ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:২,৩

0
2271

ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:২,৩
তাসনিম_জাহান_রিয়া
পর্ব:২

স্পর্শকের মাঝে কোনো হেলদুল নাই। আরনিয়া রেগে স্পর্শকের হাতে কামড় দিয়ে দেয়। স্পর্শক কামড়ের দাগটা দেখে মুচকি হেসে বলে,

তোমার দেওয়া প্রথম ভালোবাসার চিহ্ন।

স্পর্শকের কথা শুনার সাথে সাথে আরনিয়া একটা ভেংচি কেটে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। স্পর্শক আরনিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ে। এদিকে আরনিয়া গাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে কিন্তু ডোর লক থাকাই বের হতে পারছে না। আরনিয়া এবার স্পর্শকের হাত ধরে টানাটানি শুরু করে দেয়। স্পর্শক টান দিয়ে আরনিয়াকে কোলে বসিয়ে ড্রাইভ করতে থাকে।

আরনিয়া স্পর্শকের কোলে বসে বাচ্চাদের মতো হাত পা ছুড়া ছুড়ি করতে থাকে। স্পর্শক গাড়িটা রাস্তার এক পাশে দাঁড় করিয়ে আরনিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়। আরনিয়া স্তব্ধ হয়ে যায় যখন বুঝতে পারে তার সাথে কী হচ্ছে তখনি স্পর্শকের চুল ধরে টানাটানি শুরু করে দেয়। কিন্তু স্পর্শককে এক চুলও সরাতে পারেনি। আরনিয়া মনে হচ্ছে সে এখনি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে। ৫ মিনিট পর স্পর্শক আরনিয়ার ঠোঁটে একটা জুড়ে কামড় দিয়ে আরনিয়ার ঠোঁট ছেড়ে দেয়। আরনিয়া ছাড়া পেয়ে জুড়ে জুড়ে নিশ্বাস ফেলতে থাকে। আরনিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই স্পর্শক ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে চুপ করিয়ে দেয়।

এখন তো শুধু কিস করছি আরেকটা কথা বললে এখানেই বাসরটা সেরে ফেলবো। ( চোখ টিপ দিয়ে)

স্পর্শকের কথা শুনে আরনিয়া ভয়ে চুপসে যায়। তার এতক্ষণে এতটুকু ধারণা হয়ে গেছে যে এই ছেলের দ্বারা কোনো কিছুই অসম্ভব না। স্পর্শক বাঁকা হেসে ড্রাইভ করতে শুরু করে। আরনিয়া ভেংচি কেটে জানালা দিয়ে রাতের শহর দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে স্পর্শক বারবার আরনিয়ার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। হঠাৎ স্পর্শক মিউজিক অন করে দিল।

তোমার আমার আমি আজও বুঝিনি
ঐ চোখের চাওয়াতে প্রেম আজও দেখিনি
দুরে তবু দুরে সরে থাকতে পারিনি
কাছে এসে তবু কেনো কাছে আসতে পারিনি
আমি আজও বুঝিনি
আমি আজও বুঝিনি
তোমার আমার আমি আজও বুঝিনি
ঐ চোখের চাওয়াতে প্রেম আজও দেখিনি

গানের প্রতিটা লাইনের সাথে স্পর্শক গলা মিলাচ্ছে। স্পর্শকের গলায় গান আর গরুর ডাকের সাথে আরনিয়ার কোনো পার্থক্য করতে পারছে না। আরনিয়া বিরক্ত হয়ে গানটা অফ করে দেয়। তবু স্পর্শক গান গেয়েই যাচ্ছে।

তোমার আমার আমি আজও বুঝিনি
ঐ চোখের চাওয়াতে প্রেম আজও দেখিনি
দুরে তবু দুরে সরে থাকতে পারিনি
কাছে এসে তবু কেনো কাছে আসতে পারিনি
আমি আজও বুঝিনি
আমি আজও বুঝিনি
তোমার আমার আমি আজও বুঝিনি
ঐ চোখের চাওয়াতে প্রেম আজও দেখিনি

আরনিয়া বিরক্ত হয়ে বলে,

আপনি এই ভাঙ্গা রেডিও বন্ধ করবেন।

কেনো করবো?

