বেদনার_রঙ_নীল একচল্লিশ পর্ব

0
223

#বেদনার_রঙ_নীল
একচল্লিশ পর্ব
লিখা- Sidratul Muntaz

মিষ্টি আর অজান্তাকে একসাথে জড়ো করে জরুরী কথা বলার উদ্দেশ্যে তাদের সামনে বসল প্রণয়। ইতস্তত বোধ করছে সে। কথাটা কিভাবে বলা উচিৎ? কোথা থেকে শুরু করা উচিৎ? হুট করে কি বলা যায় যে সে বিয়ে করে ফেলেছে!

অজান্তা বললেন,” কি এমন জরুরী কথা? যা বলবি দ্রুত বল। অযথা সময় নষ্ট করছিস কেন?”

মিষ্টি দুষ্ট হেসে বলল,” প্রণয়, তোর চোখ-মুখ এমন লাল দেখাচ্ছে কেন? সত্যি করে বল কি অঘটন ঘটিয়েছিস? আবার বিয়ে-টিয়ে করে ফেলিসনি তো?”

মিষ্টি নিতান্তই মজা করে কথাটি বলেছিল। কিন্তু তার মজাটাই যে সত্যি হয়ে যাবে তা কে জানতো? প্রণয় খুব ভড়কে গেল। ভড়কে গিয়েই সত্যিটা বলে ফেলল,” কিছুটা সেরকমই। বরং তার চেয়েও বেশি।”

এমন কথা শুনে অজান্তা আর মিষ্টি দু’জনেই হকচকিয়ে গেল। মিষ্টি বিষমচিত্তে বলল,” এর মানে?”

প্রণয় দ্রুতগতিতে অজান্তার কাছে এসে হাঁটু মুড়ে বসল। পা জড়িয়ে ধরে বলল,” স্যরি ছোটমা। কখনও ভাবিওনি যে তোমাকে না জানিয়ে এভাবে বিয়ে করে ফেলবো। কিন্তু করতে হলো।”

অজান্তা প্রসারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন কিছুসময়। তারপর অনেকটা হতবাক সুরে বললেন,” করতে হলো মানে? কি এমন হয়েছে যে তোর বিয়ে করতেই হলো?”

প্রণয় দৃষ্টি ঘুরিয়ে অন্যদিকে চাইল। চাপা স্বরে উচ্চারণ করল,” ও এখন প্রেগন্যান্ট।”

মিষ্টি আৎকে উঠল,” ওহ মাই গড।”

অজান্তা লম্বা শ্বাস টেনে নিলেন। কথাটা হজম করতেই কষ্ট হচ্ছে তাঁর। বিস্মিত গলায় বললেন,” এসব কি শোনাচ্ছিস তুই? তোর যে একটা বিবাহযোগ্যা বড়বোন আছে সেটা কি ভুলে গেছিস? কখনও কি শুনেছিস যে বড়বোনের আগে ছোটভাইয়ের বিয়ে হয়ে যায়?”

প্রণয় অভিযোগ তোলার উদ্দেশ্যে বলল,” কিছুদিন আগেই তো রিসবের বিয়ের কথা ভাবছিলে। রিসবও তো মিষ্টি আপুর ছোট।”

অজান্তা চোখ রাঙিয়ে বললেন,” তুই আর রিসব কি এক? সে সবসময় বাড়ি থেকে দূরে থাকে। বিয়ে দিলে যদি ঘরে মন আসে সেজন্য তার বিয়ের কথা চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু তুই এটা কি করলি?”

মিষ্টি পরিস্থিতি সামাল দিতে বলল,” তুমি আগেই এতো উত্তেজিত হয়ে যেও না ছোটমা। আমি নিশ্চিত ও মজা করছে। প্রণয়, যদি এটা ফাজলামি হয়ে থাকে তাহলে খুবই বীভৎস ফাজলামি হচ্ছে কিন্তু।”

প্রণয় মাথা নত করে বলল,” আনফরচুনেটলি এটা কোনো ফাজলামি না। আমি সত্যি বলছি। সত্যিই আমি বিয়ে করেছি আর ও এখন প্রেগন্যান্ট।”

অজান্তা ঝটিতে প্রণয়ের গালে চড় মারলেন। থমথমে কণ্ঠে বললেন,” তোর লজ্জা করছে না? এতোবড় অন্যায় করে আবার মাথা তুলে কথাও বলছিস?”

