বেবি কুইন,পর্ব_৫

0
1792

বেবি কুইন,পর্ব_৫
সুমাইয়া জাহান

নিলয় পারে না এখন কেঁদে দেয়।এতো ছোটো ছোটো বাচ্চাগুলোর থেকে এইভাবে অপমান সইতে হবে কে যানতো!ওর তো মাথাতেই আসছে না এরা এমন কিছু করতে পারে বলে।কি হয়েছে নিলয়ের?জানতে হলে যেতে হবে ফ্লাশব্যাকে!

ফ্লাশব্যাগ……….

বেবি কুইন একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আবার নিলয়ের হাত ঝাঁকিয়ে বললো,

—— তলো (চলো)

নিলয় এখন মহা খুশি! ও ভাবতেও পারেনি ওর এক কথায় বেবি কুইন ওর সাথে যেতে চাইবে।ইস কি বোকা বেবি কুইন! আর সবাই বলে এইটুকু বাচ্চার মধ্যেই নাকি অনেক বুদ্ধি! ও নাকি সবই বুঝতে পারে!এসবই ভাবতে ভাবতে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে নিলয়।তারপর বেবি কুইন কে নিয়ে হাঁটা শুরু করে।ওর উদ্দেশ্য হচ্ছে বেবি কুইনের কোনো একটা ক্ষতি করা!সেই উদ্দেশ্য মোতাবেকই ওকে বাড়ির রাস্তার উল্টো রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।ওদের বলেছে মিসেস নাফিসা নাকি ওই দিকে আছেন।সম্পুর্ন মিথ্যে কথা ছিলো।ওইদিক টায় একটা পুরোনো পুকুরের মতো ডোবা আছে।কেউই যায়না ওইদিকে! তাই ওরও কাজ টা করতে সুবিধে হবে।ওই ডোবাতেই প্রথমে বেবি কুইনকে ফেলে দিবে।তারপর বেশ কিছুক্ষন ওই ডোবাই নাকানি চুবানি খাওয়াবে। তারপর যখন ওর একদম যায় যায় অবস্থা তখন ওকে নিজেই ডোবা থেকে তুলে কাঁদতে কাঁদতে বেবি কুইনকে কোলে নিয়ে বাড়ি ঢুকবে।এতে এক ডিলে দুই পাখি শিকার করা হবে নিলয়ের!এক দিকে যেমন বেবি কুইনকে একটা শাস্তি দেওয়া হবে। আবার ওকে বানানোর জন্য সবার কাছে মহানও হতে পারবে।এগুলো ভাবতেই কেমন খুশী খুশী লাগছে ওর।তাই আর দেড়ি না করে বেবি কইন কে সাথে নিয়ে হাটা শুরু করলো।হাঁটতে হাঁটতেই নিলয় বেবি কুইন কে নিয়ে পৌঁছে গেলো সেই ডোবা টার কাছে।বলতে গেলে এটা ব্যবহার না করার এটা পানিতে প্রচুর ময়লা।তাই পচা ডোবাই বলা যায় এটাকে।ডোবার পানি গুলোর দিকে তাকিয়ে একটা পৈশাচিক হাসি ফুটে উঠলো নিলয়ের মুখে।বেবি কুইন কে ওর ফাঁদে ফেলার জন্য ডাকাবে তাই পিছন ফিরতেই!

—– বেবিআয়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়ায়য়য়য়া!!!

