বেদনার_রঙ_নীল চতুর্দশ পর্ব

0
312

#বেদনার_রঙ_নীল
চতুর্দশ পর্ব
লিখা- Sidratul Muntaz

প্রণয় যে শুধু ফোন পাঠিয়েছে তা নয়, নিজের নাম্বারের সাথে মিলিয়ে একটা সিমকার্ডও পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রণয়ের নাম্বারের সাথে এই সিমের নাম্বারে কেবল একটা ডিজিটের পার্থক্য। এছাড়া সম্পূর্ণ নাম্বার এক। পার্থক্যটা হচ্ছে সিক্স আর নাইন। তুলির সিম বাংলালিংক আর প্রণয়ের এয়ারটেল। ব্যাপারটা দারুণ তো! তুলির মনে হয় সিমটা প্রণয় নতুন কেনেনি। আগের সিমই ছিল। তুলি প্রণয়কে ফোন করল ঠিক রাত বারোটায়।

” হ্যালো।”

প্রণয় তো নাম্বার দেখেই তুলিকে চিনে ফেলেছে। তাই সরাসরি বলল,” এতোক্ষণে সময় হলো?”

” পড়াশুনা করছিলাম।” তুলি লজ্জা পেয়ে হাসল। কিন্তু সেই হাসি তো আর প্রণয় দেখল না। উদাস মুখে বলল,” ও আচ্ছা।”

” আপনি কি নিজের সিম আমাকে দিয়ে দিয়েছেন?”

” হুম। আগের সিম ছিল। নতুন করে সিম কেনার ঝামেলায় কে জড়ায়? তাছাড়া এখন ইন্টারনেটের যুগে সিম এতো ইম্পোর্ট্যান্টও না।”

তুলি রসিকতার উদ্দেশ্যে বলল,” কিন্তু এই সিম যে আপনার নামে রেজিস্টার করা! যদি আমি কোনো অকারেন্স করি তাহলে তো ধরা খাবেন আপনি।”

” কি এমন অকারেন্স করতে পারেন আপনি? আবার বিয়ের আসর থেকে পালানোর কোনো প্ল্যান আছে নাকি?”

তুলি হেসে উঠল,” না,না, আগামী পাঁচ বছরেও আর বিয়ে-টিয়ে নিয়ে চিন্তা করছি না। তাই পালানোর প্রশ্নও আসে না।”

” খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। এই উপলক্ষ্যে একটা গান হয়ে যাক!”

তুলি ফিক করে হেসে দিল। লাজুক কণ্ঠে প্রশ্ন করল,” মানে?”
” আপনি প্রমিস করেছিলেন।”

” প্রমিস করিনি তবে শুধু বলেছিলাম শোনাবো। আর ফোনেই কেন গান শুনতে হবে? আমার ফোনে গানের কণ্ঠ খুবই বাজে।”

” এই কণ্ঠ যদি বাজে হয় তাহলে আমি দুনিয়ার কোনো সুন্দর কণ্ঠও শুনতে চাই না।”

” আপনি কিন্তু অনেক ভালো ফ্লার্ট করেন।”

” ও, আমার কথা তাহলে ফ্লার্ট মনে হচ্ছে?”

” এছাড়া আর কি? প্রথমে আপনি আমাকে নিজের নাম্বার দিলেন। আবার রাত জেগে নাকি অপেক্ষাও করেছেন। আমি আপনাকে বললাম আমার ফোন নেই। আপনি মোবাইল পর্যন্ত কিনে পাঠিয়ে দিলেন। এই ফোনটার দাম কত হবে?”

প্রণয় রোবটের মতো বলল,” আশি হাজার। স্যামসাং লেটেস্ট মডেল। নিউ এডিশন।”

তুলি খুঁকখুক করে কেশে উঠল,” সত্যি বলছেন?”

” মিথ্যা মনে হলে গুগল সার্চ করে দেখুন!”

” এতো দামী ফোন দিয়ে আমি কি করবো? মানে এটা তো স্বর্ণের মতো দাম। যদি এই ফোনের জন্য আমি কিডন্যাপ হয়ে যাই?”

প্রণয় হেসে দিল। তুলি অবাক কণ্ঠে বলল,” আপনি হাসছেন? এটা কি কোনো মজার কথা?”

” ফোনের জন্য কেউ আপনাকে কিডন্যাপ করবে না মিস তুলি। বরং আপনার জন্য ফোন কিডন্যাপ হতে পারে।”

” ও। তাহলে আপনি শুধু নিজের ফোন নিয়ে চিন্তা করছেন?”

