ব্লাক_স্টন,পর্ব_০২
Writer_Shanta_islam
কাপা কাপা কন্ঠে প্রশ্ন করলাম,,,কে? কে ওখানে? ওপাশ থেকে কোনো উত্তর আসলো না। যতই সামনে এগোচ্ছি ততোই হার্ট বিট বেরে যাচ্ছে। একটা পর্যায় আমি মেয়েটার কাছে চলে আসি।
-কে আপনি? এখানে কী করছেন? আশ্চর্য মেয়েটার কোনো সারা শব্দ নেই। সাহস করে কাধে হাত রাখতেই মেয়েটা সামনে ফিরে তাকায় আর সাথে সাথে তার বিদঘুটে চেহারা ভেসে উঠে। পুরো মুখ রক্তে টগবগ করছে। একে মেয়ে বললে ভুল হবে আদো মানুষের তালিকায় ফেলানো যাচ্ছে না। এটাকে দেখা মাত্রই আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম,,সাথে সাথে ওটা আমার গলা টিপে ধরলো। দম বন্ধ হয়ে আসছে শ্বাস নিতে পারছি না।
– ছা,,ছা,,ছাড়ূুন,,,,আ,,আ,,,,,,,,,
-অভি অভি অভি কিরে ওঠ,,,অভি
হঠাৎ বাবার কন্ঠ কানে এলো। আওয়াজটা ক্রমশ তীব্র হতে লাগলো। শেষ বারের জন্য চোখ বন্ধ করলাম। চোখ মেলার সাথে সাথে কাধে কারো হাত অনুভব করলাম।
অভি অভি অভি মুহুর্তের মধ্যে সব কিছু কেমন যেনো পাল্টে গেলো। পিছনে তাকাতেই দেখলাম বাবা আমাকে ডাকছে। সিচুয়েশন বুঝে উঠতে না পেরে চেয়ার থেকে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম।
– কিরে কি হলো? ভয় পাচ্ছিস কেনো?
– ওহ আল্লাহ!!আব্বা এভাবে কেও ডাকে? আরেকটু হলে হার্ট এট্যাক করতাম।
-কীভাবে ডাকলাম ঠিক ভাবেই তো ডেকেছি। তুই ভয় পেলে আমার দোষ কী? তোর মা খেতে ডাকছে জলদি খেতে আয়। কথাটা বলে আব্বা রুম থেকে বের হয়ে গেলো
– আল্লাহর হাজার সুকরিয়া এটা স্বপ্ন ছিলো। আরেকটু হলে মরেই যেতাম। আমি ভুত প্রেতে তেমন বিশ্বাস করি না। কিন্তু আজকের স্বপ্নটা এতো রিয়েলিস্টিক ছিলো মনে হচ্ছিলো মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখছি। ঘড়ির কাটায় তখন সাড়ে নয়টা। জন্মের পর থেকে এমন খারাপ স্বপ্ন দেখেছি বলে মনে হয় না। ঘেমে পুরো একাকার হয়ে গেছি। এখনো বুকটা ধুক ধুক করছে। ওয়াসরুমে যেয়ে মুখটা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। তোয়ালে দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে করতে আয়নার দিকে তাকিয়ে ভাবছি এতো রাতে যাবো কি না। ভিতরে কেমন ভয় কাজ করছে। মার ভুতুড়ে গল্পগুলো আমাকে খারাপ ভাবে ম্যানুকুলেট করেছে বুঝতে পারছি। এভাবে হবে না। সবার মতো আমিও যদি ভুতের ভয়ে গুটি মেরে বসে থাকি তাহলে এতোগুলো মানুষের মৃত্যুর আসল রহস্য রহস্যই থেকে যাবে। কেনো ছেলেগুলো মারা গেলো? আসলে সেদিন রাতে কি হয়েছিলো সব কিছু জানতে হবে। অন্তত যেই নির্দোষ মানুষগুলো প্রান হারিয়েছে তাদের জন্য হলেও আসল খুনিকে খুজে বের করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিলাম আজ রাতেই ডেট স্পটে যাবো যা হবে দেখা যাবে।