বেবি কুইনের জায়গায় নিলয়ই পরে গেলো সেই ডোবার পানিতে।বেবি কুইনকে ফেলতে গিয়ে নিজেই৷ সেই ডোবার জলে নাকানিচুবানি খাচ্ছে। কিন্তু কিভাবে হলো এইটা!কিছুক্ষণের জন্য তাই বুঝতে পারলো না নিলয়।নিজের ঢাল সামলে সামনের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে গেলো নিলয়!কেননা সামনে ওই বিচ্ছু বাহিনী দাঁড়িয়ে আছে তার তাদের ঠিক মাঝখানে বেবি কুইন কোমরে হাত রেখে মুখে চওড়া হাসির রেখা টেনে দাঁড়িয়ে আছে।এটা সেই একটু আগের তার হাত ধরে আসা বেবি কুইনের সাথে এখনকার বেবি কুইনের সাথে আকাশ পাতাল ব্যবধান!একটু আগে ঠিক একটা দেড় বছরের অবুঝ বাচ্চা ছিলো যাকে একটা ছোট্ট চকলেট দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা যেতো আবার চকলেট টা নিয়ে গেলে ভ্যা ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে উঠতো তখন তো নিলয়ের কাছে এমনই মনে হয়েছিলো।কিন্তু এখন দেখে মোটেও কোনো বাচ্চা মনে হচ্ছে না বরং মনে হচ্ছে কোনোএক অতিবুদ্ধি সমৃদ্ধ মানুষ! বাচ্চা গুলোর মধ্যে থাকা একটা মেয়ে বলে উঠলো,

—– আংকেল কেমন লাগছে আপনার!

নিলয় বেবি কুইনের এমন আহাম্মক কান্ডে এতোটাই বিভোর ছিলো যে নিজের দিকে তাকানোর কোনো সুযোগই পায়নাই!এখন একটু হালকা শীত শীত লাগে! গরমের রেস টা এখনো ভালোভাবে ফুটেনি।আর এই ডোবাটা বাড়ির একদম কোনার সাইডে হওয়ায় দরুন এখানে কোনোরকম রোদটুটুও পরে না।তাই এখানকার পানি প্রচন্ড রকমেরই ঠান্ডা!ঠান্ডায় কুঁকড়ে উঠলো নিলয়।একরকম কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো নিলয়ের।ওদের দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠলো,

—– ফাজলামো হচ্ছে!বেয়াদব! বড়োদের সাথে কি রকম ব্যবহার করতে হয় জানিস না?ওহ্ তোদের তো আবার মা-বাবাও নেই! অনাথ কতোগুলো! তোদের সাহস হলো কি করে আমাকে পানি তে ফেলার!

—– হ্যাঁ আংকেল আমরা অনাথ! আমাদের মা বাবা-মাও নেই কিন্তু তাও আমরা তোমার মতো খারাপ নই!আর আমরা বড়োদের যথেষ্ট সম্মান করতে পারি এবং করিও।কিন্তু সেটা শুধু ভালো লোকেদের জন্য তোমার মতো পঁচা আংকেলদেরর জন্য না!তুমি কুইন কে এই ডোবাই ফেলতে চেয়েছো।তুমি এতো খারাপ! তুমি বোধ হয় ভুলে গেছো তুমি কার ক্ষতি করতে এসেছো।বেবি কুইন ও ভুলে গেলে কি করে!আমাদের সবাই কে বোকা বানাতে পারলেও কখনো বেবি কুইন কে বোকা বানাতে পারবে না!জানো আমরাও না বুঝতে পারিনি তুমি এরকম কিছু করবে! কিন্তু বেবি কুইন তো অনেক আগেই বুঝে গেছে তুমি ওর সাথে এমন কিছু একটা করবে। তাই যখন আমরা সবাই ওকে তোমার সাথে যেতে বারাণ করলাম তখন ও আমাদের দিকে একবার তাকিয়ে চোখের ইশারায় সবটা বুঝিয়ে দিয়েছে।

বেবি কুইনের সাথে থাকা অর্না কথা গুলো বললো।ও এখানে সবার থেকে বড়ো বয়স দশ পেড়িয়ে এগারোতে পরবে এমন!অর্নার কথাগুলো শুনে নিলয় অবাক হয়ে বেবি কুইনের দিকে তাকিয়ে আছে।এইটুকু বাচ্চা এতো কিছু বোঝে কি করে?কিন্তু এখন অবাক হওয়ার সময় নয় এই ঠান্ডার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।ভিশনই ঠান্ডা পানি গুলো আর ব্যবাহার না করাতে অনেক টা ময়লাও হয়ে আছে।নিজেকে সামলে ওদের দিকে একটা রাগী লুক দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