আমার বিরক্ত লাগছে।

তো আমি কী করবো?

আরনিয়া বুঝতে পারছে এই লোকটা এক নম্বরের ঘাড় ত্যাড়া সোজা কথায় কাজ হবে না।

আপনি কী আমাকে বিয়ে করে খুশি নন?

আমি তো প্রচুর খুশি তোমাকে বলে বুঝতে পারবো না।

তাহলে এমন ছ্যাকা মার্কা গান শুনছেন কেনো?

সত্যিই তো এখন আমার রোমান্টিক গান শোনা উচিত।

এই একদম আপনি গান গাইবেন নাহ।

কেনো?

আপনার এই ফাটা বাঁশের গলা শুনে আমার কান জ্বালা পালা হয়ে যাচ্ছে।

তাহলে তো আরো বেশি বেশি করে গাইবো।

একবার গেয়ে দেখুন গলা কেটে ফেলবো।

যেমন বাপ তার তেমন মেয়ে। ( বিড়বিড় করে)

কিছু বললেন?

নাহ।

আমার জানামতে আপনার সাথে আমার দুই বছর আগে কোনো বিয়ে টিয়ে হয়নি। তাহলে আপনি মিথ্যা কেনো বললেন?

তোমার আব্বুর নাম এহসান খান তাহলে তোমার নাম স্পর্শিয়া আহম্মেদ আরনিয়া কেনো ? তোমার নাম তো স্পর্শিয়া খান আরনিয়া হওয়া উচিত ছিল।

এতে কী প্রমানিত হয় আপনার সাথে আমার দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল?

অবশ্যই। আমার নাম আদনান আহম্মেদ স্পর্শক আর তোমার নাম স্পর্শিয়া আহম্মেদ আরনিয়া। এর থেকে বেশি কিছু আমি বলবো না। বাকিটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব তোমার।

কথা বলতে বলতেই গাড়িটা থামে একটা বিশাল বড় রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ির সামনে। বাড়ির চারপাশে ঘেরাও করে দাঁড়িয়ে আছে গার্ডরা। আরনিয়া বাড়ির দিকে কেমন অদ্ভুত ভাবে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। স্পর্শক আরনিয়ার তাকিয়ে থাকার মানে বুঝতে পেরে আরনিয়ার মনঃসংযোগ নষ্ট করার জন্য বলে,

কেউ একজন আমার বাড়ির দিকে যেভাবে নজর দিচ্ছে মনে হয় আমার বাড়ি আজকে জ্বর উঠবো।

আপনি বলতে চাইছেন আমার নজর খারাপ।

হতেই পারে। না ভাবা এতো রিস্ক নিয়ে লাভ নেই। আগে থেকে সাবধান হয়ে যাওয়া ভালো।

ইউ……

আরনিয়ার কথা সম্পূর্ণ না করতে দিয়েই স্পর্শক গাড়ি থেকে নেমে আরনিয়াকেও নামায়। আরনিয়াকে নিয়ে বাসার ভিতরে ঢুকে। আরনিয়া সোফায় ধপ করে বসে পড়ে। স্পর্শক আরনিয়াকে কোলে তুলে নেয়। কোলে করে একটা রুমে নিয়ে যায়। রুমটা ফুল, ক্যান্ডেল আর লাভ সেফের বেলুন দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো। স্পর্শক আরনিয়াকে বেডে বসিয়ে দেয়। স্পর্শক আরনিয়ার দিকে ঝুকে পড়তেই আরনিয়া ভয়ে মাথা পিছিয়ে নেয় তা দেখে স্পর্শক মুচকি হেসে সরে দাঁড়ায়।

জোর করে তো বিয়ে করে নিলেন। এখন কী জোর করে স্বামীর অধিকার দেখাবেন?