প্রণয় খানিক বিরক্তি হওয়ার ভাণ ধরে বলল,” উফ, একেই বলে মেয়ে মানুষ! ”

” আবার মেয়ে মানুষ বলে খোচা দিলেন? যান, কথা বলবোই না আপনার সাথে।”

” আরে, আরে, শুনুন।”

তুলি শোনার জন্য চুপ রইল। কিন্তু জবাব দিল না। একটু পর প্রণয় বলল,” স্যরি।”

তুলির হৃদয় শীতল হয়ে গেল। ‘স্যরি’ নামক বিরক্তিকর শব্দটাও যে এতো মধুর শোনায় মাঝে মাঝে! প্রেমে না পড়লে তো তুলি বুঝতোই না! নরম কণ্ঠে বলল,” তো যা বলছিলাম, আপনি আমার জন্য এতো দামী ফোন কেন কিনলেন? ফোন তো আমার কিনে দেওয়ার কথা ছিল আপনাকে। আপনি যা করেছেন আমার জন্য! সেই ঋণ এখনও শোধ হয়নি।”

“ঋণ শোধ করার জন্য এতো উঠে-পরে লেগেছেন কেন? থাকুন না একটু ঋণী! আর বললাম তো, আপনার জন্য কিনিনি। ফোনটা নিজের জন্যই কিনেছি।”

” হ্যাঁ সেটাই। আপনার জন্যই কিনেছেন৷ যেন আমি এই ফোন দিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। কিন্তু আমি আপনার সঙ্গে কথা বললে আপনার লাভ কি? মানে আপনি কেন আমার সঙ্গে কথা বলতে চান প্রণয়?”

প্রণয় দায়সারা ভাব করে বলল,” এমনি। টাইমপাস!”

তুলি রাগান্বিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,” ওরে.. আমি তাহলে আপনার টাইমপাস?”

” হুম.. এইযে এখন কথা বলছি! টাইম কি পাস হচ্ছে না? নাকি টাইম আটকে আছে? তাহলে টাইমপাস বললে দোষ কি?”

” আপনার সাথে আমি তর্কে পারবো না।”

” তর্ক করতে বলেছে কে?”

” তাহলে কি করবো আমি?”

” গান করুন।”

” ইশ, মামা বাড়ির আবদার! আপনি আদেশ করবেন আর আমি গান ধরবো? আমার গান শোনা এতো সহজ না!”

” তাহলে এখন আপনার গান শোনার জন্য আমাকে কি করতে হবে ম্যাডাম?”

উফ, ম্যাডাম শব্দটা এতো ভালো লাগল কেন তুলির? প্রণয় তাকে যেভাবেই ডাকে সেভাবেই তুলির কাছে মধুর মতো লাগে। আচ্ছা, প্রণয় যদি গাল-মন্দ করে তাহলে সেটাও কি তুলির মধু মনে হবে? ধূর, সে এসব কি চিন্তা করছে! তুলি গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,” আমি ফোনে গান গাইতে পারি না। কারণ গান গাওয়ার সময় আমি অন্য জগতে হারিয়ে যাই। একটা আলাদা সুরের জগতে। আশি হাজার টাকার ফোন কানে নিয়ে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।”

প্রণয় আক্ষেপ নিয়ে বলল,” টাকার এমাউন্ট বলে মনে হয় লস করে ফেললাম৷ এখন তো আপনি সারাক্ষণ এটা নিয়েই খোচাতে থাকবেন।”

” খোচাখুচি একটু সহ্য করুন। আপনিও তো আমাকে কম খোচান না। ”

” তাহলে আপনি গান গাইছেন না, তাইতো?”

” উফ, আপনি হঠাৎ গান নিয়ে পড়লেন কেন? এতো গান শুনতে ইচ্ছে হলে বাড়িতে চলে আসুন। আপনাকে আরাম করে বসিয়ে গান শোনাবো। কিন্তু ফোনে না।”

” কথা বলার আগে একটু ভেবে-চিনতে বলুন। আমি যদি বাড়িতে চলে আসি তাহলে সামলাতে পারবেন তো?”

” না পারার কি আছে?”

রাইফা ভেতর থেকে ডাকল। তুলি এতোক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল৷ ঝটপট বলল,” রাইফা ডাকছে। পরে কথা হবে। রাখি।”

” পরে কখন?”

” আজকে আর না। আগামীকাল।”

তুলি ফোন কেটে দিল। তারপর দ্রুত ঘরের ভেতরে এলো। রাইফা বলল,” এদিকে আয়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে কার সঙ্গে কথা বলছিলি?”

রাইফার মা সূচিও এখানে ছিলেন। তিনি বিছানা গোছাচ্ছেন। তাই তুলি মিথ্যা বলল,” তন্বির সঙ্গে।”

কিন্তু রাইফা ঠিকই বুঝল। ঠাট্টা করে বলল,” নতুন ফোন পেতে না পেতেই গল্প শুরু?”

