ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:৪,৫

0
1920

ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি,পর্ব:৪,৫
তাসনিম_জাহান_রিয়া
পর্ব:৪

আরনিয়া তার পাপাকে দেখে ফোনটা বালিশের নিচে রেখে দেয়। স্পর্শক লাইনে আছে ইচ্ছে করেই ফোনটা রেখে দেয়নি। সে জানতে চায় এহসান খান আরনিয়াকে কী বলে? তবে সে আন্দাজ করতে পারছে এহসান খান কী বলতে এসেছে?

হ্যাঁ পাপা এসো।

তোমাকে কিছু বলার ছিল।

হ্যাঁ বলো।

তুমি তো জানো আর ৫ দিন পরে ইহানের সাথে তোমার বিয়ে।

আরনিয়া মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানায় যে, সে জানে।

পাপা আমার তোমাকে কিছু বলার ছিল।

তুমি তো জানো আমার কথার মাঝে কেউ কথা বলুক সেটা আমার পছন্দ না। আগে আমার কথা শেষ করতে দাও তারপর তোমার কথা শুনবো।

সরি।

আমার ধারণা তোমার বিয়েতে গণ্ডগোল হবে।

পাপা কী করে জানলো গণ্ডগোল হবে? ( মনেমনে )

আরনিয়া গাবড়ে যায় নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,

পাপা কে গণ্ডগোল করবে?

আদনান আহম্মেদ স্পর্শক। আমিও চাই সে বিয়েতে এসে জামেলা করুক। ইহানের সাথে তোমার বিয়ে হতে দিবে না।

স্পর্শকের নাম শুনে আরনিয়া ভয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেয়। সে ভাবছে তার পাপা কী করে জানলো স্পর্শক বিয়েতে আসবে? আরনিয়া আমতা আমতা করে তার পাপাকে প্রশ্ন করে,,

উনি এতবড় বিজনেসম্যান হয়ে আমার বিয়েতে কেনো জামেলা করতে যাবেন? ইহানের সাথে আমার বিয়ে ভেঙে উনার লাভ কী? তুমি নিজে ইহানের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করছো। আবার তুমি নিজেই চাইছো মি. আহম্মেদ জেনো আমার বিয়েতে জামেলা করে। কেনো পাপা?

চুপপপ। তুমি জানো আমার অতিরিক্ত কৌতূহল আর অতিরিক্ত প্রশ্ন কোনটাই পছন্দ নয়। আমি তোমাকে ঠিক যতটুকু বলবো তুমি ঠিক ততটুকু করবে এর বাইরে কিছু জানার চেষ্টা করবে না। মি. আহম্মেদ তোমাকে বিয়ে করতে চাইলে তুমি রাজি হবে না। আমাকে গান পয়েন্টে রেখে যখন তোমাকে বিয়ে করতে বলবে তখন তুমি রাজি হবে। তোমাকে যখন উনার সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে তখন তুমি দ্বিমত পোষণ করবে। আমি জানি মি. আহম্মেদ জোর করে হলেও তোমাকে উনার সাথে নিয়ে যাবে। তুমি উনার বাড়িতে গিয়ে আমার কথা মতো কাজ করবে। ( রুক্ষ ভাবে)

কিন্তু পাপা…….

আমি কোনো কিন্তু ফিন্তু শুনতে চাই না। তোমাকে আমার কথা মতো কাজ করতে হবে।

এহসান খান আরনিয়াকে কিছু বলতে না দিয়ে হনহনিয়ে রুম থেকে চলে যায়।

তারপর স্পর্শক আর আরনিয়া প্লেন করে বিয়ে করে।

বর্তমান

স্পর্শক বাসায় নাহয় ঐ ছেলেটা আমাদের ওপর নজর রাখছিল তাই অভিনয় করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তুমি গাড়িতে কেনো অভিনয় করতে বললে ওখানে তো তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না?

কে বললো ছিল না? সয়ং এহসান খান নিজে ছিল।

মানে?

তোমার হিটলার বাপ গাড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিল।

একদম পাপাকে হিটলার বলবা না।

হিটলারকে তাহলে কী বলবো?

সারা রাত কী আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলবো?

এখানে দাঁড়িয়ে কথা না বলে অন্য কিছুও করতে পারি।

ধুর।

স্পর্শক আরনিয়াকে কোলে তুলে নেয়।

এই কী করছো। নামাও বলছি।

কেনো?