প্রণয় নিমজ্জিত কণ্ঠে বলল,” আমি অন্যায় করিনি বিশ্বাস করো। সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে গেছে। তোমাদের বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু…”

“আমি আর শুনতে চাই না৷ মিষ্টি, ওকে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যেতে বল।”

মিষ্টি ইশারায় অনুরোধ করল,” প্লিজ যা ভাই।”

প্রণয় বের হয়ে যাওয়ার আগে বলল,” তুমি অনুমতি দিলে কাল ওকে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাই।”

মিষ্টি ধমক দিতে উদ্যত হলো। অজান্তা তাকে থামালেন।কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ থেকে বললেন,” ঠিকাছে নিয়ে আসিস।”

তাঁর আচমকা সম্মতিতে মিষ্টি কিঞ্চিৎ বিস্মিত হলো। প্রণয়ের চেহারায় ফুটল স্বস্তির হাসি।

মিষ্টি ব্যস্ত কণ্ঠে বলল,” তুমি কি ভেবে বলছো ছোটমা?”

” ভেবেই বলছি। আর তো কিছু করার নেই। ”

প্রণয় ছুটে এসে অজান্তাকে জড়িয়ে ধরল। কৃতজ্ঞ স্বরে বলল,” থ্যাঙ্কিউ ছোটমা। আমি জানতাম তুমি বুঝবে।”

” যা এবার। ওকে আনার অনুমতি দিয়েছি মানে এই নয় যে তোকে মাফ করে দিয়েছি। তোর ভুলের শাস্তি তুই ঠিকই পাবি।”

প্রণয় সানন্দে মাথা নেড়ে বলল,” তুমি যেই শাস্তি দিবে, আমি সব মানতে রাজি।”

সে ঘর থেকে বের হয়ে যেতেই অজান্তা চাপা নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন,” রিসব তাহলে সত্যিটাই বলেছিল।”

মিষ্টি চোখ বড় করে তাকাল। কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল,” মানে? রিসবও জানে এসব?”

” হ্যাঁ। আজ সকালেই ও আমাকে বলছিল প্রণয় নাকি বিয়ে করেছে। ওর কথা আমি বিশ্বাস করিনি৷ কিন্তু এখন দেখছি সবই সত্যি!”

” মেয়েটা কে ছোটমা? আমরা কি চিনি?”

” কি জানি? কাল এলেই বোঝা যাবে।”

মিষ্টির এখনও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার ছোটভাই যে গভীর জলের মাছ! সে এতো কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা মিষ্টি ধারণাই করেনি।

গভীর রাত। পা টিপিয়ে হাঁটছে তুলি। টিনাদের বাড়ি থেকে ফিরতেই দেরিটা হলো। মেডিকেল কলেজের জন্য এপ্লাই করতে গিয়েছিল। টেলিটক সিম ছাড়া পেমেন্ট করা যায় না৷ তুলি টিনার সাহায্যে পেমেন্ট করেছে। গল্প করতে কর‍তে আর সময়ের দিকে খেয়াল ছিল না৷ রাইফা তার সঙ্গে আসেনি কারণ সে মেডিকেলে পরীক্ষা দিবে না৷ তুলির মোবাইল বাজছে। হয়তো রাইফাই ফোন করছে বার-বার। ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতে করতেই ফোন কেটে গেল। তুলি ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে নিল। একটা রিকশা পেলে ভালো হতো। আজকে অবশ্য তুলির অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশিই ভয় লাগছে। প্রথমত সে একা। আর দ্বিতীয়ত নিরিবিলি রাস্তায় কোনো রিকশা নেই। হঠাৎ সামনে একটি রিকশা এসে থামল। কিন্তু রিকশায় যাত্রী আছে। তুলি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই পরিচিত একটি কণ্ঠ বলল,” তুলি না?”

কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল তুলি। অবাক হয়ে বলল, “কে?”

মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলো মানুষটির মুখের কাছে ধরতেই আত্মা কেঁপে উঠল তুলির। আজমীর!

হাসিমুখে আজমীর রিকশা থেকে নামল। তুলির দিকে এগিয়ে আসছে সে। তুলি ভয়ে পিছিয়ে গেল কয়েক পা। আজমীর একটু থেমে বলল,” কি সৌভাগ্য! তুমি এতোরাতে এই জায়গায় কি করছো তুলি?”

তুলি রাগী দৃষ্টিতে বলল,”আপনি এখানে কি করছেন?”

” আমার বন্ধুর বাসা এইদিকে। এইতো সামনেই। তুমি কি বাড়ি যাচ্ছো? তাহলে ওঠো আমার সাথে রিকশায়! বাই দ্যা ওয়ে, তুমি এখন কোথায় থাকছো? প্রণয়ের বাড়িতে নাকি রাইফার বাড়িতেই?”