খাবার টেবিলে বসে ভাতগুলো নিয়ে নাড়াচড়া করছি। লাশটা দেখার পর গলা দিয়ে ভাত নামছে না।
– ভাত না খেলে ডিমটা আমাকে দিয়ে দিতে পারিস।
কথাটা বলে টুসি ওর সামনের দাতগুলো বের করে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো। অবশ্য ওর সামনের তিনটা দাত নেই। সবে দাত পড়া শুরু হয়েছে। দুইটার মধ্যে একটা ফ্রিজের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়েছে। আর দুটো টাকা পাওয়ার লোভে নিজেই ভেঙে ইদুরের গর্তে ফেলেছে। কিন্তু যবে থেকে বুঝতে পেরেছে ইদুর মামা প্রতারক,, দাত নেয় ঠিকি কিন্তু টাকা দেয় না তবে থেকে প্রতিদিন আয়নায় মুখ না দেখে দাতগুলো দেখে আর আফসোস করে৷ এই নিয়ে আমি প্রতিদিন টুসিকে চেতাই। আজো তার ব্যক্তিক্রম হলো না। টুসির মাথায় টোকা মেরে বললাম তোর দাত আছে যে ডিম খাবি।
টুসি গাল ফুলিয়ে ওর প্লেট হাতে নিয়ে আব্বার পাশে যেয়ে বসলো।
– থাক মা এই নে তুই আমার থেকে ডিম নে।
আব্বার পাতের ডিমটা ফিরত দিয়ে টুসি সাপের মতো ফুসতে ফুসতে বললো খাবো না তোমাদের ডিম। তোমাদের ছেলেকে খাওয়াও।
টুসির রাগের পরিমান মাপতে পেরে মা টুসির পাতে আরেকটা ডিম দিয়ে আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে বললো,,,,অভি তুই আমার মেয়েটাকে এতো খেপাস কেনো বল তো। শান্তি মতো খেতে দিবি তো।
-আমি আবার কি করলাম তোমার মেয়ে আমার পাতের ডিম চায় কেনো?
– ডিম চেয়েছি বলে দাত নিয়ে খোটা দিবি।
-দিবো না তো কি করবো? তুই তো লোভী,,,টাকার লোভে নিজের দাত নিজে ভেঙেছিস,,,
-তাতে তোর কি গন্ডার,,নিজের পাছার প্যান্ট ঠিক থাকে না আর আমাকে শিখাতে এসেছে কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক। এবার শুরু হলো আমার আর টুসির মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতার ভারসাম্য বিগরে যাচ্ছে দেখে মা চটে গিয়ে বললো,,,আর একটা সাউন্ড করবি দুটোকে লাথি মেরে বাসার বাইরে ফেলাবো।
খেতে বসেও শান্তি নেই। প্লেট নিয়ে রুমে চলে এলাম। একা ছিলাম ভালো ছিলাম কোথা থেকে টুপুস করে এই টুসিটা এসে জুটলো আল্লাহ মালুম। সাত বছরে পড়লে কি হবে ঝগড়া করে পাশের বাড়ির ঝগড়াটে আন্টিদের মতো।
অপেক্ষা করতে করতে রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। এখনি রওনা দিতে হবে। যেতে যেতে একটা বেজে যাবে। টর্চ লাইট,ক্যামেরা, হ্যান্ড গ্লাবস,সেফটির জন্য চাকু টাকু নিয়ে নিলাম। সকালের মতো এবারো পাইপ বেয়ে নিচে নামলাম। নামার সাথে সাথে পিছন থেকে প্যান্টটা চেক করে নিলাম। নাহ এবার ছিরেনি। এমনিতেই একটা ছিরেছে আরেকটা প্যান্ট ছিরলে আম্মা আমাকে আস্তো রাখবে না।
আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা দিলাম। যাওয়ার সময় কেনো জেনো মনে হলো আমার পিছু পিছু কেও একজন হাটছে। কিন্তু যতবারি পিছু তাকিয়েছি কেও ছিলো না। মনের ভয় বড় ভয়। আগে মনের ভয় দূর করতে হবে। মনকে বুঝিয়ে ডেট স্পটে এসে পৌছালাম।
বিল্ডিং এর সামনে এসে দাড়াতেই পাচতলা থেকে সাদা পোশাক পড়া একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটা আমার দিকেই মুখ করে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ পিছনে কিছু একটার শব্দ পেলাম ব্যাগ খুলে লাইট অন করতেই কাওকে পেলাম না।
এটা কি হচ্ছে আমার সাথে। আসলেই কি ভৌতিক কাহিনীগুলো সত্যি। না না এটা আমি কি ভাবছি। এ যুগের ছেলে হয়ে ভুত প্রেতে বিশ্বাস করা নির্ঘাত বোকামির কাজ। কথাগুলো ভাবতে না ভাবতেই হঠাৎ পাচ তলা থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেলাম।
-আ,,আ,,,আ,,,,,,, নাহ ভুল শুনিনি আবার সেই আওয়াজটা কানে এলো। সাত পাচ না ভেবে পাচ তলার জন্য দৌড় লাগালাম। পাচ তলা পৌছোতেই যা দেখলাম তাতে আমার চোখ কপালে উঠলো। সাদা পোশাক পড়া একটা মেয়ে আমার দিকে দৌড়ে আসছে। মেয়ে নাকি ভুত আল্লাহ মালুম। এর জন্যই বলে গুরুজনদের কথা শুনতে হয়। আজ তোর মরন আছে অভি। ভাগ অভি ভাগ। ভুতনীকে দেখার পর চোখ বন্ধ করে দিলাম এক দৌড়। কি ভুতনী বাবারে বাবা পিছু ছাড়ছে না যত দৌড়াচ্ছি ওটাও আমার পিছু দৌড়ে যাচ্ছে। আমি দৌড়াবো কী ভুতনী আমার আগে দৌড়াচ্ছে। এক মিনিট? ভুতনী আমাকে ক্রস করে দৌড়ে গেলো কেনো? পিছু তাকিয়ে দেখি আরো তিনজন লোক দৌড়ে আসছে। লোকগুলোকে দেখে থমকে গেলাম। পরিস্থিতিটা বুঝার চেস্টা করছি। আসলে আমার সাথে এগুলো কি হচ্ছে। একটু আগে একটা ভুতনী দেখলাম এখন আবার তিনটা লোক দেখছি আমার দিকে দৌড়ে আসছে। এটা কী কোনো স্বপ্ন? নাকি আমিই ভুল দেখছি। লোকগুলো কাছে আসতেই বুঝলাম এরা ভুত নয় বরং মানুষ। লোকগুলো আমাকে দেখে বলো উঠলো এই ছেলে এখানে কেনো এসেছো? তোমারো কি মরার শখ হয়েছে। নাহ এটা কোনো স্বপ্ন নয়। এটা বাস্তব। মানুষগুলো আমার সাথে কথা বলছে। তিনজনের মধ্যে টুপিওয়ালা হুজুর টাইপের লোকটা বললো- এই ছেলে জবাব দেও এখানে কি করছো? পাশ কাটিয়ে একটা ইয়াং বয়সের ছেলে বললো হুজুর এটাও ভুত নাকি?
দারাও এখনি পরিক্ষা করছি কথাটা বলে তিনজনের মধ্যে খালি গায়ে শুধু ধুতি পড়া লোকটা লাল রঙের মতো কিছু একটা আমার উপর ছুড়ে মারলো। এমন ভাবে রঙগুলো মেরেছে একেবারে নাকের মধ্যে ডুকে গেছে। আমি খকখক করে কাশতে কাশতে বললাম আরে ভাই থামেন থামেন আমি ভুত না আমি মানুষ।
-পন্ডিত মশাই থামেন আর দিয়েন না। ছেলেটা মানুষ একেও মনে হয় ভুতটা ফাসিয়েছে।
-আপনারা কে আর এখানে কি করছেন?
