ভদ্র_ছেলের_আজব_বউ পর্ব_০৩

0
2365

ভদ্র_ছেলের_আজব_বউ পর্ব_০৩
#জান্নাতুল_মাওয়া

.
-কেমন লাগছে আমাকে জামাই।
-আমার ড্রেস কার থেকে অনুমতি নিয়া পড়ছো।
-তোর থাইকা।
-মিথ্যা কথা একদম বলবানা।
-আমি সত্যি বলছি।
-কখন বলছ হ্যা?
-তখন যে বললাম তুই তো ঘুমেছিলি তখন। তাই শুনিছনি।
-হোয়াট! ওহ আল্লাহ একে নিয়ে আমি কোথায় যাবো।
-জামাই বলনা কেমন লাগছে আমাকে?
-বহুত আচ্ছা লাগছে। এখন যাও এইসব খুলে শাড়ি পড়ো।
– এই আমি কি খোলার জন্য পড়েছি।
– প্লীজ বউটা এমন করে না। দেখো বাহিরের মানুষ খারাপ বলবে।
– আমি এখনি যাচ্ছি বাহিরে। দেখি কার কত বড় সাহস আমাকে কিছু বলবে।
এখন যদি ও বাহিরে যায় তাহলে আমার মান সম্মান সব শেষ করবে। যেভাবে হোক থামাতে হবে।
রেহান ইরাকে থামিয়ে দিয়ে,,,
– তোমার বাবা মার কাছে যাবে?
ইরা খুশি হয়ে,,,
-নিয়ে যাবি আমাকে। তুইও যাবি কিন্তু আমার সাথে?
-জ্বী মেম যাচ্ছি আমি। সো নো টেনশন।
– তুই আমাকে আবার ওইখানে ফেলে আসবিনা তো।
– (অনেক কষ্টের পর তোমাকে পেয়েছি। এত সহজে ছাড়ছিনা) একদম না।(আমাকে ক্ষমা করো ইরা। বুশরার বিয়ের ঝামেলার কারনে কিছুদিন তোমাকে ঐখানে থাকতে হবে। তারপর একে বারের জন্য আমার কাছে নিয়ে আসবো। আর কোথাও যেতে দেবোনা।)
ইরা এবার লক্ষি মেয়ের মতো চেইন্জ করে নাও।
– আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না। তাই তো এটা পড়লাম।
– আচ্ছা চল আমি তোমাকে হেল্প করি।
.
.
রেহান ইরাকে শাড়ি পড়িয়ে বের হয় রুম থেকে। নাস্তা করতে গিয়ে দেখে রুটি আছে দুটো কিন্তু রুটি খাওয়ার জন্য কোন কিছুই নাই। খাদক দল সব খেয়ে খালি হাঁড়ি রেখে গেছে। কি আর করার রেহান রেস্টোরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়েছে সাথে ইরাকেও খাইয়ে দিয়েছে। ততক্ষনে বেলা অনেকটাই হয়ে গেছে। যার কারনে বাড়িতে আস্তে আস্তে মহিলার সংখ্যা কমতে থাকে। বৌভাত এর জন্য সবাই পার্লারে চলে গেছে সাজতে। ইরা জন্য বাড়িতে পার্লারের লোক বুক করা হয়েছে। তারা এসে ইরাকে সাজিয়ে দিয়ে গেছে। এর মাঝে বুশরাই ইরাকে সামলায়।

.
রাতে ইরা রেহানকে বলে….
-সব কিছু গুছাইয়া নে। আমার শেষ।
-কেনো?
-কাল যে আমদের বাড়ি যাচ্ছি তাই।
-আমার কিছু নেওয়া লাগবেনা।
-আমারও কিছু লাগবনা?
– না না তুমি নাও। আমি আমার গুলা পড়ে গুছিয়ে নিবো।
এরপর ইরা আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়ে।
.
পরদিন সকালে ইরা ঘুম থেকে ওঠে রেডি হয়ে খেয়ে রেহানকে ডাকাডাকি শুরু করে।
-জামাই উঠ তারাতারি ৭ টা বেজে গেছে।
-ওপপ মাত্র তো ৭ টা বাজে। আরেকটু ঘুমাইতে দাও।
-না না হবেনা ওঠ।
-যাও তো এখান থাইকা আমি ঘুমামু।
-দাড়া পানি আনতাছি।
-এই না ওঠতাছি।
.
