#বেদনার_রঙ_নীল
বিয়াল্লিশতম পর্ব
লিখা- Sidratul Muntaz
হঠাৎ তুলিকে এভাবে কেঁদে ফেলতে দেখে প্রণয় থতমত খেল। দুইহাতে তাকে জড়িয়ে ধরেই প্রশ্ন করল,” কি হয়েছে তোমার?”
তুলি কোনো জবাব না দিলে প্রণয় রাইফার দিকে চাইল।
রাইফা বিষণ্ণ কণ্ঠে বলল,” ভেতরে চলো, বলছি।”
চাবি দিয়ে ঘরের তালা খুলে ভেতরে ঢুকল রাইফা। প্রণয় তুলিকে ধরে বিছানায় এনে বসালো। তারপর বলল,” এতো সকালে তোমরা কোথায় গেছিলে?”
রাইফা কথা বলতে নিলেই চোখের ইশারায় নিষেধ করল তুলি। রাইফা থেমে গেল৷ তুলি পাশ কাটানো গলায় বলল,” কোচিং-এ। ”
” রাতে যখন তোমাকে ফোন করেছিলাম তখন তো বললে কোচিং নেই।”
” রুটিন চেক করতে ভুল হয়েছিল।”
” ওহ। আচ্ছা।”
তুলি একের পর এক মিথ্যা বলছে দেখে রাইফা একটু অবাক হলো। চা আনার বাহানায় সে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। প্রণয় এবার কোমল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, ” এতোক্ষণ কাঁদছিলে কেন? কি হয়েছে তোমার?”
তুলি মলিন মুখে বলল,” কিছু না।”
প্রণয় অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। একটু পর বলল,” আচ্ছা, বলতে ইচ্ছে না হলে থাক। পরে বোলো।”
তারপর সে শপিং ব্যাগ খুলতে খুলতে বলল,” দেখোতো পছন্দ হয় কি-না?”
ব্যাগ থেকে বাচ্চাদের জামা-কাপড়, টুপি, খেলনা ইত্যাদি জিনিস বের করতে লাগল প্রণয়। এসব দেখে তুলির কষ্টটা আরও বেড়ে গেল। রাগও হলো। কান্নাও পেল। সে আহত কণ্ঠে বলল,” এইসব এখনি কেন কিনছেন? বাচ্চা হতে তো অনেক দেরি!”
” তবুও কিনে রাখছি। অনলাইনে একটা বেবি বাথ সেট দেখেছিলাম। সেটাও অর্ডার করবো ভাবছি। এর আগে তুমি দেখোতো পছন্দ হয় কি-না? তোমার ভালো লাগলেই অর্ডার করবো।”
প্রণয় মোবাইল বের করে ছবিটি তুলিকে দেখালো। তুলির বুকভাঙা কষ্টে চিৎকার করতে মন চাইছে। প্রণয় যদি এইরকম করতে থাকে তাহলে সে সত্যি কথাটা কিভাবে বলবে?
তুলি বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল। প্রণয় বলল,” কি ব্যাপার?”
তুলি ওই পাশে ফিরে বলল,” আমার শরীরটা ভালো নেই প্রণয়। রাতে ঘুম হয়নি। এখন খুব ঘুম আসছে। আমি একটু ঘুমাই প্লিজ?”
প্রণয় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।
” ওকে।” তুলির পায়ের কাছে ভাঁজ করা কাঁথাটা দেখে সেটা খুলে তুলির গায়ে খুব যত্ন করে তুলে দিতে দিতে আবার বলল,” রেস্ট করো তুমি। আর বিকালে তৈরী থেকো কিন্তু। তোমাকে নিতে আসবো আমি। ছোটমা অপেক্ষায় আছেন।”
তুলি কান্নার কারণে কথা বলতে পারল না। মাথা নাড়ল কেবল। প্রণয় তুলির কপালে চুমু দিয়ে চলে গেল। সাথে সাথেই দুইহাতে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়ল তুলি। সে তার ভুল বুঝতে পেরেছিল। তবুও আল্লাহ তাকে এইভাবে শাস্তি কেন দিলেন?
প্রণয়কে হাসিমুখে ঘর থেকে বের হতে দেখে রাইফা বুঝতে পারল তুলি তাকে এখনও কিছুই বলেনি। প্রণয় খোশ মেজাজে বলল,” আমি চলে যাচ্ছি রাইফা। বিকালে আসবো তুলিকে নিয়ে যেতে।”
” চা খেয়ে যাও।”
” উহুম। এখন কিছু খাবো না।”
” তুলিকে বিকালে কোথায় নিয়ে যাবে?”