আমার প্রশ্ন শুনে আমার বয়সী ছেলেটা বললো
-আমি রাব্বি আর উনাদের দুজনকে দেখে হয়তো বুঝতেই পারছেন একজন হুজুর আরেকজন পন্ডিত। আজ এখান থেকে যেই ছেলেটার লাশ পাওয়া গেছে সে আমার বন্ধু। ওর বদলা নিতেই আমি সাদিয়ার আত্নাকে শেষ করতে এসেছি। আমি অমিতের মৃত্যুর বদলা নিয়েই ছাড়বো। ছেলেটার চোখে আগুন দেখতে পারছি। প্রতিশোধের তীব্র আগুন।
-আপনি এখানে কি করছেন? আপনাকেও কি সাদিয়ার আত্না প্রেমের ফাদে ফেলে এখানে নিয়ে এসেছে?
– আসলে যেমনটা ভাবছেন,,,কথাটা বলতে যেয়েও থেমে যাই। এই ছেলেটা যদি মৃত ব্যক্তির বন্ধু হয় তাহলে এর কাছ থেকে অনেক ইনফরমেশন নেওয়া যাবে তাই আমি ছেলেটার কথায় তাল মিলিয়ে বললাম হ্যাঁ ওই আত্নাটা আমাকেও ফাসিয়ে এখানে নিয়ে এসেছে।
আমাদের কথার মাঝে হুজুর বলে উঠলো,,,আপনারা কথা থামাবেন? আমার বউ আমার জন্য বাসায় অপেক্ষা করতাসে। জলদি আত্নারে খুজেন নাহলে আমি যাই।
হুজুরের কথা শুনে পন্ডিত টিটকারি মেরে বললো,,,হুজুর মিয়া ভয় পাইলা নাকি। তুমি দেখো আমি কেমনে আত্না ধরি। উনাদের দুজনের মাঝে রাব্বি বাধা দিয়ে বললো হুজুর পন্ডিত মশাই ঝগড়া করবেন না। আমাকে সাহায্য করুন। ওই আত্নাটাকে শেষ করতে হবে।
ইন্টারেস্টিং উনাদের কথাশুনে এমন মনে হচ্ছে এডভেঞ্চার জনক কিছু হতে চলেছে।
-রাব্বি আমি কি আপনাদের সাথে থাকতে পারি? না মানে যত মানুষ থাকবে ততো ভালো হবে। আত্নাকে ধরতে সুবিধা হবে,,এই আর কি,,,মানে আপনারা না চাইলে আমি চলে যেতে পারি। বলেতো দিলাম চলে যাবো কিন্তু সহজে যাবো নাকি,,এমন এডভেঞ্চার কে মিস করে। চলে যাওয়ার ভান করে দুপা এগোতেই রাব্বি নামের ছেলেটা ডাক দিয়ে বললো,,,দারান আপনিও আমাদের সাথে থাকুন যত মানুষ থাকবে ততো ভালো।
আমি ব্যাগ থেকে ঝটপট করে ক্যামেরাটা বের করলাম। চারজন দুটো টিমে ভাগ হলাম,, পন্ডিত মশাই আর হুজুর এক সাথে সাদিয়ার আত্নাকে খুজবে আমি আর রাব্বি ওপজিট সাইডে খুজবো। ক্যামেরা অন করে ভিডিও রেকর্ডিং অন করতেই রাব্বি বললো,,,গার্লফ্রেন্ডের সাথে রুম ডেটের ভিডিও বানাতে ক্যামেরা নিয়ে এসেছেন তাই না?
আজ পর্যন্ত একটা প্রেম করতে পারলাম না আবার রুম ডেট। কি আর করার সত্ত্য লুকিয়ে মিথ্যাই বলতে হলো,,বললাম জি ভাই রুম ডেটের জন্যই ক্যামেরা এনেছি।
আপনাদের হয়তো বন্ধুত্ব বেশ গভীর ছিলো তাই তো মরনের ভয় না করে আত্নার সাথে লড়াই করতে এসেছেন?
