#বেসামাল_প্রেম,পর্ব_৫১
#জান্নাতুল_নাঈমা
ডক্টর দেখিয়ে একরাশ দুঃশ্চিতা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরল রুদ্র, সূচনা৷ অথচ দুঃশ্চিতার মূলে থাকা মানুষটি নিশ্চিন্তে গিয়ে সোফায় বসল। গুনগুন করে গাইল গান। আঁচল নাচাতে শুরু করল অবিরত। ঠোঁট টিপে হাসছেও সে। তার হাসির কারণটি হচ্ছে, সে যে গাইনিকে দেখিয়েছে তিনি তাকে দেখেই জিজ্ঞেস করেছে,
-” প্রেগন্যান্ট? ”
হৈমী লাজুক হেসে মাথা নেড়েছে। ডক্টর তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বলেছে,
-” টাঙ্গাইল জেলায় অল্প বয়সী বিবাহিত মেয়ে, বাচ্চার অভাব নেই। এই ছোটো ছোটো শিশুরা নাকি আরেক শিশুর জন্ম দেবে! ”
রুদ্ধশ্বাস ছাড়ল ডক্টর মহিলা। পিটপিট করে তাকিয়ে হৈমী জিজ্ঞেস করে বসল,
-” কেন অন্য জেলায় বুঝি আমার বয়সী মেয়েদের বিয়ে হয় না? ”
হৈমীর প্রশ্নটি পছন্দ হলো না তার। বারতি কথা বলতে আগ্রহও পেল না বোধহয়। ক্ষীণ স্বরে শুধু জবাব দিল,
-” এ বছর গড়ে এ জেলাতেই এই সংখ্যা বেশি। ”
ডক্টরের মুখ, কথা বলার ভঙ্গি মনে করেই পেট চেপে হাসি পাচ্ছে হৈমীর। সে তার সমস্যা গুলো নিয়ে মোটেই বিচলিত নয়। বাচ্চা হওয়ার সময় যদি সে মরে যায় মরবে। শুধু বাচ্চাটা বাঁচলেই হলো। এরপর মরে ভূত হয়ে রুদ্র কেমন সুখী জীবন কাটায় দেখবে! হাসি যেন ধরল না তার মুখে। লম্বা শ্বাস টেনে বিরবির করল,
-” মরে গেলে তো এমনিতেই সব চুকে যাবে। যদি না মরি কীভাবে সব চুকাব? ঐ নিষ্ঠুরটাকে কীভাবে শাস্তি দেব? ওকে যে আমি খুব ভালোবাসি। ”
রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হৈমীর। বর্তমানে গর্ভবতী নারীদের এই সমস্যাটি প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মেডিসিন লিখে, কোন কোন খাবার এমতাবস্থায় প্রয়োজন সেসব বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। রুদ্রকে বারবার করে বলে দেয়া হয়েছে। এখন থেকেই যেন হৈমীর প্রতি যত্ন নেয়া হয়। নয়তো ডেলিভারির সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। সূচনা হৈমীর প্রেসক্রিপশন, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট চেক করতে করতে হৈমীর পাশে এসে বসল। রুদ্র গম্ভীর মুখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা হৈমীর দিকে তাকিয়ে রইল কয়েক পল। ঐ হাসিখুশি মুখটা বড্ড অশান্তি দিচ্ছে তাকে। চিন্তায় চিন্তায় রুদ্ধশ্বাস ছাড়ল আচমকা। আশপাশে তাকিয়ে কাউকে না পেয়ে নিজেই চলে গেল ডাইনিংয়ে। এক গ্লাস পানি পান করে সূচনাকে ডাকল হাঁক ছেড়ে। হাতে থাকা কাগজপত্র পাশে রেখে সূচনা ছুটে গেল ভাইয়ের কাছে। রুদ্র তাকে জিজ্ঞেস করল,
-” পানি খাবি? ”
-” না ঠিক আছি। ”
-” তাহলে এটা ওকে গিয়ে দিবি৷ পিপাসা না লাগলেও খেতে বলবি। কথা না শুনলে ধমক দিবি। এরপরও কাজ না হলে আমাকে ডাকবি। ”
ঢোক গিলল সূচনা। ভাইয়ের দিকে তাকাল গভীর ভাবে। হাত বাড়িয়ে পানির গ্লাস নিল সন্তর্পণে। কয়েকটি ভারিক্কি কথা শুনিয়ে দিল একনাগাড়ে,
