ভালোবাসতে_চাই_প্রিয়_তোমাকে,০৮,০৯

0
831

#ভালোবাসতে_চাই_প্রিয়_তোমাকে,০৮,০৯
#পর্ব_অষ্টম
#লেখিকা_দিয়া

সময়মতো এওয়ার্ড ফাংশনে চলে আসি।এই প্রথম হয়তো আমি কোনো ফাংশনে উপস্থিত হয়েছি।এতদিন এসব থেকে নিজেকে যথেষ্ট আড়াল করে রাখলেও আজকে কি মনে করে যেন আসলাম।যখনি আমার নাম স্টেজে বলা হলো তখন আমি উঠে দাঁড়িয়ে স্টেজে চলে আসলাম। এওয়ার্ড টা নেওয়ার সময় যে আমাকে এওয়ার্ড টা দিচ্ছে তার চেহারা দেখে আমি চমকে উঠলাম,

একি শুভ্র এখানে।শুভ্রকে দেখে বোঝা যাচ্ছে ও এখানে আমাকে দেখে মোটেও অবাক হয়নি।ও যেন জানতো আমি এখানে থাকবো।এই মূহুর্তে মাথায় অনেক কিছু ঘুরলেও আমি কোনোমতে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে শুভ্রের হাতে থেকে এওয়ার্ডটি নিয়ে চলে আসলাম।আমি নিচে এসে অনেকটা অস্থির কন্ঠে নিশাকে বলে উঠলাম বাসায় যাওয়ার কথা। কোনো একটা সমস্যা হয়েছে বুঝতে পেরে নিশা ও আর বেশি কিছু না বলে বেরিয়ে এলো।নিশাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমিও বাসায় এসে পরলাম।আমি বাসার ভিতরে ঢুকতেই শুভ এগিয়ে এলো আমার কাছে। আমিও ওকে কোলে তুলে নিলাম।আদরে মাখোমাখো হয়ে শুভ বলতে লাগলো,

জানো আম্মু আজকে না আমাদের স্কুলে অনেকগুলো ডাক্তার এসেছিল তাদের মধ্যে একজন সুপার হিরো ও ছিল।- শুভ

ও মা তাই নাকি।আমার শুভ তাহলে তো আজকে সুপার হিরো ও দেখে ফেলেছে। ডাক্তার রা কেনো এসেছিল সোনা ? – আমি

আমাদের রেগুলার চেকআপের জন্য। জানো মাম্মি আমিও বড় হয়ে সুপার হিরোর মতো ডাক্তার হবো – শুভ

আচ্ছা আমার শুভ সোনা ডাক্তার হবে। তাহলে তো তার অনেক মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে – আমি

হুম – শুভ

রাতে খাবার খেয়েছো সোনা ? – আমি

হ্যা রিনিমনি আমাকে খাইয়ে দিয়েছে আজকে।আর মিনিমনি আমাকে অনেক মজার একটা গল্প শুনিয়েছে – শুভ

আচ্ছা বাবা তাহলে চলো ঘুমাতে যাই – আমি

আচ্ছা – শুভ

তারপর শুভকে রুমে নিয়ে এসে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।আমি ওয়াশরুমে গিয়ে দরজাটা লক করে।তারপর শাওয়ার টা অন করে কান্না করতে করতে নিচে বসে পরলাম।আজকে কতদিন পর মানুষ টাকে সামনে থেকে দেখলাম।ইশশশ কি অবস্থা করেছে নিজের।কিন্তু ওর তো এমন থাকার কথা ছিলো না।ওর ভালোর জন্যই ওকে আমি ছেড়ে এসেছিলাম।তাহলে ? আচ্ছা আমার কোনো ভুল হচ্ছে না তো।মাথার ভিতরে এখন অনেক কিছু ঘুরছে।কিন্তু কোনটা ঠিক কোনটা ভুল কিছুই বুঝতে পারছি না।সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে।উঠে দাঁড়িয়ে ড্রেসটা পাল্টে ভিতরে চলে গেলাম। বিছানায় মাথা ঠেকিয়ে ভাবতে লাগলাম শুভ্রের কথা। কিছুই ভালো লাগছিল না।

পরদিন সকালে,

সব কিছু আবার নিজ গতিতে চলতে শুরু করলো।সকালে উঠে আজকে শুভকে রেডি করিয়ে নিয়ে আসলাম স্কুলে।আজকে ওদের স্কুলে অভিভাবক সভার আয়োজন করা হয়েছে। আমি ভিতরে চলে গেলাম শুভকে নিয়ে।আমাকে দেখে শুভর ক্লাস টিচার শিরিন মেম বলে উঠলো,