ছেলেটা কাতর কন্ঠে একরাশ হতাশা নিয়ে বললো,,,শুধু বন্ধু না ভাই ছিলো কলিজার ভাই। আত্নার সন্ধানে রাব্বির সাথে অনেক কথাবার্তা হলো। কথা বলতে বলতে প্রায় আধ ঘন্টার মতো হয়ে গেলো কিন্তু আত্নার সন্ধান পেলাম না। ক্যামেরাটা অন ছিলো হঠাৎ একটা চিৎকারের আওয়াজ পেলাম। দুজনি থেমে যেতেই দেখলাম দূর থেকে হুজুর দৌড়ে আসছে।
হুজুর সিড়ি দিয়ে দৌড়ে পালানোর আগেই রাব্বি হুজুরকে ধরে বললো,,,কোথায় যাচ্ছেন হুজুর?
হুজুর রাব্বির হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার চেস্টা করতে করতে বললো,,,আমাকে ছেরে দেন ভাই। আমি আসল হুজুর না। মানুষরে আত্নার ভয় দেখাইয়া টাকা কামাই। মাঝে মাঝে কাজিও সাজি। কান ধরসি ভাই মানুষরে আর জীবনো ঠকামু না। আমারে যাইতে দেন ভাই নাইলে ওইটা আমারে খাইয়া লাইবো।
-কার কথা বলছেন আপনি? আর পন্ডিত মশাই কোথায়?
– ওই ভয়ানক জিনিসটা পন্ডিতরে নিয়া গেছে। ভাই আমারে যাইতে দেন।
-ওরে বাটপার তুই আমাকে ঠকিয়ে এতোগুলো টাকা নিয়েছিস। দাড়া তোকে আমি,,,,
– রাব্বি ওকে ছেরে দেও আমাদের আসল জায়গায় যাওয়া উচিত। হয়তো পন্ডিত এখনো বেচে আছে?
– হ্যাঁ ঠিক বলেছো চলো যাই। হুজুরকে ছেরে দিতেই হুজুর দৌড়ে পালালো। দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভয় পেয়েছে। আর যাই হোক এটা কনফার্ম হুজুর ভয়ংকর কিছু দেখেছে। তাই সেফটির জন্য ব্যাগ থেকে ছুড়ি বের করে নিলাম। রাব্বি ছেলেটার সাহস আছে বটে। ওকে দেখে আমিও সাহস পাচ্ছি। নাহলে কখন দৌড়ে পালাতাম। ভিতরে ভয় আর কিউরিসিটি দূটোই কাজ করছে। এবার আর পিছু হাটবো না। ভুতনীকে দেখার সাথে সাথে চাকু মেরে দিব। মনকে শক্ত করে কিছু দূর এগোতেই পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম। আমি সাথে সাথে রাব্বিকে ইশারা দিয়ে সচেতন করে দিলাম আওয়াজ না করতে। আস্তে আস্তে সামনে এগোতেই আবার সেই সাদা পোশাকের মেয়েটাকে দেখতে পেলাম। এটাই হয়তো সাদিয়ার আত্না। খুব ভয় হচ্ছে তবুও সাহস সঞ্চয় করে আরেকটু এগোতেই ওটা টের পেয়ে গেলো। ছুরিটা উঁচু করে যেই মারতে যাবো তার আগেই ওটা সামনে ফিরে তাকালো। আর সাথে সাথে আমার হাত থেমে গেলো। এটা তো,,,,
আমি কিছু বলার আগেই রাব্বি আমার হাত থেকে ছুরিটা নিয়ে মেয়েটার হাতে মেরে বসলো।
আমি দৌড়ে রাব্বিকে থামানোর জন্য ধরলাম।
– তুই ডাইনি তুই আমার বন্ধুকে মেরেছিস। তোর আজ,,আমি রাব্বিকে শক্ত করে পেচিয়ে ধরলাম যাতে রাব্বি ছুরিটা ফেলে দেয়।
-কি করছো অভি আমাকে ছাড়ো,,,
– রাব্বি হুশে আসো ভালো করে দেখো,,আঘাতের জায়গা থেকে রক্ত ঝড়ছে। আমার কথাশুনে মেয়েটাও নিজের হাতের দিকে তাকায়।
– তার মানে ও মানুষ,,,
মেয়েটা রাগি কন্ঠে বললো,,,
– মুর্খের দল তোমরা এটা কি করলে,,এখন রক্তের গন্ধে ওটা আবার জেগে উঠবে,,,,
চলবে,,,,