার তো এখন এখানে থাকার কথা না। কিন্তু গাড়ি যখন আরো সামনে এগুলো তখন বুঝতে পারলো এটা আসলেই রাইসা।
গাড়ি থামিয়ে তাড়াতাড়ি নেমে এলো নাফিদ। রাইসার মুখেও তখন হাসি ফুটে উঠেছে।
– আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, কেমন আছেন?
– ওয়ালাইকুমুসসালাম। আছি তো ভালোই কিন্তু তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কোনো সমস্যা হয়েছে?
– আসলে ভাইয়া….
রাইসা কথা বলার আগেই নাফিদ গাড়ির পেছনের দরজা খুলে দেয়
– আচ্ছা আগে গাড়িতে উঠ। বৃষ্টি পড়ছে।
– ভাইয়া আমি সামনের সিটে বসি?
– হ্যাঁ যা বস। তুই তো সামনের সিটে বসতে পছন্দ করিস।
রাইসা সামনের সিটে গিয়ে বসে। নাফিদ এসে আবার ড্রাইভিং সিটে বসতে না বসতেই জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। রাইসা মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বলে।
– ভাইয়া আপনি একদম সময়মতো এসেছেন। আমিতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যে বাসায় কিভাবে যাবো।
– তা তো বুঝলাম, কিন্তু তুই এখানে কেন?
– কোচিং ছিলো ভাইয়া।
– আজকে? আজকে কিসের কোচিং? আজকে না ছুটি?
– ভাইয়া কোচিংয়ে পরীক্ষা ছিলো আজকে। নাইলে আজকে আসতাম না।
– তুইতো এইবার এইটে না? সামনে জেএসসি পরীক্ষা, প্রিপারেশন কেমন?
– এইতো ভাইয়া পড়ছি।
– হুম ভালো করে পড়বি।
এরপর আর কথা আগায় না। বাইরে এতো জোরে বৃষ্টি হচ্ছে যে কয়েক হাত দূরে শুধু সাদা দেখা যাচ্ছে। জানালার কাচ ঘোলা হয়ে গিয়েছে জলীয় বাষ্প জমে। সেখানে আংগুল দিয়ে নিজের নাম লিখলো রাইসা। নাফিদ ভাইয়া যদি পাশেই বসে না থাকতো তাহলে নিজের নামের সাথে নাফিদের নামটাও হয়তো লিখে ফেলতো। আড় চোখে একবার নাফিদের দিকে তাকিয়ে আবার অন্যদিকে চোখ ফেরায়।
– রাইসা, আমার ফোনটা নে। নিয়ে চাচ্চুকে ফোন দিয়ে জানা তুই আমার সাথে আছিস, বাসায় আসছিস। চাচ্চু হয়তো টেনশন করছে অনেক।
রাইসা নাফিদের বাড়িয়ে রাখা হাত থেকে ফোন নিয়ে ওর বাবাকে ফোন দেয়।
– হ্যালো নাফিদ….
– আব্বু আমি, রাইসা
– তুই কি নাফিদের সাথে?
– হ্যাঁ আব্বু, আসছি বাসায়।
– আচ্ছা নাফিদকে একটু দে।
রাইসা ফোনটা নাফিদের দিকে দিলে নাফিদ ইংগিত করে লাউডস্পিকারে দেয়ার জন্য, রাইসা তাই করে।
– আসসালামু আলাইকুম চাচ্চু। চাচ্চু, রাইসার সাথে দেখা হয়েছে রাস্তায়, আমি নিয়ে আসছি ওকে।
– ওয়ালাইকুমুসসালাম। নিয়ে আসছো না? আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আরো কেবল বের হতে যাচ্ছিলাম ছাতা নিয়ে। কতদূর তোমরা?
– চাচ্চু বৃষ্টি তো অনেক, বেশি তাড়াতাড়ি চালানো যাচ্ছে না গাড়ি। তবে মনে হয় আধা ঘন্টার মধ্যে পৌছে যাবো।
– আচ্ছা ঠিক আছে, রাখি।
ফোনে কথা শেষ করে নাফিদ আবার রাইসাকে ডাকে
– রাইসা শোন, বাইরে যেহেতু একা একা আসা যাওয়া করিস একটা বাটন ফোন অন্তত রাখিস সাথে। কাজে লাগে।
রাইসা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে আবার বাইরে দেখায় ব্যস্ত হয়ে গেলো। ওর খুবই ভালো লাগছে। বৃষ্টি, গাড়ির সামনের সিটে বসে রাস্তা দেখা এসবই ওর খুব পছন্দ। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যে কারণে ওর সবচেয়ে ভালো লাগছে সে কারণটা হলো নাফিদ। নাফিদ ওকে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে! আবার আজকে ওদের বাসায়ও থাকবে! আগামী দুইতিন দিনও থাকবে!