স্পর্শক বাঁকা হেসে বলে, দেখাতেই পারি আফটার অল আমি তোমার হাজবেন্ড। তোমার ওপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।

আপনাদের মতো ছেলেদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? আমি তো আপনার সামনেই বসে আছি মিটিয়ে নিন আপনার…..

স্পর্শক আরনিয়ার কথাটা সম্পূর্ণ করতে দেয় না।

আজকে প্রথম দিন দেখে কিছু বললাম না। নেক্সট টাইম যেনো তোমার মুখে এমন কথা না শুনি। আর হ্যাঁ যতদিন না তুমি আমাকে নিজের স্বামি বলে মেনে নিচ্ছো ততদিন পর্যন্ত আমি তোমাকে টাচ করবো না।

হঠাৎ কিছু ভাঙার শব্দ পেয়ে দুজনই পেছন ঘুরে তাকায়। দরজার কাছ থেকে একটা ছায়া সরে যায়। ফ্লোরে ফুলদানির ভাঙা অংশ পড়ে আছে। যা দেখে দুজনরই মুখে রহস্যময় হাসি ফুটে ওঠে।

যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।

আমি ফ্রেশ হয়ে কী আপনার মতো খাম্বার শার্ট পড়বো?

পড়লে পড়তে পারো আমার কিন্তু কোনো সমস্যা নাই।

আরনিয়া স্পর্শকের দিকে রাগী চোখে তাকায় দেখে স্পর্শক আমতা আমতা করে বলে,

কাবার্ড অনেক শাড়ি আছে পড়ে নিয়ো।

স্পর্শক রুম থেকে বের হয়ে যেতেই আরনিয়া কাউকে ফোন দেয়।

তোমার কথা মতো কাজ হয়ে গেছে। আর হ্যাঁ আমি কল না দিলে তুমি কখনো নিজে থেকে আমাকে কল দিবা না।

কিছুক্ষণ পড়ে স্পর্শক আরনিয়ার রুমে খাবার নিয়ে এসে দেখে রুমে যাচ্ছে তাই অবস্থা। ফ্লোরে পড়ে আছে ভাঙা ফুলদানি, সো পিচ। বেডশিট মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। রুমে সাজানো সমস্ত ফুল আর বেলুন ফ্লোরে পড়ে আছে। আরনিয়া রুমের এক কোণে ঘুটিশুটি মেরে বসে আছে।

চলবে……..

#ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি
#পর্ব:৩
#তাসনিম_জাহান_রিয়া

কিছুক্ষণ পড়ে স্পর্শক আরনিয়ার রুমে খাবার নিয়ে এসে দেখে রুমে যাচ্ছে তাই অবস্থা। ফ্লোরে পড়ে আছে ভাঙা ফুলদানি, সো পিচ। বেডশিট মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। রুমে সাজানো সমস্ত ফুল আর বেলুন ফ্লোরে পড়ে আছে। আরনিয়া রুমের এক কোণে ঘুটিশুটি মেরে বসে আছে। এলোমেলো চুল, অগোছালো শাড়ি। এক হাত টুপ টুপ করে রক্ত পড়ছে। আরনিয়া দুই হাত দিয়ে চুল মুঠো করে টানছে। স্পর্শক বুঝতে পারে আজকে ড্রাগস না নেওয়ার ফলে আরনিয়া এমন বিহেভ করছে।

স্পর্শক ড্রয়ার থেকে ঘুমের ইনজেকশন বের করে আরনিয়া শরীরে পুস করে দেয়। কিছুক্ষণের মাঝেই আরনিয়া ঢলে পড়ে স্পর্শকের বুকে। স্পর্শক আরনিয়াকে কোলে করে বেডে শুইয়ে দেয়। ফাস্ট এইড বক্স এনে আরনিয়ার হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়। স্পর্শকের চোখ থেকে ফোটা ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। স্পর্শক আরনিয়ার শরীর থেকে সমস্ত গয়না খুলে বেড সাইড টেবিলে রেখে দেয়। আরনিয়ার হাতের ব্যান্ডেজের ওপর স্পর্শক ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়।