রেহান ওঠে বসতেই দেখে ইরা রেডি।
-তারাতারি নাম বিছানা থাইকা।
-তুমি না আমার লক্ষি বউ। আরেকটু ঘুমাই।
-পানি আনমু?
– এই না না।
রেহান বসে ঝিমাতে থাকে।
.
-জামাই তুই কি ঘুমের মধ্যেই যুদ্ধ জয় কইরা পেলছত? কখন যাবো আমরা।
– এই তো যাচ্ছি।
.
.
রেহান বিছানা থেকে নেমে ফ্রেস হতে চলে যায়। এরপর খেয়ে রেডি হয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায়। ইরা আর রেহান দুজনে পাশাপাশি সিটে বসে আছে। ইরা একা একাই কথা বলতে থাকে। আর রেহান নিরব দর্শক হয়ে সেগুলো শুনে যায়।
.
ইরা দের বাড়ির সামনে গাড়ি থামালো।
ইরা আর রেহান বিতে ঢুকে। ইরা তার মাকে ডাকে….
-আম্মু আম্মু….
-ইরা,,,
.
ইরার কাছে এসে…
-আরে ইরা তুই?
-তোমরা আমাকে একটু ভালোবাসোনা।
-তুর মাথায় কবে বুদ্ধি হবে বলতো।
-আমার অনেক বুদ্ধি আছে বুঝছ।
বলতে বলতে ইরা ভিতরের দিকে চলে যায়।
-বাবা চলো ভিতরে।
.
রেহান আর ইরার মা দুজনে ভিতরের দিকে চলে যায়। তারপর রেহান ইরার মাকে বলে,,
– মা একটা কথা ছিলো।
– হুম বলো বাবা।
– আপনারা তো জানেন ইরা কেমন পাগলামি আর ছেলেমানুষি করে। আমার থেকে আপনারাই বেশি জানেন। এইদিকে কয়েকদিন পর বুশরার বিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি সব এরেন্জমেন্ট করতে হবে। ওর দিকে হয় তো ব্যাস্ততার কারনে তেমন খেয়াল রাখতে পারবোনা। মা বাবার ও বয়স হয়েছে। বুঝতেই পারছেন। আমি চাচ্ছি না ইরা কিংবা মা বাবা কেউ কোন রকম ভাবে কষ্ট পাক। তাই আমি চাচ্ছি ও কয়েকদিন এখানে থাক। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে এসে আমি ওকে নিয়ে যাবো।
রেহান সারাদিন চেষ্টা করে বের হওয়ার কিন্তু ইরার জন্য পারেনা।
– হা হা হা হা।
– ও এখানে থাকবে এতে তো আমাদের ভালো লাগবে। তুমি এমনভাবে বলছ যেনো আমরা তোমাকে বকবো।
– আসলে,,,
– কোন কথা হবে না আর। চুপ করে বসো তুমি। আমি চা নিয়ে আসছি।
এরপর ইরার মা রান্না ঘরের দিকে চলে যায়।
.
রেহান সারাদিনে অনেক চেষ্টা করে বাড়ি থেকে বাড় বের হওয়ার কিন্তু ইরার জন্য পারে না।
অবশেষে পরদিন সকালে সফল হয় বাড়ি থেকে বের হওয়ার। রেহান তারাতারি ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে কাউকে কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায়।
মনে মনে ভাবতে থাকে…
-এই এলাকা পার হতে পারলেই বাঁচি। এই ভেবে তারাতারি ড্রাইভ করে।
– আচ্ছা পাগলিটা ঘুম থেকে ওঠে যদি আমাকে দেখতে না পায় তাহলে কি মন খারাপ করবে নাকি রাগ করবে। যাই করুক পড়ে সব একেবারে মিটিয়ে দিবো।
.
.
রেহানের ভাবনায় ছেদ পড়ে তখনি যখন পিছন থেকে কেউ একজন বলে….
-আস্তে চালা জামাই আমার ভয় করছে মাথা ঘুরাচ্ছে।
.
রেহানের আর বুঝতে বাকি নাই এটা যে ইরা। তবু সিওর হওয়ার জন্য গাড়ি থামিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে ইরা বসে আছে।
-যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ও এখানে কি করে এলো নাকি আমার চোখের ভ্রম।
চলবে…….#ভদ্র_ছেলের_আজব_বউ
#জান্নাতুল_মাওয়া
#পর্ব_০৩
.
