ইদানিং টিউশনির মাঝে পাওয়া নাস্তায় বিস্কুটের পরিমাণটা বেড়ে গেল। বিষয়টি গত তিন-চার দিন যাবৎ খেয়াল করছি আমি। আগে যেখানে চায়ের সাথে দুটো বিস্কুক আসতো এখন সেখানে চারটে করে আসে। এভাবে চললো প্রায় দশ-পনেরো দিন। এভাবেই নাস্তা আসতে দেখে মনে মনে আমি ধরেই নিলাম যে, ‘ভালো পড়াই। ছেলেমেয়েরা ভালো রেজাল্ট করছে তাই হয়ত গার্জিয়ানে বিস্কুট বেশি দেয়।’
তবে আমি দেখতে পেতামনা আমার জন্য এই নাস্তা কে রেডি করে। কে ট্রেতে চা-বিস্কুট সাজিয়ে রুবিকে দিয়ে এগুলো আমার কাছে পাঠায়। তবে হ্যাঁ, রুবিকে নাস্তা আনার জন্য ডেকেছে কেউ এমনকিছু কোনদিন শুনিনি আমি। পড়ানোর মাঝখানে হঠাৎই রুবি আমাকে বলে উঠতো,
-‘এক্সকিউজমি স্যার! ক্যান আই গো গেট টি ফর ইউ?’
এটি আমাকে বলা ওর প্রতিদিনকার সেনটেন্স। আমিও ওকে উত্তর দিই,
-ইয়াহ/ওকে/শিউর।
যেদিন যখন যে ওয়ার্ডটি মুখে আসে সেটাই বলি ওকে।
চায়ের সাথে বিস্কুটের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঠিক পঁচিশ দিন পর থেকে পড়ানোর শেষে একগ্লাস করে দুধ আসতে লাগলো। আমিও এটিকে আগের মতোই ভালো পড়ানোর উপহার হিসেবে ধরে নিলাম। কোনদিনও রুবিকে জিজ্ঞেস করলামনা আসলেই আমার ধারণা ঠিক নাকি ভুল। এভাবে চললো আরো একমাস। এরপর হঠাৎ একদিন চায়ের সাথে আবারো একটি করে বিস্কুট আসতে শুরু হলো। পড়ানোর শেষে গ্লাস ভর্তি দুধও আসা বন্ধ হয়ে গেল!
এভাবে চললো একসপ্তাহ। এরপর একদিন রাতে ঘুমানোর সময় বিষয়টি নিয়ে ভাববার তাড়না জাগলো মনে। ভাবতে লাগলাম আমি। মনের মধ্যে কয়েকটি প্রশ্ন এসে জড়ো হলো। হঠাৎ বিস্কুট বেড়ে যাওয়াটাকে ধরে নিয়েছিলাম, ভালো পড়াই তাই হয়ত গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে এটি উপহার। পরে যখন দুধ আসতো তখনো সেটিকে উপহার হিসেবেই ধরে নিই। তাহলে, এখন যে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেল, কিন্ত এখন তো পড়ানোর মান পূর্বের তুলনায় সবথেকে ভালো। স্কুলেও ওদের পারফর্ম ভালো। তবে এগুলো বন্ধ হলো কেন?
পরেরদিন প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনেই তবে পড়ানো শুরু করব বলে মনস্থ করলাম। বিকাল তিনটা থেকে সন্ধা ছয়টা নাগাদ পড়াই রুবিদেরকে। এসময়টায় রুবির মা বাসায় থাকলেও মাসেও একবার উনার সাথে সাক্ষাত হয়না আমার।
আজকেও প্রতিদিনের মতো হোমওয়ার্ক তৈরি করে রুবি, রাফি, রিতু বসেছিল আমার জন্য। দরজা খোলাই থাকে। আমি বারান্দায় আসলেই ওরা আমাকে গ্রিটিং দিয়ে দেয়। আমিও দিই। আজ বসেই বললাম,
-রুবি, প্রথমে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দাও তো! তারপর পড়াবো।
রুবি বললো,
-জ্বী স্যার, বলুন কি প্রশ্ন!
আমি বললাম,
-আমার জন্য যে পড়ার মাঝখানে উঠে গিয়ে চা-নাস্তা নিয়ে আসো সেটা কে তৈরি করে দেন?
ও বললো,
-কে আবার, কাজের বুয়া। আর কে দেবে!
আমি বললাম,
-আচ্ছা, গত একসপ্তাহ আগে কে দিতো?
ও বললো,
-ঐ সময় তো তানহা আপু দিতো। কেন স্যার?