আরে মিসেস ঝিলিক আপনি একা আসছেন ? – শিরিন মেম

হ্যা মেম। কেনো? – অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠলাম আমি

আজকের মিটিং এ তো শিক্ষার্থীদের বাবা মা উভয়কেই থাকতে বলা হয়েছে । শুভর বাবা আসলোনা কেনো ? – শিরিন মেম

আসলে মেম উনি কাজের জন্য সিলেটের বাইরে রয়েছেন। আসতে চেষ্টা করেছিলেন প্রচুর। তবুও ডাক্তার মানুষ তো।ব্যস্ততা কত তা তো আপনি বুঝতেই পারছেন – আমি

হ্যা তা অবশ্য ঠিক।আমি আজ ও শুভর বাবাকে দেখতে পারিনি। একদিন পরিচয় করিয়ে দিবেন কিন্তু – শিরিন মেম

অবশ্যই মেম – আমি

ঘন্টাখানেকের মতো মিটিং হলো।তারপর সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে গেলো।

““““““

বাসায় এসে আমি আবার রান্নার তোড়জোড় শুরু করে দিলাম।অনেক আয়োজন করতে হবে আজকে রিনি মিনির শশুড় বাড়ি থেকে লোকেরা আসবে। রনি আর শিহাব দুইজনে চাচাতো ভাই। তাই দুুই পরিবারের আলাদা আর কোনো ভেজাল নেই।রিনি মিনি এসে ও আমার হাতে হাতে কাজ করতে লাগলো। আমি ওদের দু’জনকে উদ্দেশ্য করে বললাম,

ওরা কয়জন আসবে তোরা কেউ কিছু জানিস ? – আমি

বাসা থেকে কেউ আসবে না আপি।শুধু ওদের কোনো একটা কাজিন নাকি আসবে। ঢাকা থেকে এসেছেন উনি। আমাকে রনি এইটুকুই বলেছে – রিনি

হ্যা আমি ও শিহাবকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ও আমাকে বলেছে কোন ভাই জানি আসবে।আর আমাদের জন্য নাকি কোনো একটা সারপ্রাইজ আছে।- মিনি

আচ্ছা তোরা একটু এই দিকটা সামলা।আমি একটু শুভকে ফ্রেশ করিয়ে আসছি।তারপর ওই দিকটা ও তো গোছাতে হবে – আমি

আচ্ছা আপু তুই যা আমরা এই দিকটা দেখে নিব – রিনি

আচ্ছা – বলে আমি শুভকে নিয়ে রুমে চলে আসলাম

শুভকে গোসল করে তৈরি করে দিয়ে নিচে পাঠিয়ে দিলাম।আমিও গোসল করে একটা থিপ্রিস পরে নিলাম।তারপর নিচে এসে ড্রইং রুমটা গুছিয়ে নিলাম।রিনি আর মিনিকে তৈরি হওয়ার জন্য ওদের রুমে পাঠিয়ে দিলাম।তারপর আমি খাবারগুলো এনে টেবিলে সাজিয়ে রাখলাম।রান্নাগুলো দেখে আবারো আমার শুভ্রের কথা মনে পরে গেলো।আজকে সাদা পোলাও, ডিমের কোরমা,মুরগির রোস্ট আর গরুর কালা ভুনা রান্না করেছি।আমার হাতের রোস্ট আর সাদা পোলাও ছিল শুভ্রের সবচেয়ে পছন্দের। ছুটির দিনে শুভ্রের সবসময় এই দুটো খাবার লাগতোই।নাহলে বাসায় আর ওইদিন শান্তি থাকতো না।আচ্ছা এই পাঁচ বছরে শুভ্রের পছন্দ কি বদলে গিয়েছে। রিয়া ও কি আমার মতো শুভ্রের এই ছোট ছোট আবদার গুলো পুরো করে।জানতে বড্ড ইচ্ছে করছিলো।এসব চিন্তা করছিলাম তখনি বাসার কলিং বেল বেজে উঠলো।আমি রিনি মিনিকে পাঠিয়ে দিলাম দরজা খুলতে।দরজা খুলতেই প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করলো রনি আর শিহাব।কিন্তু তাদের পিছনে থেকে আরো একজন মানুষ ভিতরে ঢুকলো।সে আর কেউ নয় সে হচ্ছে শুভ্র। শুভ্রকে দেখে আমি রিনি মিনি সবাই অবাক হয়ে গেলাম।আমাদের আরো অবাক করে দিয়ে শুভ দৌড়ে শুভ্রের কাছে চলে গেল।তারপর শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলে,

হাই সুপার হিরো।কেমন আছো তুমি ? – শুভ

চলবে?