-কেমন লাগছে আমাকে জামাই।
-আমার ড্রেস কার থেকে অনুমতি নিয়া পড়ছো।
-তোর থাইকা।
-মিথ্যা কথা একদম বলবানা।
-আমি সত্যি বলছি।
-কখন বলছ হ্যা?
-তখন যে বললাম তুই তো ঘুমেছিলি তখন। তাই শুনিছনি।
-হোয়াট! ওহ আল্লাহ একে নিয়ে আমি কোথায় যাবো।
-জামাই বলনা কেমন লাগছে আমাকে?
-বহুত আচ্ছা লাগছে। এখন যাও এইসব খুলে শাড়ি পড়ো।
– এই আমি কি খোলার জন্য পড়েছি।
– প্লীজ বউটা এমন করে না। দেখো বাহিরের মানুষ খারাপ বলবে।
– আমি এখনি যাচ্ছি বাহিরে। দেখি কার কত বড় সাহস আমাকে কিছু বলবে।
এখন যদি ও বাহিরে যায় তাহলে আমার মান সম্মান সব শেষ করবে। যেভাবে হোক থামাতে হবে।
রেহান ইরাকে থামিয়ে দিয়ে,,,
– তোমার বাবা মার কাছে যাবে?
ইরা খুশি হয়ে,,,
-নিয়ে যাবি আমাকে। তুইও যাবি কিন্তু আমার সাথে?
-জ্বী মেম যাচ্ছি আমি। সো নো টেনশন।
– তুই আমাকে আবার ওইখানে ফেলে আসবিনা তো।
– (অনেক কষ্টের পর তোমাকে পেয়েছি। এত সহজে ছাড়ছিনা) একদম না।(আমাকে ক্ষমা করো ইরা। বুশরার বিয়ের ঝামেলার কারনে কিছুদিন তোমাকে ঐখানে থাকতে হবে। তারপর একে বারের জন্য আমার কাছে নিয়ে আসবো। আর কোথাও যেতে দেবোনা।)
ইরা এবার লক্ষি মেয়ের মতো চেইন্জ করে নাও।
– আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না। তাই তো এটা পড়লাম।
– আচ্ছা চল আমি তোমাকে হেল্প করি।
.
.
রেহান ইরাকে শাড়ি পড়িয়ে বের হয় রুম থেকে। নাস্তা করতে গিয়ে দেখে রুটি আছে দুটো কিন্তু রুটি খাওয়ার জন্য কোন কিছুই নাই। খাদক দল সব খেয়ে খালি হাঁড়ি রেখে গেছে। কি আর করার রেহান রেস্টোরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়েছে সাথে ইরাকেও খাইয়ে দিয়েছে। ততক্ষনে বেলা অনেকটাই হয়ে গেছে। যার কারনে বাড়িতে আস্তে আস্তে মহিলার সংখ্যা কমতে থাকে। বৌভাত এর জন্য সবাই পার্লারে চলে গেছে সাজতে। ইরা জন্য বাড়িতে পার্লারের লোক বুক করা হয়েছে। তারা এসে ইরাকে সাজিয়ে দিয়ে গেছে। এর মাঝে বুশরাই ইরাকে সামলায়।

.
রাতে ইরা রেহানকে বলে….
-সব কিছু গুছাইয়া নে। আমার শেষ।
-কেনো?
-কাল যে আমদের বাড়ি যাচ্ছি তাই।
-আমার কিছু নেওয়া লাগবেনা।
-আমারও কিছু লাগবনা?
– না না তুমি নাও। আমি আমার গুলা পড়ে গুছিয়ে নিবো।
এরপর ইরা আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়ে।
.
পরদিন সকালে ইরা ঘুম থেকে ওঠে রেডি হয়ে খেয়ে রেহানকে ডাকাডাকি শুরু করে।
-জামাই উঠ তারাতারি ৭ টা বেজে গেছে।
-ওপপ মাত্র তো ৭ টা বাজে। আরেকটু ঘুমাইতে দাও।
-না না হবেনা ওঠ।
-যাও তো এখান থাইকা আমি ঘুমামু।
-দাড়া পানি আনতাছি।
-এই না ওঠতাছি।
.