-” এটা ঠিক নয় ভাইয়া। তুমি যা করছ একদম ঠিক নয়। তোমার এই আচরণটা সত্যি ওর জন্য প্রাপ্য নয়৷ তুমি ভুল করছ। ”
রুদ্রর দৃষ্টি কঠিন হতে শুরু করল। চোয়ালদ্বয় ভারিক্কি। সূচনা নিজের অবস্থায় অবিচল থেকে বলল,
-” তোমার আসল ভুল কী জানো? তুমি হৈমীকে ভালোবাসলেও সেটা প্রকাশ করতে পারো না৷ অথচ ওর প্রতি কতটা চটে গেছ সেটা ঠিক প্রকাশ করে দাও। একটা শিশু বাচ্চাকে যদি সব সময় মা, বাবা শাসনে রাখে ঐ বাচ্চাটা কি বাবা, মায়ের ভালোবাসা টের পাবে? পাবে না৷ ভালোবাসা কখন টের পাবে জানো? যখন একবার শাসন করে দ্বিতীয় বার ভালোবেসে কাছে টেনে নেবে। কোনটা ভুল, কোনটা সঠিক বুঝিয়ে দেবে৷ তাছাড়া হৈমী যা করেছে এখানে আমি কোনো ভুল দেখছি না। কারণ ও যা করেছে স্বামীকে ভালোবেসে হারানোর ভয়ে করেছে। একটা মেয়ে তার স্বামীকে কতটা ভালোবাসে তুমি জানো না ভাইয়া৷ সেই ভালোবাসার গভীরতা জানতে হলে তোমাকে আগে বুঝতে হবে তাদের করা ত্যাগ গুলোর কথা। আমাকেই দেখো না মাহেরের জন্য আমি তোমাদের ছেড়ে ওর কাছে থাকি। কেন থাকি? দায়িত্ব আর ভালোবাসা থেকেই তো থাকি তাই না৷ আমার ত্যাগটা দেখে তোমার হৈমীর ত্যাগটা বোঝা উচিৎ। ওর বেলায় আরো বেশি বোঝা উচিৎ। কারণ আমার বিয়েটা পারিবারিক হলেও তোমাদের পারিবারিক বিয়ে ছিল না। ”
নিজের কথাগুলোর শেষ টেনে চলে যাচ্ছিল সূচনা। সহসা ঘাড় ফিরিয়ে ভাইয়ের স্থবির মুখটায় তাকাল। দম ছেড়ে পুনরায় বলল,
-” একটা প্রশ্ন করি ভাইয়া। উত্তরটা পরে দিলেও চলবে। ধরো আজ থেকে সাত, আট মাস পর, হৈমীর ডেলিভারির সময় আল্লাহ না করুক তোমাকে একজনকে বেছে নিতে বলা হলো। যে কোনো একজনের প্রাণ সংশয় থাকল। কী করবে তুমি? কাকে বেছে নেবে? এই উত্তরটা মিলিয়ে তারপর হৈমীর অপরাধ বিবেচনা করবে। আর হ্যাঁ যদি ওর অপরাধের ভারটা এতে কমে প্লিজ তুমি অন্তত ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিও। কারণ একটা মেয়ে হিসেবে ওর জায়গায় নিজেকে রাখতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মেনে নিতে পারছি না। হৈমী সত্যি খুব বোকা ভাইয়া। আমারো মনে হচ্ছে ওর সহজসরলতার জন্যই কপালে আজ এই দুঃখটা হলো! ”
আর এক মুহুর্ত দাঁড়াল না সূচনা। বোনের প্রতিটি কথাই বুকে গিয়ে বিঁধল রুদ্রর। দম আঁটকে গেল নিমিষেই। কর্ণে বারবার প্রতিধ্বনিত হলো সূচনার বক্তব্য। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে চাপ পড়ল এটা ভেবে যদি সত্যি কখনো অমন সিচুয়েশন আসে সে কী করবে? দু’হাতে আচমকা কান দু’টো চেপে ধরল সে। ঘনঘন শ্বাস নিতে নিতে বলল,
-” নাহ এমন দিন কক্ষণো আসবে না। কিন্তু যদি আসে? ”
এ প্রশ্নে ভয়ে মুষড়ে পড়ল যেন। থমথমে মুখ নিয়ে বেরিয়ে এসে হৈমীর দিকে তাকাল এক পলক৷ এরপর ঝড়ের গতিতে সিঁড়ি মুখী হয়ে চলে গেল নিজের ঘরে। রুদ্ধদ্বারে পড়ে রইল ঘন্টার পর ঘন্টা। হঠাৎ করে রুদ্রর এমন অবস্থা দেখে ভয় পেল সকলেই। মনে মনে হৈমীও কম চিন্তায় পড়ল না। শেষে সূচনাকে অনুরোধ করে বলল,
-” ভাবি তুমি গিয়ে উনাকে দরজা খুলতে বলো। উনার সমস্যার কথা তো তুমি জানো? যদি বিপদ ঘটে যায়! ”