তুলির মুখ অস্বস্তিতে শুকিয়ে গেল। কারণ সূচি তাদের কথা লক্ষ্য করেছেন। তিনি তুলির হাতের ফোনের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করলেন,” আসলেই তো, তুলি নতুন ফোন কোথায় পেল?”

তুলি জবাবহীন। কারণ তার কাছে জবাব দেওয়ার মতো কিছু নেই৷ রাইফাই বলল,” তুলির মামা টাকা পাঠিয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে ফোন কিনেছে আজকেই। ”

” ও আচ্ছা। দেখি তো ফোনটা!”

তুলি দিতে আড়ষ্টবোধ করছিল। কারণ এই ফোন দেখলেই সূচি সন্দেহ করবেন। তিনি খুব বিচক্ষণ। এতো দামী ফোন তুলির মামা কিনে দিবে না এটা নিশ্চয়ই বুঝবেন! আফরোজা সূচি একটি স্বনামধন্য কলেজের শিক্ষিকা৷ রাইফার বাবা বিদেশ থাকেন। বছরে একবার অন্তত আসেন।

সূচি মোবাইলটা উল্টে-পাল্টে দেখছেন। একটু পর হেসে বললেন,” এই মোবাইল কে পছন্দ করেছে?”

তুলির কলিজা চুপসে গেল। রাইফা উত্তর দিল,” তুলি নিজেই চুজ করে কিনেছে আম্মু। কেন?”

” অনেক ভালো ফোন। এজন্য বলছিলাম৷ তুলি, ফোনের ব্যাপারে তোমার নলেজ মনে হয় অনেক ভালো। আমিও একটা নতুন কিনবো৷ তোমাকে নিয়ে যাবো ঠিকাছে?”

তুলি ঘাড় কাত করল। সূচি মোবাইলটা ফেরত দিয়ে চলে গেলেন। রাইফা হাসতে হাসতে ঢলে পড়ল বিছানায়।

” যাস এবার মায়ের সাথে ফোন সিলেক্ট করতে।”

তুলি রেগেমেগে বিছানা থেকে একটা বালিশ উঠিয়ে রাইফাকে খুব মারতে লাগল। হাসতে হাসতে রাইফার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেছে।

রাতে আর প্রণয়কে ফোন করা হয়নি। তবে ঠিক পৌনে একটায় প্রণয় নিজেই ফোন করল। তুলি ঘুমিয়ে পড়েছিল৷ রাইফা তাকে ডেকে বলল,” তুলি ওঠ, তোর রেড সিগন্যাল বাজছে!”

তুলি হুড়মুড়িয়ে উঠে বসল। ভীত কণ্ঠে বলল,” রেড সিগন্যাল মানে?”

” মানে রেডলাইটের ফোন!”

রাইফা হাসতে হাসতে শুয়ে পড়ল। কানে হেডফোন গুজল। মোবাইলে সে একটা সিরিজ দেখছে। তুলি নিজের মোবাইল হাতে বারান্দায় গেল৷ রিসিভ করার আগেই দেখল প্রণয় নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তুলিকে দেখেই সে হাত নাড়ল। তুলি বিস্ময়ে গ্রিল চেপে ধরল। মোবাইল রিসিভ করে কম্পিত কণ্ঠনালী নিয়ে উচ্চারণ করল,” এসব কি দেখছি আমি? আপনি সত্যিই বাসার নিচে?”

” আপনিই তো বলেছেন, বাসায় এলে আরাম করে গান শোনাবেন।”

” তাই বলে এই রাতের বেলা? আপনার থেকে আমি এমন ছেলেমানুষী আশা করিনি প্রণয়।”

” তাহলে কি আমি মেয়েমানুষী করবো? কি আশ্চর্য! ”

” উফ, একদম ফান করবেন না। আপনাকে সূচি আন্টি দেখে ফেললে কি হবে? ও আল্লাহ!”

” এতো ভয়ের কিছু নেই। আমি চলে যাচ্ছি।”

” কিন্তু আপনি এসেছেনই কেন?”

” একটা কাজে ঢাকার বাহিরে যাচ্ছি৷ তাই ভাবলাম আপনাকে একটু দেখা দিয়ে যাই।”

এই কথা শুনে তুলির মনখারাপ হয়ে গেল। অনুতপ্ত কণ্ঠে বলল,”ওহ আচ্ছা। স্যরি। কিন্তু আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”

” তাজিংডং পর্বতশৃঙ্গ। ভাবছি চূড়ায় উঠে ঝাঁপ দিবো।”

” প্রণয়, আপনি এতো ফাজলামি করেন কেন?”

প্রণয় হাসতে হাসতে বলল,” বান্দরবান যাচ্ছি। একটা কাজ আছে। কালকের মধ্যে ফিরে আসবো।”

” ও। কি কাজ?”