—— যখন সবই জানতে পেরেছিস তাহলে তো মিটেই গেলো।আর হ্যাঁ বেবি কুইন হয়তো অনেক কিছুই বোঝে মানে একটু অতিরিক্ত বেশিই বুঝতে পারে কিন্তু কথা তো আর বলতে পারে না। (একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে) এখন সর তোরা আমি উঠবো!

—— তাতে কি!আমরা সবাই রিশিতা মাকে বললে তুমি কি মনে করো রিশিতা মা আমাদের কথা বিশ্বাস না করে তোমার কথা বিশ্বাস করবে?আর একটা কথা তুমি বড্ড বেশিই বোকা পঁচা আংকেল!বেবি কইনকে তুমি এখনো চিনতে পারোনি।ও কথা বলতে পারে না তো কি হয়েছে।ওর কথা বোঝানোর ক্ষমতা ওর আছে আংকেল! ইশশশ এখন যদি আমরা রিশিতা মা নুয়াস আংকেল আআররর দিদিমাকে জানাই তাহলে তোমার কি হবে আংকেল!

অর্না কথা গুলো বলতেই সবার মুখে দুষ্টু হাসি ফুটে উঠলো।আর বেবি কুইনের মুখে তো সেই কখন থেকেই দুষ্টু হাসি ফুটে আছে।রিশিতা নুয়াসের কথা শুনে যতোটা না ভয় পেলো তার থেকেও হাজার গুন বেশি ভয় পেলো মিসেস নাফিসার কথা শুনে। সামন্য রাগ করে নাতনির সাথে কথা বলাতে যে মানুষ কাজ থেকে বের করে দেয় সে যদি জানতে পারে তার অতি আদরের নাতনির সাথে এমন কিছু করছে জানতে পারলে কি অবস্থা করবে তা ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে নিলয়ের! প্রচন্ড রকমের ভয়ের ছাপ ফুটে উঠেছে ওর মুখে!যা দেখে বেবি কুইনের হাসি টা আরো বেশি চওড়া হলো।সবাই কে কিছু একটা ইশারা করতেই সবাই দুষ্টু হেসে মাথা নেরে সম্মতি জানালো।বেবি কুইনের ডান পাশে থাকা আট নয় বছরের কলি মেয়েটা নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ইনোসেন্ট ফেইস করে বললো,

—– পঁচা আংকেল আমরা কাউকেই কিছু বলবো না।
কিন্তু………

কাউকে কিছু বলবে না শুনেই নিলয়ের চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।কিন্তু সেই উজ্জ্বলতা ওর কিন্তু কথাতেই কিছুটা মলিন হয়ে গেলো।কিন্তু যাইহোক না কেন এখন মিসেস নাফিসার কানে কথাটা না গেলেই হলো!

—– কিন্তু কি বলো!তোমরা যাই বলবে আমি তাই করবো কিন্তু বড়ো মেডামকে কিছু বলো না প্লীজ! উনি জানতে পারলে আমাকে মেরেই ফেলবেন!

নিলয়ের আকুতি মিনতি করে কথার জবাবে এক ভ্রু উঁচু করে তাকালো বেবি কুইন সহ সব বাচ্চা গুলো।অর্না মেয়েটা বলে উঠলো,

—– এখন কেন এতো ভয় পাচ্ছো যখন কুইন কে এই ডোবায় ফেলতে চেয়েছো তখন ভয় টা ছিলো না!