তোমার কী কোনো দিনও আমার কথা মনে পড়বে না? তুমি আমাকে চিন্তে পারছ না এই মরন যন্ত্রনা যে আমি আর সহ্য করতে পারছি না জানপাখি। তুমি তোমার স্পর্শক কী করে ভুলে গেলে?

আরনিয়ার গায়ে কম্বল টেনে দিয়ে স্পর্শক রুম থেকে বের হয়ে যায়। ছাদের রেলিংয়ের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্পর্শক। স্পর্শকের দুই হাত থেকে রক্ত পড়ছে। স্পর্শকের দৃষ্টি ঐ দুর আকাশের দিকে।

কথা দিয়েছিলাম তোমার সব কষ্ট ভাগ করে নিবো। এই কষ্ট তো ভাগ করে নিতে পারবো না কিন্তু অনুভব করতে পারবো। তাই তো নিজেকে দ্বিগুন কষ্ট দিলাম।

যে কাউকেই ভালোবাসা যায়। ভালোবাসা অনেক পবিত্র একটি অনুভূতি। স্বার্থসিদ্ধির জন্যও প্রেম করা উচিত নয়। প্রেম হচ্ছে পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্ক যেখানে থাকবে না কোনো চাওয়া-পাওয়া, থাকবে না কোনো স্বার্থ, থাকবে শুধুই ভালোবাসা।

রাত দুইটা বাজে স্পর্শক এখনো ছাদেই দাঁড়িয়ে আছে। দু চোখের পাতায় ঘুম নেই। অনেক রাতই এভাবে নির্ঘুম কাটিয়েছে স্পর্শক। রাতের পর রাত জেগে প্রিয়তমার ছবি দেখা। ঘন্টার পর ঘন্টা প্রিয়তমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে ছিল একটা বার প্রিয়তমাকে দেখার জন্য। এসব ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে স্পর্শক। আলতো হাতে কেউ পিছন থেকে তার কোমড় জড়িয়ে ধরে। সে জানে এই হাতের মালিক কে? এই স্পর্শ তার বহুদিনের চেনা। এই মেয়েটার নিশ্বাসের শব্দই তাকে মেয়েটার উপস্থিতি জানান দিতে পারে।

কী ম্যাম ঘুম ভাঙলো তাহলে?

হুহ। অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত আমি।

আর মাত্র কয়েকটা দিন অভিনয় করো তার পরে আমি সব ঠিক করে দিবো।

আমাদের ওপর যে ছেলেটা নজর রাখছিলো সেই ছেলেটা কোথায়।

স্টোর রুমে আটকে রেখে এসেছি।

আমি তোমার ওপর রেগে আছি স্পর্শক।

কেনো? আমি আবার কী করলাম?

আজকে আমাদের বিয়ে হয়েছে তার মানে আজকে আমাদের বাসর রাত। বাসর রাতে কেউ নতুন বউকে একা রেখে ছাদে দাঁড়িয়ে থাকে।

তো আপনার কী বাসর করতে ইচ্ছে করছে? ( চোখ টিপ দিয়ে)

তুমি দিন দিন অসভ্য হয়ে যাচ্ছো।

আল্লাহ এটা কেমন বিচার? নিজে বললে কিছু না আর আমি বললেই আমি অসভ্য।

আরনিয়ার চোখ যায় স্পর্শকের হাতের দিকে। হাত দুটো উপরে তুলে স্পর্শককে জিঙ্গেস করে,