#ভালোবাসতে_চাই_প্রিয়_তোমাকে
#পর্ব_নবম
#লেখিকা_দিয়া

হাই সুপার হিরো । কেমন আছো তুমি ? – শুভ

এইতো হিরো আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? – শুভ্র

আমিও ভালো আছি। মাম্মা এটাই হচ্ছে আমার সুপার হিরো। আমি বড় হয়ে তার মতো হবো -শুভ

আমি এখনো স্তব্ধ হয়েই রয়েছি। আমি বুঝতে পারছি আজকে হয়তো অনেক কিছু উলোটপালোট হয়ে যাবে আমাদের জীবনে। রনি বলে উঠলো,

শুভ – রনি

হ্যা খালু – শুভ

এই নাও তোমার জন্য আমি নতুন এই খেলনা টা নিয়ে আসছি এটা নিয়ে খেলো রুমে গিয়ে – রনি

থ্যাংকস খালু – বলে শুভ খেলনাটা নিয়ে দৌড়ে তার রুমে চলে গেল।

ঝিলিক – শুভ্র

হ্যা – আমি

সেইদিন তো চলে আসলে আমাকে একবার জিজ্ঞেস করলে কি খুব ভুল হয়ে যেতো ? – শুভ্র

কি জিজ্ঞেস করবো ? কাকে জিজ্ঞেস করবো আমি ? সেই মানুষকে যে হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়া বদলে গেলো নাকি সেই মানুষকে যে ঘরে স্ত্রী রেখে ও অন্য আরেক মেয়ের সাথে বিয়ের প্ল্যান করে ? – আমি

তুমি যা জানো তাই কিন্তু শেষ নয়। এর পিছনে ও আরো অনেক কথা রয়েছে যা তোমার অজানা।সবটা না জেনে বুঝে এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া তোমার মোটেও উচিত হয়নি ঝিলিক – শুভ্র

অজানা যা কিছু ছিল সবটা আমাকে জানানোর দায়িত্ব টা তো তোমারই তাই না শুভ – আমি

হ্যা আমি মানছি আমার দোষ রয়েছে । আমার যথেষ্ট দোষ আছে। তাই বলে তুমি যে নির্দোষ তা কিন্তু নয় তোমারো অনেক দোষ আছে – শুভ্র

হ্যা আমি স্বীকার করছি আমার দোষ আছে।কিন্তু দোষের শুরুটা তুমিই করছো তাই না ? – আমি

ঝিলিক কথা বাড়ালেই কথা বাড়বে।আমি চাচ্ছি তোমাকে সবটা খুলে বলতে তারপর তুমি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিবে – শুভ্র

আচ্ছা বলো কি বলবা – আমি

শুরু থেকে বলি শুরুটা হয় কিছু ছবি থেকে – শুভ্র।

কিসের ছবি ? আর কার ছবি ? – আমি

তোমার ছবি।তাও এক ছেলের সাথে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি। প্রথমে আমি এসব এক ফোটা ও বিশ্বাস করিনি।কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হই তোমার সাথে তার কিছু চ্যাট দেখে।তখন আমি জানিনা আমার কি হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করে ফেলছি । তারপর থেকে তোমাকে আমার সহ্য হচ্ছিল না। কোন ছেলেই বা মানতে পারে নিজের স্ত্রীকে অন্য ছেলের পাশে। – শুভ্র

তারপরে ? – আমি

তারপরে সবকিছু সেই ভাবেই চলছিল।হঠাৎ করে যেদিন ইশিতাকে নিয়ে ঝামেলা হয় সেইদিন আমার মনে সন্দেহের বাসা বাঁধে।আমার কোথাও ভুল হচ্ছে না তো তখন আমি আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলি।ও আবার এসব বিষয়ে সবই জানে প্রায় পিক এডিটিং সবকিছুই জানে। তো ও আমাকে যা বলে তা শুনে আমি আমার লাইফে সেই সময় প্রথম ধাক্কাটা খাই। সেই সব পিক ছিলো এডিট করা।এমনকি চ্যাটগুলো সব ছিল এডিট করা।আমি ভিতরে ভিতরে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম তোমাকে ভুল বোঝার জন্য। অপরাধবোধে আমি প্রায় শেষই হয়ে গেছিলাম।তাও আমি তোমার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকি৷তুমিও খুব সহজেই আবার আমাকে আপন করে নাও।কিন্তু বিপত্তি বাজে তখন যখন তুমি রিয়ার সাথে আমার কথোপকথন শুনো। আর রিয়ার করা সেই মেসেজটা দেখো – শুভ্র