নিলয় খুব কষ্ট করে দাঁড়িয়ে আছে এই ঠান্ডা ওয়াক মার্কা ডোবার পানিতে।তাই এখন ওদের সাথে মোটেও তর্কে যেতে চায় না সে!তাই ওদের কথার কোনো জবাব না দিয়েই একনাগাড়ে বলতে লাগলো,

—– কি করতে হবে বল তাড়াতাড়ি! আমি এই ঠান্ডায় দাঁড়াতে পারছি না।খুব ঠান্ডা লাগছে!তোরা যা বলবি তাই করবো।

—– ভেবে বলছো পঁচা আংকেল!

—- হ্যাঁ একশো বার ভেবেই কথাখান বলছি হইছে!

নিলয়ের মতে এরা ছোট্টো কতোগুলো বাচ্চা এরা আর কি করতে পারবে? তাই এতো জোর দিয়ে বলছে ও! কিন্তু নিলয় তো আর এই বিচ্ছু বাহীনিকে চেনে না!ওদের কুইনের ক্ষতি করতে চেয়েছে আর ওরা এতো সহজে ছেড়ে দেবে তাকে!উঁহু কখনোই না!তার যোগ্য শাস্তি তো ওরা দেবেই তবে বড়দের এই কারনেই বলতে চায় না ওরা যাতে এই লোকটার চাকরি টা না যায়!আসলে উপর থেকে ওদের যেমনই দেখে যাক না কেনো ভেতর থেকে বড্ড নরম ওরা!তাই ওরা চায় না লোকটার চাকরি টা চলে যাক।যাইহোক এবার আশা যাক বর্তমানে বেচারা নিলয় নাহলে এই ঠান্ডায় মরেই যাবে!

—– কি হলো বলছো না কেনো কি করতে হবে আমায়?

নিলয়ের এমন কৌতুহলী মুখ দেখে বেবি কুইনের বড্ড হাসি পাচ্ছে কিন্তু এখন মোটেও হাসির সময় না তাই নিজের হাসিটাকে দমিয়ে নিলো সে।অর্না বেবি কুইনের দিকে একবার তাকিয়ে নিলো তারপর নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,

—– আজ তুমি আমাদের খেলনা হবে পঁচা আংকেল! তাহলেই আর কাউকে কিচ্ছুটি বলবো না।

—– ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার সমস্যা নাই!আমি তোমাদের খেলনা আজকের জন্য!

অতি সহজেই মেনে নিলো নিলয় কারণ সে জানে শুধু একটু গোড়া গোড়া খেলে ছেড়ে দিবে।তাই হাসি মুখেই উপরে উঠে এলো সে! কিন্তু এই হাসি টা বেশিক্ষণ সইলো না নিলয়ের!ওরা ওকে উপরে উঠতেই পুরো জোঁকার বানিয়ে দিয়েছে। তারপর ওদের খেলা শুরু হয়ে গেছে।কখনো ওকে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে কখনো শুধু হাতের উপর ভর করিয়ে উল্টো করে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।আবার কখনো ওকে দিয়ে গর্ত খুঁড়ে ওকেই সেই গর্ত ঢুকিয়ে গলা পর্যন্ত মাটি চাপা দিয়ে ওকে ফুটবল বানিয়ে ওকে দিয়ে খেলেছে।এরকম আরো কতো কি যে করছে তার হিসেব নেই।

ফ্লাশ এন্ড……….

নিলয় এবার খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছে ও কি ভুলটাই না করলো ওদের কথায় রাজি হয়ে।এখন কিছু বললেই মিসেস নাফিসার কথা বলে ওর মুখ বন্ধ করে দেয়।না পারছে সইতে আর না পারছে কিছু বলতে।যাচ্ছে তাই অবস্থা ওর এখন।