” আমার বাড়িতে।”
রাইফা অন্যমনস্ক গলায় বলল,” ও আচ্ছা।”
প্রণয় একটু বিস্মিত হয়ে বলল,” তোমাদের কি হয়েছে? দু’জনেই কেমন অদ্ভুত ব্যবহার করছো। সবকিছু ঠিকাছে তো?”
” তুলি তোমাকে কিছু বলেনি?”
” না তো। রাইফা কি হয়েছে? তুমি বলো প্লিজ!”
প্রণয় খুব ব্যগ্র হয়ে উঠল। রাইফা চিন্তা করল, তুলি যেহেতু নিজে থেকে কিছু বলেনি তাই তারও বলা উচিৎ হবে না। সে শান্ত কণ্ঠে বলল,” তেমন কিছুই না। তুমি চিন্তা কোরো না এসব নিয়ে এতো।”
” শিউর তো?”
” হুম। শিউর।”
” ওকে। ওর খেয়াল রেখো প্লিজ।”
” রাখবো।”
প্রণয় বের হয়ে যাওয়ার পর রাইফা তুলির ঘরে ঢুকল। রাগে, দুঃখে প্রণয়ের কিনে আনা সব জিনিস বিছানা থেকে সব ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে তুলি। রাইফা ত্বরিতে গিয়ে থাকে থামাল,” তুলি এসব কি করছিস? থাম প্লিজ।”
তুলি কান্নারত অবস্থাতেই দুই পাশে মাথা নেড়ে বলল,” আমি ওকে বলতে পারবো না। অসম্ভব। এই দ্যাখ, কত কিছু এনেছে ও বেবির জন্য। রীতিমতো স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বাড়িতে পর্যন্ত সব জানিয়ে দিয়েছে। বিকেলে নাকি সে আমাকে নিতেও আসবে। এমন অবস্থায় আমি কিভাবে তাকে বলবো যে তার বাচ্চা মরে গেছে? ”
রাইফা একহাতে মুখ চেপে ধরল। তারও কান্না পাচ্ছে খুব। তুলি বিছানার চাদর উল্টে ফেলল। তারপর মেঝেতে বসে হাঁটু মুড়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। রাইফা তার আচরণ দেখে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
বিকালে বাড়িতে এসে তুলিকে দেখে খুবই হতাশ হলো প্রণয়। মেয়েটা একদম সাজ-গোজ করেনি। প্রতিদিন যেভাবে শানকে পড়াতে যায় আজকেও সেভাবেই সেজেছে। একপাশে সিঁথি করে চুল বেঁধেছে। সাধারণ একটি সেলোয়ার-কামিজ পরেছে৷ কিন্তু আজকের দিনটি তো সাধারণ নয়। প্রণয় চেয়েছিল তুলি অন্তত শাড়ি পরুক। স্নিগ্ধভাবে একটু সাজুক। বিয়ের দিন শাড়িতে তাকে কি অসম্ভব সুন্দর লাগছিল! প্রণয় অভিযোগের সুরে বলল,” আজকে অন্তত শাড়ি পরতে পারতে।”
তুলি শুকনো মুখে বলল,” ইচ্ছে করেনি।”
প্রণয়ের সন্দেহ হলো। কৌতুহল মেটাতে জিজ্ঞেস করে ফেলল, ” তোমার কি হয়েছে তুলি? এতো মনমরা দেখাচ্ছে কেন? এমন ভাব করছো যেন কেউ মারা গেছে!”
তুলির বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। চোখে অশ্রু টলমল করছে। সত্যিই তো মারা গেছে কেউ। তার সন্তান মারা গেছে! দুইদিন আগেও যাকে তুলি নিজের হাতে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
সদর দরজা দিয়ে প্রণয় আর তুলিকে ঢুকতে দেখে অবাক হলো মিষ্টি। প্রণয় তুলির হাত ধরে ভেতরে ঢুকছে। মিষ্টি বিস্ময় নিয়ে চিৎকার করে বলল,” এটা কে প্রণয়?”
প্রণয় মাথা নিচু করে হাসল। বলল,” যার কথা বলেছিলাম..”
মিষ্টি চিৎকার করে অজান্তাকে ডেকে আনল। তুলিকে দেখে অজান্তাও ভ্যাবাচেকা খেলেন। কেউ কল্পনাই করেনি যে প্রণয়ের পছন্দের সেই মেয়েটি তুলিই হবে। হৈ-হল্লা শুরু হলো বাড়ি জুড়ে। শান আগ্রহ নিয়ে বলল,” তুমি কি এখন থেকে আমাদের বাড়িতে থাকবে মিস?”