আমি বললাম,
-তানহা আপু মানে? তুমি যে বললে কাজের বুয়া এসব বানিয়ে দেয় তাহলে তানহা আপু কে?
ও বললো,
-নাহ স্যার ঐসব বলা যাবেনা।
আমি বললাম,
-কেন বলা যাবেনা বলো?
ও এসময় রাফি আর রিতুকে বললো, ‘তোরা একটু বাইরে যা তো। আমি ডাকলে পরে আসিস।’ ওর কথামতো ওরা বাইরে চলে গেল। এবার আমি বললাম,
-কি এমন কথা যে, একেবারে ওদেরকে বাইরে পাঠাতে হলো?
এবার ও বললো,
-আগে আপনি প্রমিজ করুন আমি এখন আপনাকে যা বলব তা কোনদিনও কাউকে বলবেননা!
আমি বললাম,
-হ্যা, প্রমিজ। কাউকে কিছু বলবনা আমি। এবার বলো তো।
ও বলতে লাগলো,
-আসলে, তানহা আপু হলো আমাদের স্কুলের সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। উনি এবার এসএসসি দিবেন। তবে উনি কথা বলতে পারেননা। মানে, উনি জন্মগতভাবেই বোবা। আর উনার পরিবারে উনার মা ছাড়া আর কেউ নেই। কিছুদিন আগে উনার মায়ের অপারেশন হওয়াতে আপুর পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। তখনি একদিন আমাকে যখন বাবা গাড়ি দিয়ে স্কুলে দিয়ে আসেন তখন আপু এসে বাবাকে একটি কাগজ দেন। এরপর থেকে আপু আমাদের বাসায় দুপুর একটা থেকে সন্ধা সাতটা নাগাদ কাজ করতেন। সবমিলিয়ে দু’মাসের মতো ছিলেন। গত সপ্তাহে চলে গিয়েছেন। তবে আপু খুব খুব ভালো। আপু অনেক সুন্দর ছবিও আঁকতে পারতো।
এই বলে ও ওর ব্যাগ থেকে ডায়েরি বের করে তানহার আঁকা রুবির স্ক্যাচ দেখালো। সত্যিই অপুর্ব এঁকেছে। রুবিকে বাস্তবের চেয়েও স্ক্যাচে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। আমি এবার রুবিকে জিজ্ঞেস করলাম,
-আচ্ছা, ও কেন চলে গেছে এসবের কিছু জানো কি তুমি?
ও বললো,
-নাহ স্যার। তবে মা হয়ত জানবেন। মাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে আসি?
আমি বললাম,
-নাহ থাক। মাকে জিজ্ঞেস করতে হবেনা। আচ্ছা, এরপর থেকে কি তাকে স্কুলে দেখেছো তুমি?
ও বললো,
-নাহ স্যার, দেখিনি।
আমি বললাম,
-তোমার কাছে কি তার কোন ছবি আছে?
ও বললো,
-নাহ স্যার ছবি নেই।
আমি আর কিছু বললামনা। ওদেরকে পড়ানো শেষ করে চলে আসলাম বাসায়। রাতে ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করেও ঘুমোতে পারছিলামনা আমি। কল্পনায় ওর চেহারাটা দেখার বৃথাই প্রয়াস করে যাচ্ছি। ওকে তো কোনদিন দেখিইনি আমি। আর যদি দেখেও থাকি জানতাম তো না যে, সেই তানহা! একজন অজানা অচেনা, অপরিচিতা মেয়ের জন্য মনের মধ্যে কেমন যেন হাহাকার শুরু হয়ে গেল আমার। ভেতরে প্রচণ্ড তাড়া অনুভুত হতে লাগলো। ওর পরিচয়, ওর ঠিকানা যেভাবেই হোক আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। আমাকে জানতেই হবে, কেন মোয়েটি এরকম করেছিল? আবার ভাবতে লাগলাম, ‘মেয়েটি কি তাহলে আমায় ভালোবেসে ফেলেছিল?’ ‘না না, এসব কি ভাবছি আমি! চেনা নেই জানা নেই, একজন অপরিচিতা মেয়ে আমাকে কি করে ভালোবেসে ফেলবে?’