কেনো আবার তোমার হাতে ব্যথা। আমাকে কোলে নিতে হবে না। তুমি বলো কোথায় যেতে হবে। আমি নিজেই যাচ্ছি।

চুপপ তুমি বড্ড বেশি কথা বলো।

স্পর্শক আরনিয়াকে একটা রুমে নিয়ে আসে।

এই ভারি লেহেঙ্গাটা কতক্ষণ ধরে পড়ে আছো বলোতো যাও চেইন্জ করে আসো।

চেইন্জ করে কী পড়বো?

কাবার্ডে ড্রেস আছে পড়ে নাও।

আরনিয়া কাবার্ড খোলে দেখে সব শাড়ি।

স্পর্শক।

কী?

আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না আর এখানে শাড়ি ছাড়া তো আর অন্য কোনো ড্রেস নাই।

তুমি যদি ভাবো আমি তোমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিবো তাহলে তুমি ভুল ভাবছো। কারণ আমি নিজেও শাড়ি পড়াতে পারি না।

তাহলে এখন কী হবে? ( ঠোঁট উল্টিয়ে)

স্পর্শক ঠোঁটে দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরে এক হাত কোমড়ে রেখে অন্য হাত দিয়ে কপালে স্লাইড করে কিছু ভাবছে। কিছুক্ষণ ভেবে বলে,

আমরা দুজন মিলে চেষ্টা করি ইউটুভ দেখে।

ওকে।

৩০ মিনিট ধরে দুজন মিলে চেষ্টা করেও কিছু করতে পারে নাই। উল্টো স্পর্শক নিজেকেও আরনিয়া সাথে শাড়িতে পেছিয়ে ফেলে। স্পর্শক ক্লান্ত হয়ে বেডে বসে পড়ে। স্পর্শক বসে পড়ায় শাড়িতে টান লাগে যার ফলে আরনিয়াও স্পর্শকের ওপর পড়ে যায়। স্পর্শক টাল সামলাতে না পেরে আরনিয়াকে নিয়ে বেডে পড়ে যায়। আরনিয়া স্পর্শকের ওপর থেকে উঠতে যায় কিন্তু পারে না তা দেখে স্পর্শক মিটিমিটি হাসছে। আরনিয়া রাগে কটমট করতে করতে বলে,,

তুমি ছেলে হয়েও শাড়ি পড়াতে পারো না।

ছেলে হওয়ার পেছনে কী শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে নাকি? যে ছেলে হলেই শাড়ি পড়ানো শিখতে হবে?

না মানে সব ছেলেরাই তো বউয়ের সাথে রোমান্স করবে বলে শাড়ি পড়ানো শিখে।

আমি ঐসব ছেলেদের মাঝে পড়ি না। রোমান্স করতে হলে শাড়ি পড়িয়ে করবো কেনো শাড়ি খোলে করবো। ওয়েট ওয়েট তোমার কী এখন রোমান্স করতে ইচ্ছা করছে? আমার কিন্তু কোনো সমস্যা নাই।

আব….

স্পর্শক আরনিয়াক আর কিছু বলতে না দিয়ে আরনিয়াকে ঘুরিয়ে নিজের নিচে ফেলে দেয়। আরনিয়ার হাত দুটো বেডের সাথে চেপে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।

সকাল ১০ টা

সূর্যের আলো চোখে পড়তেই স্পর্শক আদো আদো করে চোখ খুলে তাকায়। নিজের বুকের ওপর ভারি কিছু অনুভব করায় সম্পূর্ণ চোখ খুলে বুকের দিকে তাকিয়ে দেখে আরনিয়া ঘুটিশুটি মেরে তার বুকের ওপর শুয়ে আছে।

চলবে……..

#ভালবাসি_শুধু_তোমায়_আমি
#পর্ব:৫
#তাসনিম_জাহান_রিয়া

সূর্যের আলো চোখে পড়তেই স্পর্শক আদো আদো করে চোখ খুলে তাকায়। নিজের বুকের ওপর ভারি কিছু অনুভব করায় সম্পূর্ণ চোখ খুলে বুকের দিকে তাকিয়ে দেখে আরনিয়া ঘুটিশুটি মেরে তার বুকের ওপর শুয়ে আছে।
স্পর্শক মুচকি হেসে আরনিয়াকে জড়িয়ে ধরে বেডে আধ শোয়া হয়ে বসে। এক হাত দিয়ে আরনিয়ার কপালে পড়ে থাকা ছোট চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে একটা গভীর চুমু খায়। ঘুমের মাঝেই আরনিয়া কেঁপে উঠে। স্পর্শক আরনিয়া ঠোঁটে হাত বুলাতে থাকে। স্পর্শকের ফোন বেঁজে ওঠে। স্পর্শক তাড়াতাড়ি ফোনটা সাইলেন্ট করে। আরনিয়া ফোনের শব্দে একটু নড়েচড়ে আবার স্পর্শকের বুকে মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে পড়ে।