হৈমীর মুখে এ কথা শুনে সূচনাও চিন্তায় পড়ল। হৈমীর মাথায় হাত রেখে বলল,
-” তোমার মতো মেয়েকে বউ হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হৈমী। ভাইয়া এই সৌভাগ্যকে পায়ে ঠেলে ঠিক করছে না। ”
হৈমী মাথা নত করে ফেলল। তার বুক চিরে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস। সূচনা আর দেরি না করে চলে গেল রুদ্রকে ডাকতে৷ কিন্তু আর বেশিক্ষণ সবাইকে দুঃশ্চিতায় থাকতে হলো না। রুদ্র দরজা খুলে দিয়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল প্রায়। সূচনা ভাইকে খাওয়ার জন্য জোর করল। কিন্তু সে সাফ জানিয়ে দিল, খাবে না৷ সূচনা বিচলিত হলো৷ রুদ্র তাকে শান্ত করতে বলল,
-” খিদে নেই। বেরোবো একটু। টেনশন নিস না আমি ঠিক আছি। ”
________________________
রাত প্রায় দু’টা ছুঁই ছুঁই। আজ রাতেও হৈমী সূচনার সঙ্গে ঘুমিয়েছে। রুদ্র একা। দুপুর পর থেকেই সূচনার কথা গুলো মস্তিষ্কে ঘুরপাক খাচ্ছিল রুদ্রর। দুঃশ্চিতা কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছিল না। রাতে খেয়েদেয়ে শুয়েছে। অমনি তলিয়ে গেছে গভীর ঘুমে! ঘুম ভেঙেছে প্রকট এক দুঃস্বপ্ন দেখে। যে বিষয়টা নিয়ে চিন্তায় চিন্তায় ব্লাড প্রেশার বাড়ছিল। ঠিক সে বিষয়টাই স্বপ্নে এসে ধরা দিল আচমকা। ভীষণ ঝকঝকে চকচকে ভাবে।
আসলে, আমরা মানুষরা খুবই অদ্ভুত প্রকৃতির। কেউ সঠিক পথে চলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ভুল পথ বেছে নিই। কেউ ভুল পথে চলতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ি যে সঠিক পথের সন্ধানে মনে কোনো প্রবৃত্তিও জাগে না। আমাদের মনে রাখা উচিৎ, ভুলের তরে জীবন সঁপে দেয়া মানবজীবনের কর্তব্য নয়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিকটা গ্রহণ করাই মানবজীবনের প্রকৃত কর্তব্য।
.
হসপিটালের করিডোরে একটি চুক্তিপত্র হাতে বসে আছে রুদ্র। তার সামনে দাঁড়িয়ে হামিদা বেগম, মাহের, সূচনা। তিনজনের দৃষ্টিই অশ্রুসিক্ত। সূচনা ধপ করে তার সামনে বসে পড়ল। হাতজোড় করে মিনতি করল,
-” প্লিজ ভাইয়া তুমি সই করো না। হৈমী বেঁচে থাকলে তোমরা আবার সন্তান নিতে পারবে। ও চলে গেলে ওকে কিন্তু আর ফিরে পাবে না। ”
মাহের সূচনার দিকে কটমট চোখে তাকাল। কর্কশ গলায় বলল,
-” রুদ্র যদি বন্ড সই করে আমি এক্ষুনি এই মুহুর্তে তোমাকে তালাক দিব। যার কাছে আমার বোনের মূল্য নেই। আমার কাছেও তার বোনের মূল্য নেই! ”
মাহেরের উক্ত কথা শুনে সূচনা হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। রুদ্রর পা খামচে ধরল। তবুও রুদ্রর মন গলল না। সকলকে কাঁদিয়ে সে বন্ড সই করল। তার বাচ্চা চাই। হৈমী যদি মারা যায় এর দায়ভার কারো নয়। মা বা বাচ্চার মধ্যে সে তার বাচ্চাকেই বেছে নিল। এর আধঘন্টা পর ফুটফুটে নবজাতক কোলে নার্স এগিয়ে গেল। হামিদা, মাহের, সূচনা কেউ এগুলো না। রুদ্র সকলের দিকে তাকিয়ে বিচলিত ভঙ্গিতে গিয়ে নবজাতককে আগলে ধরলে। বুকে চেপে ধরে নিঃশব্দে নিশ্বাস ফেলে বিরবির করল,