তুলি উত্তর না দিয়ে দ্রুত পা চালাতে শুরু করল।আজমীর তাকে পেছনে পেছনে প্রায় দশমিনিটের মতো অনুসরণ করছিল। একসময় তুলি অধৈর্য্য গলায় বলল,” আপনি যদি আমার পেছনে আরেকবার আসেন আমি কিন্তু চিৎকার করবো।”

আজমীর সকৌতুকে বলল,” এখানে তোমার চিৎকার শোনার মতো কেউ আছে বলে মনে হয় না।”

” কি বললেন আপনি?”
তুলি বিস্ফারিত চোখে তাকাল। আজমীর হেসে বলল,” চা খাবে?”

” আমি চা খাই না।”

” তাহলে আইসক্রিম? এটা নিশ্চয়ই নিষেধ করতে পারবে না। কারণ আমি জানি আইসক্রিম তোমার খুবই পছন্দ।”

আজমীর এই কথা বলেই তুলির গা ঘেঁষে হাঁটতে লাগল। তুলি আতঙ্কে চিৎকার দিয়ে উঠল,” কে আছেন? আমাকে বাঁচান। এই বদলোক আমার পিছু নিয়েছে। কেউ বাঁচান আমাকে।”

ত্রাসে তুলির কণ্ঠ দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছিল না। সে যতটা চিৎকার করেছে ততটাও অনেক অল্প। তবে আজমীর একটু ভয় পেল। সামান্য বিচলিত কণ্ঠে বলল,” এভাবে চেঁচানোর কি আছে তুলি? আমাকে বললেই তো আমি চলে যাই।”

তুলি বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়তে লাগল। নীরব রাস্তায় দু-একজন মানুষ এসে ভীড় জমালো। আজমীর ততক্ষণে চলে গেছে।

বাড়ি ফিরে তুলি দেখল রাইফা ঘুমিয়ে পড়েছে। সূচি তুলিকে খাবার বেড়ে দিলেন। কিন্তু তুলির খেতে ইচ্ছে করছিল না। সে নিজের ঘরে এসে বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়ল। প্রণয় ফোন করছিল অনেকক্ষণ ধরে। তুলি একবার ভাবল প্রণয়কে আজমীরের ঘটনাটি বলবে। কিন্তু প্রণয় এসব শুনলে রেগে যাবে। অযথাই ওভার রিয়েক্ট করবে। এই ভয়ে তুলি আর বলতে পারল না। কিছুক্ষণ প্রণয়ের সাথে কথা বলে সে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়ল।

মাঝরাতে হঠাৎ করেই সম্পূর্ণ শরীরটা ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল তুলির। মনে হলো সে যেন উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে যাচ্ছে। ঘুমটা ছুটে গেল। চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। এতো অন্ধকার তুলি যেন আগে কখনোই দেখেনি। ভীষণ ভয় পেয়ে গেছে সে। কোনোমতে বিছানা ছেড়ে উঠে বাতি জ্বালল। আজরাতে একা শোয়াটা বোধ হয় একদম ঠিক হয়নি। কিন্তু প্রেগন্যান্সির পর থেকে প্রত্যেক রাতেই তুলির এমন ঘুম ভেঙে যায়। রাইফার সাথে ঘুমালে সে বিরক্ত হতে পারে এই ভেবে তুলি একাই শুয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে একা শোয়াটা ভুল হয়েছে। ডাইনিংরুমে গিয়ে পানি খেয়ে নিল সে। রাত আড়াইটা বাজে। কিন্তু তুলির খুব ক্ষিদে পাচ্ছে। আবার কিছু রাঁধতেও ইচ্ছে করছে না। ফ্রীজ খুলে দেখল পাউরুটি আর চকলেট আছে। এই মুহূর্তে তুলির ঝাল কিছু খেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু রান্না করার মুড নেই দেখে সে চকলেট দিয়ে পাউরুটি খেল। অল্পকিছু খাবার পেটে যেতেই তার বমি এলো। দৌড়ে বাথরুমে গেল বমি করতে। ঠিক সেই মুহূর্তে তুলি তার পেটে প্রচন্ড চাপ অনুভব করল। মনে হচ্ছে বড় কোনো শক্ত খন্ড তার পেট হালকা করে বেরিয়ে আসছে। পর মুহূর্তেই বাথরুমের সাদা টাইলসে রক্তে রঙিন হয়ে উঠল। তুলি বাথরুমেই মূর্ছা গেল। সকালে তুলির যখন জ্ঞান ফিরল তখন সে হাসপাতালে। পেটে অসম্ভব ব্যথা। হাউমাউ করে কাঁদার মতো যন্ত্রণাময় এই ব্যথা। শোয়া থেকে উঠে বসতেই খুব বেগ পেতে হলো। একটু পর দেখা গেল রাইফা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকছে। তার চেহারা থমথমে। তুলি উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইল,” কালরাতে আমার কি হয়েছিল রাইফা? আমি এখানে কেন?”