স্পর্শক ফোনের স্কিনে তাকায় যেখানে একটা আননোন নাম্বার ঝলঝল করছে। আননোন নাম্বার হলেও স্পর্শক এই নাম্বারটা খুব ভালো করে চিনে। স্পর্শক আরনিয়ার মাথাটা আলতো হাতে বুক থেকে নামিয়ে বালিশের ওপর রেখে ফোন নিয়ে বেলকনিতে চলে যায়। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বাঁজখাই গলায় এহসান খান বলে,,

আমার মেয়ে কোথায়?

আস্তে চিল্লান আমার কানের অবস্থা তো খারাপ করে দিচ্ছেন। আর আরু আপনার মেয়ে না আমার বউ।

আরনিয়ার সাথে তুমি কী করছো? আরনিয়া আমার ফোন তুলছে না কেনো?

শ্বশুর মশাই এটা কেমন প্রশ্ন? শ্বশুর হয়ে কেউ জামাইকে জিঙ্গেস করে তার মেয়ের সাথে কী করছে? আরনিয়া সারা রাত জেগে ছিল তো তাই এখন গভীর ঘুমে মগ্ন। এখন আবার এটা জিঙ্গেস কইরেন নাহ যে কেনো আরনিয়া সারা রাত জেগে ছিল। আমাদের মাঝে জামাই শ্বশুরের সম্পর্ক না থাকুক আপনি আমার গুরুজন তো।

বেয়াদপ ছেলে।

রাগে কটমট করতে করতে এহসান খান ফোন কেটে দেয় স্পর্শক বাঁকা হেসে বেলকনি থেকে ঘুমন্ত আরনিয়ার দিকে তাকায়।

তুমি যদি ঐ লোকটাকে বাবা বলে না ডাকতে তাহলে এতদিনে এহসান খানের কোনো চিহ্ন এই পৃথিবীতে থাকতো না।

এইদিকে

এহসান খান রাগে রাগে কটমট করতে থাকে। যে ছেলেকে স্পর্শক আর আরনিয়ার ওপর নজর রাখতে বলেছিল সেই ছেলেকে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন রিং হচ্ছে কেউ ধরছে। এহসান খান রেগে ফোন দেয়ালে ছুড়ে মারে।

আমি তোদের ছাড়বো না।

__________________

স্পর্শক শাওয়ার নিতে চলে যায়। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে স্পর্শক। এখনো আরনিয়া বেঘোরে ঘুমুচ্ছে। স্পর্শক এক পলক আরনিয়ার দিকে তাকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। কিচেনে গিয়ে দুইটা ডিম পুচ করে। তারপর ট্রে করে এক প্লেইট ফ্রুটস, দুইটা ডিম পুচ, দুই গ্লাস জুস আর স্যান্ডউইস নিয়ে রুমে আসে। বেড সাইড টেবিলে খাবার ট্রে টা রেখে আরনিয়ার মাথার পাশে বসে। আরনিয়ার মাথায় আলতো হাতে হাত বুলিয়ে নিচু স্বরে ডাকে,

আরু,, আরু,,, আরু

আরনিয়া একটু নড়েচড়ে স্পর্শকের কোলে মাথা রেখে দুই হাতে কোমড় জড়িয়ে পেটে মুখ গুঁজে দেয়। আরনিয়া কাছ থেকে আকস্মিক এমন ছোঁয়া পেয়ে স্পর্শক ফ্রিজড হয়ে যায়। নিজেকে সামলে নিয়ে আরনিয়াকে আবার ডাকে,,

আরু, , আরু, ,

হুহ।

দেখো ১১ টা বেঁজে গেছে এখন ঘুম থেকে উঠো।

উহু।

স্পর্শক আরনিয়াকে কোলে করে নিয়ে বাথটবে ছেড়ে দেয়। ঠান্ডা পানির স্পর্শ পেয়ে আরনিয়া লাফিয়ে ওঠে।

এটা কী করলে? (রেগে)

ঘুম থেকে তুললাম।

এভাবে কেউ ঘুম থেকে তুলে। একটু ভালোবেসে আদর করেও তো ঘুম থেকে তুলতে পারতে। ( কাঁদো কাঁদো গলায় )