নিজেকে নিজে শান্তনা দিলাম। এভাবেই কখন যে দুচোঁখে ঘুম নেমে এলো টেরও পেলামনা।
ভার্সিটিতে গেলামনা আজ। চলে আসলাম রুবিদের স্কুলে। অফিসে গিয়ে কেরানিকে পেলামনা। একজনকে জিজ্ঞেস করায় বললো, ‘ওয়াশরুমে গেছে।’ গেলাম ঐদিকটায়। ওয়াশরুম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে বুঝতে বাকি রইলোনা তাকে কি করে হাত করতে হবে। বাইরে চলে এলাম। এখানে আবার স্কুলের আশেপাশে কোথাও সিগারেট বিক্রি হয়না। এটি ভালো একটা দিক। একটু দুরেই যেতে হলো। দুটো গোল্ডলিফ সিগারেট নিলাম। কারণ আমি জানিনা সে ঠিক কি সিগারেট খায়। তাই মাঝামাঝি মূল্যেরটা নিলাম। সিগারেট নিয়ে গিয়ে দেখি ভদ্রলোক কাগজপত্র ঠিকঠাক করছে। প্রথমে গিয়েই তার হাতে কাগজে মোড়ানো সিগারেটগুলো দিয়ে দিলাম। বললাম, ‘কি ব্যাপার, আপনার শরীর স্বাস্থ তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করেননা নাকি?’ টেবিলের নিচে কাগজটি খুলে দেখে নিলো সে তাতে কি আছে। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-কি লাগবে ভাই?
আমি বললাম,
-বেশি কিছু লাগবেনা। দশম শ্রেণিতে তানহা নামের একজন মেয়ে পড়ে এখানে। সে স্কুলে রেগুলার আসে কিনা। আর যদি না আসে তাহলে কতদিন যাবৎ স্কুলে আসছেনা সেটা জানতে চাই আর ওর ঠিকানাটাও জানতে চাই।
আমার মুখে এসব শুনে লোকটি বললো,
-আপনি কে বলুন তো?
আমি বললাম,
-আমি যা যা জানতে চেয়েছি সেগুলো দিয়ে তারপর ওয়াশরুমে গিয়ে সিগারেটগুলো টেনে আসুন!
লোকটি আর কিছু বললোনা। ঝটপট কম্পিউটার থেকে ইমফরমেশন বের করে প্রিন্ট আউট করে দিয়ে দিলো আমায়। কাগজটি নিয়ে চলে এলাম আমি। বাইরে এসে একটি বাংলা হোটেলে ঢুকলাম। হোটেলের কিচেন এর সাথে লাগোয়া। কেউ চাইলেই কিচেনের ভেতর থেকে কাস্টোমারদেরকে দেখতে পারবে। সকালে কিছু খাওয়া হয়নি। প্রথমে ভাবলাম সিংগাড়া-সমুছা খাব পরে ঠিক করলাম, এসবের থেকে ভাত খেয়ে নিলেই ভালো হবে। অদূরেই গামছা কাঁধে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটিকে ইশারায় ডাকলাম। ও আসলো। এসে বললো,
-কি খাইবেন কন?
ওর শরীরে একটা অন্যরকম ভাব। দেখে মনে হচ্ছে সেই এই হোটেলের মালিক। ঠেকায় পড়ে ওয়েটারি করতে হচ্ছে।
আমি বললাম,
-ভাত খাব। কি কি আছে?
ও বলতে লাগলো,
-শিং মাছ, কৈ মাছ, তেলাপিয়া, পোল্ট্রি মুরগী, গরু, খাসি। কোনটা খাইবেন তাড়াতাড়ি কন!
সবগুলো নাম এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললো ও। আমি জিজ্ঞেস করলাম,
-ছোট মাছ নেই?
ও বললো,
-নাহ।
বললাম,
-ডিম আছে?
ও বললো,
-জ্বী, আছে, দিমু?
এবার ওর হাতে একটা দশ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে বললাম,
-যাও, ডিম, ভর্তা আর ডাল দিও।
টাকা দেয়ায় বেশ খুশি হলো ও। খেয়াল করলাম, ধুয়ে রাখা প্লেটটাও আবারো ধুয়ে নিলো ও। বেশ যত্নসহকারেই সামনে এনে খাবার পরিবেশন করলো। পাশের চেয়ারের উপর কাগজটা রেখে এক লোকমা ভাত মুখে দিই আবার একনজর কাগজটি দেখি। আবার এক লোকমা দিই আবার একনজর কাগজটি দেখি। এভাবে খাওয়া অর্ধেক শেষ হওয়ার মধ্যেই কাগজটি পড়া শেষ হয়ে যায় আমার।
ক্লাস সেভেন থেকে ও এই স্কুলে আছে। সব ক্লাসেই ও টপার ছিল। জেএসসিতেও গোল্ডেন পেয়েছিল। ক্লাসে উপস্থিতির পার্সেন্টিজ নাইনটি প্লাস! বৃত্তিও পায়। স্থায়ী ঠিকানা শহরের পাশের গ্রামেই। বর্তমান ঠিকানা এখানকারই একটি জায়গার নাম দেয়া। নামটি শুনেছি তবে কখনো যাওয়া হয়নি। খাওয়া প্রায় শেষ। ছেলেটি কাছে আসলে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
-তোমার নাম কি?