রাইফা তুলির সামনে বসে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। কণ্ঠে একরাশ আক্ষেপ ঢেলে বলল,” আগে বল, তুই ঠিকাছিস? কেমন লাগছে এখন?”

” ভালো না। খুব পেটে ব্যথা করছে।”

” ঠিক হয়ে যাবে।”

” আমার কি হয়েছে? বাবু ঠিকাছে তো?”

রাইফা চোখমুখ অন্ধকার করে বলল,” তোর মিসক্যারেজ হয়ে গেছে তুলি।”

তুলি স্তব্ধ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরেই গর্জন করে কেঁদে উঠল সে। রাইফা তাকে সামলানোর জন্য দুই হাতে জড়িয়ে ধরল।

সকাল সকাল রাইফাদের বাড়িতে এসে হাজির হলো প্রণয়। কিন্তু দরজা লক। বাড়িতে কেউ নেই। অনেকবার কলিংবেল চেপেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। সকালে অবশ্য রাইফা তাকে ফোন করেছিল। প্রণয় ইচ্ছে করেই ফোন ধরেনি। একেবারে সরাসরি এসে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে কেউ বাড়িতেই নেই। আর আজ তো তুলিদের কোচিং-ও ছিল না। তাহলে তারা যাবে কই? দুশ্চিন্তায় প্রণয় তুলির নাম্বারে ডায়াল করল। তুলি তখন রাইফার সাথে গাড়িতে বসে আছে। বাড়িতেই ফিরছিল তারা। কাঁদতে কাঁদতে তুলির চোখমুখ ফুলে উঠেছে। প্রণয়ের ফোন পেয়ে তার কান্নার বেগ আরও বেড়ে গেল। রাইফা সেটা লক্ষ্য করে বলল,” তুই কথা বলতে পারবি? নাহলে আমাকে দে। আমি বলছি।”

তুলি ফোন রিসিভ না করে সাইলেন্ট করে দিল। আপাতত তার প্রণয়ের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। প্রণয়ের মুখোমুখিও হতে ইচ্ছে করছে না। এতোবড় একটা দুঃসংবাদ সে প্রণয়কে কিভাবে দিবে সেটাও বুঝতে পারছে না।

বাড়ি ফিরে দেখা গেল প্রণয় দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে রাইফা এবং তুলি দু’জনেই চমকে উঠল। প্রণয়ের দুইহাত ভর্তি শপিং ব্যাগ। একহাতে গোলাপের তোড়া। অন্যহাতে বড় একটা টেডি বিয়ার। এসব দেখে তুলি সিঁড়ির গোঁড়াতেই দাঁড়িয়ে পড়ল। উঠে আসার শক্তি পেল না। প্রণয় তাকে থেমে যেতে দেখে ভাবল তার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে৷ সঙ্গে সঙ্গে হাতের জিনিসগুলো মেঝেতে রেখে সে তুলির কাছে এলো। রাইফাকে বলল,” লিফটে উঠলে না কেন তোমরা?”

রাইফা জবাবে বলল, ” ভীড় ছিল। তাই উঠিনি।”

” তাই বলে সিঁড়ি দিয়ে উঠিয়ে আনবে আমার বউকে? একটু অপেক্ষা করলেই হতো!”

রাইফা কি বলবে বুঝতে না পেরে হাসল। প্রণয় আলতো করে তুলির কপালে চুমু দিল। তারপর কোমল হেসে বলল,” বাড়িতে সবকিছু জানিয়ে দিয়েছি আমি। ছোটমা বলেছে তোমাকে নিয়ে যেতে।”

তুলি একবার রাইফার দিকে তাকাল। রাইফার চোখ টলমল করছে। প্রণয় তুলিকে কোলে নিয়ে বলল,” আজকেই তোমাকে নিয়ে যাবো কিন্তু।”

তার চোখ থেকে ঠিকরে বের হচ্ছে খুশি।সে তুলিকে নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে এলো। দরজার কাছে আসতেই মুখে হাত দিয়ে আচমকা ফুঁপিয়ে উঠল তুলি। প্রণয় বিস্মিত হয়ে বলল,” কি ব্যাপার?”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here