নাফিদের দিকে একবার তাকায় রাইসা। এক মনে সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভিং করছে।নাফিদ ভাইয়া যে কি সুন্দর! ভীষণ হ্যান্ডসাম। যদিও রাইসার চেয়ে একটু বড়……একটু না, বেশ বড়। গুনে গুনে নয় বছরের বড়। তবু রাইসার নাফিদকে ভালো লাগে। খুব ভালো লাগে।
( চলবে ইনশাআল্লাহ)
বৃষ্টি শেষে
আমিরাহ্ রিমঝিম
পর্ব – ৩
রাইসাদের বাসার সামনে এলে দেখা গেলো রাইসার বাবা বাড়ির নিচে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। নাফিদের গাড়ি আসতে দেখে তার মুখে স্বস্তির হাসি ফুটে উঠলো, বেশ চিন্তায় ছিলেন এতক্ষণ। গাড়ি থামতেই তিনি তাড়াতাড়ি ছাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই গাড়ির কাছে চলে এলেন, মেয়েকে সাবধানে ছাতার নিচে করে বাসার নিচে নিয়ে এলেন যেন একফোঁটা বৃষ্টির আঁচ মেয়ের গায়ে না লাগে। নাফিদ গাড়ি থেকে নেমে আসতে আসতে কিছুটা ভিজে গেলো।
– আসসালামু আলাইকুম চাচা, কেমন আছেন?
– ওয়ালাইকুমুসসালাম, এইতো আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি নাফিদ বাবা। তোমার কি খবর? ভালো আছো?
– জ্বী চাচা আলহামদুলিল্লাহ।
– ভাই, ভাবী, নাফিসা ওরা আসতে এতো দেরি করছে কেন?
– আব্বু আম্মু পৌছায়নি এখনো? ও রাস্তা তো বন্ধ, আবার বৃষ্টি, সেই কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে।
– ও হ্যাঁ রাস্তা তো বন্ধ। ভাইকে ফোন দেই, দেখি কতদূর। রাইসা তুই বাসায় যা, এখানে দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি সারাদিন?
– চাচ্চু আমি গাড়িটা রেখে আসি।
– হ্যাঁ হ্যাঁ যাও।
রাইসাদের বাড়ির নিচতলায় থাকা গ্যারেজটা ছোট। আর আজ সেখানে একটুও জায়গা নেই। তাই নাফিদ গেলো অন্য বাড়ির গ্যারেজে গাড়ি রাখতে। রাইসার বাবা ছাতাটা দেয়ায় এবার আর গাড়ি পর্যন্ত যেতে গিয়ে ভিজতে হলোনা নাফিদকে। রাইসার বাবা গ্যারেজেই দাড়ালেন নাফিদের জন্য, আর নিজের ভাইকে ফোন করলেন। রাইসা ততক্ষণে তিনতলা সিড়ি বেয়ে বাসায় পৌঁছে গিয়েছে।
রাইসার মায়ের ঘরটা চুপচাপ। শুধু ঘর নয়, ঘরের আশেপাশেও কেউ শব্দ করছে না। কাজ করছে যথাসম্ভব নিঃশব্দে। যেন কোনো অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে শব্দের উপর। নানুকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো এই ঘরের বাসিন্দারা ঘুমে। রাইসা সাবধানে দরজাটা একটু ফাঁকা করে ঘরের ভেতর উঁকি দিলো। মা ঘুমাচ্ছে, আর পাশেই দুই হাত মাথার দুইপাশে রেখে কাদা কাদা হয়ে ঘুমাচ্ছে ছোট্ট রাহিব।
রাইসা আস্তে করে দরজাটা আবার চাপিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে চলে আসে। মায়ের ঘরের আশপাশটা যত নিশ্চুপ ছিলো, ওর নিজের ঘরে ততটাই হৈ চৈ হচ্ছে। যত ফুপাতো খালাতো মামাতো বোন আছে সব ওর ঘরে আড্ডায় মেতেছে। সেই শোরগোলের মধ্যেও খাটের এক কোনায় চুপচাপ ব্লক দিয়ে খেলছে রাইসার ছয় বছর বয়সী ভাই রাকিব। রাইসা আস্তে আস্তে রাকিবের কাছে গেলো।
– কি ব্যাপার? রাকিব কি করে?
রাইসাকে দেখে রাকিব ভীষণ উৎফুল্ল হয়ে উঠলো
– দেখো আপু এটা কি বানিয়েছি!
– কি এটা?
– এটা একটা সাবমেরিন!
– তাই নাকি!
– হ্যাঁ। দাড়াও দেখো আবার কি বানাই!
ওদের কথোপকথন শুনে ওদের মামাতো বোন সামিয়া ওদিকে তাকালো
– সাবমেরিন? আমাকে তো বলেছিলো ওটা একটা বাস। আর যুথিকে নাকি বলেছে ওটা মুরগি ধরার ফাদ।
সামিয়ার কথা শুনে রাইসা হাসে। এতদিন রাকিবের মন খারাপ ছিলো কেন হসপিটাল থেকে রাহিব বাবুকে নিয়ে আসলো। আজ তাহলে মন ভালো হয়েছে।
ব্যাগ রেখে রাইসা কোনমতে ফ্রেশ হয়ে এসে বোনদের সাথে বসে গেলো। যুথি, সামিয়া,রিতু আর রাইসা কাছাকাছি বয়সের। বাকি সবাই ওদের চেয়ে বড়। হিসাব করলে রাইসা ওর দাদাবাড়ির মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। রাইসার চাচা এখনো এসে পৌছাননি।
চার বোনে যখন গল্প জমে উঠেছে তখন বাসার দরজা খোলার আওয়াজ এলো, সেই সাথে রাইসার বাবার কন্ঠ। কি হয়েছে দেখার জন্য ড্রইংরুমে উকি দিতেই চারজনই হো হো করে হেসে উঠলো। নাফিদ দাঁড়িয়ে আছে সারা গায়ে কাদা মেখে।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)