রেহান ওঠে বসতেই দেখে ইরা রেডি।
-তারাতারি নাম বিছানা থাইকা।
-তুমি না আমার লক্ষি বউ। আরেকটু ঘুমাই।
-পানি আনমু?
– এই না না।
রেহান বসে ঝিমাতে থাকে।
.
-জামাই তুই কি ঘুমের মধ্যেই যুদ্ধ জয় কইরা পেলছত? কখন যাবো আমরা।
– এই তো যাচ্ছি।
.
.
রেহান বিছানা থেকে নেমে ফ্রেস হতে চলে যায়। এরপর খেয়ে রেডি হয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায়। ইরা আর রেহান দুজনে পাশাপাশি সিটে বসে আছে। ইরা একা একাই কথা বলতে থাকে। আর রেহান নিরব দর্শক হয়ে সেগুলো শুনে যায়।
.
ইরা দের বাড়ির সামনে গাড়ি থামালো।
ইরা আর রেহান বিতে ঢুকে। ইরা তার মাকে ডাকে….
-আম্মু আম্মু….
-ইরা,,,
.
ইরার কাছে এসে…
-আরে ইরা তুই?
-তোমরা আমাকে একটু ভালোবাসোনা।
-তুর মাথায় কবে বুদ্ধি হবে বলতো।
-আমার অনেক বুদ্ধি আছে বুঝছ।
বলতে বলতে ইরা ভিতরের দিকে চলে যায়।
-বাবা চলো ভিতরে।
.
রেহান আর ইরার মা দুজনে ভিতরের দিকে চলে যায়। তারপর রেহান ইরার মাকে বলে,,
– মা একটা কথা ছিলো।
– হুম বলো বাবা।
– আপনারা তো জানেন ইরা কেমন পাগলামি আর ছেলেমানুষি করে। আমার থেকে আপনারাই বেশি জানেন। এইদিকে কয়েকদিন পর বুশরার বিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি সব এরেন্জমেন্ট করতে হবে। ওর দিকে হয় তো ব্যাস্ততার কারনে তেমন খেয়াল রাখতে পারবোনা। মা বাবার ও বয়স হয়েছে। বুঝতেই পারছেন। আমি চাচ্ছি না ইরা কিংবা মা বাবা কেউ কোন রকম ভাবে কষ্ট পাক। তাই আমি চাচ্ছি ও কয়েকদিন এখানে থাক। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে এসে আমি ওকে নিয়ে যাবো।
রেহান সারাদিন চেষ্টা করে বের হওয়ার কিন্তু ইরার জন্য পারেনা।
– হা হা হা হা।
– ও এখানে থাকবে এতে তো আমাদের ভালো লাগবে। তুমি এমনভাবে বলছ যেনো আমরা তোমাকে বকবো।
– আসলে,,,
– কোন কথা হবে না আর। চুপ করে বসো তুমি। আমি চা নিয়ে আসছি।
এরপর ইরার মা রান্না ঘরের দিকে চলে যায়।
.
রেহান সারাদিনে অনেক চেষ্টা করে বাড়ি থেকে বাড় বের হওয়ার কিন্তু ইরার জন্য পারে না।
অবশেষে পরদিন সকালে সফল হয় বাড়ি থেকে বের হওয়ার। রেহান তারাতারি ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে কাউকে কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায়।
মনে মনে ভাবতে থাকে…
-এই এলাকা পার হতে পারলেই বাঁচি। এই ভেবে তারাতারি ড্রাইভ করে।
– আচ্ছা পাগলিটা ঘুম থেকে ওঠে যদি আমাকে দেখতে না পায় তাহলে কি মন খারাপ করবে নাকি রাগ করবে। যাই করুক পড়ে সব একেবারে মিটিয়ে দিবো।
.
.
রেহানের ভাবনায় ছেদ পড়ে তখনি যখন পিছন থেকে কেউ একজন বলে….
-আস্তে চালা জামাই আমার ভয় করছে মাথা ঘুরাচ্ছে।
.
রেহানের আর বুঝতে বাকি নাই এটা যে ইরা। তবু সিওর হওয়ার জন্য গাড়ি থামিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে ইরা বসে আছে।
-যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ও এখানে কি করে এলো নাকি আমার চোখের ভ্রম।
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here