-” আমার সন্তান, আমার অংশ। ”
পর মুহুর্তেই সূচনার গগনবিদারী চিৎকার শুনতে পেল। সেই চিৎকারে নবজাতকেরও গলা ফাটানো কান্না তিব্রতর হলো। সহসা কেঁপে ওঠল রুদ্র। সূচনার বিধ্বস্ত মুখ ভেসে ওঠল চোখের সামনে। রুদ্র নিজের মুখে তৃপ্তিভরে হেসে নবজাতককে এগিয়ে ধরল সূচনার দিকে। সূচনা দু পা পিছিয়ে গেল আচমকা। কাঁদতে কাঁদতে বলল,
-” মাহের আমাকে তালাক দিয়েছে ভাইয়া। অফিশিয়ালি নটিশও পাঠাবে। ”
থমকানো স্বরে রুদ্র প্রশ্ন ছুঁড়ল,
-” কিন্তু কেন! ”
সূচনা কাঁপা হাতের তর্জনী উঁচিয়ে দেখাল সম্মুখের দিকে। একটি সিঙ্গেল বেডে সাদা কাপড়ে মোড়ানো হৈমী। শুধু মুখের ওপরের কাপড়টাই উন্মুক্ত। সহসা এহেন দৃশ্য দেখে রূহ কেঁপে ওঠল রুদ্রর। হাত, পা হয়ে গেল অবশ। ভুলে গেল কোলে থাকা নবজাতকের কথা। আচমকা ছেড়ে দিল নবজাতককে ধরে রাখা দু-হাত। সূচনা কানের কাছে এসে বীভৎস এক চিৎকার করে বলল,
-” এ কী করলে ভাইয়া। শেষ পর্যন্ত নিজের সন্তানকেও মে’রে ফেললে! ”
আচম্বিতে রুদ্রর দৃষ্টি নামল। সাদা টাইলসে তাজা র’ক্তের বন্যা বইছে। কারণ সদ্য জন্মানো নিষ্পাপ শিশুটির মৃত্যু ঘটেছে। তারই ভুলে!
.
দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙল আচমকা। সর্বাঙ্গ মৃদু মৃদু কাঁপছে রুদ্রর। বুক শুঁকিয়ে চৈত্রের খরাতে রূপান্তরিত। শরীর ঘেমে জবজব। বড্ড অস্থির লাগছে। হাতড়িয়ে টেবিল ল্যাম্প জ্বালালো সে। জগে এক ফোঁটা পানিও নেই। থাকবে কী করে হৈমী তো এ ঘরে নেই। সে থাকলে নিশ্চয়ই সবটা গুছিয়ে মনে করে জগ ভর্তি পানি রাখত। দুঃস্বপ্ন, সাদা কাপড়ে হৈমীর পবিত্র মুখশ্রী বুকের ভিতরটা শূন্য করে দিল তার। টনটনে অনুভূতি হলো প্রগাঢ়ভাবে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে। কোনো রকম ভারি শরীরটা দাঁড় করালো। হাঁটতে গিয়ে ভারসাম্য হারাতে চাইল কয়েকবার। তবুও সাবধানে নিচে গেল। পিপাসা মিটিয়ে মনের ব্যথা কমাতে চলে গেল সূচনার ঘরের সামনে। ভেড়ানো দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে পড়ল সে। বিনা অনুমতিতে। ড্রিম লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখতে পেল হৈমীর ঘুমন্ত সুশ্রী মুখাবয়ব। অস্থির বুকটা ধীরেধীরে শান্ত হতে শুরু করল। দৃঢ় পায়ে গিয়ে বসল হৈমীর পাশে। হাত বাড়িয়ে নাকের কাছে আঙুল ঠেকাল। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিকঠাক আছে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। হৈমী ঘুমে তাই নির্বিঘ্নে চুমু খেল কপালে, দুই গালে। ফিরে আসার মুহুর্তে থমকে বসল পুনরায়। উষ্ণ হাতটা স্পর্শ করল, হৈমীর গলায়। চোখ বুঁজে হাঁপ নিঃশ্বাস ছাড়ল। সূচনার দিকে তাকিয়ে সহজ গলায় উচ্চারণ করল,
-” তোর প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পেয়েছি সূচনা। কিন্তু উত্তরটা তোকে আমি দিব না। কাউকেই দিব না। কারণ এতে আমি অপরাধী হয়ে যাব। ভয়ংকর অপরাধী। তুই নিশ্চয়ই জানিস, অপরাধীদের সঙ্গে কেউ সংসার করতে চায় না। অপরাধীদের কেউ ভালোবাসে না। ”
চলবে…