” সেটা না হয় ফিরে এসেই বলবো! ভালো থাকবেন।”

” আপনিও ভালো থাকবেন। আর দ্রুত ফিরে আসবেন।” তুলির মনটা উদাস হয়ে গেল। হাত নাড়িয়ে প্রণয়কে বিদায় জানালো সে। প্রণয়ের গাড়িটা সম্পূর্ণ চোখের আড়াল না হওয়া অবধি তাকিয়েই ছিল সে।

সকাল সকাল একটা চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল। সাতটা বাজে সাধারণত রাইফাদের বাড়িতে সবাই ঘুমায়। কলিংবেলটা তীক্ষ্ণ শব্দে বাজছিল। আলসেমিতে কারোই উঠতে ইচ্ছে করল না৷ তারপর রাইফার মোবাইলে ফোন এলো। সেই ফোন রিসিভ করল তুলি।

” হ্যালো।”

” এই, কি করিস তোরা? মরার মতো এমন ঘুম দিয়েছিস যে কোনো হুশই নেই। দ্রুত দরজা খোল!”

তুলি মোবাইলটা নামিয়ে একবার নাম্বার দেখল। হ্যাঁ, তন্বিরই নাম্বার। কিন্তু সে দরজা খুলতে বলবে কেন?এর মানে কি সে ঢাকায় এসে গেছে? তুলি প্রায় লাফিয়ে উঠল।

” তন্বি, তুই কোথায়?”

” আগে দরজা খোল৷ তারপর দেখবি আমি কোথায়!”

তুলির যেন বিশ্বাস হচ্ছে না৷ দ্রুত রাইফাকে ডাকল৷ রাইফা আবার সারারাত জেগে থেকে সকালে ঘুমায়৷ রাত জেগে সে নামাযও পড়ে। ফজরের নামায শেষ করেই ঘুমিয়েছিল। তাই তার ঘুমটা একদম কাঁচা৷ তুলির ডাকে খুব বিরক্ত হলো। তুলি বিস্ময়কর কণ্ঠে বলল,” তন্বি এসেছে?”

” হোয়াট? তুই কি সকাল সকাল মশকরা করছিস?”

” না। সত্যি তন্বি এসেছে!”

” কেমনে কি?”

রাইফা আর তুলি তড়িঘড়ি করে বিছানা থেকে নামল। দরজা খুলল ঝড়ের গতিতে। তন্বি তাদের দেখেই চেঁচাল৷ বিস্ময়ে তারা দু’জনও চেঁচালো। তিনজনের চেচামেচিতে ঘুম ছুটে গেল সূচির। তন্বি লাগেজ, ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢুকল। তুলি প্রশ্ন করল,” একা একা কিভাবে চলে এলি? তোকে অনেক মিস করেছি।”

তন্বি অপরা*ধী স্বরে বলল,” একা আসিনিরে! আমার সাথে আরেকজন আছে।”

রাইফা বলল,” আরেকজনটা কে?”

তন্বি ম্লান কণ্ঠে বলল,” সামির ভাই।”

তুলি খুব জোরে চেঁচাল,” কিই?”

তন্বি কানের পিঠে চুল গুঁজে বলল,” আমি কি করতাম বল? বাবা কিছুতেই একা আসতে দিবে না। পরে সামির ভাইকে অনুরোধ করলাম। তিনি তো তোর কাছে আসার কথা শুনে একপায়ে রাজি হয়ে গেছেন।”

তুলি হতভম্ব কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,” এখন তিনি কোথায়?”

” মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে মিষ্টি আনতে গেছেন। আর তোর জন্যেও নাকি কিছু কিনবেন।”

” উনি যা আনবেন সব আমি বাথরুমে ফেলে দিবো।”

রাইফা ভীত গলায় বলল,” আমার বাথরুম নোংরা করিস না প্লিজ।”

তুলি কপালে হাত দিয়ে সোফায় বসে পড়ল৷ রাগে পুরো শরীর চিড়বিড় করছে তার। রাইফার খুব হাসি পাচ্ছিল। সে বহু কষ্টে হাসি চেপে রেখে বলল,” কাজটা একদম ঠিক করিসনি তন্বি।”

তন্বি অসহায় চোখে তাকাল। রাইফা আর না পেরে হেসেই দিল৷ রাইফার হাসি দেখে তন্বিও হাসার সাহস করল। দু’জন একসাথে হাসতেই লাগল। তুলি তাদের দিকে তাকাল রক্তিম দৃষ্টিতে। এরা বন্ধু না শত্রু? ইশ, তুলির ইচ্ছে করছে ছুটে কোথাও পালিয়ে যেতে!

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here