মিষ্টি হাসিমুখে বলল,” হ্যাঁ গ্রীনলাইট। এখন থেকে তোর মিস কিউটিপাই এখানেই থাকবে।”
শান তুলির হাত ধরেই আবদার করল,” আমার রুমে থেকো প্লিজ। আমরা রাত জেগে চেস খেলবো।”
তুলি মলিন মুখে বলল,” আমি তো চেস খেলতে পারি না সাইক্লোন।”
” নো প্রবলেম। আমরা তাহলে লুডু খেলবো।”
তুলি হেসে উঠল। অজান্তা শানের মাথায় গাট্টা মেরে বলল,” পাগল, রাত জেগে খেলতে হবে কেন? দিনের বেলা খেলবি।”
শান ভ্রু কুচকে বলল,” আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি? ইফ ইউ ডন্ট মাইন্ড।”
তুলি হালকা হেসে বলল,” আচ্ছা করো।”
” তুমি রেডলাইটকে কেন বিয়ে করলে? মানে ভাইয়াকেও তো বিয়ে করতে পারতে৷ বাট রেডলাইটকে কেন?”
তুলি একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলল,” কেন? রেডলাইট কি ভালো না?”
” তোমার জন্য ভালো না৷ তুমি তো খুব সুইট। রেডলাইটের সাথে তোমাকে মানায় না৷ ভাইয়ার সাথে খুব মানাতো।”
মিষ্টি বলল,” ওর কথায় কিছু মনে কোরো না তুলি। ও এসব বলছে নিজের স্বার্থে। ছোটমা যে সবসময় বলে রিসব বিয়ে করলে বাড়িতে থাকবে, এজন্য এই কথা বলছে। ও আসলে প্রণয়ের থেকে রিসবকে একটু বেশি পছন্দ করে।”
তুলি স্মিত হেসে বলল, ” সেটা আমি জানি। কিন্তু সাইক্লোন, তোমার ভাইয়ার জন্য তো পাত্রী ঠিক করা আছে। সময়মতো বিয়েও হবে।”
শান একটু বিরক্তি নিয়ে বলল,” প্লিজ, তুমিও এখন রাইফার কথা বোলো না! আই হেইট হার!”
” ওমা কেন? সে কি করেছে?”
” কিছু করেনি৷ বাট ও একটু এনোয়িং।”
তুলি হাই তুলল। শান সাথে সাথে বলল,” ঘুম পাচ্ছে তোমার? চলো আমার ঘরে।”
মিষ্টি হেসে ফেলে বলল,” ও তোর রুমে কেন ঘুমাবে?”
শান বিব্রত হয়ে বলল,” তাহলে কোথায় ঘুমাবে?”
মিষ্টি উত্তর দিল,” রেডলাইটের রুমে।”
” কেন?”
তার এই কেন’র উত্তর এবার মিষ্টি দিতে পারল না। অজান্তা এসে বললেন,” প্রণয়ের ঘর তোর ঘরের চেয়ে বেশি সুন্দর। এজন্য তুলি সেখানে ঘুমাবে।”
শান এবার বলল,” ঠিকাছে। তাহলে আমি আর মিস রেডলাইটের রুমে থাকবো। আর রেডলাইট আমার রুমে শিফট হয়ে যাবে। প্রবলেম সলভড।”
মিষ্টি হাসতে হাসতে বলল,” ওরে সেয়ানা, এতো কৌশল করে লাভ নেই। তুই বরং আর একটা বছর অপেক্ষা কর। তারপর তো পুচকুটার সাথেই থাকতে পারবি।”
” পুচকু কে আবার?”
” তুলির বাবু!”
বাচ্চার প্রসঙ্গ আসতেই তুলির মুখের হাসি মিলিয়ে গেল। অজান্তা বললেন,” তোমরা গোপনে বিয়ে করে মোটেও ঠিক করোনি। আমি তোমাদের মাফ করতাম না। শুধু বাচ্চাটার জন্য মাফ করছি। আচ্ছা, ছেলে হবে নাকি মেয়ে? আল্ট্রাস্নো করিয়েছো?”
সবাই আগ্রহ নিয়ে তুলির মুখের দিকে চাইল। শান তো বলেই বসল,” ছেলে হলে আমি তাকে ক্রিকেট খেলা শেখাবো।”
তুলি নিষ্প্রাণ কণ্ঠে বলল,” আমি জানি না।”
এই কথা বলেই সে উঠে দাঁড়ালো। অস্থিরচিত্তে বলল,” আমি একটু ঘরে যাবো। আমার শরীর খারাপ লাগছে।”
মিষ্টি তুলিকে ধরে বলল,” চলো তোমাকে প্রণয়ের ঘরে দিয়ে আসি।”
প্রণয় তার ঘরে কিছু কাজ করছিল। দরজা বন্ধ ছিল। মিষ্টি দরজায় কড়া নাড়তেই প্রণয় বলল,” পাঁচমিনিট!”