আদর করে অনেকক্ষণ ডেকেছি কিন্তু তুমি শুনো নাই তাই এই টেকনিক।

আরনিয়া একটা ভেংচি কাটে।

একবারে শাওয়ার নিয়ে বের হবা।

হুহ।

স্পর্শক রুম থেকে আরনিয়ার ড্রেস দিয়ে যায়। আরনিয়া শাওয়ার নিয়ে বের হলে দুইজন একসাথে ব্রেকফাস্ট করে। ব্রেকফাস্ট শেষ করে আরনিয়া বেলকনিতে চলে যায়। আরনিয়ার পিছন পিছন স্পর্শকও বেলকনিতে আসে। বেলকনির সবকিছু আরনিয়া ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে। বেলকনিতে চার রঙের চারটা গোলাপ ফুল গাছ লাগানো।একটা বেলি ফুল গাছ লাগানো। বেলকনির এক পাশে একটা দোলনা আছে। দোলনাটা প্লাস্টিকের লতা, পাতা, ফুল দিয়ে সুন্দর করে ডেকোরেশন করা। অপর পাশে সোফা রাখা।

আরনিয়া দৌড়ে গিয়ে দোলনায় বসে পড়ে। স্পর্শকও আরনিয়ার পাশে বসে পড়ে। স্পর্শক বসতেই আরনিয়া দাঁড়িয়ে পড়ে।

কি হলো?

আরনিয়া কিছু না বলে দৌড়ে রুমে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে হাতে গিটার নিয়ে এসে স্পর্শকের কোলে বসে পড়ে। আরনিয়ার হাতে গিটার দেখে স্পর্শক অবাক হয়ে যায়।

তুমি গিটার কোথায় পেলে?

স্টোর রুমে।

স্টোর রুমে কেনো গিয়েছিলে। ( ধমক দিয়ে )

স্পর্শক ধমক দেওয়ায় আরনিয়া কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,,

তুমি আমাকে বকা দিলে থাকবো না আমি তোমার কাছে। আজকেই পাপার কাছে চলে যাব।

এই বাড়ির বাইরে এক পা দিয়ে দেখো পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো।

আরনিয়া স্পর্শকের কোল থেকে উঠতে গেলেই স্পর্শক দুই হাতে আরনিয়ার কোমড় জড়িয়ে ধরে। আরনিয়া কোল থেকে নামার জন্য ছটফট করতে থাকতে।

আরেকবার নড়াচড়া করলে থাপড়ায়া দাঁত ফালাইয়া দিবো।

এ্যা এ্যা এ্যা

কি হয়ছে? কাঁদছো কেনো ?

তুমি আমাকে থাপ্পড় মারবে। বুঝছি এখন আর আমাকে ভালো লাগে না। আমি তো পুরোনো হয়ে গেছি। নতুন কাউকে পেয়ে গেছো এই জন্য এখন আর আমাকে ভালো লাগে না।

শুরু হয়ে গেছে বাংলা সিরিয়ালের ড্রামা। ( মনে মনে)

আচ্ছা সরি বাবু। আর বলবো না। এখন আর কান্না করো না।

এমনি এমনি সরি একসেপ্ট হবে না।

কি করতে হবে?

গান গাইতে হবে।

ইমপসিবল।

তোমাকে গান গাইতেই হবে। তুমি যদি গান না গাও তাহলে আমি পাপার কাছে চলে যাব। তুমি তো ভালো করেই জানো আমি কতোটা জেদি। একবার যেটা ঠিক করি সেটা করেই ছাড়ি।

বোঝার চেষ্টা করো আমি গান পারি না।

সাফাত ভাইয়া বলছে তুমি অনেক সুন্দর গান পারো। আমি ১ থেকে ৩ পর্যন্ত গুনবো তুমি যদি গান না গাও আমি এখান থেকে ঝাপ দিব।

এক

দুই

তি….

তোমায় দেখলে মনে হয়
হাজার বছর তোমার সাথে
ছিল পরিচয় বুঝি ছিল পরিচয়

তোমায় দেখলে মনে হয়
হাজার বছর তোমার সাথে
ছিল পরিচয় বুঝি ছিল পরিচয়

আরনিয়ার চোখের সামনে আবছা আবছা কিছু দৃশ্য বেসে উঠছে। আরনিয়া দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে তীব্র যন্ত্রনায় তার মাথা ফেটে যাচ্ছে । হঠাৎ সেন্সলেস হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here