ও বললো,
-রাকিব।
তানহার বর্তমান ঠিকানার জায়গাটির কথা বলে ওকে বললাম,
-আচ্ছা রাকিব, এই জায়গাটা কি চিনো তুমি?
ও বললো,
-এইটাতো আমাগোর পাশেই। ঐ সামনের সোজা রাস্তা দিয়া দুই মিনিট হাঁটলেই মোড়ে একটা মন্দির আছে। সেইখান থাইক্যা এই জায়গাটি শুরু।
আমি বললাম,
-আচ্ছা ঠিক আছে।
এই বলে উঠে গেলাম আমি। কাগজে লিখা আর রাকিবের বলে দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী পৌঁছে গেলাম সেখানে। একটি হাফবিল্ডিং বাসা। দরজাটি একটু ফাঁকা। দরজায় নক করলাম আমি। একবার নক করাতেই ভেতর থেকে ভদ্র মহিলা বলে উঠলেন,
-তানু মা, দেখতো কে এসেছেন!
আমি আর নক করলামনা। মনে মনে বললাম, ‘এই তানু আবার কে?’
কিছুক্ষণ পরই দরজাটি খুলে দেয়া হলো। আমাকে দেখে মেয়েটি আঁতকে উঠলো। মনে হলো, আমাকে এভাবে সে স্বপ্নেও আশা করেনি। সেলোয়ার-কামিজ পড়ে আছে ও। তবে, মাথায় ওড়না দেয়া। নজর নিচের দিকে নামিয়ে ভেতরে চলে গেল সে। আমি বুঝতে পারছিলামনা কি করব। ভেতরে ঢুকবো নাকি ফিরে আসবো তা নিয়ে দুটানায় পড়ে গেলাম। এমন সময় ভেতর থেকে ভদ্র মহিলা ডেকে বললেন,
-ভেতরে এসো বাবা!
ভেতরে গেলাম আমি। রুবি গতকাল বলেছিল যে, তানহার মায়ের নাকি কিছুদিন আগে অপারেশন হয়েছে। তাই উনার জন্য ব্রেড আর কলা নিয়ে আসলাম। সেগুলো বিছানার পাশের টেবিলের উপর রেখে তানুর এগিয়ে দেয়া চেয়ারে বসলাম আমি। এবার ভদ্র মহিলা জিজ্ঞেস করলেন,
-কে তুমি বাবা?
আমি বললাম,
-আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে আপনিই তানহার মা তাইনা?
উনি বললেন,
-হুম বাবা, আমিই তানুর মা।
এবার শতভাগ নিশ্চিত হলাম যে, আসলে তানুই তানহা। বললাম,
-আসলে, আমি…..
এমন সময় তানহা এসে আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। কাগজটিতে লিখা,
“দেখুন, আমি জানিনা আপনি কিভাবে আর কেন আমাদের বাসায় এসেছেন। তবে, আমি যে রুবিদের বাসায় কাজ করতাম সেটা দয়া করে আমার অসুস্থ মাকে বলবেননা। উনি সহ্য করতে পারবেননা। মা আপনাকে যা কিছু জিজ্ঞেস করেন দয়া করে আপনি সেগুলো যেভাবেই পারেন ম্যানেজ করে নিন! পরে আমি আপনাকে প্রয়োজনে সব জানাবো।”
কাগজটি পড়তে দেখে তানহার মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
-এতে কি লিখা বাবা?
আমি বললাম,
-আর বলবেননা। সেদিন একটা অংক তানহা সমাধান করতে পারছিলনা। পরে অনেক বকুনি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, বাড়িতে যেন করে নেয়। সেটাই দেখালো।
উনি আমার কথা শুনে বললেন,
-ও আচ্ছা।
তাৎক্ষণিক এভাবে বিষয়টাকে ঘুরিয়ে দিব আর ম্যানেজ করে ফেলব তানহা হয়ত সেটা ভাবতেও পারেনি। আর তাই ওকে দেখলাম, আমার এমন জবাব শোনার পর হাফ ছেড়ে ওড়না দিয়ে নিজের নাকমুখ মুছে নিচ্ছে।
——-চলবে——-
বোবা_প্রেম
পর্ব-১
লেখক – Riyad Ahmod Bhuiya