মিষ্টি তাগাদা দিতে বলল,” দ্রুত দরজা খোল। তুলির শরীর খারাপ লাগছে।”
প্রণয় এই কথা শুনে সাথে সাথেই দরজা খুলে দিল। কপালে কুঞ্চন সৃষ্টি করে বলল,” কি হয়েছে তুলির?”
মিষ্টি এই সুযোগে ঘরে ঢুকে গেল। আর অবাক হয়ে বলল,” ওয়াও, দোলানাটা খুব সুন্দর লাগছে তো!”
তুলি ভেতরে ঢুকে দেখল বড় একটা কাঠের দোলনা প্রণয় ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে। দোলনার একপাশে ফুল লাগানো এখনও বাকি। প্রণয় হয়তো দরজা আটকে এই কাজটাই করছিল। সে ফিসফিস করে তুলির কাছে এসে বলল,” সারপ্রাইজ!”
তুলি স্থির দৃষ্টিতে দোলনার দিকে তাকিয়ে রইল৷ এই দোলনায় যার থাকার কথা ছিল সে এখন আর বেঁচে নেই। তাহলে কার জন্য এতো আয়োজন? তুলির বুকটা খা খা করে ওঠে। ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। সে কিভাবে সত্যি কথাটা বলবে সবাইকে?
মিষ্টি আনন্দ ঝরা কণ্ঠে বলল,” জানো তুলি, এই দোলনা কেনা নিয়ে কত কাহিনী? কালরাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত মার্কেট ঘুরে ঘুরে দোলনাটা পছন্দ হয়েছে। প্রণয় তো বিরাট সংশয়ে ছিল তোমার পছন্দ হবে কি-না। আমি এতোবার বললাম যে এতো সুন্দর জিনিস পছন্দ না হয়ে উপায় নেই। কিন্তু সে বিশ্বাসই করেনি আমার কথা। এখন তুমি দেখে বলোতো দোলনাটা কেমন হয়েছে? ভালো লাগলে একটু প্রশংসা করে দাও। যাতে আমার ভাইয়ের মন শান্ত হয়।”
তুলি জোরপূর্বক হেসে বলল,” খুব সুন্দর। ”
মিষ্টি হাঁফ ছেড়ে বলল,” যাক, তুলির পছন্দ হয়ে গেছে। এবার তুই খুশি তো প্রণয়?”
প্রণয় নিশ্চিত হতে আবার প্রশ্ন করল,” সত্যিই কি পছন্দ হয়েছে? নাকি আমাকে খুশি করতে বলছো?”
” সত্যিই পছন্দ হয়েছে।”
মিষ্টি চলে যাওয়ার পর প্রণয় বলল,” শুধু বাবু না, বাবুর আম্মুও দোলনায় চড়তে পারবে। চলোতো, তোমাকে উঠিয়েই ফার্স্ট ট্রায়াল দেই।”
তুলি সঙ্গে সঙ্গে বলল,” না, প্রণয়। আমি উঠবো না।”
কে শোনে কার কথা? তুলিকে জোর করে কোলে নিয়ে দোলনায় ওঠালো প্রণয়। দোলনা সেট করা হয়েছে বারান্দায়। তুলির মাথার নিচে একটা বালিশ দেওয়া হলো। তুলি সোজা তাকালো নীল আকাশের দিকে। ওই ঝকঝকে উজ্জ্বল নীল আকাশ তুলির মনের বিষণ্ণতা এতোটুকু কমাতে পারল না।
পুরো একটি দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। তুলি কোনোভাবেই প্রণয়কে মিসক্যারেজের দুঃসংবাদটা দিতে পারল না। তাছাড়া বাচ্চা নিয়ে এই বাড়িতে যা হৈচৈ হচ্ছে তা সহ্য করাও কঠিন। অজান্তা সকালেও বললেন তুলিকে নিয়ে সময় করে ডাক্তারের কাছে যাবেন। আল্ট্রাস্নোগ্রাফি করিয়ে জানতে হবে বাচ্চা কতটুকু বড় হয়েছে। কেমন আছে, ছেলে নাকি মেয়ে তা জানা সম্ভব কি-না! তুলি ঠিক করল সে শরীর খারাপের বাহানা দেখিয়ে যাবে না। কিন্তু আজ না হয় কাল, সত্যিটা সবাই জেনেই ফেলবে। তখন কি হবে?
চলবে