তোমার হাত কী করে কাটলো।

তেমন কিছু না।

স্পর্শক নিজের হাত দুটো পিছনে লুকিয়ে ফেলে। আরনিয়া আবার স্পর্শকের হাত দুটো টেনে সামনে আনে। তখনি নজর যায় নিজের হাতের দিকে। আরনিয়া বুঝতে পারে স্পর্শক নিজেই নিজের হাত কাটছে। টপ টপ করে আরনিয়ার চোখ থেকে পানি পড়ছে। আরনিয়া স্পর্শকের হাত দুটো অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দেয়। স্পর্শক আরনিয়ার মাথা নিজের বুকে চেপে ধরে।

আমার এক হাত কাটা তুমি তোমার দুই হাত কেনো কাটলে। তুমি জানো না তোমার কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না। আমার এক হাত কেনো কাটা থাকবে? আমারও আরেকটা হাত কাটতে হবে।

আরনিয়া ছুটার চেষ্টা করতেই স্পর্শক আরনিয়াকে আরো শক্ত করে নিজের বুকে চেপে ধরে।

তুমি নিজের হাত কাটার চেষ্টা করলে আমি আমার হাত কেটে ফেলো দিবো।

আরনিয়া নাক টানতে টানতে বলে,

থ্রেট দিচ্ছো?

থ্রেট ভাবলে থ্রেট।

স্পর্শক আরনিয়ার চুলে নাক ডুবিয়ে দিয়ে ভাবতে থাকে ৫ দিন আগের কথা। আরনিয়া স্পর্শকের সাথে দেখা করতে আসে একটা কফিশপে। তাদের সম্পর্কের এক বছর চলছিলো। আরনিয়া কফিশপে এসেই স্পর্শকের হাত ধরে কান্না কাটি শুরু করে দেয়।

আরু তুমি কাঁদছো কেনো?

আরনিয়া কান্নার জন্য কথা বলতে পারছে না। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলছে। স্পর্শক আরনিয়ার কান্না বন্ধ করতে না পেরে আরনিয়াকে জড়িয়ে ধরে।

আরে বাবা কান্নার কারণ তো বলবে।

পাপা আমার বিয়ে ঠিক করছে। আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না।

আমাকে ছাড়া তোমাকে আর কাউকে বিয়ে করতে হবে না। তুমি তোমার পাপাকে আমার কথা বলো।

পাপা মানবে না। পাপা একবার যেটা ঠিক করে সেটাই করে ছাড়ে। আমাকে যদি ঐ ইহান ফিহানকে বিয়ে করতে হয় তাহলে আমি সুইসাইড করবো।

কথাটা শোনার সাথে সাথে স্পর্শক আরনিয়াকে থাপ্পড় মেরে হনহন করে কফিশপ থেকে চলে যায়। আরনিয়া ওখানে বসেই কাঁদতে থাকে। এই কান্না স্পর্শক মেরেছে বলে না স্পর্শকের জন্য। আরনিয়া জানে স্পর্শক যে হাত দিয়ে তাকে মেরেছে সেই হাতের অবস্থা খারাপ করে দিবে। এখন তার নিজের ওপর নিজের রাগ হচ্ছে। আরনিয়া তো জানতো স্পর্শক তার মুখে মরার কথা সহ্য করতে পারে না।

__________________

আরনিয়া বাসায় চলে আসে। নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বেডে বসে স্পর্শককে কল দিতে থাকে। বার বার রিং হয়ে কেটে যাচ্ছে। ৮ বার কল দেওয়ার পরে স্পর্শক রিসিভ করে।

মামুনি আসবো?

আরনিয়া তার পাপাকে দেখে ফোনটা বালিশের নিচে রেখে দেয়। স্পর্শক লাইনে আছে ইচ্ছে করেই ফোনটা রেখে দেয়নি। সে জানতে চায় এহসান খান আরনিয়াকে কী বলে? তবে সে আন্দাজ করতে পারছে এহসান খান কী বলতে এসেছে।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here