কোনো স্ত্রীই কি পারবে নিজের স্বামির ফোনে অন্য মেয়ের এমন মেসেজ দেখার পর নিজেকে সামলাতে ? তুমি যেখানে সামান্য কিছু এডিট করা ছবি আর চ্যাটের উপর ভিত্তি করে বছরের পর বছর আমাকে অবিশ্বাস করতে পারো সেখানে তোমার ফোনে আসা মেসেজগুলো আর নিজের সামনে তোমাকে তার সাথে বিয়ের কথা বলতে দেখার পর সন্দেহ করা কি আমার অযৌক্তিক ছিল আদৌ ও? – আমি

না – শুভ্র।

এখন বলো রিয়া কে ? – আমি

রিয়া হচ্ছে তোমার দেবরের প্রেমিকা – শুভ্র

মানে নিজের ছোটভাইয়ের প্রেমিকার সাথে তুমি রিলেশনে ছিলা ? – আমি

এই যে মহিলা মানুষের সমস্যা। বোঝে ২ লাইন বলে ৫ লাইন – শুভ্র

আপু ভাইয়া সব বলে নেক তারপর তুমি বলো – রনি

রিয়ার সাথে তোমার দেবর তার সম্পর্কের কথা পরিবারে জানায়।খোঁজ নিয়ে আমি জানতে পারি মেয়েটা সুবিধার না।অনেক ছেলের সাথেই ওর রিলেশন রয়েছে । কিন্তু হাজার চেষ্টা করে ও তোমার দেবরকে আমি আর আম্মু এসব বোঝাতে ব্যর্থ হই।পরে কি করবো না করবো বুঝতে না পেরে আমি একটা প্ল্যান করি।আমি ওকে বলি আমি কিছু মাস রিয়ার সঙ্গে রিলেশন করবো আমি বিবাহিত জেনেও যদি ও আমার সাথে রিলেশনে যায় আর বিয়ে করতে চায় তাহলে তো ও বুঝতেই পারবে কেমন মেয়ে রিয়া। তোমার দেবর ও মত দেয় আমার কথায়।তোমাকে জানালে তুমি রাগ করতে পারো বিধায় আমি সবাইকে নিষেধ করেছিলাম তোমাকে এই ব্যাপারে বলতে। কিন্তু তুমি তো তুমিই – শুভ্র

তার মানে রিয়ার সঙ্গে তোমার তেমন কোনো রিলেশনই নেই ? তুমি শুধু ছোট ভাইকে বোঝানোর জন্য এসব করেছো ? – আমি

হুমম – শুভ

আমি নিশ্চুপ

এখন বলো এখানে সম্পূর্ণ দোষটাই কি আমার ? হ্যা আমি ভুল করেছি প্রথমে তোমাকে অবিশ্বাস করে।দ্বিতীয়ত রিয়ার কথা তোমার থেকে লুকিয়ে। এছাড়া এখানে আমার আর কোনো দোষ কি আছে ? – শুভ্র

আমি এখনো নিশ্চুপ

পাঁচ টা বছর নিজের ছেলে থেকে দূরে ছিলাম।শুভ আমার বাচ্চা। আমি পারিনি ওকে কোলে নিয়ে বুকে জড়িয়ে রাখতে।পাঁচ টা বছরর আমি ওকে ছুয়ে দেখতে পারিনি। একজন বাবার জন্য এর থেকে বড় কষ্টের আর কি হতে পারে বলো তো আমাকে – শুভ্র

কিন্তু ভাইয়া তুমি জানলে কিভাবে আপু এখানে ? আপু তো কোথাও যেতোও না খুব একটা। নিজেকে যথেষ্ট আড়ালে রেখেছিল সে – মিনি

আমি রনি আর শিহাবের দুঃসম্পর্কের কাজিন।ওদের বিয়ের জন্য তো তোড়জোড় লেগেই ছিল। যখন এনগেজমেন্টের পিক আপলোড দেয় রনি তখন আমি প্রথমে রিনিকে দেখে চিনতে পারি তারপর শিহাবের আইডি খুঁজে মিনির ছবি দেখে আমি নিশ্চিত হই যে এরাই রিনি মিনি।রিনির আইডিতে ঘুরে আমি সব ইনফরমেশন জেনে নেই।ওর আইডিতেই আমি প্রথম শুভকে দেখি।তারপর রনি আর শিহাবের সঙ্গে কথা বলে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যাই। তারপর ভাবি আগে শুভর সঙ্গে দেখা করতে হবে তাই ওর স্কুলে একটা ক্যাম্পি এর ব্যবস্থা করি।আর তেমাকে চমকে দেওয়ার জন্য ওই ফাংশনেও যাই – শুভ্র

তখনি কলিং বেল বেজে উঠলো । মিনি গিয়ে দরজা খুলতেই ভিতরে যারা প্রবেশ করে তাদের দেখে আমি অবাকের চরম পর্যায়ে চলে যাই

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here