___________________________

সবাই খাবার টেবিলে বসে অপেক্ষা করছে কিন্তু খাবার এখনো এসে পৌঁছায় নিয়ে।সবার পেটেই ইদুরের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেছে।কিন্তু খাবার এখনো টেবিল পর্যন্ত এসে পৌঁছাচ্ছে না!কিন্তু এমন টা তো কখনো এই বাড়িতে হয় না!সবাই একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে এই একটাই প্রশ্ন জিগ্যেস করে চলেছে কেন হচ্ছে এমন টা কিন্তু কেউ জানে না!এখানে মুলত বেবি কুইন সহ বাকি বাচ্চারা আছে আজ তো ওদের নিয়েই আয়োজন। আর মিসেস নাফিসা কে কয়েক ঘন্টা আগেই খারাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।তার জন্য আলাদা রান্না করতে হয় এবং সেটা সময় মতোই কারণ উনার পেসার হাই তাই একদম ঠিক টাইমেই ঔষধ খেতে হয় দরুন এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় উনার জন্য!তাই উনার খাবার উপরে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পিনপতন নীরবতা বিরাজমান করছে ডাইনিং টেবিল জুড়ে।ক্ষিদেতে সবাই প্রায় নুইয়ে গেছে।আজ আর মনে হয় খাবার পাওয়া যাবে সবাই এটাই ভেবে নিয়েছে।সবাই যখন মনমরা হয়ে টেবিলের উপর হেলে পরেছে ঠিক তখনই টেবিলে উপর কিছু রাখার আওয়াজে সবাই চমকে উঠলো।সেই আওয়াজের উৎস অনুযায়ী তাকাতেই একজন অপরিচিত মানুষ কে আবিষ্কার করলো সবাই। সবাই চোখ গোল গোল করে সেই দিকে তাকিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লোকটাকে দেখছে।

মুখ তার কালসে কিন্তু হাত পা দিব্বি ফর্সা।মুখের আকৃতি টা ঠিক বোঝা গেলো না লোকটার কারণ মুখে তার অনেক রং লেগে আছে যেন মাত্র কোথা থেকে রং মেখে আসছে।কাপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে তার।বারবার হাত দিয়ে ঘাম মুছে নিচ্ছে।মুখে অবশ্য একটা চওড়া হাসির রেখা ঝুলছে!এ বাড়িতে কেউ কখনো আগে দেখেনি লোকটাকে!কি আশ্চর্য কোথ থেকে এলো এই লোক!

________________________

আনান হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এদিকে তামসী দাঁতে দাঁত চেপে ওর এই অসহ্য কর হাসি সহ্য করছে।ইচ্ছে করছে দাঁত গুলো ভেঙ্গে দিতে।কি এখন দাদি সামনে আছে তাই কিচ্ছুটি বলছে না।একমাত্র আনানের সামনে ছাড়া আর কারো সামনেই নিজের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করে না তামসী এমনকি নিজের মা দাদির সামনেও না।কিন্তু আজ কিছুতেই নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না ও!দাদি ওর অবস্থা টা বুঝতে পেরে মুখ টিপে টিপে হাসছে।তামসী রাগ কন্ট্রোল করতে না পরে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ওরনা টাকে ভালোভাবে বেঁধে নিয়ে ওর দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে না করতেই আনানের ওমন হাসি পানা মুখ টাতে ভয়ের ছাপ পরলো।কারণ তামসী সহজে রাগে না আর একবার রাগলে ওর রাগ কেউ কন্ট্রোল করতেও পারে না।তার থেকেও বড়ো কথা তানসী কারাটে জানা মেয়ে!এর আগের তামসীর হাতে বেশ কয়েকটা পাঞ্চ খেয়ে মুখ টাকে টমেটো থেকে লাল বানিয়েছে আনান!তামসীর এই রকম প্রস্তুতির একটাই মানে যা হলো কারাটে!

—— ওমাগো কেউ বাঁচাও গো!!!!!!!

এক চিৎকার ছেড়ে এক দৌড়ে দাদির পিছনে গিয়ে লুকিয়ে পরলো আনান।

চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here